বিদ্রোহী তুমি বিপ্লবী লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
বিদ্রোহী তুমি বিপ্লবী লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২১

বিপ্লবী (২১)

 বিপ্লবী  (২১)

আরিফ শামছ্

১৮/০৭/২০১৯ ঈসায়ী সাল।


বিপ্লবী!

হুংকারে তব,

কাঁপে থরথর,

পাতা-পত্তর সম,

পড়েই নিথর।

পথ হারিয়ে ফের,

পালাতে না পেরে,

পথ ভুলে সব,

পায়েই লুটে।

গর্জ নিনাদ,

ঘুচে বিবাদ,

কন্ঠে বাজে,

ত্যাজি স্বর।

নিরাশার জল,

বয় ছল ছল,

ঝর্ণার ওপারে,

স্বপ্ন সকল।


বিপ্লবী!

কন্ঠে তব,

বার বার রব,

তীক্ষ্ণ ধারালো,

তলোয়ার সম।

 হবে উচ্চারণ,

গগন বিদারী,

কর্ণ ভেদিয়া,

হিংস্র ব্যাঘ্র, 

আসন ছাড়িয়া,

শোনে গর্জন ।


বিপ্লবী!

মার্চের তালে তালে,

পদপিষ্ট পা'তলে,

শত শত পাপ,

নির্বাক পরিতাপ,

করে হা হুতাশ।

অত্যাচারীর পরিণতি,

নির্মম নিষ্ঠুর,

নির্জীব গতিহীন,

হতাশ চোখে,

স্বপ্নের ইতি।


চিরবিপ্লবী!

নূতন করে ফের,

স্বপ্ন বুনন,

চলে অগণন।


স্বপ্ন-সত্যি,

হেরার জ্যোতি,

পাথেয় মোতি,

সবি হবে আপন।


বিপ্লবী!

ঝড়ের গতিতে,

সময়ের আগে,

সবারে ছেড়ে,

জয়ী হবি।

চির বিপ্লবী। 


পরাভব মেনে,

সবাই নেবে, 

হবেই হবে

তুমিই জয়ী,

চির বিজয়ী।

শুক্রবার, মে ২৯, ২০২০

এই পৃথিবীর আর্তনাদ!

১১৭।

পৃথিবীর আলো বাতাস,
প্রকৃতির অকৃপণ দানে,
হয়েছো বড়ো অনেক,
শাসক, রাজা, সম্রাট মানে।

দুঃখ ধরাধামের,
পারোনি ভালোবাসতে,
বিশ্ব আর বিশ্বজনে!
সুবিশাল উদার মনেতে!

সংকীর্ণ চিন্তা, বড়ই হীনমন্য,
শুধু দল, স্বদেশ, স্বজাতিকেই ভালোবাসো!
সুখ-শান্তি, সমৃদ্ধি করতে নিশ্চিত,
ভিনদেশ, ভিনজাতির সব অনিশ্চিত!

তোমার বুকে তোমার সন্তান,
খেলছে পুলক মনে,
পৃথিবীর শিশু খেলছে কেনো?
তাজা বোমার সনে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প, ভ্লাদিমির পুতিন,
শিজিংপিং, প্রেসিডেন্ট, কিং!
তোমরা শুধু, দল ও দেশের,
বিশ্ব-বাসীর নও,
থামাও সবি রক্তচোষা,
ফেরার চাবি লও।

কোন্ কারণে শান্ত মানুষ,
দ্রোহানলের বিদ্রোহী,
বাঁধছে বুকে মারনাস্ত্র,
লড়ছে  মরনবধি।

ফোকলা দাঁতে, অন্ধ স্বার্থ,
হিংস্র কতো সবাই দেখো,
বুঝবি কবে, ভালোবাসা, 
সবার সমান, হোকনা ছোট-বড়ো।

শুনতে কি আর পাবি তোরা,
এই পৃথিবীর আর্তনাদ!
আসবে ঠিকই বিশ্ব নেতা,
গর্জিয়া নাদ-মহানাদ।

আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া
১২/০৩/২০১৮ ঈসায়ী সাল।

ফিলিস্তিন থেকে বলছি

১১৬। 

অশ্রু নয় অস্ত্র দাও,
বিশ্বে শান্তি আনি,
নামকাওয়াস্তে ত্রাণ নহে, আর
যুদ্ধ বিমান চাহি।

বাঁচিয়ে কি লাভ,
করিবে আঘাত,
আমরা নিরস্র।
বীরের মতো,
হাজারো বছর,
বাঁচিতে দাও অস্ত্র ।

মানবতা, সাম্যবিধান,
নিরপেক্ষতা যতো,
বই কিতাবে রাখো;
চোখের সামনে, 
মারছে কতো,
নারী ও শিশু,
হিসেব রেখেছো কভু। 

ত্রাণের বহর, 
ফিরাবে প্রাণ,
আবার মারিবে এসে;
জালিমের টুটি,
চেঁপে ধরো তারে,
ক্ষান্ত করো বসে।

তাই যদি না পারো,
সমানে সমানে,
যুদ্ধ করার, 
অস্ত্র পাঠাও আরো।
নিরস্র নারী শিশুর উপরে,
শসস্ত্র কাপরুষ ঝাঁপিয়ে পড়ে,
বেলা অবেলায় প্রাণ কাঁড়ে কতো।

আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া
১০/০৩/২০১৮ ঈসায়ী সাল।

সিরিয়া থেকে বলছি

১১৫।


কলম ছোঁড়ো অস্র ধরো,
কলম হল বিকল,
অস্র অজস্র অস্রেই জবাব,
লাগাও তাদের শিকল।

মুখে মুখে শান্তি বাণী,
কথাই তাদের সার,
অস্র বেচা, হীন স্বার্থ,
নাইরে কিছু আর!

বন্ধ্যা হলো বিশ্ব কবে?
মহান নেতা কোথা'?
রক্ত সাগর, মৃত্যুলোক,
নাইরে মানবতা।

বিশ্বটারে স্বর্গ করে,
তুলবে গড়ে কারা?
মানুষ হয়ে মানুষ মারে,
নেইযে জড়তা।

জাতি হচ্ছে ছিন্ন ভিন্ন,
জাতিসংঘ নির্বিকার,
নগ্নভাবে জালিম পক্ষে,
সকল ভেটো পাওয়ার।

আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া
১০/০৩/২০১৮ ঈসায়ী সাল।

বুধবার, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৯

শান্তিদূত-যমদূত



আমি,তুমি, ইনি, তিনি, সবি, মিলি এ সমাজ, আরবার,
আমার আমিতে মজেছি, এ কী! খবর রেখেছি কবে কা'র?কত বসে, পলে পলে, কত দিন করেছি পার,কী হলো আহ! বদ্ধ দোয়ার! মাজলুমের করাঘাত!ঘরের ভিতরে, বিভোর স্বপ্নে, শেষ হবে কি মরন-ঘুম ?
শ্রান্ত, ক্লান্ত,হত, ক্ষত, দেখ, সৃষ্টির সেরা মাখলুক।ত্রাহিত্রাহি মানবতা, দয়া, মায়া,সমবেদনা, বিশ্বের-বিস্ময়!কে দিবে দিশে দিকে দিকে সবে, মানবতা উদ্ধারে, সময়ের প্রয়োজন।যুগে যুগে মানবতা, ধর্ম, তন্ত্র, মন্ত্র, দরদী, সেবা-সুশ্রুষা,জাতি-পুঞ্জ, জাতি সংঘ, উল্টা-পাল্টা, দালালী চালের খেলা।শান্তির কথা বলে, শান্তির সাথে চলে স্বার্থের কষাকষি,স্বার্থ হাসিলে হাত মেলাতে দারুণ-নিদারুণ কৌশলী।যমদূত সাজে শান্তির দূত (!), করে যায় শত চুক্তি,কোটি কোটি টাকার অস্ত্র-চালান, ভিত গড়ে অশান্তি।আসার গতিতে দেখিবে! সবে, এক নিমিষেই রণ হবে শেষ,সুরাহার কথা বলে, ভিড়িয়া কাছে, করে সর্বনাশ দেশ-খেশ।সমাধান সেতো, দূর, কতদূর, সুদূরপরাহত,এক দলে মিলে, পক্ষ সাজে, করে কৌশল কত!"মামার জয়", বুলিতে, স্বার্থান্ধ, স্বার্থপর, ধুলো দেয় বিশ্ব-চোখে,বছরে বছরে কত দেশ পুঁড়ে, ছারখার করে, মিথ্যা অজুহাতে।নিরাপত্তা, শত্রু দমন, উন্নয়ন, উন্নতি,করিতে শক্তিশালী,দেশে দেশে পাকা করে ফেলে এঁটে স্বার্থের ব্যবসায়ী।সাহায্য-সহযোগিতা! চলে কষাইয়ের কষাকষি,শত সহস্র, অযুত-নিযুত, শর্তের ছড়াছড়ি।স্রষ্টা না সৃষ্টি, কারো কাছে নেই, দায়-বদ্ধতা, ওরা স্বেচ্ছাচারী,ক্ষমতার পথে চলে, দোহাই জনগনের, জনগন সব, সবি।ক্ষমতা করতলে, যায় যাবে যায় সব ভূলে,বঞ্চিত, মাজলুম,তা'রে পূজে, নাই পথ খোলা নাই প্রতিবাদে।

আরিফ ইবনে শামছ্
১২/০৯/২০১৭ ঈসায়ী সাল।রাত: ১২:৩০ মিনিট।

বিদ্রোহী তুমি, বিপ্লবী!

৫১। 


দ্রোহানলের আগ্নেয়গিরি, বিদ্রোহী তুমি, বিপ্লবী!
বিষের বাঁশি, কে বাজাবি, আইরে ভীষণ ভৈরবী।
একূল ওকূল ভাঙ্গরে দুকূল, নে ভাসিয়ে জালিমরে,
মাথার 'পরে আছড়ে মারিস, পাহাড় সম ঊর্মিরে।
নটরাজের পবন-ভবন, আয়রে ছুটে তড়িৎ বেগে,
দস্যিরাজের দস্যিপনায়, লাগাম টানো বিশ্বরে।
আয়-গতিবেগ, আয়রে ধেয়ে, ধমকে- চমকে ভেঙ্গে যারে,
রক্তচোষা, জন্তু -প্রাণী, মানব-দানব সংহারে।
ঈষাণ কোণে, উড়াও নিশান, কালো মেঘের গর্জরে,
চিতার অনল ধরিয়ে দিবি, দস্যুদেরই অন্তরে।
বিনামেঘের বজ্রবাণে, সাঙ্গ কর জীবনরে,
নৈঋতেরই প্রান্ত কোণে, ভীষণ, পাষাণ, বৌদ্ধরে।
আয় অবিরাম, ঘূর্ণিবায়ূ, সাথী করে ঝড়-টর্নেডো,
কম্পে কম্পে ভূমিকম্পে, আগ্নেয়গিরির ঐ জ্বালামুখ,
যা ছুটে যা মানবতা, বন্দী যেথা প্রকোষ্ঠে,
মানুষরূপী সবজানোয়ার, রক্ত -মাংস ভক্ষণে।
ফেলরে মুছে সব নিশানা, সবকটিরে ধররে,
মরণ জ্বালা, বিষের জ্বালা, জ্বালিয়ে দিবি অন্তরে।
তিলে তিলে দে বুঝিয়ে, অত্যাচারীর পরিণতি,
জালিম, জুলুম, জুলমাতের সব, মৃত্যুবাণে দিবি।
উড়াও পাহাড়, ঝঞ্ঝা বায়ু, ধ্বংস-নাশী সংহর্ত্রী,
জ্বালাও, পোঁড়াও, অমানুষী পাপের তাপের রাজ্যটি।
চালাও প্রবল ধ্বংসলীলা, আকাশ-বাতাস বৈপ্লবী,
পৈশাচিকের দম্ভ-হম্ভ, দে গুঁড়িয়ে বিপ্লবী!

আরিফ ইবনে শামছ্
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২,
ভাদুঘর, সদর, বি.বাড়ীয়া-৩৪০০।
০৪/০৯/২০১৭ ঈসায়ী সাল।

আগুন জ্বালা অন্তরে!

৪৮। 


বাজাও রণদামামা, পড়রে আমামা;
মুখে কালিমা, আগুন জ্বালা।
শেষ করে দাও, মানব শত্রু,
মাংস খেকো, বৌদ্ধ ভিখু।
চালাও ঘোড়া, মাররে চাবুক, নিশানা করো শত্রুদের,
নাইরে সময়, শেষ করিতে, শত্রু যারা ধর্ ওদের।
ধর্ হাতে ধর্ ঢাল তলোয়ার, একীনে রাখ আল্লাহু আকবার,
ধুলীর মতোই স্তব্ধ রবে সব আধুনিক অস্ত্রধার।
জ্বালারে জ্বালা আগুণ জ্বালা, আগুন জ্বালা অন্তরে,
পুড়ে ফেল তোর অলস অবস অহেতুক তন্ত্র-মন্ত্ররে।
আর কতকাল পাথর চোখে জাতির মরণ করবি বরণ,
আর কত লাশ, ভাই ও বোনের তোর বুকেতে করবি ধারণ।
সয়বি কতো মা ও বোনের অপমান আর জিল্লতি,
যুদ্ধ ছাড়া, নেই প্রতিবাদ, বুঝবে কবে, চল্ যুঝি।
রক্তে জ্বালা, মরণ জ্বালা, গাজী হওয়ার ইচ্ছারে,
জীবন মরন যুদ্ধ খেলায়, থাকবে জয়ের দ্বারেরে।
এক পলকে থামবে দেখিস, সকল জালিম বৌদ্ধরে,
ঝাটকা মেরে ছিটকে ফেল, যতো বাঁদর ছিঁচকেরে ।।
চল্ ওরে ভাই সামনে চল্, উঁচু করি শির,
নোওয়াবেনা মাথা কোন, আসুক যুদিষ্ঠীর।
মরলে শহীদ, বাঁচলে গাজী, চল্ ধরি ঐ জালিমদের ,
অত্যাচারীর বুক চিড়িয়া, জয় আনিব মজলুমের।

আরিফ ইবনে শামছ্ 
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২,
ভাদুঘর, সদর, বি.বাড়ীয়া-৩৪০০।
০৪/০৯/২০১৭ ঈসায়ী সাল।
৪৬। তোরা থামবি কিনা বল!
----------আরিফ ইবনে শামছ্
৩১/০৮/২০১৭ ঈসায়ী
বিকাল ০৪:৩০ মিনিট।
তোরা থামবি কিনা বল!
ছাড়বি কিনা পাষাণ ছল,
মরণ ফাঁদের রক্ত নদী,
কয়টা খাবি বল?
ভাল মানুষ, উঠছে জেগে,
পারবি কিনা বল?
আগুন ঝরা, বহ্নি হাওয়া,
সঙ্গে যাবি চল।
আকাশে বাতাসে, জলে পর্বতে,
ঠাঁই কি তোরা পাবি,
নদী গিরি, বন জঙ্গলে,
পথের দিশা নিবি।
পাতা মরমর, বৃষ্টি ঝরঝর,
বজ্রনিনাদ আসছে ধেয়ে,
কাঁপে থরথর, গিরি সরোবর,
সত্য- ন্যায়; আজ উল্কা বেগে।
হাতে ধরা তোর শাণিত ছোড়া,
তোর বুকেতে বিধবে দেখিস,
ওরে অজ্ঞ, জাহেল মূর্খ,
কেমনে তোরা মানুষ মারিস!
কিশোর, জোয়ান, বৃদ্ধ, যুবা,
আসছে তেড়ে, দেখরে চেয়ে।
জানেনা তারা, পিছু হটা,
সামনে বাড়ে, ঝড়ের বেগে।
শক্ত হাতের ডান্ডা খেয়ে,
সময় এলে শিখবি সবি,
বীরের লাথি, শাস্তি পেয়ে,
মানবতার দীক্ষা নিবি।
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২,
ভাদুঘর, সদর, বি.বাড়ীয়া-৩৪০০।

ভালবাসি দিবা-নিশি _সূচীপত্র

কপিরাইট আইন: জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট, লঙ্ঘনের কারণ, সমস্যা ও সমাধান

📄 প্রবন্ধ শিরোনাম: “কপিরাইট আইন: জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট, লঙ্ঘনের কারণ, সমস্যা ও সমাধান” ✍️ লেখক: আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া (আরিফ শামছ)...