কবিতা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
কবিতা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

মঙ্গলবার, জুলাই ২৯, ২০২৫

বিপ্লবী

আমি শাহজালাল, শাহপরান, 
বায়েজীদ বোস্তামী, খান জাহান (রাহঃ)।
আমি রবি ঠাকুর, বিদ্রোহী নজরুল, 
বিপ্লবী মাজলুম, জীবনান্দ, ফররুখ,
 আমার খুনের সাত সাগরে খেলছে, 
সত্য-ন্যায়ের টাইফুন, 
করিব নাশ-বিনাশ, 
কুচক্রীর কুচকাওয়াজ,
স্তব্ধ করিব তাদের প্রান। 
প্রাণে প্রাণে জ্বালিব 
নতুনের জয়গান।
ভাঙ্গিয়া রচিব পাষাণের বক্ষে
 কোমলের উদ্যাণ।
আমি তরতর,দরদর, দূর্বার, 
দূর্ণিবার, গতিবেগে,
খরস্রোতা, পদ্মা, মেঘনা,
 যমুনার ভাঙ্গনে, 
পাষন্ড, বর্বর, অত্যাচারীর
 সলীল সমাধি রচিতে। 
যবনিকাপতন। 
রক্ত -বর্ণিল, লোহিত নাফের 
শোক-সন্তপ্ত, জলধারায়, 
পরাধীনতার অবকাশ।
স্বাধীন শৌর্যবীর্যে, বলীয়ান,
আগ্নেয় গিরি,লাভা নিয়ে উন্মত্ত, জয়োল্লাস।
জয়ী, বীর সেনাদল, 
ঝড়-ঝঞ্ঝাবেগে, ছুটে চল্ চল্,
নুতন জীবনের উচ্ছ্বাস। 
জীবনে জীবনে গতিবেগ এনে,
শত্রুদের নাশি চিরতরে, 
পাহাড়ে পাহাড়ে গড়ি 
মৃত্যু-ফাঁদ।

---- আরিফ শামছ্
২১/০৩/২০১৮ ঈসায়ী সাল।  

https://www.facebook.com/share/p/1HxbokBREo/


 


শুক্রবার, জুলাই ২৫, ২০২৫

বিপ্লবী

 
আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া (আরিফ শামছ্)
       ২০/০৩/২০১৮ ঈসায়ী সাল।

আমি যোদ্ধা, আমি বুদ্ধা, নহে বৃদ্ধা,
আগুনের কুন্ডলী, পুঁড়ে ছারখার করি,
জালিমের ভূত-ভবিষ্যত।
আমি সৈনিক, সেনাপতি,
 মহাসেনাপতি, সিপাহসালার।
খলীফা আবু বকর (রাঃ), ওমর (রাঃ),
 উসমান (রাঃ), আলী (রাঃ), 
আল্লাহর সিংহ, ইমাম হাসান (রাঃ); 
হোসাইন (রাঃ), ফিরিয়া আবার।

আমি, আমীর হামজা (রাঃ), খালিদ
 বিন ওয়ালিদ (রাঃ),সালমান, 
তারিক,মুসা, ইখতিয়ারের 
জয়োন্মত্ত অশ্বারোহী ।
সালাহউদ্দীন, বীর মহাবীর,
 কুতুবুদ্দীন, ঈশা খাঁন, মানসিংহ ।
করিনাক ভয়, মানিনা ভেদ-বিভেদ,
করিনা সময় অলস ক্ষেপণ।
আমি ক্ষেপা সিংহ, রাজাদের রাজা, 
ক্ষীপ্র-তীব্র বেগে, নির্বাসনে, নির্যাতীতের শেষ অবলম্বন।
আমি ঘাতক, খাদক, অমানব,নির্যাতকের, 
বাকরুদ্ধ, অবরোদ্ধ।

আমি অস্থির, আমি চঞ্চল, 
কলকলে মহাকাল,
আমি দুর্গত,দুর্গম, দুর্মদ, দুর্মর।
বিশ্ব জালিমের মৃত্যুর শেষবাণ,
 বাতিলের খন্ডিত গর্দান। 
জালিমের টুটি চেঁপে ধরি ভাই, 
এক লহমাই,শূণ্যে উড়ায়।
পবনবেগে হর্ষমনে, মৃত্যুকূপে, 
সহাস্যে দাঁড়িয়ে, অবিরাম বিদ্রোহী, 
 বিপ্লবী গান গায়।
আমি ত্রাস, সন্ত্রাস, ভয়াল সন্ত্রাসী,
 আমি মানব, মানবতা, ধর্ম, সদাচার,
 আমার বর্ম, দৃঢ় প্রত্যয়ী।
মরুভাস্কর, আমি বেদুঈন, চেঙ্গিস,
 খালাকু খাঁন, বাংলার তিতুমীর।
আমি কুখ্যাত, সুখ্যাত, বিখ্যাত,
 জালিমের বক্ষ করি চির-বিদীর্ণ।
ধর্মের নামে অধর্মের খেলা 
খেলে যে বদজ্জন, 
ত্যাগিব শমশের তার ধর 'পর নিদারুণ, মর্মদ!
আমি ঘূর্ণন, সাইক্লোন, ভয়াল টর্ণেডো,সিডর, বিহ্বল,
 আয়লা,নার্গিস,নামে বেনামে
 আগমন,তিরোধান,উত্তরণ।
তালে বেতালে, কালে অকালে,
 ইতিহাসের নির্মম স্বাক্ষর।
অধর্ম,অকর্ম, কুকর্ম, জুলুম, আর
 জালিম, এক ফুৎকারী করি নিশ্চিহ্ন।
 আর্তনাদ, হাহাকার, সিংহনাদ,
 তর্জনগর্জন, তসনস করি 
জালিমের মসনদ।
আমি দশ দিক, করি দিক বিদিক,
 আমি দশানন, জুলমাত ছোঁড়ে, আনিব আলোর প্লাবন, মহাপ্লাবণ।
 লয়, ধ্বংস, মহাপ্রলয়ের বীণ হাতে
 সকল অত্যাচার, করি পদপিষ্ট ।
আমি হিমালয়, মানবতা, ধর্ম,
 চরিত্রকে তুলিয়া ধরিব ঊর্ধ।
পাশবিক জরাজীর্ণ, 
যারা আকন্ঠ নিমজ্জন, 
সমূলে করিব উৎপাটন।

https://www.facebook.com/share/p/16tF35rhXS/

শুক্রবার, জুন ২৭, ২০২৫

মধুর যন্ত্রণা

মধুর যন্ত্রণা
— আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া (আরিফ শামছ)

ভুলতে পারি না, তাঁকে ভোলা যায় না,
কেন এমন করি, তাও বুঝি না!
স্মৃতির ঝাঁপি খুলে ধরি সবসময়—
এই কেমন মধুর যন্ত্রণা!!!

নামটি উচ্চারিত হলেই থেমে যায় নিঃশ্বাস,
চোখের সামনে ভেসে উঠে সাদা ওড়নায় ঢাকা মুখ।
হাতে কলম, ঠোঁটে নীরবতা,
তবু হৃদয়ে ছিল কাব্যের পূর্ণ বিকাশ।

চোখে তার ছায়া, কণ্ঠে মায়াবী ধ্বনি,
বলে যেত অজস্র না বলা কথা এক দৃষ্টিতে।
আমি শুনতাম, বুঝতাম, অনুভব করতাম—
কিন্তু বলিনি কিছু, ছিল এক প্রহেলিকা জগতে।

মোছাম্মত কবিতা বেগম—তুমি কি জানো?
তোমার অনুপস্থিতি আমার প্রতিটি উপস্থিতিতে বসবাস,
তুমি না থেকেও আছো প্রতিটি নিঃশ্বাসে,
তুমি চলে গিয়েও রয়ে গেছো গোপন ইতিহাসে।

দিন যায়, রাত আসে, যুগ পেরোয় ধীরে,
তবু ভুলতে পারি না সেই ঈদের সন্ধ্যা,
যেদিন বলেছিলে, “আমাকে ভুলে যেও”—
শুধু হেসেছিলাম… কাঁদি নাই তখন, এখন কাঁদাও প্রতিনিয়ত।

আজো তুমি আছো আমার নামাজের দোয়ায়,
আছো কাব্যগ্রন্থের প্রতিটি শব্দে,
আছো শহীদের শেষ চিঠির অক্ষরে—
আছো, কিন্তু নেই!

ভুলতে পারি না, জানি না ভুলবো কি না,
কেন এমন ভালোবাসা, বুঝতে পারি না।
তবু স্মৃতির ঝাঁপি খুলে ধরি বারবার—
এই ভালোবাসা, এই বেদনা…একান্তই আমার।
---

বুধবার, জুন ০৪, ২০২৫

আল্লাহ্‌র দয়ার কোনো সীমানা নেই

📜 কবিতা ১৩: 

✍️ কবি: আরিফ শামছ্
📅 তারিখ: ৩১ মে ২০২৫
📍 স্থান: রিয়াদ, সৌদি আরব
(অধ্যায় ৬: কেয়ামত ও অনন্ত জীবন)

আমি যখন সব দরজা বন্ধ পেলাম,
তুমি একমাত্র খুলে রাখলে তোমার করুণা।
আমি যখন নিজের চোখে নিজেকে হারালাম,
তুমি তখন বললে— "ফিরে এসো, আমি ক্ষমাশীল!"

আমার পাপ যত বড়ই হোক,
তোমার দয়া তার চেয়েও বিশাল।
আমি যখন বললাম—
"তুমি কি আমাকে এখনো ভালোবাসো?"
তুমি পাঠালে উত্তর—
এক আয়াত, এক কান্না, এক অনন্ত প্রশ্রয়।

তুমি রাগ করো,
তবু বারবার ডাকো,
তুমি শাস্তি দাও,
তবু আগে বলো— "আমার রহমত আমার গজবকে ছাড়িয়ে যায়।"

হে রব,
তোমার মতো আর কেউ নেই,
মানুষ ভুল করলে ঠেলে দেয়,
তুমি ভুল করলেও—
জায়নামাজে ডাকো, কোরআনে আলতো করে আলিঙ্গন করো।

তুমি আছো বলেই আজও আমি বেঁচে আছি,
তুমি আছো বলেই আমার পাপ আর শূন্যতা
তোমার করুণায় প্রতিদিন গলে যায়।
কারণ, আল্লাহ্‌র দয়ার কোনো সীমানা নেই—
তুমি চাও শুধু ফিরে আসতে।

তুমি আমার রাতের চাঁদ, দিনের আলো

📜 কবিতা ১২: 

✍️ কবি: আরিফ শামছ্
📅 তারিখ: ৩১ মে ২০২৫
📍 স্থান: রিয়াদ, সৌদি আরব
(অধ্যায় ৬: কেয়ামত ও অনন্ত জীবন)

তুমি আমার রাতের চাঁদ,
অন্ধকারে যখন পথ হারা,
তোমার আলোয় দেখি —
কোনটা হারাম, কোনটা হালাল।

তুমি আমার দিনের আলো,
যখন চোখ খুলেই দেখি দুনিয়া,
তুমি শেখাও কিভাবে
এই আলোকিত পথে — সোজা থাকা যায়।

ঘুমের মধ্যে,
জেগে থাকা স্বপ্নে,
তুমি আছো —
যেন বাতাসে ভেসে থাকা দোয়ার মতো।

আমি কাঁদি যখন,
তুমি চোখে অদৃশ্য হাত রাখো,
বলো — “আমি শুনছি”,
যেন এক গভীর প্রশান্তির স্পর্শ।

তুমি ছাড়া আমি যে পথের ছায়া,
যে নদীর পাথর,
যে কণ্ঠের নিঃশব্দতা।
আর তুমি —
আলো, দয়া, অস্তিত্বের প্রতিটি অর্থ।

তুমি আমার রাতের চাঁদ,
তুমি আমার দিনের আলো,
তুমি আছো বলেই—
আমি হারিয়ে গিয়েও বারবার খুঁজে পাই নিজেকে।


---

মঙ্গলবার, জুন ০৩, ২০২৫

সেজদার ভাষা

(আল্লাহ্‌ ও আমি: কবিতা ৪)

আমি যখন কিছুই বলতে পারি না,
তখন সেজদা-ই হয় আমার ভাষা।
নীরব ঠোঁট, বিক্ষিপ্ত বুক,
তবুও তুমি শুনে ফেলো
অশ্রুর প্রতিটি উচ্চারণ।

তুমি জানো,
আমি কেন ভেঙে পড়েছি আজ,
ফরজ নামাজের ভেতর
একেকটি দীর্ঘ নিঃশ্বাসের মানে —
তুমি জানো, আমি না বললেও।

হাত তোলে সবাই,
চাওয়ার তালিকা বড় লম্বা,
কিন্তু আমি শুধু চেয়েছি
তোমার কাছে নিজের ভাঙা অস্তিত্ব জমা দিতে।

তুমি যখন বলো:
"আমি আছি, ভয় কোরো না",
তখন হঠাৎ সব চিন্তা স্তব্ধ হয়ে যায়,
সেজদার ভেতরেই পাই
সারা জীবনের উত্তর।

চোখে অশ্রু, মনে তুমি,
এটাই তো আসল সংযোগ,
তুমি আছো বলেই সেজদা জীবন্ত,
আর আমি,
একজন ক্ষুদ্র মানুষ,
তোমার দয়ার ছায়ায় অমর।

বুধবার, মে ২৯, ২০২৪

৮৩। জীবন তরী


জীবন তরীর এ কি হল হাল,
মাঝে মাঝে পাল ছিঁড়ে বেসামাল,
হাজারো ঢেউয়ের তর্জনগর্জন,
নির্ভীক চিত্তে করিতে অর্জন।
পথে পথে বাঁধা হবে,
কেটে যাবো একে একে,
মানবোনা বাঁধা, শুনবনা কথা,
চলে যাব, দিয়ে যাব দিশা।
তুমি থাক ভীত হয়ে,
রবনা একাকি বসে,
লড়ব, চলব নিশান উড়িয়ে যাব,
সত্য ধ্বজা রবেই অম্লাণ,
যাই যাবে যাক দেহ মোর প্রাণ,
সহাস্যে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করিব।

------ আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া
২৬/০২/২০০৫ ঈসায়ী সাল



৮২। বাবা!


বাবা, তুমি সময়ের সাথে,
পাল্লা দিয়ে অনেক দূরে চলে গেলে!
কি করে ভূলিতে এ মন পারে,
কত সাধ আহ্লাদ, তোমারে আহ্বাণে।
কালের আবর্তে চলে গেলে!
এত দূরে তবে কেন?
আশার দিপালী জ্বেলে,
তুমি নীরবেই চলে গেলে!
এ পৃথিবী তোমায় দিয়েছে কিছু?
নিয়েছে তো অনেক,
তোমার সন্তান দেখো কত স্বার্থপর!!!
তোমারে স্মরিছে কি বারেক!!!

--- আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া
৩০/০৪/২০০৬ ঈসায়ী সাল।
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
ভূঁইয়া পারা, ভাদুঘর,
সদর, বি.বাড়ীয়া।

সোমবার, নভেম্বর ০৬, ২০২৩

৬০। কলম



কলম সেতো নয়তো কলম,
একটু ভেবে দেখো,
গল্প, কল্প, কবিতা, চিত্র,
নাটক, ছড়া, উপন্যাস যতো;

এই কলমে লিখছে লেখা,
বলছে কথা,জ্ঞানী-গুণী কতো।
পথ দেখাবে, জীবন জুড়ে,
পথের দিশা শতো।
সৃষ্টি কলম, স্রষ্টা সনে,
আরজি জানায় লিখবে কী;
লিখতে থাক ভাগ্য হতে
যতো জ্ঞান আছে সবি।

বলতে পারো কলম কোন
এটম কিংবা আনবিক,
ধ্বংস নিয়ে আসবে কখন,
বুঝবেনা কেউ দিক-বিদিক।

কলম তুমি ন্যায়ের কথা,
মাজলুমের মুখপাত্র,
তোর ঈশারায় ভেঙ্গে পড়ে,
জালিম শাহীর তখত সকল।

দিকে দিকে, যুগে যুগে
বলছো সবি, ভয় ঝেরে,
তোমার ভয়ে ধরতো কাঁপন,
সব প্রকাশের ভয়ে।
তোমার খোঁচায় ফাঁসির কাষ্ঠ,
পড়বে জালিম সদা,
হিসেব নিকেশ পাবে বুঝে,
পুরাই ষোল আনা।

সত্য ন্যায়ের অগ্র সেনা
আসছে তেড়ে, খবর পেয়ে,
সব জুলুমের হিসাব কষে,
করবে আদায় পাওনারে।

------------- আরিফ ইবনে শামছ্
২৪/০৯/২০১৭ ঈসায়ী সাল।

শনিবার, মে ০৬, ২০২৩

হও সেরাদের সেরা

হও সেরাদের সেরা 
আরিফ শামছ্

তোমার গুণের সকল কথা,
ভাবি সদা আমি, 
ভুলগুলো সব ভুলে গেলে, 
তুমি অনেক দামী। 

ভালো কাজে, সকাল সাঝে,
থেকো সদা ভাই,
ভুলের কালি, সবার মাঝে, 
সবাই দেখতে পায়।

ভুল গুলোরে ধুঁয়ে মুছে,
হও সেরাদের সেরা,
গুণের কদর করবে গুণী,
সফল হবে ফেরা।

নিন্দুকেরা নিন্দা করে,
খুঁজে ফিরে ত্রুটি,
গুণীজনের গুণের কদর,
দেখবে শত কোটি ।

হাজার কাজে, দিবস রাতে,
ভুল হবে তো ভুলে,
তাই বলে কী থেমে রবে!
এঁদো ডুবার জলে।

স্বচ্ছ জলের ঝর্ণা ধারা,
গতি নিয়ে ছুটে,
ছন্দে চলে নিজের পথে,
সকল বাধা টুঁটে।

২০/০৬/২০২০ ঈসায়ী সাল
মীরবাগ, হাতিরঝিল, 
ঢাকা।

শুক্রবার, মে ২৯, ২০২০

১১৩। বইমেলা


বইয়ের মেলা, মে--লা বই,
কোথায় খোকা, খুকি।
প্রাণের মেলা, শত শত,
করছে ডাকাডাকি।

ভীঁড় করেছে সবাই দেখো,
পড়ে জামা জুতো,
বারে বারে আসতে মেলায়,
ধরছে নানা ছুঁতো।

দেখতে পাবে নামী দামী,
কবি, লেখক, যতো,
নিজের বইয়ে দৃষ্টি ফেলে,
ভাবছে কী যে কতো।

তাকিয়ে রবে, পলকহীন,
ভাবছো, কেমন করে!
ভাবের মালা, গাঁথছে নিতুই,
শব্দ, কথা ধরে।

ঐ যে দেখো পাথর চোখে,
বর্ণ সাদা কালো,
বইয়ের গায়ে দেখছো কতো,
ছবি আঁকলো ভালো।

মনের চোখে, দেখো সবে,
আজো জেগে তারা,
পথ দেখালো, পাতায় পাতায়,
করলো জীবন সারা।

মনের কথা, ধ্যান-ধারণা,
পরশ বাণী কতো,
জীবন পথে, দিশা দিবে,
সফল মানুষ হবো।


আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া।
মীরেরটেক, মগবাজার,
রমনা, ঢাকা।
২৫/১০/২০১৭ ঈসায়ী সাল।
রাত ১২:১০।

১০৯। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা প্রিয় বাংলাভাষা


সকল দেশে ভাষা জীবন,
ভাষা সবার প্রাণ,
ভাষা বিনে যায় কি বাঁচা,
থাকে কিহে মান?
ভাষা দিয়ে স্বপ্ন গাঁথা,
নিপুণ জীবন গড়া,
ভাষা দিয়ে হয় বিনিময়,
মনের সকল কথা।

জীবন জুড়ে নদীর মতো,
পাখির কলরব,
পরিচয়ের নিত্য বাহন,
অধম, উত্তম সব।
ভাষা শিখি মায়ের মুখে,
গল্প, কথা, কাজে।
মায়ের স্বরের উচ্চারণে,
ভাষা নিতুই সাজে।

মাতৃভাষা ভাষার সেরা,
বাংলা মাতৃভাষা,
এই ভাষাতেই মরা বাঁচা,
চলে কান্না হাসা।
শান্তি সুখের তরী বেয়ে,
জীবন চলে কতো,
মাতৃভাষায় সব খুঁজে পায়,
প্রয়োজন যা' যতো।

বাংলা ভাষায় জানতে পারি,
আল্লাহ্, রাসুল (সাঃ) প্রিয়,
ধর্ম আমার ইসলাম সেতো,
পরশ পাথর স্বীয় ।
মাতৃভাষা মোদের তরে,
খোদার সেরা দান,
এই ভাষাতেই সকাল সাঁঝে;
গায় তাহারি গান।

ভাই আমাদের সালাম, বরকত,
রফিক, জাব্বার প্রমুখ,
বুকের তাজা রক্ত ঢেলে,
রাখলো মায়ের মুখ।
ধরাতলে উজল হলো,
সবার স্বপ্ন আশা,
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা,
প্রিয় বাংলাভাষা।

ধরাতলে উজল হলো,
বাংলা ভাষার শান,
বাংলাভাষা পেলো আজি,
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার মান।

২০/০২/২০১৮ ঈসায়ী সাল।
নাফী টাওয়ার,
৭ম তলা,
গুলশান-০১,
ঢাকা-১২১২।

ভালবাসি দিবা-নিশি _সূচীপত্র

আধুনিক প্রতিযোগিতার যুগে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও ক্যারিয়ার গঠনের দিকনির্দেশনা

শিরোনাম: আধুনিক প্রতিযোগিতার যুগে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও ক্যারিয়ার গঠনের দিকনির্দেশনা লেখক পরিচিতি: নাম: আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া (আরিফ শামছ্)...