কবিতা





১৪২৩ বলছি!

        -------- আরিফ শামছ্

 

নতুন আর পুরাতন, 

কারো প্রস্থান কারো আগমন,

চৈত্রের সংক্রান্তি, বসন্ত বিদায়,

ঝরো বৈশাখির আগমনী গান।

বিরহের সুর তো বাজেনা,

পর করে দেয়ার সমস্ত আয়োজনা।

মনে রেখো আমার কাছে জমা, 

তোমাদের সমস্ত ইতিহাস,

যা তোমাদের ভাবী পথের পাথেয়। 

পাথর কান্না আমার কেউকি দেখেনা,

ক্ষত বিক্ষত কষ্টটুকু কেউতো ভাবেনা:

৩৬০ ডিগ্রিতে ৩৬৫ দিনের পুরোটায় তিলে তিলে, 

নিঃশেষ করে নিজেকে, এ কি পেয়েছি আমি!  

চরম অনাদর, অবহেলা অবশেষে।

১৪২৪ আসবে, 

ভালবাসবে কি বাসবেনা! 

আপন নাকি পর হবে কেউ তো ভাবেনা, 

শুধু অন্ধভাবে আয়োজন করা।

বর্ষবিদায় আগে, না বর্ষ বরণ?

সেকি ভূলে যাও! 

আগে নামুন তো পরে ওঠুন।

আমার আগমনে ও সব আয়োজন ছিল এমনি, 

তাই বলে কি এভাবে টানবে ইতি!

১৪২৪! দেখে প্রস্তুত থাক 

মেনে নিতে এমনি নিষ্ঠুর পরিনতি!!! 

 

৩০ চৈত্র,১৪২৩ বঙ্গাব্দ।

১৩.০৪.২০১৭।

বৃহঃস্পতিবার।


---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

এলরে মাহে রমজান! 

              ------আরিফ শামছ্

                      ২৫.০৫.২০১৭

মহান প্রভুর সেরা দান, 

এলরে ঐ মাহে রমজান।

আসছে ধেয়ে জান্নাত হতে,

শান্তি অশেষ ধরাতলে।

মনের বাগান চাষ করিব,

হরেক রকম বীজ বুনিব।

সুফল ফসল সব তুলিব,

কেয়ামতে সফল হব।

রহমতের দশটি দিনে,

ঈমান-আমল জ্বালাই করে,

মাগফিরাতেরর দিনগুলোকে,

পূণ্য-নেকে পূর্ণ করে।

বিদায় বেলার শেষের দশে,

মুক্তি চাইবো সবাই মিলে,

 মহান প্রভুর পাক দরবারে,

জাহান্নামের রাহু হতে।

---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------


আজিকে এই খুশির রাতে

 ------আরিফ শামছ্

            ২৬/০৬/২০১৭ ঈসায়ী সাল


ভালবাসা আর শংকায়,

 বাজে সদা মনের বীণা,

মাফ পেয়েছি কী ক্ষমাশীল দয়াময়!

তা' জানিনা।


হৃদয়ের গভীর হতে কি বিষাদের মর্ম বেদনা,

তীব্র হতে তীব্রতর অসহনীয়, তবু হারাতে চাইনা।

বুকে হাত দিয়ে বলি, কতবার যে তোমায় স্মরেছি,

পলে পলে অনুপলে, দানা পানি সামনে পেয়েছি।

ভূলে ও হাত চলেনি তা' নিতে বরং "রোজা রেখেছি"।

ভাংতে পারিনা কোন ভাবে, কিভাবে দাঁড়াব সেদিন!

ভালবাসি তোমায়, ভালবাসা পেতে চাই সদা,

পদে পদে ভূল আর অবাধ্যতা!যদি করো ক্ষমা।

দূর্বল আর শেষ নবীর (সাঃ) অনুসারী "অনেক দাবী"!

তাঁ'র সুন্নাহ, রীতিনীতি কতটুকুইবা মানিতে পারি!

রাহমান তুমি, রাহীম তুমি, ওগো পরম দয়াময়,

আজিকে এই খুশির রাতে ক্ষমা আর রহমতের অনুনয়।

যতো আবেদন, বাহারি চাওয়া, দু'জাহানের তরে!

তোমার বান্দা, মহানবী (সাঃ) প্রিয়  উম্মতের করে |


---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

চিকনগুনিয়া

----------- আরিফ শামছ্


নাম ঠিকানা ভূলিয়ে দিবে,

চিকনগুনিয়া।

ডানে হাঁটার ইচ্ছে হলেই,

হাঁটা যাবেনা।


চালক ঠিকই দেহের তুমি,

নাইযে কোন বল,

চলার পথে উদাস হলে,

দেখবে বহু বিপদ।


কেউবা বলে নাপা খাও , 

প্রচুর তরল খাবার,

কেউ বলে বা প্যারাপাইরল,

ডাবের পানি পান।


সত্যি কথা বলতে গেলে,

ভয়ে হবেন কাৎ,

মুখের রুচি, ঘুমের বিরাম,

সবি নেবে ভাই।


নাওয়া খাওয়া বিনে ক'দিন,

ঘুমে অচেতন,

ব্যাথার সাথে নিরস থাকা,

রয়না দেহে বল।


সব যোগাযোগ হালকা হবে,

বাড়বে ছুটা ছুটি।

কখনো বা হেরে গিয়ে,

শিশু কালের স্মৃতি।


যতো পারেন বেশি করে,

পানি করো পান,

দূর্বল যেন নাইবা করে,

ভাল ভাল খান।


---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

০৫।  জীবন যেখানে যেমন

----------- আরিফ শামছ্

        ২০.০৭.২০১৭ ঈসায়ী সাল


প্রেম ও প্রীতি আসল দিঠি,

প্রেমিক হৃদয় কোথায় খুঁজি?

কোথায় পাবগো প্রেমের হিয়া?

কহিব কথা পরাণ ভরিয়া!!


এমন গোধূলী, কাঁচা সোনা রোদ,

এঁদো ডোবাজল, একলা ডাহুক,

রিমঝিম টিপটপ বিষটি কোথা,

কথাকলি সব রবে কি হেথা???


বিনিদ্র রজনী সাতকাহন কি হবে?

নিশির নিশা পেড়িয়ে ভোর যে কবে?

দখিনা মলয় তপ্তদেহে বারিসিঞ্চনে;

আসবে কবে বারিরাশি সঙ্গে করে।


চায়লে কি গো ফুল ফুটিবে অরুণ প্রাতে,

গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হবে, খুশির ঝিলিক তাতে।

ডাকবে কোকিল বিজন বনে, একলা পথে,

ভাবের পথে হাঁটবে তুমি, উদাস মনে।


ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,

বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২,

ভাদুঘর, বি.বাড়ীয়া-৩৪০০।


---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

০৬। ক'ফোঁটা রক্ত

                  আরিফ শামছ্


তোমরা আছো বলে বেঁচে আছে

দেশ সমাজ,

বয়সে ছোট হতে পার, তবে করে যাও

বড় বড় কাজ।


রক্তের বাঁধনে লহ বাঁধিয়া, 

জাননা কেবা আপন পর!

শুধু জান রক্ত লাগবে, রক্ত চায়, 

কে আছো? কোন জন?


হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে শুয়ে, 

মৃত্যুর প্রতীক্ষায়,

প্রহর গুনে মরি মরি, 

সকাল সন্ধ্যা কত বেলা যায়,


কেউ নাই কারো, 

আবার আছে অনেক আত্মীয় কারো,

রক্ত দেবে ভাই! রক্ত লাগবে; 

বাঁচাতে প্রাণ তা'রো।


মন মানসে, দেহ মননে 

তৈরি থেকো ভাই,

ক'ফোঁটা রক্তে তোমার যদি, 

বাঁচে কোন বোন ভাই।


তোমার রক্তে নবজাতক কোন 

ফিরে পায় পৃথ্বী পথ,

মা সকল পৃথিবীর যদি 

দেখে বাঁচার স্বপ্ন সব।


রক্ত যাদের নেশা পেশা; 

রক্ত করে নাক পান!

রক্তের তরে নিদ নাই তার, 

এই বুঝি যায় কারো প্রাণ!


রক্ত দানে দিবা নিশি ছুটে, 

চেনা অচেনা কত পথ!

রক্তের যোগান দিতে হবে ভাই, 

এই আমাদের পণ।


---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------


০৭।  ভালবেসে কাছে যেতে     

              -----আরিফ শামছ


ভালবেসে আল্লাহ পাঠাল দুনিয়ায়,

ভালবেসে আরো কাছে যেতে,

দীদার লাভে ধন্য জীবন; 

লভিতে দু'জাহানে।


যুগে যুগে নবী রাসূল পাঠালেন 

সকল বান্দার লাগি,

কত ভালবাসার প্রিয় বান্দারা! 

এই পথ হারাল বুঝি!!! 


ভূল করে করে জানা-অজানা, 

দুঃখের পথে হেঁটে চলে!

বন্ধুর কোথা, বিপদসংকুল পথ 

কেউকি জেনেছে আগে,


তবু পথ চলে, মোহগ্রস্থের ন্যায় 

সসীম-অসীম পথে।

দরদমাখা দৃষ্টি যে থাকে, 

প্রিয় বান্দার 'পরে।


দেহ মন আর সমাজ পরিবার, 

নিয়ে সব একসাথে,

কেমন করিয়া স্বর্গ সুখের 

শান্তি সমেত বাঁচিয়া রবে।


নিয়ম নীতি, স্বাধীন পরাধীন, 

রাজা প্রজা সব আছে,

রাজার রাজা মহারাজা সব 

দেখেন তাহা কাছ থেকে।


কে ন্যায় আর অন্যায় করিল 

দিয়ে দেখে সব বল,

ধৈর্য্য কাহারা ধরিল, 

কঠিন বিপদ- আপদে শত।


কেবা হাজিরা দিল নিয়মিত 

খোদার ঘর মসজিদে,

হালাল খেয়ে কজনইবা চলছে, 

সদা হালাল পথে।


এলেম নিয়ে হেলেমের জোড়ে 

কারা করে পুকুরচুরি,

লেবাস ধরে কারা করে, 

স্রষ্টার সাথে জুয়াচুরি। 


এমন কিছু বলনাযে, 

করতে যাহা পারনাযে,

বড়ই ঘৃণার কাছে আল্লাহর,

মিল না থাকে কথা কাজে।


পরোপকারী স্বার্থহীন যেন, 

সদা থাকি মানবের পাশে,

দয়ালু মনে সদাচার সহ 

হৃষ্টচিত্তে সবার আশে।


খালি হাতে কেউ ফিরেনা কভু 

তোমার বান্দা হতে,

শক্তি দাও, সাহস যোগাও, 

হায়াত শেষের আগে।


ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,

বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২,

ভাদুঘর, সদর, বি.বাড়ীয়া-৩৪০০।

---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------



---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------



---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

 

 

কথা কাজে পরিচয়
------------ আরিফ শামছ্

কি হলো আজ পথে ঘাটে,
ভালো মানুষ নাই,
অলি, গলি, পথে পথে, জারজ দেখা যায়,
কথা, কাজে, আচরনে মিলবে পরিচয়,
জারজ নাকি ভদ্র মানুষ, সবাই তাহা কয়।
পথের মাঝে কিংবা কভু বাজার সদায়ে,
একলা কোন মেয়ে পেলেই, হুমড়ি খেয়ে পড়ে!
বাসে উঠার সময় কিংবা নামার সময় হলে,
পাগল, ছাগল, প্রতিবন্ধী করে কি আর বলে?
একলা সীটে বসা পেলে, ভদ্র সেজে বসে,
নোংরা যতো কথা কাজের, প্রকাশ করে হেসে।
সহ্য করার সীমা ছাড়ায়, কেউ বলেনা কিছু,
আশে পাশে যাত্রী বহু, নাইকি মানুষ ভালো!
পথে, ঘাটে, বাস, বাজারে, ছুটে প্রয়োজনে,
বেশ্যা মেয়ের মতো তোদের ডাকছে কভু কাছে?
তোরা কেন এত খারাপ, জারজদেরই মতো,
কথা, কাজে, আচরণে, ছুটিস তাদের পিছু।
সব হারামী মিলে কেন নোংরা কথা বলিস,
একলা মেয়ে ভাবছে শুধু, কেমন তোরা খবিশ!
নাইকি তোদের মেয়ে ছেলে, ভাই বোন, সংসার?'
কেমন করে তাদের সাথে, করিস বসবাস?

---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------


শ্বাশ্বত আহ্বান
-----------আরিফ শামছ্
২২.১০.২০১৭ ঈসায়ী সাল।

বেলা বেলা করে কত বেলা যায়,
ডাকিনি প্রভু কখনো তোমায়!
তাই বলে তো বন্ধ রাখনি,
সকল বাঁচার উপায়।
ফজর পড়িনি গভীর ঘুমে,
আরামে অলসে শোয়ে,
সূর্য জাগিল পূর্ব গগনে,
তোমার বন্দনা গেয়ে।
যোহরের আজান সুমধুর সুরে,
আকাশে বাতাসে ভাসে,
কর্নকুহরে ধ্বনি প্রতিধ্বনি সাজে,
হৃদয়ে ভীষণ বাজে।
যৌবন বেলা পার করে রবি
পশ্চিমে যায় হেলে,
আসরের আজান পড়লো ছড়িয়ে,
জামাতে শামিল হতে।
জ্বলিতে জ্বলিতে অস্তাচলে,
রবি বলে জনে জনে।
সময়ের কাজ সময়ে করো,
বেলা ফুড়ানোর আগে।
দিনের আলোর পর্দা সরায়ে,
নীরবে সন্ধ্যা নামে।
মাগরিবের আজান মিনার হতে,
চির শ্বাশ্বত আহ্বানে।
পশু, পাখি, প্রাণী, ফিরছে নীড়ে,
মানুষেরা সব আবাসভূমে,
রক্তিমাভ ঢেউ খেলে যায়,
পশ্চিম আকাশ পরে।
স্তব্ধ নিঝুম ভেঙ্গে আসে
এশার আজান শুনি,
মনের মাঝে কত ঝড় চলে,
নামাজ পড়িতে না পারি!
তোমার স্তুতি করিতে আমার
নেই ক্ষমতা কোন,
দয়া করে যদি পথ দেখাতে,
হিম্মত পেতাম শত।
তোমার ক্ষমা যাচে সদা,
মোর তনু আর প্রাণ,
তোমার রাজী, রহম, করম,
আমার অহংকার।

 

ভোর ০৪:৩০ মিনিট,
মধুবাগ, বড় মগবাজার, ঢাকা।



---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

মানবতার ধ্বজা
---- আরিফ শামছ্
২২/১১/২০১৯ ঈসায়ী সাল।
তোমার চোখে, বিষ কেনো ভাই,
নাইকি নিরাপত্তা,
বানের মতো ভাসবে সবি,
কু-নজর লাপাত্তা।
মুসলিম তুমি, সৃষ্টি সেরা,
সবার ভারই তোমার,
হিন্দু, মসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান,
সবাই তব, সমান।
শান্তি নিয়ে ভিন্ন চালে,
কেমন খেলা খেলে!
দেখবে সবি, জেতার খেলা,
খেলো কৌশলে।
তোমার পারা, সমাজ, দেশে,
উপজাতি, জাতি বেশে,
মানুষ যারা আশেপাশে,
রাখো শান্তি নিরাপদে।
অশান্তি আর ভেদ-ভেদাভেদ,
আনবে যারা হিংসা বিদ্বেষ,
শায়েস্তা করো,তাদের ধরো,
শান্তি আনো, লড়াই করো।
যে বা যারা, দেশ ও জাতি,
বর্ণ, জাত ও ধর্মবাদী,
অত্যাচার আর নির্যাতনে,
মানুষ মারার পক্ষপাতী।
তাদের সাথে বন্ধ করো,
লেনাদেনা, চুক্তি বলো।
মানুষ তুমি, মানবতার
ধ্বজা ঊর্ধ্বে তুলো।
ধর্ম তোমার পালন করো,
তোমার স্বাধীনতা,
বাধ সাধিবে, বিশ্ব মাঝে,
এ কোন অধীনতা!
যে ধর্মে ভিন্ন ধর্মের,
নাইরে সম্মান, মর্যাদা,
সে'ধর্ম বিশ্ববাসীর,
কেমনে দিবে নিরাপত্তা!
১৯/১১/২০১৯ ঈসায়ী সাল।
সকাল ৮ টা
মীরবাগ, ঢাকা।
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

বানের জলে মানবতা
------------------- আরিফ শামছ্
২০.০৮.২০১৭
বিবেক তোমার, আমার, সবার নির্বাসনে গেল নাকি!
বিশ্ব বিবেক মাতাল হয়ে, ঘুমের ঘোরে পড়লো বুঝি!
বিবেক নামের শব্দখানা অভিধানের কোন্ কোনাতে,
প্রাণ আছে কি নেই তা'তে আজ, খবর নিবে কোন সে' জনে।
উজান দেশের বানের পানি, ছেড়ে দিবে যখন খুশি!
মাতবরেরা কোথায় গেলো, কোথায় তাদের গলাবাজি।
মানবতা যায়না পাওয়া, বানের জলে ভাসে,
দুর্গতদের চোখের ভাষা, পড়তে নাহি জানে।
মা হারালো, বোন হারালো, ভাই হারালো শেষে,
পাশে থাকা কচি খোকার, হদিস নাহি মিলে।
সহায় সম্বল, ভিটে মাটি, ফসল সবি জলের তলে,
অশ্রুধারা শুকিয়ে গেছে , তাঁকিয়ে থাকে পাথর চোখে।
কে আছো ভাই, বোন কোন এক, বাড়াবে কোমল হাত,
মানবতা ডুবে গেলো, করে যাও উদ্ধার।
নিজে পারো যা', আরো খোঁজে নাও মিলিয়া সকল জনে,
পাড়া প্রতিবেশী, দেশ-খেশ মিলে, তাঁদের সহায় হতে।

---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
ভালবাসা
---------------আরিফ শামছ্

 

ভালবাসার আকাশ পেলাম, রংধনুটা কৈ?
ফুলে ভরা বাগান পেলাম, গোলাপখানা কৈ?
তারা ভরা আকাশ দেখি,শুকতারাটা খুঁজি;
নিশাচরের ডাক শুনি আর, ভালবাসা খুঁজি।
ভালবাসার স্বপ্ন দেখি, মন-মুকুরের মাঝারে;
ভালবাসার পিদিম জ্বালায়, বাসনার আঁধারে।
ভালবাসি হৃদয় ভরে, রাখি সদা অন্তরে;
নিঝুম রাতে পাই খুঁজে পাই, ভালবাসার প্রান্তরে ।
বালিয়াড়ি বলে বেড়ায়, প্রাণ যে নিল পাষাণী!
প্রাণ পেলে তো বাগান হবে;গাইবে গানের পাখি ।
ভালবাসার জলধারা, আনবে বয়ে কে’বা!
ভালবাসার ঝরণাধারা লুকিয়ে আছে কোথা?
ভালবাসার মানুষ পেলাম, ভালবাসা কৈ?
ভালবাসার কথা শুনি, স্বাদ যে তাহার কৈ!
ভালবাসার রশ্মি পেলাম, সুরুজটারে খুঁজি;
ভালবাসার চাঁদ ও আমার! তাইতো এখন বুঝি।
রাত ১২ টা ৩০
২৪.১১.২০১২
২৮/১, পূর্ব নয়াটোলা,
বড় মগবাজার, রমনা, ঢাকা।
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

ভাই হারিয়ে
----------- আরিফ শামছ্
ধরাতলে আগমনে আজান দিল খুশি মনে,
ভাবছি বসে ধূলীর ধরায়, গোছল, নামাজ বাকি আছে।
শোক সাগরে ভাসিয়ে দিয়ে চলে গেলে বিভুর কাছে,
"আসতে হবে আমার মতোই যখন তোমার সময় হবে"।
সারা বেলা কাঁদলো আকাশ,
নিথর, নীরব, সব দেহ -প্রাণ।
আশার তরী, ডুবল আজি,
শোক-সবুরে, তোমায় খুঁজি।
প্রদীপ সম ছিলে তুমি, বলছে ইমাম, সবে,
নিভে গেলো চেরাগ, কেন? কিসের অভিমানে!
পি.এ.টি.সি'র গাছ গাছালী নিথর মাথা নত,
শোকের কথা বলে যেত, যদি ভাষা পেত।
কি হারাল, কি যে হল, ডাকছে মাথার 'পরে,
যমকুলি আর অন্য পাখি, কাঁদছে পালা করে।
সবাই যখন দাঁড়িয়ে গেল, তোমার জানাজায়,
শোকাহত পাখিগুলো চুপটি করে ধায়।
শোকানলে সবাই দেখো, করছে হাহাকার,
মাফের তরে করছে দোয়া, খুলে মন-প্রাণ।
"কোমলমতি ছেলে মেয়ে প্রভুর জিম্মায়,
পরিবারের সকল কিছু দেখো পরওয়ার"!
তুমি মোদের অভিভাবক, ওগো মহান প্রভু,
তোমার দেয়া মুসিবতে শক্তি, সাহস দিও।
এমন কিছু নাইবা করি, তুমি নারাজ হবে,
তোমার দেয়া সরল পথে, থাকি যেন সবে।
শোকাতুরা মনে প্রভু! চায়গো তোমার কাছে,
অপার দয়ায়, রেখো তাঁরে, জান্নাতী করে।
তাঁহার মতোই সবার তরে, জীবন যেন গড়ি,
সুখে- দুঃখে সব মানুষের, আপন হয়ে থাকি।
১২.০৮.২০১৭
শনিবার
দুপুর ০১ টা ২৬।
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সহানুভূতি
-- আরিফ শামছ্
সহানুভূতি পায় ক'জন,
জগতের সংসারে,
সহানুভূতি চাই যারা,
দু'হাতে দাও তাঁরে।
কোমলের দাম যারা,
জানেনি কোন দিন,
ভালো ছেড়ে মন্দে,
ডুবে রবে নিশিদিন।
অনুভব অনুভূতি,
সমানে বয়ে যায়,
সদাচার বিনিময়ে,
দু'জনে দু'জনার।
সুখে যবে রয় সবে,
সুখী হয় মিলেমিশে,
দুঃখে রবে আশে-পাশে,
সেরাটুকু নিয়ে আসে।
কদর করে ক'জন,
সুন্দর সব মন,
সদাচারী সদালাপী,
সবার আপন।
ভূলে যায়, উঁবে যায়,
শতো কায় ক্লেশ,
সাদা মন, সজ্জন,
রাখে সদা বেশ।
সহানুভূতি কারো কাছে,
অমূল্য রতন,
জীবনের পথে পথে,
সাত রাজার ধন।
কভু কেউ বুঝে নেয়,
উল্টো যতো সব,
ভালো মনে যায় করে,
স্বাক্ষী প্রিয় রব।
২৪/০৮/২০২১
হাতিরঝিল,
ঢাকা।
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

অব্যক্ত নিঃশ্বাস
--------- আরিফ শামছ্
শরতের আকাশে ভেসে চলে মেঘেরা,
কোথাকার কোন ডাকে, তারা আজ থামেনা।
চলছে নেচে নেচে, নীচে ঝরে পড়েনা,
বুক ফাঁটা মেঠোপথ, অভিমানে চাহেনা।
তারাদের আলো সব বাধা পায় নামতে,
পরীরা ঘুরে ফিরে, পারে নাক নাচতে।
জীবনের খেঁয়া ঘাটে, নেই কোন লোকজন,
চঞ্চল মন নিয়ে, ছুটে কেউ প্রাণপন।
অলীরা ঘুরেফিরে, নির্মল বাতাসে,
বসেনা ফুলেতে, অজানা অভিমানে।
পাখিদের ভীঁড়ে খুঁজে, চাতকী প্রিয়কে,
কোকিলের গান সব, ফিরে আসে পাহাড়ে।
পাহাড়ের মৌনতা, কত বড় অভিমান,
পুকুরের নীরবতায়, প্রাণ করে আনচান।
জীবনের পুরোটাই, থাক সুখ শান্তি,
সফলতা উন্নতি আর যত প্রশান্তি।
ছুটে চলা অবেলায়, বিনীত চাপা শ্বাস,
প্রাণপন ছুটে চলে, আজ যেন নাভিশ্বাস।
পথহারা দেউলিয়া, পায়না আশ্বাস,
কোথা গেলে মুছে যাবে, অব্যক্ত নিঃশ্বাস।
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
সদর, বি.বাড়ীয়া।
২৯/০৪/২০১১ ঈসায়ী সাল।
শনিবার।
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

তোমরা জাতির অঙ্গ
---------- আরিফ ইবনে শামছ্
২২.০৮.২০১৭
জাগতে হবে, জাগাতে হবে, বড় প্রয়োজন সব সমাজে,
আশার পিদিম কে জ্বালাবে, অরুণ -তরুণ চলরে ছুটে।
উল্কা বেগে, সৃষ্টি নেশা, পবন বেগে চলবি ছুটে,
কোটি প্রাণের মিটাও দাবী, সকল বাঁধা টুটে ।
লও তুলে এক হাতে তোমার বাজাও মরণ বীণ,
অন্য হাতে দিবে দিশা, লক্ষ প্রাণের ঋণ।
পড়া শোনা, জাতির সেবা চলবে সমান তালে,
ধর্ম হবে জীবন বর্ম, বিধান সবি মেনে।
মানবতা, ইনসাফ দেখো, বন্দী পদে পদে ,
সন্ধি করে সত্য নাশে, অপশক্তি সবে,
ন্যায়ের পথে চলছে পথিক, বড়ই নিঃসঙ্গ,
ছুটে চলো রসদ নিয়ে, তোমরা জাতির অঙ্গ।
ঘরে বাইরে দেখবে যত সকল অনাচার,
শক্ত হাতে পোক্ত করে, শিখাও সদাচার।
ছোট বড় সবার মাঝে, ভালবাসা কোথা'?
বেয়াদবের বেয়াদবি দিবে, দারুণ ব্যাথা!
আবু বকরের (রাঃ) ঈমান নিয়ে চলবে জীবন পথে,
উমরের (রাঃ) সে' শক্তি সাহস রেখো তোমার বুকে,
কোরান প্রীতি উসমানের (রাঃ) মুকুট সম রেখো,
শের এ খোদা আলীর (রাঃ) মত, যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ো।
মহানবীর (সাঃ) সেরা চরিত, এসো ধারণ করি,
শান্তি সুখের সমাজ গড়ি, আল্লাহ হবেন খুশি,
থাকবেনাক ভ্রান্তিবিলাস, কোন অপকর্ম,
জানবে সবে ইসলাম এক শান্তি-প্রিয় ধর্ম।
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
শ্বাশ্বত আহ্বাণ
-----------আরিফ শামছ্
২২.১০.২০১৭ ঈসায়ী সাল।
বেলা বেলা করে কত বেলা যায়,
ডাকিনি প্রভু কখনো তোমায়!
তাই বলে তো বন্ধ রাখনি,
সকল বাঁচার উপায়।
ফজর পড়িনি গভীর ঘুমে,
আরামে অলসে শোয়ে,
সূর্য জাগিল পূর্ব গগনে,
তোমার বন্দনা গেয়ে।
যোহরের আজান সুমধুর সুরে,
আকাশে বাতাসে ভাসে,
কর্নকুহরে ধ্বনি প্রতিধ্বনি সাজে,
হৃদয়ে ভীষণ বাজে।
যৌবন বেলা পার করে রবি
পশ্চিমে যায় হেলে,
আসরের আজান পড়লো ছড়িয়ে,
জামাতে শামিল হতে।
জ্বলিতে জ্বলিতে অস্তাচলে,
রবি বলে জনে জনে।
সময়ের কাজ সময়ে করো,
বেলা ফুড়ানোর আগে।
দিনের আলোর পর্দা সরায়ে,
নীরবে সন্ধ্যা নামে।
মাগরিবের আজান মিনার হতে,
চির শ্বাশ্বত আহ্বানে।
পশু, পাখি, প্রাণী, ফিরছে নীড়ে,
মানুষেরা সব আবাসভূমে,
রক্তিমাভ ঢেউ খেলে যায়,
পশ্চিম আকাশ পরে।
স্তব্ধ নিঝুম ভেঙ্গে আসে
এশার আজান শুনি,
মনের মাঝে কত ঝড় চলে,
নামাজ পড়িতে না পারি!
তোমার স্তুতি করিতে আমার
নেই ক্ষমতা কোন,
দয়া করে যদি পথ দেখাতে,
হিম্মত পেতাম শত।
তোমার ক্ষমা যাচে সদা,
মোর তনু আর প্রাণ,
তোমার রাজী, রহম, করম,
আমার অহংকার।
ভোর ০৪:৩০ মিনিট, 
মধুবাগ, বড় মগবাজার, ঢাকা।

---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

আমার বাবা
------ আরিফ শামছ্

বাবা! কে বলে তুমি নেই,
ধরাধামে? চলে গেছ অভিমানে;
নিত্যদিনের নিয়ম মেনে,
সবার মতো স্বজন ছেড়ে,
ভিন দেশেতে অনেক দূরে।
নাই কি তোমার রক্তধারার?
এমদন নয়ন, খুঁজে নেবার।
সত্যটাকে মিথ্যাজালের বেড়া থেকে,
আলোর রেণু, মুঠোয় নেয়া দক্ষ হাতে।
আছো তুমি চিরন্তনী,
কথা-কাজের বর্ণনাতে,
সমাজ সেবার দর্শণে।
সব হৃদয়ের মণিকোঠায়,
উচ্ছ্বসিত ভাবের ধারায়।
তোমার ফসল যেথা যবে,
প্রভূর হাতে সদা রবে,
যেমনি হতে চেয়েছিলে,
সব বাসনায় পূর্ন হবে।
বেঁচে আছো সত্য কথা,
নিত্য দিনে যাওয়া আসা,
সব হৃদয়ে আলো জ্বালা,
আঁধার যেনো মুঠোয় পুরে,
আলোয় আলোয় পূর্ণ করে।
অসীম শ্রমের মোতিমালা,
তোমার গড়া গ্রন্থশালা,
বাগে আতিক সব দেখে যাও,
ইচ্ছে মতো সুবাস ছড়াও।
প্রতিটি হৃদয় মন্দিরে,
সাধুবেশে আছো সাধনায়,
সমাজকে দেবে তুমি উপহার।
চায়তো মনোলোভা হীরে কণা,
অতীব প্রয়োজন, কারো অজানা।
কোন স্বপ্নে বিভোর ছিলে,
হে পিতঃ! আত্নবিস্মৃত হয়ে,
জীবনের পুরোটাই উৎসর্গ করে,
তিলে তিলে মহাসত্যের দিকে,
উপকরণ ছড়ালে দু'হাতে।
আপন প্রভূর মহিমায়,
ছিলে কৃতজ্ঞ জীবন ভর,
পঞ্চমুখ প্রশংসায় আজীবন,
জীবনতরীর মালিক মেনেছ,
সবার উপরে প্রভূরে রেখেছো।
স্বপ্ন তোমার হউক রূপায়ণ,
চায় যদি সে পরম আপন।
সফলতার সব খবরই তোমার কাছে,
যথাকালে সঠিকভাবে পৌঁছে যাবে।
তুমি আছো সদা,
চিন্তা ধারার তীব্র ধারায়,
আপন বেগে, নিত্য চলায়,
জীবন পথে ছন্দ দিতে,
পূর্ণতারই তৃষ্ণা পেতে।
বাবা, শত বর্ষ এমনি করে,
চলে যাবে, আপন বেগে,
তোমার দেয়া তোহফা গুলো,
নিত্য নতুন আলো দেবে।

০৭/০৫/২০০৬ ঈসায়ী সাল,
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
ভূঁইয়া পারা, ভাদুঘর,
সদর, বি.বাড়ীয়া।
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

আজিকার ছেলে মেয়ে
----------------- আরিফ শামছ্
২০/০৮/২০১৭ ইং

ছেলে গুলো ছেলে কিনা সন্দেহ যে মনে!!!
মেয়ে গুলো, নয়যে মেয়ে, দেখছো সবাই চেয়ে!
রাস্তা ঘাটে, পথের ঢালে, কিসের ঘেঁষাঘেঁষি,
বেশ্যা ছেলে মেয়ে যতো, লজ্জা পাবে দেখি।
দোষ দেবেনা মতি গতির, আর না বয়সের,
ভাল করে দেখো আজি, দোষ যে সকলের।
ভাই যে আমি ছোট্ট বোনের, ঘুরি মেয়ের পিছু,
পঁচা গান্ধা ভাইয়ের চরিত, শিখাবে কী কিছু ?
বোনটি আমি ছোট্ট ভাইয়ের, আদর সোহাগ রাখি,
মাঝেমাঝে দেখায় কতো, বন্ধু ভাইয়ের আঁখি।
পাঠশালাতে আসা যাওয়ায়, বড় ভাই যে কত!
বাইকে করে নিয়ে আসে, চলে খেলা যত।
এসব দেখার অনেক মানুষ, রাস্তা ঘাটে শত,
ঘুরে বেড়ায় সব হারিয়ে, মনের আশা যত।
নেইকি বুঝি, বাবা ঘরে, মায়ের কোন শাসন,
আদর করে দেয়কি ছেড়ে, নাইরে কোন বারন।
চলছে উদাস পবন হাওয়া, নেইতো কোন বাঁধা,
থামবে কোথা তাঁদের চলা, কেবা জানে তাহা?
চাও কি ভাল জাতি তোমার দেশ সমাজের বড়?
উতাল-পাথাল চলা ফেরার রশি একটু ধর!
পাক -পবিত্র জীবন গড়া, হবে মহান পেশা,
দেশ সমাজের শোভা হবে, হবে পথের দিশা।
মুক্তো কণার মতো জীবন, হবে অনেক দামী,
সৎ ও মনের ধনী যারা, জীবন দিবে সঁপি।
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সম্পর্ক
--------- আরিফ শামছ্
২২.০৯.২০১৬

 

ফোনের অপর প্রান্তে অভিযোগ,
"এইভাবে কি সম্পর্ক রাখা যায়"?
সাবলীল জবাব, হ্যাঁ। প্রয়োজন
আর অপ্রয়োজনে এ দাবী সবার।
অভিমানী কন্ঠ নীরব, নিথর, হতচকিত!
"কি জানি বুঝিনা আমি এতোসব"।
দিন যায়, মাস যায়, ঘুরে যে বছর,
বন্ধু কিংবা আত্মার কেউ রাখে কার খবর?
ব্যস্ত দুনিয়ায় নাই সময় নাই নাই,
"পথে হল দেখা, বলা হল কথা-চল যাই",
আঁড়ালে চোখের, দূর হতে দূরে যারা,
না পাওয়ার নানা বাহানা, খুঁজে ফিরে তারা!
সচেষ্ট কেউ সুখের রাজ্য গঠনে, কেউ দখলে,
কেউ মত্ত কচিশিশুদের অজানা রাজ্য আবিষ্কারে।
কেউ ব্যস্ততার মহাপ্লাবণে, খুঁজে লক্ষ্য-বন্দর,
কেউ ছুটে নাভিঃশ্বাসে পৌঁছিতে বাতি-ঘর।
সংসার করে কেউ, সংসার গড়ে, সরবে, নিভৃতে,
শত বেদনারা চাঁপা পড়ে, সে সুখেরই আলিঙ্গনে।
স্মৃতির ঝলকে কেউ খুঁজে পায় তৃপ্তির মহাসুখ,
কেউ ভূলে যায়, কেউ পারেনা, ভূলিতে সঞ্চিত দুঃখ।
তবু আছরে পড়ে, বেশুমার ঊর্মিমালা জীবনের উপকূলে,
বড়ই অভিমানে কভু, হিংস্র আগ্রাসে তীব্র গতিবেগে।
পাহাড় সম ব্যাথার পাহাড় ফিরছে বারেবারে,
অভিমানের ফানুস ফেটে, ছুটছে তীরের পানে।
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সান্ত্বনা
--------------- আরিফ শামছ্
০৬.০২.২০০০
তোফায়েল আজম রোড,
শহীদবাড়ীয়া (ব্রাহ্মণবাড়ীয়া)

 

আম্মা! তুমি কেঁদোনা আর,
চোখদুটি ভরে তুলোনা লোনাজলে;
পাঁপড়ি চোখের সিক্ত করোনা অশ্রুতে;
মনের পৃথিবীকে ধূ ধূ মরুভূমি করোনা।
আমি ছিলামনা কিছু দিন আগে,
তোমার পাশে নয়নতারা হয়ে?
কাটায়েছি শৈশব কৈশোর তোমার কোলেতে।
মাগো! আমি মরিনি জানো!
সৌভাগ্য আর নিঃসীম সুখ-ভোগ,
সুদর্শণা ললনারা দিয়েছে হাতছানি,
যাদেরকে জানি রুপসী- অপ্সরী।
যাদের ভালবাসা প্রতিটি মুহুর্তে,
ঘিরে রেখেছে আমায়,
বাঁচিয়ে রেখেছে।
সে'ভালবাসার সম্পূর্ণ ভিন্ন স্বাদের প্রলোভনে,
স্থির থাকতে পারিনি;
আর তাই পড়লাম লুটিয়ে।
আল্লাহর সেনা হয়ে,
তপ্ত লৌহ বুকে রেখে,
কে মানিতে চায় বলো মা!
ধৃষ্টতা খোদার সাথে?
মহান প্রভূর সেই ঝর্ণাধারায়,
সবার আগেই চলে এলাম।
তুমি কাঁদো কেন বারবার?
দেখোনা চলে কত খেয়া পারাপার!
অধীর আগ্রহে মুক্তির দাবী নিয়ে,
বসে আছি মা, এসো ওপারে।।
আল্লাহকে ভূলোনা,
পথ তাঁর ছেড়ে দিওনা,
এ পথেই মুক্তির দিশা,
মিলে যাবে একদিন।
বাবাকে ভূলে যায়নি,
বলো আমরা সবাই আছি,
একইসাথে চলি সদলবলে,
প্রভুর রাজ্যে, তাঁ'রই সান্নিধ্যে।
যে যা'ই বলে যাকনা কিছু,
শুনোনা বিভ্রান্তের তরে শুধু,
সব অপচেষ্টার উপস্থাপন,
করে যায় নর পিশাচের দল।
ঢেলেছি তপ্ত খুন, রাখো মা'রে জেনে,
কোরআন হাদীসেরে ভালবাসি বলে।
পেয়ে গেছি আজ সব নিঃসন্দেহে,
বিজয়ী কেতন ইসলামের,
দেখো, উড়বে দেশে দেশে।।
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
খোকন সোনা
---------- আরিফ ইবনে শামছ্
১৯.০৯.২০১৭ ঈসায়ী সাল।

খোকন সোনা ডাকছে আমায়,
শোনছ বাবা, যায় বেলা যায়।
সময় স্রোতে আযান শোনে,
থাকছ শোয়ে; কেমন করে !!
অনেক দেরী, ভোর হতে,
ঘুম হতে যে ওঠলো কবে!
ডাকছে বাবা ওঠো!
পাঁচটা বেজে গেলো,
নামাজখানা পড়ো।
বাস করি যে চাঁদের হাটে ;
শান্তি ঝরে তনু মনে,
মালিক দিলেন সবি,
শুকরিয়া জানায় তারি।
বাবা গেলো, বাবা এলি!
অলসতার জায়গা নাই,
ভোরের বেলা ডাকাডাকি,
আজো শুনতে পাই।
জাদুমনি, সোনামনি, আব্বুমনি সবে!
বেড়ে ওঠো তাড়াতাড়ি,
আপন ত্যাজে জ্বলতে,
দ্বীন দুনিয়ার দাঈ হবে, হাল ধরিতে,
ব্যস্ত রবে, বিশ্ব-সমাজ গড়তে।
কচি কচি বাপধনেরা,
চির আশার আলো,
স্বপ্ন গুলি খোলবে ডানা,
উড়বে বেজায় ভালো।
হীরে কণা সবার ঘরে,
টুকরো চাঁদের দেখো,
খিলখিলিয়ে হাসবে সবে,
তাঁদের খবর রেখো।
ওরাই মোদের জীবন বাতি,
স্বপ্ন আশা সুখ,
ওদের দ্বারা মিলবে সবি,
ঘুচবে সবার দুঃখ।
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
কুরবানির প্রাণখানি
------ আরিফ শামছ্
কুরবানি দেয় কুরবানি, নয়তো কারো কুলখানি,
গরু, ভেড়া, ছাগল, মহিষ, দোম্বা কিংবা উটখানি,
কেমন প্রিয়, সকল জনের, ভাল করে ভাবতে শিখি,
টাকার মায়া, জীবন বেলা, কেমন প্রিয় একটু ভাবি।
প্রিয় কিছু দেয় উপহার, ভালবাসি যারে,
হউকনা ফুলের মালা কোন, ভালবাসি তারে।
কেউ দিবে তাঁর রক্ত ঢেলে, কেউ দেবে তাঁর প্রাণ,
কেউবা জীবন বাজী রেখে, রাখবে প্রেমের মান।
ভালবাসি কোরান-হাদীস, ভালবাসি দ্বীন,
মনে প্রানে, মেনে চলে, কাটায় রাত দিন।
আল্লাহ হলো প্রাণের মালিক, রাসূল হলো দৃষ্টি,
তাসবীহ পড়ে, দরুদ পাঠে, তাঁহার সকল সৃষ্টি।
প্রিয় হতে প্রিয়তম, কিইবা আছে বাকী?
সকল প্রিয় বিষয়-আশয়, শিখি দিতে সঁপি।
আল্লাহ মহান রাজী কিসে, হবেন বেজায় খুশী,
সহজ-সরল পথে সদা, সকল হুকুম মানি।
অনেক বছর আগে থেকে চলছে প্রাণীর কুরবানি,
রেওয়াজ রীতি আগের মতোই, নাইযে তাহার প্রাণখানি।
জীবনকালে কখন কী যে, প্রিয় হয়ে আসে,
কাজের মেলা, অলস বেলা, সবি যেন মিছে।
দু'তিন দিনের মাঝে কতো, রাখবে বেঁধে কুরবানি?
গরু, ছাগল, দুম্বা, উট আর, মন পশুদের খবর কি?
নয়তো শুধু পশু-প্রাণী, জীবন-যাপন সবখানি,
কর্ম সকল সবার হবে, ভালবাসার কুরবানি।
২৭/০৮/২০১৭ খ্রীঃ

---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

সত্যের দাওয়াত
---- আরিফ শামছ্

কোন ধর্মের অনুসারী,
জীবন পথের পথচারী,
জানিতে চাইনা আজি,
সত্যে, জীবন রেখো বাজি।
ধর্ম সেতো তোমার আমার,
খোদার সেরা দান,
ধর্ম পালনে খুঁজিবে সবার,
শান্তি ও কল্যাণ।
দেশ, জাতি ও ধর্ম সেতো,
জীবনের উপাদান,
অন্ধ হলে অপূর্ণ জীবন,
সব হবে খান খান।
মত, অমতে, মতামতে,
মিল নাও হতে পারে,
সত্যের পরিচয়, সত্যবোধে,
তুলে ধরো হিকমতে।
হানাহানি, খুনাখুনিতে,
চলে যাও যদি পরপারে,
কে দিবে সত্য দাওয়াত,
কবে যাবে কার দ্বারে!
১০/০২/২০২০ ঈসায়ী সাল
সোমবার,
ঢাকা, বাংলাদেশ।
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

কলম
--- আরিফ শামছ্
২৪/০৯/২০১৭ ঈসায়ী সাল।

কলম সেতো নয়তো কলম, একটু ভেবে দেখো,
গল্প, কল্প, কবিতা, চিত্র, নাটক, ছড়া, উপন্যাস যতো;
এই কলমে লিখছে লেখা, বলছে কথা,জ্ঞানী-গুণী কতো।
পথ দেখাবে, জীবন জুড়ে, পথের দিশা শতো।
সৃষ্টি কলম, স্রষ্টা সনে, আরজি জানায় লিখবে কী;
লিখতে থাক ভাগ্য হতে যতো জ্ঞান আছে সবি।
বলতে পারো কলম কোন এটম কিংবা আনবিক,
ধ্বংস নিয়ে আসবে কখন, বুঝবেনা কেউ দিক-বিদিক।
কলম তুমি ন্যায়ের কথা, মাজলুমের মুখপাত্র,
তোর ঈশারায় ভেঙ্গে পড়ে,
জালিম শাহীর তখত সকল।
দিকে দিকে, যুগে যুগে  
বলছো সবি, ভয় ঝেরে,
তোমার ভয়ে ধরতো কাঁপন,
সব প্রকাশের ভয়ে।
তোমার খোঁচায় ফাঁসির কাষ্ঠ,
পড়বে জালিম সদা,
হিসেব নিকেশ পাবে বুঝে,
পুরাই ষোল আনা।
সত্য ন্যায়ের অগ্র সেনা আসছে তেড়ে, খবর পেয়ে,
সব জুলুমের হিসাব কষে, করবে আদায় পাওনারে।
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

সমাজ সাজায়
---- আরিফ শামছ্
কাঁধের উপরে এক হাত,আর অন্য হাতে সতীত্ব লুটে,
প্রশ্রয় পেয়ে সবার সাথে, চলে ছলে কলে কৌশলে,
লুটেরা আজ বড় বেসামাল, কেউ নাই কিছু বলিতে!
রাস্তার পরে, পথের ধারে, কী না করে দিবস-রাতে!
লজ্জা মরে নিয়ত দেখো, নির্লজ্জের ঘেরাজালে,
কী বুঝে চলে, আর কী ভেবে করে, জীবনের বেলাভূমে!
পথের সূচনা, সমাপ্তি কোথা, ভেবেছে কবে কেমন করে?
বেহায়ার মতো চলে ফিরে তারা, নিষিদ্ধ সব মতের পরে।
কে আছো ভাই, প্রিয়জন আর, সমাজের সব প্রাণ,
চলো বোন আজ সমাজ সাজায়, লজ্জাই অলংকার।
সমূলে বিদায় করিতে নামি, চলো সবে একসাথে,
চলিতে ফিরিতে, ভদ্র সমেত, পথে-প্রান্তরে সবে।
শোনে রাখো, সাবধান বাণী!
পাপাচার ছেড়ে পূণ্য পথে, জীবন চালাও আজি,
পাপের দিশারী না হয়ে কভু, পূণ্য পূর্ণে ধরো বাজি,
ধন্য করো হে নিজের জীবন, প্রদীপ জ্বালাও অন্তরে,
আঁধারে কখন, নামিবে গজব, কবে যে, কোন্ প্রান্তরে।
এক হাতে লও গজার লাঠি, তেঁতো ভাষা লও মুখে,
যাকেই পাবে, এমন দশায়, সাইজ করো মুখে-হাতে।
আর কোন দিন, হাতে হাত, গলাগলি করিয়া জড়াজড়ি!
রাস্তার পরে, কান ধরে যাবি, ভীষণ চোটে, সব বোল ভূলি।

 

১২/১০/২০১৭ ঈসায়ী সাল
হাতিরঝিল, মধুবাগ, ঢাকা।
রাত ০১ টা।
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

মনের খিঁড়কি
--------- আরিফ শামছ্
২৫/০৯/২০১৭ ঈসায়ী সাল।

খিঁড়কি মনের খুলবে কি তা,' সাজিয়ে নিতে জীবনটারে,
বদ্ধ সকল মনের মাঝে, আঁধার ঠেলে আলো জ্বেলে ।
থাকবে কতো অলস হয়ে, যায় বেলা যায় এমনি ছুটে,
জমছে কতো কাজের ধারা, সময় এলে ধরবে চেঁপে।
ভাবছো বসে উদাস চোখে, করবে কি তা' কেমন করে,
জোয়ার ভাঁটার খেলা দেখো, মন সাগরের বুকেতে।
নেমে পড়ো কাজের জলে, খোঁজে বেড়াও লক্ষ্যকে,
শ্রম ও মেধার মিলন মোহে, পাবে তোমার স্বপ্নরে।
করব, করছি, আজ ও কাল, এমনি করে যায়রে বেলা,
সময় মত যায়না করা, জটিল-সহজ কাজের পালা।
সময় ব্যস্ত বেজায় দেখো, নাই যে সময় তার,
সব সময়ের কাজ আছে ভাই কাজের সময় যায়।
রাত ০২ টা।
মধুবাগ;ঢাকা।
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

ভাল থেকো খাদিজা
------- আরিফ শামছ্

ভাল থেকো অনেক ভালো,
জান্নাতী হয়ে,
কেমন করে চলে গেলে,
কিসের অভিমানে!
জানবনা আর সবার খবর,
কোথায় কেমন আছে?
চলে গেলি এত্তো দূরে,
পায়না যেন খোঁজে।
ভাল থাকিস খোদার দয়ায়,
হুর পরীদের মাঝে,
দোয়া করিস সবার তরে
জান্নাত যেন মিলে।
জানতে কভু পারিনিক কেমন তোরা ছিলে,
স্বামী সন্তান খেশ পড়শী সবার সাথে মিলে।
মাফ করে দিস উদার মনে,
এমন পাষাণ যারা!
ভাবতে কভু পারিনিক
জীবন হবে সারা!
আরকি কভু স্মৃতির দুয়ার,
খুলবে শৈশবের!
মাহবুবা আর তোরা সবার,
টিফিন উপভোগের।
প্রথম তোমায় পেয়েছিলাম,
তৃতীয় শ্রেণীর ক্রমে,
আমি তখন সবার শেষে,
ডাবল প্রমোশনে।
প্রথম ক্রমিক কেমন করে,
করব দখল আমি
সেই ভাবনায় মজেছিলাম,
তখন সহপাঠী।
সেইযে তোমার সাথে হল,
ভাল করে চেনা,
পুতঃমনে চলছি সবাই,
নেইকো লেনাদেনা।
তোমার মতোই মনে পড়ে,
সবাই কেমন আছে?
মনির, নাজির, আওলাদ, আক্তার,
রহিম, আশিক সবে।
বোরহান, ফায়েজ, হুমায়ূন আর ইসমাইল,
জীবন, ছবি, বেবী আর জয়নাল আবেদীন।
কে যে কোথায় কেমন আছে,
আল্লাহ ভাল জানে,
দ্বীন-দুনিয়ার সফলতায়,
সবাই যেন থাকে।
(প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহপাঠিনী ও চাচাতো বোন মরহুমা মোছাম্মৎ খাদিজা আক্তার এর ইন্তেকালে।)
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
পাষাণের বুক ফাঁড়ি
----- আরিফ শামছ্
বানের জলে সব হারিয়ে ,
নিঃস্ব হয়ে বিশ্ব মাঝে,
শান্তিটুকু খুঁজি;
হউক তা' আরাকানে, নির্যাতিত জনপদে, জালিমের রক্ত রাঙ্গা,
পাষাণের বুক ফাঁড়ি।
রক্ত পিচ্ছিল, মৃত্যু পায়ে,
শংকা প্রাণের সাথী,
তবু শান্তিটারে খুঁজি;
বাংলা, ভারত, চীনের মতো,
প্রতিবেশী দেশ কে জানো,
দুর্দিনে কি পেলি।
জীবন মরণ সমান যেথা,
শক্ত করে দাঁড়া,
শান্তি আসবে নামি;
কামড়ে ধর, মরণ কামড়,
দন্ত, আছে, নখ ও আছে,
জ্বালাও প্রাণে শক্তি।।
আজি হতে মরণ বীণা,
নাওতো তুলে শক্ত হাতে,
দেখবে কেমনে থামে,
মরবে নাকো একলা কোন,
জালিম কয়টা সহ,
মৃত্যু নিয়ে খেল।
শান্তি সবার, শান্ত ঘরে,
আনবে ফিরে,
জালিম খতম করে;
কাঁপন ধরাও, মৃত্যুভয়ে,
পালায় যেন, ঊর্ধ্বশ্বাসে,
শান্তি হবেই হবে।
শুরু তোমার করতে হবে,
জালিম বধে অগ্রভাগে,
আসবেনা কেউ মিছে;
মানুষ যারা বীরের মতো,
ধরবে চেঁপে তাদের টুঁটি,
ফিরিশতারা পাশে।
ভয় কি তোমার,
বীরের জাতি,
রক্ত টগবগে,
সাহস তোমার আকাশ সম,
দাঁড়াও তুমি পাহাড় সম,
আসবে বিজয় ঘরে।
আসলো কেবা, হটলো পিছে,
অস্ত্র দিল? ছল করিল?
দেখার সময় কই,
মারতে হবে, জালিম সবি,
বিজয় নেশা, সঙ্গ-সাথী,
করবো সবি জয়।
০১/০৯/২০১৭ ঈসায়ী সাল।
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২,
ভাদুঘর, সদর, বি.বাড়ীয়া-৩৪০০।
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
কারবালার শিক্ষা
---- আরিফ শামছ্
২৪/০৯/২০১৭ ঈসায়ী সাল।
কারবালা আর কয়টা দেখে, ভাঙ্গবে তোমার মরণঘুম,
কতো রক্ত -নদী বেয়ে, উঠবি জেগে ওঠরে ওঠ !
জেগে ওঠার নাই নিশানা, কোন্ নেশাতে মজে,
ভীরু ভীরু হৃদয় তটে, শংকা তরীর ভীঁড়ে।
রক্ত লালে লাল করিল, কতো নদী সাগর!
কত প্রাণের টানল ইতি, করছে কত ছল।
বেঁচে যারা দেখছো সবি, নাই কি তোদের বল?
পাথর চোখে এসব দেখে, কেমনে থাকিস বল?
অশ্রু ভরা আঁখিদুটো, ঊর্ধে তোলা হাতের জুড়ো,
সবাক দোয়া, প্রাণের দাবী, দেখে যাবি মরণ কতো!
বাঁচার মতো বাঁচবি যারা, আয় ছুটে আয় পাগলপারা,
আবার গড়ে নিব ধরা, সব জালিমের জুলুম সারা।
যুগে যুগে দেখিস লড়াই, সত্য আর অসত্যের,
চলছে লড়াই কত শত, জালিম আর মাজলুমের।
ভয় কি রে তোর, কিসের ভয়ে, চুপটি করে দেখিস,
দেখবে সদা সত্যের জয়, মাজলুমের শেষ হাসি।
জয় পরাজয় হিসেব কষে; জিহাদ চলে কোন্ কালে!
ঝাঁপিয়ে পড়ো, হিংস্র থাবায় আঘাত করো জালিমরে।
কারবালার ঐ মর্সিয়া, আর রক্ত-ফোরাত পড়বি কত?
শিক্ষা ভূলে, দীক্ষা হেরে, চোখ বুঁজে সব সয়বি কত?
যুগে যুগে যুগের নকীব, দিয়ে যাবে এমনি প্রাণ!
নিঃস্ব হবে, এই ধরণী, নাইবা থাকে মুসলমান।
জুলুম হত্যা, স্বেচ্ছাচার, বাড়বে শত অনাচার,
যখন খুশি, করবে সবি, বাঁধ সাধিতে সাধ্যি কার?

---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

কবিতা তোমার
------- আরিফ শামছ্
২৪.০৯.২০১৭ ঈসায়ী সাল।

আবার আসিবে ফিরে, আসিতেই হবে, বারে বারে,
কবিতা তোমার, দোলাবে মন, শিহড়ন জাগাবে,
তাই সবে পথ চেয়ে চেয়ে রবে,
কবিতা তোমার কবে কার হবে?
দুঃখ করোনা কবি হে!
জীবন জাগার গান কবে কার ভাঙ্গিয়াছে কোন্ সে নিদ,
কবির লেখায় ভাঙবে শিকল,
চক্র বিকল,ছুটবে জেগে দিক-বিদিক।
চালাও কলম, জাগাও মানুষ,
সেনারা আজ ঘুমে,
তোমার আহ্বাণে, ঘুম ভাঙ্গিয়া,
সফলতা পদ চুমে।
একটি কথা, শব্দ কোন, জায়গা করে, জীবন কোষে,
পথ হারানো পথিক যদি, পায়রে খুঁজে পথের দিশে।
তপ্ত মরু জ্বালা বুকে, শান্তি বারি কভু আশে,
সান্ত্বনা আর তৃপ্ত সুধা, দৃপ্ত পথে, চলতে শিখে।
মাশুক যদি পায় ফিরে ফের ইশক-পিয়ারা শরাব যতো,
আশুক মাশুক মিলবে সবে, প্রেমের শরাব পিয়ে শতো।
আঁধার প্রেমে অন্ধ হয়ে ছুটবে আলোর পিছু পিছু,
রাত্রি ছুটে দিনের পিছু, আনবে বয়ে ভোরের আলো।
একটু খানি সময় নিয়ে পড়লে কবির লেখা,
জানিনাতো কবে, কোথায়, হবে চোখে দেখা!
সময়টুকু উপহারে, রাখলে তব জীবন হতে,
সব বেলাতে সুখের খবর, আসুক
জীবন জুড়ে ।
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
টেকসই মানবতা
------ আরিফ শামছ্
১০/০৯/২০১৭ ঈসায়ী সাল।

হীনমণ্য, দশা-দৈন্য, নির্জীব, নির্বিকার,
কী হল সিংহ, শার্দুল, ধ্বজাধারী আরবার।
তোমরা জাগিলে বিশ্ব জাগিবে, আছে মানবের উচ্ছ্বাস,
ঐ দেখ ঐ বিরান রণে পৈষাচিক উল্লাস!
কখনো জংগী, খুনী, ভ্রষ্ট, দালাল ভিনদেশী,
নানা তকমা জুড়িয়া দিবে থামাতে ঝঞ্ঝা গতি।
কী হবে তোর ত্রাণের বহর, সব মারিয়া সাফ!
ভূমিকা, আর প্রস্তুতি নিতে, করিতে নিন্দা পাঠ!
সময় ক্ষেপণে নরকের দ্বার খুলিছে জালিম বাদশাহী!
পাষাণ-পাষন্ড, কাপুরুষ -নির্মম, হিংস্র পশুর কারসাজী ।
কি হলো তোর, খোল আঁখি খোল, খোল জিহাদের দোর,
ভাংগিয়া অলস-অবস, নির্জীব প্রাণে, গতি সঞ্চারী হোক।
আঘাত হানিয়া, ধ্বংস-বিধ্বংস, পাষাণের জীবন ইতি,
একে একে সব জালিমের কবর রচিয়া যাব আজি।
এক হাতে ধর নাংগা শমশের, অন্য হাতে রণতুর্য,
তাকবীর তোল, বজ্র নিনাদে, বীর মহাবীর রণসূর্য।
উড়াও নিশান কালেমা খচিত, ছুটাও রণ অশ্ব,
জয় পরাজয় আল্লাহর হাতে, যুঝিব শহীদ ত্বক।
হে মানব! কী হল আজ, কোথা তোর মানবতার ধ্বনি-প্রতিধ্বনি?
ঐ দেখ্ , ভেসে চলে কত, নাফের জলে মানবতার জলাঞ্জলি!
বাণে বাণে মৃত্যুপুরী, তুলিয়া ধর দিকে দিকে,ভালে ভালে,
জালিমের পরিণতি কি হয়, হবে জানাও হারে হারে।
রে বদমাশ, পাষন্ড, বর্বর, হীন সব পামর-চামর!
শেষ হবে তোর লম্ফ-জম্ফ, ঘিরিছে অরিন্দম।
ওরা কারা? ধর্ম, সম্পদ, জিহাদ, শহীদ, নিয়ে খেলে, জুয়া খেলা!
কভু আই.এস, তালেবান, হিজবুল্লাহ, ইসরাইল, আমেরিকা,
সাজাও নতুন বিশ্ব, নতুন করে, টেকসই মানবতা।
যে জিহাদ মানবতা, সত্য ন্যায়, ইনসান, ইহসানের ধ্বজাধারী,
মাজলুম, শোষিত, বঞ্চিতের অধিকার চির প্রতিষ্ঠিত অবশ্যম্ভাবী,
জালিমেরে খন্ড-বিখন্ড, মিসমার, ধূলী-ধূসর করি দিকভ্রান্ত,
রেজামন্দী স্রষ্টা-আল্লাহর, চির বিদ্রোহী-বিপ্লবীর মহালক্ষ্য।
সকাল: ০৭:০০ টা

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

পরিশোধ
--- আরিফ শামছ্
অসীম নেয়ামতে ডুবিছে তনুমন তবু চেয়ে যায় আরো কতো কী!
নেই পরিশোধ, শুকরিয়া কভু, চাওয়া পাওয়ার মাঝে হয়েছি বিলীন।
সৃষ্টি হতে জান্নাত সহ কতো যে, চাওয়া দীদার তোমার,
কী দিব আর কী রাখিব পরিশোধে, এতো কিছু চাওয়া ও পাওয়ার!
গেয়ে যায়, যাব দিবা নিশি প্রভু প্রশংসা আর স্তুতি সতত,
শেষ হবেনা কভু, জানে সব জনা, লভিতে তোমার রহমত যত।
কতো ভালবাস আর কতো ভালবেসে সৃজিলে তোমার বান্দারে,
জাহান্নামের অতল দেশে না পুঁড়িয়ে, জান্নাতে ঠাঁই দিও সবারে।
হাবীব (সাঃ) তোমার, সাহাবা (রাঃ)তাঁহার যে পথের পথে গেছে চলি,
আমরা সবে পদে পদে যনো, সে পথ বেয়ে তোমারে স্মরি।
কত শত পথ অজানা রয়েছে, কত যে মরীচিকা পথের পরে,
পরতে পরতে জীবনের পথে, কতো যে বাঁধা লুকিয়ে আছে!
সব বাঁধা জয়ে, বীর মুজাহিদ, সবাই চলো, সরল পথে,
নেই কোন ভয়, সতত বিজয়, আল্লাহ আছেন মোদের সাথে।
কীভাবে তোমায় করিব খুশী, ওগো পরোয়ার, রাব্বুল আলামীন!
তোমার চাওয়া-পাওয়া মিটিয়ে দিতে, থাকি যেনোগো সতত বিলীন।
০৩/১০/২০১৭
মধুবাগ, মগবাজার, রমনা, ঢাকা।
ভোর ০৩:৪৫ মিনিট।

---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ মহাপুরুষ (সাঃ)
------- আরিফ ইবনে শামছ্
প্রতিটি হৃদয়ের চারিপাশ যবে ঘোর তমসায় ঘেরা,
তোমার প্রেম ভালবাসা, মুগ্ধকর আন্তরীকতা;
সৃজিল আলোর ফোঁয়ারা প্রতিটি হৃদয় জুড়ে,
আঁধারের সব আঁধার উপনীত হলো, নতজানু হয়ে।
সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ মহাপুরুষ! তৃষিত হৃদয়ের আবে জমজম,
দিকভ্রান্ত মানবজাতি খোঁজে পেল দিক দর্শন।
একবিংশ শতাব্দীর এক উম্মতের মরুতৃষা আজ,
তোমাকে হৃদয় ভরে দেখে নিতে দুর্নিবার অভিলাষ।
সহস্র ষড়যন্ত্রের মাঝেও সহাস্য বদনে নেয় প্রস্তুতি,
সুপারিশ তোমার দিশারী হবে, এমনি কালের আকুতি।
বলহীন, কমজোর ঈমানে নয় গড়া মুসলিম জাতি,
অকাতরে সঁপে দিবে প্রান, আসুক বাঁধারা বিপ্লবী।
স্বর্ণ যুগের সাহস নিয়ে লড়তে চাহি রণাঙ্গণে,
দ্বীনের ধ্বজা রাখতে উঁচু, লড়বো সবে প্রাণপনে।
সফলতা ধরা দিবে, প্রভূ যদি রহম করে,
সব কিছু যে চাই করিতে, মহান সে' বিভুর তরে।
চায় হতে যে বিলীন তব ভালবাসার অকূল জলে,
চোখ দুটো যে পাবে জ্যোতি ভালবাসা তব পেলে,
ফুলে ফলে পূর্ণরূপে, পেয়ে যাবে বসন- বিলাস,
কভু যদি পেয়ে যেতাম, স্বপ্ন মাঝে তব দীদার।
২১/০৯/২০০১ ঈসায়ী সাল
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২,
ভাদুঘর, বি.বাড়ীয়া।
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

স্বভাব কবি
আরিফ শামছ্
১৬/০৯/২০২০

[প্রিয় কবি ভাগিনা আব্দুল্লাহ ইবনে সিদ্দিক এর জন্য উপহার]

 

বিরহের কবি কভু মনে রাখে সান্ত্বনা,
প্রেম আর ছন্দে সাজানো জানানা,
প্রকৃতির উঁকিঝুঁকি, কবিতা ও ছন্দে,
পাঠকে নেচে যায় সুখ আর আনন্দে।
তৃপ্ত কবিমন, লেখালেখি স্বভাবে,
স্বর্গীয় সব সুখ দু'হাতে বিলাবে।
কবিতার পুষ্প ফোটবে নিশিদিন,
ভ্রমরের গুঞ্জনে বাজবে সুখ-বীন।
সেরাদের সেরা হও ভাবে ও ছন্দে,
অপরুপ পুষ্প, ভরে রাখো গন্ধে।
জীবনের আয়োজন, প্রয়োজন যতটুকু,
রেখে দাও সকলে, হৃদয়ের সবটুকু।
ঢাকা,
বাংলাদেশ।
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------


---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------



---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------


---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------


---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------


---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------


---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------


---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------


---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------


---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------


---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------


---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------


---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------


---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------


---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------


---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------


---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------


---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------


---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------


---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------


---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------


---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------


---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------


---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------


---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------


---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------


---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------


---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------


---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------


---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

মন্তব্যসমূহ

ChatGPT 3.5

পরিচিতি

নাম: আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া লেখালেখি: আরিফ ইবনে শামছ্ পিতা: বিশিষ্ট সমাজ ও সাহিত্যসেবক, কবি ক্বারী আলহাজ্ব শামছুল ইসলাম ভূঁইয়া (রাহঃ)।সহকারি প্রকৌশলী, বাংলাদেশ তার ও টেলিফোন (বি.টি এন্ড টি- বি.টি.সি. এল)। মাতা: মোয়াল্লিমা হালীমা সাদীয়া ভূঁইয়া। ঠিকানা: ফখরে বাঙ্গাল নিবাস, ভূঁইয়া পাড়া, বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২, গ্রাম: ভাদুঘর, পোষ্ট: ভাদুঘর-৩৪০০। থানা:সদর, জিলা: বি.বাড়ীয়া। পড়াশোনা: নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়, (৬ ষ্ঠ শ্রেনী) সদর, বি.বাড়ীয়া। ভাদুঘর মাহবুবুল হুদা পৌর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় (৭ম-১০ম)।হাবলা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় (রেজিষ্ট্রেশন) হতে ১৯৯৫ ঈসায়ী সালে কৃতিত্বের সাথে ১ম বিভাগে পাশ করেন।প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বরাবরই ফার্ষ্ট বয় ছিলেন।১৯৯৭ সালে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পাশ করেন।২০০১ সালে, বি.এস.এস (সন্মান-অর্থনীতি), ব্রাহ্মণবাড়ীয়া সরকারি কলেজ, ২০০৩ সালে, এম.এস.এস (অর্থনীতি), সরকারি তিতুমীর কলেজ, ঢাকা, বি.এড. বাংলাদেশ টিচার্স ট্রেইনিং কলেজ, ঢাকা (জাতীঃবিঃ), এম.এড (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), এম বিএ -এম এই এস (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-অধ্যয়নরত) পূর্বপুরুষদের পূর্বকথাঃ বৃহত্তর বিভাগ ময়মনসিংহের অন্তর্গত বেলগাঁও থানার দিলালপুরে বসবাস করতেন পাঁচ ভাই।দুই ভাই দ্বীনের কাজে বা ভ্রমনের উদ্দ্যেশ্যে দিলালপুর থেকে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া (ত্রিপুরা) জেলার সদর থানার অন্তর্গত ভাদুঘর গ্রামে আসেন।প্রাকৃতিক পরিবেশের অপূর্ব লীলানিকেতনের মোহে মোহাবিষ্ট হয়ে ভ্রাতাদ্বয় স্থায়ী বসবাসের সিদ্ধান্ত নেন ভাদুঘরে।"বংশ পরম্পরায় দ্বীন ধর্মের প্রচার প্রসার, অলি-আল্লাহদের খেদমত ও ইহসানের সুবাদে ধারণা মজবুতভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় যে, ভ্রমণে নয়, দ্বীন ধর্ম প্রচার বা ইসলামের দাওয়াত নিয়েই দুই ভাই এসেছিলেন"। কবিতা সাহিত্য সংস্কৃতির আসর (একটি গতিশীল সাহিত্যভান্ডার)। প্রাক্তন বিভাগীয় সম্পাদক, সাহিত্য সম্পাদক, মাসিক "বলিতে ব্যাকুল" পরবর্তীতে "তিতাস বার্তা"। মোবাইল: ০১৬১০০০৭৯৭০। বয়স: ৩৮ বছর। পেশা: চাকুরী। প্রকাশিত লেখা: দৈনিকভাবে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, দৈনিক প্রজাবন্ধু, মাসিক বলিতে ব্যাকুল, তিতাস বার্তা, হক্ব পয়গাম। মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম শেখ সম্পাদিত "ঝরা ফুলের গন্ধ" যৌথ কাব্য গ্রন্থে প্রকাশিত (১) "শ্বাশ্বত আহ্বাণ" এবং (২) "ছন্দ নাবিক"। মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম শেখ সম্পাদিত "বিজয়ের উল্লাসে" যৌথ কাব্য গ্রন্থে প্রকাশিত (১) সত্য সন্ধানী (২) বাঙালির স্বাধীনতা (৩) বিজয়ের উল্লাসে (৪) অনুশোচনা (৫) বিদ্রোহী তুমি, বিপ্লবী (৬) আজকের এই বাংলাদেশ (৭) ভাঙ্গা গড়া সংকলন ও সম্পাদনা: তাসকিন আব্দুল্লাহ "বাংলার ১০০ কবি ও কবিতা" যৌথ কাব্য গ্রন্থে প্রকাশিত আগুন জ্বালা অন্তরে | সন্মাননা পত্র প্রাপ্তি : পাক্ষিক সেরা কবি, আধুনিক বাংলা কবিতার আসর (কবিতাঃ কারবালার শিক্ষা),পাক্ষিক সেরা কবি, আধুনিক বাংলা কবিতাপাক্ষিক সেরা কবি, আধুনিক বাংলা কবিতা ছড়া ও গানের আসর (কবিতাঃতোরা থামবি কিনা বল।) সাহিত্য জাগরণ বাংলাদেশ (কবিতাঃহৃদয় কন্দরে। কবিতাঃ কবিতা তোমার।)শখের কবিতা সাহিত্য আড্ডা (কবিতাঃ টেকসই মানবতা।কবিতাঃ বিদ্রোহী তুমি বিপ্লবী।)। বাংলাদেশ কবি সংসদ, (সিলেট বিভাগ)।বাংলাদেশ কবি সংসদ, (চট্রগ্রাম বিভাগ) হতে সাহিত্য অঙ্গনে বিশেষ অবদানকৃত স্বরুপ বিশেসন্মাননা পত্র প্রাপ্তি।বিশেষ সন্মাননাপত্র, এসো কবিতা লিখি (কবিতাঃ জাগাও তুমি জেগে ওঠো!),দিনের (২০-১১-২০১৭) সেরা কবি, বাংলাদেশ কবি পরিষদ (কবিতাঃ বাঙ্গালীর স্বাধীনতা)।আন্তর্জাতিক কবি পরিষদ (আজকের- ০৬-১২-২০১৭- সেরা কবি, কবিতাঃ "জীবন তরী"); ছায়াবীথি (সেরা পোষ্ট- কবিতা ইভেন্টে বিজয়ী- কবিতাঃ "অনাগত সন্তানের আহ্বান"।সমাজ কল্যাণ সাহিত্য পরিষদ কর্তৃক সপ্তাহের (১৪-১২-২০১৭) সেরা বিজয়ী কবি, ১ম স্থান অধিকারী, (কবিতাঃ আসলে পতন, খবরদার !)বাংলা সাহিত্য (কবিতা ও গল্পের রস _১৪-১২-২০১৭_সাপ্তাহিক সেরা ২৫ এ ৫ম স্থান ( কবিতাঃ আসলে পতন, খবরদার !);বাংলা সাহিত্য (কবিতা ও গল্পের রস _২২-১২-২০১৭_সাপ্তাহিক সেরা ২৫ এ ১১ তম স্থান ( কবিতাঃ পরোয়ানা !)প্রজন্ম সাহিত্য সভা (প্রসাস-০৬-০২-২০১৮_সপ্তাহের সেরা ০৫ এ ০৪- কবিতাঃ স্বান্তনা) নকলা উপজেলা সমাজকল্যাণ সাহিত্য পরিষদ, সাপ্তাহিক সম্মাননা ১৬-০২-২০১৮, ( কবিতা: ফাগুনের গান); কাব্য প্রেমীদের প্রচার মাধ্যম_ গল্প কবিতা ও সাহিত্যের আসর_বিশেষ সম্মাননা _২২-০২-২০১৮ (কবিতা: প্রিয় বাংলাভাষা); কাব্য কথার মেলা সাহিত্যাঙ্গন, সাপ্তাহিক সেরা ০৫ (কবিতা: এই পৃথিবীর আর্তনাদ); সাহিত্যজগৎ (সকল সাহিত্য প্রেমিদের ঠিকানা), সাপ্তাহিক সেরা ০৫ (কবিতা: বিপ্লবী );শেরপুর সাহিত্য পরিষদ, সাপ্তাহিক সম্মাননা, ২৩-০৩-২০১৮ (কবিতা: বিপ্লবী) ; সাহিত্য সন্ধ্যা, আজকের (২৭-০৩-২০১৮) সেরা কবি, (কবিতা: বিপ্লবী) বাংলা সাহিত্য কবিতা ও গল্পের রস_৩০-০৩-২০১৮_সাপ্তাহিক সেরা ২৫ এ ৪র্থ স্থান ( কবিতাঃবিপ্লবী )। সাপ্তাহিক সেরা ০৭ কবি ও কবিতায় ১ম স্থান, (কবিতা: বিপ্লবী ); সাহিত্যের জাগরণ, আন্তর্জাতিক সাহিত্য সংগঠন, সাপ্তাহিক সম্মাননা, ০১-০৪-২০১৮ (কবিতা: বিপ্লবী)।

পাথর দিয়ে যুদ্ধ

ইরাক, ইরান, তুরান, কাশ্মীর, কাতার আর সিরিয়া, সৌদি আরব, সুদান, মিশর, পুরো আফ্রোশিয়া। উপমহাদেশ, স্থান, আর দেশ -মহাদেশ, সব সৃষ্টি স্রষ্টার জানি, আমরা বিশ্বের, বিশ্ব মোদের। হানাহানি আর মারামারি করে, মানুষ মানুষেরে, হৃদয় আছে ঠিকই দেহে, নাই যে দরদ অন্তরে। সৃজিত হল কত দল উপদল, কেউ সহেনা কারো, এক হওয়ার মন্ত্র ভুলে, অনৈক্যে খায় হাবুডুবু। নাই সে খেয়াল, দূর করিবার ব্যবধান যতো আছে! আমার আমি, অহমিকা আর অন্ধ সকল জনে। কোরান কিতাব, হাদিস, ইজমা, কিয়াস জেনেছে কতো! সবাই মিলে একই বাঁধনে, নাইকি বাঁধিবার কেহ! কত আরাধনা চলে অবিরাম দিবস যামিনী দেখো, পাশের বাড়ীর অধিবাসী যারা, খেতে পেরেছে কি জানো? ঋণের চাঁপে, লজ্জা শরমে, সহসা মৃত্যু দেয়যে হানা, কানে তুলো আর চোখে ঠুলি বাঁধে সমাজের ধনী যারা। দেশের রাজারা ব্যস্ত সদা, নিজেদের ব্যবসা দেখো, দেশ ধর্ম কোথায় গেল, জাতির ঐক্য এলো কি গেলো! তা'তে কি কার, কিছু আসে যায়, জীবনের দাম নাই! সকাল বিকাল মারছে শিশু, দূর্বল নারীরা ও মারা যায়। কথার কথা, নামে মাত্র সবাই করে বাদ- প্রতিবাদ! মিছিলে মিছিলে যায় হারিয়ে প্রতিশোধের অগ্ন্যোৎপাত। নায়কি সাহস দাঁড়াতে পাশে, মাজলুম যতো বিশ্ব মাঝে, পাথর দিয়ে যুদ্ধ করে জীবন সঁপে,শহিদী পথে।

"মনের কথা সদা আমার কলম দিয়ে ঝরে, খুঁজে মোরে পাবে সবাই যখন মনে পড়ে। " --কবি শামছুল ইসলাম ভূঁইয়া (রঃ)

MY BLOGG

Popular Posts

জন্মভুমি । দেশত্ববোদক গান । paradise tune present

The Sovereignty of All Mighty.

Happy birth day

সৃষ্টি দেখে চলি

“ Marriage and Society ”