চ্যাটজিপিটি (ChatGPT) কি?

 চ্যাটজিপিটি কি?

চ্যাটজিপিটি (ChatGPT) হল একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভিত্তিক ভাষা মডেল, যা OpenAI দ্বারা উন্নয়ন করা হয়েছে। এটি GPT (Generative Pre-trained Transformer) আর্কিটেকচারের উপর ভিত্তি করে তৈরি, যা বড় পরিসরে ভাষার ডেটাসেট থেকে শিখে প্রাকৃতিক ভাষার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে এবং বিভিন্ন কাজ সম্পাদন করতে সক্ষম।
চ্যাটজিপিটির মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর জানতে, আলোচনা করতে, লেখালেখি, কোডিং, অনুবাদ, এবং আরও অনেক কাজ করতে পারেন। এটি মানুষের মতো কথোপকথনের মাধ্যমে তথ্য প্রদান করে।
চ্যাটজিপিটির পরিধি ও সীমাবদ্ধতা কি?
চ্যাটজিপিটির পরিধি:
1. কথোপকথন: চ্যাটজিপিটি বিভিন্ন ধরনের কথোপকথনে অংশ নিতে পারে এবং স্বাভাবিক মানুষের মতো আলোচনা চালাতে সক্ষম।
2. তথ্য প্রদান: বিভিন্ন বিষয়ে সাধারণ তথ্য প্রদান করতে পারে, যেমন ইতিহাস, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, সাহিত্য ইত্যাদি।
3. লেখালেখি ও সম্পাদনা: প্রবন্ধ, ব্লগ, চিঠি, ইমেল লেখা বা সম্পাদনা করা যায়।
4. প্রোগ্রামিং: কোড লেখা, ব্যাগ সংশোধন, এবং বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ভাষায় সাহায্য করতে পারে।
5. অনুবাদ: বিভিন্ন ভাষার মধ্যে অনুবাদ করতে পারে।
6. শিক্ষা সহায়তা: শিক্ষার্থীদের জন্য গাণিতিক সমস্যা, বিজ্ঞান সম্পর্কিত প্রশ্ন, রচনা লেখা ইত্যাদিতে সাহায্য করে।
7. সংবাদ ও সংজ্ঞা: সাম্প্রতিক সংবাদ, বিভিন্ন বিষয় বা শব্দের সংজ্ঞা প্রদান করতে পারে (তবে এটি ২০২১ পর্যন্ত তথ্য নিয়ে প্রশিক্ষিত)।
সীমাবদ্ধতা:
1. বর্তমান তথ্য: চ্যাটজিপিটির তথ্যভাণ্ডার ২০২১ সালের পরে আপডেট হয়নি, তাই এটি সাম্প্রতিক তথ্য বা ঘটনা সম্পর্কে জানে না।
2. তথ্যের নির্ভুলতা: সবসময় সঠিক উত্তর দিতে পারে না এবং কখনও কখনও ভুল তথ্য প্রদান করতে পারে।
3. সৃজনশীলতা সীমিত: যদিও এটি সৃজনশীল কাজে সক্ষম, কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে জটিল সৃজনশীল চিন্তা বা গভীর বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা থাকে।
4. প্রচলিত জ্ঞান: এটি সাধারণত প্রচলিত জ্ঞান অনুযায়ী উত্তর প্রদান করে, তবে সবসময় খুব নির্দিষ্ট বা বিশেষায়িত জ্ঞানের ক্ষেত্রে কার্যকর নাও হতে পারে।
5. নৈতিক ও সংবেদনশীল বিষয়: এটি সব সময় সাংস্কৃতিক বা নৈতিক বিষয়গুলি সঠিকভাবে বুঝতে বা সমাধান দিতে সক্ষম নয় এবং সংবেদনশীল বিষয়ে ভুল ব্যাখ্যা বা অনুপযুক্ত পরামর্শ দিতে পারে।
6. মানবিক সংবেদনশীলতা নেই: এটি একটি কৃত্রিম মডেল, তাই মানুষের অনুভূতি বা আবেগ বুঝতে বা প্রকাশ করতে পারে না।
চ্যাটজিপিটির গুরুত্ব কতটুকু?
চ্যাটজিপিটির গুরুত্ব অনেক ক্ষেত্রে বিশাল, বিশেষ করে যোগাযোগ, শিক্ষা, ব্যবসা এবং প্রযুক্তির ক্ষেত্রে। এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো:
১. তথ্য প্রাপ্তি সহজ করা:
চ্যাটজিপিটি দ্রুত এবং সহজে ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য প্রদান করতে পারে। এটি বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করতে সহায়ক, যা ব্যবহারকারীদের সময় এবং শ্রম বাঁচায়।
২. শিক্ষায় সহায়তা:
শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয় বুঝতে, গাণিতিক সমস্যার সমাধান করতে, রচনা লিখতে এবং গবেষণা করতে সহায়তা করে। এটি শিক্ষকদের জন্যও সহায়ক হতে পারে, কারণ এটি দ্রুত প্রশ্নের উত্তর প্রদান করতে এবং শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ তৈরি করতে পারে।
৩. ব্যবসায়িক সহায়তা:
গ্রাহক সেবা অটোমেট করা, দ্রুত উত্তর প্রদান, এবং গ্রাহকদের সাধারণ জিজ্ঞাসাগুলো সমাধান করতে এটি কার্যকর। এছাড়া, চ্যাটজিপিটি ব্যবসার জন্য মার্কেটিং কনটেন্ট, ইমেইল খসড়া, এবং রিপোর্ট তৈরি করতেও সহায়ক।
৪. ভাষার প্রতিবন্ধকতা দূর করা:
বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করতে এবং ভাষার সমস্যাগুলো দূর করতে এটি সাহায্য করতে পারে, যা বহুভাষিক যোগাযোগ সহজ করে তোলে।
৫. সৃজনশীল কাজ:
এটি কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের বিভিন্ন সৃজনশীল কাজ যেমন প্রবন্ধ লেখা, গল্প তৈরি, এবং গানের লিরিকস লিখতে সাহায্য করতে পারে।
৬. স্বয়ংক্রিয়করণ:
চ্যাটজিপিটি বিভিন্ন ধরনের কাজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে করতে পারে, যেমন কাস্টমার সাপোর্টে চ্যাটবট হিসেবে ব্যবহার, যেকোনো ধরনের প্রয়োজনীয় প্রশ্নের উত্তর প্রদান, এবং আরও অনেক কিছু।
৭. কোডিং এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা:
প্রোগ্রামারদের জন্য এটি একটি সহায়ক হাতিয়ার হতে পারে, কারণ এটি কোড লিখতে, ডিবাগ করতে এবং প্রোগ্রামিং সমস্যাগুলোর সমাধান দিতে পারে।
৮. মানুষের মতো অভিজ্ঞতা:
চ্যাটজিপিটি মানুষের মতো কথোপকথন করতে পারে, যা অনেক সময় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভিত্তিক সহকারী হিসেবে কার্যকর হয়। এটি মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ এবং স্বাভাবিক সংলাপের মাধ্যমে সাহায্য করতে পারে।
সারসংক্ষেপে:
চ্যাটজিপিটির গুরুত্ব বিভিন্ন খাতে দ্রুত এবং সঠিক তথ্য প্রদান, শিক্ষা এবং ব্যবসার সহায়তা, এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করে। তবে, এর সঠিক ব্যবহার এবং এর সীমাবদ্ধতা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ, যাতে ব্যবহারকারীরা এর সঠিক সুবিধা নিতে পারে।
ওপেনএআই?
ওপেনএআই (OpenAI) একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) প্রযুক্তির উন্নয়নের জন্য কাজ করে। ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য হল উন্নত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরি করা এবং তা মানবজাতির কল্যাণে ব্যবহার করা। ওপেনএআই বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি এমন AI তৈরি করতে চায়, যা নিরাপদ, নৈতিক এবং সকল মানুষের উপকারে আসে।
ওপেনএআই এর মূল লক্ষ্য ও কাজ:
1. কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়ন: ওপেনএআই AI সিস্টেমের গবেষণা ও উন্নয়ন করে, যা মানুষের ভাষা বুঝতে এবং তার ভিত্তিতে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এর GPT (Generative Pre-trained Transformer) মডেল, যার একটি উদাহরণ চ্যাটজিপিটি, মানুষের সাথে প্রাকৃতিক ভাষায় যোগাযোগ করতে সক্ষম।
2. নিরাপদ AI তৈরি: ওপেনএআই চেষ্টা করে এমন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরি করতে যা মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং কোন ক্ষতি না করে। এটি এআই ব্যবহারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নৈতিক এবং কারিগরি দিকগুলো নিয়ে কাজ করে।
3. গবেষণা উন্মুক্ত রাখা: ওপেনএআই তার গবেষণাগুলো উন্মুক্ত রাখে, যাতে অন্য গবেষক, প্রতিষ্ঠান এবং জনগণ এর থেকে শিখতে ও নতুন উদ্ভাবন করতে পারে। এই ওপেন অ্যাক্সেস নীতির মাধ্যমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নকে এগিয়ে নেয়া হয়।
4. মেশিন লার্নিং এবং ডিপ লার্নিং: ওপেনএআই মেশিন লার্নিং, ডিপ লার্নিং এবং নিউরাল নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন মডেল তৈরি করে। এসব মডেল বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে, যেমন প্রাকৃতিক ভাষা প্রক্রিয়াকরণ, কম্পিউটার ভিশন, এবং রোবোটিক্স।
ওপেনএআই এর কিছু বিখ্যাত প্রকল্প:
1. GPT (Generative Pre-trained Transformer): এটি একটি ভাষা মডেল যা মানুষের মতো লিখিত বা মৌখিক ভাষায় কথা বলতে পারে। এর মধ্যে GPT-3 এবং GPT-4 মডেল উল্লেখযোগ্য।
2. DALL·E: এটি একটি AI সিস্টেম যা লেখা নির্দেশনার ভিত্তিতে ছবি তৈরি করতে পারে।
3. Codex: একটি প্রোগ্রামিং সহকারী, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কোড লেখায় সাহায্য করে। এটি GitHub Copilot-এর মতো টুলের ভিত্তি।
ওপেনএআই এর ভবিষ্যৎ:
ওপেনএআই ভবিষ্যতে আরও উন্নত এবং নিরাপদ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরি করতে চায়, যা মানবজাতির জন্য বিপ্লব আনতে পারে। এর কাজ AI প্রযুক্তির ব্যবহারকে আরও প্রসারিত করবে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্র যেমন স্বাস্থ্য, শিক্ষা, গবেষণা, এবং শিল্পে ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলবে।

মন্তব্যসমূহ

ChatGPT 3.5

পরিচিতি

নাম: আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া লেখালেখি: আরিফ ইবনে শামছ্ পিতা: বিশিষ্ট সমাজ ও সাহিত্যসেবক, কবি ক্বারী আলহাজ্ব শামছুল ইসলাম ভূঁইয়া (রাহঃ)।সহকারি প্রকৌশলী, বাংলাদেশ তার ও টেলিফোন (বি.টি এন্ড টি- বি.টি.সি. এল)। মাতা: মোয়াল্লিমা হালীমা সাদীয়া ভূঁইয়া। ঠিকানা: ফখরে বাঙ্গাল নিবাস, ভূঁইয়া পাড়া, বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২, গ্রাম: ভাদুঘর, পোষ্ট: ভাদুঘর-৩৪০০। থানা:সদর, জিলা: বি.বাড়ীয়া। পড়াশোনা: নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়, (৬ ষ্ঠ শ্রেনী) সদর, বি.বাড়ীয়া। ভাদুঘর মাহবুবুল হুদা পৌর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় (৭ম-১০ম)।হাবলা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় (রেজিষ্ট্রেশন) হতে ১৯৯৫ ঈসায়ী সালে কৃতিত্বের সাথে ১ম বিভাগে পাশ করেন।প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বরাবরই ফার্ষ্ট বয় ছিলেন।১৯৯৭ সালে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পাশ করেন।২০০১ সালে, বি.এস.এস (সন্মান-অর্থনীতি), ব্রাহ্মণবাড়ীয়া সরকারি কলেজ, ২০০৩ সালে, এম.এস.এস (অর্থনীতি), সরকারি তিতুমীর কলেজ, ঢাকা, বি.এড. বাংলাদেশ টিচার্স ট্রেইনিং কলেজ, ঢাকা (জাতীঃবিঃ), এম.এড (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), এম বিএ -এম এই এস (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-অধ্যয়নরত) পূর্বপুরুষদের পূর্বকথাঃ বৃহত্তর বিভাগ ময়মনসিংহের অন্তর্গত বেলগাঁও থানার দিলালপুরে বসবাস করতেন পাঁচ ভাই।দুই ভাই দ্বীনের কাজে বা ভ্রমনের উদ্দ্যেশ্যে দিলালপুর থেকে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া (ত্রিপুরা) জেলার সদর থানার অন্তর্গত ভাদুঘর গ্রামে আসেন।প্রাকৃতিক পরিবেশের অপূর্ব লীলানিকেতনের মোহে মোহাবিষ্ট হয়ে ভ্রাতাদ্বয় স্থায়ী বসবাসের সিদ্ধান্ত নেন ভাদুঘরে।"বংশ পরম্পরায় দ্বীন ধর্মের প্রচার প্রসার, অলি-আল্লাহদের খেদমত ও ইহসানের সুবাদে ধারণা মজবুতভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় যে, ভ্রমণে নয়, দ্বীন ধর্ম প্রচার বা ইসলামের দাওয়াত নিয়েই দুই ভাই এসেছিলেন"। কবিতা সাহিত্য সংস্কৃতির আসর (একটি গতিশীল সাহিত্যভান্ডার)। প্রাক্তন বিভাগীয় সম্পাদক, সাহিত্য সম্পাদক, মাসিক "বলিতে ব্যাকুল" পরবর্তীতে "তিতাস বার্তা"। মোবাইল: ০১৬১০০০৭৯৭০। বয়স: ৩৮ বছর। পেশা: চাকুরী। প্রকাশিত লেখা: দৈনিকভাবে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, দৈনিক প্রজাবন্ধু, মাসিক বলিতে ব্যাকুল, তিতাস বার্তা, হক্ব পয়গাম। মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম শেখ সম্পাদিত "ঝরা ফুলের গন্ধ" যৌথ কাব্য গ্রন্থে প্রকাশিত (১) "শ্বাশ্বত আহ্বাণ" এবং (২) "ছন্দ নাবিক"। মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম শেখ সম্পাদিত "বিজয়ের উল্লাসে" যৌথ কাব্য গ্রন্থে প্রকাশিত (১) সত্য সন্ধানী (২) বাঙালির স্বাধীনতা (৩) বিজয়ের উল্লাসে (৪) অনুশোচনা (৫) বিদ্রোহী তুমি, বিপ্লবী (৬) আজকের এই বাংলাদেশ (৭) ভাঙ্গা গড়া সংকলন ও সম্পাদনা: তাসকিন আব্দুল্লাহ "বাংলার ১০০ কবি ও কবিতা" যৌথ কাব্য গ্রন্থে প্রকাশিত আগুন জ্বালা অন্তরে | সন্মাননা পত্র প্রাপ্তি : পাক্ষিক সেরা কবি, আধুনিক বাংলা কবিতার আসর (কবিতাঃ কারবালার শিক্ষা),পাক্ষিক সেরা কবি, আধুনিক বাংলা কবিতাপাক্ষিক সেরা কবি, আধুনিক বাংলা কবিতা ছড়া ও গানের আসর (কবিতাঃতোরা থামবি কিনা বল।) সাহিত্য জাগরণ বাংলাদেশ (কবিতাঃহৃদয় কন্দরে। কবিতাঃ কবিতা তোমার।)শখের কবিতা সাহিত্য আড্ডা (কবিতাঃ টেকসই মানবতা।কবিতাঃ বিদ্রোহী তুমি বিপ্লবী।)। বাংলাদেশ কবি সংসদ, (সিলেট বিভাগ)।বাংলাদেশ কবি সংসদ, (চট্রগ্রাম বিভাগ) হতে সাহিত্য অঙ্গনে বিশেষ অবদানকৃত স্বরুপ বিশেসন্মাননা পত্র প্রাপ্তি।বিশেষ সন্মাননাপত্র, এসো কবিতা লিখি (কবিতাঃ জাগাও তুমি জেগে ওঠো!),দিনের (২০-১১-২০১৭) সেরা কবি, বাংলাদেশ কবি পরিষদ (কবিতাঃ বাঙ্গালীর স্বাধীনতা)।আন্তর্জাতিক কবি পরিষদ (আজকের- ০৬-১২-২০১৭- সেরা কবি, কবিতাঃ "জীবন তরী"); ছায়াবীথি (সেরা পোষ্ট- কবিতা ইভেন্টে বিজয়ী- কবিতাঃ "অনাগত সন্তানের আহ্বান"।সমাজ কল্যাণ সাহিত্য পরিষদ কর্তৃক সপ্তাহের (১৪-১২-২০১৭) সেরা বিজয়ী কবি, ১ম স্থান অধিকারী, (কবিতাঃ আসলে পতন, খবরদার !)বাংলা সাহিত্য (কবিতা ও গল্পের রস _১৪-১২-২০১৭_সাপ্তাহিক সেরা ২৫ এ ৫ম স্থান ( কবিতাঃ আসলে পতন, খবরদার !);বাংলা সাহিত্য (কবিতা ও গল্পের রস _২২-১২-২০১৭_সাপ্তাহিক সেরা ২৫ এ ১১ তম স্থান ( কবিতাঃ পরোয়ানা !)প্রজন্ম সাহিত্য সভা (প্রসাস-০৬-০২-২০১৮_সপ্তাহের সেরা ০৫ এ ০৪- কবিতাঃ স্বান্তনা) নকলা উপজেলা সমাজকল্যাণ সাহিত্য পরিষদ, সাপ্তাহিক সম্মাননা ১৬-০২-২০১৮, ( কবিতা: ফাগুনের গান); কাব্য প্রেমীদের প্রচার মাধ্যম_ গল্প কবিতা ও সাহিত্যের আসর_বিশেষ সম্মাননা _২২-০২-২০১৮ (কবিতা: প্রিয় বাংলাভাষা); কাব্য কথার মেলা সাহিত্যাঙ্গন, সাপ্তাহিক সেরা ০৫ (কবিতা: এই পৃথিবীর আর্তনাদ); সাহিত্যজগৎ (সকল সাহিত্য প্রেমিদের ঠিকানা), সাপ্তাহিক সেরা ০৫ (কবিতা: বিপ্লবী );শেরপুর সাহিত্য পরিষদ, সাপ্তাহিক সম্মাননা, ২৩-০৩-২০১৮ (কবিতা: বিপ্লবী) ; সাহিত্য সন্ধ্যা, আজকের (২৭-০৩-২০১৮) সেরা কবি, (কবিতা: বিপ্লবী) বাংলা সাহিত্য কবিতা ও গল্পের রস_৩০-০৩-২০১৮_সাপ্তাহিক সেরা ২৫ এ ৪র্থ স্থান ( কবিতাঃবিপ্লবী )। সাপ্তাহিক সেরা ০৭ কবি ও কবিতায় ১ম স্থান, (কবিতা: বিপ্লবী ); সাহিত্যের জাগরণ, আন্তর্জাতিক সাহিত্য সংগঠন, সাপ্তাহিক সম্মাননা, ০১-০৪-২০১৮ (কবিতা: বিপ্লবী)।

পাথর দিয়ে যুদ্ধ

ইরাক, ইরান, তুরান, কাশ্মীর, কাতার আর সিরিয়া, সৌদি আরব, সুদান, মিশর, পুরো আফ্রোশিয়া। উপমহাদেশ, স্থান, আর দেশ -মহাদেশ, সব সৃষ্টি স্রষ্টার জানি, আমরা বিশ্বের, বিশ্ব মোদের। হানাহানি আর মারামারি করে, মানুষ মানুষেরে, হৃদয় আছে ঠিকই দেহে, নাই যে দরদ অন্তরে। সৃজিত হল কত দল উপদল, কেউ সহেনা কারো, এক হওয়ার মন্ত্র ভুলে, অনৈক্যে খায় হাবুডুবু। নাই সে খেয়াল, দূর করিবার ব্যবধান যতো আছে! আমার আমি, অহমিকা আর অন্ধ সকল জনে। কোরান কিতাব, হাদিস, ইজমা, কিয়াস জেনেছে কতো! সবাই মিলে একই বাঁধনে, নাইকি বাঁধিবার কেহ! কত আরাধনা চলে অবিরাম দিবস যামিনী দেখো, পাশের বাড়ীর অধিবাসী যারা, খেতে পেরেছে কি জানো? ঋণের চাঁপে, লজ্জা শরমে, সহসা মৃত্যু দেয়যে হানা, কানে তুলো আর চোখে ঠুলি বাঁধে সমাজের ধনী যারা। দেশের রাজারা ব্যস্ত সদা, নিজেদের ব্যবসা দেখো, দেশ ধর্ম কোথায় গেল, জাতির ঐক্য এলো কি গেলো! তা'তে কি কার, কিছু আসে যায়, জীবনের দাম নাই! সকাল বিকাল মারছে শিশু, দূর্বল নারীরা ও মারা যায়। কথার কথা, নামে মাত্র সবাই করে বাদ- প্রতিবাদ! মিছিলে মিছিলে যায় হারিয়ে প্রতিশোধের অগ্ন্যোৎপাত। নায়কি সাহস দাঁড়াতে পাশে, মাজলুম যতো বিশ্ব মাঝে, পাথর দিয়ে যুদ্ধ করে জীবন সঁপে,শহিদী পথে।

"মনের কথা সদা আমার কলম দিয়ে ঝরে, খুঁজে মোরে পাবে সবাই যখন মনে পড়ে। " --কবি শামছুল ইসলাম ভূঁইয়া (রঃ)

MY BLOGG

Popular Posts

জন্মভুমি । দেশত্ববোদক গান । paradise tune present

The Sovereignty of All Mighty.

Happy birth day

সৃষ্টি দেখে চলি

“ Marriage and Society ”