শিক্ষা এবং প্রকৃত শিক্ষা বলতে কী?

ChatGpt: শিক্ষা এবং প্রকৃত শিক্ষা এর মধ্যে পার্থক্য শিক্ষার গভীরতা এবং এর প্রভাবের ওপর নির্ভর করে। দুটোর ধারণা তুলে ধরা যেতে পারে এভাবে:

শিক্ষা:
সংজ্ঞা: শিক্ষা বলতে সাধারণত জ্ঞান অর্জনের প্রক্রিয়া বোঝায়, যা মূলত বইপত্র, স্কুল, কলেজ বা আনুষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পাওয়া যায়।
উদ্দেশ্য: তথ্য ও জ্ঞান লাভ করা, এবং পরীক্ষা বা মূল্যায়নে সফল হওয়া।
কেন্দ্রবিন্দু: প্রায়ই শ্রেণিকক্ষ, পাঠ্যক্রম, এবং পরীক্ষার উপর ভিত্তি করে।
ফলাফল: সার্টিফিকেট বা ডিগ্রি অর্জন, যা কাজ বা চাকরির ক্ষেত্রে সহায়ক।
প্রকৃত শিক্ষা:
সংজ্ঞা: প্রকৃত শিক্ষা হলো জীবনের সার্বিক উন্নতির জন্য জ্ঞান, মূল্যবোধ, নৈতিকতা এবং অভিজ্ঞতার সংমিশ্রণ। এটি শুধুমাত্র বই বা প্রতিষ্ঠানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং জীবন থেকে শেখা।
উদ্দেশ্য: মানুষের চিন্তাভাবনা, মানসিকতা, নৈতিকতা, মানবিকতা এবং সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি করা।
কেন্দ্রবিন্দু: ব্যক্তি ও সমাজের সার্বিক উন্নয়ন, বাস্তব জীবনের দক্ষতা এবং মানবিক মূল্যবোধের উন্নয়ন।
ফলাফল: শুধু সার্টিফিকেট নয়, বরং একজন মানুষ হিসেবে চরিত্র গঠন, সমাজের জন্য দায়িত্বশীল ব্যক্তি হওয়া এবং নৈতিক উন্নতি অর্জন করা।
পার্থক্য:
1. তাত্ত্বিক বনাম বাস্তব শিক্ষা: সাধারণ শিক্ষা প্রায়ই তাত্ত্বিক হয়, যেখানে পরীক্ষায় ভালো ফল করার উপর জোর দেওয়া হয়। অন্যদিকে, প্রকৃত শিক্ষা মানুষকে জীবনের বাস্তব সমস্যা সমাধান করতে শেখায় এবং মানুষের মননশীলতা ও বিচক্ষণতা বাড়ায়।
2. মানবিক মূল্যবোধ: শিক্ষা প্রায়ই তথ্য ও ডিগ্রি অর্জনের দিকে মনোযোগী হয়, কিন্তু প্রকৃত শিক্ষা একজন মানুষকে মানবিক গুণাবলী, সততা, ন্যায়পরায়ণতা, সহানুভূতি এবং পরোপকারের দিকে নিয়ে যায়।
3. সামাজিক প্রভাব: শিক্ষা যদি কেবল জ্ঞান অর্জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে, তবে তা কেবলমাত্র ব্যক্তিগত উন্নয়নের দিকে কাজ করে। তবে প্রকৃত শিক্ষা সমাজের উন্নয়ন ও কল্যাণের জন্য একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলে।
সুতরাং, প্রকৃত শিক্ষা হলো এমন একটি শিক্ষা, যা শুধু পড়াশোনার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে মানুষকে জীবনমুখী করে তোলে এবং তাকে একজন সত্যিকারের মানবিক ও সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে গড়ে তোলে।
শিক্ষক এবং প্রকৃত শিক্ষক?
শিক্ষক এবং প্রকৃত শিক্ষক এর মধ্যে মূল পার্থক্য তাদের শিক্ষাদানের উদ্দেশ্য, পদ্ধতি এবং শিক্ষার্থীর জীবনে প্রভাবের ওপর নির্ভর করে।
শিক্ষক:
সংজ্ঞা: শিক্ষক হলেন একজন ব্যক্তি, যিনি কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা অন্যত্র নির্দিষ্ট পাঠ্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান প্রদান করেন।
উদ্দেশ্য: শিক্ষার্থীদের পাঠ্যক্রম সম্পন্ন করতে সহায়তা করা এবং তাদের পরীক্ষায় ভালো ফল করতে প্রণোদিত করা।
পদ্ধতি: সাধারণত বই, নোটস, এবং লেকচারের মাধ্যমে তথ্য সরবরাহ করা হয়।
কেন্দ্রবিন্দু: শিক্ষার কাঠামো এবং শিক্ষার্থীদের পাঠ্যসূচি বুঝিয়ে দেওয়া।
ফলাফল: শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় ভালো করে এবং সার্টিফিকেট অর্জন করে।
প্রকৃত শিক্ষক:
সংজ্ঞা: প্রকৃত শিক্ষক হলেন সেই ব্যক্তি, যিনি শুধুমাত্র পাঠ্যপুস্তক বা পরীক্ষার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেন না; বরং শিক্ষার্থীদের মানসিক, নৈতিক, এবং মানবিক বিকাশেও ভূমিকা রাখেন।
উদ্দেশ্য: শিক্ষার্থীদের শুধু তথ্য দিয়ে নয়, বরং তাদের জীবনকে অর্থবহ করে তোলার জন্য দিকনির্দেশনা দেওয়া। প্রকৃত শিক্ষক শিক্ষার্থীদের কেবল চাকরি বা পেশার জন্য নয়, বরং ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করেন।
পদ্ধতি: প্রকৃত শিক্ষক শুধু বইয়ের জ্ঞান দিয়ে সীমাবদ্ধ না থেকে বাস্তব জীবনের উদাহরণ, অভিজ্ঞতা এবং নৈতিক শিক্ষা দিয়ে শিক্ষার্থীদের বিকাশ ঘটান।
কেন্দ্রবিন্দু: শিক্ষার্থীদের চিন্তাশক্তি, সৃজনশীলতা এবং জীবনদর্শনের উন্নতি ঘটানো।
ফলাফল: শিক্ষার্থীরা শুধু পরীক্ষায় ভালো করার জন্য নয়, বরং জীবনের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত হয় এবং একজন ভালো মানুষ হয়ে ওঠে।
পার্থক্য:
1. পাঠ্যক্রম বনাম নৈতিকতা ও জীবনশিক্ষা:
সাধারণ শিক্ষক শিক্ষার্থীদের পাঠ্যসূচি শেখানোর দিকে মনোযোগ দেন।
প্রকৃত শিক্ষক পাঠ্যসূচির বাইরেও শিক্ষার্থীদের জীবনের প্রতি দায়বদ্ধতা, নৈতিকতা এবং মানবিক মূল্যবোধ শেখানোর চেষ্টা করেন।
2. তথ্য প্রদান বনাম অনুপ্রেরণা:
সাধারণ শিক্ষক কেবল তথ্য বা জ্ঞান প্রদান করেন।
প্রকৃত শিক্ষক শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করেন, তাদের মধ্যে নতুন চিন্তা এবং সৃষ্টিশীলতার উন্মেষ ঘটান।
3. সংকীর্ণ লক্ষ্য বনাম জীবনভিত্তিক লক্ষ্য:
সাধারণ শিক্ষক পরীক্ষার ফলাফলের দিকে মনোযোগী হন।
প্রকৃত শিক্ষক শিক্ষার্থীদের জীবনের লক্ষ্য স্থির করতে এবং তা অর্জনের জন্য উপযুক্ত পথ নির্দেশ করেন।
4. আবেগপূর্ণ সম্পর্ক:
সাধারণ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সম্পর্ক কেবল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা পাঠ্যসূচির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে।
প্রকৃত শিক্ষক শিক্ষার্থীদের জীবনের প্রতিটি ধাপে তাদের উন্নতিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেন এবং তাদের সাথে আবেগপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করেন।
সুতরাং, প্রকৃত শিক্ষক হলেন একজন পথপ্রদর্শক, যিনি শিক্ষার্থীদের জীবনের প্রতিটি ধাপে সঠিক দিকনির্দেশনা দেন এবং কেবল পেশাগত দক্ষতা নয়, তাদের নৈতিকতা ও মানবিক গুণাবলীতে সমৃদ্ধ করেন।

মন্তব্যসমূহ

ChatGPT 3.5

পরিচিতি

নাম: আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া লেখালেখি: আরিফ ইবনে শামছ্ পিতা: বিশিষ্ট সমাজ ও সাহিত্যসেবক, কবি ক্বারী আলহাজ্ব শামছুল ইসলাম ভূঁইয়া (রাহঃ)।সহকারি প্রকৌশলী, বাংলাদেশ তার ও টেলিফোন (বি.টি এন্ড টি- বি.টি.সি. এল)। মাতা: মোয়াল্লিমা হালীমা সাদীয়া ভূঁইয়া। ঠিকানা: ফখরে বাঙ্গাল নিবাস, ভূঁইয়া পাড়া, বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২, গ্রাম: ভাদুঘর, পোষ্ট: ভাদুঘর-৩৪০০। থানা:সদর, জিলা: বি.বাড়ীয়া। পড়াশোনা: নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়, (৬ ষ্ঠ শ্রেনী) সদর, বি.বাড়ীয়া। ভাদুঘর মাহবুবুল হুদা পৌর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় (৭ম-১০ম)।হাবলা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় (রেজিষ্ট্রেশন) হতে ১৯৯৫ ঈসায়ী সালে কৃতিত্বের সাথে ১ম বিভাগে পাশ করেন।প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বরাবরই ফার্ষ্ট বয় ছিলেন।১৯৯৭ সালে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পাশ করেন।২০০১ সালে, বি.এস.এস (সন্মান-অর্থনীতি), ব্রাহ্মণবাড়ীয়া সরকারি কলেজ, ২০০৩ সালে, এম.এস.এস (অর্থনীতি), সরকারি তিতুমীর কলেজ, ঢাকা, বি.এড. বাংলাদেশ টিচার্স ট্রেইনিং কলেজ, ঢাকা (জাতীঃবিঃ), এম.এড (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), এম বিএ -এম এই এস (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-অধ্যয়নরত) পূর্বপুরুষদের পূর্বকথাঃ বৃহত্তর বিভাগ ময়মনসিংহের অন্তর্গত বেলগাঁও থানার দিলালপুরে বসবাস করতেন পাঁচ ভাই।দুই ভাই দ্বীনের কাজে বা ভ্রমনের উদ্দ্যেশ্যে দিলালপুর থেকে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া (ত্রিপুরা) জেলার সদর থানার অন্তর্গত ভাদুঘর গ্রামে আসেন।প্রাকৃতিক পরিবেশের অপূর্ব লীলানিকেতনের মোহে মোহাবিষ্ট হয়ে ভ্রাতাদ্বয় স্থায়ী বসবাসের সিদ্ধান্ত নেন ভাদুঘরে।"বংশ পরম্পরায় দ্বীন ধর্মের প্রচার প্রসার, অলি-আল্লাহদের খেদমত ও ইহসানের সুবাদে ধারণা মজবুতভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় যে, ভ্রমণে নয়, দ্বীন ধর্ম প্রচার বা ইসলামের দাওয়াত নিয়েই দুই ভাই এসেছিলেন"। কবিতা সাহিত্য সংস্কৃতির আসর (একটি গতিশীল সাহিত্যভান্ডার)। প্রাক্তন বিভাগীয় সম্পাদক, সাহিত্য সম্পাদক, মাসিক "বলিতে ব্যাকুল" পরবর্তীতে "তিতাস বার্তা"। মোবাইল: ০১৬১০০০৭৯৭০। বয়স: ৩৮ বছর। পেশা: চাকুরী। প্রকাশিত লেখা: দৈনিকভাবে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, দৈনিক প্রজাবন্ধু, মাসিক বলিতে ব্যাকুল, তিতাস বার্তা, হক্ব পয়গাম। মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম শেখ সম্পাদিত "ঝরা ফুলের গন্ধ" যৌথ কাব্য গ্রন্থে প্রকাশিত (১) "শ্বাশ্বত আহ্বাণ" এবং (২) "ছন্দ নাবিক"। মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম শেখ সম্পাদিত "বিজয়ের উল্লাসে" যৌথ কাব্য গ্রন্থে প্রকাশিত (১) সত্য সন্ধানী (২) বাঙালির স্বাধীনতা (৩) বিজয়ের উল্লাসে (৪) অনুশোচনা (৫) বিদ্রোহী তুমি, বিপ্লবী (৬) আজকের এই বাংলাদেশ (৭) ভাঙ্গা গড়া সংকলন ও সম্পাদনা: তাসকিন আব্দুল্লাহ "বাংলার ১০০ কবি ও কবিতা" যৌথ কাব্য গ্রন্থে প্রকাশিত আগুন জ্বালা অন্তরে | সন্মাননা পত্র প্রাপ্তি : পাক্ষিক সেরা কবি, আধুনিক বাংলা কবিতার আসর (কবিতাঃ কারবালার শিক্ষা),পাক্ষিক সেরা কবি, আধুনিক বাংলা কবিতাপাক্ষিক সেরা কবি, আধুনিক বাংলা কবিতা ছড়া ও গানের আসর (কবিতাঃতোরা থামবি কিনা বল।) সাহিত্য জাগরণ বাংলাদেশ (কবিতাঃহৃদয় কন্দরে। কবিতাঃ কবিতা তোমার।)শখের কবিতা সাহিত্য আড্ডা (কবিতাঃ টেকসই মানবতা।কবিতাঃ বিদ্রোহী তুমি বিপ্লবী।)। বাংলাদেশ কবি সংসদ, (সিলেট বিভাগ)।বাংলাদেশ কবি সংসদ, (চট্রগ্রাম বিভাগ) হতে সাহিত্য অঙ্গনে বিশেষ অবদানকৃত স্বরুপ বিশেসন্মাননা পত্র প্রাপ্তি।বিশেষ সন্মাননাপত্র, এসো কবিতা লিখি (কবিতাঃ জাগাও তুমি জেগে ওঠো!),দিনের (২০-১১-২০১৭) সেরা কবি, বাংলাদেশ কবি পরিষদ (কবিতাঃ বাঙ্গালীর স্বাধীনতা)।আন্তর্জাতিক কবি পরিষদ (আজকের- ০৬-১২-২০১৭- সেরা কবি, কবিতাঃ "জীবন তরী"); ছায়াবীথি (সেরা পোষ্ট- কবিতা ইভেন্টে বিজয়ী- কবিতাঃ "অনাগত সন্তানের আহ্বান"।সমাজ কল্যাণ সাহিত্য পরিষদ কর্তৃক সপ্তাহের (১৪-১২-২০১৭) সেরা বিজয়ী কবি, ১ম স্থান অধিকারী, (কবিতাঃ আসলে পতন, খবরদার !)বাংলা সাহিত্য (কবিতা ও গল্পের রস _১৪-১২-২০১৭_সাপ্তাহিক সেরা ২৫ এ ৫ম স্থান ( কবিতাঃ আসলে পতন, খবরদার !);বাংলা সাহিত্য (কবিতা ও গল্পের রস _২২-১২-২০১৭_সাপ্তাহিক সেরা ২৫ এ ১১ তম স্থান ( কবিতাঃ পরোয়ানা !)প্রজন্ম সাহিত্য সভা (প্রসাস-০৬-০২-২০১৮_সপ্তাহের সেরা ০৫ এ ০৪- কবিতাঃ স্বান্তনা) নকলা উপজেলা সমাজকল্যাণ সাহিত্য পরিষদ, সাপ্তাহিক সম্মাননা ১৬-০২-২০১৮, ( কবিতা: ফাগুনের গান); কাব্য প্রেমীদের প্রচার মাধ্যম_ গল্প কবিতা ও সাহিত্যের আসর_বিশেষ সম্মাননা _২২-০২-২০১৮ (কবিতা: প্রিয় বাংলাভাষা); কাব্য কথার মেলা সাহিত্যাঙ্গন, সাপ্তাহিক সেরা ০৫ (কবিতা: এই পৃথিবীর আর্তনাদ); সাহিত্যজগৎ (সকল সাহিত্য প্রেমিদের ঠিকানা), সাপ্তাহিক সেরা ০৫ (কবিতা: বিপ্লবী );শেরপুর সাহিত্য পরিষদ, সাপ্তাহিক সম্মাননা, ২৩-০৩-২০১৮ (কবিতা: বিপ্লবী) ; সাহিত্য সন্ধ্যা, আজকের (২৭-০৩-২০১৮) সেরা কবি, (কবিতা: বিপ্লবী) বাংলা সাহিত্য কবিতা ও গল্পের রস_৩০-০৩-২০১৮_সাপ্তাহিক সেরা ২৫ এ ৪র্থ স্থান ( কবিতাঃবিপ্লবী )। সাপ্তাহিক সেরা ০৭ কবি ও কবিতায় ১ম স্থান, (কবিতা: বিপ্লবী ); সাহিত্যের জাগরণ, আন্তর্জাতিক সাহিত্য সংগঠন, সাপ্তাহিক সম্মাননা, ০১-০৪-২০১৮ (কবিতা: বিপ্লবী)।

পাথর দিয়ে যুদ্ধ

ইরাক, ইরান, তুরান, কাশ্মীর, কাতার আর সিরিয়া, সৌদি আরব, সুদান, মিশর, পুরো আফ্রোশিয়া। উপমহাদেশ, স্থান, আর দেশ -মহাদেশ, সব সৃষ্টি স্রষ্টার জানি, আমরা বিশ্বের, বিশ্ব মোদের। হানাহানি আর মারামারি করে, মানুষ মানুষেরে, হৃদয় আছে ঠিকই দেহে, নাই যে দরদ অন্তরে। সৃজিত হল কত দল উপদল, কেউ সহেনা কারো, এক হওয়ার মন্ত্র ভুলে, অনৈক্যে খায় হাবুডুবু। নাই সে খেয়াল, দূর করিবার ব্যবধান যতো আছে! আমার আমি, অহমিকা আর অন্ধ সকল জনে। কোরান কিতাব, হাদিস, ইজমা, কিয়াস জেনেছে কতো! সবাই মিলে একই বাঁধনে, নাইকি বাঁধিবার কেহ! কত আরাধনা চলে অবিরাম দিবস যামিনী দেখো, পাশের বাড়ীর অধিবাসী যারা, খেতে পেরেছে কি জানো? ঋণের চাঁপে, লজ্জা শরমে, সহসা মৃত্যু দেয়যে হানা, কানে তুলো আর চোখে ঠুলি বাঁধে সমাজের ধনী যারা। দেশের রাজারা ব্যস্ত সদা, নিজেদের ব্যবসা দেখো, দেশ ধর্ম কোথায় গেল, জাতির ঐক্য এলো কি গেলো! তা'তে কি কার, কিছু আসে যায়, জীবনের দাম নাই! সকাল বিকাল মারছে শিশু, দূর্বল নারীরা ও মারা যায়। কথার কথা, নামে মাত্র সবাই করে বাদ- প্রতিবাদ! মিছিলে মিছিলে যায় হারিয়ে প্রতিশোধের অগ্ন্যোৎপাত। নায়কি সাহস দাঁড়াতে পাশে, মাজলুম যতো বিশ্ব মাঝে, পাথর দিয়ে যুদ্ধ করে জীবন সঁপে,শহিদী পথে।

"মনের কথা সদা আমার কলম দিয়ে ঝরে, খুঁজে মোরে পাবে সবাই যখন মনে পড়ে। " --কবি শামছুল ইসলাম ভূঁইয়া (রঃ)

MY BLOGG

Popular Posts

জন্মভুমি । দেশত্ববোদক গান । paradise tune present

The Sovereignty of All Mighty.

Happy birth day

সৃষ্টি দেখে চলি

“ Marriage and Society ”