ভালোবাসি দিবানিশি লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
ভালোবাসি দিবানিশি লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বৃহস্পতিবার, আগস্ট ১৪, ২০২৫

কবিতার কাব্যিক,ছান্দসিক, মাত্রা, সাহিত্যিক, রসাস্বাদন ও আলোচনা, সমালোচনা, পর্যালোচনা, প্রেক্ষাপট,মানব জীবনে তাৎপর্য ও গুরুত্বের বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যা

সুন্দর শিরোনাম ও কবিতার কাব্যিক,ছান্দসিক, মাত্রা, সাহিত্যিক, রসাস্বাদন ও আলোচনা, সমালোচনা, পর্যালোচনা, প্রেক্ষাপট,মানব জীবনে তাৎপর্য ও গুরুত্বের বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যা দাও একটি প্রবন্ধ সহকারে।

পূর্বে তোমার ঈমান- অস্ত্র সবি ছিল চোখ ধাঁধানো;
আজ কি হলো ভাইরে তোমার, সব কিছুতেই হেয় হারালো !
হালাল ছেড়ে হারাম খেয়ে, নাই ঈমানের দৃঢ়তা,
প্রতিবাদী কণ্ঠে কেনো দ্রোহের আগুন জ্বলেনা !
সাহস খনি হারিয়ে গেলো, নাকি কাউকে সঁপে দিলি !!!
ভীরু ভীরু ত্রস্তপদে বাঁচবে নিজে? না কা'রে বাঁচাবি?
দুর্বলতার সুযোগ পেয়ে, চামচিকারা কী করে !!!
শের এ খোদার ঘুম ভাঙ্গানো; উচিত হবে কবে???
নাও তব সে পূর্ণ ঈমান, বর্ম পড় আমলের,
নাও তুলে সেই তলোয়ার, রাঙ্গানো ঐ বিশ্বাসের।
মুক্ত তোমায় করবেনা কেউ, মারবে বেঁধে বেঁধে,
বিশ্বাস যদি নাইবা হবে, তাকাও বিশ্ব মাঝে।
জাগাও তুমি, জেগে ওঠো সিংহ শার্দূল সব,
ঝাঁপিয়ে পড়ো, বিদায় করো পাষাণ পাপী যত।
যালিমদের আজ দাও পাঠিয়ে, অগ্নি- ভরা খাঁদে,
ন্যায়ের খড়গ কত নিঠুর দেখুক বিশ্ব-সবে।

--------আরিফ শামছ্
২২.১১.১৬ ঈসায়ী সাল।
বিকাল ৫:১৫।
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২,
ভাদুঘর, সদর, বি.বাড়ীয়া-৩৪০০।

ChatgptAI2025:

প্রবন্ধ শিরোনাম:
“ঈমানের তলোয়ার: প্রতিবাদের কাব্যিক আহ্বান”


কবিতার কাব্যিক আলোচনা ও প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ

আরিফ শামছ্-র লেখা এই কবিতাটি এক গাঢ় আত্মবিশ্লেষণী ও প্রতিবাদী উচ্চারণ, যেখানে একজন বিশ্বাসী হৃদয়ের ঈমান-ক্ষয় এবং তার প্রতিকার নিয়ে তীব্র সাহিত্যিক ও ভাবপূর্ণ চিত্র অঙ্কন করা হয়েছে। কবিতাটি সময়ের প্রেক্ষাপটে বিশ্বাসহীনতা, আত্মসমর্পণ, ভীরুতা ও নৈতিক পতনের বিরুদ্ধে এক সাহসী জাগরণ-স্বর।

এই কবিতাটি লেখা হয়েছিল ২০১৬ সালের ২২ নভেম্বর, বিকাল ৫:১৫-এ, যা সময় ও স্থাননির্ভর এক দার্শনিক ও সমাজ-রাজনৈতিক আবহে রচিত। লেখকের নিজস্ব আবাসভূমি “ফখরে বাঙ্গাল নিবাস”-এর ঠিকানায় লেখা এই কবিতাটি যেন সমাজ-চেতন জাগানোর এক ব্যক্তিগত অথচ সর্বজনীন প্রয়াস।


ছন্দ, মাত্রা ও শব্দরীতির সৌন্দর্য

ছন্দময়তায় কবিতাটি সনাতন গীতিকবিতার ঢঙে লেখা, তবে কোথাও কোথাও সপ্রতিভ বিরাম ও ছেদ এনে আবেগকে জোরালো করা হয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ:

"হালাল ছেড়ে হারাম খেয়ে, নাই ঈমানের দৃঢ়তা,"
"প্রতিবাদী কণ্ঠে কেনো দ্রোহের আগুন জ্বলেনা!"

এই চরণগুলোতে চার, পাঁচ ও ছয় মাত্রার মিলন ঘটে, যা পাঠকের হৃদয়ে একধরনের গীতল কিন্তু বেদনাময় ধ্বনি তৈরি করে। ধ্বনিতত্ত্ব অনুযায়ী এখানে ‘স্বর-সংঘাত’ ব্যবহার করে সৃষ্ট হয়েছে উত্তেজনা ও মননশীলতা।


সাহিত্যিক রস ও রসাস্বাদন

এখানে ‘বীর রস’ ও ‘করুণা রস’ পাশাপাশি কাজ করে।

  • বীর রসে কবি আহ্বান করেছেন:

    "নাও তব সে পূর্ণ ঈমান, বর্ম পড় আমলের,"
    "ঝাঁপিয়ে পড়ো, বিদায় করো পাষাণ পাপী যত।"

  • করুণা রস দেখা যায় যখন কবি হাহাকার করছেন একজন ঈমানদার মুসলমানের পতন দেখে:

    "আজ কি হলো ভাইরে তোমার, সব কিছুতেই হেয় হারালো !"

এই দুই রসের যুগলবন্দী পাঠকের মনে এক গভীর প্রভাব ফেলতে সক্ষম।


সমালোচনামূলক পর্যালোচনা

এই কবিতার সবচেয়ে বড় শক্তি এর বক্তব্যের নির্ভীকতা। এক সাহসী আত্মসমালোচনার মধ্য দিয়ে লেখক কেবল নিজেকে নয়, পুরো মুসলিম সমাজের আত্মিক অবনতির চিত্র তুলে ধরেছেন। তবে কিছু শব্দচয়ন (যেমন "চামচিকারা") সাহিত্যিক সৌন্দর্যকে কিছুটা খর্ব করতে পারে বলেই মত দেয়া যায়। এটিকে আরও প্রতীকী শব্দ দিয়ে উপস্থাপন করলে শিল্পরূপ আরো পরিণত হতো।


মানব জীবনে তাৎপর্য ও গুরুত্ব

এই কবিতা একটি সামাজিক বিপ্লবের আহ্বান। বর্তমান সময়ে যখন সত্যকে চাপা দিয়ে মিথ্যার বাজার গরম, তখন এই কবিতাটি যেন এক তলোয়ার-সম আহ্বান:

  • নিজের বিশ্বাসকে দৃঢ় করো,
  • অন্যায়-জুলুমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও,
  • কণ্ঠে প্রতিবাদের আগুন জ্বালাও।

বিশেষত তরুণ সমাজের মাঝে ধর্মীয় আত্মপরিচয়, নৈতিকতা এবং সাহসিকতার প্রশ্নে এই কবিতাটি শিক্ষণীয় ও উদ্বুদ্ধকারী।


উপসংহার

‘ঈমানের তলোয়ার’ কবিতাটি কেবল একটি কবিতা নয়, এটি একটি মর্মস্পর্শী আত্মজিজ্ঞাসা ও প্রতিবাদের ঘন্টার ধ্বনি। এটি একাধারে সাহিত্য, সমাজচেতনা ও আধ্যাত্মিক ভাবনার সংমিশ্রণে অনন্য। এই কবিতার অন্তর্নিহিত বার্তা আজকের বিশ্বে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক—বিশ্বাস, সাহস এবং প্রতিবাদের মাধ্যমে এক নতুন আলোর পথ খুঁজে পাওয়ার জন্য।


 

শুক্রবার, মে ১৬, ২০২৫

গল্প : ভালোবাসি দিবানিশি

 ভূমিকা: প্রেম, ভালোবাসা, বন্ধুত্ব—এই তিনটি শব্দ মানব জীবনের সবচেয়ে আবেগঘন, কোমল ও সংবেদনশীল অনুভূতির প্রতিনিধিত্ব করে। কিছু সম্পর্ক শুরু হয় নিঃশব্দে, গড়ে ওঠে হৃদয়ের গভীরে, এবং শেষ হয় নিঃশেষে, কিন্তু রেখে যায় অম্লান স্মৃতির ছাপ। এই প্রবন্ধে এমনই এক বাস্তব প্রেমকাহিনীর বিশ্লেষণ তুলে ধরা হয়েছে—আরিফ ও কবিতার গল্প।

 

অনুচ্ছেদ ১: প্রেমের বীজ রোপণ ঘটনা শুরু ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি অনার্স কলেজে, অর্থনীতিতে প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়ার দিন। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা আরিফের চাহনির গন্তব্য ছিল কবিতার কাজল কালো নয়ন। সেখানে জন্ম নেয় মুগ্ধতা, স্পন্দন, আর অনুভবের এক নতুন জগৎ। প্রথম ক্লাসেই দেখা হওয়া, অবাক হওয়া, এবং ধীরে ধীরে হৃদয়ের ভিতরে ভালোলাগার বীজ অঙ্কুরিত হওয়া—এসবই এক তরতাজা প্রেমের শুরুর চিত্র।

 

অনুচ্ছেদ ২: জীবন ও মৃত্যু—সম্পর্কের ধাক্কা কবিতার বাবার মৃত্যু সেই প্রেমের ভুবনে প্রথম বড় ধাক্কা। আরিফের পক্ষে ফেনি থেকে খবর না পেয়ে উপস্থিত না হওয়া আর কবিতার অভিমানী প্রশ্ন—"তুমি না এসে পারলে?"—এই বাক্যেই যেনো হাজারটা বিষণ্নতা লুকিয়ে আছে। ভালোবাসার গভীরতা তখনই বোঝা যায় যখন চোখের জল হয়ে যায় অনুভবের ভাষা।

 

অনুচ্ছেদ ৩: অনুচ্চারিত মুহূর্তে ভালোবাসা আখাউড়ার এক স্মৃতি—টিউবওয়েলের পাশে দাঁড়িয়ে অযু করার দৃশ্য। এমন এক সাধারণ মুহূর্তে অসাধারণ সৌন্দর্য আবিষ্কার করা যায় কেবল প্রেমিকের চোখেই। আরিফের বর্ণনায় কবিতার সেই রূপ যেনো হৃদয়স্পর্শী কাব্যের মতোই।

 

অনুচ্ছেদ ৪: প্রস্তাব ও প্রতিরোধ চাচাতো দুলাভাইয়ের মাধ্যমে প্রস্তাব পাঠানো হলেও পরিবারের সামাজিক রক্ষণশীলতা তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলে। অন্য জায়গায় তড়িঘড়ি বিয়ে—এ যেনো প্রেমের করুণ পরিণতির পূর্বাভাস। তবু কোনো ঝামেলা না করা, সম্মান বজায় রাখা, এই নায়কোচিত আত্মনিয়ন্ত্রণ প্রমাণ করে ভালোবাসা মানেই প্রাপ্তি নয়, আত্মত্যাগ।

 

অনুচ্ছেদ ৫: ছিন্ন যোগাযোগের বেদনাবিধুরতা ফেসবুকে খুঁজে পাওয়া, কিছু প্রতিক্রিয়া জানানো, এবং এরপর ব্লক করে দেওয়া—এই রূপকথার বাস্তবতায় ফিরে আসা। যেনো ভালোবাসা এখন কেবল স্মৃতি, স্মৃতিতে এখন কেবল নিঃসঙ্গতা।

 

অনুচ্ছেদ ৬: উপহার ও কবিতার সাক্ষী "রমজানের সওগাত" নামে উপহার দেওয়া কবিতা যেনো ভালোবাসার প্রতীকচিহ্ন, অব্যক্ত অনুভবের ছন্দময় স্বাক্ষর। সেসব কবিতা আজও হৃদয় কাঁপায়, চোখে জল আনে।

 

অনুচ্ছেদ ৭: চূড়ান্ত বিচ্ছেদ আরিফ যখন মাস্টার্স পরীক্ষা দিচ্ছিল, তখন কবিতার বিয়ে হয়। ভাগ্য যেনো দুইজনকে এক রেখায় আনলো না, বরং দুই ভিন্ন পৃথিবীর দিকে চালিত করলো। কোনো অভিযোগ নয়, কেবল তাকদীরের ওপর আস্থা রেখে সংযমে মিশে থাকা এক ব্যর্থ প্রেমের চূড়ান্ত অধ্যায়।

 

অনুচ্ছেদ ৮: অনন্ত স্মরণে কবিতা, আজো ভুলতে পারেনি আরিফ। ভুলা যায় না। প্রেম যেমন অক্ষরহীন কবিতা, তেমনি কবিতা হয়ে আছেন তার হৃদয়ের শ্রেষ্ঠতম পঙ্‌ক্তি। যতদিন প্রেম শব্দটি উচ্চারিত হবে, ততদিন ভালোবাসা দিবানিশি-র কবিতার থাকবে আরিফের হৃদয়মণ্ডলে।

 

উপসংহার: এই গল্প কোনো সাধারণ ভালোবাসার নয়। এটি একটি আত্মত্যাগময়, গভীর, তীব্র ভালোবাসার দলিল। সমাজ, পরিবার, সংস্কার, বিশ্বাস, সব কিছুর মাঝে দাঁড়িয়ে ভালোবাসার এই গল্প হৃদয়বিদারক হলেও অনন্য। আরিফ ও কবিতার এই প্রেম কেবল ব্যর্থতার কাহিনী নয়, তা এক আদর্শ প্রেমের ছায়া, স্মৃতির ধ্বনি, এবং চিরন্তন মানবিকতার পরিচয়।

রবিবার, জুন ৩০, ২০২৪

৮৮। প্রাণের চেয়ে প্রিয় কুদস

ওরা মার খাচ্ছে, খাক, জ্বলে পোঁড়ে

 ছারখার হয়ে যাক,

পুরো ভিটে মাটি, সাজানো সংসার,

কারো দখলে এমনি থাক।

আমার আসন ঠিক আছে তো,

বিশ্ব তাহার সবি হারাক।

মানব-দানব ধ্বংস চালায়,

কার কী আসে যায়।

তোমার আঙ্গিনায় ফোটে, 

রং বেরঙের, নানা জাতের ফুল,

আমার আঙ্গিনা ক্ষত বিক্ষত, 

জাজরা বুলেটে, বংশ নির্মূল!

তোমার সুখে ও দুঃখে সবাই 

প্রাণাধিক সুখী ব্যাথাতুর,

আমার জীবন যৌবন, সন্তান,

প্রিয়তমা হারায়, নিত্য কূল।

বসত ভিটা, জমি-জমা, স্বপ্ন কাঁড়ে,

 পাষাণ অরি,

সকাল-সাঁঝে, হর হামেশা, ঝাঁপিয়ে

 পড়ে প্রাণ হরি।

যাক চলে যাক সহায় সন্তান দুঃখ নাই

 মোর অন্তরে,

প্রাণের চেয়ে প্রিয় কুদস, কার দখলে,

 কোন কারণে?

শান্তি নিয়ে জুয়া খেলা, খেলছে কারা

 দিবালোকে,

দাবা খেলার গুটি নিয়ে, হন্যে হয়ে 

 চলছে ছুটে।

শান্তি-চাবি গুটি কয়েক বোকা রাজার

 হাতেই রবে?

বিশ্ব মাঝে ঝাঁকিয়ে তোলা, অশান্তির

 সেই শেষ কবে?

যতো আছে পথের কাঁটা, সরায় সবে

 শক্ত হাতে,

অত্যাচারীর বুকে মাটি, দাফন করি

 সবাই মিলে।

চিরতরে স্তব্ধ করি, ঝগড়া বিবাদ

 মারামারি,

কারণে আর অকারণে করে যারা

 হানাহানি।

বিশ্বটাকে এমনি করে তুলে দিবে!

পাগল, ছাগল, পামর করে,

ভয় কি তোমার, ভীত কেন?

শক্তি তোমার কম কি কীসে??

মানবতার ধারক বাহক কোটি 

কোটি জীবন পাবে,

অস্ত্র তোমার ঈমান আমল, 

শক্তির  আধার আল্লাহ পাশে।


----- আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া

১৪/১২/২০১৭ ঈসায়ী সাল।

সকাল ০৭ টা ৩৩ মিনিট।

১৪/১২/২০১৭ ঈসায়ী সাল।

মধুবাগ, বড়মগবাজার,

রমনা, ঢাকা-১০০০।


বুধবার, মে ২৯, ২০২৪

৮৫. বিজয়ের উল্লাসে


বিজয়ের উল্লাসে, মোর চোখ হাসে
আজ, ঠোঁট হাসে তার রূপ পাশে,
সুখ আঁশুতে বুক ভাসে।
রক্ত নাচে টগবগে, মোর অরুন-তরুণ,
রক্ত রাগে, সোনা রোদের মখমলে,
জীবন জুড়ে, সৃষ্টি সুখের উল্লাসে।
সব পরাজয়, পদানত,
শত্রু সেনা হস্তগত,
জয়ের নেশায় মত্ত ছিল,
অস্ত্রসহ, অস্র বিহীন যোদ্ধা শত।
অশ্রু ধারার লক্ষ নদী,
রক্ত ধারা নিরবধি,
বয়েছিল জয় অবধি,
রুপ-অপরুপ সমাজ, জাতি,
সব হারিয়ে রিক্ত অতি,
মুঠোপুরে বিজয়-পতি।
নির্যাতনের দীঘল রাতি,
লম্বা ছিল নেইকো যতি,
ভোরের আশায় মনের বাতি,
দোলাচলে নিভলো বুঝি!
সারি সারি বীর বাঙ্গালী,
দেশের তরে প্রাণটি সঁপি,
শত্রু সেনার গতির যতি,
বুলেট বুকে আগলে রাখি।
সূর্যোদয়ের নূতন আভায়,
নূতন করে প্রাণ ফিরে পায়,
ঝরা-জীর্ণ সব টুটি,
অরুণ রবির আঁচল তলে,
স্বপ্ন হাসে স্বাধীণ বেশে,
সব পরাধীণ ছুটি।

---আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া।
০৬/১২/২০১৭ ঈসায়ী সাল।
মধুবাগ, রমনা, ঢাকা।



রবিবার, অক্টোবর ২৯, ২০২৩

১৪। উন্মুক্ত মাদ্রাসা


প্রতিটি জামে’ মসজিদ যদি উন্মুক্ত মাদ্রাসা হত;
ইল্মে লাদুন্নী,কালামে পাক সহজেই শেখা যেত।
নূরাণী সব ঝর্ণাধারা, হাতের কাছে সবাই পেতে,
সময় পেলেই বৃদ্ধ-যুবা, জ্ঞান-আহরণে চলত ছুটে।
সহজ ভাষা আরবী কেন যায়না শেখা সহজে,
দিনে দিনে বাড়ছে ফাঁরাক, কঠিন মনে হয়যে।
ভালবাসা যায় হারিয়ে, কবে কোথায় যেন,
ভালবাসার ঝর্নাধারায় অবহেলা কেন?
মহান রবের প্রিয় ভাষা, নবীর ভাষা, আরবী,
আমরা সবাই কেমন করে, কেন দূরে থাকি!
মুসলিম আমি কেমন করে! বয়স-পথে হাঁটি,
সকাল হতে সন্ধ্যা বেলা, সন্ধ্যা হতে রাতি।
মহান রবের সাথে সদা, কত কথা বলি,
নামাজ শেষে চাওয়া-পাওয়ায় হাত দু'খানা তুলি।
কত যোগাযোগ আরবি ভাষায়, অর্থ নাইবা জানি,
মানার জন্যই জানতে হবে; চলোনা শপথ করি।
[প্রতিটি জামে’ মসজিদ সকল প্রকার নেক আমলের জন্য সদা উন্মুক্ত থাকুক।]
আরিফ ইবনে শামছ্
দুপুর ০২ টা ৩০
১০.০৪.২০১৬
আশা টাওয়ার,শ্যামলী, ঢাকা।

১৩। ভাল বাসার হিসাব-নিকাশ


ভাললাগা না ভালবাসা, নাকি চির-শাশ্বত প্রেম,
নিজের পথ দেখা; না দেখার তাগিদে অ-প্রেম।
লক্ষ-কোটি অগণিত তারাদের ভিড়ে হারিয়ে যাওয়া,
ব্যর্থ নাকি অব্যর্থ প্রেম, ফলাফল যেরূপ চির-চেনা।
কত দল-উপদল আজো লড়ে; স্বার্থকতা প্রেমের কিসে?
পাওয়া না পাওয়ার দু’দল; অবিরাম সান্ত্বনা খুঁজে,
প্রাপ্তিতে সুখ বলে কেউ, অ-প্রাপ্তিতেই মিলে স্বার্থকতা;
যারে ভাল বাসি তা’রে নিয়ে; লেখা হয় কত কথা!!
নাইবা যদি পারো তুমি, হৃদয় হতে মুছে দিতে,
ফিরিয়ে দিবে কিন্তু কেন? কাঁপা কাঁপা নিঠুর হাতে।
চোখের ‘পরে চোখ রেখে তাও; বলতে পার নাকো!!
গুমরে জাগে সুপ্ত-গিরি, তবু নীরব কেন?
হিসাব-নিকাশ, লাভ-ক্ষতি কি তোমার কষা হলো,
অভিমানে হারিয়ে যাওয়া, জীবন খানি কত ???
তারপরও কি বেশী দামী, তোমার চাওয়া-পাওয়া?
নীলাকাশে মাখিয়ে দিলে, আমার ভালবাসা !!!

--আরিফ ইবনে শামছ
রাত ১২ টা ২৫ মিনিট;
১৮.০২.২০১৬;
বৃহঃস্পতিবার;
সোনালীবাগ,
বড়-মগবাজার,রমনা,ঢাকা।

১১। সালাম জওয়াব


সালাম দেয়া সুন্নত, উত্তর দেয়া ওয়াজিব,
দরদমাখা মন নিয়ে ভাই সালাম দিতে উদগ্রিব।
মিষ্টি স্বরে চিন্তা করে সালাম যখন দিবে,
ঝাঁকিয়ে মাথা চুপিসারে যায়যে হেঁটে চলে।
মাথার ভিতর ঝড় চলে ভাই, শান্তি নাহি পাই,
সালাম কাকে দিলাম সেকি হিন্দু মুসলমান?
ভাটা পড়ে মনের জোড়ে, পায়না আবার সাহস,
হুম বলে কি! ঝাঁকায় মাথা কাকে সালাম দিব!
সালাম কালাম মুসলমানের,
সেরা আদর্শ,
কি যে হল সেরা জাতির, এমন দশা কেন?
হাসি মুখে কথা বলা কোন ভাইয়ের সাথে,
সাদকা জেনো মহানবীর মহান হাদীসে।
সালাম বাড়ায় ভালবাসা জেনো সবার সাথে,
সেই সালামের আন্তরিকতা, কোথায় পাব খোঁজে?
দরদমাখা সালাম জওয়াব, চলো করি জারি,
আবার ছড়ায় শান্তি-সুধা, মনন আবাদ করি।


৩০/০৯/২০১৭ ঈসায়ী সাল

আরিফ ইবনে শামছ্

০৭। ভালবেসে কাছে যেতে

ভালবেসে আল্লাহ পাঠাল দুনিয়ায়,
ভালবেসে আরো কাছে যেতে,
দীদার লাভে ধন্য জীবন; লভিতে দু'জাহানে।
যুগে যুগে নবী রাসূল পাঠালেন সকল বান্দার লাগি,
কত ভালবাসার প্রিয় বান্দারা! এই পথ হারাল বুঝি!!!
ভূল করে করে জানা-অজানা, দুঃখের পথে হেঁটে চলে!
বন্ধুর কোথা, বিপদসংকুল পথ কেউকি
জেনেছে আগে,
তবু পথ চলে, মোহগ্রস্থের ন্যায় সসীম-অসীম পথে।
দরদমাখা দৃষ্টি যে থাকে, প্রিয় বান্দার 'পরে।
দেহ মন আর সমাজ পরিবার, নিয়ে সব একসাথে,
কেমন করিয়া স্বর্গ সুখের শান্তি সমেত
বাঁচিয়া রবে।
নিয়ম নীতি, স্বাধীন পরাধীন, রাজা প্রজা সব আছে,
রাজার রাজা মহারাজা সব দেখেন
তাহা কাছ থেকে।
কে ন্যায় আর অন্যায় করিল দিয়ে দেখে সব বল,
ধৈর্য্য কাহারা ধরিল, কঠিন বিপদ- আপদে শত।
কেবা হাজিরা দিল নিয়মিত খোদার ঘর মসজিদে,
হালাল খেয়ে কজনইবা চলছে, সদা হালাল পথে।
এলেম নিয়ে হেলেমের জোড়ে কারা করে পুকুরচুরি,
লেবাস ধরে কারা করে, স্রষ্টার সাথে জুয়াচুরি।
এমন কিছু বলনাযে, করতে যাহা পারনাযে,
বড়ই ঘৃণার কাছে আল্লাহর,মিল না থাকে কথা কাজে।
পরোপকারী স্বার্থহীন যেন, সদা থাকি মানবের পাশে,
দয়ালু মনে সদাচার সহ হৃষ্টচিত্তে সবার আশে।
খালি হাতে কেউ ফিরেনা কভু তোমার বান্দা হতে,
শক্তি দাও, সাহস যোগাও, হায়াত শেষের আগে।

-----আরিফ ইবনে শামছ
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২,
ভাদুঘর, সদর, বি.বাড়ীয়া-৩৪০০।

০৫। জীবন যেখানে যেমন



প্রেম ও প্রীতি আসল দিঠি,
প্রেমিক হৃদয় কোথায় খুঁজি?
কোথায় পাবগো প্রেমের হিয়া?
কহিব কথা পরাণ ভরিয়া!!
এমন গোধূলী, কাঁচা সোনা রোদ,
এঁদো ডোবাজল, একলা ডাহুক,
রিমঝিম টিপটপ বিষটি কোথা,
কথাকলি সব রবে কি হেথা???
বিনিদ্র রজনী সাতকাহন কি হবে?
নিশির নিশা পেড়িয়ে ভোর যে কবে?
দখিনা মলয় তপ্তদেহে বারিসিঞ্চনে;
আসবে কবে বারিরাশি সঙ্গে করে।
চায়লে কি গো ফুল ফুটিবে অরুণ প্রাতে,
গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হবে, খুশির ঝিলিক তাতে।
ডাকবে কোকিল বিজন বনে, একলা পথে,
ভাবের পথে হাঁটবে তুমি, উদাস মনে।

----------- আরিফ ইবনে শামছ্
২০.০৭.২০১৭ ঈসায়ী সাল
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২,
ভাদুঘর, বি.বাড়ীয়া-৩৪০০।

সোমবার, এপ্রিল ১০, ২০২৩

সময় লেগেছে, হৃদয় ভেংগেছে; কষ্ট দিয়েছি, হৃদয় ভেংগেছি !!!

                                                                                                                       ২৪১১০২    ৭:৩০  

                                        "আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ"

মরুভূমির শুভাশিত বাতাসের শুভেচ্ছা রইলো। আশা করি গতকালের মতো আজ ও ভালো আছো। গত কালের কথা এজন্য বললাম যে, কোন দিনই তোমাকে কেমন আছো প্রশ্নটা করে ভালো আছি উত্তরটা পাইনি ,গতকাল ছাড়া। ১০ ই রমজানে চিঠি পাওয়ার পর চিঠি মোতাবেক তানজিমের কাজটা করলাম। 

কিভাবে তোমার সাথে কথা বলতে হবে বলত, খুব কর্কশভাবে বুঝি তাইনা। অন্যরা আমাকে বলে আপনার মত অভিনয় করতে আমি পারিনা। তাদের বেলায় আমি বলব তারা আমাকে চেনেনা জানেনা তাই এ ধরনের কথা বলতে পারে। কিন্তু তুমি কি করে বল যে আমি তোমার সাথে অভিনয় করি। তোমার প্রতিটা প্রশ্নের উত্তরেই আমাকে নাবোধক উত্তর দিতে হয়। আর তাতে তোমার চোখ লাল হয়ে পানি জমে যায়। তাই সহজে কোনো কথার উত্তর না দিয়ে আমি চুপ থাকতে চাই। কারণ কি করে তোমাকে এত কষ্ট দিব, যে তুমি এত ভালোবাসো। কিন্তু তুমি তাতে নাকি আরো বেশি কষ্ট পাও। 

ভালবেসে কি পেলে জানতে চেয়েছিলে, ব্যাথা ছাড়া আর কিছুই বোধ হয় পাওনি। ক্ষমা চাইছি তার জন্য। কেন যে তুমি আমাকে ভালোবাসতে গেলে। কি দেখেছিলে শূণ্যের মাঝে, কিছুই দিতে পারিনি। দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দিও। নতুবা অভিশাপ দিও আশীর্বাদ হিসাবেই মেনে নিব। ভালোবাসি কিনা জানতে চাও? এটা আমিও জানিনা। তবে তোমার কথা খুব মনে পড়ে , আর কষ্ট পাই।  জানিনা এটাকে ভালবাসা বলে কিনা। 

বিয়ের ব্যাপারে আর প্রশ্ন করোনা। এটা আমার পক্ষে কখনো সম্ভব হবেনা। এর একমাত্র কারণ আব্বার আদেশ, নির্দেশ ও আদর্শ। তোমার কাছে আব্বা মৃত হতে পারে। কিন্তু বিশ্বাস করো আব্বা আগের চেয়ে আরো বেশী আমাদের শাসন করেন , বেশী কাছে থাকেন। মুহূর্তের জন্য ও দূরে যাননা। কাজেই অনুরোধ করবো তুমি কখনো আমাকে আব্বার অবাধ্য হতে বলবেনা। এমন কোনো কাজ করতে কখনো বলবেনা যা আব্বা চাইতেননা। আর আমার পক্ষে ও সম্ভব হবেনা। বিয়ে ভাগ্যে থেকে থাকলে বংশের অন্যান্য মেয়েদের যেভাবে হয় তাদের মতোই হবে। তুমি জানোনা আমাদের বাড়ির কয়েকটি মেয়ের জীবনে ও প্রেম এসেছিলো এবং গভীর ও হয়েছিলো। কিন্তু তাদের সফল হতে দেয়া হয়নি। কাজেই জোড় অনুরোধ থাকবে কখনো আর এ ব্যাপারে প্রশ্ন করবেনা।

বন্ধু আমার ,
কোন শর্ত দিয়ে আমাদের বন্ধুত্ব হয়নি। কাজেই এই মধুর সম্পর্কটা ভেঙে দিওনা। বন্ধুত্বের হাত মিলিয়ে এগিয়ে যাও। যেখানে বিন্দুমাত্র দুঃখ থাকবেনা। সুখ দুঃখের অংশীদার হতে পারবে। 

লিখতে অনেক সময় লেগেছে, হৃদয় ভেংগেছে। অনেক কষ্ট দিয়েছি, হৃদয় ভেংগেছি। আবার ও ক্ষমা চাইছি। মোবারক হউক তোমার জীবনে এই মাহে রমজান। ভাল থেকো, তোমার পাশের অটোটাকে সালাম দিও। দোয়া রইলো।

বুধবার, অক্টোবর ২০, ২০২১

অনন্য মহাপুরুষ (সাঃ)

 

অনন্য মহাপুরুষ (সাঃ)

------আরিফ শামছ্

২০-অক্টোবর-২০২১ ঈসায়ী সাল

 

প্রতিটি হৃদয়ের চারিপাশ যবে ঘোর তমসায় ঘেরা,

তোমার প্রেম ভালবাসা, মুগ্ধকর আন্তরীকতা;

সৃজিল আলোর ফোঁয়ারা প্রতিটি হৃদয় জুড়ে,

আঁধারের সব আঁধার উপনীত হলো, নতজানু হয়ে।

 

অনন্য মহাপুরুষ! তৃষিত হৃদয়ের আবে জমজম,

দিকভ্রান্ত মানবজাতি খোঁজে পেল দিক দর্শন।

একবিংশ শতাব্দীর এক উম্মতের মরুতৃষা আজ,

তোমাকে হৃদয় ভরে দেখে নিতে দুর্নিবার অভিলাষ।

 

সহস্র ষড়যন্ত্রের মাঝেও সহাস্য বদনে নেয় প্রস্তুতি,

সুপারিশ তোমার দিশারী হবে, এমনি কালের আকুতি।

বলহীন, কমজোর ঈমানে নয় গড়া মুসলিম জাতি,

অকাতরে সঁপে দিবে প্রান, আসুক বাঁধারা বিপ্লবী।

 

স্বর্ণ যুগের সাহস নিয়ে লড়তে চাহি রণাঙ্গণে,

দ্বীনের ধ্বজা রাখতে উঁচু, লড়বো সবে প্রাণপনে।

সফলতা ধরা দিবে, প্রভূ যদি রহম করে,

সব কিছু যে চাই করিতে, মহান সে' বিভুর তরে।

 

চায় হতে যে বিলীন তব ভালবাসার অকূল জলে,

চোখ দুটো যে পাবে জ্যোতি ভালবাসা তব পেলে,

ফুলে ফলে পূর্ণরূপে, পেয়ে যাবে বসন- বিলাস,

কভু যদি পেয়ে যেতাম, স্বপ্ন মাঝে তব দীদার।

 

ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,

বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২,

ভাদুঘর, বি.বাড়ীয়া।

ভালবাসি দিবা-নিশি _সূচীপত্র

আল্লাহ সৃষ্টিকুল সৃষ্টি করার কাজ কখন, কিভাবে শুরু করেন?

আল্লাহ সৃষ্টিকুল সৃষ্টি করার কাজ কখন, কিভাবে শুরু করেন? চ্যাটজিপিটি: খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও গভীর প্রশ্ন করেছেন। ইসলামী আকীদা, কুরআন, হাদীস এবং ...