কবিতার স্বর্গ-কানন লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
কবিতার স্বর্গ-কানন লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

সোমবার, এপ্রিল ১০, ২০২৩

শ্বাশ্বত আহ্বান


 

শ্বাশ্বত আহ্বান
-----------আরিফ শামছ্
২২.১০.২০১৭ ঈসায়ী সাল।

বেলা বেলা করে কত বেলা যায়,
ডাকিনি প্রভু কখনো তোমায়!
তাই বলে তো বন্ধ রাখনি,
সকল বাঁচার উপায়।

 

ফজর পড়িনি গভীর ঘুমে,
আরামে অলসে শোয়ে,
সূর্য জাগিল পূর্ব গগনে,
তোমার বন্দনা গেয়ে।

 

যোহরের আজান সুমধুর সুরে,
আকাশে বাতাসে ভাসে,
কর্নকুহরে ধ্বনি প্রতিধ্বনি সাজে,
হৃদয়ে ভীষণ বাজে।

 

যৌবন বেলা পার করে রবি
পশ্চিমে যায় হেলে,
আসরের আজান পড়লো ছড়িয়ে,
জামাতে শামিল হতে।

 

জ্বলিতে জ্বলিতে অস্তাচলে,
রবি বলে জনে জনে।
সময়ের কাজ সময়ে করো,
বেলা ফুড়ানোর আগে।

 

দিনের আলোর পর্দা সরায়ে,
নীরবে সন্ধ্যা নামে।
মাগরিবের আজান মিনার হতে,
চির শ্বাশ্বত আহ্বানে।

 

পশু, পাখি, প্রাণী, ফিরছে নীড়ে,
মানুষেরা সব আবাসভূমে,
রক্তিমাভ ঢেউ খেলে যায়,
পশ্চিম আকাশ পরে।

 

স্তব্ধ নিঝুম ভেঙ্গে আসে
এশার আজান শুনি,
মনের মাঝে কত ঝড় চলে,
নামাজ পড়িতে না পারি!

 

তোমার স্তুতি করিতে আমার
নেই ক্ষমতা কোন,
দয়া করে যদি পথ দেখাতে,
হিম্মত পেতাম শত।

 

তোমার ক্ষমা যাচে সদা,
মোর তনু আর প্রাণ,
তোমার রাজী, রহম, করম,
আমার অহংকার।

 

ভোর ০৪:৩০ মিনিট,
মধুবাগ, বড় মগবাজার, ঢাকা।

কথা কাজে পরিচয়

কথা কাজে পরিচয়
------------ আরিফ শামছ্

কি হলো আজ পথে ঘাটে, ভালো মানুষ নাই,
অলি, গলি, পথে পথে, জারজ দেখা যায়,
কথা, কাজে, আচরনে মিলবে পরিচয়,
জারজ নাকি ভদ্র মানুষ, সবাই তাহা কয়।

 

পথের মাঝে কিংবা কভু বাজার সদায়ে,
একলা কোন মেয়ে পেলেই, হুমড়ি খেয়ে পড়ে!
বাসে উঠার সময় কিংবা নামার সময় হলে,
পাগল, ছাগল, প্রতিবন্ধী করে কি আর বলে?

 

একলা সীটে বসা পেলে, ভদ্র সেজে বসে,
নোংরা যতো কথা কাজের, প্রকাশ করে হেসে।
সহ্য করার সীমা ছাড়ায়, কেউ বলেনা কিছু,
আশে পাশে যাত্রী বহু, নাইকি মানুষ ভালো!

 

পথে, ঘাটে, বাস, বাজারে, ছুটে প্রয়োজনে,
বেশ্যা মেয়ের মতো তোদের ডাকছে কভু কাছে?
তোরা কেন এত খারাপ, জারজদেরই মতো,
কথা, কাজে, আচরণে, ছুটিস তাদের পিছু।

 

সব হারামী মিলে কেন নোংরা কথা বলিস,
একলা মেয়ে ভাবছে শুধু, কেমন তোরা খবিশ!
নাইকি তোদের মেয়ে ছেলে, ভাই বোন, সংসার?'
কেমন করে তাদের সাথে, করিস বসবাস?

বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২১

বিপ্লবী (২১)

 বিপ্লবী  (২১)

আরিফ শামছ্

১৮/০৭/২০১৯ ঈসায়ী সাল।


বিপ্লবী!

হুংকারে তব,

কাঁপে থরথর,

পাতা-পত্তর সম,

পড়েই নিথর।

পথ হারিয়ে ফের,

পালাতে না পেরে,

পথ ভুলে সব,

পায়েই লুটে।

গর্জ নিনাদ,

ঘুচে বিবাদ,

কন্ঠে বাজে,

ত্যাজি স্বর।

নিরাশার জল,

বয় ছল ছল,

ঝর্ণার ওপারে,

স্বপ্ন সকল।


বিপ্লবী!

কন্ঠে তব,

বার বার রব,

তীক্ষ্ণ ধারালো,

তলোয়ার সম।

 হবে উচ্চারণ,

গগন বিদারী,

কর্ণ ভেদিয়া,

হিংস্র ব্যাঘ্র, 

আসন ছাড়িয়া,

শোনে গর্জন ।


বিপ্লবী!

মার্চের তালে তালে,

পদপিষ্ট পা'তলে,

শত শত পাপ,

নির্বাক পরিতাপ,

করে হা হুতাশ।

অত্যাচারীর পরিণতি,

নির্মম নিষ্ঠুর,

নির্জীব গতিহীন,

হতাশ চোখে,

স্বপ্নের ইতি।


চিরবিপ্লবী!

নূতন করে ফের,

স্বপ্ন বুনন,

চলে অগণন।


স্বপ্ন-সত্যি,

হেরার জ্যোতি,

পাথেয় মোতি,

সবি হবে আপন।


বিপ্লবী!

ঝড়ের গতিতে,

সময়ের আগে,

সবারে ছেড়ে,

জয়ী হবি।

চির বিপ্লবী। 


পরাভব মেনে,

সবাই নেবে, 

হবেই হবে

তুমিই জয়ী,

চির বিজয়ী।

শুক্রবার, মে ২৯, ২০২০

১১৩। বইমেলা


বইয়ের মেলা, মে--লা বই,
কোথায় খোকা, খুকি।
প্রাণের মেলা, শত শত,
করছে ডাকাডাকি।

ভীঁড় করেছে সবাই দেখো,
পড়ে জামা জুতো,
বারে বারে আসতে মেলায়,
ধরছে নানা ছুঁতো।

দেখতে পাবে নামী দামী,
কবি, লেখক, যতো,
নিজের বইয়ে দৃষ্টি ফেলে,
ভাবছে কী যে কতো।

তাকিয়ে রবে, পলকহীন,
ভাবছো, কেমন করে!
ভাবের মালা, গাঁথছে নিতুই,
শব্দ, কথা ধরে।

ঐ যে দেখো পাথর চোখে,
বর্ণ সাদা কালো,
বইয়ের গায়ে দেখছো কতো,
ছবি আঁকলো ভালো।

মনের চোখে, দেখো সবে,
আজো জেগে তারা,
পথ দেখালো, পাতায় পাতায়,
করলো জীবন সারা।

মনের কথা, ধ্যান-ধারণা,
পরশ বাণী কতো,
জীবন পথে, দিশা দিবে,
সফল মানুষ হবো।


আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া।
মীরেরটেক, মগবাজার,
রমনা, ঢাকা।
২৫/১০/২০১৭ ঈসায়ী সাল।
রাত ১২:১০।

১০৯। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা প্রিয় বাংলাভাষা


সকল দেশে ভাষা জীবন,
ভাষা সবার প্রাণ,
ভাষা বিনে যায় কি বাঁচা,
থাকে কিহে মান?
ভাষা দিয়ে স্বপ্ন গাঁথা,
নিপুণ জীবন গড়া,
ভাষা দিয়ে হয় বিনিময়,
মনের সকল কথা।

জীবন জুড়ে নদীর মতো,
পাখির কলরব,
পরিচয়ের নিত্য বাহন,
অধম, উত্তম সব।
ভাষা শিখি মায়ের মুখে,
গল্প, কথা, কাজে।
মায়ের স্বরের উচ্চারণে,
ভাষা নিতুই সাজে।

মাতৃভাষা ভাষার সেরা,
বাংলা মাতৃভাষা,
এই ভাষাতেই মরা বাঁচা,
চলে কান্না হাসা।
শান্তি সুখের তরী বেয়ে,
জীবন চলে কতো,
মাতৃভাষায় সব খুঁজে পায়,
প্রয়োজন যা' যতো।

বাংলা ভাষায় জানতে পারি,
আল্লাহ্, রাসুল (সাঃ) প্রিয়,
ধর্ম আমার ইসলাম সেতো,
পরশ পাথর স্বীয় ।
মাতৃভাষা মোদের তরে,
খোদার সেরা দান,
এই ভাষাতেই সকাল সাঁঝে;
গায় তাহারি গান।

ভাই আমাদের সালাম, বরকত,
রফিক, জাব্বার প্রমুখ,
বুকের তাজা রক্ত ঢেলে,
রাখলো মায়ের মুখ।
ধরাতলে উজল হলো,
সবার স্বপ্ন আশা,
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা,
প্রিয় বাংলাভাষা।

ধরাতলে উজল হলো,
বাংলা ভাষার শান,
বাংলাভাষা পেলো আজি,
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার মান।

২০/০২/২০১৮ ঈসায়ী সাল।
নাফী টাওয়ার,
৭ম তলা,
গুলশান-০১,
ঢাকা-১২১২।

মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ১০, ২০১৯

৯৫। আরিফীনের জন্মদিনে (বড় সাহেবজাদা)


কোন পাহাড়ের চূঁড়া থেকে,
                নামলো এমন শীতলধারা,
কোন গগনের মধ্যিখানে,
                 জাগলো শশী আত্মহারা।

কোন তটিনী ধেয়ে চলে,
                  খুশির চোটে, আপনমনে,
ফেনিল কোলে পদ্ম দেখি,
                   নাচছে গাইছে ছন্দতালে।

কোন প্রভাতে, আভীর মেখে,
                   চমকে দিলো সকলজনে।
প্রথম হাসি কান্নাকাটি,
                   মধুর আওয়াজ সহসাতে।

আরিফীনের সূর্য বুঝি,
               উঠলো হেসে মায়ের কোলে,
ডিসেম্বরের ত্রিশ তারিখ,
               স্মরণীয় হৃদয়-পটে।

৩০/১২/২০১০ ঈসায়ী সাল।
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
ভাদুঘর, সদর, বি-বাড়ীয়া-৩৪০০। 

৯১। জীবন সাথী


আমার জীবন সাথী,
              ভালবাসার উৎস,
পরম স্বার্থকতা,
               স্বপ্নীল আশার জন্ম।

জীবন তরনীর সফল নোঙ্গর,
               প্রান্তিক মাইল ফলক,
জীবন থেকে জীবনে,
                সফলতার নিয়ামক।

আমার উৎসাহ, প্রেরণা,
                 স্বার্থক অনির্বাণ,
অপরিসীম স্বপ্নের নীলিমা,
                ডাকে স্বপ্নের বান।

শয়নে স্বপনে, আশা বাস্তবে,
                হৃদয় হতে হৃদয়ে,
প্রেম ও ভালবাসার ফল্গুধারা,
                অমীয় সুধা অন্তরে।


১৭/০৬/২০১০ ঈসায়ী সাল।
অর্ধাঙ্গিনী খালেদা ইসলাম ভূঁইয়া - কে
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
ভাদুঘর, সদর, বি-বাড়ীয়া-৩৪০০।

বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৯

রঙমহল

৭৯। 
 

সাথী আমার জীবন সাথী,
কোথায় ছিলে তুমি?
তোমার তরে ভালবাসার,
আকাশ রেখেছি।
ভাবতে পারো উজাড় কিনা! আঁধার আঁধার ভরা,
জীবন আমার ঘূর্ণিপাকে!  নাকি মরণ ছোঁয়া।

ভালবাসার মহারথে চলবে জীবন ভর,
ভালবাসায় খুঁজে পাবে, পূর্ণ তব মন।
আকাশ সে তো নয়গো জেনো, মহাকাশ দেখো,
তারায় তারায় সাজিয়ে দিলাম, তোমার তরে শুধু।

খুঁজে পাবে চন্দ্র, তারা, রবিকরের মাঝে,
 চায়বে যখন সঙ্গ তুমি, সকাল-সন্ধ্যা-সাঁঝে।
এলোমেলো ঝড় যখনি আসবে জীবন মাঝে,
ভালবাসার ঢাল দিয়ে সব, রুখবো দু'জনে।

ভয় পেয়োনা নূতন সাথী, কভু বিপদ দেখে,
পাশেই আছি পাশাপাশি, থাকবো তোমার হয়ে,
এসো রচি ধূলীর ধূলায়, ভালবাসার রঙমহল,
প্রেম-তুলিতে স্বপ্ন আঁকি, হাসি-খুশি, সুখ-আঁচল।

রচনাঃ
২৪/১১/২০১২
২৮/১, পূর্ব নয়াটোলা,
বড়মগবাজার, রমনা, ঢাকা।

অব্যক্ত নিঃশ্বাস

৭১।  


শরতের আকাশে ভেসে চলে মেঘেরা,
কোথাকার কোন ডাকে, তারা আজ থামেনা।
চলছে নেচে নেচে, নীচে ঝরে পড়েনা,
বুক ফাঁটা মেঠোপথ, অভিমানে চাহেনা।

তারাদের আলো সব বাধা পায় নামতে,
পরীরা ঘুরে ফিরে, পারে নাক নাচতে।
জীবনের খেঁয়া ঘাটে,  নেই কোন লোকজন,
চঞ্চল মন নিয়ে, ছুটে কেউ প্রাণপন।

অলীরা ঘুরেফিরে, নির্মল বাতাসে,
বসেনা ফুলেতে, অজানা অভিমানে।
পাখিদের ভীঁড়ে খুঁজে, চাতকী প্রিয়কে,
কোকিলের গান সব, ফিরে আসে পাহাড়ে।

পাহাড়ের মৌনতা,  কত বড় অভিমান,
পুকুরের নীরবতায়, প্রাণ করে আনচান।
জীবনের পুরোটাই, থাক সুখ শান্তি,
সফলতা উন্নতি আর যত প্রশান্তি।

ছুটে চলা অবেলায়, বিনীত চাপা শ্বাস,
প্রাণপন ছুটে চলে, আজ যেন নাভিশ্বাস।
পথহারা দেউলিয়া, পায়না আশ্বাস,
কোথা গেলে মুছে যাবে, অব্যক্ত নিঃশ্বাস।

আরিফ ইবনে শামছ্
রাত ২২:১৫ মিনিট,
০২/১১/২০১০ ঈসায়ী সাল।
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
সদর, বি.বাড়ীয়া।

ভালবাসি দিবা-নিশি _সূচীপত্র

কপিরাইট আইন: জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট, লঙ্ঘনের কারণ, সমস্যা ও সমাধান

📄 প্রবন্ধ শিরোনাম: “কপিরাইট আইন: জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট, লঙ্ঘনের কারণ, সমস্যা ও সমাধান” ✍️ লেখক: আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া (আরিফ শামছ)...