পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

৪০। শিশির মেলা

বিলিয়ে দিতে তোমার তরে, চাই তনু আর প্রাণ, ভালবাসা হউকনা জমা, কোমল হৃদের ত্রাণ। দুরু দুরু বুক চেয়ে যায়, করুণার সে বৃষ্টিধারা, তোমার প্রেমে মন হারিয়ে, কে হলো আর পাগলপারা? হলুদ ফুলের মেলা কভু, বসছে কি আর তোমার বাগে? মনোলোভা অচিন ফুলে, সাজিয়ে দিতে কেউ এসেছে? হৃদয় সঁপে দরদ ঢেলে, কেউ গেল কি গান গেয়ে, তোমার মনে স্থায়ী আসন, কে নিল আজ তা' কেড়ে? শিশির মেলা জমছে মাথায়,  কবে তাহা কেবা জানে; জানলেনাতো কোন্ মনে সে, বসে থাকে কোন্ সে ধ্যানে? সব হারাতে চাই কেনো সে, তোমার হৃদয় জয়ে; সময় কত যায় বয়ে যায়, জীবন নদীর তটে। থামবে কভু জীবন যাত্রা এমনি করে কোন কালে? বিভোর কেন তোমার প্রেমে, যাই খুঁজে তা মুগ্ধ মনে। জীবন জুড়ে সবার আছে, ভালবাসার শরৎ সকাল; কেউবা দেখে বুঝতে পারে, যায় যে তাহার সান্ধ্যকাল। লাগলনা যে সফল হাওয়া, এই হৃদয়ের খোলা দোরে! চলেনা যে প্রেমের তরী, চলবে কি তা' হাওয়া বিনে? ভালবাসার জল কি সেঁচে, যাবে তাদের তরে? ভালবাসে তোমায় যারা, নিজের প্রাণের চেয়ে? রচনাকাল : ২০.০৯.২০০১ ভাদুঘর,সদর, বি.বাড়ীয়া।

৩৯। ধূসর প্রেম

আরিফ ইবনে শামছ্ ৩০.০৮.২০০১ হৃদয়ের অতল গহ্বরে অতন্দ্র প্রহরী সেজে, সহাস্য কলতান সঙ্গী হয়ে; জীবন নদীর তীরে। এ কেমন আগমন তব? মনোবাসনার এমনি প্রকাশ; সহজ অংকটি তোমার বুঝেনাতো সে, আজো ম্রিয়মাণ। সাধণার মানবী, ভালবাসার উৎসারিত ঝর্ণা; কেন জাগালে হৃদয়ে তাহার, দ্বারে দিতে ধর্ণা। পাবনা এ অলীক কথার পুষ্প কভু জাগবেনা? পেয়ে যাবো এমন ধারার ঊর্মি কি আর ডাকবেনা? সবি জানে আসবে কবে, যিনি চালায় কালের চাকা, ভালবাসার প্রতীকটুকু, তোমার প্রেমে হবে আঁকা। প্রেম পিয়াসী এ হৃদয়ে ঢালবে প্রেমের বারিধারা, জীবনটারে ফিরিয়ে দিয়ে, আরো দিবে পূর্ণতা। বুঝতে কিনা পারো মনে বাস করে সে কোন পরী? ব্যাথার দানে বিষের বাঁশি, বাজায় এ কোন সুন্দরী!! জীবন জাগার গান কবে কার, পথ হারালো কিসে? ফিরিয়ে দেয়ার ঢালিখানি, বাঁধ সাধিল শেষে। জানতে চাহে ঢাললে তুমি, কোন্ মদিরা এই পিয়ালায়? পথ চলিতে, পথ হারিয়ে,  কোন্ কারণে পথ ভূলে যায়? চাইনি কভু এমন ধারা, তবু কেন আসলো ঘিরে! এই অবসাদ; হতাশ মিছিল ; ভালবাসা চাই কি বলে? আশার স্বপন, হৃদয় কাঁপন, সব মিলিয়ে ছন্দ পতন! পাব নাকি হৃদয় তলে; কভু প্রমের বর্ষাবরণ! ফোটবেনা কি প্রেমের ফুলে

৩৮। সম্পর্ক

ফোনের অপর প্রান্তে অভিযোগ, "এইভাবে কি সম্পর্ক রাখা যায়"? সাবলীল জবাব, হ্যাঁ। প্রয়োজন আর অপ্রয়োজনে এ দাবী সবার। অভিমানী কন্ঠ নীরব, নিথর, হতচকিত! "কি জানি বুঝিনা আমি এতোসব"। দিন যায়, মাস যায়, ঘুরে যে বছর, বন্ধু কিংবা আত্মার কেউ রাখে কার খবর? ব্যস্ত দুনিয়ায় নাই সময় নাই নাই, "পথে হল দেখা, বলা হল কথা-চল যাই", আঁড়ালে চোখের, দূর হতে দূরে যারা, না পাওয়ার নানা বাহানা, খুঁজে ফিরে তারা! সচেষ্ট কেউ সুখের রাজ্য গঠনে, কেউ দখলে, কেউ মত্ত কচিশিশুদের অজানা রাজ্য আবিষ্কারে। কেউ ব্যস্ততার মহাপ্লাবণে, খুঁজে লক্ষ্য-বন্দর, কেউ ছুটে নাভিঃশ্বাসে পৌঁছিতে বাতি-ঘর। সংসার করে কেউ, সংসার গড়ে,  সরবে, নিভৃতে, শত বেদনারা চাঁপা পড়ে, সে সুখেরই আলিঙ্গনে। স্মৃতির ঝলকে কেউ খুঁজে পায় তৃপ্তির মহাসুখ, কেউ ভূলে যায়, কেউ পারেনা, ভূলিতে সঞ্চিত দুঃখ। তবু আছরে পড়ে, বেশুমার ঊর্মিমালা জীবনের উপকূলে, বড়ই অভিমানে কভু, হিংস্র আগ্রাসে তীব্র গতিবেগে। পাহাড় সম ব্যাথার পাহাড় ফিরছে বারেবারে, অভিমানের ফানুস ফেটে, ছুটছে তীরের পানে।

৩৭। ভাই হারিয়ে

ধরাতলে আগমনে আজান দিল খুশি মনে, ভাবছি বসে ধূলীর ধরায়, গোছল, নামাজ বাকি আছে। শোক সাগরে ভাসিয়ে দিয়ে চলে গেলে বিভুর কাছে, "আসতে হবে আমার মতোই যখন তোমার সময় হবে"। সারা বেলা কাঁদলো আকাশ, নিথর, নীরব, সব দেহ -প্রাণ। আশার তরী, ডুবল আজি, শোক-সবুরে, তোমায় খুঁজি। প্রদীপ সম ছিলে তুমি, বলছে ইমাম, সবে, নিভে গেলো চেরাগ, কেন? কিসের অভিমানে! পি.এ.টি.সি'র গাছ গাছালী নিথর মাথা নত, শোকের কথা বলে যেত, যদি ভাষা পেত। কি হারাল, কি যে হল, ডাকছে মাথার 'পরে, যমকুলি আর অন্য পাখি, কাঁদছে পালা করে। সবাই যখন দাঁড়িয়ে গেল, তোমার জানাজায়, শোকাহত পাখিগুলো চুপটি করে ধায়। শোকানলে সবাই দেখো, করছে হাহাকার, মাফের তরে করছে দোয়া,  খুলে মন-প্রাণ। "কোমলমতি ছেলে মেয়ে প্রভুর জিম্মায়, পরিবারের সকল কিছু দেখো পরওয়া তোমার দেয়া মুসিবতে শক্তি, সাহস দিও। এমন কিছু নাইবা করি, তুমি নারাজ হবে, তোমার দেয়া সরল পথে, থাকি যেন সবে। শোকাতুরা মনে প্রভু! চায়গো তোমার কাছে, অপার দয়ায়, রেখো তাঁরে, জান্নাতী করে। তাঁহার মতোই সবার তরে, জীবন যেন গড়ি, সুখে- দুঃখে সব মানুষের, আপন হয়ে থাকি। ১২.০৮.২০

৩৬। সিগন্যালের গ্যাঁড়াকলে

পীচঢালা রাজপথ ছাড়িয়া অভিমানে, নৌকায় চলিলাম জ্যামের, অত্যাচারে। সময় বড় বেশী স্মার্ট  হয়ে গেল আজ, তাড়া খেয়ে পিছু ছুটি, লাগে যে লাজ। নাই কেহ দেখিবার? করেনাতো সমাধান, জীবনের কত বেলা, অপচয় বেশুমার। লেইট খায় কখনো, কেটে নেয় বেতনের, কখনোবা পুরোটাই হাতছাড়া মেজাজের। ক্লাশ আর লেকচার কিংবা পরীক্ষা, সময়ের পরে গেলে, ব্যাহত শিক্ষা। চাকরি পেতে হলে কর লাফ-ঝাঁপ, লেইট করে হলে গেলে,পাবে নাক মাফ। মাথা ব্যাথা নেই কারো, কোন রুপকল্প, শোনা যায় লুটেপুটে, সব খাওয়ার গল্প। জনগনের ভাড়া সব, যায় কার পকেটে, প্রতি বছর দেখে যায়, সবকিছু লোকসানে। লেখাপড়া, চলাফেরা, বসবাস শান্তিতে!!! চাকরি, সেবাদান, সব যায় পাল্টে। বিনোদন, দাওয়াতের বেজে যায় বারোটা, সিগনালের গ্যাঁড়াকলে শহুরে জীবনটা।

৩৫। সাগর পাড়ে

পূব আকাশে উঠলো জেগে রঙধনুটা হঠাৎ হেসে, দেখতে পাবে হরেক রঙে প্রেমের রাণী বসছে ধ্যানে। বাস করে তার প্রেমের পুরুষ, পৃথিবীরই প্রান্তকোণে, ভাবছে বসে কেমন আছে, চিত্র আঁকে হৃদয় পটে। জানেনাতো নদীর বুকে বইছে কি জল আগের মতো, দল বেঁধে কি মাছ ভাসে তার, গভীর বুকের অতল তলে। ফুটলো কি ফুল; হৃদয় কাঁড়া হাসি দিয়ে বাগান মাঝে, পসরা আজো সাজায় কিনা! প্রেমিক হৃদয় আমার তরে। বাস করে সে আকাশ পরী, তাদের ধরা আকাশ পাড়ে, হয়না যখন ডাকা তারে, পৌঁছবে সেথায় কেমন করে? হাসছো কেন দিবানিশি, হৃদয় লুটে অচিনপুরে, খেলছে দেখো দেহমাঝে গভীর কাঁপন বারেবারে। জানলেনা তো হৃদয় মাঝে, আছে এ কোন পূর্ণতা! দেখলে প্রকাশ হবে তাহা, শুধুই কেবল শূন্যতা, আশার পালে লাগছে হাওয়া, এ যে আজি কল্পনা, কভু কী আর আঁকা হবে হৃদয়পটে আল্পনা। তোমার আশা মিলবে সবি, একই নদীর মোহনাতে, গড়বো সুখের জলের নীড়, সুদূর দেশের সাগর পাড়ে। থাকবেনাতো আপন পর, লাগবেনা কেউ পিছু কারো, শান্তি সুখে রবে সদা, মনে প্রাণে শান্তি যতো।

৩৪। সফেন পদ্ম

মুখোমুখি আজ জটিল ধারায় কোন সে পথে; ধেয়ে যাব; একাকী কূজন রবের লেশ ধরে, থাকবেনাতো মাথার 'পরে, মহীরুহের ছায়া কোন, ডাকবে ডাহুক ঝিঁঝিঁ পোঁকা, চলতে হবে ধীর। কোথাও হবে নিকচ আঁধার, ভয়াবহ সন্ধ্যাবেলা, থাকবে আবার সৈকতে, বিজন ভূমির প্রেমের মেলা, নাহি পাবে শান্তি কিছু, হেথায়-হোথায় বৃথাই  ঘুরে, অমাবস্যার আঁধার রবে, হৃদয় ভরে, পূর্ণিমাতে! হয়তো কভু পড়বে মনে; প্রিয়তমারর কথার বাঁকে, দেখেছিলে প্রিয় বদন, উঠতো হেসে খিলখিলিয়ে। পাবে কি সেই প্রেমের পদ্ম, থাকতো যাহা সদা পাশে! দেখলে তোমায় পদ্মখানি, সফেন রঙে ওঠতো হেসে। আকাশ ভরা জমতো আভীর; তোমার এমন বসন দেখে, হৃদয় কেঁড়ে ছুটতো পাখি, মাথার পরে গগণ জুড়ে, কালো মেঘের আনাগোনা তোমার মুখে হতো যবে, তন্ত্রী গুলো পড়তো তখন ভীষণ ঝড়ের  ঘূর্ণিপাকে। তোমার দেখা ধুমকেতু কি? জাগবে আবার হৃদয়াকাশে, জমবে আবার প্রেমের মেলা! সে কি রবে কল্পনাতে? জানলেনা তো মনের খবর! বুঝলেনা যে ঋতুবদল! আসছে ধেয়ে জীবন জুড়ে, কাল-বৈশাখী ভেঙ্গে আগল। রবে কল্পনাতে? জানলেনা তো মনের খবর! বুঝলেনা যে ঋতুবদল! আসছে ধেয়ে জীবন জুড়ে, কাল-বৈশাখী ভেঙ্গে আগল।

৩৩। হৃদয় কন্দরে

কবিতা তোমার আশ্রয়স্থল হয়তো হারিয়ে যাবে! মিশিয়ে দেবে দুঃখের উদ্ভট গন্ধ মেশানো মদে। হারানোর বেদনা সে যে তিক্ত পেয়ধারার মতো, আশা করা হয়না কভু যা'দিয়ে যাবে যতো। মসৃণ হৃদয়ভূমে জাগাবে ধূ ধূ মরুময় বালুকারাশি, জাগবে হৃদয় নদীতে বেদনার বালুচর রাশি রাশি। যে নদী বয়ে চলে, প্রিয় জনের ভালবাসার সন্ধানে; সে যে কী মরুতৃষা নিয়ে চলে, জানেতো কেবল সে। জানবে সেদিন ভাল করে,ভালবাসা হৃদয়পটে, সুন্দর সেতো অনন্যা,বলছি মধুর লগন মাঝে। ভাল করে নিও দেখে, কবিতার সব অঙ্গ জুড়ে, বিষাদমাখা অশ্রুসজল, কান্নাতে যার বুক ভাসে। সন্দেহের বোমারু বিমান, মনাকাশে যায় উড়ে যায়, মরণবীণায় প্রাণ কে দেবে , নির্লিপ্ত সব   আঁখি তাই। ভাগ্য কারো তৈরি করা, কারো আবার গড়তে হয়, জীবন মাঝে যুদ্ধ করে, প্রাণকে আপন করতে হয়। প্রতিভার স্বাক্ষর নাকি, বিরহের মহাঔষধ! জীবনের প্রাণসঞ্চালনে, মৃত দেহে সঞ্জীবন। অসভ্য প্রবৃত্তিকে খুঁজে বের করে, বধ্যভূমিতে কর বধ, দাও প্রেরণা, মহান সে প্রভুর আভাসে, তুমি দিনভর। স্বপ্ন দেখাও, পথের দেখা, জীবন পথের কত মেলা! লাভের দেখা মিলবে কবে, সেই হিসেবে জ্ঞান হারা। কবিতার সৃষ্টি তব, প্রেম নিবেদন, নি

৩২। সান্ত্বনা

[মেঘনার কন্যা খ্যাত তিতাস বিধৌত, শিল্প-কলা, সাহিত্য-সংস্কৃতির সূতিকাগার, প্রখ্যাত  ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার সবুজ-শ্যামল ভূমি শহীদী রক্তে সিক্ত - রঞ্জিত; ২০০১ সালে ফতোয়া রক্ষার আন্দোলনে ০৬ জন বীর মুজাহিদ  শাহাদাৎবরণকারী ভাইদের স্মরণে। সুমহান আল্লাহ তাআ'লা এর বিনিময়ে সত্য-ন্যায়ের তথা ইনসাফের রাজত্ব ক্বায়েম করুক।] আম্মা! তুমি কেঁদোনা আর, চোখদুটি ভরে তুলোনা লোনাজলে; পাঁপড়ি চোখের সিক্ত করোনা অশ্রুতে; মনের পৃথিবীকে ধূ ধূ মরুভূমি করোনা। আমি ছিলামনা কিছু দিন আগে, তোমার পাশে নয়নতারা হয়ে? কাটায়েছি শৈশব কৈশোর তোমার কোলেতে। মাগো! আমি মরিনি জানো! সৌভাগ্য আর নিঃসীম সুখ-ভোগ, সুদর্শণা ললনারা দিয়েছে হাতছানি, যাদেরকে জানি রুপসী- অপ্সরী। যাদের ভালবাসা প্রতিটি মুহুর্তে, ঘিরে রেখেছে আমায়, বাঁচিয়ে রেখেছে। সে'ভালবাসার সম্পূর্ণ ভিন্ন স্বাদের প্রলোভনে, স্থির থাকতে পারিনি; আর তাই পড়লাম লুটিয়ে। আল্লাহর সেনা হয়ে, তপ্ত লৌহ বুকে রেখে, কে মানিতে চায় বলো মা! ধৃষ্টতা খোদার সাথে? মহান প্রভূর সেই ঝর্ণাধারায়, সবার আগেই চলে এলাম। তুমি কাঁদো কেন বারবার? দেখোনা চলে কত খেয়া পারাপার! অধীর আগ্রহে

৩১। জানলেনা

হাজার বছর ধরে, যে পাটাতনে দাঁড়িয়ে, জানলেনা আজো, জানলেনা সে কে? হাজারোবার যে দ্বারে, টোকেছে বাসনার ইঙ্গিত! সে দ্বার খোলেনি, গেয়ে গেল শব্দহীন সংগীত। অব্যবহিত পূর্বে কিংবা পরে, কেঁউ ডাকল কি? সুমধুর স্বরভঙ্গিতে সব সম্বোধণে!ওগো সম্রাজ্ঞী! তিলোত্তমা উপহার, সব শূভ্র ফুলের মালা, সম্রাটের শাহী অশ্বের খুঁড়ের ছন্দে পড়লো বাঁধা! নাই রাজ অশ্ব, নেই শাহী ফরমান, প্রতিটি রক্তকণিকা বলে, তুমি নীল আসমান, কখনো সুনীল রঙে, স্বপ্নিল সাজ নাও, কভু তারকার স্নীগ্ধ আলোর আঁচল দাও, দিবানিশি পাষাণের মতো, নীরব যে থাকনা, আমার সুখের তরে, তোমার সকল বন্দনা। তোমার রূপের মহাসমুদ্রে, আমি যে বিভোর, মহাইন্দ্রজালের প্রেমময় ভূষণে, দেখি প্রতিটি ভোর। রাত ১ টা ৪৫ মিনিট, ২০/০২/২০০৩ ঈসায়ী সাল।

৩০। !!! জাগবে কবে, বীরের জাতি !!!

কলম তোমার ভোঁতা কেন? মুখে নেই কোন রা!! ভয় কি তোমার দেশ কাঁড়িবে ! রোহিঙ্গা না বৌদ্ধরা ? তাকাও! তোমার আপন জনের মুখটি বারেক দেখো, কারো আঘাত সইবে কভু, নীরবে তা' ভেবো !!! যালিম - জুলুম করছে কেমন !!! তাকাও মায়ানমানমারে, মানব শত্রু বৌদ্ধরা আজ আসল পরিচয়ে। "প্রাণী হত্যা মহাপাপ", অভিনয়ের বানী !!! মানুষ খেকু বৌদ্ধদের সব, দেখছে বিশ্ববাসী !!! বিশ্ব মাঝে তাকাও তুমি মুসলিমরা কি নয়রে প্রাণী??? ইরাক,সুদান,আরাকান, কাশ্মীর , হচ্ছে সেথায় কি ??? বিশ্ব মোড়ল চুপটি কেন? করছে   কিসের কাজ !!! চাও কি তুমি বিশ্ব মাঝে , মানবতা  নিপাত যাক। নেতা কোথায় ? কে দাঁড়াবে? মজলুমের পাশে বলো? ঘরে বাইরে মারছে সবে, শূন্য উঠান দেখো !!! নাইকি তোমার রক্ত, মাংস, মরলো বিশ্ব বিবেক? চলো ভাইরে জানাজাতে, দাফন করি তাদের। মারছে আজি সারে সারে,  নিঠুর অত্যাচারে, তিলে তিলে দিচ্ছে ঠেলে, ভয়াল  মৃত্যুকূপে। আর কতো দিন দেখে যাবে মরন জ্বালা নীরব চোখে, বাদ-প্রতিবাদ, ন্যায়ের যুদ্ধে, বীরের জাতি জাগবে কবে? ফখরে বাঙ্গাল নিবাস, বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২, ভাদুঘর, সদর, বি.বাড়ীয়া-৩৪০০।

২৯। জাগাও তুমি, জেগে ওঠো !

--------আরিফ ইবনে শামছ্                ২২.১১.১৬ ঈসায়ী সাল।                               বিকাল ৫:১৫। পূর্বে তোমার ঈমান- অস্ত্র সবি ছিল চোখ ধাঁধানো; আজ কি হলো ভাইরে তোমার, সব কিছুতেই হেয় হারালো ! হালাল ছেড়ে হারাম খেয়ে, নাই ঈমানের দৃঢ়তা, প্রতিবাদী কণ্ঠে কেনো দ্রোহের আগুন জ্বলেনা ! সাহস খনি হারিয়ে গেলো, নাকি কাউকে সঁপে দিলি !!! ভীরু ভীরু ত্রস্তপদে বাঁচবে নিজে? না কা'রে বাঁচাবি? দুর্বলতার সুযোগ পেয়ে, চামচিকারা কী করে !!! শের এ খোদার ঘুম ভাঙ্গানো; উচিত হবে কবে??? নাও তব সে পূর্ণ ঈমান, বর্ম পড় আমলের, নাও তুলে সেই তলোয়ার, রাঙ্গানো ঐ বিশ্বাসের। মুক্ত তোমায় করবেনা কেউ, মারবে বেঁধে বেঁধে, বিশ্বাস যদি নাইবা হবে, তাকাও বিশ্ব মাঝে। জাগাও তুমি, জেগে ওঠো সিংহ শার্দূল সব, ঝাঁপিয়ে পড়ো, বিদায় করো পাষাণ পাপী যত। যালিমদের আজ দাও পাঠিয়ে, অগ্নি- ভরা খাঁদে, ন্যায়ের খড়গ কত নিঠুর দেখুক বিশ্ব-সবে। ফখরে বাঙ্গাল নিবাস, বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২, ভাদুঘর, সদর, বি.বাড়ীয়া-৩৪০০।

২৮। ফেরেশতাদের বাগানে

কোকিলের কুহু কূহু, তটিনীর কলরব; সবুজের সমারোহ, সাজানো যতোসব। ফুলে ভরা থরে থরে, মনোহর বাগিচা, হার মানিবে নীরবে, বারেক এসে দেখনা।  কচিকাঁচার মিলন মেলা, ফেরেশতাদের বাগানে, কে যাবে ভাই, শান্তি পেতে, সকাল দুপুর সাঁঝে, শুনতে পাবে ঐশী কালাম, অতি মধুর সুরে, মহানবীর (সাঃ) বাণী বাজে, কচিকাঁচার স্বরে। ধূলীর ধরায় স্বর্গ যদি, দেখতে চাওরে কভু, ছড়িয়ে থাকা বিশ্ব মাঝে, মাদ্রাসাতেই এসো। নয়কো একা, বন্ধু সহ, আপনজনা নিয়ে, মনেপ্রাণে শুনে নিতে, শান্তি সুধা পানে। আলেম, হাফেজ, ক্বারি সাহেব ইসলামের রাহবর, তৈরি হচ্ছে দ্বীনের দাঈ, যুগের মান্যবর। উঁচু করে ধরবে তাঁরা, ধ্বজা ইসলামের, সগৌরবে পৌঁছে দিতে, বাণী ইহসানের।      নিবেদক, আরিফ ইবনে শামছ তারিখঃ ২৩.১১.২০১৬ সময়ঃ রাত ১২টা ৩০ মিনিট। ঢাকা, বাংলাদেশ।

২৭। "আহলান সাহলান মাহে রমজান"

মাহে রমজান পরিপূর্ণ নিয়ামতে আল্লাহ্‌র , তারাবীহ,তাহাজ্জুদ, পূণ্য মনে সেহরি- ইফতার,। মসজিদে মসজিদে সুমধুর তিলাওয়াত; রুকু-সিজদায়,নামাজে-দোয়ায় বান্দারা আল্লাহ্‌র। যায় বয়ে পবিত্র সময়, বহে শান্তি সমীরণ, শান্তির হাওয়া বয়, দেহ-মন কথা কয়; ভোর হতে সন্ধ্যায়;আর যখন রাত্রি, মিলেনাতো এমন সুখ! খুঁজে ফের যদি। রমজান নিয়ে আসে জান্নাতি হাওয়া, মনে-প্রাণে শান্তি,সবি কাছে পাওয়া। যায় বুঝে সহজে এই মাস আল্লাহ্‌র, চাও বেশি জীবনে যতো যা' চাহিবার। তাসবীহ-তাহলীল, রাসূলের দরুদে; যায় বেলা এমনি সুখ আর শান্তিতে। চলো যায় জামাতে,নামাজিদের কাতারে, চাওয়া-পাওয়া সবি বলি সুমহান দরবারে। আরিফ ইবনে শামছ ০৬.০৬.২০১৬ ১৯.২৬ আশা টাওয়ার, শ্যামলী, ঢাকা।

২৫। বিজয়ী কাব্য-গাঁথা

বাংলাদেশের কোটি প্রানের, চাওয়া-পাওয়া একটি জয়, আকাশে বাতাসে, ধ্বনি–প্রতিধ্বনি ভাসে “হবেই হবে জয়”। বিজয়ের মাস, বিজয়ী শক্তি আছে, পেশীতে হালাল শক্তি, বলে বলে পতন নিশ্চিত; বিরোধী শিবিরের সেনা-সেনাপতি। কত কি যে চায় আল্লাহর কাছে; জীবনের বেলা-ভূমে, চলো দুহাত তুলি তাসকিন ভাইয়ের মতো শুধু জয় চেয়ে চেয়ে। পতাকা মোদের উড়বেই আকাশে বিজয়ী নিশান বেশে,                         গ্যালারী,ঘরে,অলিতে গলিতে, প্রাণ রবে অস্থির, বিজয়ী উল্লাসে। ছক্কা চারের মারের জোয়ারে, পালাবে সব জরা-জীর্ণতা, ছন্দে ছন্দে মনের আনন্দে, বিজয়ী কাব্য-গাঁথা। ভূল-ত্রুটিকে আজ জানাবে ছুটি, “গর্জে ওঠো বাংলাদেশ”, তোমাদের মাঝে বাংলা কে পায়, ভূলে সব ভেদ-বিভেদ। রান আউট আজ ভুলে যারে ভাই, রান নিবি পায় পায়, বাঘের হিসাব কেমন পাঁকা, বুঝিয়ে দেবে, কড়ায়-গন্ডায়। কেমন থাবা বাঘের থাবা, বুঝবে তারা’, পড়বে যারা, বিজয়ী হয়ে বীরের বেশে, ফিরতে চায় দলে দলে। দুপুর ০৩ টা ৩০ ০৬.০৩.২০১৬ আশা টাওয়ার,শ্যামলী, ঢাকা।

২৪। ভালবাসা

ভালবাসার আকাশ পেলাম, রংধনুটা কৈ? ফুলে ভরা বাগান পেলাম, গোলাপখানা কৈ? তারা ভরা আকাশ দেখি,শুকতারাটা খুঁজি; নিশাচরের ডাক শুনি আর, ভালবাসা খুঁজি। ভালবাসার স্বপ্ন দেখি, মন-মুকুরের মাঝারে; ভালবাসার পিদিম জ্বালায়, বাসনার আঁধারে। ভালবাসি হৃদয় ভরে, রাখি সদা অন্তরে; নিঝুম রাতে পাই খুঁজে পাই, ভালবাসার প্রান্তরে । বালিয়াড়ি বলে বেড়ায়, প্রাণ যে নিল পাষাণী! প্রাণ পেলে তো বাগান হবে;গাইবে গানের পাখি । ভালবাসার জলধারা, আনবে বয়ে কে’বা! ভালবাসার ঝরণাধারা লুকিয়ে আছে কোথা? ভালবাসার মানুষ পেলাম, ভালবাসা কৈ? ভালবাসার কথা শুনি, স্বাদ যে তাহার কৈ! ভালবাসার রশ্মি পেলাম, সুরুজটারে খুঁজি; ভালবাসার চাঁদ ও আমার! তাইতো এখন বুঝি। রাত ১২ টা ৩০ ২৪.১১.২০১২ ২৮/১, পূর্ব নয়াটোলা, বড় মগবাজার, রমনা, ঢাকা।

২৩। নতুন করে গড়ি

নেতা মেনে যার কাছে ভাই সব কর সমর্পণ; সরলতার সুযোগ নিয়ে,সব করে সে ভোজন। যাদের কাছে আশার আলো,তারা করে ভান, দিবালোকে ঘুমায় তারা; বাড়ে তাদের মান। কষ্টে আছি, কষ্টে থাক, কার কি আসে যায়? তোমার আমার রক্ত চুষে গভীর ঘুমে যায়। জমি জিরাত যাইবা আছে, রাখবেনা তা’ বাকী! ঘুরে-ফিরে যায় দেখিয়ে শুভংকরের ফাঁকি। পোষাক দেখে জানবে নাক তাহার চরিত্র; কথার ফাঁকে বোঝতে হবে কেমন সে পবিত্র! কথা কাজের মারের প্যাঁচে জানবে কি কি চায়? তোমার আমার ভালো তারা কভু নাহি চায়! “বদলে দেবো” সমাজটাকে শপথ করো যদি, থর-থর করে উঠবে কেঁপে,তাদের নরম গদি; পাহাড় সম সাহস দেখে, মরবে জালেম ভয়ে; তোমার আঘাত রুখতে তাদের সাধ্য নাহি রবে। তোমার তুমি নয়তো একা রাখবে মনে সদা, সবার সাহস শক্তি পাবে,রবে প্রাণের দোয়া। সবাই মিলে সমাজটাকে নতুন করে গড়ি, শাসণ-শোষণ হোক অবসান;নিজের মতো থাকি। আরিফ ইবনে শামছ্ সন্ধ্যা ০৬ টা ৩০ ২৮.০৯.২০১৫ আশা টাওয়ার, শ্যামলী, ঢাকা।

২২। বাসন্তী ভাবনা

প্রতিটি বসন্ত যেন ফুলেল বিন্যাস, ভ্রম্ররের গুঞ্জন আর কোকিলের কুহু-কুহু তানে ভরপুর থাকে। আঁকাবাঁকা নদীর স্বাধীনতার মূর্তপ্রতীক,সুমধুর তার কলতান, বিকেলের সোনালী রোদ, সবি যেন সাথে রবে । সকালের কাঁচা সোনা রোদ, দুপুরের নিরাক পরা, দু’দুটো পাখি ডাকা নিঝুম সন্ধ্যায়, কে যায় কারে খোঁজে। মধ্য রজনীতে নিথর নীরবতায়, শংকাহীন উৎফুল্ল হৃদয়ে, পাখিরা সব ঘুমিয়ে পড়ে, নিশ্চিন্তে স্ব স্ব নীড়ে। ২৬.০২.২০০৫ মাটিকাটা বাজার, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, ঢাকা ।

২১। ভাল থেকো খাদিজা

ভাল থেকো অনেক ভালো, জান্নাতী হয়ে, কেমন করে চলে গেলে, কিসের অভিমানে! জানবনা আর সবার খবর, কোথায় কেমন আছে? চলে গেলি এত্তো দূরে, পায়না যেন খোঁজে। ভাল থাকিস খোদার দয়ায়, হুর পরীদের মাঝে, দোয়া করিস সবার তরে জান্নাত যেন মিলে। জানতে কভু পারিনিক কেমন তোরা ছিলে, স্বামী সন্তান খেশ পড়শী সবার সাথে মিলে। মাফ করে দিস উদার মনে, এমন পাষাণ যারা! ভাবতে কভু পারিনিক জীবন হবে সারা! আরকি কভু স্মৃতির দুয়ার, খুলবে শৈশবের! মাহবুবা আর তোরা সবার, টিফিন উপভোগের। প্রথম তোমায় পেয়েছিলাম, তৃতীয় শ্রেণীর ক্রমে, আমি তখন সবার শেষে, ডাবল প্রমোশনে। প্রথম ক্রমিক কেমন করে, করব দখল আমি সেই ভাবনায় মজেছিলাম, তখন সহপাঠী। সেইযে তোমার সাথে হল, ভাল করে চেনা, পুতঃমনে চলছি সবাই, নেইকো লেনাদেনা। তোমার মতোই মনে পড়ে, সবাই কেমন আছে? মনির, নাজির, আওলাদ, আক্তার, রহিম, আশিক সবে। বোরহান, ফায়েজ, হুমায়ূন আর ইসমাইল, জীবন, ছবি, বেবী আর জয়নাল আবেদীন। কে যে কোথায় কেমন আছে, আল্লাহ ভাল জানে, দ্বীন-দুনিয়ার সফলতায়, সবাই যেন থাকে। (প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহপাঠিনী ও চাচাতো বোন মরহুমা মোছাম্মৎ খাদিজা আক্তার

২০। জীবন ও সম্মান

কিসের স্বপন দেখে আজি, রাখছো কোথায় হাত? কাদের হাতে রাখছো তোমার, জীবন ও সম্মান? জাননাতো সবার খবর, কোথায় কিযে করে! পড়াশুনা করবে নাকি! সেসব খবর নিবে? বয়স তোমার সমান হবে কিংবা দুয়েক বেশী, এই বয়সে নাইতো খবর, জীবন সাজায় কী? কিসের নেশায় ছুটল দেখ তোমার পিছু পিছু, সাজাবে কি জীবন নাকি, সঙ্গ দিবে কিছু? লেখাপড়া শেষ করেনি, পায়নি ভাল কাজ, জীবন নিয়ে নিঠুর খেলা, খেলবে কেমন রাজ! আবেগ দিয়ে চলে নাক, পূর্ণ জীবন যাপন, হাঁড়ে হাঁড়ে বুঝবে সেদিন, রবে নাক আপন। ডানে বাঁয়ে ঘুরে ফিরে পথ হারাতে মানা, ভাল করে পড়া শেষে, গর্বিত হোক মা। উজাড় করে ভালবেসে, বিদ্যালয়ে পাঠায়, অপমানের কালি কভু, ছোঁড়বেনা তাঁ'র গায়। ভাল মেয়ের ছেলে বন্ধু থাকতে নাহি পারে, শিক্ষা-দীক্ষায়, মানুষ হতে, লক্ষ্য সবার আগে। জাননাতো কে যে তোমায়, নিয়ে যাবে কোথা! তারচে' ভাল লেগে পড়, জীবন সাজায় যেথা। প্রেমের ফাঁদে এমন সময় দিবেনাক পা, সবাই তাহার বিরুপ ফসল, সয়তে পারেনা। হতে পারে সাঙ্গ তোমার জীবন লীলা খেলা, জীবন্মৃত হয়ে কিবা, কেটে যাবে বেলা!

১৯। কথা কাজে পরিচয়

কি হলো আজ পথে ঘাটে, ভালো মানুষ নাই, অলি, গলি, পথে পথে, জারজ দেখা যায়, কথা, কাজে, আচরনে মিলবে পরিচয়, জারজ নাকি ভদ্র মানুষ, সবাই তাহা কয়। পথের মাঝে কিংবা কভু বাজার সদায়ে, একলা কোন মেয়ে পেলেই, হুমড়ি খেয়ে পড়ে! বাসে উঠার সময় কিংবা নামার সময় হলে, পাগল, ছাগল, প্রতিবন্ধী করে কি আর বলে? একলা সীটে বসা পেলে, ভদ্র সেজে বসে, নোংরা যতো কথা কাজের, প্রকাশ করে হেসে। সহ্য করার সীমা ছাড়ায়, কেউ বলেনা কিছু, আশে পাশে যাত্রী বহু, নাইকি মানুষ ভালো! পথে, ঘাটে, বাস, বাজারে, ছুটে প্রয়োজনে, বেশ্যা মেয়ের মতো তোদের ডাকছে কভু কাছে? তোরা কেন এত খারাপ, জারজদেরই মতো, কথা, কাজে, আচরণে, ছুটিস তাদের পিছু। সব হারামী মিলে কেন নোংরা কথা বলিস, একলা মেয়ে ভাবছে শুধু,  কেমন তোরা খবিশ! নাইকি তোদের মেয়ে ছেলে, ভাই বোন, সংসার?' কেমন করে তাদের সাথে, করিস বসবাস?

১৭। মসজিদে তালা

কারা উড়াবে বিজয় নিশান, কালেমাখচিত ধ্বজা নিয়ে, খুলবে তালা মসজিদের, মনের তালা আগে। পাপের ভারে মনটি মোদের, অচল কেনো আজ, কে সরাবে পাপের বোঝা, কোন সে রাজাধিরাজ! তালা ঝুলে মসজিদেতে, বেলা অবেলায়, গ্রাম শহরে, গঞ্জে হাটে, সবাই ব্যস্ততায়। মাইক চুরি আর এসি চোরের কেন এমন  দোহাই, পায়না কেন সবাই সুযোগ, সময় চলে যায়। পারিনাক রাখতে খোলা, সোনালী যুগের মতো, যখন খোদার রহম পাবে, প্রাণ যে শত শত। জিকির আজকার, লেনা-দেনা, চলবে জ্ঞানের, তা'লিম তালাশ, সতেজ ঈমান, শুদ্ধ আমলের। কে নেবে ভাই এমন দায়, ঈমাম মুয়াজ্জিন? মসজিদের কর্তা যারা? নাকি কোন খাদিম। বিচারদিনে কোন বান্দা, করে যদি ফরিয়াদ, অমুক দিনে তালা পেয়েছি, পড়িনিক নামাজ! ইমাম কেন হবে শুধু, ফরজ নামাজে! ইমাম হবেন সবার নেতা, দেশ ও সমাজে। আজান শুধুই দিবে নাকি, নামাজ পড়িতে! মুয়াজ্জিন ভাই থাকবে সদা, সকল পূণ্য ডাকে। জাগবে সাড়া পাড়ায় পাড়ায়, চলছে প্রস্তুতি, আখেরাতের ফসল কত, কে যে নিতে পারি! পূণ্যকাজের বেলায় সবে, থাকবে সচেতন, কে যে বেশী আ'মল করে, নিবে বিজয় কেতন। সময় থাকিতে করিতে আবাদ, চলো ভাই মসজিদে, ইমাম সা

১৬। Think

“What’s the meaning of Life??? Earning money, fame & live!!! Costing, defame & die; May it come turn by turn? We are going to the end of life; What's the existing of our life??? Rest of the money or fame!!! Will it help us in the life next? Where we were? Where we have come? Where will we go? Where the destination? Think ! think! and think truth practically, Take a fruitful decision for the best way.

১৫। উন্মুক্ত মাদ্রাসা

প্রতিটি জামে’ মসজিদ যদি উন্মুক্ত মাদ্রাসা হত; ইল্মে লাদুন্নী,কালামে পাক সহজেই শেখা যেত। নূরাণী সব ঝর্ণাধারা, হাতের কাছে সবাই পেতে, সময় পেলেই বৃদ্ধ-যুবা, জ্ঞান-আহরণে চলত ছুটে। সহজ ভাষা আরবী কেন যায়না শেখা সহজে, দিনে দিনে বাড়ছে ফাঁরাক, কঠিন মনে হয়যে। ভালবাসা যায় হারিয়ে, কবে কোথায় যেন, ভালবাসার ঝর্নাধারায় অবহেলা কেন? মহান রবের প্রিয় ভাষা, নবীর ভাষা, আরবী, আমরা সবাই কেমন করে, কেন দূরে থাকি! মুসলিম আমি কেমন করে! বয়স-পথে হাঁটি, সকাল হতে সন্ধ্যা বেলা, সন্ধ্যা হতে রাতি। মহান রবের সাথে সদা, কত কথা বলি, নামাজ শেষে চাওয়া-পাওয়ায় হাত দু'খানা তুলি। কত যোগাযোগ আরবি ভাষায়, অর্থ নাইবা জানি, মানার জন্যই জানতে হবে; চলোনা শপথ করি।      [প্রতিটি জামে’ মসজিদ সকল প্রকার নেক আমলের জন্য সদা উন্মুক্ত থাকুক।]  আরিফ ইবনে শামছ্ দুপুর ০২ টা ৩০ ১০.০৪.২০১৬  আশা টাওয়ার,শ্যামলী, ঢাকা।

১৪। ভাল বাসার হিসাব-নিকাশ

ভাললাগা না ভালবাসা, নাকি চির-শাশ্বত প্রেম, নিজের পথ দেখা; না দেখার তাগিদে অ-প্রেম। লক্ষ-কোটি অগণিত তারাদের ভিড়ে হারিয়ে যাওয়া, ব্যর্থ নাকি অব্যর্থ প্রেম, ফলাফল যেরূপ চির-চেনা। কত দল-উপদল আজো লড়ে; স্বার্থকতা প্রেমের কিসে? পাওয়া না পাওয়ার দু’দল; অবিরাম সান্ত্বনা খুঁজে, প্রাপ্তিতে সুখ বলে কেউ, অ-প্রাপ্তিতেই মিলে স্বার্থকতা; যারে ভাল বাসি তা’রে নিয়ে; লেখা হয় কত কথা!! নাইবা যদি পারো তুমি, হৃদয় হতে মুছে দিতে, ফিরিয়ে দিবে কিন্তু কেন? কাঁপা কাঁপা নিঠুর হাতে। চোখের ‘পরে চোখ রেখে তাও; বলতে পার নাকো!! গুমরে জাগে সুপ্ত-গিরি, তবু নীরব কেন? হিসাব-নিকাশ, লাভ-ক্ষতি কি তোমার কষা হলো, অভিমানে হারিয়ে যাওয়া, জীবন খানি কত ??? তারপরও কি বেশী দামী, তোমার চাওয়া-পাওয়া? নীলাকাশে মাখিয়ে দিলে, আমার ভালবাসা !!! রাত ১২ টা ২৫ মিনিট; ১৮.০২.২০১৬; বৃহঃস্পতিবার; সোনালীবাগ, বড়-মগবাজার,রমনা,ঢাকা।

১৩।  দাওয়াত

ছায়া ঘেরা মায়ায় ভরা নজরকারা গ্রামে; কেউ কি যাবে;শান্তি পেতে দেহ-মন জোরে? পুবের বিলে শাপলা, শালুক,ছবির মত নদী; চলছে বয়ে নিরবধি প্রানের তিতাস নদী। বুকের উপর ট্রেন চলে ভাই সকাল সন্ধ্যা রাতে; ঢাকা থেকে সিলেট কিংবা ফেনী চট্রগ্রামে; নীরবতার মান ভাঙ্গিয়া বাজায় খুশির সুর; মায়ের মতো গ্রামটি যেন আবেগে-আপ্লুত। কুরুলিয়ার খালটি পাবে গ্রামের উত্তরে; মিষ্টি আলুর নৌকা কভু বাঁধা সারে সারে। পীচঢালা সে রাজপথ; মাথার উপর দিয়ে, দিবা-নিশি চলছে বাহন,যাত্রী বহন করে । ঘুমিয়ে আছে পীর-আওলিয়া পরম সোহাগে, দ্বীনের দাঈ ব্যস্ত সদা সবার সেবার তরে। পুণ্যকাজে ত্রস্ত পদে কেউ চলে ভাই মসজিদে; মাদ্রাসাতে কোরান-কিতাব পড়ছে দলে-দলে। বাহাদুরের ঘর বলে কেউ; কেউবা ভাদুঘর, পুবের কালে গ্রামের মাঝে ছিল দুটি গর; গর থেকে হোক; আর ঘর থেকে হউক নামটি ভাদুঘর; রয়লো দাওয়াত সবার তরে; সারা জনম ভর । ২৭.০৯.২০১৫ রাত ০৮ টা ৩০ আরিফ ইবনে শামছ আশা টাওয়ার, শ্যামলী, ঢাকা।

১২। সালাম জওয়াব

সালাম দেয়া সুন্নত, উত্তর দেয়া ওয়াজিব, দরদমাখা মন নিয়ে ভাই সালাম দিতে উদগ্রিব। মিষ্টি স্বরে চিন্তা করে সালাম যখন দিবে, ঝাঁকিয়ে মাথা চুপিসারে যায়যে হেঁটে চলে। মাথার ভিতর ঝড় চলে ভাই, শান্তি নাহি পাই, সালাম কাকে দিলাম সেকি হিন্দু মুসলমান? ভাটা পড়ে মনের জোড়ে, পায়না আবার সাহস, হুম বলে কি! ঝাঁকায় মাথা কাকে সালাম দিব! সালাম কালাম মুসলমানের, সেরা আদর্শ, কি যে হল সেরা জাতির, এমন দশা কেন? হাসি মুখে কথা বলা কোন ভাইয়ের সাথে, সাদকা জেনো মহানবীর মহান হাদীসে। সালাম বাড়ায় ভালবাসা জেনো সবার সাথে, সেই সালামের আন্তরিকতা, কোথায় পাব খোঁজে? দরদমাখা সালাম জওয়াব, চলো করি জারি, আবার ছড়ায় শান্তি-সুধা, মনন আবাদ করি।

১১। অনাগত সন্তানের আহ্বান

মাগো তুমি দোল খেয়ে যাও তব মায়ের কোলে, দিনে দিনে ঘনিয়ে আসে আমি আসব যবে। রুহের ধরার অধিবাসী আজ, অনাগত সন্তান, বলিতে কিছু বড় সাধ জাগে, শোন দিয়ে মন-প্রাণ। কিশোরী হবে চপলা চঞ্চলা, কলরব ধ্বনিতে, ঘরে বাহিরে তোমার বিচরণ, দেখবে খুশিতে। পাবে যৌবণ, ভাবের সাগরে, করবে অবগাহন, একটু খানি ভুলের মাশুলে, স্তব্ধ হবে কি সব!!! মাগো তুমি থেকো সদা, খোদার দেয়া পথে; বড় পীরের মায়ের মতো, পায়গো তোমাকে। স্বভাব, চরিত সকল কিছু, পায়গো যেন তোমার, দ্বীন-দুনিয়ার গর্ব হবে, মায়ের অহংকার। কালের স্রোতে ভাসবে নাক, সব কি হারাবে!!! খোদার দেয়া জীবন বিধান; নাওগো মনে প্রাণে। তোমার হয়ে ফেরেশ্তারা লড়বে দেখো মা, খবিশ আর ইবলিস যতো, সুযোগ পাবেনা। বাবা আমার ধৈর্য্য ধরো, হবেনাক পথহারা, মাথার মুকুট, চোখের তারা, তুমি পথের দিশা। শিক্ষা-দীক্ষা, হাতে কলমে, মহান যতো কর্মভার, সব তোমারি কাছে নিব, গর্ব হবো তোমার। ইচ্ছে তোমার স্বাধীন মাগো, ইচ্ছে করো মহৎ, তোমার সন্তান আসলে মাগো! পূরণ হবে স্বপন। বাবা মায়ের সোনার মানিক, নয়নের শান্তি, চায়গো দোয়া দ্বীন-দুনিয়ায়, হতে যেন পারি। ০৫/০৬/২০১৭ ঈসায়ী সাল।

১০। আন্তরিক শুভেচ্ছা

"কাবিলের বোন", "পানকৌড়ির রক্ত", মনোহর "প্রবন্ধ সংগ্রহ", প্রতিটি পরতে পরতে তোমার কবি- সত্ত্বাকে পেয়েছি সততঃ। কখনোবা আনমনে গেয়ে বেড়াতাম নিরাকপড়া দুপুরবেলা, "আমার মায়ের নোলক খানি হারিয়ে গেলো শেষে" সে' কবিতা। "হাত দিয়োনা বুকে আমার ভরা বোয়াল মাছে!" কি চমৎকার ছন্দমালা, পড়েছি কি কেউ আগে! কখনো বা চাঁদনী রাতে কন্ঠে বাজে "না ঘুমানোর দল" ছন্দ মোহে, প্রকাশ ঢংয়ে হারিয়েছি নিজেকে কত! তিতাস পাড়ের ছেলে, কভু মেঘনার ঢেউ বাজে বুকে, শুনেছি কত কথা-কাহিনী, জীবন ছবি বাবার মুখে। পরিবারের গল্প মাঝে বলতো বাবা তোমার কথা, পাঠ্য বইয়ে তোমায় দেখেছি, পড়েছি তোমার লেখা। কবি ও  কবিতার রাজ্যে, সত্যিই তুমি মহান সাধক, স্বাদ -গন্ধ, রং-রূপ, সাহিত্য রস, আস্বাদন। তোমার তুলির পরশে, জীবনের সব বাস্তবতা, সুর আর ছন্দে আরো জীবন্ত, সবাই জানলো তা'। জন্মদিনের শুভেচ্ছা জেনো হে আধুনিক কবি! শত পদ্ম, শাপলা শালুক, প্রকৃতির সব রূপ অপ্সরী, তারা ভরা আকাশ তোমায়, দিলাম তারার মেলা, চাঁদ সুরুজের মতোই তুমি, আলোক দিবে সদা। মাথার 'পরে ছায়ার মতো থাকো কবি

০৯। পাথর দিয়ে যুদ্ধ

ইরাক, ইরান, তুরান, কাশ্মীর, কাতার আর সিরিয়া, সৌদি আরব, সুদান, মিশর, পুরো আফ্রোশিয়া। উপমহাদেশ, স্থান, আর দেশ -মহাদেশ, সব সৃষ্টি স্রষ্টার জানি, আমরা বিশ্বের, বিশ্ব মোদের। হানাহানি আর মারামারি করে, মানুষ মানুষেরে, হৃদয় আছে ঠিকই দেহে, নাই যে দরদ অন্তরে। সৃজিত হল কত দল উপদল, কেউ সহেনা কারো, এক হওয়ার মন্ত্র ভুলে, অনৈক্যে খায় হাবুডুবু। নাই সে খেয়াল, দূর করিবার ব্যবধান যতো আছে! আমার আমি, অহমিকা আর অন্ধ সকল জনে। কোরান কিতাব, হাদিস, ইজমা, কিয়াস জেনেছে কতো! সবাই মিলে একই বাঁধনে, নাইকি  বাঁধিবার কেহ! কত আরাধনা চলে অবিরাম দিবস যামিনী দেখো, পাশের বাড়ীর অধিবাসী যারা, খেতে পেরেছে কি জানো? ঋণের চাঁপে, লজ্জা শরমে, সহসা মৃত্যু দেয়যে হানা, কানে তুলো আর চোখে ঠুলি বাঁধে সমাজের ধনী যারা। দেশের রাজারা ব্যস্ত সদা, নিজেদের ব্যবসা দেখো, দেশ ধর্ম কোথায় গেল, জাতির ঐক্য এলো কি গেলো! তা'তে কি কার, কিছু আসে যায়, জীবনের দাম নাই! সকাল বিকাল মারছে শিশু, দূর্বল নারীরা ও মারা যায়। কথার কথা, নামে মাত্র সবাই করে বাদ- প্রতিবাদ! মিছিলে মিছিলে যায় হারিয়ে প্রতিশোধের অগ্ন্যোৎপাত। নায়কি সাহস দাঁ

০৮। ভালবেসে কাছে যেতে

ভালবেসে আল্লাহ পাঠাল দুনিয়ায়, ভালবেসে আরো কাছে যেতে, দীদার লাভে ধন্য জীবন; লভিতে দু'জাহানে। যুগে যুগে নবী রাসূল পাঠালেন সকল বান্দার লাগি, কত ভালবাসার প্রিয় বান্দারা! এই পথ হারাল বুঝি!!! ভূল করে করে জানা-অজানা, দুঃখের পথে হেঁটে চলে! বন্ধুর কোথা, বিপদসংকুল পথ কেউকি জেনেছে আগে, তবু পথ চলে, মোহগ্রস্থের ন্যায় সসীম-অসীম পথে। দরদমাখা দৃষ্টি যে থাকে, প্রিয় বান্দার 'পরে। দেহ মন আর সমাজ পরিবার, নিয়ে সব একসাথে, কেমন করিয়া স্বর্গ সুখের শান্তি সমেত বাঁচিয়া রবে। নিয়ম নীতি, স্বাধীন পরাধীন, রাজা প্রজা সব আছে, রাজার রাজা মহারাজা সব দেখেন তাহা কাছ থেকে। কে ন্যায় আর অন্যায় করিল দিয়ে দেখে সব বল, ধৈর্য্য কাহারা ধরিল, কঠিন বিপদ- আপদে শত। কেবা হাজিরা দিল নিয়মিত খোদার ঘর মসজিদে, হালাল খেয়ে কজনইবা চলছে, সদা হালাল পথে। এলেম নিয়ে হেলেমের জোড়ে কারা করে পুকুরচুরি, লেবাস ধরে কারা করে, স্রষ্টার সাথে জুয়াচুরি। এমন কিছু বলনাযে, করতে যাহা পারনাযে, বড়ই ঘৃণার কাছে আল্লাহর,মিল না থাকে কথা কাজে। পরোপকারী স্বার্থহীন যেন, সদা থাকি মানবের পাশে, দয়ালু মনে সদাচার সহ হৃষ্টচিত্তে সবার আশে।

০৭। ক'ফোঁটা রক্ত

তোমরা আছো বলে বেঁচে আছে দেশ সমাজ, বয়সে ছোট হতে পার, তবে করে যাও বড় বড় কাজ। রক্তের বাঁধনে লহ বাঁধিয়া, জাননা কেবা আপন পর! শুধু জান রক্ত লাগবে, রক্ত চায়, কে আছো? কোন জন? হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে শুয়ে, মৃত্যুর প্রতীক্ষায়, প্রহর গুনে মরি মরি, সকাল সন্ধ্যা কত বেলা যায়, কেউ নাই কারো, আবার আছে অনেক আত্মীয় কারো, রক্ত দেবে ভাই! রক্ত লাগবে; বাঁচাতে প্রাণ তা'রো। মন মানসে, দেহ মননে তৈরি থেকো ভাই, ক'ফোঁটা রক্তে তোমার যদি, বাঁচে কোন বোন ভাই। তোমার রক্তে নবজাতক কোন ফিরে পায় পৃথ্বী পথ, মা সকল পৃথিবীর যদি দেখে বাঁচার স্বপ্ন সব। রক্ত যাদের নেশা পেশা; রক্ত করে নাক পান! রক্তের তরে নিদ নাই তার, এই বুঝি যায় কারো প্রাণ! রক্ত দানে দিবা নিশি ছুটে, চেনা অচেনা কত পথ! রক্তের যোগান দিতে হবে ভাই, এই আমাদের পণ। ফখরে বাঙ্গাল নিবাস, বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২, ভাদুঘর, সদর, বি.বাড়ীয়া-৩৪০০।

০৬। জীবন যেখানে যেমন

প্রেম ও প্রীতি আসল দিঠি, প্রেমিক হৃদয় কোথায় খুঁজি? কোথায় পাবগো প্রেমের হিয়া? কহিব কথা পরাণ ভরিয়া!! এমন গোধূলী, কাঁচা সোনা রোদ, এঁদো ডোবাজল, একলা ডাহুক, রিমঝিম টিপটপ বিষটি কোথা, কথাকলি সব রবে কি হেথা??? বিনিদ্র রজনী সাতকাহন কি হবে? নিশির নিশা পেড়িয়ে ভোর যে কবে? দখিনা মলয় তপ্তদেহে বারিসিঞ্চনে; আসবে কবে বারিরাশি সঙ্গে করে। চায়লে কি গো ফুল ফুটিবে অরুণ প্রাতে, গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হবে, খুশির ঝিলিক তাতে। ডাকবে কোকিল বিজন বনে, একলা পথে, ভাবের পথে হাঁটবে তুমি, উদাস মনে। ফখরে বাঙ্গাল নিবাস, বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২, ভাদুঘর, বি.বাড়ীয়া-৩৪০০।

০৫। চিকনগুনিয়া

নাম ঠিকানা ভূলিয়ে দিবে, চিকনগুনিয়া। ডানে হাঁটার ইচ্ছে হলেই, হাঁটা যাবেনা। চালক ঠিকই দেহের তুমি, নাইযে কোন বল, চলার পথে উদাস হলে, দেখবে বহু বিপদ। কেউবা বলে নাপা খাও , প্রচুর তরল খাবার, কেউ বলে বা প্যারাপাইরল, ডাবের পানি পান। সত্যি কথা বলতে গেলে, ভয়ে হবেন কাৎ, মুখের রুচি, ঘুমের বিরাম, সবি নেবে ভাই। নাওয়া খাওয়া বিনে ক'দিন, ঘুমে অচেতন, ব্যাথার সাথে নিরস থাকা, রয়না দেহে বল। সব যোগাযোগ হালকা হবে, বাড়বে ছুটা ছুটি। কখনো বা হেরে গিয়ে, শিশু কালের স্মৃতি। যতো পারেন বেশি করে, পানি করো পান, দূর্বল যেন নাইবা করে, ভাল ভাল খান।

০৪। আজিকে এই খুশির রাতে

ভালবাসা আর শংকায় বাজে সদা মনের বীণা, মাফ পেয়েছি কী ক্ষমাশীল দয়াময়! তা' জানিনা। হৃদয়ের গভীর হতে কি বিষাদের মর্ম বেদনা, তীব্র হতে তীব্রতর অসহনীয়,  তবু হারাতে চাইনা। বুকে হাত দিয়ে বলি, কতবার যে তোমায় স্মরেছি, পলে পলে অনুপলে, দানা পানি সামনে পেয়েছি। ভূলে ও হাত চলেনি তা' নিতে বরং "রোজা রেখেছি"। ভাংতে পারিনা কোন ভাবে, কিভাবে দাঁড়াব সেদিন! ভালবাসি তোমায়, ভালবাসা পেতে চাই সদা, পদে পদে ভূল আর অবাধ্যতা!যদি করো ক্ষমা। দূর্বল আর শেষ নবীর (সাঃ) অনুসারী "অনেক দাবী"! তাঁ'র সুন্নাহ, রীতিনীতি কতটুকুইবা মানিতে পারি! রাহমান তুমি, রাহীম তুমি ওগো পরম দয়াময়, আজিকে এই খুশির রাতে ক্ষমা আর রহমতের অনুনয়। যতো আবেদন, বাহারি চাওয়া, দু'জাহানের তরে! তোমার বান্দা, মহানবী (সাঃ) প্রিয় উম্মত; যেন হয় কথা-কাজে।

০৩। মাহে রমজান

মহান প্রভুর সেরা দান, এলোরে ঐ মাহে রমজান। আসছে ধেয়ে জান্নাত হতে, শান্তি অশেষ ধরাতলে। মনের বাগান চাষ করিব, হরেক রকম বীজ বুনিব। সুফল ফসল সব তুলিব, কেয়ামতে সফল হব। রহমতের দশটি দিনে, ঈমান-আমল ঝালাই করে, মাগফিরাতের দিনগুলোরে, পূণ্য-নেকে পূর্ণ করে। বিদায় বেলার শেষের দশে, জাহান্নামের আজাব হতে, মুক্তি চাইবো সবাই মিলে, জান্নাতি হবো বলে।

০২। সাড়া পড়েছে,  সবাই জেনেছে

সেবার নামে পকেট কাটা, রুগী নিয়ে রং তামাশা, হয়রানি আর মন্দ দশা, সবি যেন পিছু ছাড়েনা। ভাল করে জানুন আগে, ডাক্তার ভাল কোন হাসপাতালে, কারা দিবে যত্ন সেবা, কম খরচে ঔষধ কেনা। সাড়া পড়েছে,  সবাই জেনেছে, ফ্যামিলি ল্যাব হাসপাতালে, সেবা চিকিৎসা, কম খরচে, দক্ষ ডাক্তার হাতের কাছে। বিশ্বাস কর, সেবা দেখে, ভূল করোনা, হেলায় পড়ে। একটুখানি ভূল ঘটিলে, প্রাণটি যাবে শেষে। ১৩.০৪.২০১৭ বৃহঃস্পতিবার।

০১। ১৪২৩ বলছি!

নতুন আর পুরাতন, কারো প্রস্থান কারো আগমন, চৈত্রের সংক্রান্তি, বসন্ত বিদায়, ঝড়ো বৈশাখির আগমনী গান। বিরহের সুর তো বাজেনা, পর করে দেয়ার সমস্ত আয়োজনা। মনে রেখো আমার কাছে জমা, তোমাদের সমস্ত ইতিহাস, যা তোমাদের ভাবী পথের পাথেয়। পাথর কান্না আমার কেউকি দেখেনা, ক্ষত বিক্ষত কষ্টটুকু কেউতো ভাবেনা: ৩৬০ ডিগ্রিতে ৩৬৫ দিনের পুরোটায় তিলে তিলে, নিঃশেষ করে নিজেকে, এ কি পেয়েছি আমি!  চরম অনাদর, অবহেলা অবশেষে। ১৪২৪ আসবে, ভালবাসবে কি বাসবেনা! আপন নাকি পর হবে কেউ তো ভাবেনা, শুধু অন্ধভাবে আয়োজন করা। বর্ষবিদায় আগে, না বর্ষ বরণ? সেকি ভূলে যাও! আগে নামুন তো পরে ওঠুন। আমার আগমনে ও সব আয়োজন ছিল এমনি, তাই বলে কি এভাবে টানবে ইতি! ১৪২৪! দেখে প্রস্তুত থাক ততে আজি, মেনে নিতে এমনি নিষ্ঠুর পরিনতি!!!

ভালবাসি দিবা-নিশি _সূচীপত্র

ভালবাসি দিবা-নিশি _সূচীপত্র  [১৩/০৪/২০১৭ - ০৬/০৫/২০২০] ০১। ১৪২৩ বলছি ০২। এলরে মাহে রমজান!  ০৩। আজিকে এই খুশির রাতে ০৪।  চিকনগুনিয়া ০৫। জীবন যেখানে যেমন ০৬। ক'ফোঁটা রক্ত ০৭। ভালবেসে কাছে যেতে ০৮। পাথর দিয়ে যুদ্ধ  ০৯। আন্তরিক শুভেচ্ছা ১০। অনাগত সন্তানের আহ্বান ১১। সালাম জওয়াব ১২। দাওয়াত ১৩।ভাল বাসার হিসাব-নিকাশ ১৪। উন্মুক্ত মাদ্রাসা ১৫। Think ১৬। মসজিদে তালা ১৭।  সব হারানো শেষে ১৮। কথা কাজে পরিচয় ১৯। জীবন ও সম্মান ২০। ভাল থেকো খাদিজা ২১। বাসন্তী ভাবনা  ২২। নতুন করে গড়ি ২৩। ভালবাসা ২৪। বিজয়ী কাব্য-গাঁথা  ২৫। সোনার জীবন গড়ি ২৬।  "আহলান সাহলান মাহে রমজান" ২৭। ফেরেশতাদের বাগানে ২৮। জাগাও তুমি, জেগে ওঠো ! ২৯। !জাগবে কবে, বীরের জাতি! ৩০। জানলেনা ৩১।  সান্ত্বনা ৩২।  হৃদয় কন্দরে ৩৩। সফেন পদ্ম ৩৪। সাগর পাড়ে ৩৫। সিগন্যালের গ্যাঁড়াকলে  ৩৬। ভাই হারিয়ে ৩৭। সম্পর্ক ৩৮। ধূসর প্রেম ৩৯। শিশির মেলা ৪০। ভালবাসার সাগরে ৪১। বানের জলে মানবতা ৪২। আজিকার ছেলে মেয়ে ৪৩। তোমরা জাতির অঙ্গ ৪৪। কুরবানির প্রাণখা

ভালবাসি দিবা-নিশি _সূচীপত্র

১০৫।হতাশাদের ছুটি ১০৬। জীবনের পথে ১০৭। মরহুম আলী আহমদ ভূঁইয়া চাচার ২য় ছেলে, আমাদের সবার প্রিয় ছোট ভাই, মোঃ আল আমীন ভূঁইয়ার অকাল মৃত্যুতে শোকগাঁথাঃ ১০৮। কালো বোরখা ১০৯। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা               প্রিয় বাংলাভাষা। ১১০। ফাগুনের গান ১১১। প্রেমের ভালবাসা ১১২। একুশে ফেব্রুয়ারি ১১৩। বই মেলা 114. Real Terrorists ১১৫। সিরিয়া থেকে বলছি ১১৬। ফিলিস্তিন থেকে বলছি ১১৭। এই পৃথিবীর আর্তনাদ! ১১৮। বিপ্লবী (২) ১১৯। বিপ্লবী (৩) ১২০। বিপ্লবী (৪) ১২১। বিপ্লবী (৫) ১২২। বিপ্লবী (৬) ১২৩। বিপ্লবী (৭) ১২৪। বিপ্লবী (৮) ১২৫। বিপ্লবী  (৯) ১২৬। বিপ্লবী  (১০) ১২৭। বিপ্লবী  (১১) ১২৮। বিপ্লবী  (১২) ১২৯। বিপ্লবী  (১৩) ১৩০। বিপ্লবী  (১৪) ১৩১। বিপ্লবী  (১৫) ১৩২। বিপ্লবী  (১৬) ১৩৩। বিপ্লবী  (১৭) ১৩৪। রাসূলের (সাঃ) সমীপে ১৩৫। বিপ্লবী  (১৮) ১৩৬। বিপ্লবী  (১৯) ১৩৭। বিপ্লবী  (২০) ১৩৮।    "মা" ১৩৯। বুঝবে সেদিন ১৪০। স্বাগতম মাহে রমজান ১৪১। নারী ১৪২। স্মৃতিরা অমলিন ১৪৩। একই পথে চলি ১৪৪। নিরলস মিনতি ১৪৫।  তারাবীহ ১৪৬। সেহেরী ১৪৭। খুশির ঈদ ১৪৮। ইয়াওমুল যাজা ১৪৯। আদর্শ ব

ChatGPT 3.5

পরিচিতি

নাম: আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া লেখালেখি: আরিফ ইবনে শামছ্ পিতা: বিশিষ্ট সমাজ ও সাহিত্যসেবক, কবি ক্বারী আলহাজ্ব শামছুল ইসলাম ভূঁইয়া (রাহঃ)।সহকারি প্রকৌশলী, বাংলাদেশ তার ও টেলিফোন (বি.টি এন্ড টি- বি.টি.সি. এল)। মাতা: মোয়াল্লিমা হালীমা সাদীয়া ভূঁইয়া। ঠিকানা: ফখরে বাঙ্গাল নিবাস, ভূঁইয়া পাড়া, বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২, গ্রাম: ভাদুঘর, পোষ্ট: ভাদুঘর-৩৪০০। থানা:সদর, জিলা: বি.বাড়ীয়া। পড়াশোনা: নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়, (৬ ষ্ঠ শ্রেনী) সদর, বি.বাড়ীয়া। ভাদুঘর মাহবুবুল হুদা পৌর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় (৭ম-১০ম)।হাবলা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় (রেজিষ্ট্রেশন) হতে ১৯৯৫ ঈসায়ী সালে কৃতিত্বের সাথে ১ম বিভাগে পাশ করেন।প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বরাবরই ফার্ষ্ট বয় ছিলেন।১৯৯৭ সালে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পাশ করেন।২০০১ সালে, বি.এস.এস (সন্মান-অর্থনীতি), ব্রাহ্মণবাড়ীয়া সরকারি কলেজ, ২০০৩ সালে, এম.এস.এস (অর্থনীতি), সরকারি তিতুমীর কলেজ, ঢাকা, বি.এড. বাংলাদেশ টিচার্স ট্রেইনিং কলেজ, ঢাকা (জাতীঃবিঃ), এম.এড (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), এম বিএ -এম এই এস (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-অধ্যয়নরত) পূর্বপুরুষদের পূর্বকথাঃ বৃহত্তর বিভাগ ময়মনসিংহের অন্তর্গত বেলগাঁও থানার দিলালপুরে বসবাস করতেন পাঁচ ভাই।দুই ভাই দ্বীনের কাজে বা ভ্রমনের উদ্দ্যেশ্যে দিলালপুর থেকে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া (ত্রিপুরা) জেলার সদর থানার অন্তর্গত ভাদুঘর গ্রামে আসেন।প্রাকৃতিক পরিবেশের অপূর্ব লীলানিকেতনের মোহে মোহাবিষ্ট হয়ে ভ্রাতাদ্বয় স্থায়ী বসবাসের সিদ্ধান্ত নেন ভাদুঘরে।"বংশ পরম্পরায় দ্বীন ধর্মের প্রচার প্রসার, অলি-আল্লাহদের খেদমত ও ইহসানের সুবাদে ধারণা মজবুতভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় যে, ভ্রমণে নয়, দ্বীন ধর্ম প্রচার বা ইসলামের দাওয়াত নিয়েই দুই ভাই এসেছিলেন"। কবিতা সাহিত্য সংস্কৃতির আসর (একটি গতিশীল সাহিত্যভান্ডার)। প্রাক্তন বিভাগীয় সম্পাদক, সাহিত্য সম্পাদক, মাসিক "বলিতে ব্যাকুল" পরবর্তীতে "তিতাস বার্তা"। মোবাইল: ০১৬১০০০৭৯৭০। বয়স: ৩৮ বছর। পেশা: চাকুরী। প্রকাশিত লেখা: দৈনিকভাবে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, দৈনিক প্রজাবন্ধু, মাসিক বলিতে ব্যাকুল, তিতাস বার্তা, হক্ব পয়গাম। মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম শেখ সম্পাদিত "ঝরা ফুলের গন্ধ" যৌথ কাব্য গ্রন্থে প্রকাশিত (১) "শ্বাশ্বত আহ্বাণ" এবং (২) "ছন্দ নাবিক"। মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম শেখ সম্পাদিত "বিজয়ের উল্লাসে" যৌথ কাব্য গ্রন্থে প্রকাশিত (১) সত্য সন্ধানী (২) বাঙালির স্বাধীনতা (৩) বিজয়ের উল্লাসে (৪) অনুশোচনা (৫) বিদ্রোহী তুমি, বিপ্লবী (৬) আজকের এই বাংলাদেশ (৭) ভাঙ্গা গড়া সংকলন ও সম্পাদনা: তাসকিন আব্দুল্লাহ "বাংলার ১০০ কবি ও কবিতা" যৌথ কাব্য গ্রন্থে প্রকাশিত আগুন জ্বালা অন্তরে | সন্মাননা পত্র প্রাপ্তি : পাক্ষিক সেরা কবি, আধুনিক বাংলা কবিতার আসর (কবিতাঃ কারবালার শিক্ষা),পাক্ষিক সেরা কবি, আধুনিক বাংলা কবিতাপাক্ষিক সেরা কবি, আধুনিক বাংলা কবিতা ছড়া ও গানের আসর (কবিতাঃতোরা থামবি কিনা বল।) সাহিত্য জাগরণ বাংলাদেশ (কবিতাঃহৃদয় কন্দরে। কবিতাঃ কবিতা তোমার।)শখের কবিতা সাহিত্য আড্ডা (কবিতাঃ টেকসই মানবতা।কবিতাঃ বিদ্রোহী তুমি বিপ্লবী।)। বাংলাদেশ কবি সংসদ, (সিলেট বিভাগ)।বাংলাদেশ কবি সংসদ, (চট্রগ্রাম বিভাগ) হতে সাহিত্য অঙ্গনে বিশেষ অবদানকৃত স্বরুপ বিশেসন্মাননা পত্র প্রাপ্তি।বিশেষ সন্মাননাপত্র, এসো কবিতা লিখি (কবিতাঃ জাগাও তুমি জেগে ওঠো!),দিনের (২০-১১-২০১৭) সেরা কবি, বাংলাদেশ কবি পরিষদ (কবিতাঃ বাঙ্গালীর স্বাধীনতা)।আন্তর্জাতিক কবি পরিষদ (আজকের- ০৬-১২-২০১৭- সেরা কবি, কবিতাঃ "জীবন তরী"); ছায়াবীথি (সেরা পোষ্ট- কবিতা ইভেন্টে বিজয়ী- কবিতাঃ "অনাগত সন্তানের আহ্বান"।সমাজ কল্যাণ সাহিত্য পরিষদ কর্তৃক সপ্তাহের (১৪-১২-২০১৭) সেরা বিজয়ী কবি, ১ম স্থান অধিকারী, (কবিতাঃ আসলে পতন, খবরদার !)বাংলা সাহিত্য (কবিতা ও গল্পের রস _১৪-১২-২০১৭_সাপ্তাহিক সেরা ২৫ এ ৫ম স্থান ( কবিতাঃ আসলে পতন, খবরদার !);বাংলা সাহিত্য (কবিতা ও গল্পের রস _২২-১২-২০১৭_সাপ্তাহিক সেরা ২৫ এ ১১ তম স্থান ( কবিতাঃ পরোয়ানা !)প্রজন্ম সাহিত্য সভা (প্রসাস-০৬-০২-২০১৮_সপ্তাহের সেরা ০৫ এ ০৪- কবিতাঃ স্বান্তনা) নকলা উপজেলা সমাজকল্যাণ সাহিত্য পরিষদ, সাপ্তাহিক সম্মাননা ১৬-০২-২০১৮, ( কবিতা: ফাগুনের গান); কাব্য প্রেমীদের প্রচার মাধ্যম_ গল্প কবিতা ও সাহিত্যের আসর_বিশেষ সম্মাননা _২২-০২-২০১৮ (কবিতা: প্রিয় বাংলাভাষা); কাব্য কথার মেলা সাহিত্যাঙ্গন, সাপ্তাহিক সেরা ০৫ (কবিতা: এই পৃথিবীর আর্তনাদ); সাহিত্যজগৎ (সকল সাহিত্য প্রেমিদের ঠিকানা), সাপ্তাহিক সেরা ০৫ (কবিতা: বিপ্লবী );শেরপুর সাহিত্য পরিষদ, সাপ্তাহিক সম্মাননা, ২৩-০৩-২০১৮ (কবিতা: বিপ্লবী) ; সাহিত্য সন্ধ্যা, আজকের (২৭-০৩-২০১৮) সেরা কবি, (কবিতা: বিপ্লবী) বাংলা সাহিত্য কবিতা ও গল্পের রস_৩০-০৩-২০১৮_সাপ্তাহিক সেরা ২৫ এ ৪র্থ স্থান ( কবিতাঃবিপ্লবী )। সাপ্তাহিক সেরা ০৭ কবি ও কবিতায় ১ম স্থান, (কবিতা: বিপ্লবী ); সাহিত্যের জাগরণ, আন্তর্জাতিক সাহিত্য সংগঠন, সাপ্তাহিক সম্মাননা, ০১-০৪-২০১৮ (কবিতা: বিপ্লবী)।

পাথর দিয়ে যুদ্ধ

ইরাক, ইরান, তুরান, কাশ্মীর, কাতার আর সিরিয়া, সৌদি আরব, সুদান, মিশর, পুরো আফ্রোশিয়া। উপমহাদেশ, স্থান, আর দেশ -মহাদেশ, সব সৃষ্টি স্রষ্টার জানি, আমরা বিশ্বের, বিশ্ব মোদের। হানাহানি আর মারামারি করে, মানুষ মানুষেরে, হৃদয় আছে ঠিকই দেহে, নাই যে দরদ অন্তরে। সৃজিত হল কত দল উপদল, কেউ সহেনা কারো, এক হওয়ার মন্ত্র ভুলে, অনৈক্যে খায় হাবুডুবু। নাই সে খেয়াল, দূর করিবার ব্যবধান যতো আছে! আমার আমি, অহমিকা আর অন্ধ সকল জনে। কোরান কিতাব, হাদিস, ইজমা, কিয়াস জেনেছে কতো! সবাই মিলে একই বাঁধনে, নাইকি বাঁধিবার কেহ! কত আরাধনা চলে অবিরাম দিবস যামিনী দেখো, পাশের বাড়ীর অধিবাসী যারা, খেতে পেরেছে কি জানো? ঋণের চাঁপে, লজ্জা শরমে, সহসা মৃত্যু দেয়যে হানা, কানে তুলো আর চোখে ঠুলি বাঁধে সমাজের ধনী যারা। দেশের রাজারা ব্যস্ত সদা, নিজেদের ব্যবসা দেখো, দেশ ধর্ম কোথায় গেল, জাতির ঐক্য এলো কি গেলো! তা'তে কি কার, কিছু আসে যায়, জীবনের দাম নাই! সকাল বিকাল মারছে শিশু, দূর্বল নারীরা ও মারা যায়। কথার কথা, নামে মাত্র সবাই করে বাদ- প্রতিবাদ! মিছিলে মিছিলে যায় হারিয়ে প্রতিশোধের অগ্ন্যোৎপাত। নায়কি সাহস দাঁড়াতে পাশে, মাজলুম যতো বিশ্ব মাঝে, পাথর দিয়ে যুদ্ধ করে জীবন সঁপে,শহিদী পথে।

"মনের কথা সদা আমার কলম দিয়ে ঝরে, খুঁজে মোরে পাবে সবাই যখন মনে পড়ে। " --কবি শামছুল ইসলাম ভূঁইয়া (রঃ)

MY BLOGG