পোস্টগুলি

ডিসেম্বর, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

১০৩| সাধনার মানবী

প্রচন্ড লোভ আমার তোমাকে দেখার, তোমার তরে লিখে এ কবিমন খুঁজে পাই শান্তি অপার। ক্লান্ত আর বিরক্তিভরা ঢুলুঢুলু চোখে, বিষাদে তিক্ত ভাঁজ পড়া কপালে, পড় আর ভাব এ কেমন বিপদ ওরে!!! এ সবি হতাশ হৃদয়ের আঁকাবাঁকা আল্পনা, যা সত্যের স্পর্শ নাও পেতে পারে, তোমার ছাড়পত্র পেলেই হতাশার তুলি আঁকবেনা। ভালো করেই জানো, উইল করা হলো কবে, আমার হৃদয়-ভূমি তোমার করে, সে কি দেখতে পাবেনা দৃষ্টি খুলে!!! সাধনার মানবী তুমি, জান তাহা ভাল, স্বপ্ন বিলাস আমার জীবন, স্বপ্নের পুরোধা, প্রাণের স্পন্দন, বিমূর্ত প্রতীক আমার বাস্তবতার, সে কে জান? শুধুই তুমি। এ হৃদয় হাসি খুশি আজিকার, তোমার শুধু তোমার।।। আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া ২১/১১/২০০২ ঈসায়ী সাল। ২২ টা ২৫ মিনিট। ফ.বা.নি. ভাদুঘর, বি-বাড়ীয়া-৩৪০০।

১০২। শান্তির আকাশ

ভালবাসার ভিত রচনা করতে যেয়ে, এ কেমন ঝড়, জীবনে এলোরে ধেয়ে! লন্ড-ভন্ড করে নিলো সব আহ্লাদ, গুঁড়িয়ে দিল সব মোর সুখ স্বপ্ন সাধ। মোহনা দেয়নি দিশা, নিয়েছে গতি, দূর্বোধ্য দূর্গম পথ হলো নিত্য সাথী। সুনির্দিষ্ট কক্ষপথে, হলোনা পথ চলা ন্যায্য প্রাপ্য যা ছিল, তা হয়নি বলা। তবু শ্বেত মসৃণ কাগজে তুলির আঁচরে, কভু ভাঙ্গা, আধো ভাঙ্গা হাসি গোলাপী অধরে। বুঝতে চেয়েছিনু তুমি আমার, শুধুই আমার, ভালবাসার তৃষ্ণার্ত হৃদয় খোঁজে ফিরে বারবার। নীলাচল পাহাড়ের চূড়ান্ত শিখরে দাঁড়িয়ে, একাকি অবেলায় দৃষ্টি চলে সবুজের কিনারে, ফুল ফলে রুপ রসে মুগ্ধ সাজে, অপরুপ ভালবাসা; শান্তির আকাশ কী, রাঙ্গানো যায় একা! আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া বেলাঃ২৩ টা ২০ মিনিট ২০/০২/২০০৩ ঈসায়ী সাল, ভাদুঘর, সদর, বি.বাড়ীয়া -৩৪০০।

১০১। তুমি আসবে বলে

----- আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া।       ১৮/০১/২০১৮ ঈসায়ী সাল। আমার আকাশে নেই মেঘের আনাগোনা, নেই বিদ্যুৎ চমকানোর ঘনঘটা, সুস্পষ্ট নীল আসমান নির্বাক হয়ে, দিবা-নিশি তব প্রতীক্ষায় প্রহর গুনে।              তুমি সাজাবে তারে,              মনের মাধুরী ঢেলে,               অপ্সরীরা দলে দলে,               তোমার আঙ্গিনায় রবে। দেখ কেমন সাজহীন বাগান, হারিয়ে ফেলেছে ভ্রমর, তার নিত্যদিনের গান, সবুজ দূর্বাঘাস সব অনাদরে রয় পড়ে, ফ্যাঁকাসে হলেও টিকে রয়, তুমি আসবে বলে।       তোমার ভালবাসায় খোঁজে পাবে,          সঞ্জীবনী সুধা জীবনে,           ফের উঠে দাঁড়াবার,           সাজাতে অপরুপা আরবার। ২১/১১/২০০২ ঈসায়ী সাল।  ১৩ টা ৪০ মিনিট। ফ.বা.নি. ভাদুঘর, বি-বাড়ীয়া-৩৪০০। 

১০০। চিরচেনা

১০০। চিরচেনা ----- আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া ১৭/০১/২০১৮ ঈসায়ী সাল। বিশ্বময় ছড়িয়ে দেবো, ভালবাসার গান, তুমি বিশাল স্বপ্ন-তরু, আমার হৃদিরাজ। তারকাপুঞ্জে নিখুঁতভাবে, আঁকা তোমার ছবি, আকাশ পটে, আবীর মাখা লিখছে কেমন কবি। ঝড়ের তোড়ে, মূর্ছা গেলো বীর প্রতীকের সাধ, ভেবেছিলাম নরম রোদে, রাখবো আমার হাত, ইটের ভাঁটা রক্ত মাখা, অগ্নি মুখে বিদ্রোহী, অবুঝ প্রেমের বাঁধনহারা, মন হলোরে আসামী। অভিলাষী মন পেয়েছি, স্বচ্ছ জলের মতো, অভিমানী অশ্রুধারা ঝরায় অবিরত। বাঁধার পাহাড়, আপোষহীনা ভীঁড়ের মেলা, অবোধ নদীর শুষ্ক চরে ভাসবে ভেলা। জমে উঠুক আকাশ পরে কালোমেঘের ফনা, ব্যাথার এটম উর্ধ্বে উঠে ছড়াক ত্যাজিকণা, মিশিয়ে দেয়ার পরে দেখো হৃদয় আস্তানা, তোমার তরে থাকবে সেজে, সতেজ চিরচেনা। ১৯/০২/২০০৩ ঈসায়ী সাল। ১৩ টা ২০ মিনিট। ফ.বা.নি. ভাদুঘর, বি-বাড়ীয়া-৩৪০০। 

৯৯। জীবনের ডাকঘর

হতাশার মোহনায় নিরাশার মুখোমুখি, ব্যাথা আর বেদনা দেয় উঁকিঝুঁকি, হৃদয়ে শংকার অপছায়া চেঁপে বসে, হিংসুটে ডাইনী কুটি কুটি হাসে। জীবনের ডাকঘরে কতো চিঠি দেখি, হলুদ খামে কোনটা সাদা খামে মোড়ি, ভিতরে থাকে যে বেদনার তিক্ততা, কোনটার পেখমে সীমাহীন রিক্ততা। ভালবাসা, সুখ আর দিতে নব উচ্ছ্বাস, আরো দিতে পূর্ণতা  দৃপ্ত জয়োল্লাস। সাদা খাম জীবনের, বড় এক আশীর্বাদ, সুখ আর আশা যেনো, নিয়ে আসে সাধুবাদ। নীল কিইবা হলুদে, কখনো সাদা খামে, সুখ-দুঃখ একাকার, স্বপ্ন দেখাতে, জীবনের ডাকঘর দিবা-নিশি খোলা রবে, সুখ আর পূর্ণতার, চিঠি সব বিলি হবে। আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া ২৯/০১/২০০৩ ঈসায়ী সাল। ১৩ টা ৪০ মিনিট।

৯৮। জীবন বন্দনা

তোমাকে চাই নিতে  হৃদয়ের কাছাকাছি করে, আমার সাধ আহ্লাদ সব তোমাকে ঘিরে। পূর্ণতা আর শূণ্যতা, সবি তোমার দান, কি করে ভূলে যাবো; তুমি যে মহীয়ান। শুধু কি আবেগ আপ্লুত হয়ে একাকি, অসার প্রার্থনা করে, তোমাকে পাবো কি! ঘোর অমাবস্যার রাতে, পূর্ণিমার আলোর ঝলকে, স্নিগ্ধতায় পূর্ণতা পাবে কি, তনুমন নীরবে। তোমাকে ছাড়া এ জীবন মরু প্রান্তর, শ্রীহীন, জঞ্জালে পূর্ণ কালিমাখা অন্তর, তেপান্তরের মাঠে, এ কোন অভিলাষী, ঘোর বিপদের উলঙ্গ থাবার মুখোমুখি। ভালবাসার একটু পরশ, জীবন বন্দনা, করুণার সিন্ধু হতে, চাই বিন্দু করুণা! দু'জাহানে ব্যর্থ হবো, তা'ই যদি তুমি চাও, তোমার খুশিতে স্বর্গ নরক, মেনে নেবো যা' দাও। আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া ২৯/০১/২০০৩ ১৩ টা ১০ মিনিট।

৯৭। অবিরত

প্রতিটি অঞ্চল আজ হৃদয়ের উত্তেজিত, আর রঙ্গীন স্বপ্নে বিভোর, মহাস্বপ্ন তুমি পাশে রবে, জীবন পথে থাকবো সাথী হয়ে। আমার স্বপ্নটারে ভেঙ্গে দিওনা!!! এ আর্তনাদ, হৃদয়ে তোমার বাজেনা! আঘাত হেনেছো কোথা, সেকি জানো প্রিয়? হৃদয়ের গহীণ অঞ্চলে যা কাঁদে অবিরত! ঝর্ণারা কাঁদে নিঃশব্দে নয়, ছন্দে ছন্দে, পাহাড় নীরবে জানায়, গাম্ভীর্যতার সৌম্যে, নিথর পরিবেশ, কেমন গুমোট সাজে, হৃদয়ের ব্যাথাগুলো, বারবার আঘাত হানে। দেখবে কি বারেক সবি, হৃদয়ের ক্ষত চিহ্ন, লোভনীয় ভালবাসা নিরাশায় পূর্ণ। তনুমন চাহে সদা, ভালবেসে যেতে, হৃদয়ের ক্ষত দাগ, ব্যাথাগুলো লয়ে। ২৯/০১/২০০৩ ঈসায়ী সাল রাত ১২ টা ১৫ মিনিট।

৯৬। স্বাগতম ২০১৮ ঈসায়ী সাল

পড়বে ঝরে ফুল পুরাতন, ফোটবে সতেজ ফুল, সবুজ পাতায় ঢাকা আঁখি, খুলবে খেয়ে দোল। রোদ বৃষ্টি, ঝড়ের মেঘে, সবুজ পাতা পাঁকা, বর্ণহীনে মলিন দেহে, বৃন্ত রবে ফাঁকা। সবাই তাকায়, সবুজ দেহে, লাগছে দারুন বেশ, রঙ ছড়িয়ে, চোখ জুড়িয়ে, সবুজ জীবন শেষ! রাত ও দিনের পালাক্রমে, বছর নিবে বিদায়, নতুন বছর আসছে সবে, স্বাগতম জানায়। সুখের স্মৃতি, দুঃখের ইতি, যতো সফলতা, হৃদ মাঝারে অসীম দিঠি, সুখের বারতা। স্বপ্ন আঁকি হৃদয়পটে, জীবন জুড়ে শত, প্রীতি-প্রেমের ফুল ফোটাবে, মন বাগিচা যতো। মহীরুহ হারিয়ে গেলো, বছর ক'দিন আগে, কচি কচি পাতা দুটো, স্বপ্ন মেলে জাগে । অংকুরিত ক্ষুদ্র বীজে, মহীরুহের কায়া, বছর বছর বড় হয়ে, দিয়ে যাবে ছায়া। তোমরা যারা শিশু কিশোর, স্বপ্ন পাখির দল, দিনে রাতে  রং ছড়িয়ে, বাড়ছে মনোবল। নূতন করে রুপ-বাহারে, সাজিয়ে নেবে আপন করে, বিশ্বটারে আনবে বেঁধে, নিজের মুঠোয় পরে। রাত ০১ টা, বুধবার, ২৭/১২/২০১৭ ঈসায়ী সাল, মধুবাগ, বড়মগবাজার, রমনা, ঢাকা-১০০০।

৯৫। আরিফীনের জন্মদিনে (বড় সাহেবজাদা)

কোন পাহাড়ের চূঁড়া থেকে,                 নামলো এমন শীতলধারা, কোন গগনের মধ্যিখানে,                  জাগলো শশী আত্মহারা। কোন তটিনী ধেয়ে চলে,                   খুশির চোটে, আপনমনে, ফেনিল কোলে পদ্ম দেখি,                    নাচছে গাইছে ছন্দতালে। কোন প্রভাতে, আভীর মেখে,                    চমকে দিলো সকলজনে। প্রথম হাসি কান্নাকাটি,                    মধুর আওয়াজ সহসাতে। আরিফীনের সূর্য বুঝি,                উঠলো হেসে মায়ের কোলে, ডিসেম্বরের ত্রিশ তারিখ,                স্মরণীয় হৃদয়-পটে। ৩০/১২/২০১০ ঈসায়ী সাল। ফখরে বাঙ্গাল নিবাস, ভাদুঘর, সদর, বি-বাড়ীয়া-৩৪০০। 

৯৪। লজ্জাবতী

লজ্জাবতীর সবুজ গায়ে,            স্পর্শ করেছ কভু? লজ্জায় নুয়ে পড়ে ফের,             প্রতীক্ষায় থাকে তবু। কেমনে লুকানো আছে,             গোপন ইতিহাস, এতো লজ্জা! বুকে রেখেছে,              জমা করে কত্তোকাল। লজ্জা কারো অলংকার,                কারো বর্ম, কারো অহংকার,                  কিংবা গর্ব। কেউবা লজ্জায় নুঁয়ে পড়ে,                 লতার মতো, আবার সযতনে কেহ,                  ধারণ করে যতো। ফুলকুঁড়িতে লজ্জায় যেন,                     লুকিয়ে থাকে ফুল, লজ্জাতে কেউ প্রকাশ করেনা,                      হরেক রকম ভুল। দেখে নিও লজ্জা কতো,                     বর্ষাকালের মেঘে, সবুজ শ্যামল বন বনানী,                     লজ্জায় থাকে নুঁয়ে। লজ্জা যদি যায় হারিয়ে,                  এই ধরনী থেকে, যায়বা যদি, কমে আবার,                 দেখতে কেমন হবে! রূপের রানী লজ্জাবতী,                  আগের মতো নেই! লজ্জাহীনা মেঘ বালিকা,                   ঝরছে অঝোরেই। ২৯/০৪/২০১১ ঈসায়ী সাল।            শুক্রবার ফখরে বাঙ্গাল নিবাস, ভাদুঘর, সদর, বি-বাড়ীয়া-৩৪০০। 

৯৩। ভালবাসি দিবা-নিশি

নিরাকপরা ভর দুপুরে,                   বসে আছি আনমনে, সুখের বেলা যায় চলে যায়,                    কতো দ্রুত আপন মনে। ভাবছি কতো জীবন নিয়ে,                    পাইনা ভেবে কূল, অলস দেহে দেখছি তারে,                    নেইকো কোন ভূল। হাজির হলো কলম-খাতা,                    কোমল হাতের স্পর্শে, মনের কথা ঝরবে কবে,                    ইতিহাসের গর্ভে। ভালবাসি, কতো তারে,                    বলবো কেমন করে, মনের কথা মনে ওঠে,                     মনেই ঝরে পড়ে। নাইবা কোন ভূল আমারি,                     নেইকো ছিলো তার, ভালবাসি দিবা-নিশি,                       ভালবাসে অপার। সুবাস সেতো ফুলের মতো,                        অতুল মৃগনাভীর, সোনারোদের নরম বিকেল,                      দেখি রঙ্গিন আবীর। ভাসছে কভু সাঁঝের ভেলা,                       বেলা অবেলায়, স্বপ্ন ডিঙ্গি তীরে ভীরে,                        যখন মনে চায়। ভালবাসার তারা কতো,                 দেখি তা'রই আকাশে, প্রেমের সুবাস পাই খুঁজে পাই,                   মৃদুমন্দ বাতাসে। বাঁধ মানেনা মনের কথা,                   কল

৯২। বর না সেজে বিয়ে

আমি বর না সেজে বিয়ে করেছি,                পেয়েছি কনে সংসার, শান্তির নীড় পেয়েছি উপহার,                  নেই কোন দুঃখ আমার। জীবনের দিগন্ত, উন্মোচিত হলো,                 অপরুপ গুলবাগ, সুবাসিত সমীরণ,  তারাময় আকাশ,                  পূর্ণিমায় পূর্ণ রাত। অসীম স্বপ্ন দৃষ্টি জুড়ে,                   স্বপ্নের পথে হাঁটি বাস্তবতার রৌদ্র খর তাপে,                 স্বপ্নীল পৃথিবী খাঁটি। বন্ধুর পথ, আর দিকপালহীন,                  জীবনের সব মোহনায়, পলে পলে সাথে রবে,                   শংকিত পথ চলায়। ২৬/১০/২০১০ ঈসায়ী সাল। ফখরে বাঙ্গাল নিবাস, ভাদুঘর, সদর, বি-বাড়ীয়া-৩৪০০। 

৯১। জীবন সাথী

আমার জীবন সাথী,               ভালবাসার উৎস, পরম স্বার্থকতা,                স্বপ্নীল আশার জন্ম। জীবন তরনীর সফল নোঙ্গর,                প্রান্তিক মাইল ফলক, জীবন থেকে জীবনে,                 সফলতার নিয়ামক। আমার উৎসাহ, প্রেরণা,                  স্বার্থক অনির্বাণ, অপরিসীম স্বপ্নের নীলিমা,                 ডাকে স্বপ্নের বান। শয়নে স্বপনে, আশা বাস্তবে,                 হৃদয় হতে হৃদয়ে, প্রেম ও ভালবাসার ফল্গুধারা,                 অমীয় সুধা অন্তরে। ১৭/০৬/২০১০ ঈসায়ী সাল। অর্ধাঙ্গিনী খালেদা ইসলাম ভূঁইয়া - কে ফখরে বাঙ্গাল নিবাস, ভাদুঘর, সদর, বি-বাড়ীয়া-৩৪০০।

৯০। অনুশোচনা

            আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া ২৪/১২/২০১৭ ঈসায়ী সাল। ("বিজয়ের উল্লাস" যৌথ কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।) পদে পদে, প্রতি পদে, জড়ায়ে পাপে, মুক্ত না হতে পারি, আশা নিরাশার দোলাচলে চলি, দিবা-নিশি এমনি করি। কখনো শয়তান, নিজের নাফস, দুনিয়ার মন্দ সব, হৃদয় গহীনে বাসা বেঁধে চলে, চালায় যতো তান্ডব। সহজ সরল পথের সন্ধানে ছুটি দিনমান কেন বিপথে চলি! ঘুমের জোয়ারে ক্লান্ত দু'চোখে, আপনারে লয়ে,ব্যস্ত নিশিতে। কোথায় মাগিব দু'দন্ড শান্তি, কেমনে ভূলিব জমানো ক্লান্তি, কাঁদিব কোথায় পথযে হারায়, আপনার ভূলে, পথ ভূলে যায়। ভূল করে করে, নিঃস্ব আজি, কোথাও কি কিছু আছে বাকি! চারিদিকে দেখি মরু মরিচীকা, আশার দোয়ার হারালো কোথা! ভাঙ্গিতে ভাঙ্গিতে ক্ষীণ মনোবল, অনুশোচনার অস্থির মরুঝড়। আশার দীপালী নিভু নিভু কভু, তবু স্বস্থি, জাগে তাওহীদ, মনে প্রভু! আশ্রয়হীনের সেরা আশ্রয়, সর্বোত্তম করুণার আলয়, নিরাশার মাঝে আশার আলো, বাঁচিবার তরে পিদিম জ্বালো। নূতন আশার ঝলকানিতে, জীবন পথের বাঁকে বাঁকে, অসীম শান্তি-স্বস্থি মিলে, তোমার অশেষ রহমতে। করুণাধারা চায় অবিরাম, দেশ ও জাতির তরে অফুরান

৮৯। পরোয়ানা

- আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া    ২২/১২/২০১৭ ঈসায়ী সাল। ভালবাসা ভরে থাক, প্রতিটি অন্তর; ভালবেসে বেঁচে থাকা, হউক মূল মন্তর। পথে ঘাটে জোড়া জোড়া, বসে থাকে নীরবে; সহাস্যে হেলে দুলে, কেউ চলে সরবে। আকাশের তারা সম, যুগলেরা জ্বলে নিভে, কত কথা বিনিময়, চলে মান অভিমানে। সত্যি হয়ে থাক, সব সুখ স্বপ্ন, স্বপ্নের বলাকারা, হয়ে যাক ধন্য। থেকো সবে চিরদিন, পাপ তাপ মুক্ত, দিন দিন বাড়ে যেন, পূণ্যের প্রস্থ। ভালবাসি ভালবাস, দিবা নিশি সত্য, স্বর্গ হবে দেখো, ধূলীর এই মর্ত্য। ভালবাসার অভিনয়ে, কেঁড়ে নিবে যতো সব, জিম্মী করে কভু, জুলুমের উৎসব। সঙ্গ দিবে ঠিক, যবে তার প্রয়োজন, ফিরে আর পাবেনা, হবে শেষ আয়োজন। নেশা করে প্রেম করে, সুস্থতা বিনাশে, উপকরন সহজেই, রবে আশে পাশে। মিলবে সব তার, যতো চাওয়া ফন্দী, মৃত্যুর পরোয়ানা, কভু পাপে বন্দী। চায় সৎ সঙ্গ,  সুখ ভোগ, শান্তি, প্রেম আর ভালবাসা,  চায় সব শ্রান্তি। প্রতারক, লোভী সব,  একা থেকে মুক্তি, চাই পাশে,সৎ জন,  এই হোক চুক্তি। ২১/১২/২০১৭ ঈসায়ী সাল। গুলশান-০১, ঢাকা।

৮৮। প্রাণের চেয়ে প্রিয় কুদস

ওরা মার খাচ্ছে, খাক, জ্বলে পোঁড়ে  ছারখার হয়ে যাক, পুরো ভিটে মাটি, সাজানো সংসার, কারো দখলে এমনি থাক। আমার আসন ঠিক আছে তো! বিশ্ব তাহার সবি হারাক। মানব-দানব ধ্বংস চালায়, কার কী আসে যায়! তোমার আঙ্গিনায় ফোটে, রং বেরঙের, নানা জাতের ফুল, আমার আঙ্গিনা ক্ষত বিক্ষত, জাজরা বুলেটে, বংশ নির্মূল! তোমার সুখে ও দুঃখে সবাই প্রাণাধিক সুখী ব্যাথাতুর, আমার জীবন যৌবন, সন্তান, প্রিয়তমা হারায়, নিত্য কূল। বসত ভিটা, জমি-জমা, স্বপ্ন কাঁড়ে,  পাষাণ অরি, সকাল-সাঁঝে, হর হামেশা, ঝাঁপিয়ে  পড়ে প্রাণ হরি। যাক চলে যাক সহায় সন্তান  দুঃখ নাই মোর অন্তরে, প্রাণের চেয়ে প্রিয় কুদস  কার দখলে, কোন কারণে? শান্তি নিয়ে জুয়া খেলা,  খেলছে কারা দিবালোকে, দাবা খেলার গুটি নিয়ে,  হন্যে হয়ে চলছে ছুটে। শান্তি-চাবি গুটি কয়েক  বোকা রাজার হাতেই রবে? বিশ্ব মাঝে ঝাঁকিয়ে তোলা,  অশান্তির সেই শেষ কবে? যতো আছে পথের কাঁটা,  সরায় সবে  শক্ত হাতে, অত্যাচারীর বুকে মাটি,  দাফন করি সবাই মিলে। চিরতরে স্তব্ধ করি,  ঝগড়া বিবাদ  মারামারি, কারণে আর অকারণে  করে যারা হানাহানি। বিশ্বটাকে এমনি করে তুলে দিবে! পাগল, ছাগল, পামর কর

৮৭. আসলো পতন, খবরদার!

দিনে দিনে বাড়ছে জ্বালা অত্যাচার আর উৎপীড়ন, মানুষ নামের মানব-বাদীর, কবে হবে চেতন ??? বিশ্ব হবে সব জাতিদের, থাকবেনা বৈষম্য, হচ্ছে কী সব বিশ্ব জুড়ে! তাই কী ছিল কাম্য? আঁতাত করো খুনীর সাথে, সাথী দখলদার, অত্যাচারীর অস্ত্রগুরু, দালাল ফড়িয়ার! সিংহ, শার্দুল ওঠলো জেগে, অত্যাচারীর দিন শেষে, ঢাল তলোয়ার, মারণাস্ত্র, প্রয়োজন তা' কোথা' কবে! শান্তির কথা মুখে মুখে, অন্তরে অন্তঃসার, সাধু তুমি অসাধুরা, করে অভিসার!!! বিশ্ব-বিবেক ভাবছো বোকা, নিত্য নিতুই দিচ্ছ ধোঁকা! বের হয়েছে মুখোশ তোমার, লুকিয়ে রবে কোথা?? অত্যাচারী টিকলো কবে, কদিন রবে ধরাতলে, দেখ্ খোলে দেখ্, ভাল করে, ইতিহাসের পাতা পড়ে। অপমানের নরক জ্বালা, জ্বালবে তোদের অন্তরে, সব হারাবি নিঃস্ব হয়ে, জায়গা হবে প্রান্তরে। অত্যাচারীর সহযোগী, অস্ত্রবলের যোগানদার, থামবি নাকি? থামিয়ে দিব? আসলো পতন, খবরদার! গুটিয়ে নে তোর ঝারি-ঝুরি, ভাসিয়ে নেবো তৃণ সবি, আবর্জনা সব হবে সাফ, করবেনা কেউ মাফ। সকাল ০৯ টা। ১২/১২/২০১৭ ঈসায়ী সাল। মধুবাগ, বড়মগবাজার, রমনা, ঢাকা।

আমার বাবা

 ৮৬.             বাবা! কে বলে তুমি নেই, এ ধরাধামে? চলে গেছ অভিমানে; নিত্যদিনের নিয়ম মেনে, সবার মতো স্বজন ছেড়ে, ভিন দেশেতে অনেক দূরে। নাই কি তোমার রক্তধারার? এমদন নয়ন, খুঁজে নেবার। সত্যটাকে মিথ্যাজালের বেড়া থেকে, আলোর রেণু, মুঠোয় নেয়া দক্ষ হাতে।

বিজয়ের উল্লাসে

৮৫.    ("বিজয়ের উল্লাস" যৌথ কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।) বিজয়ের উল্লাসে, মোর চোখ হাসে আজ, ঠোঁট হাসে তার রূপ পাশে, সুখ আঁশুতে বুক ভাসে। রক্ত নাচে টগবগে, মোর অরুন-তরুণ, রক্ত রাগে, সোনা রোদের মখমলে, জীবন জুড়ে, সৃষ্টি সুখের উল্লাসে। সব পরাজয়, পদানত, শত্রু সেনা হস্তগত, জয়ের নেশায় মত্ত ছিল, অস্ত্রসহ, অস্র বিহীন যোদ্ধা যত। অশ্রু ধারার লক্ষ নদী, রক্ত ধারা নিরবধি, বয়েছিল জয় অবধি, রুপ-অপরুপ সমাজ, জাতি, সব হারিয়ে রিক্ত অতি, মুঠোপুরে বিজয়-পতি। নির্যাতনের দীঘল রাতি, লম্বা ছিল নেইকো যতি, ভোরের আশায় মনের বাতি, দোলাচলে নিভলো বুঝি! সারি সারি বীর বাঙ্গালী, দেশের তরে প্রাণটি সঁপি, শত্রু সেনার গতির যতি, বুলেট বুকে আগলে রাখি। সূর্যোদয়ের নূতন আভায়, নূতন করে প্রাণ ফিরে পায়, ঝরা-জীর্ণ সব টুটি, অরুণ রবির আঁচল তলে, স্বপ্ন হাসে স্বাধীণ বেশে, সব পরাধীণ ছুটি। আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া। ০৬/১২/২০১৭ ঈসায়ী সাল। মধুবাগ, রমনা, ঢাকা।

বাবা!

৮৪।   আমার বাবা, আমার রবি, সব বেলাতেই, তারে স্মরি। মা'বুদ আমার সাথে তাহার, করবে সদাচার, এইতো হল, আমার দোয়া, মাবুদের দরবার। মাফ করে দাও, মা'বুদ তুমি, আমার বাবাকে, জান্নাতী করে রাখো, আমার রবিকে। আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া ৩০/০৪/২০০৬ ঈসায়ী সাল। ফখরে বাঙ্গাল নিবাস, ভূঁইয়া পারা, ভাদুঘর, সদর, বি.বাড়ীয়া।

জীবন তরী

৮৩।  জীবন তরীর এ কি হল হাল, মাঝে মাঝে পাল ছিঁড়ে বেসামাল, হাজারো ঢেউয়ের তর্জনগর্জন, নির্ভীক চিত্তে করিতে অর্জন। পথে পথে বাঁধা হবে, কেটে যাবো একে একে, মানবোনা বাঁধা, শুনবনা কথা, চলে যাব, দিয়ে যাব দিশা। তুমি থাক ভীত হয়ে, রবনা একাকি বসে, লড়ব, চলব নিশান উড়িয়ে যাব, সত্য ধ্বজা রবেই অম্লাণ, যাই যাবে যাক দেহ মোর প্রাণ, সহাস্যে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করিব।  আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া ২৬/০২/২০০৫ ঈসায়ী সাল

বাবা!

৮২।        বাবা, তুমি সময়ের সাথে, পাল্লা দিয়ে অনেক দূরে চলে গেলে! কি করে ভূলিতে এ মন পারে, কত সাধ আহ্লাদ, তোমারে আহ্বাণে। কালের আবর্তে চলে গেলে! এত দূরে তবে কেন? আশার দিপালী জ্বেলে, তুমি নীরবেই চলে গেলে! এ পৃথিবী তোমায় দিয়েছে কিছু? নিয়েছে তো অনেক, তোমার সন্তান দেখো কত স্বার্থপর!!! তোমারে স্মরিছে কি বারেক!!! আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া ৩০/০৪/২০০৬ ঈসায়ী সাল। ফখরে বাঙ্গাল নিবাস, ভূঁইয়া পারা, ভাদুঘর, সদর, বি.বাড়ীয়া।

সত্য সন্ধানী

৮১।        ("বিজয়ের উল্লাস" যৌথ কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।) বেহাল রুপ দেখিতে কে চায় বলো? অপরুপা এ পৃথিবীর ; কারা হারাবে সত্য নিশানা? সত্য সুবাস ছড়াবে ধরিত্রীর? সত্যের ঘোষক, ধ্বজাধারী বীর, কোথায় বসবাস এ অবনীর? সত্যের সমারোহ ঘটাবে কোন জন? সৃজিবে কা'রা সত্যের কানন? অবিনাশী সত্য, চিরঞ্জীব প্রিয়তম, ধূসর পৃথিবীতে আর কি চাওয়া! সুন্দর অনন্ত, সত্য চির-ভাস্বর, হীরে কণা সব একে একে পাওয়া। সত্য পূজারী, সত্য সন্ধানী প্রিয়তমা! নিত্যদিন সত্যের গান গেয়ে যাওয়া। প্রিয়তম যে মোর, অনন্ত কালের স্রষ্টা, প্রভাত-গোধূলী লগনে সদা, তাঁর গান গাওয়া। আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া ৩০/০৪/২০০৬ ঈসায়ী সাল।

বাসন্তী

৮০।    পাকা পাকা বিবর্ণ পাতা সব, ঝরে পড়ে নীরবে, শীত এসে চলে গেলো, বসন্তের মোহরুপে। জরাজীর্ণ ঝেরে ফেলে,  নতুনের প্রস্তুতি, আর কতো অপেক্ষা, আসবে রে বাসন্তী। দিন যায়, মাস যায়, আসে যায় বছর, কেউ বলে বাড়ে আবার কমে যে বয়স! মায়াঘেরা প্রীতিডোরে, বেড়ে ওঠা ধীরে ধীরে, পথচলা সময়ের, শ্বাশ্বত বিধানে। সুখ আর দুঃখ কেউ কারো অরি নয়, একে একে দুই দুটো, জীবনের সাথী হয়। ভাবি সব দুঃখ, কেন সুখ হয়না, দুঃখ কেন যে, পিছু কভু ছাড়েনা। সাজাবো থরে থরে, সুন্দরে সুন্দর, নোঙ্গর রাখব আলোকিত বন্দর। জীবনের আশা-তরী, ভিড়বে একে একে, চলবে বিনিময়, জীবনের সব খানে।  আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া ৩০/১১/২০১২ ঈসায়ী সাল। পূর্ব নয়াটোলা, 

রঙমহল

৭৯।    সাথী আমার জীবন সাথী, কোথায় ছিলে তুমি? তোমার তরে ভালবাসার, আকাশ রেখেছি। ভাবতে পারো উজাড় কিনা! আঁধার আঁধার ভরা, জীবন আমার ঘূর্ণিপাকে!  নাকি মরণ ছোঁয়া। ভালবাসার মহারথে চলবে জীবন ভর, ভালবাসায় খুঁজে পাবে, পূর্ণ তব মন। আকাশ সে তো নয়গো জেনো, মহাকাশ দেখো, তারায় তারায় সাজিয়ে দিলাম, তোমার তরে শুধু। খুঁজে পাবে চন্দ্র, তারা, রবিকরের মাঝে,  চায়বে যখন সঙ্গ তুমি, সকাল-সন্ধ্যা-সাঁঝে। এলোমেলো ঝড় যখনি আসবে জীবন মাঝে, ভালবাসার ঢাল দিয়ে সব, রুখবো দু'জনে। ভয় পেয়োনা নূতন সাথী, কভু বিপদ দেখে, পাশেই আছি পাশাপাশি, থাকবো তোমার হয়ে, এসো রচি ধূলীর ধূলায়, ভালবাসার রঙমহল, প্রেম-তুলিতে স্বপ্ন আঁকি, হাসি-খুশি, সুখ-আঁচল। রচনাঃ ২৪/১১/২০১২ ২৮/১, পূর্ব নয়াটোলা, বড়মগবাজার, রমনা, ঢাকা।

চন্দ্রাবতী

৭৮।  ------ আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া        ২৮/১১/২০১৭ ঈসায়ী সাল। আঁধার ঘেরা নিঝুম রাতে চাঁদ যে বড় একা, আলো ছায়ার চলছে খেলা, নামলো পরীর মেলা। চাঁদ খুঁজে তাঁর হারিয়ে যাওয়া সাথীটারে বুঝি, "চাঁদনী " বলে ডেকে ডেকে সারা হলো নিশি। বুকে ভরা স্নিগ্ধ আলোয়, একাকিত্বে মরি, দিবা-নিশি খুঁজে মরি, পূর্ণতা যে চাহি। চাঁদের আলোয় ভালবাসা, পায় যে অপরুপ, প্রেম নামে যে, বাঁধনহারা, খুঁজে নিজের রুপ। প্রেমের খেলা জমে ওঠে, চলে নিশি ভর, ভালবাসার রাজ্য মাঝে, কেউতো একা নয়। চাঁদ হয়ে ভাই, এই কি হলো! বড্ড একা থাকি, একা একা জীবন গেল, রয়লো ক'দিন বাকি!! চন্দ্রাবতীর প্রেমে পড়ে, পাগলপারা ভাই, সন্ধ্যা-রাতে, নিশি-ভোরে, খুঁজি তারায় তারায়। আর মানেনা মন যে আমার, দারুন সময় যায়, চন্দ্রাবতীর দেখা পেলে, আমায় বলো ভাই। রচনাঃ ২৪/১১/২০১২ ঈসায়ী সাল। ফখরে বাঙ্গাল নিবাস সদর, বি-বাড়ীয়া-৩৪০০।

শনিবারের হুজুর

৭৭।      শনিবারে শনির দশা, মিথ্যে করলে সবি, দ্বীনের মশাল তোমার হাতে, আসতো ছুটে জানি। "শনিবারের" হুজুর বলে, শত প্রাণের ঠাঁই, দেশ পড়শী, খেস সকলি, বাসছে ভালো তাই। তোমার মিশন ভিশন জানে, সবার কল্যাণে, দ্বীন-দুনিয়ার সুখের ধারা, সবার জীবন জুড়ে। চলবে পথে দ্বীনের আলোয়, দ্বীনের তা'লীম করে, পথ দেখালে, বিশাল মনে, প্রতি শনিবারে। জ্ঞানের তৃষা সঙ্গে করে, দূর দূরান্ত হতে, আসতো ছুটে, শনিবারে, সবাই সদলবলে। শুদ্ধ করে কোরান শরীফ, পড়তো জনে জনে, তা'লীম হতো দ্বীনের আলোয়, জোহর নামাজ পড়ে। তা'লিম পর্ব শেষ হতো ঠিক, আসর আজান শোনে, চাওয়া পাওয়া সব আবেদন, চলতো দু'হাত তুলে। অশ্রুঝরা মোনাজাতে বলতো সবে কথা, খোদার আরশ কাঁপতো সদা, মোমিন হৃদে ব্যাথা। ধ্যান ধারণা, দিক নিশানা, শক্তি নিয়ে ফিরে, বাড়ীর পথে চলতো সবাই, আসর নামাজ শেষে। (ভাদুঘর সহ আশেপাশের অন্যান্য গ্রামের সন্মানীত মহিলা, কন্যাদের কাছে সকালের মক্তবের মহিলা হুজুর এবং "শনিবারের হুজুর" নামে পরিচিত আমাদের মা, তা'লীমুল মো'য়াল্লিমা, ক্বারীয়াহ্ আলহাজ্ব হালীমা সাদীয়া ভূঁইয়া।উনার নেক

প্রেমের ফাঁদে

৭৬।  মিথ্যার বেসাতি আর করবে কতো, কত জীবন করবে এলোমেলো! তোমার পথ নয়তো জানা, যাবে কোথা? তাই বলে যার, পথ আছে তার, চলতে বাধা! ভালবাসা আর প্রেমের ফাঁদে, ফেলছ কতো, নিজের লাভে, জাহান্নামের কোন কিনারায়, পৌঁছে দেয়ার কোন্ ঠিকাদার । সবুজ গাছের নীচে, দূর্বা কোমল ঘাসে, এক্কেবারে বসে আছো ঘেষে, হে যুবক! বলছি তোমাকে, কি তার পরিচয়? কে সে? তোমার পাশে মন্ত্রমুগ্ধের মতো। প্রেমের আধার যতো! মোহমায়ার কোহকিনী, হাজার মায়ার ছলচাতুরী। নগদ হিসাব, নয়রে বাকী, স্বপ্ন দেখায়, স্বপ্ন দেখে, দিবা-নিশি নেই বিরতি। কোথা হতে কেমন করে, বসলো জুড়ে, মনের দোরে, কোন খেয়ালে, পড়লো বাধা, রয়বে কদিন, কজন জানে! কোকিল কুজন বিজন বনে, সবুজ পাতার আঁড়াল ডালে, ডাকছে বেলা দুপুর সাঁঝে, সব হৃদয়ে, ঝড় তুলে দে। মনের দুঃখে গান ধরে সে, হৃদয় পুরে ঢেউ খেলে, নেয় যে কখন অচিনপুরে, সাথীহারার সুর কে বুঝে? আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া। ২৫/১১/২০১৭ ঈসায়ী সাল। মধুবাগ, বড়মগবাজার, রমনা, ঢাকা

অস্তিত্বের ভিত্তিমূলে শিক্ষক

৭৫।     সাধারণ লেখাসব, অসাধারণ হয়ে ওঠে, আপনাদের আশীর্বাদে। আমার অস্তিত্বের সব ভিত্তিমূলে, নিরলস, নির্মোহ, পরিশ্রম জ্বলজ্বলে। শীতের সকালে, শিশির মাড়িয়ে, আঁকা-বাঁকা, উচু-নীচু পথ বেয়ে, কিছুটা উৎকন্ঠা, চিরচেনা ভয়ে, শেখার আগ্রহ সাথে করে দ্বারে। দক্ষিনের ঘরে, লম্বা টোলে  একাকি বসে ধারে, নিরলস ভাবে, কত সহজে, বুঝাতেন গণিত শেষে। শ্রদ্ধেয় নিখিল স্যার! আরামের ঘর, বিছানা ছাড়িয়া, বলিতে "আরিফ বসো"! দিল খোলা সে, আদরে ভরা, আর কি শুনিব কভু। বাংলায় ভাল নাম্বার পেতে লাগবে  ভালো হাতের নোট, কোথায় পাব, দিশেহারা হয়ে, ভেবে নাহি পায় কূল। ক্লাশের ফাঁকে, অনুরোধ মোর, শোনেন প্রিয় স্যার নজরুল, কচি হৃদয় মোর নাচিয়া উঠিল, পেয়ে নোট সব অতুল। আজো ভাসে মোর নয়ন জুড়িয়া, সুন্দর লেখাগুলো, কত কষ্ট, ত্যাগের মহিমায়, স্নেহাদরে সব সাজালো। পল্লী সাহিত্য, প্রত্যুপকার, পল্লী জননী, আরো কতো কবিতা-প্রবন্ধ, সব প্রশ্নের জবাব সাজালেন, দেহ-মন মন্ত্রমুগ্ধ। "নেই ভাবনা, লিখে দিব সব, ক্লাশের অবসরে, ভাল করে, নিও পড়ে, বানান সমেত, যখন হাতে পাবে"। বাংলায় নম্বর, লেটারের ঘর ছুঁই ছুঁই, কীয

বাঙ্গালীর স্বাধীনতা

৭৪।        ("বিজয়ের উল্লাস" যৌথ কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।) প্রাণের চাওয়া, বাংলাদেশী নয়, বাঙ্গালীর স্বাধীণতা, খুঁজেফিরি কোথায় আছে, মোদের হৃদয়- ত্রাতা! কেড়ে নিয়ে প্রাণ লুটিল বৃটিশ বেনিয়া, পরাধীনতার মোড়কে পেলাম কেমন স্বাধীনতা! বঙ্গবঙ্গ নাটক করে পায়নি কোন কূল, বঙ্গবীরের সিংহ নাদে, হেয় হারালো ভূল। বঙ্গভঙ্গ রদ হলযে, ফিরল শান্তি নিয়ে, সুখের আসর ভেঙ্গে দিতে, লাগলো আবার পিছে। ভাষা দিয়ে ভাঙতে তারা পারেনি মহাভারত, ভাঙলো শেষে, ধর্ম দিয়ে পাকিস্তান ও ভারত। সফল হলো চিরশত্রু বৃটিশ গড়া নকশা, ভাঙলো আশার তরী সবার, সকল স্বপ্ন-খাসা। পূর্ব পশ্চিম পাকিস্থানে, আবার এলো ভাষা, ভাষার দোহায়,  দানা বাঁধে, নতুন করে বাঁচা। পুরনো চালে, নতুন ফাঁদে, পড়লো পুরো জাতি, মুখের ভাষা, রক্ষা করে, আনলো বিজয় সবি। ভাষার স্বাধীনতার পরে জাগে বাঁচার স্বাধীণতা, আনলো করে সবাই মিলে, দেশের স্বাধীনতা। রয়লো পড়ে দূর নিকটে জাতির স্বাধীনতা, পথ হারিয়ে পথ ভূলে ফের, হারায় একতা। বলতে পারো, প্রাণের দেশে নেইকি ধর্ম,ভাষা, বর্ণ! শাসক শ্রেণী গায়ের জোড়ে, করবে কি সব ছিন্ন -ভিন্ন! হাজার জনের দেশ গড়িয়ে, গড়বে অনেক দেশ

আবে হায়াত

৭৩।   দেখছো খোকা, আকাশ পরে, জ্বলছে রবি কেমন করে। বিলায় আলো ধরাধামে, সবার উঠান, ফসল-ভূমে। চাঁদ জাগে তার নিয়ম মেনে, লক্ষ্য তারার মেলা করে, ঘন কালো আঁধার পালায়, আলোর ধারা বয়ছে ধরায়। রূপের বাহার দেখতে পাবে, হরেক ফুলে, ফুল বাগানে, সুবাস বিলায় উজাড় করে, প্রাণ মাতিয়ে, নয়ন জুড়ে। তাকাও সবুজ বৃক্ষদলে, ফল ও ছায়া, ফুলের মাঝে। রাখছে কেমন আপন করে, শ্রান্তি-ক্লান্তি, দুঃখ -সুখে। তোমরা সবাই রবির মতো, বিলিয়ে দিবে জ্ঞানের আলো, চাঁদের মতো আঁধার রাতে, পথ হারাদের পথ দেখাবে। বাগান সবুজ বৃক্ষ তরু, ফুল, ফসলের মতো, অবাক সবাক সকল প্রাণে, আবে হায়াত রেখো। আরিফ ইবনে শামছ্ ১৪/১১/২০১৭ ঈসায়ী সাল। মধুবাগ, বড় মগবাজার, রমনা, ঢাকা।

বিশ্বাসের হারজিত

৭২।   ভালবাসা অভিনয়, ভালবাসা ভাল নয়, ভালবাসা জীবনে ক্ষত হয়ে গেঁথে রয়। নেই কোন দন্ড, মেপে নিব অন্ত, ভালবাসে ভালবাসি, তন্ত্র-মন্ত্র। ভাল লাগে রুপ সুধা, করি পান অফুরান, স্নিগ্ধতা চাহনীর, খুন করে কাঁড়ে প্রাণ। ভাষাহারা নির্বাক, নিশ্চুপ চুপ চুপ, গোলাপী গন্ড,  পাঁপড়ি ছোপ ছোপ। কাল কেশ, লাগে বেশ, উড়ছে তো উড়ছে, চাঁদমুখে বাতাসে, দোল খেয়ে খেলছে। সচেতন আঙ্গুল সযতনে সরিয়ে, মুগ্ধতা বাড়িয়ে, কাছে টানে সহজে। শিশিরে স্নাত হওয়া, ফোটা ফুল সদ্য, সোনালী কিরণে, অপরূপ পদ্ম, নিষ্পাপ নিশ্চিত, পাপ নেই কিঞ্চিৎ, ভালবাসে-ভালবাসি, বিশ্বাস- হারজিত। রচনাকালঃ আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া। ১২/১১/২০১৭ ঈসায়ী সাল। ১৪/ডি, মধুবাগ, বড়মগবাজার, রমনা, ঢাকা।

অব্যক্ত নিঃশ্বাস

৭১।   শরতের আকাশে ভেসে চলে মেঘেরা, কোথাকার কোন ডাকে, তারা আজ থামেনা। চলছে নেচে নেচে, নীচে ঝরে পড়েনা, বুক ফাঁটা মেঠোপথ, অভিমানে চাহেনা। তারাদের আলো সব বাধা পায় নামতে, পরীরা ঘুরে ফিরে, পারে নাক নাচতে। জীবনের খেঁয়া ঘাটে,  নেই কোন লোকজন, চঞ্চল মন নিয়ে, ছুটে কেউ প্রাণপন। অলীরা ঘুরেফিরে, নির্মল বাতাসে, বসেনা ফুলেতে, অজানা অভিমানে। পাখিদের ভীঁড়ে খুঁজে, চাতকী প্রিয়কে, কোকিলের গান সব, ফিরে আসে পাহাড়ে। পাহাড়ের মৌনতা,  কত বড় অভিমান, পুকুরের নীরবতায়, প্রাণ করে আনচান। জীবনের পুরোটাই, থাক সুখ শান্তি, সফলতা উন্নতি আর যত প্রশান্তি। ছুটে চলা অবেলায়, বিনীত চাপা শ্বাস, প্রাণপন ছুটে চলে, আজ যেন নাভিশ্বাস। পথহারা দেউলিয়া, পায়না আশ্বাস, কোথা গেলে মুছে যাবে, অব্যক্ত নিঃশ্বাস। আরিফ ইবনে শামছ্ রাত ২২:১৫ মিনিট, ০২/১১/২০১০ ঈসায়ী সাল। ফখরে বাঙ্গাল নিবাস, সদর, বি.বাড়ীয়া।

কবিতা চোর

৭০।   কবিতা চোরে, নিল কেঁড়ে, সব কবিতার প্রাণটা, কপি করে, বাহবা নিতে, বাদ দিয়ে মোর নামটা! কেমন হায়া, লজ্জা ছাড়া, সাধুবেশে চুরি, সব কবি আর কাব্য প্রেমী, চল চোর ধরি। চুরি করা ভুলিয়ে দিয়ে, শাস্তি কঠিন দিব, প্রয়োজনে ব্লক করিব, রিপোর্ট লিখে দিব। সাজতে কবি, নামীদামী, দিন দুপুরে,কবিতা চুরি, ভেঙ্গে দিব হাঁটে হাঁড়ি, সকল জনে ডাকি। নামগুলি সব এঁটে দিব, খোলা তালিকায়, এক নজরে, দেখে নিয়ে, বুঝে নেবে সবাই। আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া ২৩/১০/২০১৭ ঈসায়ী সাল। মধুবাগ, বড়মগবাজার, রমনা, ঢাকা।

শ্বাশ্বত আহ্বান

৬৯।      ("ঝরা ফুলের গন্ধ" যৌথ কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।) বেলা বেলা করে কত বেলা যায়, ডাকিনি প্রভু কখনো তোমায়! তাই বলে তো বন্ধ রাখনি, সকল বাঁচার উপায়। ফজর পড়িনি গভীর ঘুমে, আরামে অলসে শোয়ে, সূর্য জাগিল পূর্ব গগনে, তোমার বন্দনা গেয়ে। যোহরের আজান সুমধুর সুরে, আকাশে বাতাসে ভাসে, কর্নকুহরে ধ্বনি প্রতিধ্বনি সাজে, হৃদয়ে ভীষণ বাজে। যৌবন বেলা পার করে রবি পশ্চিমে যায় হেলে, আসরের আজান পড়লো ছড়িয়ে, জামাতে শামিল হতে। জ্বলিতে জ্বলিতে অস্তাচলে, রবি বলে জনে জনে। সময়ের কাজ সময়ে করো, বেলা ফুড়ানোর আগে। দিনের আলোর পর্দা সরায়ে, নীরবে সন্ধ্যা নামে। মাগরিবের আজান মিনার হতে, চির শ্বাশ্বত আহ্বানে। পশু, পাখি, প্রাণী, ফিরছে নীড়ে, মানুষেরা সব আবাসভূমে, রক্তিমাভ ঢেউ খেলে যায়, পশ্চিম আকাশ পরে। স্তব্ধ নিঝুম ভেঙ্গে আসে এশার আজান শুনি, মনের মাঝে কত ঝড় চলে, নামাজ পড়িতে না পারি! তোমার স্তুতি করিতে আমার নেই ক্ষমতা কোন, দয়া করে যদি পথ দেখাতে, হিম্মত  পেতাম শত। তোমার ক্ষমা যাচে সদা, মোর তনু আর প্রাণ, তোমার রাজী, রহম, করম, আমার অহংকার। আরিফ ইবনে শামছ্ ২২.১০.২০১৭ ঈসা

ছন্দ নাবিক

৬৮।   ("ঝরা ফুলের গন্ধ" যৌথ কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।) ছন্দে ছন্দে চলে আনন্দে, নাচেরে তনুমন, কীযে হরষে, কথাকলি সব, ফুল হয়ে ফোটে, মাতিবে সবাই, মিষ্টি সুবাসে। কথা বিশেষ, কবিরা কত ভেবে বলে, কখনো কলম লিখে, ছন্দে ছন্দে, কত কথা, কত সুখ-বেদনা ঝরে, কাগজের মসৃণ পরতে পরতে। কখনো উৎসাহ, স্বপ্নের নীলিমা, দিক দিগন্তে জয়ের উন্মাদনা। হতাশা সব ছোঁড়ে,  ফেলে দিয়ে, স্বপ্ন তরীতে, হাল ধরে যায় বন্দরে। জলে ভরা নদী, ছল ছল ছলাৎ ছলাৎ, ডাকে পাখি, কোথাও প্রাণীর উৎপাত। পাল তুলো হে নাবিক! খুলিবে স্বর্গ দ্বার, লক্ষ্য বন্দর যত দূরে হোক, নোঙ্গর করিবার। মাস্তুল যাক ভেঙ্গে যাক, পাল ছিঁড়ে যাক ঝড়ে, শক্ত হাতে হাল ধরো আর সম্মুখে চলো জোড়ে। ঝড়ের সাথে পাল্লা দিয়ে, হার-জিতে জিত তোমারই হবে, ঘন কালো সে দীর্ঘ নিশির ভয়াল রুপের তুঁড়ি মেরে। হারিয়ে যাওয়া চাঁদ গগনে, নিকচ কালো আঁধার রাতে, সব তমসার নিরাশ বাণী, হতাশ হবে তোমার জয়ে। শত ঝঞ্ঝার পাঞ্জা খেলে মৃত্যুু  দু য়ারে কড়া নেড়ে, তোমার তরী ভীড়বে তীরে, লক্ষ আশার নীড়ে। চোখ ছল ছল, হত বিহ্বল প্রণয়ীর কাঁপা কাঁপি, দূর সুদূরের ঊর্মিমালার কূলে কূলে ঝাপা ঝা

সমাজ সাজায়

৬৭।     কাঁধের উপরে এক হাত,আর অন্য হাতে সতীত্ব লুটে, প্রশ্রয় পেয়ে সবার সাথে, চলে ছলে কলে কৌশলে, লুটেরা আজ বড় বেসামাল, কেউ নাই কিছু বলিতে! রাস্তার পরে, পথের ধারে, কী না করে দিবস-রাতে! লজ্জা মরে নিয়ত দেখো, নির্লজ্জের ঘেরাজালে, কী বুঝে চলে, আর কী ভেবে করে, জীবনের বেলাভূমে! পথের সূচনা, সমাপ্তি কোথা, ভেবেছে কবে কেমন করে? বেহায়ার মতো চলে ফিরে তারা, নিষিদ্ধ সব মতের পরে। কে আছো ভাই, প্রিয়জন আর, সমাজের সব প্রাণ, চলো বোন আজ সমাজ সাজায়, লজ্জাই অলংকার। সমূলে বিদায় করিতে নামি, চলো সবে একসাথে, চলিতে ফিরিতে, ভদ্র সমেত, পথে-প্রান্তরে সবে। শোনে রাখো, সাবধান বাণী! পাপাচার ছেড়ে পূণ্য পথে, জীবন চালাও আজি, পাপের দিশারী না হয়ে কভু, পূণ্য পূর্ণে ধরো বাজি, ধন্য করো হে নিজের জীবন, প্রদীপ জ্বালাও অন্তরে, আঁধারে কখন, নামিবে গজব, কবে যে, কোন্ প্রান্তরে। এক হাতে লও গজার লাঠি, তেঁতো ভাষা লও মুখে, যাকেই পাবে, এমন দশায়, সাইজ করো মুখে-হাতে। আর কোন দিন, হাতে হাত, গলাগলি করিয়া জড়াজড়ি! রাস্তার পরে, কান ধরে যাবি, ভীষণ চোটে, সব বোল ভূলি। আরিফ ইবনে শামছ্ ১২/১০/২০১৭ ঈসায়ী সাল। হাতিরঝিল, মধুবাগ,

ফুল

 ৬৬।                সব ফুলে পাবে নারে, রুপ-রস-গন্ধ, সব ফুলে হয়না, বাহারী ফল শত। ফুল হয়ে ফোটে রয়, পৃথিবীর বাগানে, অপরুপ রুপে আর মোহনীয় সুবাসে। মাতিয়ে দুনিয়া, ঠাঁই পাব জান্নাতে, ভালবাসি, ভালবাসে সবজনে সুবাসে, শত শত ফুল সম, ভাল কাজ করে, দেশ-দশ, ধরা-তল, ফুলে ফলে ভরে। ঘরে ঘরে ফুল ফোটে, ভরপুর সুবাসে, রুপে রুপে অপরুপ, প্রাপ্তির সকাশে। রং খুঁজে পেয়ে যাবে, বর্ণিল সারথি, জীবনের সব দিক, পূর্ণতায় আরতি। আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া  ১০/১০/২০১৭ ঈসায়ী সাল।   হাতিরঝিল, মগবাজার, ঢাকা।  ০৮/১০/২০১৭ ঈসায়ী সাল।   রাত ১০:৩০।

প্রতিশোধ

৬৫।   উদাস হয়ে, জীবন পথে, চলছে পথের কোন সে পথে? কোন ঠিকানায় মন সাধিছে, কোন পথে আজ চলছে হেঁটে। কিসের আশায় ছুটছে কোথায়, যায় বেলা যায় নিদ নাহি তার, কোন পাথারের সীমার মাঝে, কিসের খোঁজে নীলাচলে, ছুটছে বারংবার! বেজায় নারাজ, তাই প্রতিশোধ, সয়বে কী তা' কেমন করে! তোমার ভয়ে এমনি বেহুশ, ভূল করে যায় ভূলের পরে। তপ্ত দাহ, অঝোর ধারা, ভূমিকম্প, খরা ঝড়ে, দেখবে কতো ভালবাসে সুদিন-কুদিন বার মাসে। পথ খুঁজিতে, পথ হারিয়ে, জীবন চালায় কোন সে পথে? কিসের ঘোরে, কোথায় চলে, লক্ষ্যহারা কিসের শাপে? নিজেই রচে নিজের কবর, জানেনা তা কোন কালে, নিজের ধ্বংস ডেকে আনে, চেঁচিয়ে বেড়ায় মন্দ ভালে। নেই অভিযোগ, কোন অনুযোগ, সব তোমারি প্রতিশোধ, সকল পাপের-শাপের মোচন, আছে যতো তাঁদের বিরোধ। নড়েনাতো পাতা কোন, হুকুম বিনা কভু, মাফ করে দাও, নয় প্রতিশোধ, ওগো দয়াল প্রভু! আরিফ ইবনে শামছ্ ০৩/১০/২০১৭ মধুবাগ, মগবাজার, রমনা,  ঢাকা। ভোর ০৪:২০ মিনিট।

পরিশোধ

৬৪।   অসীম নেয়ামতে ডুবিছে তনুমন তবু চেয়ে যায় আরো কতো কী! নেই পরিশোধ, শুকরিয়া কভু, চাওয়া পাওয়ার মাঝে হয়েছি বিলীন। সৃষ্টি হতে জান্নাত সহ কতো যে, চাওয়া দীদার তোমার, কী দিব আর কী রাখিব পরিশোধে, এতো কিছু চাওয়া ও পাওয়ার! গেয়ে যায়, যাব দিবা নিশি প্রভু প্রশংসা আর স্তুতি সতত, শেষ হবেনা কভু, জানে সব জনা, লভিতে তোমার রহমত যত। কতো ভালবাস আর কতো ভালবেসে সৃজিলে তোমার বান্দারে, জাহান্নামের অতল দেশে না পুঁড়িয়ে, জান্নাতে ঠাঁই দিও সবারে। হাবীব (সাঃ) তোমার, সাহাবা (রাঃ)তাঁহার যে পথের পথে গেছে চলি, আমরা সবে পদে পদে যনো, সে পথ বেয়ে তোমারে স্মরি। কত শত পথ অজানা রয়েছে, কত যে মরীচিকা পথের পরে, পরতে পরতে জীবনের পথে, কতো যে বাঁধা লুকিয়ে আছে! সব বাঁধা জয়ে, বীর মুজাহিদ, সবাই চলো, সরল পথে, নেই কোন ভয়, সতত বিজয়, আল্লাহ আছেন মোদের সাথে। কীভাবে তোমায় করিব খুশী, ওগো পরোয়ার, রাব্বুল আলামীন! তোমার চাওয়া-পাওয়া মিটিয়ে দিতে, থাকি যেনোগো সতত বিলীন। ০৩/১০/২০১৭ মধুবাগ, মগবাজার, রমনা,  ঢাকা। ভোর ০৩:৪৫ মিনিট।

মনের খিঁড়কি

৬৩।   খিঁড়কি মনের খুলবে কি তা,' সাজিয়ে নিতে জীবনটারে, বদ্ধ সকল মনের মাঝে, আঁধার ঠেলে আলো জ্বেলে । থাকবে কতো অলস হয়ে, যায় বেলা যায় এমনি ছুটে, জমছে কতো কাজের ধারা, সময় এলে ধরবে চেঁপে। ভাবছো বসে উদাস চোখে, করবে কি তা' কেমন করে, জোয়ার ভাঁটার খেলা দেখো, মন সাগরের বুকেতে। নেমে পড়ো কাজের জলে, খোঁজে বেড়াও লক্ষ্যকে, শ্রম ও মেধার মিলন মোহে, পাবে তোমার স্বপ্নরে। করব, করছি, আজ ও কাল, এমনি করে যায়রে বেলা, সময় মত যায়না করা, জটিল-সহজ কাজের পালা। সময় ব্যস্ত বেজায় দেখো, নাই যে সময় তার, সব সময়ের কাজ আছে ভাই কাজের সময় যায়। আরিফ ইবনে শামছ্ ২৫/০৯/২০১৭ ঈসায়ী সাল। রাত ০২ টা। মধুবাগ;ঢাকা।

জাগো রে জাগো!

৬২। ডাক এসেছে! জাগো! জাগো রে জাগো! ভাই বোনেরা জাগো! অত্যাচারী যায় ছুটে যায়, মাজলুমের তাজা রক্তপান! মৃত্যু দেহে চালায় ছুড়ি, আলাদা করে অঙ্গ সবি! হও ধাবিত , ক্ষিপ্র বেগে, ক্ষ্যাপা সিংহ, তীব্র ছুটে, বঙ্গ শার্দুল, পড় ঝাঁপিয়ে, রক্ত খেকোর সকল স্বাদ, সব মিটিয়ে দে রে আজ। ধরো আর বর্জ্রাঘাতে, আছড়ে মারো। জাগো রে জাগো!! দামাল, কামাল, জামাল ছেলে কোথায় সবে আজি? আয়রে খালিদ (রাঃ), বীর হামজা (রাঃ), ওমর (রাঃ), মুসা, তারিক। রক্ত-ফোরাত, লাল দরিয়া, সাত সাগরের জল, ঝড়ের বেগে চালাও খড়গ, শমশের আর খঞ্জর। অস্ত্র দিয়ে অস্ত্ররাজ, জবাব হবে অস্ত্রেরই, শক্ত হাতে, ভক্ত করো, জব্দ করো, সব তারই। সেবার মহান বাণী, কভু ক্ষমার মধুর বাণী, দূর্বল ভেবে আস্ফালনে, আসবে অশুর-প্রাণী । দিকে দিকে ঐ শোন সব মজলুমের আর্তনাদ, শান্তি সওদা করতে গিয়ে, জীবন দিল সঁপে তার। আর কতোকাল, রয়বে বসে আসবে কবে যুগ নকীব, আর কতো প্রাণ, বেঘোর ঝরে, ওঠবে জেগে প্রাণ প্রদীপ। আরিফ ইবনে শামছ্ ২৫/০৯/২০১৭ ঈসায়ী সাল।

কবিতা তোমার

৬১।  আবার আসিবে ফিরে, আসিতেই হবে, বারে বারে, কবিতা তোমার, দোলাবে মন, শিহরণ জাগাবে, তাই সবে পথ চেয়ে চেয়ে রবে, কবিতা তোমার কবে কার হবে? দুঃখ করোনা কবি হে! জীবন জাগার গান কবে কার ভাঙ্গিয়াছে কোন্ সে নিদ, কবির লেখায় ভাঙবে শিকল, চক্র বিকল,ছুটবে জেগে দিক-বিদিক। চালাও কলম, জাগাও মানুষ, সেনারা আজ ঘুমে, তোমার আহ্বাণে, ঘুম ভাঙ্গিয়া, সফলতা পদ চুমে। একটি কথা, শব্দ কোন, জায়গা করে, জীবন কোষে, পথ হারানো পথিক যদি, পায়রে খুঁজে পথের দিশে। তপ্ত মরু জ্বালা বুকে, শান্তি বারি কভু আশে, সান্ত্বনা আর তৃপ্ত সুধা, দৃপ্ত পথে, চলতে শিখে। মাশুক যদি পায় ফিরে ফের ইশক-পিয়ারা শরাব যতো, আশুক মাশুক মিলবে সবে, প্রেমের শরাব পিয়ে শতো। আঁধার প্রেমে অন্ধ হয়ে ছুটবে আলোর পিছু পিছু, রাত্রি ছুটে দিনের পিছু, আনবে বয়ে ভোরের আলো। একটু খানি সময় নিয়ে পড়লে কবির লেখা, জানিনাতো কবে, কোথায়, হবে চোখে দেখা! সময়টুকু উপহারে, রাখলে তব জীবন হতে, সব বেলাতে সুখের খবর, আসুক জীবন জুড়ে । আরিফ ইবনে শামছ্ ২৪.০৯.২০১৭ ঈসায়ী সাল।

কারবালার শিক্ষা

৫৯।  কারবালা আর কয়টা দেখে, ভাঙ্গবে তোমার মরণঘুম, কতো রক্ত -নদী বেয়ে, উঠবি জেগে ওঠরে ওঠ ! জেগে ওঠার নাই নিশানা, কোন্ নেশাতে মজে, ভীরু ভীরু হৃদয় তটে, শংকা তরীর ভীঁড়ে। রক্ত লালে লাল করিল, কতো নদী সাগর! কত প্রাণের টানল ইতি, করছে কত ছল। বেঁচে যারা দেখছো সবি, নাই কি তোদের বল? পাথর চোখে এসব দেখে, কেমনে থাকিস বল? অশ্রু ভরা আঁখিদুটো, ঊর্ধে তোলা হাতের জুড়ো, সবাক দোয়া, প্রাণের দাবী, দেখে যাবি মরণ কতো! বাঁচার মতো বাঁচবি যারা, আয় ছুটে আয় পাগলপারা, আবার গড়ে নিব ধরা, সব জালিমের জুলুম সারা। যুগে যুগে দেখিস লড়াই, সত্য আর অসত্যের, চলছে লড়াই কত শত, জালিম আর মাজলুমের। ভয় কি রে তোর, কিসের ভয়ে, চুপটি করে দেখিস, দেখবে সদা সত্যের জয়, মাজলুমের শেষ হাসি। জয় পরাজয় হিসেব কষে; জিহাদ চলে কোন্ কালে! ঝাঁপিয়ে পড়ো, হিংস্র থাবায় আঘাত করো জালিমরে। কারবালার ঐ মর্সিয়া, আর রক্ত-ফোরাত পড়বি কত? শিক্ষা ভূলে, দীক্ষা হেরে, চোখ বুঁজে সব সয়বি কত? যুগে যুগে যুগের নকীব, দিয়ে যাবে এমনি প্রাণ! নিঃস্ব হবে, এই ধরণী, নাইবা থাকে মুসলমান। জুলুম হত্যা, স্বেচ্ছাচার, বাড়বে শত অনাচার, যখন খুশি, করবে সবি, বাঁধ সাধিতে সাধ্যি কার?

কলম

৬০।  কলম সেতো নয়তো শুধু, একটু ভেবে দেখো, গল্প, কল্প, কবিতা, চিত্র, নাটক, ছড়া, উপন্যাস যতো; এই কলমে লিখছে লেখা, বলছে কথা,জ্ঞানী-গুণী কতো। পথ দেখাবে, জীবন জুড়ে, পথের দিশা শতো। সৃষ্টি কলম, স্রষ্টা সনে, আরজি জানায় লিখবে কী; লিখতে থাক ভাগ্য হতে যতো জ্ঞান আছে সবি। বলতে পারো কলম কোন এটম কিংবা আনবিক, ধ্বংস নিয়ে আসবে কখন, বুঝবেনা কেউ দিক-বিদিক। কলম তুমি ন্যায়ের কথা, মাজলুমের মুখপাত্র, তোর ঈশারায় ভেঙ্গে পড়ে,জালিম শাহীর তখত সকল। দিকে দিকে, যুগে যুগে বলছো সবি,ভয় ঝেরে, তোমার ভয়ে ধরতো কাঁপন,সব প্রকাশের ভয়ে। তোমার খোঁচায় ফাঁসির কাষ্ঠ,পড়বে জালিম সদা, হিসেব নিকেশ পাবে বুঝে,পুরাই ষোল আনা। সত্য ন্যায়ের অগ্র সেনা আসছে তেড়ে, খবর পেয়ে, সব জুলুমের হিসাব কষে, করবে আদায় পাওনারে। আরিফ ইবনে শামছ্ ২৪/০৯/২০১৭ ঈসায়ী সাল।

খোকন সোনা

৫৮।  খোকন সোনা ডাকছে আমায়, শোনছ বাবা, যায় বেলা যায়। সময় স্রোতে আযান শোনে, থাকছ শোয়ে; কেমন করে !! অনেক দেরী, ভোর হতে, ঘুম হতে যে ওঠলো কবে! ডাকছে বাবা ওঠো! পাঁচটা বেজে গেলো, নামাজখানা পড়ো। বাস করি যে চাঁদের হাটে ; শান্তি ঝরে তনু মনে, মালিক দিলেন সবি, শুকরিয়া জানায় তারি। বাবা গেলো, বাবা এলি! অলসতার জায়গা নাই, ভোরের বেলা ডাকাডাকি, আজো শুনতে পাই। জাদুমনি, সোনামনি, আব্বুমনি সবে! বেড়ে ওঠো তাড়াতাড়ি, আপন ত্যাজে জ্বলতে, দ্বীন দুনিয়ার দায়ী হবে, হাল ধরিতে, ব্যস্ত রবে, বিশ্ব-সমাজ গড়তে। কচি কচি বাপধনেরা, চির আশার আলো, স্বপ্ন গুলি খোলবে ডানা, উড়বে বেজায় ভালো। হীরে কণা সবার ঘরে, টুকরো চাঁদের দেখো, খিলখিলিয়ে হাসবে সবে, তাঁদের খবর রেখো। ওরাই মোদের জীবন বাতি, স্বপ্ন আশা সুখ, ওদের দ্বারা মিলবে সবি, ঘুচবে সবার দুঃখ।

ভাঙ্গা গড়া

৫৭।  - ভাঙ্গা গড়ার চলছে খেলা, সকাল সন্ধা সাঝে, ভাংগিতে পারে সবাই দেখো, গড়তে ক'জন জানে? সাজানো বাগান হয় তছ নছ, হারায় তাহার অর্জিত গৌরব, নামী দামী, যত বাহারী ফুল, ঝরে পড়ে, থাকেনা সৌরভ। দেশে দেশে আজ নানা বেশে চলে এ কেমন নিঠুর খেলা! মুরোদ নেই কোন মরদের, ভাঙ্গিয়া ফেলে একেলা। গড়িতে যদি নাইবা পারিস,ভাঙ্গিস কেন, কোন সে ছলে, কেন এ খেলা খেলে যাস তোরা, কাহারে তুষিবারে। মন-মন্দির হতে কাবা-মসজিদ সহ সব ভাঙ্গনে, গাইতি সাবল সব চালালি ক্ষমতা যা তোর আছে, বড় মায়া হয় আজ! ভাঙ্গিতে ভাঙ্গিতে কোন ছলে তুই কোথায় করিস আঘাত! কোন জ্বালামুখ রয়েছে উন্মুখ, তোর আঘাতে গ্রাসিবে জাত। অস্থির যদি ভাঙ্গিয়া স্থির, ভাঙ্গিবার নেশা ধরে, ভাঙ্গিয়া ফেল মন-দোর-কপাট, জেগে ওঠ্ তুই নিজে। আঁধারের যত পর্দা-বাঁধা সহসা ছিঁড়িয়া ফেলে, আলো ভরা, সব রাঙ্গা প্রভাত, সকলের উপহারে। ভাঙ্গা গড়ার খেলা খেলিবার কে দিয়াছে তোরে অধিকার, ধূলায় মিশানো, মানবতার সব মান আর সম্মান। রাগ আর হিংসা যদি, হয় তোদেরই জীবন সাথী, সেই অনলে মরবি পুঁড়ে, দেখবি দিবস যামী। দেশে দেশে গড়া সুখের রাজ্য, সাজানো সংসার, ভাঙ্গিয়া কত পুঁড়াবে মানুষ, বেঘোরে হত করিবে প্

শান্তিদূত-যমদূত

আমি,তুমি, ইনি, তিনি, সবি, মিলি এ সমাজ, আরবার, আমার আমিতে মজেছি, এ কী! খবর রেখেছি কবে কা'র? কত বসে, পলে পলে, কত দিন করেছি পার, কী হলো আহ! বদ্ধ দোয়ার! মাজলুমের করাঘাত! ঘরের ভিতরে, বিভোর স্বপ্নে, শেষ হবে কি মরন-ঘুম ? শ্রান্ত, ক্লান্ত,হত, ক্ষত, দেখ, সৃষ্টির সেরা মাখলুক। ত্রাহিত্রাহি মানবতা, দয়া, মায়া,সমবেদনা, বিশ্বের-বিস্ময়! কে দিবে দিশে দিকে দিকে সবে, মানবতা উদ্ধারে, সময়ের প্রয়োজন। যুগে যুগে মানবতা, ধর্ম, তন্ত্র, মন্ত্র, দরদী, সেবা-সুশ্রুষা, জাতি-পুঞ্জ, জাতি সংঘ, উল্টা-পাল্টা, দালালী চালের খেলা। শান্তির কথা বলে, শান্তির সাথে চলে স্বার্থের কষাকষি, স্বার্থ হাসিলে হাত মেলাতে দারুণ-নিদারুণ কৌশলী। যমদূত সাজে শান্তির দূত (!), করে যায় শত চুক্তি, কোটি কোটি টাকার অস্ত্র-চালান, ভিত গড়ে অশান্তি। আসার গতিতে দেখিবে! সবে, এক নিমিষেই রণ হবে শেষ, সুরাহার কথা বলে, ভিড়িয়া কাছে, করে সর্বনাশ দেশ-খেশ। সমাধান সেতো, দূর, কতদূর, সুদূরপরাহত, এক দলে মিলে, পক্ষ সাজে, করে কৌশল কত! "মামার জয়", বুলিতে, স্বার্থান্ধ, স্বার্থপর, ধুলো দেয় বিশ্ব-চোখে, বছরে বছরে কত দেশ পুঁড়ে, ছারখার করে, মিথ্যা অজুহাতে।

টেকসই মানবতা

৫৫।  হীনমণ্য, দশা-দৈন্য, নির্জীব, নির্বিকার, কী হল সিংহ, শার্দুল, ধ্বজাধারী আরবার। তোমরা জাগিলে বিশ্ব জাগিবে, আছে মানবের উচ্ছ্বাস, ঐ দেখ ঐ বিরান রণে পৈষাচিক উল্লাস! কখনো জংগী, খুনী, ভ্রষ্ট, দালাল ভিনদেশী, নানা তকমা জুড়িয়া দিবে থামাতে ঝঞ্ঝা গতি। কী হবে তোর ত্রাণের বহর, সব মারিয়া সাফ! ভূমিকা, আর প্রস্তুতি নিতে, করিতে নিন্দা পাঠ! সময় ক্ষেপণে নরকের দ্বার খুলিছে জালিম বাদশাহী! পাষাণ-পাষন্ড, কাপুরুষ -নির্মম, হিংস্র পশুর কারসাজী । কি হলো তোর, খোল আঁখি খোল, খোল জিহাদের দোর, ভাংগিয়া অলস-অবস, নির্জীব প্রাণে, গতি সঞ্চারী হোক। আঘাত হানিয়া, ধ্বংস-বিধ্বংস, পাষাণের জীবন ইতি, একে একে সব জালিমের কবর রচিয়া যাব আজি। এক হাতে ধর নাংগা শমশের, অন্য হাতে রণতুর্য, তাকবীর তোল, বজ্র নিনাদে, বীর মহাবীর রণসূর্য। উড়াও নিশান কালেমা খচিত, ছুটাও রণ অশ্ব, জয় পরাজয় আল্লাহর হাতে, যুঝিব শহীদ ত্বক। হে মানব! কী হল আজ, কোথা তোর মানবতার ধ্বনি-প্রতিধ্বনি? ঐ দেখ্ , ভেসে চলে কত, নাফের জলে মানবতার জলাঞ্জলি! বাণে বাণে মৃত্যুপুরী, তুলিয়া ধর দিকে দিকে,ভালে ভালে, জালিমের পরিণতি কি হয়, হবে জানাও হারে হারে।

ক্ষান্ত কেন? পান্থ!

৫২।  পান্থশালায় পথিক কেন? পথ বাকি তোর আর কত? পথের পরে পথ চলিবে, সফল- বিফল, পথ রে শত। ক্ষান্ত কেন পান্থ আজি, মলিন বসন আঁকড়ে ধরে, পানশালাতে নেশার ঘোরে, পাবি কোথায় পথ খুঁজে! ডাকছে তোরে, হাঁকছে জোরে কোথায় জাতির কান্ডারী? বেহাল হয়ে, মাতাল হয়ে, কোন তিমিরে পথ হারালি! লাখে লাখে মারছে মানুষ, পাষন্ড আর বর্বরে, তাকিয়ে আছে, তোর পানে যে, আছিস কিসে মত্তরে। ঘর হারিয়ে, সব হারিয়ে, প্রাণটি লয়ে কোনমতে, বাঁচার আশায় পথ মাড়িয়ে, স্বাপদ-সংকুল বন পেড়িয়ে; খোলা মাঠের দূর্বাঘাসে, থামছে বাঁচার ত্রিপালে, আশার নয়ন, সব প্রয়োজন, খোঁজছে তোমায় চিত্তরে। পথ দেখাবি, পথের খোঁজে, থাকবি সদা অগ্রণী, পথ চলাতে, সাহস পাবে, সকল জনা তোর সাথী। দেখবে স্বপন, বাঁচার তরে, স্বাধীণ বেশে নিজদেশে, আর কতকাল রয়বে বসে, তোর আশাতে পথ চেয়ে! চিত্তনাশা ঘোরের নেশা, ওঠরে জেগে সব ছাড়িয়ে, হৃদ-কাঁপানো, মরন বীণার, বিষের সুর আর ঝংকারে। এফোড়-ওফোড় দে করে দে, পশুর-অশুর যত্তোরে, স্বাধীণতার স্বাদ সাথে সার , বাঁধে যেন চিত্তরে। আরিফ ইবনে শামছ্ ফখরে বাঙ্গাল নিবাস, ভূঁইয়া বাড়ী, বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২, গ্রাম: ভাদুঘর, পোষ্ট: ভাদুঘর-৩৪০০। থানা:সদর, জিল

বিদ্রোহী তুমি, বিপ্লবী!

৫১।  দ্রোহানলের আগ্নেয়গিরি, বিদ্রোহী তুমি, বিপ্লবী! বিষের বাঁশি, কে বাজাবি, আইরে ভীষণ ভৈরবী। একূল ওকূল ভাঙ্গরে দুকূল, নে ভাসিয়ে জালিমরে, মাথার 'পরে আছড়ে মারিস, পাহাড় সম ঊর্মিরে। নটরাজের পবন-ভবন, আয়রে ছুটে তড়িৎ বেগে, দস্যিরাজের দস্যিপনায়, লাগাম টানো বিশ্বরে। আয়-গতিবেগ, আয়রে ধেয়ে, ধমকে- চমকে ভেঙ্গে যারে, রক্তচোষা, জন্তু -প্রাণী, মানব-দানব সংহারে। ঈষাণ কোণে, উড়াও নিশান, কালো মেঘের গর্জরে, চিতার অনল ধরিয়ে দিবি, দস্যুদেরই অন্তরে। বিনামেঘের বজ্রবাণে, সাঙ্গ কর জীবনরে, নৈঋতেরই প্রান্ত কোণে, ভীষণ, পাষাণ, বৌদ্ধরে। আয় অবিরাম, ঘূর্ণিবায়ূ, সাথী করে ঝড়-টর্নেডো, কম্পে কম্পে ভূমিকম্পে, আগ্নেয়গিরির ঐ জ্বালামুখ, যা ছুটে যা মানবতা, বন্দী যেথা প্রকোষ্ঠে, মানুষরূপী সবজানোয়ার, রক্ত -মাংস ভক্ষণে। ফেলরে মুছে সব নিশানা, সবকটিরে ধররে, মরণ জ্বালা, বিষের জ্বালা, জ্বালিয়ে দিবি অন্তরে। তিলে তিলে দে বুঝিয়ে, অত্যাচারীর পরিণতি, জালিম, জুলুম, জুলমাতের সব, মৃত্যুবাণে দিবি। উড়াও পাহাড়, ঝঞ্ঝা বায়ু, ধ্বংস-নাশী সংহর্ত্রী, জ্বালাও, পোঁড়াও, অমানুষী পাপের তাপের রাজ্যটি। চালাও প্রবল ধ্বংসলীলা, আকাশ-বাতাস বৈপ্

১৯৪৭ সালের পূর্ব হতে, আজকের এই বাংলাদেশ।

৫০।  গোলা ভরা ধান ছিল তার, পুকুর ভরা মাছে। তলা ছাড়া ঝুড়ি কভু, মাথা পিছুর ঋণে। সোনার বাংলার স্বপ্ন গুলো, অংকুরেতেই শেষ, দেশ গড়িতে সোনার ছেলে, ছোট নির্নিমেষ। দরদীরা আসে মোদের উন্নয়নের তরে, বৃটিশ, পাকি, ইন্ডিয়ানরা নেই পারে যা লুটে। দাঁড়ায় যতো মহান নেতা দেশ গড়িবার তরে, কার খুশিতে, কাদের তরে, জীবন নিচ্ছে কেঁড়ে??? মুজিব বলো, জিয়া বলো, জাতীয় নেতা যারা, দেশের তরে জীবন দিল, হিংস্র পশুর দ্বারা। কার ইশারায়, কেমন করে, দেশের নাঁড়ী কাটে, পারবনাকি মহান প্রাণের, শান্তি এনে দিতে। আজ প্রয়োজন, বের করে নাও, কারা মোদের শত্রুদল দেশ- বিদেশের ভাঙ্গে কারা, সোনার-স্বপ্ন-পদ্ম-দল, মীর জাফরের প্রেতাত্নারা আজো ঘুরেফিরে, ঘসেটিদের দেখা পাবে, দেশটা যারা বেঁচে। নাগরিকেরা জিম্মী থাকে, কেউ জাগেনা কভু, প্রতিবাদের পথ হারিয়ে, মাথা টুকে শুধু। মুক্তি কোথায় মিলবে সেতো, রয়লো অধরা, কুক্ষিগত করে রাখে, সব রকমের ক্ষমতা। সেও শুনি, নাই তাদেরি, তখতে কোন নিজের বল, ভিনদেশীদের কাঠির ছোঁয়ায়, হয় ক্ষমতার পালা বদল! আর কতোকাল রয়বে জাতি, স্বাধীণ হয়ে পরাধীণ, জাতির তরে জাগবে কবে, মুজিব, জিয়া, মহাবীর। নিজের মতো দেশ সাজাতে পায়না ক

আগুন জ্বালা অন্তরে!

৪৮।  বাজাও রণদামামা, পড়রে আমামা; মুখে কালিমা, আগুন জ্বালা। শেষ করে দাও, মানব শত্রু, মাংস খেকো, বৌদ্ধ ভিখু। চালাও ঘোড়া, মাররে চাবুক, নিশানা করো শত্রুদের, নাইরে সময়, শেষ করিতে, শত্রু যারা ধর্ ওদের। ধর্ হাতে ধর্ ঢাল তলোয়ার, একীনে রাখ আল্লাহু আকবার, ধুলীর মতোই স্তব্ধ রবে সব আধুনিক অস্ত্রধার। জ্বালারে জ্বালা আগুণ জ্বালা, আগুন জ্বালা অন্তরে, পুড়ে ফেল তোর অলস অবস অহেতুক তন্ত্র-মন্ত্ররে। আর কতকাল পাথর চোখে জাতির মরণ করবি বরণ, আর কত লাশ, ভাই ও বোনের তোর বুকেতে করবি ধারণ। সয়বি কতো মা ও বোনের অপমান আর জিল্লতি, যুদ্ধ ছাড়া, নেই প্রতিবাদ, বুঝবে কবে, চল্ যুঝি। রক্তে জ্বালা, মরণ জ্বালা, গাজী হওয়ার ইচ্ছারে, জীবন মরন যুদ্ধ খেলায়, থাকবে জয়ের দ্বারেরে। এক পলকে থামবে দেখিস, সকল জালিম বৌদ্ধরে, ঝাটকা মেরে ছিটকে ফেল, যতো বাঁদর ছিঁচকেরে ।। চল্ ওরে ভাই সামনে চল্, উঁচু করি শির, নোওয়াবেনা মাথা কোন, আসুক যুদিষ্ঠীর। মরলে শহীদ, বাঁচলে গাজী, চল্ ধরি ঐ জালিমদের , অত্যাচারীর বুক চিড়িয়া, জয় আনিব মজলুমের। আরিফ ইবনে শামছ্  ফখরে বাঙ্গাল নিবাস, বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২, ভাদুঘর, সদর, বি.বাড়ীয়া-৩৪০০। ০৪/০৯/২০১৭ ঈস

জাগো আবার জাগো!

৪৯.  এ কোন্ ঘুমে অচেতন, জাগবেনা কি জাগবেনা! ভাই, বোন, আর শত মাজলুমার, কান্না কানে পৌঁছেনা? জালিমের দল তোর দ্বারে কই, খুঁজিস কেন হদিস, সে আশাতেই আছিস বসে! জীবন মরণ ভাবিস! কাঁদার তরে মানুষ দূরে, পশু পাখি কেউ রবেনা, পড়বি যখন বিপদ মাঝে, ছুটবিরে তুই পথ পাবিনা। পরকে আপন করে নিতে, হলি যে তুই স্বার্থপর, নিজেই নিজের ষোল আনা, পাষাণীর সব পূর্ণ কর। মানবতার দীক্ষা দিবি, মানবতাই ভূলে গেলি! এমন হলে, কেমনে চলে, বিশ্ব ধরিত্রী। বাহুডোরে শান্তি পাবে, সকল জাতি ভেদ-ভূলে, আজকে তোমার বেহাল দশা, দেখছে সবি বিশ্বরে। কোথায় তোমার, বীরের জাতি, সত্য ন্যায়ের সাহস, কোথায় গেল, মটকে ফেলার, জালিমের সব ধর। জাগো আবার জাগো সবে হায়দরী সে হাঁক ছেড়ে, পথ হারাবে, জালিম যতো, মরবে পথে প্রান্তরে। সাহস পাবে, আশার আলো, নির্যাতিত ভাই-বোনে, আবার ফিরাও পাগলা ঘোড়া, ছুটতে মুক্তি, কল্যাণে। নেইকো সময় পিছু ফেরার সামনে বার অগ্রণী, পাষাণ, জালিম, দানব-মানব, বিদায় হবে খুনি। আরিফ ইবনে শামছ্  ফখরে বাঙ্গাল নিবাস, বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২, ভাদুঘর, সদর, বি.বাড়ীয়া-৩৪০০। ০৪/০৯/২০১৭ ঈসায়ী সাল।

পাষাণের বুক ফাঁড়ি

৪৭।  বানের জলে সব হারিয়ে , নিঃস্ব হয়ে বিশ্ব মাঝে, শান্তিটুকু খুঁজি; হউক তা' আরাকানে,  নির্যাতিত জনপদে,  জালিমের রক্ত রাঙ্গা,  পাষাণের বুক ফাঁড়ি। রক্ত পিচ্ছিল, মৃত্যু পায়ে, শংকা প্রাণের সাথী, তবু শান্তিটারে খুঁজি; বাংলা, ভারত, চীনের মতো, প্রতিবেশী দেশ কে জানো, দুর্দিনে কি পেলি। জীবন মরণ সমান যেথা, শক্ত করে দাঁড়া, শান্তি আসবে নামি; কামড়ে ধর, মরণ কামড়, দন্ত, আছে, নখ ও আছে, জ্বালাও প্রাণে শক্তি।। আজি হতে মরণ বীণা, নাওতো তুলে শক্ত হাতে, দেখবে কেমনে থামে, মরবে নাকো একলা কোন, জালিম কয়টা সহ, মৃত্যু নিয়ে খেল। শান্তি সবার, শান্ত ঘরে, আনবে ফিরে, জালিম খতম করে; কাঁপন ধরাও, মৃত্যুভয়ে, পালায় যেন, ঊর্ধ্বশ্বাসে, শান্তি হবেই হবে। শুরু তোমার করতে হবে, জালিম বধে অগ্রভাগে, আসবেনা কেউ মিছে; মানুষ যারা বীরের মতো, ধরবে চেঁপে তাদের টুঁটি, ফিরিশতারা পাশে। ভয় কি তোমার, বীরের জাতি, রক্ত টগবগে, সাহস তোমার আকাশ সম, দাঁড়াও তুমি পাহাড় সম, আসবে বিজয় ঘরে। আসলো কেবা, হটলো পিছে, অস্ত্র দিল? ছল করিল? দেখার সময় কই, মারতে হবে, জালিম সবি, বিজয় নেশা, সঙ্গ-সাথী, করবো সবি জয়। আরিফ ইবনে শামছ্   ০১/০৯/২০১৭ ঈসায়

কুরবানির প্রাণখানি

৪৪।  কুরবানি দেয় কুরবানি, নয়তো কারো কুলখানি, গরু, ভেড়া, ছাগল, মহিষ, দোম্বা কিংবা উটখানি, কেমন প্রিয়, সকল জনের, ভাল করে ভাবতে শিখি, টাকার মায়া, জীবন বেলা, কেমন প্রিয় একটু ভাবি। প্রিয় কিছু দেয় উপহার, ভালবাসি যারে, হউকনা ফুলের মালা কোন, ভালবাসি তারে। কেউ দিবে তাঁর রক্ত ঢেলে, কেউ দেবে তাঁর প্রাণ, কেউবা জীবন বাজী রেখে, রাখবে প্রেমের মান। ভালবাসি কোরান-হাদীস, ভালবাসি দ্বীন, মনে প্রানে, মেনে চলে, কাটায় রাত দিন। আল্লাহ হলো প্রাণের মালিক, রাসূল হলো দৃষ্টি, তাসবীহ পড়ে, দরুদ পাঠে, তাঁহার সকল সৃষ্টি। প্রিয় হতে প্রিয়তম, কিইবা আছে বাকী? সকল প্রিয় বিষয়-আশয়, শিখি দিতে সঁপি। আল্লাহ মহান রাজী কিসে, হবেন বেজায় খুশী, সহজ-সরল পথে সদা, সকল হুকুম মানি। অনেক বছর আগে থেকে চলছে প্রাণীর কুরবানি, রেওয়াজ রীতি আগের মতোই, নাইযে তাহার প্রাণখানি। জীবনকালে কখন কী যে, প্রিয় হয়ে আসে, কাজের মেলা, অলস বেলা, সবি যেন মিছে। দু'তিন দিনের মাঝে কতো, রাখবে বেঁধে কুরবানি? গরু, ছাগল, দুম্বা, উট আর, মন পশুদের খবর কি? নয়তো শুধু পশু-প্রাণী, জীবন-যাপন সবখানি, কর্ম সকল সবার হবে, ভালবাসার কুরবানি। আরিফ ইবনে শামছ্ ২৭/০৮
৪৬। তোরা থামবি কিনা বল! ----------আরিফ ইবনে শামছ্ ৩১/০৮/২০১৭ ঈসায়ী বিকাল ০৪:৩০ মিনিট। তোরা থামবি কিনা বল! ছাড়বি কিনা পাষাণ ছল, মরণ ফাঁদের রক্ত নদী, কয়টা খাবি বল? ভাল মানুষ, উঠছে জেগে, পারবি কিনা বল? আগুন ঝরা, বহ্নি হাওয়া, সঙ্গে যাবি চল। আকাশে বাতাসে, জলে পর্বতে, ঠাঁই কি তোরা পাবি, নদী গিরি, বন জঙ্গলে, পথের দিশা নিবি। পাতা মরমর, বৃষ্টি ঝরঝর, বজ্রনিনাদ আসছে ধেয়ে, কাঁপে থরথর, গিরি সরোবর, সত্য- ন্যায়; আজ উল্কা বেগে। হাতে ধরা তোর শাণিত ছোড়া, তোর বুকেতে বিধবে দেখিস, ওরে অজ্ঞ, জাহেল মূর্খ, কেমনে তোরা মানুষ মারিস! কিশোর, জোয়ান, বৃদ্ধ, যুবা, আসছে তেড়ে, দেখরে চেয়ে। জানেনা তারা, পিছু হটা, সামনে বাড়ে, ঝড়ের বেগে। শক্ত হাতের ডান্ডা খেয়ে, সময় এলে শিখবি সবি, বীরের লাথি, শাস্তি পেয়ে, মানবতার দীক্ষা নিবি। ফখরে বাঙ্গাল নিবাস, বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২, ভাদুঘর, সদর, বি.বাড়ীয়া-৩৪০০।
৪৫। সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ মহাপুরুষ (সাঃ) ------- আরিফ ইবনে শামছ্ ২১/০৯/২০০১ ঈসায়ী সাল প্রতিটি হৃদয়ের চারিপাশ যবে ঘোর তমসায় ঘেরা, তোমার প্রেম ভালবাসা, মুগ্ধকর আন্তরীকতা; সৃজিল আলোর ফোঁয়ারা প্রতিটি হৃদয় জুড়ে, আঁধারের সব আঁধার উপনীত হলো, নতজানু হয়ে। সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ মহাপুরুষ! তৃষিত হৃদয়ের আবে জমজম, দিকভ্রান্ত মানবজাতি খোঁজে পেল দিক দর্শন। একবিংশ শতাব্দীর এক উম্মতের মরুতৃষা আজ, তোমাকে হৃদয় ভরে দেখে নিতে দুর্নিবার অভিলাষ। সহস্র ষড়যন্ত্রের মাঝেও সহাস্য বদনে নেয় প্রস্তুতি, সুপারিশ তোমার দিশারী হবে, এমনি কালের আকুতি। বলহীন, কমজোর ঈমানে নয় গড়া মুসলিম জাতি, অকাতরে সঁপে দিবে প্রান, আসুক বাঁধারা বিপ্লবী। স্বর্ণ যুগের সাহস নিয়ে লড়তে চাহি রণাঙ্গণে, দ্বীনের ধ্বজা রাখতে উঁচু, লড়বো সবে প্রাণপনে। সফলতা ধরা দিবে, প্রভূ যদি রহম করে, সব কিছু যে চাই করিতে, মহান সে' বিভুর তরে। চায় হতে যে বিলীন তব ভালবাসার অকূল জলে, চোখ দুটো যে পাবে জ্যোতি ভালবাসা তব পেলে, ফুলে ফলে পূর্ণরূপে, পেয়ে যাবে বসন- বিলাস, কভু যদি পেয়ে যেতাম, স্বপ্ন মাঝে তব দীদার। ফখরে বাঙ্গাল নিবাস, বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২, ভাদ
৪৩। তোমরা জাতির অঙ্গ ---------- আরিফ ইবনে শামছ্ ২২.০৮.২০১৭ জাগতে হবে, জাগাতে হবে, বড় প্রয়োজন সব সমাজে, আশার পিদিম কে জ্বালাবে, অরুণ -তরুণ চলরে ছুটে। উল্কা বেগে, সৃষ্টি নেশা, পবন বেগে চলবি ছুটে, কোটি প্রাণের মিটাও দাবী, সকল বাঁধা টুটে । লও তুলে এক হাতে তোমার বাজাও মরণ বীণ, অন্য হাতে দিবে দিশা, লক্ষ প্রাণের ঋণ। পড়া শোনা, জাতির সেবা চলবে সমান তালে, ধর্ম হবে জীবন বর্ম, বিধান সবি মেনে। মানবতা, ইনসাফ দেখো, বন্দী পদে পদে , সন্ধি করে সত্য নাশে, অপশক্তি সবে, ন্যায়ের পথে চলছে পথিক, বড়ই নিঃসঙ্গ, ছুটে চলো রসদ নিয়ে, তোমরা জাতির অঙ্গ। ঘরে বাইরে দেখবে যত সকল অনাচার, শক্ত হাতে পোক্ত করে, শিখাও সদাচার। ছোট বড় সবার মাঝে, ভালবাসা কোথা'? বেয়াদবের বেয়াদবি দিবে, দারুণ ব্যাথা! আবু বকরের (রাঃ) ঈমান নিয়ে চলবে জীবন পথে, উমরের (রাঃ) সে' শক্তি সাহস রেখো তোমার বুকে, কোরান প্রীতি উসমানের (রাঃ) মুকুট সম রেখো, শের এ খোদা আলীর (রাঃ) মত, যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ো। মহানবীর (সাঃ) সেরা চরিত, এসো ধারণ করি, শান্তি সুখের সমাজ গড়ি, আল্লাহ হবেন খুশি, থাকবেনাক ভ্রান্তিবিলাস, কোন অপকর্ম, জানবে সবে ইসলাম এক শান্ত

৪২। বানের জলে মানবতা

  বিবেক তোমার, আমার, সবার নির্বাসনে গেল নাকি! বিশ্ব বিবেক মাতাল হয়ে, ঘুমের ঘোরে পড়লো বুঝি! বিবেক নামের শব্দখানা অভিধানের কোন্ কোনাতে, প্রাণ আছে কি নেই তা'তে আজ, খবর নিবে কোন সে' জনে। উজান দেশের বানের পানি, ছেড়ে দিবে যখন খুশি! মাতবরেরা কোথায় গেলো, কোথায় তাদের গলাবাজি। মানবতা যায়না পাওয়া, বানের জলে ভাসে, দুর্গতদের চোখের ভাষা, পড়তে নাহি জানে। মা হারালো, বোন হারালো, ভাই হারালো শেষে, পাশে থাকা কচি খোকার, হদিস নাহি মিলে। সহায় সম্বল, ভিটে মাটি, ফসল সবি জলের তলে, অশ্রুধারা শুকিয়ে গেছে , তাঁকিয়ে থাকে পাথর চোখে। কে আছো ভাই, বোন কোন এক, বাড়াবে কোমল হাত, মানবতা ডুবে গেলো, করে যাও উদ্ধার। নিজে পারো যা', আরো খোঁজে নাও মিলিয়া সকল জনে, পাড়া প্রতিবেশী, দেশ-খেশ মিলে, তাঁদের সহায় হতে।

৪১। ভালবাসার সাগরে

২০.০৮.২০১৭ ঈসায়ী সাল মসজিদে যায় নিয়মিত, কোরান পড়ি অবিরত, হজ্ব করি আর রোজা রাখি, বিধান মানি সময় মত; তার পরে ও জান্নাত পাওয়া নইরে সহজ ভাবি যত! লোকদেখানো ইবাদতে, খোদার রাজী মিলবে কত? কী করিলে, কীভাবে যে, আল্লাহ আমার হবে, রাসূল পাকের (সাঃ) দোয়া পাব, সারা জীবন জুড়ে। প্রাণের চেয়ে বাসতে ভাল, মনে প্রাণে চাহি, ভালবাসা খাঁটি হবে, কেমন করে জানি? ভালবাসার সজীবতা চায়গো সদা প্রভু, প্রিয়তম বান্দা করে, নিও কাছে বিভু, বিপদ-আপদ, বালা- মুসিবত, যখন যাহা আসে, সুখে দুঃখে সব সময়ে, শক্তি দিও প্রাণে। যায়না যেন সরে কভু, অভিমান করে, জীবন যাপন হয় যেন সে', সহজ সরল পথে। তোমায় রাজী রাখতে সবি করতে পারি যেন, মনে- প্রাণে শক্তি সাহস, দিও অবিরত। জাহান্নামের আগুন মাঝে হাসতে পারি যেনো, জানবো যখন সদা তুমি, আমার হবে শুধু, আমার আমি নয়তো আমি, সৃষ্টি প্রিয় তব, ভালবাসার সাগর মাঝে বিলীন হয়ে যাব।

ChatGPT 3.5

পরিচিতি

নাম: আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া লেখালেখি: আরিফ ইবনে শামছ্ পিতা: বিশিষ্ট সমাজ ও সাহিত্যসেবক, কবি ক্বারী আলহাজ্ব শামছুল ইসলাম ভূঁইয়া (রাহঃ)।সহকারি প্রকৌশলী, বাংলাদেশ তার ও টেলিফোন (বি.টি এন্ড টি- বি.টি.সি. এল)। মাতা: মোয়াল্লিমা হালীমা সাদীয়া ভূঁইয়া। ঠিকানা: ফখরে বাঙ্গাল নিবাস, ভূঁইয়া পাড়া, বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২, গ্রাম: ভাদুঘর, পোষ্ট: ভাদুঘর-৩৪০০। থানা:সদর, জিলা: বি.বাড়ীয়া। পড়াশোনা: নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়, (৬ ষ্ঠ শ্রেনী) সদর, বি.বাড়ীয়া। ভাদুঘর মাহবুবুল হুদা পৌর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় (৭ম-১০ম)।হাবলা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় (রেজিষ্ট্রেশন) হতে ১৯৯৫ ঈসায়ী সালে কৃতিত্বের সাথে ১ম বিভাগে পাশ করেন।প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বরাবরই ফার্ষ্ট বয় ছিলেন।১৯৯৭ সালে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পাশ করেন।২০০১ সালে, বি.এস.এস (সন্মান-অর্থনীতি), ব্রাহ্মণবাড়ীয়া সরকারি কলেজ, ২০০৩ সালে, এম.এস.এস (অর্থনীতি), সরকারি তিতুমীর কলেজ, ঢাকা, বি.এড. বাংলাদেশ টিচার্স ট্রেইনিং কলেজ, ঢাকা (জাতীঃবিঃ), এম.এড (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), এম বিএ -এম এই এস (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-অধ্যয়নরত) পূর্বপুরুষদের পূর্বকথাঃ বৃহত্তর বিভাগ ময়মনসিংহের অন্তর্গত বেলগাঁও থানার দিলালপুরে বসবাস করতেন পাঁচ ভাই।দুই ভাই দ্বীনের কাজে বা ভ্রমনের উদ্দ্যেশ্যে দিলালপুর থেকে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া (ত্রিপুরা) জেলার সদর থানার অন্তর্গত ভাদুঘর গ্রামে আসেন।প্রাকৃতিক পরিবেশের অপূর্ব লীলানিকেতনের মোহে মোহাবিষ্ট হয়ে ভ্রাতাদ্বয় স্থায়ী বসবাসের সিদ্ধান্ত নেন ভাদুঘরে।"বংশ পরম্পরায় দ্বীন ধর্মের প্রচার প্রসার, অলি-আল্লাহদের খেদমত ও ইহসানের সুবাদে ধারণা মজবুতভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় যে, ভ্রমণে নয়, দ্বীন ধর্ম প্রচার বা ইসলামের দাওয়াত নিয়েই দুই ভাই এসেছিলেন"। কবিতা সাহিত্য সংস্কৃতির আসর (একটি গতিশীল সাহিত্যভান্ডার)। প্রাক্তন বিভাগীয় সম্পাদক, সাহিত্য সম্পাদক, মাসিক "বলিতে ব্যাকুল" পরবর্তীতে "তিতাস বার্তা"। মোবাইল: ০১৬১০০০৭৯৭০। বয়স: ৩৮ বছর। পেশা: চাকুরী। প্রকাশিত লেখা: দৈনিকভাবে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, দৈনিক প্রজাবন্ধু, মাসিক বলিতে ব্যাকুল, তিতাস বার্তা, হক্ব পয়গাম। মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম শেখ সম্পাদিত "ঝরা ফুলের গন্ধ" যৌথ কাব্য গ্রন্থে প্রকাশিত (১) "শ্বাশ্বত আহ্বাণ" এবং (২) "ছন্দ নাবিক"। মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম শেখ সম্পাদিত "বিজয়ের উল্লাসে" যৌথ কাব্য গ্রন্থে প্রকাশিত (১) সত্য সন্ধানী (২) বাঙালির স্বাধীনতা (৩) বিজয়ের উল্লাসে (৪) অনুশোচনা (৫) বিদ্রোহী তুমি, বিপ্লবী (৬) আজকের এই বাংলাদেশ (৭) ভাঙ্গা গড়া সংকলন ও সম্পাদনা: তাসকিন আব্দুল্লাহ "বাংলার ১০০ কবি ও কবিতা" যৌথ কাব্য গ্রন্থে প্রকাশিত আগুন জ্বালা অন্তরে | সন্মাননা পত্র প্রাপ্তি : পাক্ষিক সেরা কবি, আধুনিক বাংলা কবিতার আসর (কবিতাঃ কারবালার শিক্ষা),পাক্ষিক সেরা কবি, আধুনিক বাংলা কবিতাপাক্ষিক সেরা কবি, আধুনিক বাংলা কবিতা ছড়া ও গানের আসর (কবিতাঃতোরা থামবি কিনা বল।) সাহিত্য জাগরণ বাংলাদেশ (কবিতাঃহৃদয় কন্দরে। কবিতাঃ কবিতা তোমার।)শখের কবিতা সাহিত্য আড্ডা (কবিতাঃ টেকসই মানবতা।কবিতাঃ বিদ্রোহী তুমি বিপ্লবী।)। বাংলাদেশ কবি সংসদ, (সিলেট বিভাগ)।বাংলাদেশ কবি সংসদ, (চট্রগ্রাম বিভাগ) হতে সাহিত্য অঙ্গনে বিশেষ অবদানকৃত স্বরুপ বিশেসন্মাননা পত্র প্রাপ্তি।বিশেষ সন্মাননাপত্র, এসো কবিতা লিখি (কবিতাঃ জাগাও তুমি জেগে ওঠো!),দিনের (২০-১১-২০১৭) সেরা কবি, বাংলাদেশ কবি পরিষদ (কবিতাঃ বাঙ্গালীর স্বাধীনতা)।আন্তর্জাতিক কবি পরিষদ (আজকের- ০৬-১২-২০১৭- সেরা কবি, কবিতাঃ "জীবন তরী"); ছায়াবীথি (সেরা পোষ্ট- কবিতা ইভেন্টে বিজয়ী- কবিতাঃ "অনাগত সন্তানের আহ্বান"।সমাজ কল্যাণ সাহিত্য পরিষদ কর্তৃক সপ্তাহের (১৪-১২-২০১৭) সেরা বিজয়ী কবি, ১ম স্থান অধিকারী, (কবিতাঃ আসলে পতন, খবরদার !)বাংলা সাহিত্য (কবিতা ও গল্পের রস _১৪-১২-২০১৭_সাপ্তাহিক সেরা ২৫ এ ৫ম স্থান ( কবিতাঃ আসলে পতন, খবরদার !);বাংলা সাহিত্য (কবিতা ও গল্পের রস _২২-১২-২০১৭_সাপ্তাহিক সেরা ২৫ এ ১১ তম স্থান ( কবিতাঃ পরোয়ানা !)প্রজন্ম সাহিত্য সভা (প্রসাস-০৬-০২-২০১৮_সপ্তাহের সেরা ০৫ এ ০৪- কবিতাঃ স্বান্তনা) নকলা উপজেলা সমাজকল্যাণ সাহিত্য পরিষদ, সাপ্তাহিক সম্মাননা ১৬-০২-২০১৮, ( কবিতা: ফাগুনের গান); কাব্য প্রেমীদের প্রচার মাধ্যম_ গল্প কবিতা ও সাহিত্যের আসর_বিশেষ সম্মাননা _২২-০২-২০১৮ (কবিতা: প্রিয় বাংলাভাষা); কাব্য কথার মেলা সাহিত্যাঙ্গন, সাপ্তাহিক সেরা ০৫ (কবিতা: এই পৃথিবীর আর্তনাদ); সাহিত্যজগৎ (সকল সাহিত্য প্রেমিদের ঠিকানা), সাপ্তাহিক সেরা ০৫ (কবিতা: বিপ্লবী );শেরপুর সাহিত্য পরিষদ, সাপ্তাহিক সম্মাননা, ২৩-০৩-২০১৮ (কবিতা: বিপ্লবী) ; সাহিত্য সন্ধ্যা, আজকের (২৭-০৩-২০১৮) সেরা কবি, (কবিতা: বিপ্লবী) বাংলা সাহিত্য কবিতা ও গল্পের রস_৩০-০৩-২০১৮_সাপ্তাহিক সেরা ২৫ এ ৪র্থ স্থান ( কবিতাঃবিপ্লবী )। সাপ্তাহিক সেরা ০৭ কবি ও কবিতায় ১ম স্থান, (কবিতা: বিপ্লবী ); সাহিত্যের জাগরণ, আন্তর্জাতিক সাহিত্য সংগঠন, সাপ্তাহিক সম্মাননা, ০১-০৪-২০১৮ (কবিতা: বিপ্লবী)।

পাথর দিয়ে যুদ্ধ

ইরাক, ইরান, তুরান, কাশ্মীর, কাতার আর সিরিয়া, সৌদি আরব, সুদান, মিশর, পুরো আফ্রোশিয়া। উপমহাদেশ, স্থান, আর দেশ -মহাদেশ, সব সৃষ্টি স্রষ্টার জানি, আমরা বিশ্বের, বিশ্ব মোদের। হানাহানি আর মারামারি করে, মানুষ মানুষেরে, হৃদয় আছে ঠিকই দেহে, নাই যে দরদ অন্তরে। সৃজিত হল কত দল উপদল, কেউ সহেনা কারো, এক হওয়ার মন্ত্র ভুলে, অনৈক্যে খায় হাবুডুবু। নাই সে খেয়াল, দূর করিবার ব্যবধান যতো আছে! আমার আমি, অহমিকা আর অন্ধ সকল জনে। কোরান কিতাব, হাদিস, ইজমা, কিয়াস জেনেছে কতো! সবাই মিলে একই বাঁধনে, নাইকি বাঁধিবার কেহ! কত আরাধনা চলে অবিরাম দিবস যামিনী দেখো, পাশের বাড়ীর অধিবাসী যারা, খেতে পেরেছে কি জানো? ঋণের চাঁপে, লজ্জা শরমে, সহসা মৃত্যু দেয়যে হানা, কানে তুলো আর চোখে ঠুলি বাঁধে সমাজের ধনী যারা। দেশের রাজারা ব্যস্ত সদা, নিজেদের ব্যবসা দেখো, দেশ ধর্ম কোথায় গেল, জাতির ঐক্য এলো কি গেলো! তা'তে কি কার, কিছু আসে যায়, জীবনের দাম নাই! সকাল বিকাল মারছে শিশু, দূর্বল নারীরা ও মারা যায়। কথার কথা, নামে মাত্র সবাই করে বাদ- প্রতিবাদ! মিছিলে মিছিলে যায় হারিয়ে প্রতিশোধের অগ্ন্যোৎপাত। নায়কি সাহস দাঁড়াতে পাশে, মাজলুম যতো বিশ্ব মাঝে, পাথর দিয়ে যুদ্ধ করে জীবন সঁপে,শহিদী পথে।

"মনের কথা সদা আমার কলম দিয়ে ঝরে, খুঁজে মোরে পাবে সবাই যখন মনে পড়ে। " --কবি শামছুল ইসলাম ভূঁইয়া (রঃ)

MY BLOGG