জীবন জাগার গান লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
জীবন জাগার গান লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

সোমবার, এপ্রিল ১০, ২০২৩

কথা কাজে পরিচয়

কথা কাজে পরিচয়
------------ আরিফ শামছ্

কি হলো আজ পথে ঘাটে, ভালো মানুষ নাই,
অলি, গলি, পথে পথে, জারজ দেখা যায়,
কথা, কাজে, আচরনে মিলবে পরিচয়,
জারজ নাকি ভদ্র মানুষ, সবাই তাহা কয়।

 

পথের মাঝে কিংবা কভু বাজার সদায়ে,
একলা কোন মেয়ে পেলেই, হুমড়ি খেয়ে পড়ে!
বাসে উঠার সময় কিংবা নামার সময় হলে,
পাগল, ছাগল, প্রতিবন্ধী করে কি আর বলে?

 

একলা সীটে বসা পেলে, ভদ্র সেজে বসে,
নোংরা যতো কথা কাজের, প্রকাশ করে হেসে।
সহ্য করার সীমা ছাড়ায়, কেউ বলেনা কিছু,
আশে পাশে যাত্রী বহু, নাইকি মানুষ ভালো!

 

পথে, ঘাটে, বাস, বাজারে, ছুটে প্রয়োজনে,
বেশ্যা মেয়ের মতো তোদের ডাকছে কভু কাছে?
তোরা কেন এত খারাপ, জারজদেরই মতো,
কথা, কাজে, আচরণে, ছুটিস তাদের পিছু।

 

সব হারামী মিলে কেন নোংরা কথা বলিস,
একলা মেয়ে ভাবছে শুধু, কেমন তোরা খবিশ!
নাইকি তোদের মেয়ে ছেলে, ভাই বোন, সংসার?'
কেমন করে তাদের সাথে, করিস বসবাস?

বুধবার, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২১

বিপ্লবী (১৭)

 বিপ্লবী  (১৭)

আরিফ শামছ্ 

১৫/০৭/২০১৯ ঈসায়ী সাল।


বিপ্লবী! 

কবি হবি?

বিপ্লবী কবি।

বুকে রবে,

অগ্নিগিরি,

জমবে লাভা,

বাড়বে আভা,

হবে উদগীরণ;

চোক্ষে রবে,

অগ্নি শিখা,

পুঁড়বে নিপীড়ন। 


বজ্র ধমকে,

পিলে চমকে,

অত্যাচারী থামবে,

আসবে ফিরে,

বিশ্ব জুড়ে,

শান্তি ধরা আনবে।


নিঃশ্বাসে তোর,

আসবে ভোর,

অত্যাচারী বিফল,

শান্তি সুখে,

নিরাপদে,

রাখবে ধরাতল। 


চুপি চুপি,

পড়ছো তুমি,

যাচ্ছো ডুবি,

ছাড়িয়ে সবি!

কেমন কবি,

আঁকছে ছবি,

পড়ি ভাবি,

কবি হবি!

আমার মতো,

অন্য কেহো,

দেখবে স্বপন,

হৃদয় কাঁপন,

শংকা, রীতি,

পূন্য প্রীতি,

লিখবে চিঠি,

রাখবে দিঠি।

জীবন জুড়ে,

সুখের চরে,

সবে মিলে,

হেসে খেলে,

রবো বেঁচে,

সিন্ধু সেঁচে।

মুক্তো কুড়ে,

পুষ্প করে,

আপন মনে,

মহান দানে।

ধন্য জীবন,

সফল মরণ।

আবার ভাবি,

কবি হবি?

বিপ্লবী কবি,

মুক্তিকামী,

চিরবিপ্লবী।

x

সোমবার, জুন ০৮, ২০২০

হেরার জ্যোতি

১৮৩।


ঐক্য চায়, জনে জনে,
প্রতিদিনে, ক্ষণে ক্ষণে,
কথা, কাজে, আচরণে,
চিন্তাধারা, ধ্যানে-মনে।

ঘরে,গোরে, দ্বারে, সারে,
সন্ধ্যা, সাঁঝে, আলো, আঁধারে,
হাসি, কান্না, সুখে, দুঃখে,
সুদিন, কুদিন, জীবন জুড়ে।

রবিবার, জুন ০৭, ২০২০

কাঁদে শাহ্- এ -মদীনা


আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া
০৬/০৬/২০২০ ঈসায়ী সাল।
কান্দেরে পরাণ আমার,
কান্দেরে পরাণ।
কোথায় আছো, আমার আপন,
মোমিন মুসলমান।
যায়রে ছুটে, পরাণ আমার,
মরু সাহারায়।
শুইয়ে আছেন মহানবী (সাঃ),
সোনার মদীনায়।

শুক্রবার, মে ০১, ২০২০

১০৬। জীবনের পথে

আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া
 ০২/০৫/২০০৩ ঈসায়ী সাল।
১৪ টা ৪৫ মিনিট।

জীবনের পথে পথে হেঁটে যাবো বারবার,
সফলতার রঙ্গীন স্বপ্ন আর সোনালী আভীর,
উদার সুনীল আকাশপটে বিহঙ্গ অধীর।
রঙধনু আকাশের, আজ কেন শ্রীহীন?
ভালবাসা-বাসি জীবনে তা' হবে কি গভীর!

আবার দিকভ্রান্ত হয়ে মম খেয়ালে হেঁটে চলবো,
খুঁজে নেবো ছোট্ট পাখির স্বচ্ছ চোখের নীড়,
সাত সাগরের মাঝির পাটাতনে করে ভীড়,
বালুকাময় আশার তীরে কভু সরিসৃপ,
প্রকৃতির লোভনীয় সাজে হয়ে যাবো লীন।

দক্ষিণ ছেড়ে হাঁটবো উত্তরে,
সবুজ বন বনানী, পাহাড়ি অতীত ঐতিহ্যের ওপারে,
সফেদ পদ্ম আহরণে তীরে তীরে,
রুপসুধা পানে ব্রহ্মপুত্রের পারে,
সাদা সাদা কাশবনে।
পাহাড়ি সব রুপরস গানে গানে,
হৃদয়ে প্রশান্তির ঢল আসবে নেমে।

উত্তর হতে ফের ঈশানকোনে,
দেখবো দিগন্তরেখায় মেঘের আল্পনা,
সাঁঝ আকাশে খেঁয়া পারাপার,
বৃষ্টির আনাগোনা।
কভু বৃষ্টির স্বচ্ছ দেয়ালে,
তোমাকেই ফিরে ফিরে দেখা,
কপোতাক্ষের তীরে জানবো,
আর কতো, হেঁটে যাবো একা।

মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ১০, ২০১৯

৯৪। লজ্জাবতী



লজ্জাবতীর সবুজ গায়ে,
           স্পর্শ করেছ কভু?
লজ্জায় নুয়ে পড়ে ফের,
            প্রতীক্ষায় থাকে তবু।
কেমনে লুকানো আছে,
            গোপন ইতিহাস,
এতো লজ্জা! বুকে রেখেছে,
             জমা করে কত্তোকাল।

লজ্জা কারো অলংকার,
               কারো বর্ম,
কারো অহংকার,
                 কিংবা গর্ব।
কেউবা লজ্জায় নুঁয়ে পড়ে,
                লতার মতো,
আবার সযতনে কেহ,
                 ধারণ করে যতো।

ফুলকুঁড়িতে লজ্জায় যেন,
                    লুকিয়ে থাকে ফুল,
লজ্জাতে কেউ প্রকাশ করেনা,
                     হরেক রকম ভুল।
দেখে নিও লজ্জা কতো,
                    বর্ষাকালের মেঘে,
সবুজ শ্যামল বন বনানী,
                    লজ্জায় থাকে নুঁয়ে।

লজ্জা যদি যায় হারিয়ে,
                 এই ধরনী থেকে,
যায়বা যদি, কমে আবার,
                দেখতে কেমন হবে!
রূপের রানী লজ্জাবতী,
                 আগের মতো নেই!
লজ্জাহীনা মেঘ বালিকা,
                  ঝরছে অঝোরেই।

২৯/০৪/২০১১ ঈসায়ী সাল।
           শুক্রবার
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
ভাদুঘর, সদর, বি-বাড়ীয়া-৩৪০০। 

বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৯

৮৮। প্রাণের চেয়ে প্রিয় কুদস


ওরা মার খাচ্ছে, খাক, জ্বলে পোঁড়ে
 ছারখার হয়ে যাক,
পুরো ভিটে মাটি, সাজানো সংসার,
কারো দখলে এমনি থাক।
আমার আসন ঠিক আছে তো!
বিশ্ব তাহার সবি হারাক।
মানব-দানব ধ্বংস চালায়,
কার কী আসে যায়!

তোমার আঙ্গিনায় ফোটে,
রং বেরঙের, নানা জাতের ফুল,
আমার আঙ্গিনা ক্ষত বিক্ষত,
জাজরা বুলেটে, বংশ নির্মূল!
তোমার সুখে ও দুঃখে সবাই
প্রাণাধিক সুখী ব্যাথাতুর,
আমার জীবন যৌবন, সন্তান,
প্রিয়তমা হারায়, নিত্য কূল।

বসত ভিটা, জমি-জমা, স্বপ্ন কাঁড়ে,
 পাষাণ অরি,
সকাল-সাঁঝে, হর হামেশা, ঝাঁপিয়ে
 পড়ে প্রাণ হরি।
যাক চলে যাক সহায় সন্তান 
দুঃখ নাই মোর অন্তরে,
প্রাণের চেয়ে প্রিয় কুদস 
কার দখলে, কোন কারণে?

শান্তি নিয়ে জুয়া খেলা, 
খেলছে কারা দিবালোকে,
দাবা খেলার গুটি নিয়ে, 
হন্যে হয়ে চলছে ছুটে।
শান্তি-চাবি গুটি কয়েক 
বোকা রাজার হাতেই রবে?
বিশ্ব মাঝে ঝাঁকিয়ে তোলা, 
অশান্তির সেই শেষ কবে?

যতো আছে পথের কাঁটা, 
সরায় সবে  শক্ত হাতে,
অত্যাচারীর বুকে মাটি, 
দাফন করি সবাই মিলে।
চিরতরে স্তব্ধ করি, 
ঝগড়া বিবাদ  মারামারি,
কারণে আর অকারণে 
করে যারা হানাহানি।

বিশ্বটাকে এমনি করে তুলে দিবে!
পাগল, ছাগল, পামর করে,
ভয় কি তোমার, ভীত কেন?
শক্তি তোমার কম কি কীসে??
মানবতার ধারক বাহক 
কোটিকোটি জীবন পাবে,
অস্ত্র তোমার ঈমান আমল,
শক্তির  আধার আল্লাহ পাশে।

আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া
সকাল ০৭ টা ৩৩ মিনিট।
১৪/১২/২০১৭ ঈসায়ী সাল।
মধুবাগ, বড়মগবাজার,
রমনা, ঢাকা-১০০০।

৮৭. আসলো পতন, খবরদার!


দিনে দিনে বাড়ছে জ্বালা অত্যাচার
আর উৎপীড়ন,
মানুষ নামের মানব-বাদীর,
কবে হবে চেতন ???
বিশ্ব হবে সব জাতিদের,
থাকবেনা বৈষম্য,
হচ্ছে কী সব বিশ্ব জুড়ে!
তাই কী ছিল কাম্য?

আঁতাত করো খুনীর সাথে,
সাথী দখলদার,
অত্যাচারীর অস্ত্রগুরু,
দালাল ফড়িয়ার!
সিংহ, শার্দুল ওঠলো জেগে,
অত্যাচারীর দিন শেষে,
ঢাল তলোয়ার, মারণাস্ত্র,
প্রয়োজন তা' কোথা' কবে!

শান্তির কথা মুখে মুখে,
অন্তরে অন্তঃসার,
সাধু তুমি অসাধুরা,
করে অভিসার!!!
বিশ্ব-বিবেক ভাবছো বোকা,
নিত্য নিতুই দিচ্ছ ধোঁকা!
বের হয়েছে মুখোশ তোমার,
লুকিয়ে রবে কোথা??

অত্যাচারী টিকলো কবে,
কদিন রবে ধরাতলে,
দেখ্ খোলে দেখ্, ভাল করে,
ইতিহাসের পাতা পড়ে।
অপমানের নরক জ্বালা,
জ্বালবে তোদের অন্তরে,
সব হারাবি নিঃস্ব হয়ে,
জায়গা হবে প্রান্তরে।

অত্যাচারীর সহযোগী,
অস্ত্রবলের যোগানদার,
থামবি নাকি? থামিয়ে দিব?
আসলো পতন, খবরদার!
গুটিয়ে নে তোর ঝারি-ঝুরি,
ভাসিয়ে নেবো তৃণ সবি,
আবর্জনা সব হবে সাফ,
করবেনা কেউ মাফ।

সকাল ০৯ টা।
১২/১২/২০১৭ ঈসায়ী সাল।
মধুবাগ, বড়মগবাজার,
রমনা, ঢাকা।

বিজয়ের উল্লাসে

৮৫.  

 ("বিজয়ের উল্লাস" যৌথ কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।)

বিজয়ের উল্লাসে, মোর চোখ হাসে
আজ, ঠোঁট হাসে তার রূপ পাশে,
সুখ আঁশুতে বুক ভাসে।
রক্ত নাচে টগবগে, মোর অরুন-তরুণ,
রক্ত রাগে, সোনা রোদের মখমলে,
জীবন জুড়ে, সৃষ্টি সুখের উল্লাসে।

সব পরাজয়, পদানত,
শত্রু সেনা হস্তগত,
জয়ের নেশায় মত্ত ছিল,
অস্ত্রসহ, অস্র বিহীন যোদ্ধা যত।

অশ্রু ধারার লক্ষ নদী,
রক্ত ধারা নিরবধি,
বয়েছিল জয় অবধি,
রুপ-অপরুপ সমাজ, জাতি,
সব হারিয়ে রিক্ত অতি,
মুঠোপুরে বিজয়-পতি।

নির্যাতনের দীঘল রাতি,
লম্বা ছিল নেইকো যতি,
ভোরের আশায় মনের বাতি,
দোলাচলে নিভলো বুঝি!

সারি সারি বীর বাঙ্গালী,
দেশের তরে প্রাণটি সঁপি,
শত্রু সেনার গতির যতি,
বুলেট বুকে আগলে রাখি।

সূর্যোদয়ের নূতন আভায়,
নূতন করে প্রাণ ফিরে পায়,
ঝরা-জীর্ণ সব টুটি,
অরুণ রবির আঁচল তলে,
স্বপ্ন হাসে স্বাধীণ বেশে,
সব পরাধীণ ছুটি।

আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া।
০৬/১২/২০১৭ ঈসায়ী সাল।
মধুবাগ, রমনা, ঢাকা।

জীবন তরী

৮৩। 


জীবন তরীর এ কি হল হাল,
মাঝে মাঝে পাল ছিঁড়ে বেসামাল,
হাজারো ঢেউয়ের তর্জনগর্জন,
নির্ভীক চিত্তে করিতে অর্জন।

পথে পথে বাঁধা হবে,
কেটে যাবো একে একে,
মানবোনা বাঁধা, শুনবনা কথা,
চলে যাব, দিয়ে যাব দিশা।

তুমি থাক ভীত হয়ে,
রবনা একাকি বসে,
লড়ব, চলব নিশান উড়িয়ে যাব,
সত্য ধ্বজা রবেই অম্লাণ,
যাই যাবে যাক দেহ মোর প্রাণ,
সহাস্যে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করিব।

 আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া
২৬/০২/২০০৫ ঈসায়ী সাল

বাঙ্গালীর স্বাধীনতা

৭৪।       
("বিজয়ের উল্লাস" যৌথ কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।)

প্রাণের চাওয়া, বাংলাদেশী নয়, বাঙ্গালীর স্বাধীণতা,
খুঁজেফিরি কোথায় আছে, মোদের হৃদয়- ত্রাতা!
কেড়ে নিয়ে প্রাণ লুটিল বৃটিশ বেনিয়া,
পরাধীনতার মোড়কে পেলাম কেমন স্বাধীনতা!

বঙ্গবঙ্গ নাটক করে পায়নি কোন কূল,
বঙ্গবীরের সিংহ নাদে, হেয় হারালো ভূল।
বঙ্গভঙ্গ রদ হলযে, ফিরল শান্তি নিয়ে,
সুখের আসর ভেঙ্গে দিতে, লাগলো আবার পিছে।

ভাষা দিয়ে ভাঙতে তারা পারেনি মহাভারত,
ভাঙলো শেষে, ধর্ম দিয়ে পাকিস্তান ও ভারত।
সফল হলো চিরশত্রু বৃটিশ গড়া নকশা,
ভাঙলো আশার তরী সবার, সকল স্বপ্ন-খাসা।

পূর্ব পশ্চিম পাকিস্থানে, আবার এলো ভাষা,
ভাষার দোহায়,  দানা বাঁধে, নতুন করে বাঁচা।
পুরনো চালে, নতুন ফাঁদে, পড়লো পুরো জাতি,
মুখের ভাষা, রক্ষা করে, আনলো বিজয় সবি।

ভাষার স্বাধীনতার পরে জাগে বাঁচার স্বাধীণতা,
আনলো করে সবাই মিলে, দেশের স্বাধীনতা।
রয়লো পড়ে দূর নিকটে জাতির স্বাধীনতা,
পথ হারিয়ে পথ ভূলে ফের, হারায় একতা।

বলতে পারো, প্রাণের দেশে নেইকি ধর্ম,ভাষা, বর্ণ!
শাসক শ্রেণী গায়ের জোড়ে, করবে কি সব ছিন্ন -ভিন্ন!
হাজার জনের দেশ গড়িয়ে, গড়বে অনেক দেশ,
প্রাচীন ভারত দেখবে সবে, মারামারি বেশ।

রাখো সবার ঊর্ধে আজি প্রিয় জন্মভূমি,
বাঁচার তরে, শিখবে ভাষা দেশী বিদেশী।
শত্রু যেনো পায়না সুযোগ, ভাঙতে প্রিয় বাংলাদেশ,
জাতি ধর্ম সব ভেদাভেদ ভূলে গড়ি সোনার দেশ।


 আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া
 ১৮/১১/২০১৭ ঈসায়ী সাল।
 মধুবাগ, বড়মগবাজার,
রমনা, ঢাকা।

[স্বাধীনতার বিপক্ষে নয়, বরং শাসক শ্রেণীর স্বেচ্ছারিতা, অদূরদর্শিতা এবং গোয়ার্তুমির যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে।]

আবে হায়াত

৭৩।  


দেখছো খোকা, আকাশ পরে,
জ্বলছে রবি কেমন করে।
বিলায় আলো ধরাধামে,
সবার উঠান, ফসল-ভূমে।

চাঁদ জাগে তার নিয়ম মেনে,
লক্ষ্য তারার মেলা করে,
ঘন কালো আঁধার পালায়,
আলোর ধারা বয়ছে ধরায়।

রূপের বাহার দেখতে পাবে,
হরেক ফুলে, ফুল বাগানে,
সুবাস বিলায় উজাড় করে,
প্রাণ মাতিয়ে, নয়ন জুড়ে।

তাকাও সবুজ বৃক্ষদলে,
ফল ও ছায়া, ফুলের মাঝে।
রাখছে কেমন আপন করে,
শ্রান্তি-ক্লান্তি, দুঃখ -সুখে।

তোমরা সবাই রবির মতো,
বিলিয়ে দিবে জ্ঞানের আলো,
চাঁদের মতো আঁধার রাতে,
পথ হারাদের পথ দেখাবে।

বাগান সবুজ বৃক্ষ তরু,
ফুল, ফসলের মতো,
অবাক সবাক সকল প্রাণে,
আবে হায়াত রেখো।


আরিফ ইবনে শামছ্
১৪/১১/২০১৭ ঈসায়ী সাল।
মধুবাগ, বড় মগবাজার,
রমনা, ঢাকা।

বুধবার, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৯

কবিতা চোর

৭০।  


কবিতা চোরে, নিল কেঁড়ে,
সব কবিতার প্রাণটা,
কপি করে, বাহবা নিতে,
বাদ দিয়ে মোর নামটা!

কেমন হায়া, লজ্জা ছাড়া,
সাধুবেশে চুরি,
সব কবি আর কাব্য প্রেমী,
চল চোর ধরি।

চুরি করা ভুলিয়ে দিয়ে,
শাস্তি কঠিন দিব,
প্রয়োজনে ব্লক করিব,
রিপোর্ট লিখে দিব।

সাজতে কবি, নামীদামী,
দিন দুপুরে,কবিতা চুরি,
ভেঙ্গে দিব হাঁটে হাঁড়ি,
সকল জনে ডাকি।

নামগুলি সব এঁটে দিব,
খোলা তালিকায়,
এক নজরে, দেখে নিয়ে,
বুঝে নেবে সবাই।

আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া
২৩/১০/২০১৭ ঈসায়ী সাল।
মধুবাগ, বড়মগবাজার,
রমনা, ঢাকা।

ছন্দ নাবিক

৬৮।  


("ঝরা ফুলের গন্ধ" যৌথ কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।)

ছন্দে ছন্দে চলে আনন্দে,
নাচেরে তনুমন, কীযে হরষে,
কথাকলি সব, ফুল হয়ে ফোটে,
মাতিবে সবাই, মিষ্টি সুবাসে।

কথা বিশেষ, কবিরা কত ভেবে বলে,
কখনো কলম লিখে, ছন্দে ছন্দে,
কত কথা, কত সুখ-বেদনা ঝরে,
কাগজের মসৃণ পরতে পরতে।

কখনো উৎসাহ, স্বপ্নের নীলিমা,
দিক দিগন্তে জয়ের উন্মাদনা।
হতাশা সব ছোঁড়ে,  ফেলে দিয়ে,
স্বপ্ন তরীতে, হাল ধরে যায় বন্দরে।

জলে ভরা নদী, ছল ছল ছলাৎ ছলাৎ,
ডাকে পাখি, কোথাও প্রাণীর উৎপাত।
পাল তুলো হে নাবিক! খুলিবে স্বর্গ দ্বার,
লক্ষ্য বন্দর যত দূরে হোক, নোঙ্গর করিবার।

মাস্তুল যাক ভেঙ্গে যাক, পাল ছিঁড়ে যাক ঝড়ে,
শক্ত হাতে হাল ধরো আর সম্মুখে চলো জোড়ে।
ঝড়ের সাথে পাল্লা দিয়ে, হার-জিতে জিত তোমারই হবে,
ঘন কালো সে দীর্ঘ নিশির ভয়াল রুপের তুঁড়ি মেরে।

হারিয়ে যাওয়া চাঁদ গগনে, নিকচ কালো আঁধার রাতে,
সব তমসার নিরাশ বাণী, হতাশ হবে তোমার জয়ে।
শত ঝঞ্ঝার পাঞ্জা খেলে মৃত্যুু দুয়ারে কড়া নেড়ে,
তোমার তরী ভীড়বে তীরে, লক্ষ আশার নীড়ে।

চোখ ছল ছল, হত বিহ্বল প্রণয়ীর কাঁপা কাঁপি,
দূর সুদূরের ঊর্মিমালার কূলে কূলে ঝাপা ঝাপি।
চলে হরদম, তরনীর গায়ে, সলাজে আছড়ে পড়া,
কতদূর হতে সজোড়ে এসে, অভিমানে গলাগলি করা।

আরিফ ইবনে শামছ্
১৭/১০/২০১৭ ঈসায়ী সাল।

সমাজ সাজায়

৬৭।    



কাঁধের উপরে এক হাত,আর অন্য হাতে সতীত্ব লুটে,
প্রশ্রয় পেয়ে সবার সাথে, চলে ছলে কলে কৌশলে,
লুটেরা আজ বড় বেসামাল, কেউ নাই কিছু বলিতে!
রাস্তার পরে, পথের ধারে, কী না করে দিবস-রাতে!

লজ্জা মরে নিয়ত দেখো, নির্লজ্জের ঘেরাজালে,
কী বুঝে চলে, আর কী ভেবে করে, জীবনের বেলাভূমে!
পথের সূচনা, সমাপ্তি কোথা, ভেবেছে কবে কেমন করে?
বেহায়ার মতো চলে ফিরে তারা, নিষিদ্ধ সব মতের পরে।

কে আছো ভাই, প্রিয়জন আর, সমাজের সব প্রাণ,
চলো বোন আজ সমাজ সাজায়, লজ্জাই অলংকার।
সমূলে বিদায় করিতে নামি, চলো সবে একসাথে,
চলিতে ফিরিতে, ভদ্র সমেত, পথে-প্রান্তরে সবে।

শোনে রাখো, সাবধান বাণী!

পাপাচার ছেড়ে পূণ্য পথে, জীবন চালাও আজি,
পাপের দিশারী না হয়ে কভু, পূণ্য পূর্ণে ধরো বাজি,
ধন্য করো হে নিজের জীবন, প্রদীপ জ্বালাও অন্তরে,
আঁধারে কখন, নামিবে গজব, কবে যে, কোন্ প্রান্তরে।

এক হাতে লও গজার লাঠি, তেঁতো ভাষা লও মুখে,
যাকেই পাবে, এমন দশায়, সাইজ করো মুখে-হাতে।
আর কোন দিন, হাতে হাত, গলাগলি করিয়া জড়াজড়ি!
রাস্তার পরে, কান ধরে যাবি, ভীষণ চোটে, সব বোল ভূলি।

আরিফ ইবনে শামছ্
১২/১০/২০১৭ ঈসায়ী সাল।
হাতিরঝিল, মধুবাগ, ঢাকা।
রাত ০১ টা।

ফুল

 ৬৬।  
            

সব ফুলে পাবে নারে,
রুপ-রস-গন্ধ,
সব ফুলে হয়না,
বাহারী ফল শত।
ফুল হয়ে ফোটে রয়,
পৃথিবীর বাগানে,
অপরুপ রুপে আর
মোহনীয় সুবাসে।

মাতিয়ে দুনিয়া,
ঠাঁই পাব জান্নাতে,
ভালবাসি, ভালবাসে
সবজনে সুবাসে,
শত শত ফুল সম,
ভাল কাজ করে,
দেশ-দশ, ধরা-তল,
ফুলে ফলে ভরে।

ঘরে ঘরে ফুল ফোটে,
ভরপুর সুবাসে,
রুপে রুপে অপরুপ,
প্রাপ্তির সকাশে।
রং খুঁজে পেয়ে যাবে,
বর্ণিল সারথি,
জীবনের সব দিক,
পূর্ণতায় আরতি।


আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া
 ১০/১০/২০১৭ ঈসায়ী সাল।
  হাতিরঝিল, মগবাজার, ঢাকা।
 ০৮/১০/২০১৭ ঈসায়ী সাল।
  রাত ১০:৩০।

মনের খিঁড়কি

৬৩।  


খিঁড়কি মনের খুলবে কি তা,' সাজিয়ে নিতে জীবনটারে,
বদ্ধ সকল মনের মাঝে, আঁধার ঠেলে আলো জ্বেলে ।
থাকবে কতো অলস হয়ে, যায় বেলা যায় এমনি ছুটে,
জমছে কতো কাজের ধারা, সময় এলে ধরবে চেঁপে।

ভাবছো বসে উদাস চোখে, করবে কি তা' কেমন করে,
জোয়ার ভাঁটার খেলা দেখো, মন সাগরের বুকেতে।
নেমে পড়ো কাজের জলে, খোঁজে বেড়াও লক্ষ্যকে,
শ্রম ও মেধার মিলন মোহে, পাবে তোমার স্বপ্নরে।

করব, করছি, আজ ও কাল, এমনি করে যায়রে বেলা,
সময় মত যায়না করা, জটিল-সহজ কাজের পালা।
সময় ব্যস্ত বেজায় দেখো, নাই যে সময় তার,
সব সময়ের কাজ আছে ভাই কাজের সময় যায়।

আরিফ ইবনে শামছ্
২৫/০৯/২০১৭ ঈসায়ী সাল।
রাত ০২ টা।
মধুবাগ;ঢাকা।

জাগো রে জাগো!

৬২।

ডাক এসেছে! জাগো! জাগো রে জাগো! ভাই বোনেরা জাগো!
অত্যাচারী যায় ছুটে যায়,
মাজলুমের তাজা রক্তপান!
মৃত্যু দেহে চালায় ছুড়ি,
আলাদা করে অঙ্গ সবি!
হও ধাবিত , ক্ষিপ্র বেগে,
ক্ষ্যাপা সিংহ, তীব্র ছুটে,
বঙ্গ শার্দুল, পড় ঝাঁপিয়ে,
রক্ত খেকোর সকল স্বাদ,
সব মিটিয়ে দে রে আজ।
ধরো আর বর্জ্রাঘাতে, আছড়ে মারো।
জাগো রে জাগো!!
দামাল, কামাল, জামাল ছেলে কোথায় সবে আজি?
আয়রে খালিদ (রাঃ), বীর হামজা (রাঃ), ওমর (রাঃ), মুসা, তারিক।
রক্ত-ফোরাত, লাল দরিয়া, সাত সাগরের জল,
ঝড়ের বেগে চালাও খড়গ, শমশের আর খঞ্জর।
অস্ত্র দিয়ে অস্ত্ররাজ, জবাব হবে অস্ত্রেরই,
শক্ত হাতে, ভক্ত করো, জব্দ করো, সব তারই।
সেবার মহান বাণী, কভু ক্ষমার মধুর বাণী,
দূর্বল ভেবে আস্ফালনে, আসবে অশুর-প্রাণী ।
দিকে দিকে ঐ শোন সব মজলুমের আর্তনাদ,
শান্তি সওদা করতে গিয়ে, জীবন দিল সঁপে তার।
আর কতোকাল, রয়বে বসে আসবে কবে যুগ নকীব,
আর কতো প্রাণ, বেঘোর ঝরে, ওঠবে জেগে প্রাণ প্রদীপ।

আরিফ ইবনে শামছ্
২৫/০৯/২০১৭ ঈসায়ী সাল।

কবিতা তোমার

৬১। 

আবার আসিবে ফিরে, আসিতেই হবে, বারে বারে,
কবিতা তোমার, দোলাবে মন, শিহরণ জাগাবে,
তাই সবে পথ চেয়ে চেয়ে রবে,
কবিতা তোমার কবে কার হবে?
দুঃখ করোনা কবি হে!
জীবন জাগার গান কবে কার ভাঙ্গিয়াছে কোন্ সে নিদ,
কবির লেখায় ভাঙবে শিকল,
চক্র বিকল,ছুটবে জেগে দিক-বিদিক।
চালাও কলম, জাগাও মানুষ,
সেনারা আজ ঘুমে,
তোমার আহ্বাণে, ঘুম ভাঙ্গিয়া,
সফলতা পদ চুমে।
একটি কথা, শব্দ কোন, জায়গা করে, জীবন কোষে,
পথ হারানো পথিক যদি, পায়রে খুঁজে পথের দিশে।
তপ্ত মরু জ্বালা বুকে, শান্তি বারি কভু আশে,
সান্ত্বনা আর তৃপ্ত সুধা, দৃপ্ত পথে, চলতে শিখে।
মাশুক যদি পায় ফিরে ফের ইশক-পিয়ারা শরাব যতো,
আশুক মাশুক মিলবে সবে, প্রেমের শরাব পিয়ে শতো।
আঁধার প্রেমে অন্ধ হয়ে ছুটবে আলোর পিছু পিছু,
রাত্রি ছুটে দিনের পিছু, আনবে বয়ে ভোরের আলো।
একটু খানি সময় নিয়ে পড়লে কবির লেখা,
জানিনাতো কবে, কোথায়, হবে চোখে দেখা!
সময়টুকু উপহারে, রাখলে তব জীবন হতে,
সব বেলাতে সুখের খবর, আসুক জীবন জুড়ে ।

আরিফ ইবনে শামছ্
২৪.০৯.২০১৭ ঈসায়ী সাল।

কারবালার শিক্ষা

৫৯। 

কারবালা আর কয়টা দেখে, ভাঙ্গবে তোমার মরণঘুম,
কতো রক্ত -নদী বেয়ে, উঠবি জেগে ওঠরে ওঠ !
জেগে ওঠার নাই নিশানা, কোন্ নেশাতে মজে,
ভীরু ভীরু হৃদয় তটে, শংকা তরীর ভীঁড়ে।
রক্ত লালে লাল করিল, কতো নদী সাগর!
কত প্রাণের টানল ইতি, করছে কত ছল।
বেঁচে যারা দেখছো সবি, নাই কি তোদের বল?
পাথর চোখে এসব দেখে, কেমনে থাকিস বল?
অশ্রু ভরা আঁখিদুটো, ঊর্ধে তোলা হাতের জুড়ো,
সবাক দোয়া, প্রাণের দাবী, দেখে যাবি মরণ কতো!
বাঁচার মতো বাঁচবি যারা, আয় ছুটে আয় পাগলপারা,
আবার গড়ে নিব ধরা, সব জালিমের জুলুম সারা।
যুগে যুগে দেখিস লড়াই, সত্য আর অসত্যের,
চলছে লড়াই কত শত, জালিম আর মাজলুমের।
ভয় কি রে তোর, কিসের ভয়ে, চুপটি করে দেখিস,
দেখবে সদা সত্যের জয়, মাজলুমের শেষ হাসি।
জয় পরাজয় হিসেব কষে; জিহাদ চলে কোন্ কালে!
ঝাঁপিয়ে পড়ো, হিংস্র থাবায় আঘাত করো জালিমরে।
কারবালার ঐ মর্সিয়া, আর রক্ত-ফোরাত পড়বি কত?
শিক্ষা ভূলে, দীক্ষা হেরে, চোখ বুঁজে সব সয়বি কত?
যুগে যুগে যুগের নকীব, দিয়ে যাবে এমনি প্রাণ!
নিঃস্ব হবে, এই ধরণী, নাইবা থাকে মুসলমান।
জুলুম হত্যা, স্বেচ্ছাচার, বাড়বে শত অনাচার,
যখন খুশি, করবে সবি, বাঁধ সাধিতে সাধ্যি কার?

ভালবাসি দিবা-নিশি _সূচীপত্র

কপিরাইট আইন: জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট, লঙ্ঘনের কারণ, সমস্যা ও সমাধান

📄 প্রবন্ধ শিরোনাম: “কপিরাইট আইন: জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট, লঙ্ঘনের কারণ, সমস্যা ও সমাধান” ✍️ লেখক: আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া (আরিফ শামছ)...