চির বিপ্লবী লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে
https://fictionfactory.org/contributor/2165 বিপ্লবী! পর্বতের ঐ চূঁড়া ছোঁয়ে, হিমবাহের গাত্র বেয়ে, জন্ম লভে চলতে হবে, সাগর পানে ছুটবে তবে। সবুজ শ্যামল পথের ধারা, চলতে চলতে পথের সারা, লক্ষ্যপথে সফল হওয়া, সকল বাঁধা, হলো হাওয়া। জাগছে দেখো, আসছে ধেয়ে, বিপ্লবীরা আকাশ ছেঁয়ে । বিপ্লবী! ঘন সবুজ কালো গায়ে, শুভ্র ধারা নামছে বেয়ে, উদাস মনে আকাশ পানে, ভাবের উদয়, কাছে টানে। পথে পথে লাখো হাতে, ময়লা ধুয়ে দিবস রাতে, স্বচ্ছ জলের ঝর্ণা হয়ে, বাঁধনহারা চলছে বয়ে। বিপ্লবী! দেখছো তুফান, মরুঝড়, দেখবে তাঁদের ঘূর্ণিঝড়, মন্দ খারাপ, জীবন ভর, পাল্টে দিবে, নেইকো ঢর। জরাজীর্ণে আনিবে প্রাণ, শ্মশান হবে গুলিস্তান। ঐকতানে সুর মিলিয়ে, সব ভেদাভেদ ঠেলে দিয়ে, পরকে সবাই আপন করে, সবাই রবে সবার তরে। হাসবেনা কেউ কারো দুঃখে, সুখী হবে সবার সুখে, ভালো থেকো, ভালো রেখো, জগত জুড়ে শান্তি দেখো। -----আরিফ শামছ্ ২০-সেপ্টেম্বর-২০২০ ঈসায়ী সাল। ঢাকা, বাংলাদেশ।
https://fictionfactory.org/contributor/2165 বিপ্লবী! বিপ্লবীরা জাগো, তর্জন গর্জনে, গর্জে ওঠো, স্বপ্ন, ঘুৃমের মোহ, ঘুমিয়ে আছে, যারা আছো। ভাঙবি ওরে ভাঙবো। মিছে আশ্বাস, কল্প বিশ্বাস, নয় পটাতে বিশেষ বাতাস, দেখরে চেয়ে, খোল্ ইতিহাস, বিপ্লবীদের জয়োল্লাস। কালের সাথে সমান তালে, বন্দী সমাজ, বিপদ জালে, খাঁমচে ধরে, জাতির পালে, সলীল কবর চায় অকালে! ঘাপটি মেরে, সবার মাঝে, চুপটি করে, সকাল সাঁঝে, করছে ক্ষতি দিবস রাতে, মরণ ফাঁদের জাল পাতে। বিপ্লবী! আগাছা বাছো, গোঁড়ায় ধরো, জোরসে মারো টান, মানুষ নামে অমানুষ, মন্দ! নামে ভালো, রয়না যেনো প্রাণ। দেশ ও জাতির কল্যাণে, প্রাণে প্রাণে প্রাণ এনে বিপ্লবীরা রণে। দেশ ও দশের ক্ষতি সবার, নেই কোন বোধ, বিবেক বিচার, পুতুল সম নাচে নাচায়, যেমনে তাদের শেখায়। ওরা জাতীয় বেঈমান, বিশ্বাসে গাদ্দার, হাতে গোনা কটা চাটুকার, ওদের ধরো, বোধ ফিরাবার, শাস্তি হবে বেদম প্রহার। বিপ্লবী! অপূরণীয় ক্ষয়-ক্ষতি, কুটচালের মাত্রা অতি, সব অরিদের একই গতি, মরণ দানে টানবে যতি। নূতন বিশ্ব, শত্রু মুক্ত, সবাই সবা...
https://fictionfactory.org/contributor/2165 বিপ্লবী, ক্ষুরধার লিখন, শাণিত ভাষণ, ক্ষীপ্র তীব্র, চলাচল তব, হারালো যত, শ্বাশ্বত ছন্দ। আজ কেনো, পরাণে ব্যথা, দুঃখ গাঁথা, পাথর চোখে, অশ্রু ঝরা, নিরানন্দ! বিপ্লবী, কোথা' তোর, বিপ্লবী দোর, রাঙ্গা ভোর, অগ্নিগর্ভ, চির নতুন; ঝরাজীর্ণ, সব পুরাতন, ভীত বিহ্বল, পুড়ে মরলো! বিপ্লবী! হারিয়ে গেলি! হেয় হারালি, ঘুমের নেশা, নেশার ঘুমে, স্বপ্ন দেখে, দিন কাটালি; আর কতোকাল, হবে নাকাল, ঘরের পরে, সবার তরে! এমন করে, হবে বলি! হুংকারে তোর, কাঁচের মতো, ভেঙ্গে ফেলো, বাধা যতো, দল উপদল, হল একদল। ঝাঁপিয়ে পড়ো, বীরের জাতি, বিদায় করো, আঁধার রাতি। ছিনিয়ে আনো, আলোর ভোর, শান্তি সুখের, ঐশী দোর। ০৪/১০/২০১৯
বিপ্লবী! স্থানেস্থানে, মানব জনে, প্রাণে প্রাণে, জাগাও প্রাণ; প্রাণহীন দেহ, নীরব নিথর, স্থবীর পাথর, রবে নিষ্প্রাণ? মনে প্রাণে, মানে শাণে, মিলে মিশে, দিবা নিশি; জাগো আজি, রাখবে বাজি, জাগাও সবি, অগ্রে র'বি। চিরবিপ্লবী! জন্ম জন্মান্তরে, অবহেলা অনাদরে, কষ্টের রাজপথে, ভঙ্গুর বন্ধনে, কাছাকাছি ; মৃত্যুপথে, গলাগলি করে, মৃত্যু ধ্বংসে, ইতিবৃত্ত লিখে, নবজাগরণে, আমরণে, চলো পাশাপাশি। মৃত্যুঞ্জয়ী! বিপ্লবী। মৃত্যু জয়, কর কমলে, মৃত্যুভয়, কোথা' হারালে, অমৃত পানে, কে হারাবে, ছুটাছুটি দশদিক ; অত্যাচারী, চির অপকারী, রক্তখেঁকো, নিঁঠুর পাষাণী, পালায় ছুটে, মৃত্যুভয়ে, দিক্বিদিক। বিপ্লবী! আজি তোর, উল্লাসী ভোর, খোলবে দোর, বাহন বায়ু, বাড়ছে আয়ু, শক্তি অতুল, চল্ দুলদুল। সামনে পড়ে, অসীম পথে, অগ্নিরথে, পবন বেগে, ছুটতে হবে, জয়ের পরে, বুল্ বুলবুল। আরিফ শামছ্ ২৪/০৭/২০১৯ ঈসায়ী সাল। https://fictionfactory.org/contributor/2165 https://www.facebook.com/groups/4020204574679136/permalink/7221569597875935/ https://kobitapara.com/%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b2%e0%a6%ac%e0%a7%8...
https://kobitapara.com/%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b2%e0%a6%ac%e0%a7%80-%e0%a6%95%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a6%be/ বিপ্লবী! ভাবছো কিছু? কীযে হলো? নারী, শিশু! নাইরে কেনো? শান্তি নিরাপদে। ঘরে বাইরে, পথে-ঘাটে, হাট-বাজারে, ছুটছে কাজে। নরক কীটে ভাবছে বাজে, সকাল সাঁঝে, ভদ্র সেজে, মান লুটে যে! যান বাহনে, চলাচলে, পথের মাঝে, একলা পেলে, হচ্ছে কী সব? সবাই নীরব! বিপ্লবী! কোথায় তব, গাইতি শাবল, ডান্ডাবেরী, করতে বিকল, হরমুজ দরমুজ, চল্ সহ চল্, ভাঙ্গবো কোমর, শির দাঁড়া সব, গুঁড়িয়ে দেবো, আবাস যতো, মুছে ফেলো, যতি, চিহ্ন । নতুন করে, তুলবে গড়ে, নতুন সমাজ, পুতঃ দেশ। পঙ্কিলতা, পাপের বোঝা, পাপী-তাপী, করবে শেষ। আবার বয়ে, যায়বে চলে, পূণ্য নেকে, পূর্ণ করে, সকাল বিকাল, দিবা নিশি, সদলবলে মিলে মিশি। বিপ্লবী! উড়াও ঝান্ডা, সম- সমতার, সব অধিকার, বুঝে নেবার, কর্মভার। যে যা পাবে, বুঝিয়ে দিবে, পায়ে পায়ে, দিবে নিবে, রেখো মনে, শান্তিভার। বিপ্লবী। তোমার থেকে বুঝে নিবে, শান্ত বিশ্ব; শান্তি ধারা, শান্ত ধরা, সকল পাওয়া, স্পষ্ট বুঝি, চল্ যুঝি। ১৮/০৭/২০১৯ ঈসায়ী সাল।
সাহিত্যের জাগরণ "সাপ্তাহিক সেরা সাত" আসসালামু আলাইকুম। "সাহিত্য হোক নতুনত্বের বারিধারা- সাহিত্য হোক সৎ সভ্যতার কথা বলা।" 'সাহিত্যের জাগরণ' পরিবারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করছি সাপ্তাহিক সেরা কবির নাম ও কবিতা। দেশ ও প্রবাসের অভিজ্ঞ বিচারক মন্ডলীর বিশেষ শাখা খুবই বিশ্লেষণ ও বিচক্ষণতার সাথে নির্বাচন করেছেন সাপ্তাহিক সেরা কবি। আমাদের সেরা কবিতা নির্বাচন করা হয় গ্রুপের নিয়মবিধি মেনে পোস্টকৃত কবিতা থেকে প্রতিদিন মানসম্মত কবিতা বাছাই করে নির্দিষ্ট কার্যালয়ে নেয়া।সেখান থেকে কবিতার মান+ বাছাই কার্যালয়ে বিচারকদের নাম্বারের যোগফল + গ্রুপে কবিতার জনপ্রিয়তা। উক্ত বিষয়গুলো গভীরভাবে বিশ্লেষণ করা হয়। সপ্তাহে অনেক কবিতা জমা হয়ে যায়। তারপরেও, আমরা সর্বোপরি সর্বোচ্চ মানসম্মত কবিতা নির্ধারণে সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি। "সাপ্তাহিক সেরা সাত কবি ও কবিতা" ========================= ১। বিপ্লবী- /আরিফুল ইসলাম। ২। ওহে যুবক-/ ইভা আলমাস। ৩। কবর এবং আমি- /ফারজানা ফয়েজ ফারাহা। ৪। স্বাধীনতা- /আলিফ খাঁন। ৫। গরীবের গর্জন- /অমৃত কুমার অমিত। ৬। বদলে দাও- /জাহেদুল ইসলাম জাহেদ। ৭। আমাদের পঁয়ত্র...
আমি যোদ্ধা, আমি বুদ্ধা, নহে বৃদ্ধা, আগুনের কুন্ডলী, পুঁড়ে ছারখার করি, জালিমের ভূত-ভবিষ্যত। আমি সৈনিক, সেনাপতি, মহাসেনাপতি, সিপাহসালার। খলীফা আবু বকর (রাঃ), ওমর (রাঃ), উসমান (রাঃ), আলী (রাঃ), আল্লাহর সিংহ, ইমাম হাসান (রাঃ); হোসাইন (রাঃ), ফিরিয়া আবার। আমি, আমীর হামজা (রাঃ), খালিদ বিন ওয়ালিদ (রাঃ),সালমান, তারিক,মুসা, ইখতিয়ারের জয়োন্মত্ত অশ্বারোহী । সালাহউদ্দীন, বীর মহাবীর, কুতুবুদ্দীন, ঈশা খাঁন, মানসিংহ । করিনাক ভয়, মানিনা ভেদ-বিভেদ, করিনা সময় অলস ক্ষেপণ। আমি ক্ষেপা সিংহ, রাজাদের রাজা, ক্ষীপ্র-তীব্র বেগে, নির্বাসনে, নির্যাতীতের শেষ অবলম্বন। আমি ঘাতক, খাদক, অমানব,নির্যাতকের, বাকরুদ্ধ, অবরোদ্ধ। আমি অস্থির, আমি চঞ্চল, কলকলে মহাকাল, আমি দুর্গত,দুর্গম, দুর্মদ, দুর্মর। বিশ্ব জালিমের মৃত্যুর শেষবাণ, বাতিলের খন্ডিত গর্দান। জালিমের টুটি চেঁপে ধরি ভাই, এক লহমাই,শূণ্যে উড়ায়। পবনবেগে হর্ষমনে, মৃত্যুকূপে, সহাস্যে দাঁড়িয়ে, অবিরাম বিদ্রোহী, বিপ্লবী গান গায়। আমি ত্রাস, সন্ত্রাস, ভয়াল সন্ত্রাসী, আমি মানব, মানবতা, ধর্ম, সদাচার, আমার বর্ম, দৃঢ় প্রত্যয়ী। মরুভাস্কর, আমি বেদুঈন, চেঙ্গিস, খালাকু খাঁন, ...
বিপ্লবী (২১) আরিফ শামছ্ ১৮/০৭/২০১৯ ঈসায়ী সাল। বিপ্লবী! হুংকারে তব, কাঁপে থরথর, পাতা-পত্তর সম, পড়েই নিথর। পথ হারিয়ে ফের, পালাতে না পেরে, পথ ভুলে সব, পায়েই লুটে। গর্জ নিনাদ, ঘুচে বিবাদ, কন্ঠে বাজে, ত্যাজি স্বর। নিরাশার জল, বয় ছল ছল, ঝর্ণার ওপারে, স্বপ্ন সকল। বিপ্লবী! কন্ঠে তব, বার বার রব, তীক্ষ্ণ ধারালো, তলোয়ার সম। হবে উচ্চারণ, গগন বিদারী, কর্ণ ভেদিয়া, হিংস্র ব্যাঘ্র, আসন ছাড়িয়া, শোনে গর্জন । বিপ্লবী! মার্চের তালে তালে, পদপিষ্ট পা'তলে, শত শত পাপ, নির্বাক পরিতাপ, করে হা হুতাশ। অত্যাচারীর পরিণতি, নির্মম নিষ্ঠুর, নির্জীব গতিহীন, হতাশ চোখে, স্বপ্নের ইতি। চিরবিপ্লবী! নূতন করে ফের, স্বপ্ন বুনন, চলে অগণন। স্বপ্ন-সত্যি, হেরার জ্যোতি, পাথেয় মোতি, সবি হবে আপন। বিপ্লবী! ঝড়ের গতিতে, সময়ের আগে, সবারে ছেড়ে, জয়ী হবি। চির বিপ্লবী। পরাভব মেনে, সবাই নেবে, হবেই হবে তুমিই জয়ী, চির বিজয়ী।
বিপ্লবী (২০) আরিফ শামছ্ ১৩/০৫/২০১৮ ঈসায়ী সাল। বিপ্লবী! তুমি চিরবিদ্রোহী। অশান্ত বিশ্বে বল্গাবিহীন, শান্তি ধরিত্রীর। যুদ্ধ হবে, যে যুদ্ধ সবে, ন্যায়ের পক্ষে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে, আগ্রাসীদের শিক্ষা দিয়ে, অত্যাচারীর জুলুম শেষে, একটি বিশ্ব হবে। যে বিশ্বে তোমার আমার, আমার তোমার সবার, সব অধিকার রবে। ভেদ-বিভেদ রয়বেনাকো, আপন পর বুঝবেনাতো, সমান সমান হবে। মানবেনা কেউ সীমারেখা, স্বার্থপরের চিত্র লেখা, এক আকাশের তলে, এক পৃথিবী হলে। দেশগুলো সব, মাতৃসম, জগত মাঝে সৃষ্টি যতো, সুখে দুঃখে, বিপদ যবে, সবাই সবার হবে। ভিসা পাসের ঝুট ঝামেলা, মানবেনা কেউ হর হামেশা, সকল দেশই আমার দেশ। বিশ্ব ঘুরে আসবো ফিরে, নিত্য নতুন খবর দিয়ে, যাচ্ছে যাবে বেশ। উচ্চ করি শির, ঊর্ধ্ব শামশির, ত্যাজী ঘোড়ার পিঠে। ত্বড়িত গতিতে, পলকে ছুটিতে, জয়ের ঝিলিক ঠোঁটে। বিপ্লবী! ঘোর অমানিশি, বাধার পাষাণ টুটি, পাগলা অশ্ব ছুটে। চলে হরদম, ছুটে দমদম, সময় প্রাচীর ধ্বসে। অহোরাত্র দিবানিশি, ছুটছে বিরামহীন, বিশ্বাসে নিঃশ্বাসে। চির বিজয়ী, চির বিদ্রোহী, বিপ্লবী শাহী, বিশ্ব বিজয়ী। মুক্তির মুক্তিকামী, চির বিপ্লবী।
বিপ্লবী (১৯) আরিফ শামছ্ ২৫/০৪/২০১৮ ঈসায়ী সাল। বিপ্লবী। উড়াও ঝান্ডা, বয়বে হাওয়া, লাগবে পালে, লক্ষ্য তরী, ফিরবে তীরে, সফল অভিযানে। শালীনতা, স্বাধীনতা, চলবে সাথে, রাত-বিরাতে, রুপ অপরুপ, দৃষ্টি লোলুপ, পথে ঘাটে, আঁটবে কুলোপ। কেউবা বলে পোষাক আশাক, যেমনি ইচ্ছে, তেমনি পড়ি, আমার স্বাধীনতা, দৃষ্টি তোমার খারাপ কেনো, তাকিয়ে থাকো বদের মতো, চোখের অধীনতা! খুব সেজেছি, বাইরে যাবো, কেউ দেখে তা' পাগল হবে, ভারী মজা হবে! হয়তো কভু, মেলবে আঁখি, ফেলতে পাতা, কেবা কবে, সবি ভুলে রবে। দেখতে চাহে, কেউবা দেখায়, দোষ দেয়া যায় কারে! রুপের গরব, ভাবে সরব, রুচির বোনন নজর কাঁড়ে। শালীনতা হারিয়ে কোথা, অশালীনের পথে চলে, কথা কাজে নাই শ্লীলতা, যায়না দেখা পোশাকে, লজ্জা বুঝি লুকিয়ে গেলো, আজব রুচি দেখে। ছোট বড়, পথিক, মজুর, মধুর ভাষা, যায়না শোনা। কেমনে চলে, কীযে বলে, আপন পরে, ভেদ মানেনা। আমার চলা, আমার মতো, স্বাধীন কথা, বেজায় ভালো! নয়তো একা তুমি ধরায়, কত মানুষ বিদায় হলো! চলাচলে, বাক বচনে, পোশাক-আশাক, রুচির জেড়ে, ভুগবে সবে, ভুগবে নিজে, বা...
বিপ্লবী (১৮) আরিফ শামছ্ ২৪/০৪/২০১৮ ঈসায়ী সাল। বিপ্লবী! আলোর ফোঁয়াড়া, সচেতন আঁখি, জাগো ফিরিয়া, হাতে হাত রাখি। বিনিদ্র রজনী শেষে, সোনালী ভোরের আশে, চিরপ্রত্যয়ী, চির সংগ্রামী! অন্ধকারে আলোর রেখা, দিশেহারা খুঁজছে একা। মন্দ পথে ভালোর দেখা, মিলবে কভু ভাবছে কেবা! কেউবা ভুলে পথ হারিয়ে, পথ খুঁজে যায়, পথ পেড়িয়ে। সহজ, সরল, সফল পথে, পথিক চলে, আপন মনে। মানব মনে! হলো কীযে! আলো ফেলে আঁধার খুঁজে, ভালো মতের পথ ছেড়ে, মন্দ পথেই ঘুরে ফিরে। অন্ধকারে বিপদ আপদ, ওৎ পেতে রয় হিংস্র স্বাপদ, হেলায় ভুলে, খেলার ছলে, জীবন যাবে, অতল তলে। সুধা ছেড়ে, গরল পানে, অসুর নাচে, বেসুর গানে, মৃত্যু নেশা, জীবন ঘেষা, সব ভুলিল, মরা বাঁচা। চলছে জীবন, ভাসছে সবে, ভালো খারাপ, পথ বিপথে। কেউ শোনেনা, নিজের কানে, অন্ধ মাতাল, কিসের টানে। সমাজ, জাতির, জরা খরা, মন্দ খারাপ, কালো ধরা, যাক হারিয়ে, চিরতরে, নামবে আলো ভুবন জুড়ে। জাগছে সবে, হাঁকছে রবে, ডাকছে জোরে, পথের পরে, পবন বেগে, ছুটতে হবে, ছুটছে সবে, চির সংগ্রামী। চির বিপ্লবী!
১৩২। বিপ্লবী, তোমার আকাশ, শান্ত বাতাস, চিল শকুনের দখলে। উদার নীলে, শত্রু হায়েনার, বোমারু বিমান ওড়ে। এক পলকে, নিচ্ছে কেঁড়ে, কত শত প্রাণ! নাইরে কেহ, বদলা নেয়ার, রাখবে কারা মান? মানুষ নামে, অমানুষে করছে কতো কী? ধরাতলে নাইরে কেহ, ধরবে জীবন বাজী! ঘুমের ঘোরে, স্বপ্ন ঘিরে, দিবা স্বপ্ন দেখে! জাতির তরে, জীবন ভরে, বিপ্লবীরা হাঁকে। রাতের শেষে, শেষ প্রহরে, ডাকবে ভোরের পাখি, মৃত্যু ফাঁদে, জীবন কাঁদে, খুলবেনা তাঁর আঁখি। আশায় আশায়, আর কতো কাল, দেখবে মরণ জিল্লতী, ভাইয়ের বুকে, ভাই হয়ে আর, করবে কতো খুন খারাবী। সময় হলো, অস্ত্র তুলো, নিশানা করো শত্রুদের, মানবতার ধোঁয়া তুলে, মারছে মানুষ পলে পলে, জ্বালাও ঘাঁটি বারুদের। মুক্ত করো আকাশ বাতাস, প্রিয় বিশ্বভূমি, মানবতার শত্রু সবে, সাফ করিবে তুমি। অস্ত্র সস্ত্র কামান গোলা, হাজার, কোটি ডোম, পথ খুঁজে নাও কেমন করে, পুঁড়বে সবি, ড্রোন। বিপ্লবী! এগিয়ে চলে, সদলবলে, পবনবেগে, বিশ্বজয়ে, চিরসংগ্রামী, জাগরুক বিপ্লবী। আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া। ০৯/০৪/২০১৮ ঈসায়ী সাল।
১৩১। --------আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া। ০৮/০৪/২০১৮ ঈসায়ী সাল। বিপ্লবী, প্রিয় ফুলের, বুকের মাঝে, সুবাস মাখা, পাঁপড়ি গায়ে, নষ্ট পোকা, বসত করে, করছে কতো ক্ষতি! আর কতো কাল, ঘুমিয়ে রবে, এবার জাগবে কী! চির সংগ্রামী! প্রিয় বিপ্লবী! ফুলের সুবাস প্রিয় সবার, বাগ-বাগিচা নাই, ফুলের বাগান গড়বে তুলে, মাটি, পানি চাই। জীবন ছাড়া মাটি মাঝে, হয়না ফুল ও ফসল, ধরাতলে খরা শেষে, খোদা দানে জল। মৃত ভূমি নব সাজে, নতুন প্রাণে, সবুজ মাঝে, ফুটছে কতো ফুটবে ফল, জীবন হবে সফল। ফুল ফসলে ভরা জমি, বাহাদুরি করছো তুমি, আমার আমার বলছো সবি, কদিন বাদে সব হারাবি। বলো সবে হর হামেশা, আল্লাহ পূরণ করবে আশা, মানছি কিনা সবে, বলছে যেমন রবে। তারই দেয়া নেয়ামতে, চলছে জীবন ভবে, কৃতজ্ঞতা নাই কাহারো, কেমনে সঠিক রবে! ফুলবাগানে মড়ক লেগেছে, নাইরে ফুলের ঘ্রাণ, পাঁপড়ি ছিঁড়ে, সুবাস কেঁড়ে, শেষে নিল প্রাণ। ভাসছে কীসে তরুণ তরুণী, নষ্ট প্রেমের মোহে, আঁধার রাতে, ছেলে মেয়ে, কোথায় পড়ে থাকে! খোঁজ খবর রাখে কিনা, আসল নকল মা, কোথায় গেলো কিশোর যুবা, লক্ষী মেয়েটা। কীযে করে কেমন...
১৩০. উড়াও নিশান, বাজাও ভীষণ, বজ্রযানে বজ্রনাদ, বিপ্লবী জিন্দাবাদ। আর কতোকাল, পথের পানে, রয়বে চেয়ে, অধীর হয়ে; ছিঁড়বে গেঁড়ো, ভাঙ্গবে শিকল, করবে বিকল, ঝঞ্ঝা লয়ে। ঝড়ো হাওয়া, বয়ে যাওয়া, আঁধার ঘেরা, পালযে ছেঁড়া, পাহাড় ছোঁয়া, ঊর্মি ধোঁয়া, আসছে ধেয়ে, আকাশ ছেঁয়ে। তারার মেলা, আলোর খেলা, যায়না দেখা, লক্ষ্য রেখা, মিলবে কোথা, জাতির নেতা, জাগবে মানবতা, নামবে সফলতা। দিশেহারা জাতি, জাগছে দিবারাতি, আসলো বুঝি, সদলবলে যুঝি, ঘুমহারা বিদ্রোহী, মুক্তি পাগল রাহী। দূরন্ত অশ্বারোহী, দূর্বার মতি গতি, বিপ্লবী শাহানশাহী। দেখছে সবে, আকাশ পরে, জমছে মেলা, মেঘের ভেলা, তারায় তারায়, আলোর আভায়, ভরছে পৃথিবী। রুপালী আলো, সোনালী বলো, সব তাড়ালো, আঁধার কালো। বিজয়ী বিপ্লবী। চির সংগ্রামী, জাগ্রত বিদ্রোহী। চির বিপ্লবী। হয়তো তুমি, স্বপ্ন চুমি, কিশোর কিশোরী, যুবক যুবতী। অনন্ত যাত্রী, সচেতন সাস্ত্রী। তরুণ সেনানী, জাতির কান্ডারী, আত্ম বিশ্বাসী। চির বিদ্রোহী, চির বিপ্লবী। আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া। ০৪/০৪/২০১৮ ঈসায়ী সাল।
১২৯। সাম্যবাদী! বিপ্লবী সাম্যবাদ। আবার করিবে আবাদ। গাহি সাম্যের গান, করি সমতা বিধান, বাঁধার পাহাড়, চূর্ণ -বিচূর্ণ, পাতাল ভেদীয়া, আকাশ ফুঁড়িয়া, সুবাস ছড়াবো, দুহাত ভরিয়া। দূর করিব সবে মিলিয়া, যতো দুর্গন্ধ রহে ছড়িয়া। চির-বিদ্রোহী! বিপ্লবী মুসাফির, চলিছে অস্থির। ঘুরিয়া ফিরিয়া, পথে ঘাঠে চলিয়া, অগ্নিশর্মা নয়নে হেরিয়া; আলো আঁধারে, জড়াজড়ি করে, কালে অকালে, কিসের ছলে, করছে লেনাদেনা, সবাই দেখে, কেউ দেখেনা। চুপটি করে, আপন মনে, যায় চলে যায় সুদূর পানে। কে ফিরাবে, বিপথ থেকে, কারা আবার পথ দেখাবে, গড়বে নতুন সমাজ; পথ গুলি সব, ভরা ভুলে, বুঝবে কবে, ফিরবে সবে, করবে পূণ্য কাজ। ঝিলের পাড়ে, সড়ক পাশে, করছে কীসব কাছে বসে; খর তাপে, ঠান্ডা শীতে, ঝড় তুফানে তপ্ত রোদে। আঁধার রাতে, বিজন ভূমে, সন্ধ্যা সাঁঝে, হোটেল রুমে, কোথায় থাকে, কাদের সাথে, কোন লালসায়, ভুলের রথে! কাটায় বেলা পথ বিপথে, পড়ছে নিতুই বিপদ মাঝে; সর্বনাশে হুঁশ আসে, অশ্রু জলে বুক ভাসে। হারায় সবি জেনে শুনে, স্বপ্ন বড় জীবন হতে? জীবন বড় জীবন পথে। জীবন দিয়ে, স্বপ্ন কিনে, ঠুনকো কাঁচের স্বপ্ন গুলি, দেখছে শেষে ফাঁকাবুলি। ওঠরে জেগে, বিপ্লবী। জাগাও ...
১২৮। চিরবিপ্লবী! ভালোবাসার বিপ্লবী! ভালোবাসায় তুলবো গড়ে, নতুন করে, বিশ্বটারে। চলো ভালোবাসি, সবাই মিলে মিশি, অহোরাত্র দিবানিশি, স্রষ্টাকে ভালোবাসি। তাঁর সৃজিত সকল সৃষ্টি, জীবন জুড়ে ভালোবাসি। সৃষ্টির সেরা, হে মানুষ! রবে সদা দিলখোশ। ভালোবেসো সৃষ্টি সবি, সবাই তোমার আপন, জুলুম করে রবের কাছে, করবে কারাবরণ! অনেক আদরে, স্বর্গে সাদরে, নিজবাসে ছিলে সুখে; অনন্ত পথে, যাত্রা রথে, চলছো সুখে দুঃখে। বিশ্বমাঝে সবে, স্বল্পকালে রবে, চলন্ত মুসাফির ; আসল আবাস, সকল নিবাস, রয়লো যে অধীর। ভালোবেসে তোমায়, স্রষ্টা স্বয়ং সৃজিল জান্নাত, অসংখ্য হুর পরী, গিলমান সহ নাজ নেয়ামত, চির কিশোর- কিশোরী। রয়েছে মাঝে অনন্তকালের, সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ পাওয়া, দীদারে খোদার, নেয়ামত পেয়ে, প্রশংসা স্তুতি গাওয়া। শীত গরমে, ঝড় তুফানে, বিপদ আপদে, জীবন জুড়ে, সকল কালে, নিছক জালে, মহান প্রভুর ডাকে; হৃদয় মাঝে, পুতঃমনে, ভালবাসা, লালন করে, ছুটতে তাহার পানে। অদেখা সে স্রষ্টা মোদের, দেখা দিবেন বান্দাদের। আঁধার পথে, চলার রথে, আলোক জ্বেলে, গতি দিলে, সফল হলে, সকল হালে। বলছি মহীয়ান স্রষ্টা মহান, আল্লাহু আকবার...
১২৭। আগ্রাসন! দেশে দেশে বার মাসে, বিশ্ব মাঝে, ত্রাসে ত্রাসে, চলছে, চালায় আগ্রাসে; খনিজ, দেশজ, সহায় সম্পদ, শান্ত দেশে বিপদ-আপদ, চালায় গিলতে গোগ্রাসে। দেখছে সবি বিশ্ববাসী, অত্যাচারীর দেশী -খেশি, নেইকো প্রতিবাদ; অন্যদেশের সবকিছু তার, লুটেরাদের, লুটে নেয়ার! বাধ সাধেনা বাদী-বিবাদ! আগ্রাসী দেশ হুমড়ে পড়ে, বিশ্ব মোড়ল সাথে করে, নেই অভিভাবক, নিখিল চরাচর! রৌদ্র রুপে থরথর! এমনি করে, কদিন যাবে, বাঁচা মরার লড়াই করে, শহীদ, গাজী, লড়বে রণে, দলে দলে আসছে ধেয়ে, জয়ী হবে জীবন দিয়ে। গোটা কয়েক শাসক, জিম্মী জনগন। সব হবে যে শেষ। মানুষ নামের বন্য পশু, মারছে নারী অবুঝ শিশু, চলছে সবাই বেশ। একটু ভাবো, মারছো যাদের, হর হামেশা, শান্তি সুখে বাঁচার আশা, আছে তোমার মতো। এবার সবে থামো! বিপ্লবীরা দেশে দেশে, জাগছে বীরের বেশে, হাঁকছে তাঁরা, ডাকছে জুড়ে, আকাশ পাতাল ফুঁড়ে, পথ পালানোর পথ পাবেনা, বাঁচার মতো কেউ রবেনা, বুঝবে সেদিন শেষে। নতুন সাজে সাজবে ধরা, রবে নাক জরা-খরা, শান্তি সুখে মিলে মিশে, বাঁচবে বীরের বেশে। জয় হবে জয়, মাজলুমের, বিশ্ব বিজয়! বিদ্রোহের। মানবতার বিপ্লবের। অগ্রগামী বিদ্রোহী, ওড়াও নিশান সং...
১২৬। চির বিপ্লবী! তোমার মিছিলে, পায়ে পায়ে চলে, বজ্র হুংকারে, শান্তির তরে, আসছে দলে দলে, শান্তির বিশ্ব চায়; অশান্তি, মারামারি, কাটাকাটি, হানাহানি, মিথ্যাচার, জানাজানি, খতম শেষে আপন ভূবন পায়। সত্য নাবিক! সততঃ বিদ্রোহী! যুগে যুগে, যুগোপযোগী, জোগায় শান্তিবাণী, অশান্ত বিশ্ব, করেছে শান্ত, সুখ দিয়েছে আনি। আবার এসেছে ফের, অত্যাচারী, জালিমেরা সবে, নতুন কূট কৌশলে; নিষ্পেষিত মানবতা, মেতেছে হত্যাযজ্ঞে, চতুর যাঁতাকলে। হে বিশ্ববাসী! ঘুমন্ত শার্দূল, বিশ্ব বিপ্লবী! এসেছে সময়, জেগে উঠবার, ঘুরে দাঁড়াবার, কোন দলে যাবে বলো! অতি সন্তর্পণে, স্বাগত স্বাধীন, বিশ্ব জয়ে চলো। নীরবে রয়ে বাড়িয়ে যাবে, অত্যাচারীর বল, নাকি, সত্য ন্যায়ের ঝান্ডা হাতে, খতম করবে ছল। হাতে পায়ে, চোখে মুখে, অসি, মসি, ট্রিগার চেপে, সব হবে শেষ, বাটন চেপে, নগ্ন আগুন; দ্রোহানলে পুঁড়বে রাজ্য , বিশ্ব হবে বেশ। আর ঘুমাবে কতো, বিপ্লবীরা জেগে উঠো, কেঁড়ে নিলো নেকড়ে যতো, তোমার শান্তিধাম, মানবতা চরম অসহায়, চেয়ে আছো পথ পানে কার, বীরদর্পে চলো, বিপ্লবীরা ছুটো। সমস্বরে গাহি, আমি বিদ্রোহী, চির বিপ্লবী, চির সংগ্রামী। আরিফুল ইসলাম...
১২৫। বজ্রকন্ঠে বাজে, সকাল সন্ধ্যা সাঁঝে, কী করবে তোমরা সবে! করছো কী সব ভবে? আচ্ছা মাগো বলতে পারো, তোমার মায়ের একটি মেয়ে? নাইকি তোমার ভাই ও বোন, একলা ঘরেই, বড় হলে? হারিয়ে যদি যেতে তুমি, বাবা মাকে ছেড়ে, একটু ভাবো, করতো কীযে, তোমার জীবন শেষে। সত্যি করে বলো বাবা, সব তারা কি দেখো, ছোটবড় রাশি রাশি, অনেক তারার আলো। কে জানাবে ছেলে মেয়ে, আসবে আগে পরে, কেবা তোমার নাম ছড়াবে, সুনাম দেশে দেশে। তোমার কাঁধের জোয়ালখানি, বয়তো কেবা জানো? প্রথম ছেলে, নাকি মেয়ে, যাদের কান্না শুনো! মত-অমতের বিন্ধ্যাচল, ভীরু প্রাণের অরুনাচল, উড়িয়ে করি ভস্মতল, অরুণ, করুণ, নিঃস্ব দল। উঁচু করি শান ও মান, জানি, মানি হুকুম যার, খালিক, মালিক, আল্লাহ মহান। সত্যের ধ্বজাধারী, কেউ পর নাহি আজি, সবাই আপন, নিজ পরিজন। শান্তি চাই, শান্তির লড়াই, চির সংগ্রামী, আমি চির বিপ্লবী। এই পৃথিবীর আলো বাতাস, মনজুড়ানো নীলাকাশ, সব ঋতুতে ফুলের সুবাস, ডাকছে পাখি, তৈরি আবাস। তোমরা কেনো উদাস মাগো, ভয় কিসে পাও বলো! তোমার কচি ছেলে মেয়ে, বীর মহাবীর সবে। আশেপাশে দেখছো কতো, কাপুরুষের দল, কতো করে সাজায় তারা, মিথ্যা কলাছল। তুমি কি মা বন্ধ্যা, কিব...
১২৪। কী অপরাধ করেছে তারা, ঠিক সময়ে আসবে যারা, অনাগত তব অধস্তন, করবে জীবনের আয়োজন। জীবনের খেলাঘরে, স্বাধীন বিশ্ব, হিমাগারে, পরাধীনতার, নির্মম কারাগার। কারার ঐ শক্ত প্রাচীর, ভাঙতে অধীর, মুক্তিদানে, মুক্তিগানে, সহাস্যে বলিদানে। চির উদগ্রীব বিপ্লবী, আমি ঔদ্ধত্য বিদ্রোহী। ধর্ম, প্রেম, রীতি-নীতি, জীবনে টানে যতি, অভাবের দুনিয়ায়, নতুনেরা আসা দায়! জন্ম নিয়ন্ত্রণ, হত্যা ভ্রুণসব, সুন্দর পৃথিবী, দেখতে পাবে কী? খুনীরা চুপসব! জিজ্ঞাসে কোটি মন। প্রাণহীন সদ্য, নিঃস্তেজ পিন্ডে, ছুরি কাঁচির নির্মম কান্ডে, অঙ্গ প্রতিটি, করেছে আকুতি, বাঁচানোর করজোড়, মিনতি। কখনো জ্যান্ত দাপাদাপি, হাত পা ছুড়াছুড়ি, আশা নিরাশার দোলাচল, কাঁড়ে মা'র স্নেহাচল। হয়েছে ঢের! আর হত্যা নয়, শোন! লাখ লাখ অনুরা কথা কয়, বঞ্চিত করোনা, রেখো অনুরোধ, বন্ধ করো, নিষ্ঠুর প্রতিরোধ। সুন্দর পৃথিবী দেখতে, আছে মোর অধিকার, দয়া করে, দাও আসতে, চাইবোনা কিছু, আর! পাষাণ খুনীরা বধির, মূক আর বুদ্ধিহীন। শুভাগমনে অবনীর, প্রতীক্ষিত মহাবীর, ...
পরিচিতি
নাম: আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া
লেখালেখি: আরিফ ইবনে শামছ্
পিতা: বিশিষ্ট সমাজ ও সাহিত্যসেবক, কবি ক্বারী আলহাজ্ব শামছুল ইসলাম ভূঁইয়া (রাহঃ)।সহকারি প্রকৌশলী, বাংলাদেশ তার ও টেলিফোন (বি.টি এন্ড টি- বি.টি.সি. এল)।
মাতা: মোয়াল্লিমা হালীমা সাদীয়া ভূঁইয়া।
ঠিকানা: ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
ভূঁইয়া পাড়া, বাড়ী# ১২৩৪,
ওয়ার্ড# ১২, গ্রাম: ভাদুঘর,
পোষ্ট: ভাদুঘর-৩৪০০।
থানা:সদর, জিলা: বি.বাড়ীয়া।
পড়াশোনা:
নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়, (৬ ষ্ঠ শ্রেনী) সদর, বি.বাড়ীয়া। ভাদুঘর মাহবুবুল হুদা পৌর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় (৭ম-১০ম)।হাবলা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় (রেজিষ্ট্রেশন) হতে ১৯৯৫ ঈসায়ী সালে কৃতিত্বের সাথে ১ম বিভাগে পাশ করেন।প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বরাবরই ফার্ষ্ট বয় ছিলেন।১৯৯৭ সালে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পাশ করেন।২০০১ সালে, বি.এস.এস (সন্মান-অর্থনীতি), ব্রাহ্মণবাড়ীয়া সরকারি কলেজ, ২০০৩ সালে, এম.এস.এস (অর্থনীতি), সরকারি তিতুমীর কলেজ, ঢাকা, বি.এড. বাংলাদেশ টিচার্স ট্রেইনিং কলেজ, ঢাকা (জাতীঃবিঃ), এম.এড (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), এম বিএ -এম এই এস (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-অধ্যয়নরত)
পূর্বপুরুষদের পূর্বকথাঃ
বৃহত্তর বিভাগ ময়মনসিংহের অন্তর্গত বেলগাঁও থানার দিলালপুরে বসবাস করতেন পাঁচ ভাই।দুই ভাই দ্বীনের কাজে বা ভ্রমনের উদ্দ্যেশ্যে দিলালপুর থেকে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া (ত্রিপুরা) জেলার সদর থানার অন্তর্গত ভাদুঘর গ্রামে আসেন।প্রাকৃতিক পরিবেশের অপূর্ব লীলানিকেতনের মোহে মোহাবিষ্ট হয়ে ভ্রাতাদ্বয় স্থায়ী বসবাসের সিদ্ধান্ত নেন ভাদুঘরে।"বংশ পরম্পরায় দ্বীন ধর্মের প্রচার প্রসার, অলি-আল্লাহদের খেদমত ও ইহসানের সুবাদে ধারণা মজবুতভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় যে, ভ্রমণে নয়, দ্বীন ধর্ম প্রচার বা ইসলামের দাওয়াত নিয়েই দুই ভাই এসেছিলেন"। কবিতা সাহিত্য সংস্কৃতির আসর (একটি গতিশীল সাহিত্যভান্ডার)। প্রাক্তন বিভাগীয় সম্পাদক, সাহিত্য সম্পাদক, মাসিক "বলিতে ব্যাকুল" পরবর্তীতে "তিতাস বার্তা"।
মোবাইল: ০১৬১০০০৭৯৭০।
বয়স: ৩৮ বছর।
পেশা: চাকুরী।
প্রকাশিত লেখা:
দৈনিকভাবে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, দৈনিক প্রজাবন্ধু,
মাসিক বলিতে ব্যাকুল, তিতাস বার্তা,
হক্ব পয়গাম।
মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম শেখ সম্পাদিত "ঝরা ফুলের গন্ধ" যৌথ কাব্য গ্রন্থে প্রকাশিত
(১) "শ্বাশ্বত আহ্বাণ" এবং (২) "ছন্দ নাবিক"।
মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম শেখ সম্পাদিত "বিজয়ের উল্লাসে" যৌথ কাব্য গ্রন্থে প্রকাশিত
(১) সত্য সন্ধানী
(২) বাঙালির স্বাধীনতা
(৩) বিজয়ের উল্লাসে
(৪) অনুশোচনা
(৫) বিদ্রোহী তুমি, বিপ্লবী
(৬) আজকের এই বাংলাদেশ
(৭) ভাঙ্গা গড়া
সংকলন ও সম্পাদনা: তাসকিন আব্দুল্লাহ "বাংলার ১০০ কবি ও কবিতা" যৌথ কাব্য গ্রন্থে প্রকাশিত
আগুন জ্বালা অন্তরে |
সন্মাননা পত্র প্রাপ্তি :
পাক্ষিক সেরা কবি, আধুনিক বাংলা কবিতার আসর (কবিতাঃ কারবালার শিক্ষা),পাক্ষিক সেরা কবি, আধুনিক বাংলা কবিতাপাক্ষিক সেরা কবি, আধুনিক বাংলা কবিতা ছড়া ও গানের আসর (কবিতাঃতোরা থামবি কিনা বল।)
সাহিত্য জাগরণ বাংলাদেশ (কবিতাঃহৃদয় কন্দরে। কবিতাঃ কবিতা তোমার।)শখের কবিতা সাহিত্য আড্ডা (কবিতাঃ টেকসই মানবতা।কবিতাঃ বিদ্রোহী তুমি বিপ্লবী।)।
বাংলাদেশ কবি সংসদ, (সিলেট বিভাগ)।বাংলাদেশ কবি সংসদ, (চট্রগ্রাম বিভাগ) হতে সাহিত্য অঙ্গনে বিশেষ অবদানকৃত স্বরুপ বিশেসন্মাননা পত্র প্রাপ্তি।বিশেষ সন্মাননাপত্র, এসো কবিতা লিখি (কবিতাঃ জাগাও তুমি জেগে ওঠো!),দিনের (২০-১১-২০১৭) সেরা কবি, বাংলাদেশ কবি পরিষদ (কবিতাঃ বাঙ্গালীর স্বাধীনতা)।আন্তর্জাতিক কবি পরিষদ (আজকের- ০৬-১২-২০১৭- সেরা কবি, কবিতাঃ "জীবন তরী");
ছায়াবীথি (সেরা পোষ্ট- কবিতা ইভেন্টে বিজয়ী- কবিতাঃ "অনাগত সন্তানের আহ্বান"।সমাজ কল্যাণ সাহিত্য পরিষদ কর্তৃক সপ্তাহের (১৪-১২-২০১৭) সেরা বিজয়ী কবি, ১ম স্থান অধিকারী, (কবিতাঃ আসলে পতন, খবরদার !)বাংলা সাহিত্য (কবিতা ও গল্পের রস _১৪-১২-২০১৭_সাপ্তাহিক সেরা ২৫ এ ৫ম স্থান ( কবিতাঃ আসলে পতন, খবরদার !);বাংলা সাহিত্য (কবিতা ও গল্পের রস _২২-১২-২০১৭_সাপ্তাহিক সেরা ২৫ এ ১১ তম স্থান ( কবিতাঃ পরোয়ানা !)প্রজন্ম সাহিত্য সভা (প্রসাস-০৬-০২-২০১৮_সপ্তাহের সেরা ০৫ এ ০৪- কবিতাঃ স্বান্তনা) নকলা উপজেলা সমাজকল্যাণ সাহিত্য পরিষদ, সাপ্তাহিক সম্মাননা ১৬-০২-২০১৮, ( কবিতা: ফাগুনের গান); কাব্য প্রেমীদের প্রচার মাধ্যম_ গল্প কবিতা ও সাহিত্যের আসর_বিশেষ সম্মাননা _২২-০২-২০১৮ (কবিতা: প্রিয় বাংলাভাষা); কাব্য কথার মেলা সাহিত্যাঙ্গন, সাপ্তাহিক সেরা ০৫ (কবিতা: এই পৃথিবীর আর্তনাদ); সাহিত্যজগৎ (সকল সাহিত্য প্রেমিদের ঠিকানা), সাপ্তাহিক সেরা ০৫ (কবিতা: বিপ্লবী );শেরপুর সাহিত্য পরিষদ, সাপ্তাহিক সম্মাননা, ২৩-০৩-২০১৮ (কবিতা: বিপ্লবী) ; সাহিত্য সন্ধ্যা, আজকের (২৭-০৩-২০১৮) সেরা কবি, (কবিতা: বিপ্লবী) বাংলা সাহিত্য কবিতা ও গল্পের রস_৩০-০৩-২০১৮_সাপ্তাহিক সেরা ২৫ এ ৪র্থ স্থান ( কবিতাঃবিপ্লবী )। সাপ্তাহিক সেরা ০৭ কবি ও কবিতায় ১ম স্থান, (কবিতা: বিপ্লবী ); সাহিত্যের জাগরণ, আন্তর্জাতিক সাহিত্য সংগঠন, সাপ্তাহিক সম্মাননা, ০১-০৪-২০১৮ (কবিতা: বিপ্লবী)।
পাথর দিয়ে যুদ্ধ
ইরাক, ইরান, তুরান, কাশ্মীর, কাতার আর সিরিয়া,
সৌদি আরব, সুদান, মিশর, পুরো আফ্রোশিয়া।
উপমহাদেশ, স্থান, আর দেশ -মহাদেশ,
সব সৃষ্টি স্রষ্টার জানি, আমরা বিশ্বের, বিশ্ব মোদের।
হানাহানি আর মারামারি করে, মানুষ মানুষেরে,
হৃদয় আছে ঠিকই দেহে, নাই যে দরদ অন্তরে।
সৃজিত হল কত দল উপদল, কেউ সহেনা কারো,
এক হওয়ার মন্ত্র ভুলে, অনৈক্যে খায় হাবুডুবু।
নাই সে খেয়াল, দূর করিবার ব্যবধান যতো আছে!
আমার আমি, অহমিকা আর অন্ধ সকল জনে।
কোরান কিতাব, হাদিস, ইজমা, কিয়াস জেনেছে কতো!
সবাই মিলে একই বাঁধনে, নাইকি বাঁধিবার কেহ!
কত আরাধনা চলে অবিরাম দিবস যামিনী দেখো,
পাশের বাড়ীর অধিবাসী যারা, খেতে পেরেছে কি জানো?
ঋণের চাঁপে, লজ্জা শরমে, সহসা মৃত্যু দেয়যে হানা,
কানে তুলো আর চোখে ঠুলি বাঁধে সমাজের ধনী যারা।
দেশের রাজারা ব্যস্ত সদা, নিজেদের ব্যবসা দেখো,
দেশ ধর্ম কোথায় গেল, জাতির ঐক্য এলো কি গেলো!
তা'তে কি কার, কিছু আসে যায়, জীবনের দাম নাই!
সকাল বিকাল মারছে শিশু, দূর্বল নারীরা ও মারা যায়।
কথার কথা, নামে মাত্র সবাই করে বাদ- প্রতিবাদ!
মিছিলে মিছিলে যায় হারিয়ে প্রতিশোধের অগ্ন্যোৎপাত।
নায়কি সাহস দাঁড়াতে পাশে, মাজলুম যতো বিশ্ব মাঝে,
পাথর দিয়ে যুদ্ধ করে জীবন সঁপে,শহিদী পথে।