চির বিপ্লবী লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
চির বিপ্লবী লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বুধবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৫

১। বিপ্লবী- /আরিফুল ইসলাম।

সাহিত্যের জাগরণ


 "সাপ্তাহিক সেরা সাত"

আসসালামু আলাইকুম।
"সাহিত্য হোক নতুনত্বের বারিধারা-
সাহিত্য হোক সৎ সভ্যতার কথা বলা।"
'সাহিত্যের জাগরণ' পরিবারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করছি সাপ্তাহিক সেরা কবির নাম ও কবিতা। দেশ ও প্রবাসের অভিজ্ঞ বিচারক মন্ডলীর বিশেষ শাখা খুবই বিশ্লেষণ ও বিচক্ষণতার সাথে নির্বাচন করেছেন সাপ্তাহিক সেরা কবি। আমাদের সেরা কবিতা নির্বাচন করা হয় গ্রুপের নিয়মবিধি মেনে পোস্টকৃত কবিতা থেকে প্রতিদিন মানসম্মত কবিতা বাছাই করে নির্দিষ্ট কার্যালয়ে নেয়া।সেখান থেকে কবিতার মান+ বাছাই কার্যালয়ে বিচারকদের নাম্বারের যোগফল + গ্রুপে কবিতার জনপ্রিয়তা। উক্ত বিষয়গুলো গভীরভাবে বিশ্লেষণ করা হয়।
সপ্তাহে অনেক কবিতা জমা হয়ে যায়। তারপরেও, আমরা সর্বোপরি সর্বোচ্চ মানসম্মত কবিতা নির্ধারণে সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।
"সাপ্তাহিক সেরা সাত কবি ও কবিতা"
=========================
১। বিপ্লবী- /আরিফুল ইসলাম।
২। ওহে যুবক-/ ইভা আলমাস।
৩। কবর এবং আমি- /ফারজানা ফয়েজ ফারাহা।
৪। স্বাধীনতা- /আলিফ খাঁন।
৫। গরীবের গর্জন- /অমৃত কুমার অমিত।
৬। বদলে দাও- /জাহেদুল ইসলাম জাহেদ।
৭। আমাদের পঁয়ত্রিশের দাবী-/ সোনিয়া ইসলাম শিলা।
______________________ ________________
______________________________
'সাহিত্যের জাগরণ' পরিবারের পক্ষ থেকে প্রিয় বিজয়ী কবিদের প্রাণঢালা অভিনন্দন ও জাগরণী শুভেচ্ছা রইল।দোয়াসহ সর্বাঙ্গীন সফলতা,সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
______________________________
শুভেচ্ছান্তে-
'সাহিত্যের জাগরণ' পরিবারের পক্ষে,
শেফা মির্জা শোভা
["পরিচালক ও তথ্য বিষয়ক সম্পাদক" ]
'সাহিত্যের জাগরণ' পরিবার।
১/ সা.পো. ০২
মন্তব্য : ০৭

১২৬। বিপ্লবী (১০)
--------আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া।
২৯/০৩/২০১৮ ঈসায়ী সাল।

চির বিপ্লবী!
তোমার মিছিলে,
পায়ে পায়ে চলে,
বজ্র হুংকারে,
শান্তির তরে,
আসছে দলে দলে,
শান্তির বিশ্ব চায়;
অশান্তি, মারামারি,
কাটাকাটি, হানাহানি,
মিথ্যাচার, জানাজানি,
খতম শেষে আপন ভূবন পায়।
সত্য নাবিক!
সততঃ বিদ্রোহী!
যুগে যুগে, যুগোপযোগী,
যুগিয়ে শান্তিবাণী,
অশান্ত বিশ্ব,
করেছে শান্ত,
সুখ দিয়েছে আনি।
আবার এসেছে ফের,
অত্যাচারী, জালিমেরা সবে,
নতুন কূট কৌশলে;
নিষ্পেষিত মানবতা,
মেতেছে হত্যাযজ্ঞে,
চতুর যাঁতাকলে।
হে বিশ্ববাসী!
ঘুমন্ত শার্দূল,
বিশ্ব বিপ্লবী!
এসেছে সময়,
জেগে উঠবার,
ঘুরে দাঁড়াবার,
কোন দলে যাবে বলো!
অতি সন্তর্পণে, স্বাগত স্বাধীন,
বিশ্ব জয়ে চলো।
নীরবে রয়ে যুগিয়ে যাবে,
অত্যাচারীর বল,
নাকি, সত্য ন্যায়ের ঝান্ডা হাতে,
খতম করবে ছল।
হাতে পায়ে, চোখে মুখে,
অসি, মসি, ট্রিগার চেপে,
সব হবে শেষ,
বাটন চেপে, নগ্ন আগুন;
দ্রোহানলে পুঁড়বে রাজ্য ,
বিশ্ব হবে বেশ।
আর ঘুমাবে কতো,
বিপ্লবীরা জেগে উঠো,
কেঁড়ে নিলো নেকড়ে যতো,
তোমার শান্তিধাম,
মানবতা চরম অসহায়,
চেয়ে আছো পথ পানে কার,
বীরদর্পে চলো, বিপ্লবীরা ছুটো।
সমস্বরে গাহি,
আমি বিদ্রোহী,
চির বিপ্লবী,
চির সংগ্রামী।








শনিবার, জুন ২৯, ২০২৪

বিপ্লবী (২৬)

https://fictionfactory.org/contributor/2165

বিপ্লবী!
পর্বতের ঐ চূঁড়া ছোঁয়ে,
হিমবাহের গাত্র বেয়ে,
জন্ম লভে চলতে হবে,
সাগর পানে ছুটবে তবে।
সবুজ শ্যামল পথের ধারা,
চলতে চলতে পথের সারা,
লক্ষ্যপথে সফল হওয়া,
সকল বাঁধা, হলো হাওয়া।
জাগছে দেখো, আসছে ধেয়ে,
বিপ্লবীরা আকাশ ছেঁয়ে ।
বিপ্লবী!
ঘন সবুজ কালো গায়ে,
শুভ্র ধারা নামছে বেয়ে,
উদাস মনে আকাশ পানে,
ভাবের উদয়, কাছে টানে।
পথে পথে লাখো হাতে,
ময়লা ধুয়ে দিবস রাতে,
স্বচ্ছ জলের ঝর্ণা হয়ে,
বাঁধনহারা চলছে বয়ে।
বিপ্লবী!
দেখছো তুফান, মরুঝড়,
দেখবে তাঁদের ঘূর্ণিঝড়,
মন্দ খারাপ, জীবন ভর,
পাল্টে দিবে, নেইকো ঢর।
জরাজীর্ণে আনিবে প্রাণ,
শ্মশান হবে গুলিস্তান।
ঐকতানে সুর মিলিয়ে,
সব ভেদাভেদ ঠেলে দিয়ে,
পরকে সবাই আপন করে,
সবাই রবে সবার তরে।
হাসবেনা কেউ কারো দুঃখে,
সুখী হবে সবার সুখে,
ভালো থেকো, ভালো রেখো,
জগত জুড়ে শান্তি দেখো।

-----আরিফ শামছ্

২০-সেপ্টেম্বর-২০২০ ঈসায়ী সাল।
ঢাকা,
বাংলাদেশ।

বিপ্লবী (২৫)

https://fictionfactory.org/contributor/2165

বিপ্লবী!

বিপ্লবীরা জাগো,

তর্জন গর্জনে, 

গর্জে ওঠো,

স্বপ্ন, ঘুৃমের মোহ,

ঘুমিয়ে আছে,

যারা আছো।

ভাঙবি ওরে ভাঙবো।

মিছে আশ্বাস, কল্প বিশ্বাস, 

নয় পটাতে বিশেষ বাতাস,

দেখরে চেয়ে, খোল্ ইতিহাস,

বিপ্লবীদের জয়োল্লাস। 

কালের সাথে সমান তালে,

বন্দী সমাজ, বিপদ জালে,

খাঁমচে ধরে, জাতির পালে,

সলীল কবর চায় অকালে!

ঘাপটি মেরে, সবার মাঝে,

চুপটি করে, সকাল সাঁঝে,

করছে ক্ষতি দিবস রাতে,

মরণ ফাঁদের জাল পাতে।

বিপ্লবী! 

আগাছা বাছো,

গোঁড়ায় ধরো,

জোরসে মারো টান,

মানুষ নামে অমানুষ,

মন্দ! নামে ভালো,

রয়না যেনো প্রাণ।

দেশ ও জাতির কল্যাণে,

প্রাণে প্রাণে প্রাণ এনে

বিপ্লবীরা রণে।

 দেশ ও দশের ক্ষতি সবার,

 নেই কোন বোধ, বিবেক বিচার,

পুতুল সম নাচে নাচায়,

যেমনে তাদের শেখায়। 

ওরা জাতীয় বেঈমান, 

বিশ্বাসে গাদ্দার, 

হাতে গোনা কটা চাটুকার, 

ওদের ধরো, বোধ ফিরাবার, 

শাস্তি হবে বেদম প্রহার। 

বিপ্লবী! 

অপূরণীয় ক্ষয়-ক্ষতি,  

কুটচালের মাত্রা অতি,

সব অরিদের একই গতি,

মরণ দানে টানবে যতি।

নূতন বিশ্ব,

শত্রু মুক্ত, 

সবাই সবার আপন,

জীবন মরণ,

বিপদ আপদ,

নেই কোন ভয়,

সবাই পাশে,

নিখাঁদ আশে,

হাতের কাছে,

নেই কোন সংশয়।

২৮/০৮/২০২০

বিপ্লবী (২৪)

https://fictionfactory.org/contributor/2165



বিপ্লবী,

ক্ষুরধার লিখন,

শাণিত ভাষণ,

ক্ষীপ্র তীব্র,

চলাচল তব,

হারালো যত,

শ্বাশ্বত ছন্দ।

আজ কেনো,

পরাণে ব্যথা,

দুঃখ গাঁথা,

পাথর চোখে,

অশ্রু ঝরা,

নিরানন্দ!

বিপ্লবী, 

কোথা' তোর,

বিপ্লবী দোর,

রাঙ্গা ভোর,

অগ্নিগর্ভ,

চির নতুন;

ঝরাজীর্ণ,

সব পুরাতন,

ভীত বিহ্বল,

পুড়ে মরলো!

বিপ্লবী! 

হারিয়ে গেলি!

হেয় হারালি,

ঘুমের নেশা,

নেশার ঘুমে,

স্বপ্ন দেখে,

দিন কাটালি;

আর কতোকাল,

হবে নাকাল,

ঘরের পরে,

সবার তরে!

এমন করে, 

হবে বলি!

হুংকারে তোর,

কাঁচের মতো,

ভেঙ্গে ফেলো,

বাধা যতো,

দল উপদল,

হল একদল।

ঝাঁপিয়ে পড়ো,

বীরের জাতি,

বিদায় করো,

আঁধার রাতি।

ছিনিয়ে আনো,

আলোর ভোর,

শান্তি সুখের, 

ঐশী দোর।

০৪/১০/২০১৯

বিপ্লবী (২৩)

বিপ্লবী!

স্থানেস্থানে,

মানব জনে,

প্রাণে প্রাণে,

জাগাও প্রাণ;

প্রাণহীন দেহ,

নীরব নিথর,

স্থবীর পাথর,

রবে নিষ্প্রাণ?

মনে প্রাণে,

মানে শাণে,

মিলে মিশে,

দিবা নিশি;

জাগো আজি,

রাখবে বাজি,

জাগাও সবি,

অগ্রে র'বি।

চিরবিপ্লবী!

জন্ম জন্মান্তরে,

অবহেলা অনাদরে,

কষ্টের রাজপথে,

ভঙ্গুর বন্ধনে,

কাছাকাছি ;

মৃত্যুপথে,

গলাগলি করে,

মৃত্যু ধ্বংসে,

 ইতিবৃত্ত লিখে,

নবজাগরণে,

আমরণে,

চলো পাশাপাশি।

মৃত্যুঞ্জয়ী! 

বিপ্লবী।

মৃত্যু জয়,

কর কমলে,

মৃত্যুভয়, 

কোথা' হারালে,

অমৃত পানে,

কে হারাবে,

ছুটাছুটি দশদিক ;

অত্যাচারী,

চির অপকারী,

রক্তখেঁকো,

নিঁঠুর পাষাণী,

পালায় ছুটে,

মৃত্যুভয়ে,

দিক্বিদিক। 

বিপ্লবী!

আজি তোর,

উল্লাসী ভোর,

খোলবে দোর,

বাহন বায়ু,

বাড়ছে আয়ু,

শক্তি অতুল,

চল্ দুলদুল। 

সামনে পড়ে,

অসীম পথে,

অগ্নিরথে,

পবন বেগে,

ছুটতে হবে,

জয়ের পরে,

বুল্ বুলবুল।


আরিফ শামছ্

২৪/০৭/২০১৯ ঈসায়ী সাল।

https://fictionfactory.org/contributor/2165

https://www.facebook.com/groups/4020204574679136/permalink/7221569597875935/ 

https://kobitapara.com/%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b2%e0%a6%ac%e0%a7%80-%e0%a6%95%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a6%be/



বিপ্লবী (২২)

https://kobitapara.com/%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b2%e0%a6%ac%e0%a7%80-%e0%a6%95%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a6%be/

 বিপ্লবী!

ভাবছো কিছু?

কীযে হলো?

নারী, শিশু!

নাইরে কেনো?

শান্তি নিরাপদে।

ঘরে বাইরে,

পথে-ঘাটে,

হাট-বাজারে,

ছুটছে কাজে।

নরক কীটে

ভাবছে বাজে,

সকাল সাঁঝে,

ভদ্র সেজে,

মান লুটে যে!

যান বাহনে,

চলাচলে,

পথের মাঝে,

একলা পেলে,

হচ্ছে কী সব?

সবাই নীরব!

বিপ্লবী! 

কোথায় তব,

গাইতি শাবল,

ডান্ডাবেরী,

করতে বিকল,

হরমুজ দরমুজ,

চল্ সহ চল্,

ভাঙ্গবো কোমর,

শির দাঁড়া সব,

গুঁড়িয়ে দেবো,

আবাস যতো,

মুছে ফেলো,

যতি, চিহ্ন ।

নতুন করে,

তুলবে গড়ে,

নতুন সমাজ,

পুতঃ দেশ।

পঙ্কিলতা, 

পাপের বোঝা,

পাপী-তাপী,

করবে শেষ।

আবার বয়ে,

যায়বে চলে,

পূণ্য নেকে,

পূর্ণ করে,

সকাল বিকাল,

দিবা নিশি,

সদলবলে

মিলে মিশি।

বিপ্লবী!

উড়াও ঝান্ডা,

সম- সমতার,

সব অধিকার,

বুঝে নেবার,

কর্মভার।

যে যা পাবে,

বুঝিয়ে দিবে,

পায়ে পায়ে,

দিবে নিবে,

রেখো মনে,

শান্তিভার।

বিপ্লবী।

তোমার থেকে

বুঝে নিবে,

শান্ত বিশ্ব;

শান্তি ধারা,

শান্ত ধরা,

সকল পাওয়া,

স্পষ্ট বুঝি, 

চল্ যুঝি। 

১৮/০৭/২০১৯ ঈসায়ী সাল।

সোমবার, অক্টোবর ৩০, ২০২৩

৫৪। বিপ্লবী (১)



আমি যোদ্ধা, আমি বুদ্ধা, নহে বৃদ্ধা,
আগুনের কুন্ডলী, পুঁড়ে ছারখার করি,
জালিমের ভূত-ভবিষ্যত।
আমি সৈনিক, সেনাপতি,
মহাসেনাপতি, সিপাহসালার।
খলীফা আবু বকর (রাঃ), ওমর (রাঃ),
উসমান (রাঃ), আলী (রাঃ),
আল্লাহর সিংহ, ইমাম হাসান (রাঃ);
হোসাইন (রাঃ), ফিরিয়া আবার।
আমি, আমীর হামজা (রাঃ), খালিদ
বিন ওয়ালিদ (রাঃ),সালমান,
তারিক,মুসা, ইখতিয়ারের
জয়োন্মত্ত অশ্বারোহী ।
সালাহউদ্দীন, বীর মহাবীর,
কুতুবুদ্দীন, ঈশা খাঁন, মানসিংহ ।
করিনাক ভয়, মানিনা ভেদ-বিভেদ,
করিনা সময় অলস ক্ষেপণ।
আমি ক্ষেপা সিংহ, রাজাদের রাজা,
ক্ষীপ্র-তীব্র বেগে, নির্বাসনে,
নির্যাতীতের শেষ অবলম্বন।
আমি ঘাতক, খাদক, অমানব,নির্যাতকের,
বাকরুদ্ধ, অবরোদ্ধ।
আমি অস্থির, আমি চঞ্চল,
কলকলে মহাকাল,
আমি দুর্গত,দুর্গম, দুর্মদ, দুর্মর।
বিশ্ব জালিমের মৃত্যুর শেষবাণ,
বাতিলের খন্ডিত গর্দান।
জালিমের টুটি চেঁপে ধরি ভাই,
এক লহমাই,শূণ্যে উড়ায়।
পবনবেগে হর্ষমনে, মৃত্যুকূপে,
সহাস্যে দাঁড়িয়ে, অবিরাম বিদ্রোহী,
বিপ্লবী গান গায়।
আমি ত্রাস, সন্ত্রাস, ভয়াল সন্ত্রাসী,
আমি মানব, মানবতা, ধর্ম, সদাচার,
আমার বর্ম, দৃঢ় প্রত্যয়ী।
মরুভাস্কর, আমি বেদুঈন, চেঙ্গিস,
খালাকু খাঁন, বাংলার তিতুমীর।
আমি কুখ্যাত, সুখ্যাত, বিখ্যাত,
জালিমের বক্ষ করি চির-বিদীর্ণ।
ধর্মের নামে অধর্মের খেলা
খেলে যে বদজ্জন,
ত্যাগিব শমশের তার ধর 'পর নিদারুণ, মর্মদ!
আমি ঘূর্ণন, সাইক্লোন, ভয়াল টর্ণেডো,সিডর, বিহ্বল,
আয়লা,নার্গিস,নামে বেনামে
আগমন,তিরোধান,উত্তরণ।
তালে বেতালে, কালে অকালে,
ইতিহাসের নির্মম স্বাক্ষর।
অধর্ম,অকর্ম, কুকর্ম, জুলুম, আর
জালিম, এক ফুৎকারী করি নিশ্চিহ্ন।
আর্তনাদ, হাহাকার, সিংহনাদ,
তর্জনগর্জন, তসনস করি
জালিমের মসনদ।
আমি দশ দিক, করি দিক বিদিক,
আমি দশানন, জুলমাত ছোঁড়ে, আনিব আলোর প্লাবন, মহাপ্লাবণ।
লয়, ধ্বংস, মহাপ্রলয়ের বীণ হাতে
সকল অত্যাচার, করি পদপিষ্ট ।
আমি হিমালয়, মানবতা, ধর্ম,
চরিত্রকে তুলিয়া ধরিব ঊর্ধ।
পাশবিক জরাজীর্ণ,
যারা আকন্ঠ নিমজ্জন,
সমূলে করিব উৎপাটন।
আমি শাহজালাল, শাহপরান,
বায়েজীদ বোস্তামী, খান জাহান (রাহঃ)।

--- আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া
২০/০৩/২০১৮ ঈসায়ী সাল।
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
ভূঁইয়া বাড়ী, বাড়ী# ১২৩৪,
ওয়ার্ড# ১২, গ্রাম: ভাদুঘর,
পোষ্ট: ভাদুঘর-৩৪০০।
থানা:সদর, জিলা: বি.বাড়ীয়া।
All reactions:
Ariful Islam Bhuiyan

বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২১

বিপ্লবী (২১)

 বিপ্লবী  (২১)

আরিফ শামছ্

১৮/০৭/২০১৯ ঈসায়ী সাল।


বিপ্লবী!

হুংকারে তব,

কাঁপে থরথর,

পাতা-পত্তর সম,

পড়েই নিথর।

পথ হারিয়ে ফের,

পালাতে না পেরে,

পথ ভুলে সব,

পায়েই লুটে।

গর্জ নিনাদ,

ঘুচে বিবাদ,

কন্ঠে বাজে,

ত্যাজি স্বর।

নিরাশার জল,

বয় ছল ছল,

ঝর্ণার ওপারে,

স্বপ্ন সকল।


বিপ্লবী!

কন্ঠে তব,

বার বার রব,

তীক্ষ্ণ ধারালো,

তলোয়ার সম।

 হবে উচ্চারণ,

গগন বিদারী,

কর্ণ ভেদিয়া,

হিংস্র ব্যাঘ্র, 

আসন ছাড়িয়া,

শোনে গর্জন ।


বিপ্লবী!

মার্চের তালে তালে,

পদপিষ্ট পা'তলে,

শত শত পাপ,

নির্বাক পরিতাপ,

করে হা হুতাশ।

অত্যাচারীর পরিণতি,

নির্মম নিষ্ঠুর,

নির্জীব গতিহীন,

হতাশ চোখে,

স্বপ্নের ইতি।


চিরবিপ্লবী!

নূতন করে ফের,

স্বপ্ন বুনন,

চলে অগণন।


স্বপ্ন-সত্যি,

হেরার জ্যোতি,

পাথেয় মোতি,

সবি হবে আপন।


বিপ্লবী!

ঝড়ের গতিতে,

সময়ের আগে,

সবারে ছেড়ে,

জয়ী হবি।

চির বিপ্লবী। 


পরাভব মেনে,

সবাই নেবে, 

হবেই হবে

তুমিই জয়ী,

চির বিজয়ী।

বিপ্লবী (২০)

 বিপ্লবী  (২০)

আরিফ শামছ্

১৩/০৫/২০১৮ ঈসায়ী সাল।


বিপ্লবী!

তুমি চিরবিদ্রোহী।

অশান্ত বিশ্বে বল্গাবিহীন,

শান্তি ধরিত্রীর।


যুদ্ধ হবে,

যে যুদ্ধ সবে,

ন্যায়ের পক্ষে,

অন্যায়ের বিরুদ্ধে,

আগ্রাসীদের শিক্ষা দিয়ে,

অত্যাচারীর জুলুম শেষে,

একটি বিশ্ব হবে।


যে বিশ্বে তোমার আমার,

আমার তোমার সবার,

সব অধিকার রবে।

ভেদ-বিভেদ রয়বেনাকো,

আপন পর বুঝবেনাতো,

সমান সমান হবে।


মানবেনা কেউ সীমারেখা,

স্বার্থপরের চিত্র লেখা,

এক আকাশের তলে,

এক পৃথিবী হলে। 


দেশগুলো সব, মাতৃসম,

জগত মাঝে সৃষ্টি যতো,

সুখে দুঃখে, বিপদ যবে,

সবাই সবার হবে। 


ভিসা পাসের ঝুট ঝামেলা,

মানবেনা কেউ হর হামেশা,

সকল দেশই আমার দেশ।


বিশ্ব ঘুরে আসবো ফিরে,

নিত্য নতুন খবর দিয়ে,

যাচ্ছে যাবে বেশ।


উচ্চ করি শির,

ঊর্ধ্ব শামশির,

ত্যাজী ঘোড়ার পিঠে।

ত্বড়িত গতিতে,

পলকে ছুটিতে,

জয়ের ঝিলিক ঠোঁটে।


বিপ্লবী!

ঘোর অমানিশি,

বাধার পাষাণ টুটি,

পাগলা অশ্ব ছুটে।


চলে হরদম,

ছুটে দমদম,

সময় প্রাচীর ধ্বসে।

অহোরাত্র দিবানিশি, 

ছুটছে বিরামহীন,

বিশ্বাসে নিঃশ্বাসে।


চির বিজয়ী,

চির বিদ্রোহী,

বিপ্লবী শাহী,

বিশ্ব বিজয়ী।

মুক্তির মুক্তিকামী,

চির বিপ্লবী।

বুধবার, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২১

বিপ্লবী (১৯)

 বিপ্লবী  (১৯)

আরিফ শামছ্

২৫/০৪/২০১৮ ঈসায়ী সাল।


বিপ্লবী।

উড়াও ঝান্ডা,

বয়বে হাওয়া,

লাগবে পালে,

লক্ষ্য তরী,

ফিরবে তীরে,

সফল অভিযানে।


শালীনতা,

স্বাধীনতা, 

চলবে সাথে,

রাত-বিরাতে,

রুপ অপরুপ,

দৃষ্টি লোলুপ,

পথে ঘাটে,

আঁটবে কুলোপ।


কেউবা বলে পোষাক আশাক, 

যেমনি ইচ্ছে, তেমনি পড়ি, 

আমার স্বাধীনতা,

দৃষ্টি তোমার খারাপ কেনো, 

তাকিয়ে থাকো বদের মতো, 

চোখের অধীনতা! 

খুব সেজেছি, বাইরে যাবো, 

কেউ দেখে তা' পাগল হবে, 

ভারী মজা হবে!

হয়তো কভু,  মেলবে আঁখি, 

ফেলতে পাতা, কেবা কবে, 

সবি ভুলে রবে।


দেখতে চাহে, কেউবা দেখায়, 

দোষ দেয়া যায় কারে!

রুপের গরব, ভাবে সরব, 

রুচির বোনন নজর কাঁড়ে।


শালীনতা হারিয়ে কোথা,

অশালীনের পথে চলে,

কথা কাজে নাই শ্লীলতা,

যায়না দেখা পোশাকে,

লজ্জা বুঝি লুকিয়ে গেলো,

আজব রুচি দেখে।

ছোট বড়, পথিক, মজুর, 

মধুর ভাষা, যায়না শোনা।

কেমনে চলে, কীযে বলে,

আপন পরে, ভেদ মানেনা।


আমার চলা, আমার মতো,

স্বাধীন কথা, বেজায় ভালো!

নয়তো একা তুমি ধরায়,

কত মানুষ বিদায় হলো!


চলাচলে, বাক বচনে,

পোশাক-আশাক,

রুচির জেড়ে,

ভুগবে সবে, ভুগবে নিজে,

বাড়ছে অনাচার,

দায় নিবে কে রে ?


শালীন পোশাক,

দৃষ্টি নত,

হেফাজতে শরম গাহ্,

শান্তি পাবে, শান্তি রবে,

কাছের দূরে, আপন পরে,

কাজের মাঝে শাহানশাহ্।


আবার জাগো মুক্তিকামী,

অশালীনের বিদ্রোহী,

সুন্দরের কান্ডারী,

সাজবে ধরা, নতুন সাজে,

সত্য সুন্দর কথা কাজে,

ঝঞ্ঝাবেগে বিপ্লবী। 

চির সংগ্রামী।

বিপ্লবী (১৮)

 বিপ্লবী  (১৮)

আরিফ শামছ্

২৪/০৪/২০১৮ ঈসায়ী সাল।


বিপ্লবী!

আলোর ফোঁয়াড়া,

সচেতন আঁখি,

জাগো ফিরিয়া,

হাতে হাত রাখি।

বিনিদ্র রজনী শেষে,

সোনালী ভোরের আশে,

চিরপ্রত্যয়ী,

চির সংগ্রামী!


অন্ধকারে আলোর রেখা,

দিশেহারা খুঁজছে একা।

মন্দ পথে ভালোর দেখা,

মিলবে কভু ভাবছে কেবা!


কেউবা ভুলে পথ হারিয়ে,

পথ খুঁজে যায়, পথ পেড়িয়ে।

সহজ, সরল, সফল পথে,

পথিক চলে, আপন মনে।


মানব মনে! হলো কীযে! 

আলো ফেলে আঁধার খুঁজে,

ভালো মতের পথ ছেড়ে,

মন্দ পথেই ঘুরে ফিরে।


অন্ধকারে বিপদ আপদ,

ওৎ পেতে রয় হিংস্র স্বাপদ,

হেলায় ভুলে, খেলার ছলে,

জীবন যাবে, অতল তলে।


সুধা ছেড়ে, গরল পানে,

অসুর নাচে, বেসুর গানে,

মৃত্যু নেশা, জীবন ঘেষা,

সব ভুলিল, মরা বাঁচা।


চলছে জীবন, ভাসছে সবে,

ভালো খারাপ, পথ বিপথে।

কেউ শোনেনা, নিজের কানে,

অন্ধ মাতাল, কিসের টানে। 


সমাজ, জাতির, জরা খরা,

মন্দ খারাপ, কালো ধরা,

যাক হারিয়ে, চিরতরে,

নামবে আলো ভুবন জুড়ে।


জাগছে সবে,

হাঁকছে রবে,

ডাকছে জোরে,

পথের পরে,

পবন বেগে,

ছুটতে হবে,

ছুটছে সবে,

চির সংগ্রামী।

চির বিপ্লবী!

বুধবার, জুন ১০, ২০২০

বিপ্লবী (১৬)

১৩২।


বিপ্লবী,
তোমার আকাশ,
শান্ত বাতাস,
চিল শকুনের দখলে।
উদার নীলে,
শত্রু হায়েনার,
বোমারু বিমান ওড়ে।

এক পলকে,
নিচ্ছে কেঁড়ে,
কত শত প্রাণ!
নাইরে কেহ,
বদলা নেয়ার,
রাখবে কারা মান?

মানুষ নামে,
অমানুষে করছে কতো কী?
ধরাতলে নাইরে কেহ,
ধরবে জীবন বাজী!
ঘুমের ঘোরে,
স্বপ্ন ঘিরে,
দিবা স্বপ্ন দেখে!
জাতির তরে,
জীবন ভরে,
বিপ্লবীরা হাঁকে।

রাতের শেষে,
শেষ প্রহরে,
ডাকবে ভোরের পাখি,
মৃত্যু ফাঁদে,
জীবন কাঁদে,
খুলবেনা তাঁর আঁখি।

আশায় আশায়,
আর কতো কাল,
দেখবে মরণ জিল্লতী,
ভাইয়ের বুকে,
ভাই হয়ে আর,
করবে কতো খুন খারাবী।

সময় হলো,
অস্ত্র তুলো,
নিশানা করো শত্রুদের,
মানবতার ধোঁয়া তুলে,
মারছে মানুষ পলে পলে,
জ্বালাও ঘাঁটি বারুদের।

মুক্ত করো আকাশ বাতাস,
প্রিয় বিশ্বভূমি,
মানবতার শত্রু সবে,
সাফ করিবে তুমি।
অস্ত্র সস্ত্র কামান গোলা,
হাজার, কোটি ডোম,
পথ খুঁজে নাও কেমন করে,
পুঁড়বে সবি, ড্রোন।

 বিপ্লবী!
এগিয়ে চলে,
সদলবলে,
পবনবেগে,
বিশ্বজয়ে,
চিরসংগ্রামী,
জাগরুক বিপ্লবী।

আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া।
০৯/০৪/২০১৮ ঈসায়ী সাল।

বিপ্লবী (১৫)

১৩১।
--------আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া।
      ০৮/০৪/২০১৮ ঈসায়ী সাল।

বিপ্লবী,
প্রিয় ফুলের,
বুকের মাঝে,
সুবাস মাখা,
পাঁপড়ি গায়ে,
নষ্ট পোকা,
বসত করে,
করছে কতো ক্ষতি!
আর কতো কাল,
ঘুমিয়ে রবে,
এবার জাগবে কী!
চির সংগ্রামী!
প্রিয় বিপ্লবী!

ফুলের সুবাস প্রিয় সবার,
বাগ-বাগিচা নাই,
ফুলের বাগান গড়বে তুলে,
মাটি, পানি চাই।
জীবন ছাড়া মাটি মাঝে,
হয়না ফুল ও ফসল,
ধরাতলে খরা শেষে,
খোদা দানে জল।

মৃত ভূমি নব সাজে,
নতুন প্রাণে, সবুজ মাঝে,
ফুটছে কতো ফুটবে ফল,
জীবন হবে সফল।

ফুল ফসলে ভরা জমি,
বাহাদুরি করছো তুমি,
আমার আমার বলছো সবি,
কদিন বাদে সব হারাবি।

বলো সবে হর হামেশা,
আল্লাহ পূরণ করবে আশা,
মানছি কিনা সবে,
বলছে যেমন রবে।

তারই দেয়া নেয়ামতে,
চলছে জীবন ভবে,
কৃতজ্ঞতা নাই কাহারো,
কেমনে সঠিক রবে!

ফুলবাগানে মড়ক লেগেছে,
নাইরে ফুলের ঘ্রাণ,
পাঁপড়ি ছিঁড়ে, সুবাস কেঁড়ে,
শেষে নিল প্রাণ।

ভাসছে কীসে তরুণ তরুণী,
নষ্ট প্রেমের মোহে,
আঁধার রাতে, ছেলে মেয়ে,
 কোথায় পড়ে থাকে!

খোঁজ খবর রাখে কিনা,
আসল নকল মা,
কোথায় গেলো কিশোর যুবা,
লক্ষী মেয়েটা।

কীযে করে কেমন তাদের,
কাটে জীবন বেলা,
সর্বনাশী, সর্পজাতি,
নষ্টামিতে খেলা।

কেমন করে চলবে সবে,
সুবাস রবে ফুলের বুকে,
ভাবছে কেহ, ফুলে ফলে,
বাগ-বাগিচা ওঠবে ভরে।

বিপ্লবী!
ফুলে ফলে,
বাগান-বাগে,
দীঘল বিপ্লবে,
জরা-খরা,
সব হারাবে,
সতেজ স্বরুপ পাবে।
জাগো সবে জাগো,
চির সংগ্রামী,
মুক্তিকামী,
জাগো হে বিপ্লবী।!

শুক্রবার, মে ২৯, ২০২০

বিপ্লবী (১৪)

১৩০.

উড়াও নিশান,
বাজাও ভীষণ,
বজ্রযানে বজ্রনাদ,
বিপ্লবী জিন্দাবাদ।

আর কতোকাল,
পথের পানে,
রয়বে চেয়ে,
অধীর হয়ে;
ছিঁড়বে গেঁড়ো,
ভাঙ্গবে শিকল,
করবে বিকল,
ঝঞ্ঝা লয়ে।

ঝড়ো হাওয়া,
বয়ে যাওয়া,
আঁধার ঘেরা,
পালযে ছেঁড়া,
পাহাড় ছোঁয়া,
ঊর্মি ধোঁয়া,
আসছে ধেয়ে,
আকাশ ছেঁয়ে।

তারার মেলা,
আলোর খেলা,
যায়না দেখা,
লক্ষ্য রেখা,
মিলবে কোথা,
জাতির নেতা,
জাগবে মানবতা,
নামবে সফলতা।

দিশেহারা জাতি,
জাগছে দিবারাতি,
আসলো বুঝি,
সদলবলে যুঝি,
ঘুমহারা বিদ্রোহী,
মুক্তি পাগল রাহী।
দূরন্ত অশ্বারোহী,
দূর্বার মতি গতি,
বিপ্লবী শাহানশাহী।

দেখছে সবে,
আকাশ পরে,
জমছে মেলা,
মেঘের ভেলা,
তারায় তারায়,
আলোর আভায়,
ভরছে পৃথিবী।
রুপালী আলো,
সোনালী বলো,
সব তাড়ালো,
আঁধার কালো।
বিজয়ী বিপ্লবী।
চির সংগ্রামী,
জাগ্রত বিদ্রোহী।
চির বিপ্লবী।

হয়তো তুমি,
স্বপ্ন চুমি,
কিশোর কিশোরী,
যুবক যুবতী।
অনন্ত যাত্রী,
সচেতন সাস্ত্রী।
তরুণ সেনানী,
জাতির কান্ডারী,
আত্ম বিশ্বাসী।
চির বিদ্রোহী,
চির বিপ্লবী।

আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া।
০৪/০৪/২০১৮ ঈসায়ী সাল।

বিপ্লবী (১৩)

১২৯। 


সাম্যবাদী!
বিপ্লবী সাম্যবাদ। 
আবার করিবে আবাদ।
গাহি সাম্যের গান,
করি সমতা বিধান,
বাঁধার পাহাড়,
চূর্ণ -বিচূর্ণ,
পাতাল ভেদীয়া,
আকাশ ফুঁড়িয়া,
সুবাস ছড়াবো,
দুহাত ভরিয়া।
দূর করিব সবে মিলিয়া,
যতো দুর্গন্ধ রহে ছড়িয়া।
চির-বিদ্রোহী!

বিপ্লবী মুসাফির,
চলিছে অস্থির। 
ঘুরিয়া ফিরিয়া,
পথে ঘাঠে চলিয়া,
অগ্নিশর্মা নয়নে হেরিয়া;
আলো আঁধারে,
জড়াজড়ি করে,
কালে অকালে,
কিসের ছলে,
করছে লেনাদেনা,
সবাই দেখে, কেউ দেখেনা।
চুপটি করে, আপন মনে,
যায় চলে যায় সুদূর পানে।

কে ফিরাবে, বিপথ থেকে,
কারা আবার পথ দেখাবে,
গড়বে নতুন সমাজ;
পথ গুলি সব, ভরা ভুলে,
বুঝবে কবে, ফিরবে সবে,
করবে পূণ্য কাজ।

ঝিলের পাড়ে, সড়ক পাশে,
করছে কীসব কাছে বসে;
খর তাপে, ঠান্ডা শীতে,
ঝড় তুফানে তপ্ত রোদে।
আঁধার রাতে, বিজন ভূমে,
সন্ধ্যা সাঁঝে, হোটেল রুমে,
কোথায় থাকে, কাদের সাথে,
কোন লালসায়, ভুলের রথে!
কাটায় বেলা পথ বিপথে,
পড়ছে নিতুই বিপদ মাঝে;
সর্বনাশে হুঁশ আসে,
অশ্রু জলে বুক ভাসে।
হারায় সবি জেনে শুনে,
স্বপ্ন বড় জীবন হতে?
জীবন বড় জীবন পথে।
জীবন দিয়ে, স্বপ্ন কিনে,
ঠুনকো কাঁচের স্বপ্ন গুলি,
দেখছে শেষে ফাঁকাবুলি।
ওঠরে জেগে,
বিপ্লবী।
জাগাও সবে,
সংগ্রামী।
পূণ্যপথে পথ চলিবে,
সুন্দর আগামী,
সদলবলে গর্জে ওঠো,
চির বিপ্লবী!চির সংগ্রামী।
সাম্যবোধের বিপ্লবী।
 মুসাফির বিদ্রোহী।

পূণ্য প্রেমে, জড়ায় পাপে,
স্বর্গ হতে জাহান্নামে,
খোদার বিধান ভূলে গিয়ে,
ক্ষতিগ্রস্ত সব জাহানে।
বাগান সেতো পূণ্যে পূর্ণ,
থাকো যদি সতি,
মিলিয়ে দিবেন মহান প্রভু,
সেরা মাছুম পতি।
সেরা বাগে, ফুটবে সদা,
সুবাস সেরা ফুল,
কেয়ামতের শেষ অবধি,
পুতঃ রবে কুল।

চলোনা ভাই শপথ করি,
সবাই মিলে মিশি,
পূণ্য জনের, আগমনে,
খুশি দিবানিশি।
প্রেম প্রীতি, সস্তা গীতি,
নষ্ট প্রেমের, ভ্রষ্ট নীতি,
ক্ষণিক আবেগ, মোহ হতে,
সাফ রাখিব রুহ।
পেয়ে যাবো খোদ খোদার,
সব জাহানে সুখ।
সাম্যবাদের,
সাম্যবোধের,
চিরবিদ্রোহী,
আপন ত্যাজে,
জ্বলে ওঠো,
চিরবিপ্লবী।


আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া।
০৩/০৪/২০১৮ ঈসায়ী সাল।

বিপ্লবী (১২)

১২৮। 


চিরবিপ্লবী!
ভালোবাসার বিপ্লবী!
ভালোবাসায় তুলবো গড়ে,
নতুন করে, বিশ্বটারে।
চলো ভালোবাসি,
সবাই মিলে মিশি,
অহোরাত্র  দিবানিশি, 
স্রষ্টাকে ভালোবাসি।
তাঁর সৃজিত সকল সৃষ্টি,
জীবন জুড়ে ভালোবাসি।
সৃষ্টির সেরা, হে মানুষ!
রবে সদা দিলখোশ।
ভালোবেসো সৃষ্টি সবি,
সবাই তোমার আপন,
জুলুম করে রবের কাছে,
করবে কারাবরণ!

অনেক আদরে,
স্বর্গে সাদরে,
নিজবাসে ছিলে সুখে;
অনন্ত পথে,
যাত্রা রথে,
চলছো সুখে দুঃখে।
বিশ্বমাঝে সবে,
স্বল্পকালে রবে,
চলন্ত মুসাফির ;
আসল আবাস,
সকল নিবাস,
রয়লো যে অধীর।
ভালোবেসে তোমায়,
স্রষ্টা স্বয়ং সৃজিল জান্নাত,
অসংখ্য হুর পরী,
গিলমান সহ নাজ নেয়ামত,
চির কিশোর- কিশোরী। 
রয়েছে মাঝে অনন্তকালের,
সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ পাওয়া,
দীদারে খোদার, নেয়ামত পেয়ে,
 প্রশংসা  স্তুতি গাওয়া।

শীত গরমে, 
ঝড় তুফানে,
বিপদ আপদে,
জীবন জুড়ে,
সকল কালে,
নিছক জালে,
মহান প্রভুর ডাকে;
হৃদয় মাঝে,
পুতঃমনে,
ভালবাসা,
লালন করে,
ছুটতে তাহার পানে।
অদেখা সে স্রষ্টা মোদের,
দেখা দিবেন বান্দাদের।

আঁধার পথে,
চলার রথে,
আলোক জ্বেলে, 
গতি দিলে,
সফল হলে,
সকল হালে।
বলছি মহীয়ান
স্রষ্টা মহান,
আল্লাহু আকবার,
আল্লাহ মহান।

বিপ্লবীরা আওয়াজ তুলো,
বজ্রকন্ঠে, সমস্বরে বলো,
সৃষ্টি সবি সবাই আপন,
নেই যে আপন পর।
সৃষ্টি তুমি মনে রেখো,
স্রষ্টা দেখেন সব।
ঘৃণামুক্ত বিশ্ব লয়ে,
রয়বো সবাই সুখে,
সবার দুঃখে,
দুঃখী হবো,
সকল জীবন জুড়ে,
সান্ত্বনা রয়,
রাখবো সবে,
দুঃখী জনের তরে।
স্রষ্টারে ভালোবেসে,
বিপ্লবীরা হেসে।
বিপ্লবী গান ধরে,
চিরবিপ্লবী,
চিরবিদ্রোহী,
ভালোবাসার তরে।

আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া।
০২/০৪/২০১৮ ঈসায়ী সাল।

বিপ্লবী (১১)

১২৭। 


আগ্রাসন!
দেশে দেশে বার মাসে,
বিশ্ব মাঝে, ত্রাসে ত্রাসে,
চলছে, চালায় আগ্রাসে;
খনিজ, দেশজ, সহায় সম্পদ,
শান্ত দেশে বিপদ-আপদ,
চালায় গিলতে গোগ্রাসে।

দেখছে সবি বিশ্ববাসী,
অত্যাচারীর দেশী -খেশি,
নেইকো প্রতিবাদ;
অন্যদেশের সবকিছু তার,
লুটেরাদের, লুটে নেয়ার!
বাধ সাধেনা বাদী-বিবাদ!

আগ্রাসী দেশ হুমড়ে পড়ে,
বিশ্ব মোড়ল সাথে করে,
নেই অভিভাবক,
নিখিল চরাচর!
রৌদ্র রুপে থরথর!
এমনি করে, 
কদিন যাবে,
বাঁচা মরার লড়াই করে,
শহীদ, গাজী, লড়বে রণে,
দলে দলে আসছে ধেয়ে,
জয়ী হবে জীবন দিয়ে।

গোটা কয়েক শাসক,
জিম্মী জনগন।
সব হবে যে শেষ।
মানুষ নামের বন্য পশু,
মারছে নারী অবুঝ শিশু,
চলছে সবাই বেশ।

একটু ভাবো, 
মারছো যাদের, হর হামেশা, 
শান্তি সুখে বাঁচার আশা,
আছে তোমার মতো।
এবার সবে থামো!

বিপ্লবীরা দেশে দেশে,
জাগছে বীরের বেশে,
হাঁকছে তাঁরা, ডাকছে জুড়ে,
আকাশ পাতাল ফুঁড়ে,
পথ পালানোর পথ পাবেনা,
বাঁচার মতো কেউ রবেনা,
বুঝবে সেদিন শেষে।
নতুন সাজে সাজবে ধরা,
রবে নাক জরা-খরা,
শান্তি সুখে মিলে মিশে,
বাঁচবে বীরের বেশে।
জয় হবে জয়, মাজলুমের,
বিশ্ব বিজয়! বিদ্রোহের।
মানবতার বিপ্লবের।
অগ্রগামী বিদ্রোহী,
ওড়াও নিশান সংগ্রামী।
 চির জাগরণী,
 চিরবিপ্লবী।

আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া।
৩০/০৩/২০১৮ ঈসায়ী সাল।

বিপ্লবী (১০)

১২৬।


চির বিপ্লবী!
তোমার মিছিলে,
পায়ে পায়ে চলে,
বজ্র হুংকারে,
শান্তির তরে,
আসছে দলে দলে,
শান্তির বিশ্ব চায়;
অশান্তি, মারামারি,
কাটাকাটি, হানাহানি,
মিথ্যাচার, জানাজানি,
খতম শেষে আপন ভূবন পায়।

সত্য নাবিক!
সততঃ বিদ্রোহী!
যুগে যুগে, যুগোপযোগী,
জোগায় শান্তিবাণী,
অশান্ত বিশ্ব, 
করেছে শান্ত,
সুখ দিয়েছে আনি।

আবার এসেছে ফের,
অত্যাচারী, জালিমেরা সবে,
নতুন কূট কৌশলে;
নিষ্পেষিত মানবতা,
মেতেছে হত্যাযজ্ঞে,
চতুর যাঁতাকলে।

হে বিশ্ববাসী!
ঘুমন্ত শার্দূল,
বিশ্ব বিপ্লবী! 
এসেছে সময়,
জেগে উঠবার, 
ঘুরে দাঁড়াবার,
কোন দলে যাবে বলো!
অতি সন্তর্পণে, স্বাগত স্বাধীন,
বিশ্ব জয়ে চলো।
নীরবে রয়ে বাড়িয়ে যাবে,
অত্যাচারীর বল,
নাকি, সত্য ন্যায়ের ঝান্ডা হাতে,
খতম করবে ছল।
 
হাতে পায়ে, চোখে মুখে,
অসি, মসি, ট্রিগার চেপে,
সব হবে শেষ,
বাটন চেপে, নগ্ন আগুন;
দ্রোহানলে পুঁড়বে রাজ্য ,
বিশ্ব হবে বেশ।

আর ঘুমাবে কতো,
বিপ্লবীরা জেগে উঠো,
কেঁড়ে নিলো নেকড়ে যতো,
তোমার শান্তিধাম,
মানবতা চরম অসহায়,
চেয়ে আছো পথ পানে কার,
বীরদর্পে চলো, বিপ্লবীরা ছুটো। 
সমস্বরে গাহি,
আমি বিদ্রোহী,
চির বিপ্লবী,
চির সংগ্রামী।

আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া।
২৯/০৩/২০১৮ ঈসায়ী সাল।

বিপ্লবী (৯)

১২৫। 


বজ্রকন্ঠে বাজে,
সকাল সন্ধ্যা সাঁঝে,
কী করবে তোমরা সবে!
করছো কী সব ভবে?

আচ্ছা মাগো বলতে পারো,
তোমার মায়ের একটি মেয়ে?
নাইকি তোমার ভাই ও বোন,
একলা ঘরেই, বড় হলে?

হারিয়ে যদি যেতে তুমি,
বাবা মাকে ছেড়ে,
একটু ভাবো, করতো কীযে,
তোমার জীবন শেষে।

সত্যি করে বলো বাবা,
সব তারা কি দেখো,
ছোটবড় রাশি রাশি,
অনেক তারার আলো।

কে জানাবে ছেলে মেয়ে,
আসবে আগে পরে,
কেবা তোমার নাম ছড়াবে,
সুনাম দেশে দেশে।

তোমার কাঁধের জোয়ালখানি,
বয়তো কেবা জানো?
প্রথম ছেলে, নাকি মেয়ে,
যাদের কান্না শুনো!

মত-অমতের বিন্ধ্যাচল,
ভীরু প্রাণের অরুনাচল,
উড়িয়ে করি ভস্মতল,
অরুণ, করুণ, নিঃস্ব দল।
উঁচু করি শান ও মান,
জানি, মানি হুকুম যার,
খালিক, মালিক, 
আল্লাহ মহান।

সত্যের ধ্বজাধারী,
কেউ পর নাহি আজি,
সবাই আপন,
নিজ পরিজন।
শান্তি চাই,
শান্তির লড়াই,
চির সংগ্রামী,
আমি চির বিপ্লবী। 

এই পৃথিবীর আলো বাতাস,
মনজুড়ানো নীলাকাশ,
সব ঋতুতে ফুলের সুবাস,
ডাকছে পাখি, তৈরি আবাস।

তোমরা কেনো উদাস মাগো,
ভয় কিসে পাও বলো!
তোমার কচি ছেলে মেয়ে,
বীর মহাবীর সবে।

আশেপাশে দেখছো কতো,
কাপুরুষের দল,
কতো করে সাজায় তারা,
মিথ্যা কলাছল।

তুমি কি মা বন্ধ্যা, কিবা,
মৃতবৎসা, কাকবন্ধ্যা তো নও,
পথ আমাদের আগলে রেখে,
সুখ খুঁজে কী লও!

আসল মাকে খুঁজি,
বিশ্ব নায়ের মাঝি,
মেকী জীবন,
করবে দাফন,
মায়া নকল,
মিথ্যে সকল,
সয়বে ধকল,
খুলবে আগল।
উঠবো জেগে,
বিদ্রোহী, 
চির বিপ্লবী।

আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া।
২৮/০৩/২০১৮ ঈসায়ী সাল।

বিপ্লবী (৮)

১২৪।


কী অপরাধ করেছে তারা,
ঠিক সময়ে আসবে যারা,
অনাগত তব অধস্তন,
করবে জীবনের আয়োজন।
জীবনের খেলাঘরে,
স্বাধীন বিশ্ব, হিমাগারে,
পরাধীনতার,
নির্মম কারাগার।
কারার ঐ শক্ত প্রাচীর,
ভাঙতে অধীর,
মুক্তিদানে, মুক্তিগানে,
সহাস্যে বলিদানে।
চির উদগ্রীব বিপ্লবী,
আমি ঔদ্ধত্য বিদ্রোহী। 

ধর্ম, প্রেম, রীতি-নীতি,
জীবনে টানে যতি,
অভাবের দুনিয়ায়,
নতুনেরা আসা দায়!
জন্ম নিয়ন্ত্রণ,
হত্যা ভ্রুণসব,
সুন্দর পৃথিবী,
দেখতে পাবে কী?
খুনীরা চুপসব!
জিজ্ঞাসে কোটি মন।
প্রাণহীন সদ্য, নিঃস্তেজ পিন্ডে,
ছুরি কাঁচির নির্মম কান্ডে,
অঙ্গ প্রতিটি, করেছে আকুতি,
বাঁচানোর করজোড়, মিনতি।

কখনো জ্যান্ত দাপাদাপি,
হাত পা ছুড়াছুড়ি, 
আশা নিরাশার দোলাচল,
কাঁড়ে মা'র স্নেহাচল।
হয়েছে ঢের! আর হত্যা নয়,
শোন! লাখ লাখ অনুরা কথা কয়,
বঞ্চিত করোনা, রেখো অনুরোধ,
বন্ধ করো, নিষ্ঠুর প্রতিরোধ। 
সুন্দর পৃথিবী দেখতে,
 আছে মোর অধিকার,
দয়া করে, দাও আসতে,
চাইবোনা কিছু, আর!
পাষাণ খুনীরা বধির,
মূক আর বুদ্ধিহীন।
শুভাগমনে অবনীর, 
প্রতীক্ষিত মহাবীর,
উষ্ণ অভিবাদনে,
সুউচ্চ শির,
চির বিপ্লবী!
চির বিদ্রোহী।

সাজাবে সবে,
সাজাতেই হবে,
অপরুপ স্বর্গে,
বিশ্বযে মর্গে।
বড় বড় নেতারা,
কী সব চেহারা।
ক্ষমতার চেয়ারে,
মরনের খায়েশে,
শাসনের কাল বেলা,
বাড়াতে কলা-ছলা।
ঝেঁকে বসে জনতার,
মন ও মগজে,
স্বাধিকার নেই কেঁড়ে,
কথা আর কাজে।
বাকহীনে আজ অগ্নিঝরা,
কথার স্রোতেই, ভাসবে জরা,
চির সবুজ, চির যৌবনা,
বিপ্লবী আনমনা,
আমি বিদ্রোহী,
আমি চির বিপ্লবী।

আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া।
২৭/০৩/২০১৮ ঈসায়ী সাল।

ভালবাসি দিবা-নিশি _সূচীপত্র

কপিরাইট আইন: জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট, লঙ্ঘনের কারণ, সমস্যা ও সমাধান

📄 প্রবন্ধ শিরোনাম: “কপিরাইট আইন: জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট, লঙ্ঘনের কারণ, সমস্যা ও সমাধান” ✍️ লেখক: আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া (আরিফ শামছ)...