📖 উপন্যাস: রক্তে লেখা ভালোবাসা
(ফিলিস্তিনে সওগাত ও কবিতার গল্প)
✍️ আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া (আরিফ শামছ্)
---
🕌 ভূমিকা:
এই উপন্যাস কল্পনার, কিন্তু বাস্তবতার সীমায় দাঁড়িয়ে। এটি শুধুই প্রেমের গল্প নয়, এটি ঈমান, ত্যাগ, যুদ্ধ, রক্ত, কান্না, প্রতিবাদ আর বিজয়ের গল্প। এখানে প্রেম মানে আত্মোৎসর্গ; যুদ্ধ মানে ভালোবাসার প্রতিশোধ।
---
📚 অধ্যায়সমূহ:
---
১. নীরব মুসলিম বিশ্ব
বিশ্ব মিডিয়া যখন ফিলিস্তিনকে “সহিংস” বানিয়ে তোলে, তখন মুসলিম দেশগুলো চুপচাপ। রাষ্ট্রনেতারা ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত, কেউ কেউ ইসরায়েলের সঙ্গে প্রযুক্তি ও অস্ত্র ব্যবসা করছে। ফিলিস্তিনের উপর চালানো যাচ্ছে ড্রোন হামলা, দখল চলছে একের পর এক এলাকায়—কিন্তু পুরো ওম্মাহ চুপ।
এই নীরবতার মাঝেও জেগে উঠছে কিছু হৃদয়। তাদেরই একজন বাংলাদেশের সন্তান সওগাত ইসলাম ভূঁইয়া।
---
২. গাজা: এক আগুনে ঘেরা শহর
গাজা এখন এক খাঁচার শহর। খাবার নেই, বিদ্যুৎ নেই, কিন্তু তবুও কেউ হার মানছে না। মানুষ মরছে, কিন্তু ঈমান বাঁচিয়ে রাখছে। ছিন্নমূল শিশুদের হাতে পাথর, নারীদের চোখে আগুন—এই শহরের মাটি রক্তে সিক্ত।
এইখানেই দেখা হয় সওগাতের—এক বয়োবৃদ্ধ আলেমের সাথে, যিনি বলেন:
"তুমি আল্লাহর পথে এসেছো, প্রেম করতে হলে শহীদ হয়ে করো—তবে কবুল হবে।"
---
৩. সওগাত: ভালোবাসা ও যুদ্ধের সৈনিক
সওগাত জন্মেছিলেন বাংলাদেশের এক ধনী ও সম্ভ্রান্ত ইসলামি পরিবারে। ছাত্রজীবনে কোরআন ও প্রযুক্তির প্রেমে পড়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক হওয়ার পর, অনলাইন জিহাদের প্রতি আকৃষ্ট হন।
একদিন তিনি বলেন:
"আমি Keyboard দিয়ে শুরু করব, আর শেষ করব Kalashnikov দিয়ে।"
পাড়ি জমান তুরস্ক হয়ে ফিলিস্তিনে।
---
৪. কবিতা: যিনি হৃদয়ে আগুন ধরান
মোছাম্মৎ কবিতা বেগম, গাজায় জন্ম। বাবাকে হারিয়েছেন ইসরায়েলি হামলায়, মা এখন পঙ্গু। কবিতা সাইবার জিহাদে পারদর্শী—Dark Web, গোপন সফটওয়্যার, ডেটা ট্রান্সফার—সবই তাঁর হাতের খেলা।
তাঁর আর সওগাতের পরিচয় হয় Telegram-এ, আল কুদস হ্যাকার গ্রুপে।
ভালোবাসা ধীরে ধীরে ঈমানের রূপ নেয়।
---
৫. ভালোবাসা ও জিহাদের মিলনবিন্দু
দুজনেই ঈমানের পথে প্রেমের শপথ নেয়। বিয়ের প্রস্তাব আসে, কিন্তু কবিতা বলে:
"তুমি শহীদ না হওয়া পর্যন্ত আমি তোমার স্ত্রী হবো না।"
সওগাত উত্তর দেয়:
"তাহলে শহীদের বউ হতেই তুমি প্রস্তুত হও।"
তাদের প্রেম হয়ে উঠে আল্লাহর সন্তুষ্টির পথে এক শুদ্ধ বন্ধন।
---
৬. মিডিয়া ও অনলাইন যুদ্ধ
এই অধ্যায়ে দেখানো হয় কিভাবে তারা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সার্ভার হ্যাক করে। ফেক নিউজের জবাব দেয় তথ্য-সন্ত্রাস দিয়ে নয়, তথ্য-সত্য দিয়ে।
কবিতা একটি ভিডিও বার্তা ছাড়ে:
"তোমরা আমাদের মেরে ফেলতে পারো, কিন্তু সত্যকে মুছে ফেলতে পারো না।"
বিশ্বজুড়ে ‘#FreeGaza’ ট্রেন্ড করে।
---
৭. মরণপণ প্রতিরোধ
ইসরায়েল আকাশ থেকে, সাগর থেকে, এবং মাটির নিচ থেকে হামলা চালায়। গোপন সুড়ঙ্গ দিয়ে সওগাত ও তার দল ইসরায়েলের এক অস্ত্র ডিপো উড়িয়ে দেয়।
একে একে সবাই শহীদ হন। সওগাত গুলিবিদ্ধ হন। কিন্তু বেঁচে থাকেন, কারণ তাঁর শহীদ হওয়া এখনো কবিতার চোখে দেখা হয়নি।
---
৮. বিশ্বাসঘাতকদের চেহারা
মুসলিম দেশের ধনীরা ইসরায়েলি কোম্পানির গাড়ি চালান, মোবাইল ব্যবহার করেন, অর্থ বিনিয়োগ করেন সেই সব কোম্পানিতে যারা ফিলিস্তিন ধ্বংস করছে।
একজন মিশরীয় ব্যবসায়ী চর হিসেবে ধরা পড়ে। সওগাতের মুখে উচ্চারিত হয়:
"আমরা যত না কাফিরদের দ্বারা মরেছি, তার চেয়ে বেশি মরেছি তোমাদের মতো ভাইদের বিশ্বাসঘাতে।"
---
৯. আত্মোৎসর্গের পথে
সওগাত কবিতাকে বিদায় বলেন:
"আল্লাহ তোমায় হিফাজত করুন, আমি আল্লাহর রাস্তা ধরছি।"
শেষ অভিযানে ইসরায়েলের এক গোপন গবেষণা ল্যাবে হামলা চালান। বিস্ফোরণে তিনিও শহীদ হন।
---
১০. কবিতার কান্না ও বিজয়ের সূর্য
সওগাতের মৃত্যুর পর কবিতা নিজের জীবন উৎসর্গ করেন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তথ্য যুদ্ধ চালিয়ে যেতে।
শেষ দৃশ্যে কবিতা দাঁড়িয়ে আছেন এক ছোট বালকের সামনে, যার নামও সওগাত—তাদের দত্তক সন্তান, নতুন প্রজন্মের প্রতিরোধ সৈনিক।
---
📌 শেষ কথা:
এই উপন্যাস কেবল প্রেমের নয়, এটি এক ঈমানী ডাক। সওগাত ও কবিতার ভালোবাসা যেন আমাদের মনে প্রশ্ন তোলে—
“আমরা কাদের পক্ষে আছি? জালিম না মজলুমের পক্ষে? মুসলিম না অমুসলিমের পক্ষে?”
---
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Heartfelt Thanks for your valuable comments.