পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

৫৪। বিপ্লবী (১)

ছবি
আমি যোদ্ধা, আমি বুদ্ধা, নহে বৃদ্ধা, আগুনের কুন্ডলী, পুঁড়ে ছারখার করি, জালিমের ভূত-ভবিষ্যত। আমি সৈনিক, সেনাপতি, মহাসেনাপতি, সিপাহসালার। খলীফা আবু বকর (রাঃ), ওমর (রাঃ), উসমান (রাঃ), আলী (রাঃ), আল্লাহর সিংহ, ইমাম হাসান (রাঃ); হোসাইন (রাঃ), ফিরিয়া আবার। আমি, আমীর হামজা (রাঃ), খালিদ বিন ওয়ালিদ (রাঃ),সালমান, তারিক,মুসা, ইখতিয়ারের জয়োন্মত্ত অশ্বারোহী । সালাহউদ্দীন, বীর মহাবীর, কুতুবুদ্দীন, ঈশা খাঁন, মানসিংহ । করিনাক ভয়, মানিনা ভেদ-বিভেদ, করিনা সময় অলস ক্ষেপণ। আমি ক্ষেপা সিংহ, রাজাদের রাজা, ক্ষীপ্র-তীব্র বেগে, নির্বাসনে, নির্যাতীতের শেষ অবলম্বন। আমি ঘাতক, খাদক, অমানব,নির্যাতকের, বাকরুদ্ধ, অবরোদ্ধ। আমি অস্থির, আমি চঞ্চল, কলকলে মহাকাল, আমি দুর্গত,দুর্গম, দুর্মদ, দুর্মর। বিশ্ব জালিমের মৃত্যুর শেষবাণ, বাতিলের খন্ডিত গর্দান। জালিমের টুটি চেঁপে ধরি ভাই, এক লহমাই,শূণ্যে উড়ায়। পবনবেগে হর্ষমনে, মৃত্যুকূপে, সহাস্যে দাঁড়িয়ে, অবিরাম বিদ্রোহী, বিপ্লবী গান গায়। আমি ত্রাস, সন্ত্রাস, ভয়াল সন্ত্রাসী, আমি মানব, মানবতা, ধর্ম, সদাচার, আমার বর্ম, দৃঢ় প্রত্যয়ী। মরুভাস্কর, আমি বেদুঈন, চেঙ্গিস, খালাকু খাঁন,

৫৩। কে তুমি?

কে তুমি? খেয়ালে, দেয়ালে গা এলিয়ে অলস হয়ে রয়লি পড়ে, জাতির জাহাজ ডুবলো দেখ, নাইরে সময় তোর হাতে। কোথা হতে এলি, আর কোথা যাবি বল চোক্ষে দেখি অগ্নিগিরি, আসমানে ভাসমান খেয়া তোর ধায় লক্ষ্য দিতে পারি। অশনি-বসনে, রুদ্র নজরে, ভয়াল প্রলয়ংকর! তান্ডবলীলা বেলা অবেলা, ধ্বংস করিতে চল্। সাগরে মহাসাগরে উঠিছে কবে কেমনে ভয়াল ঝড়! আকাশ পাতাল সংগী দরিয়া, পাষাণ বর্বর বধ কর্! আকারে সাকারে একজোট সব হিংস্র পশুর দল, দিল ভাঙ্গা মৃত্যু নিয়ে নাচে নিত্য জানোয়ার সব! কচি খোকা আর কিশোরীর নিষ্পাপ অপলক চাহনী, সদা-নিত্য খুঁজে ফিরে চায়, মুক্তির নির্ভয় বাণী। পাষাণের খঞ্জর, পাষন্ড বিঁধে, নিরীহ নর-নারীর বক্ষোপর; স্তব্ধ - নির্বাক সার্বিক অপমৃত্যু, তবু মুক্তির গান ধর্, দশ দিক হতে মহালয় লয়ে, করতালি মেরে ধ্বংস কর্। মহাশক্তি, মহাভক্তি, সারা বিশ্বের নৃপতি, অমোঘ বিধানে, নিগুঢ় শাসনে, দিবে মরমর শাস্তি। তবকে তবকে তোলপাড় করি, ভূমি-পর্বত তুলিয়া ধর্, রক্ত খেকো, পিচাশ, চন্ডাল, সব পামর, পিষে পিষে মর্। -------- আরিফ ইবনে শামছ্ ০৭/০৯/২০১৭ ঈসায়ী সাল। রাত ০১:৩০ মিনিট। ফখরে বাঙ্গাল নিবাস, ভূঁইয়া বাড়ী, বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১

৫২। কোথায় জাতির কান্ডারী?

পান্থশালায় পথিক কেন? পথ বাকি তোর আর কত? পথের পরে পথ চলিবে, সফল- বিফল, পথ রে শত। ক্ষান্ত কেন পান্থ আজি, মলিন বসন আঁকড়ে ধরে, পানশালাতে নেশার ঘোরে, পাবি কোথায় পথ খুঁজে! ডাকছে তোরে, হাঁকছে জোরে কোথায় জাতির কান্ডারী? বেহাল হয়ে, মাতাল হয়ে, কোন তিমিরে পথ হারালি! লাখে লাখে মারছে মানুষ, পাষন্ড আর বর্বরে, তাকিয়ে আছে, তোর পানে যে, আছিস কিসে মত্তরে! ঘর হারিয়ে, সব হারিয়ে, প্রাণটি লয়ে কোনমতে, বাঁচার আশায় পথ মাড়িয়ে, স্বাপদ-সংকুল বন পেড়িয়ে; খোলা মাঠের দূর্বাঘাসে, থামছে বাঁচার ত্রিপালে, আশার নয়ন, সব প্রয়োজন, খোঁজছে তোমায় চিত্তরে। পথ দেখাবি, পথের খোঁজে, থাকবি সদা অগ্রণী, পথ চলাতে, সাহস পাবে, সকল জনা তোর সাথী। দেখবে স্বপন, বাঁচার তরে, স্বাধীণ বেশে নিজদেশে, আর কতকাল রয়বে বসে, তোর আশাতে পথ চেয়ে! চিত্তনাশা ঘোরের নেশা, ওঠরে জেগে সব ছাড়িয়ে, হৃদ-কাঁপানো, মরন বীণার, বিষের সুর আর ঝংকারে। এফোড়-ওফোড় দে করে দে, পশুর-অশুর যত্তোরে, স্বাধীণতার স্বাদ সাথে সার , বাঁধে যেন চিত্তরে। আরিফ ইবনে শামছ্ সন্ধ্যা ০৬:৩০ মিনিট। ০৬/০৯/২০১৭ ঈসায়ী সাল। ফখরে বাঙ্গাল নিবাস, ভূঁইয়া বাড়ী, বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২, গ্রাম: ভাদুঘর, পোষ্ট: ভ

৫১। বিদ্রোহী তুমি, বিপ্লবী!

ছবি
("বিজয়ের উল্লাস" যৌথ কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।) দ্রোহানলের আগ্নেয়গিরি, বিদ্রোহী তুমি, বিপ্লবী! বিষের বাঁশি, কে বাজাবি, আইরে ভীষণ ভৈরবী। একূল ওকূল ভাঙ্গরে দুকূল, নে ভাসিয়ে জালিমরে, মাথার 'পরে আছড়ে মারিস, পাহাড় সম ঊর্মিরে। নটরাজের পবন-ভবন, আয়রে ছুটে তড়িৎ বেগে, দস্যিরাজের দস্যিপনায়, লাগাম টানো বিশ্বরে। আয়-গতিবেগ, আয়রে ধেয়ে, ধমকে- চমকে ভেঙ্গে যারে, রক্তচোষা, জন্তু -প্রাণী, মানব-দানব সংহারে। ঈষাণ কোণে, উড়াও নিশান, কালো মেঘের গর্জরে, চিতার অনল ধরিয়ে দিবি, দস্যুদেরই অন্তরে। বিনামেঘের বজ্রবাণে, সাঙ্গ কর জীবনরে, নৈঋতেরই প্রান্ত কোণে, ভীষণ, পাষাণ, বৌদ্ধরে। আয় অবিরাম, ঘূর্ণিবায়ূ, সাথী করে ঝড়-টর্নেডো, কম্পে কম্পে ভূমিকম্পে, আগ্নেয়গিরির ঐ জ্বালামুখ, যা ছুটে যা মানবতা, বন্দী যেথা প্রকোষ্ঠে, মানুষরূপী সবজানোয়ার, রক্ত -মাংস ভক্ষণে। ফেলরে মুছে সব নিশানা, সবকটিরে ধররে, মরণ জ্বালা, বিষের জ্বালা, জ্বালিয়ে দিবি অন্তরে। তিলে তিলে দে বুঝিয়ে, অত্যাচারীর পরিণতি, জালিম, জুলুম, জুলমাতের সব, মৃত্যুবাণে দিবি। উড়াও পাহাড়, ঝঞ্ঝা বায়ু, ধ্বংস-নাশী সংহর্ত্রী, জ্বালাও, পোঁড়াও, অমানুষী পাপের তাপের রাজ্যটি

৫০। ১৯৪৭ সালের পূর্ব হতে, আজকের এই বাংলাদেশ।

("বিজয়ের উল্লাস" যৌথ কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।) গোলা ভরা ধান ছিল তার, পুকুর ভরা মাছে। তলা ছাড়া ঝুড়ি কভু, মাথা পিছুর ঋণে। সোনার বাংলার স্বপ্ন গুলো, অংকুরেতেই শেষ, দেশ গড়িতে সোনার ছেলে, ছোট নির্নিমেষ। দরদীরা আসে মোদের উন্নয়নের তরে, বৃটিশ, পাকি, ইন্ডিয়ানরা নেই পারে যা লুটে। দাঁড়ায় যতো মহান নেতা দেশ গড়িবার তরে, কার খুশিতে, কাদের তরে, জীবন নিচ্ছে কেঁড়ে??? মুজিব বলো, জিয়া বলো, জাতীয় নেতা যারা, দেশের তরে জীবন দিল, হিংস্র পশুর দ্বারা। কার ইশারায়, কেমন করে, দেশের নাঁড়ী কাটে, পারবনাকি মহান প্রাণের, শান্তি এনে দিতে। আজ প্রয়োজন, বের করে নাও, কারা মোদের শত্রুদল দেশ- বিদেশের ভাঙ্গে কারা, সোনার-স্বপ্ন-পদ্ম-দল, মীর জাফরের প্রেতাত্নারা আজো ঘুরেফিরে, ঘসেটিদের দেখা পাবে, দেশটা যারা বেঁচে। নাগরিকেরা জিম্মী থাকে, কেউ জাগেনা কভু, প্রতিবাদের পথ হারিয়ে, মাথা টুকে শুধু। মুক্তি কোথায় মিলবে সেতো, রয়লো অধরা, কুক্ষিগত করে রাখে, সব রকমের ক্ষমতা। সেও শুনি, নাই তাদেরি, তখতে কোন নিজের বল, ভিনদেশীদের কাঠির ছোঁয়ায়, হয় ক্ষমতার পালা বদল! আর কতোকাল রয়বে জাতি, স্বাধীণ হয়ে পরাধীণ, জাতির তরে জাগবে কবে, মুজিব, জিয়া, মহা

৪৯। জাগো আবার জাগো!

এ কোন্ ঘুমে অচেতন, জাগবেনা কি জাগবেনা! ভাই, বোন, আর শত মাজলুমার, কান্না কানে পৌঁছেনা? জালিমের দল তোর দ্বারে কই, খুঁজিস কেন হদিস, সে আশাতেই আছিস বসে! জীবন মরণ ভাবিস! কাঁদার তরে মানুষ দূরে, পশু পাখি কেউ রবেনা, পড়বি যখন বিপদ মাঝে, ছুটবিরে তুই পথ পাবিনা। পরকে আপন করে নিতে, হলি যে তুই স্বার্থপর, নিজেই নিজের ষোল আনা, পাষাণীর সব পূর্ণ কর। মানবতার দীক্ষা দিবি, মানবতাই ভূলে গেলি! এমন হলে, কেমনে চলে, বিশ্ব ধরিত্রী। বাহুডোরে শান্তি পাবে, সকল জাতি ভেদ-ভূলে, আজকে তোমার বেহাল দশা, দেখছে সবি বিশ্বরে। কোথায় তোমার, বীরের জাতি, সত্য ন্যায়ের সাহস, কোথায় গেল, মটকে ফেলার, জালিমের সব ধর। জাগো আবার জাগো সবে হায়দরী সে হাঁক ছেড়ে, পথ হারাবে, জালিম যতো, মরবে পথে প্রান্তরে। সাহস পাবে, আশার আলো, নির্যাতিত ভাই-বোনে, আবার ফিরাও পাগলা ঘোড়া, ছুটতে মুক্তি, কল্যাণে। নেইকো সময় পিছু ফেরার সামনে বার অগ্রণী, পাষাণ, জালিম, দানব-মানব, বিদায় হবে খুনি। ---- আরিফ ইবনে শামছ্ ০৫/০৯/২০১৭ ঈসায়ী সাল। ফখরে বাঙ্গাল নিবাস, বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২, ভাদুঘর, সদর, বি.বাড়ীয়া-৩৪০০। ০৪/০৯/২০১৭ ঈসায়ী সাল।

৪৮। আগুন জ্বালা অন্তরে!

বাজাও রণদামামা, পড়রে আমামা; মুখে কালিমা, আগুন জ্বালা। শেষ করে দাও, মানব শত্রু, মাংস খেকো, বৌদ্ধ ভিখু। চালাও ঘোড়া, মাররে চাবুক, নিশানা করো শত্রুদের, নাইরে সময়, শেষ করিতে, শত্রু যারা ধর্ ওদের। ধর্ হাতে ধর্ ঢাল তলোয়ার, একীনে রাখ আল্লাহু আকবার, ধুলীর মতোই স্তব্ধ রবে সব আধুনিক অস্ত্রধার। জ্বালারে জ্বালা, আগুন জ্বালা, আগুন জ্বালা অন্তরে, পুড়ে ফেল তোর অলস অবস অহেতুক তন্ত্র-মন্ত্ররে। আর কতকাল পাথর চোখে জাতির মরণ করবি বরণ, আর কত লাশ, ভাই ও বোনের তোর বুকেতে করবি ধারণ। সয়বি কতো মা ও বোনের অপমান আর জিল্লতি, যুদ্ধ ছাড়া, নেই প্রতিবাদ, বুঝবে কবে, চল্ যুঝি। রক্তে জ্বালা, মরণ জ্বালা, গাজী হওয়ার ইচ্ছারে, জীবন মরণ যুদ্ধ খেলায়, থাকবে জয়ের দ্বারেরে। এক পলকে থামবে দেখিস, সকল জালিম বৌদ্ধরে, ঝাটকা মেরে ছিটকে ফেল, যতো বাঁদর ছিঁচকেরে ।। চল্ ওরে ভাই সামনে চল্, উঁচু করি শির, নোওয়াবেনা মাথা কোন, আসুক যুদিষ্ঠীর। মরলে শহীদ, বাঁচলে গাজী, চল্ ধরি ঐ জালিমদের , অত্যাচারীর বুক চিড়িয়া, জয় আনিব মজলুমের। --- আরিফ ইবনে শামছ্ ফখরে বাঙ্গাল নিবাস, বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২, ভাদুঘর, সদর, বি.বাড়ীয়া-৩৪০০। ০৪/০৯/২০১৭ ঈসায়ী

৪৭। পাষাণের বুক ফাঁড়ি

ছবি
বানের জলে সব হারিয়ে , নিঃস্ব হয়ে বিশ্ব মাঝে, শান্তিটুকু খুঁজি; হউক তা' আরাকানে, নির্যাতিত জনপদে, জালিমের রক্ত রাঙ্গা, পাষাণের বুক ফাঁড়ি। রক্ত পিচ্ছিল, মৃত্যু পায়ে, শংকা প্রাণের সাথী, তবু শান্তিটারে খুঁজি; বাংলা, ভারত, চীনের মতো, প্রতিবেশী দেশ কে জানো, দুর্দিনে কি পেলি। জীবন মরণ সমান যেথা, শক্ত করে দাঁড়া, শান্তি আসবে নামি; কামড়ে ধর, মরণ কামড়, দন্ত, আছে, নখ ও আছে, জ্বালাও প্রাণে শক্তি।। আজি হতে মরণ বীণা, নাওতো তুলে শক্ত হাতে, দেখবে কেমনে থামে, মরবে নাকো একলা কোন, জালিম কয়টা সহ, মৃত্যু নিয়ে খেল। শান্তি সবার, শান্ত ঘরে, আনবে ফিরে, জালিম খতম করে; কাঁপন ধরাও, মৃত্যুভয়ে, পালায় যেন, ঊর্ধ্বশ্বাসে, শান্তি হবেই হবে। শুরু তোমার করতে হবে, জালিম বধে অগ্রভাগে, আসবেনা কেউ মিছে; মানুষ যারা বীরের মতো, ধরবে চেঁপে তাদের টুঁটি, ফিরিশতারা পাশে। ভয় কি তোমার, বীরের জাতি, রক্ত টগবগে, সাহস তোমার আকাশ সম, দাঁড়াও তুমি পাহাড় সম, আসবে বিজয় ঘরে। আসলো কেবা, হটলো পিছে, অস্ত্র দিল? ছল করিল? দেখার সময় কই, মারতে হবে, জালিম সবি, বিজয় নেশা, সঙ্গ-সাথী, করবো সবি জয়। - আরিফ ইবনে শামছ্ ০১/০৯/২০১৭ ঈসায়ী সাল। ফখরে বাঙ্গা

৪৬। তোরা থামবি কিনা বল!

তোরা থামবি কিনা বল! ছাড়বি কিনা পাষাণ ছল, মরণ ফাঁদের রক্ত নদী, কয়টা খাবি বল? ভাল মানুষ, উঠছে জেগে, পারবি কিনা বল? আগুন ঝরা, বহ্নি হাওয়া, সঙ্গে যাবি চল। আকাশে বাতাসে, জলে পর্বতে, ঠাঁই কি তোরা পাবি, নদী গিরি, বন জঙ্গলে, পথের দিশা নিবি। পাতা মরমর, বৃষ্টি ঝরঝর, বজ্রনিনাদ আসছে ধেয়ে, কাঁপে থরথর, গিরি সরোবর, সত্য- ন্যায়; আজ উল্কা বেগে। হাতে ধরা তোর শাণিত ছোড়া, তোর বুকেতে বিধবে দেখিস, ওরে অজ্ঞ, জাহেল মূর্খ, কেমনে তোরা মানুষ মারিস! কিশোর, জোয়ান, বৃদ্ধ, যুবা, আসছে তেড়ে, দেখরে চেয়ে। জানেনা তারা, পিছু হটা, সামনে বাড়ে, ঝড়ের বেগে। শক্ত হাতের ডান্ডা খেয়ে, সময় এলে শিখবি সবি, বীরের লাথি, শাস্তি পেয়ে, মানবতার দীক্ষা নিবি। -------আরিফ ইবনে শামছ্ ৩১/০৮/২০১৭ ঈসায়ী বিকাল ০৪:৩০ মিনিট। ফখরে বাঙ্গাল নিবাস, বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২, ভাদুঘর, সদর, বি.বাড়ীয়া-৩৪০০।

৪৫।সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ মহাপুরুষ (সাঃ)

ছবি
প্রতিটি হৃদয়ের চারিপাশ যবে ঘোর তমসায় ঘেরা, তোমার প্রেম ভালবাসা, মুগ্ধকর আন্তরীকতা; সৃজিল আলোর ফোঁয়ারা প্রতিটি হৃদয় জুড়ে, আঁধারের সব আঁধার উপনীত হলো, নতজানু হয়ে। সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ মহাপুরুষ! তৃষিত হৃদয়ের আবে জমজম, দিকভ্রান্ত মানবজাতি খোঁজে পেল দিক দর্শন। একবিংশ শতাব্দীর এক উম্মতের মরুতৃষা আজ, তোমাকে হৃদয় ভরে দেখে নিতে দুর্নিবার অভিলাষ। সহস্র ষড়যন্ত্রের মাঝেও সহাস্য বদনে নেয় প্রস্তুতি, সুপারিশ তোমার দিশারী হবে, এমনি কালের আকুতি। বলহীন, কমজোর ঈমানে নয় গড়া মুসলিম জাতি, অকাতরে সঁপে দিবে প্রান, আসুক বাঁধারা বিপ্লবী। স্বর্ণ যুগের সাহস নিয়ে লড়তে চাহি রণাঙ্গণে, দ্বীনের ধ্বজা রাখতে উঁচু, লড়বো সবে প্রাণপনে। সফলতা ধরা দিবে, প্রভূ যদি রহম করে, সব কিছু যে চাই করিতে, মহান সে' বিভুর তরে। চায় হতে যে বিলীন তব ভালবাসার অকূল জলে, চোখ দুটো যে পাবে জ্যোতি ভালবাসা তব পেলে, ফুলে ফলে পূর্ণরূপে, পেয়ে যাবে বসন- বিলাস, কভু যদি পেয়ে যেতাম, স্বপ্ন মাঝে তব দীদার। ------- আরিফ ইবনে শামছ্ ২১/০৯/২০০১ ঈসায়ী সাল ফখরে বাঙ্গাল নিবাস, বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২, ভাদুঘর, বি.বাড়ীয়া। All reactions: ৫ Adel Farhan, Halim

ChatGPT 3.5

পরিচিতি

নাম: আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া লেখালেখি: আরিফ ইবনে শামছ্ পিতা: বিশিষ্ট সমাজ ও সাহিত্যসেবক, কবি ক্বারী আলহাজ্ব শামছুল ইসলাম ভূঁইয়া (রাহঃ)।সহকারি প্রকৌশলী, বাংলাদেশ তার ও টেলিফোন (বি.টি এন্ড টি- বি.টি.সি. এল)। মাতা: মোয়াল্লিমা হালীমা সাদীয়া ভূঁইয়া। ঠিকানা: ফখরে বাঙ্গাল নিবাস, ভূঁইয়া পাড়া, বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২, গ্রাম: ভাদুঘর, পোষ্ট: ভাদুঘর-৩৪০০। থানা:সদর, জিলা: বি.বাড়ীয়া। পড়াশোনা: নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়, (৬ ষ্ঠ শ্রেনী) সদর, বি.বাড়ীয়া। ভাদুঘর মাহবুবুল হুদা পৌর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় (৭ম-১০ম)।হাবলা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় (রেজিষ্ট্রেশন) হতে ১৯৯৫ ঈসায়ী সালে কৃতিত্বের সাথে ১ম বিভাগে পাশ করেন।প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বরাবরই ফার্ষ্ট বয় ছিলেন।১৯৯৭ সালে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পাশ করেন।২০০১ সালে, বি.এস.এস (সন্মান-অর্থনীতি), ব্রাহ্মণবাড়ীয়া সরকারি কলেজ, ২০০৩ সালে, এম.এস.এস (অর্থনীতি), সরকারি তিতুমীর কলেজ, ঢাকা, বি.এড. বাংলাদেশ টিচার্স ট্রেইনিং কলেজ, ঢাকা (জাতীঃবিঃ), এম.এড (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), এম বিএ -এম এই এস (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-অধ্যয়নরত) পূর্বপুরুষদের পূর্বকথাঃ বৃহত্তর বিভাগ ময়মনসিংহের অন্তর্গত বেলগাঁও থানার দিলালপুরে বসবাস করতেন পাঁচ ভাই।দুই ভাই দ্বীনের কাজে বা ভ্রমনের উদ্দ্যেশ্যে দিলালপুর থেকে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া (ত্রিপুরা) জেলার সদর থানার অন্তর্গত ভাদুঘর গ্রামে আসেন।প্রাকৃতিক পরিবেশের অপূর্ব লীলানিকেতনের মোহে মোহাবিষ্ট হয়ে ভ্রাতাদ্বয় স্থায়ী বসবাসের সিদ্ধান্ত নেন ভাদুঘরে।"বংশ পরম্পরায় দ্বীন ধর্মের প্রচার প্রসার, অলি-আল্লাহদের খেদমত ও ইহসানের সুবাদে ধারণা মজবুতভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় যে, ভ্রমণে নয়, দ্বীন ধর্ম প্রচার বা ইসলামের দাওয়াত নিয়েই দুই ভাই এসেছিলেন"। কবিতা সাহিত্য সংস্কৃতির আসর (একটি গতিশীল সাহিত্যভান্ডার)। প্রাক্তন বিভাগীয় সম্পাদক, সাহিত্য সম্পাদক, মাসিক "বলিতে ব্যাকুল" পরবর্তীতে "তিতাস বার্তা"। মোবাইল: ০১৬১০০০৭৯৭০। বয়স: ৩৮ বছর। পেশা: চাকুরী। প্রকাশিত লেখা: দৈনিকভাবে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, দৈনিক প্রজাবন্ধু, মাসিক বলিতে ব্যাকুল, তিতাস বার্তা, হক্ব পয়গাম। মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম শেখ সম্পাদিত "ঝরা ফুলের গন্ধ" যৌথ কাব্য গ্রন্থে প্রকাশিত (১) "শ্বাশ্বত আহ্বাণ" এবং (২) "ছন্দ নাবিক"। মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম শেখ সম্পাদিত "বিজয়ের উল্লাসে" যৌথ কাব্য গ্রন্থে প্রকাশিত (১) সত্য সন্ধানী (২) বাঙালির স্বাধীনতা (৩) বিজয়ের উল্লাসে (৪) অনুশোচনা (৫) বিদ্রোহী তুমি, বিপ্লবী (৬) আজকের এই বাংলাদেশ (৭) ভাঙ্গা গড়া সংকলন ও সম্পাদনা: তাসকিন আব্দুল্লাহ "বাংলার ১০০ কবি ও কবিতা" যৌথ কাব্য গ্রন্থে প্রকাশিত আগুন জ্বালা অন্তরে | সন্মাননা পত্র প্রাপ্তি : পাক্ষিক সেরা কবি, আধুনিক বাংলা কবিতার আসর (কবিতাঃ কারবালার শিক্ষা),পাক্ষিক সেরা কবি, আধুনিক বাংলা কবিতাপাক্ষিক সেরা কবি, আধুনিক বাংলা কবিতা ছড়া ও গানের আসর (কবিতাঃতোরা থামবি কিনা বল।) সাহিত্য জাগরণ বাংলাদেশ (কবিতাঃহৃদয় কন্দরে। কবিতাঃ কবিতা তোমার।)শখের কবিতা সাহিত্য আড্ডা (কবিতাঃ টেকসই মানবতা।কবিতাঃ বিদ্রোহী তুমি বিপ্লবী।)। বাংলাদেশ কবি সংসদ, (সিলেট বিভাগ)।বাংলাদেশ কবি সংসদ, (চট্রগ্রাম বিভাগ) হতে সাহিত্য অঙ্গনে বিশেষ অবদানকৃত স্বরুপ বিশেসন্মাননা পত্র প্রাপ্তি।বিশেষ সন্মাননাপত্র, এসো কবিতা লিখি (কবিতাঃ জাগাও তুমি জেগে ওঠো!),দিনের (২০-১১-২০১৭) সেরা কবি, বাংলাদেশ কবি পরিষদ (কবিতাঃ বাঙ্গালীর স্বাধীনতা)।আন্তর্জাতিক কবি পরিষদ (আজকের- ০৬-১২-২০১৭- সেরা কবি, কবিতাঃ "জীবন তরী"); ছায়াবীথি (সেরা পোষ্ট- কবিতা ইভেন্টে বিজয়ী- কবিতাঃ "অনাগত সন্তানের আহ্বান"।সমাজ কল্যাণ সাহিত্য পরিষদ কর্তৃক সপ্তাহের (১৪-১২-২০১৭) সেরা বিজয়ী কবি, ১ম স্থান অধিকারী, (কবিতাঃ আসলে পতন, খবরদার !)বাংলা সাহিত্য (কবিতা ও গল্পের রস _১৪-১২-২০১৭_সাপ্তাহিক সেরা ২৫ এ ৫ম স্থান ( কবিতাঃ আসলে পতন, খবরদার !);বাংলা সাহিত্য (কবিতা ও গল্পের রস _২২-১২-২০১৭_সাপ্তাহিক সেরা ২৫ এ ১১ তম স্থান ( কবিতাঃ পরোয়ানা !)প্রজন্ম সাহিত্য সভা (প্রসাস-০৬-০২-২০১৮_সপ্তাহের সেরা ০৫ এ ০৪- কবিতাঃ স্বান্তনা) নকলা উপজেলা সমাজকল্যাণ সাহিত্য পরিষদ, সাপ্তাহিক সম্মাননা ১৬-০২-২০১৮, ( কবিতা: ফাগুনের গান); কাব্য প্রেমীদের প্রচার মাধ্যম_ গল্প কবিতা ও সাহিত্যের আসর_বিশেষ সম্মাননা _২২-০২-২০১৮ (কবিতা: প্রিয় বাংলাভাষা); কাব্য কথার মেলা সাহিত্যাঙ্গন, সাপ্তাহিক সেরা ০৫ (কবিতা: এই পৃথিবীর আর্তনাদ); সাহিত্যজগৎ (সকল সাহিত্য প্রেমিদের ঠিকানা), সাপ্তাহিক সেরা ০৫ (কবিতা: বিপ্লবী );শেরপুর সাহিত্য পরিষদ, সাপ্তাহিক সম্মাননা, ২৩-০৩-২০১৮ (কবিতা: বিপ্লবী) ; সাহিত্য সন্ধ্যা, আজকের (২৭-০৩-২০১৮) সেরা কবি, (কবিতা: বিপ্লবী) বাংলা সাহিত্য কবিতা ও গল্পের রস_৩০-০৩-২০১৮_সাপ্তাহিক সেরা ২৫ এ ৪র্থ স্থান ( কবিতাঃবিপ্লবী )। সাপ্তাহিক সেরা ০৭ কবি ও কবিতায় ১ম স্থান, (কবিতা: বিপ্লবী ); সাহিত্যের জাগরণ, আন্তর্জাতিক সাহিত্য সংগঠন, সাপ্তাহিক সম্মাননা, ০১-০৪-২০১৮ (কবিতা: বিপ্লবী)।

পাথর দিয়ে যুদ্ধ

ইরাক, ইরান, তুরান, কাশ্মীর, কাতার আর সিরিয়া, সৌদি আরব, সুদান, মিশর, পুরো আফ্রোশিয়া। উপমহাদেশ, স্থান, আর দেশ -মহাদেশ, সব সৃষ্টি স্রষ্টার জানি, আমরা বিশ্বের, বিশ্ব মোদের। হানাহানি আর মারামারি করে, মানুষ মানুষেরে, হৃদয় আছে ঠিকই দেহে, নাই যে দরদ অন্তরে। সৃজিত হল কত দল উপদল, কেউ সহেনা কারো, এক হওয়ার মন্ত্র ভুলে, অনৈক্যে খায় হাবুডুবু। নাই সে খেয়াল, দূর করিবার ব্যবধান যতো আছে! আমার আমি, অহমিকা আর অন্ধ সকল জনে। কোরান কিতাব, হাদিস, ইজমা, কিয়াস জেনেছে কতো! সবাই মিলে একই বাঁধনে, নাইকি বাঁধিবার কেহ! কত আরাধনা চলে অবিরাম দিবস যামিনী দেখো, পাশের বাড়ীর অধিবাসী যারা, খেতে পেরেছে কি জানো? ঋণের চাঁপে, লজ্জা শরমে, সহসা মৃত্যু দেয়যে হানা, কানে তুলো আর চোখে ঠুলি বাঁধে সমাজের ধনী যারা। দেশের রাজারা ব্যস্ত সদা, নিজেদের ব্যবসা দেখো, দেশ ধর্ম কোথায় গেল, জাতির ঐক্য এলো কি গেলো! তা'তে কি কার, কিছু আসে যায়, জীবনের দাম নাই! সকাল বিকাল মারছে শিশু, দূর্বল নারীরা ও মারা যায়। কথার কথা, নামে মাত্র সবাই করে বাদ- প্রতিবাদ! মিছিলে মিছিলে যায় হারিয়ে প্রতিশোধের অগ্ন্যোৎপাত। নায়কি সাহস দাঁড়াতে পাশে, মাজলুম যতো বিশ্ব মাঝে, পাথর দিয়ে যুদ্ধ করে জীবন সঁপে,শহিদী পথে।

"মনের কথা সদা আমার কলম দিয়ে ঝরে, খুঁজে মোরে পাবে সবাই যখন মনে পড়ে। " --কবি শামছুল ইসলাম ভূঁইয়া (রঃ)

MY BLOGG