কবিতা সমগ্র লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
কবিতা সমগ্র লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বৃহস্পতিবার, মে ০৮, ২০২৫

০৩। আজিকে এই খুশির রাতে

"ভালোবাসা আর শংকায় বাজে সদা মনের বীণা" কবিতায় কবি আরিফ শামছ্ আল্লাহর কাছে একজন পাপী, অথচ প্রেমময় বান্দার হৃদয় নিংড়ানো ক্ষমাপ্রার্থনা তুলে ধরেছেন। এটি আত্মগ্লানি, আত্মসমর্পণ, ঈমান ও ভালোবাসার এক নিখাদ কাব্যিক আবেদন, যা মানুষের হৃদয়ে নিজেকে নতুন করে চিনে নেয়ার আহ্বান জানায়।


ভালোবাসা আর শংকায় বাজে সদা মনের বীণা,
মাফ পেয়েছি কী ক্ষমাশীল দয়াময়!
তা' জানিনা।
হৃদয়ের গভীর হতে কি বিষাদের মর্ম বেদনা,
তীব্র হতে তীব্রতর অসহনীয়, তবু হারাতে চাইনা।
বুকে হাত দিয়ে বলি, কতবার যে তোমায় স্মরেছি,
পলে পলে অনুপলে, দানা পানি সামনে পেয়েছি।
ভূলে ও হাত চলেনি তা' নিতে বরং "রোজা রেখেছি"।
ভাংতে পারিনা কোন ভাবে, কিভাবে দাঁড়াবো সেদিন!
ভালবাসি তোমায়, ভালবাসা পেতে চাই সদা,
পদে পদে ভূল আর অবাধ্যতা! যদি করো ক্ষমা।
দূর্বল আর শেষ নবীর (সাঃ) অনুসারী "অনেক দাবী"!
তাঁ'র সুন্নাহ, রীতিনীতি কতটুকুইবা মানিতে পারি!
রাহমান তুমি, রাহীম তুমি ওগো পরম দয়াময়,
আজিকে এই খুশির রাতে ক্ষমা, রহমতের অনুনয়।
যতো আবেদন, বাহারি চাওয়া, দু'জাহানের তরে!
তোমার বান্দা, মহানবী (সাঃ) প্রিয় উম্মত; 
যেনো হয় কথা-কাজে।

আরিফ শামছ্

কবিতা বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যা
কবিতা: ভালবাসা আর শংকায় বাজে সদা মনের বীণা
কবি: আরিফ শামছ্


১. কাব্যিক বিশ্লেষণ:

এই কবিতাটি একান্ত অনুভবের, হৃদয়ের গহীনে লুকিয়ে থাকা ভালোবাসা, আত্মগ্লানি, ঈশ্বরপ্রেম এবং আত্মসমর্পণের এক আন্তরিক অনুরণন।

  • কবি এখানে আত্মজিজ্ঞাসা ও আত্মসমালোচনার মাধ্যমে আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছেন।
  • মানবিক দুর্বলতা, অপরাধবোধ, ভালোবাসা এবং ঈশ্বরের করুণা — সব মিলে এক উচ্চস্তরের কাব্যিক অভিব্যক্তি ফুটে উঠেছে।

২. ছান্দসিক ও মাত্রাগত গঠন:

  • কবিতাটি মুক্তছন্দে রচিত।
  • সরল বাক্য প্রয়োগে ভাবের গভীরতা এসেছে, তবে নিয়মিত মাত্রাবিন্যাস অনুপস্থিত — যা আবেগপ্রবণ স্বগতোক্তির ছন্দ সৃষ্টি করে।
  • অন্ত্যমিল নেই, তবে মাঝে মাঝে অলITERATION এবং ধ্বনির পুনরাবৃত্তি আছে — যেমন: "তীব্র হতে তীব্রতর অসহনীয়", "ভুল আর অবাধ্যতা" ইত্যাদি।

৩. সাহিত্যিক মূল্যায়ন:

  • ধর্মীয় অনুভবের কবিতা, যেখানে মানব-প্রেম ও ঈশ্বর-ভক্তির মিলন ঘটেছে।
  • কবি একদিকে আত্মোপলব্ধি করছেন, অন্যদিকে নবীজীর (সাঃ) উম্মত হিসেবে ক্ষমা প্রার্থনা করছেন।
  • "বুকে হাত দিয়ে বলি, কতবার যে তোমায় স্মরেছি…" – এতে রোমান্টিক প্রেমআধ্যাত্মিক প্রেম দুটোই মিশে গেছে, সৃষ্টি করেছে দারুণ দ্ব্যর্থতা।

৪. রসাস্বাদন:

  • করুণ রসভক্তিরস প্রধান।
  • কবির অসহায় অনুভব ও ক্ষমা প্রার্থনা পাঠকের হৃদয়ে বেদনার সুর তোলে।
  • প্রেম, পাপ, অনুশোচনা ও ক্ষমার মধ্যে যে টানাপোড়েন — তা কবিতার রসকে গভীর করেছে।

৫. আলোচনা ও সমালোচনা:

শক্তি:

  • কবিতায় গভীর আত্মজিজ্ঞাসা রয়েছে, যা পাঠককে আত্মসমালোচনার পথে আহ্বান করে।
  • সাহসিক আবেগ-প্রকাশ: কবি নিজের ভুল, ভালোবাসা, দ্বিধা ও অনুতাপ নির্দ্বিধায় প্রকাশ করেছেন।

সীমাবদ্ধতা:

  • কিছু পঙ্‌ক্তিতে ভাষা ও ব্যাকরণে শৈল্পিকতা আরও বাড়ানো যেত।
  • ছন্দ ও গঠন আরও সংহত করলে পাঠে গতি ও রসাস্বাদন উজ্জ্বল হতো।

৬. প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ:

  • কবিতাটি সম্ভবত রমজানের শেষ রাত বা ঈদের প্রাক্কালে লেখা, কারণ এতে আছে "খুশির রাত", "রোজা", "ক্ষমা চাওয়া" ইত্যাদি প্রসঙ্গ।
  • এই প্রেক্ষাপটে কবির মনজুড়ে আছে – ভালোবাসার আকুতি, গুনাহের ভয়, আত্মজিজ্ঞাসা এবং পরম স্রষ্টার করুণার প্রত্যাশা

৭. মানব জীবনে তাৎপর্য ও গুরুত্ব:

  • কবিতাটি একাধারে একটি আত্মশুদ্ধির অনুশীলন এবং আধ্যাত্মিক আত্মসমর্পণের পাঠ
  • এটি মানুষকে শেখায়—
    • ভুল স্বীকার করতে,
    • ভালোবাসার গভীরতা অনুভব করতে,
    • আত্মসমালোচনার মাধ্যমে পরিশুদ্ধ হতে,
    • ও আল্লাহর দরবারে বিনীত হতে।

৮. সারাংশ:

এই কবিতায় কবি নিজের অপরাধবোধ, ভালোবাসা, গুনাহ, রোজা, এবং নবী (সাঃ)-এর উম্মত হিসেবে আত্মপরিচয় তুলে ধরে আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। ভালোবাসা ও শংকার মধ্য দিয়ে তাঁর হৃদয়ের মর্মবেদনা প্রকাশ পেয়েছে।


৯. সারমর্ম:

"ভালবাসা আর শংকায় বাজে সদা মনের বীণা" কবিতায় কবি আরিফ শামছ্ আল্লাহর কাছে একজন পাপী, অথচ প্রেমময় বান্দার হৃদয় নিংড়ানো ক্ষমাপ্রার্থনা তুলে ধরেছেন। এটি আত্মগ্লানি, আত্মসমর্পণ, ঈমান ও ভালোবাসার এক নিখাদ কাব্যিক আবেদন, যা মানুষের হৃদয়ে নিজেকে নতুন করে চিনে নেয়ার আহ্বান জানায়।


 

০২। এলোরে মাহে রমজান!


আপনার কবিতা "এলোরে মাহে রমজান!" একটি ধর্মীয় অনুভূতিতে ভরপুর, প্রেরণাদায়ী ও ঈমান জাগানো কাব্য। এটি ইসলামের অন্যতম পবিত্র মাস রমজান এর গুরুত্ব, সৌন্দর্য এবং আত্মশুদ্ধির সুযোগকে তুলে ধরেছে। নিচে কবিতাটির বিস্তৃত বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যা দেওয়া হলো:


১. কাব্যিক বিশ্লেষণ:

এই কবিতায় ঈমানদার মুসলমানের মনে রমজানের আগমনে যে অনাবিল প্রশান্তি ও আত্মিক আন্দোলন জাগে, তারই রূপায়ণ ঘটেছে।

  • উদ্ঘোষণমূলক কাব্যভাষা: "এলোরে মাহে রমজান!" — একদিকে উদ্দীপনামূলক, অন্যদিকে পবিত্রতার আহ্বান।
  • চাষ, ফসল, বীজ — এসব রূপকে কবি মানব জীবনের কর্ম ও ফলাফলের ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন।

২. ছান্দসিক ও মাত্রাগত গঠন:

  • কবিতাটি মুক্তছন্দে রচিত, তবে প্রতিটি পঙ্‌ক্তিতে রয়েছে একটি প্রবাহমান স্বাভাবিক ছন্দ
  • গড়পড়তা ৮-৯ মাত্রার মধ্যে চলে কবিতার লাইনগুলো।
  • ছন্দের ভেতরে অন্ত্যমিলের চেষ্টাও আছে: যেমন "দান–রমজান", "করিব–বুনিব–তুলিব–হব", "করতে–হতে–মিলে–বলে"।

৩. সাহিত্যিক বৈশিষ্ট্য:

  • ধর্মীয় কাব্যধারা: কবিতাটি ইসলামিক সাহিত্যধারার অন্তর্ভুক্ত, যেখানে রমজান মাসের গুরুত্ব, তিনটি দশকের তাৎপর্য সুন্দরভাবে প্রকাশ পেয়েছে।
  • প্রতীক ও রূপক:
    • “মনের বাগান”, “বীজ”, “ফসল” — ইবাদত ও নেক আমলের রূপক।
    • “ঝালাই” — আত্মশুদ্ধির প্রতীক হিসেবে চমৎকার ব্যবহার।

৪. রসাস্বাদন:

  • ভক্তিরসশান্ত রস এই কবিতার মূল রস:
    • ভক্তিরসে আল্লাহর রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের প্রতি মানুষের প্রত্যাশা প্রকাশ পেয়েছে।
    • শান্ত রসে আত্মিক প্রশান্তি, ধ্যান ও পরকালচিন্তা প্রতিফলিত।

৫. আলোচনা ও সমালোচনা:

শক্তি:

  • কবিতাটি সরল, হৃদয়গ্রাহী এবং ধর্মীয় শিক্ষায় পরিপূর্ণ।
  • শব্দচয়ন ও ভাবধারায় রয়েছে ঈমানদার হৃদয়ের অভ্যন্তরীণ জাগরণ।
  • "তিন দশকের বিভাজন" (রহমত, মাগফিরাত, নাজাত) অত্যন্ত সুচারুভাবে প্রতিফলিত।

সীমাবদ্ধতা:

  • যদি রমজান উপলক্ষে ব্যক্তিগত আত্মোপলব্ধি বা বিশ্বজনীন বার্তা আরও স্পষ্ট করা হতো, তবে কবিতাটি অধিক প্রভাববিস্তারী হতো।
  • কিছু পঙ্‌ক্তিতে ছন্দ ও শব্দসংযোগ আরও ঘষেমেজে নিখুঁত করা যেত।

৬. প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ:

  • কবিতাটি লেখা হয়েছে ২৫ মে ২০১৭, পবিত্র রমজান মাসের প্রাক্কালে।
  • রচয়িতা অবস্থান করছেন নিজ এলাকা ভাদুঘর, বি.বাড়িয়ায়, যা কবিতার এক ধরনের আত্মিক আবহ এনে দেয় — গ্রামীণ পরিবেশে পবিত্র রমজান উদযাপনের অভ্যন্তরীণ আনন্দ ও আত্মশুদ্ধির প্রতিচ্ছবি।

৭. মানব জীবনে তাৎপর্য ও গুরুত্ব:

  • রমজান মাস কেবল রোজা রাখার মাস নয়, বরং আত্মশুদ্ধি, নফস দমন ও স্রষ্টার সন্তুষ্টি অর্জনের মাস।
  • কবিতায় তুলে ধরা হয়েছে — রোজা রাখা, দোয়া, ইবাদত, এবং পরকালের সফলতার প্রস্তুতির একটি পূর্ণাঙ্গ চিত্র।
  • মানুষ যেন এই মাসটিকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে নিজের চরিত্র ও ভবিষ্যতের জন্য আত্মিক ফসল ফলাতে পারে — এটাই কবির বার্তা।

৮. সারাংশ ও সারমর্ম:

সারাংশ:

কবিতাটিতে রমজান মাসের আগমন উপলক্ষে একজন মুসলমান কীভাবে এই মাসকে কাজে লাগিয়ে আত্মশুদ্ধি ও নাজাত লাভ করতে পারে, তা তুলে ধরা হয়েছে। এটি রমজানের তিন দশকের ধাপে ধাপে ধারাবাহিক নেক কাজের গুরুত্বকে স্মরণ করিয়ে দেয়।

সারমর্ম:

"এলোরে মাহে রমজান" কবিতায় কবি আরিফ শামছ্ এক গভীর ধর্মীয় অনুভব থেকে মানুষের আত্মশুদ্ধি, ইবাদতের মাধ্যমে সফলতা ও জান্নাত লাভের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এই কবিতা একজন পাঠককে রমজান মাসের প্রকৃত তাৎপর্য উপলব্ধি করতে সহায়তা করে এবং জীবনের উদ্দেশ্য পুনর্বিবেচনার সুযোগ দেয়।

_____________________________________________

মহান প্রভুর সেরা দান,
এলোরে ঐ মাহে রমজান।
আসছে ধেয়ে জান্নাত হতে,
শান্তি অশেষ ধরাতলে।

মনের বাগান চাষ করিব,
হরেক রকম বীজ বুনিব।
সুফল ফসল সব তুলিব,
কেয়ামতে সফল হব।
রহমতের দশটি দিনে,
ঈমান-আমল ঝালাই করে,
মাগফিরাতের দিনগুলোরে,
পূণ্য-নেকে পূর্ণ করে।
বিদায় বেলার শেষের দশে,
জাহান্নামের আজাব হতে,
মুক্তি চাইবো সবাই মিলে,
জান্নাতি হবো বলে।

আরিফ শামছ্
২৫.০৫.২০১৭
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২,
ভাদুঘর, বি.বাড়ীয়া-৩৪০০।

বুধবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৫

০১। ১৪২৩ বলছি!

 

নতুন আর পুরাতন,
কারো প্রস্থান কারো আগমন,
চৈত্রের সংক্রান্তি, বসন্ত বিদায়,
ঝড়ো বৈশাখির আগমনী গান।
বিরহের সুর তো বাজেনা,
পর করে দেয়ার সমস্ত আয়োজনা।
মনে রেখো আমার কাছে জমা, 
তোমাদের সমস্ত ইতিহাস,
যা তোমাদের ভাবী পথের পাথেয়। 
পাথর কান্না আমার কেউকি দেখেনা,
ক্ষত বিক্ষত কষ্টটুকু কেউতো ভাবেনা:
৩৬০ ডিগ্রিতে ৩৬৫ দিনের পুরোটায় তিলে তিলে,
নিঃশেষ করে নিজেকে,
এ কি পেয়েছি আমি!
চরম অনাদর, অবহেলা অবশেষে।
১৪২৪ আসবে, ভালবাসবে কি বাসবেনা!
আপন নাকি পর হবে কেউ তো ভাবেনা,
শুধু অন্ধভাবে আয়োজন করা।
বর্ষবিদায় আগে, না বর্ষ বরণ?
সেকি ভূলে যাও!
আগে নামুন তো পরে ওঠুন।
আমার আগমনে ও সব আয়োজন ছিল এমনি,
তাই বলে কি এভাবে টানবে ইতি!
১৪২৪! দেখে প্রস্তুত থাক তাতে আজি,
মেনে নিতে এমনি নিষ্ঠুর পরিনতি!!!

ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২,
ভাদুঘর, বি.বাড়ীয়া-৩৪০০।

--------------আরিফ শামছ্
৩০ চৈত্র,১৪২৩ বঙ্গাব্দ।
১৩.০৪.২০১৭। বৃহঃস্পতিবার।

____________________________

এই কবিতাটি ১৪২৩ বঙ্গাব্দের অন্তিম লগ্নে রচিত, যেখানে কবি সময়ের গমন ও আগমন, আবেগ ও যন্ত্রণা, প্রত্যাশা ও নিরাশার এক সজীব চিত্র অঙ্কন করেছেন। নিচে এর বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করে তুলে ধরা হলো:


১. কাব্যিক ও সাহিত্যিক বিশ্লেষণ:

কবিতাটিতে সময়ের রূপান্তরকে এক জীবনঘনিষ্ঠ চিত্ররূপে উপস্থাপন করা হয়েছে। “চৈত্রের সংক্রান্তি, বসন্ত বিদায়”—এই বাক্যদ্বয়ে ঋতুচক্রের অন্তরাল দিয়ে জীবনের গভীর অভিজ্ঞতাকে প্রকাশ করেছেন কবি। ব্যক্তিগত বেদনার সঙ্গে জাতিগত, সামাজিক রূপান্তরের মিশ্রণে এক অন্তর্জাগতিক আবহ সৃষ্টি হয়েছে।


২. ছন্দ ও মাত্রা:

কবিতাটি মুক্তছন্দে রচিত। এখানে ১৪ মাত্রার ছন্দ বা পদ্যছন্দ অনুসরণ করা হয়নি; বরং কবি ভাবপ্রবণতাকে গুরুত্ব দিয়েছেন। কোথাও কোথাও অন্ত্যমিল আছে, যেমন—

“চরম অনাদর, অবহেলা অবশেষে।
১৪২৪ আসবে, ভালবাসবে কি বাসবেনা!”

এইভাবে অনিয়মিত হলেও ছন্দের প্রবাহে পাঠক আবেগে প্রবাহিত হয়।


৩. রসাস্বাদন (রসতত্ত্ব):

এখানে মূলত কারুণ্য রসবীর রস-এর ছোঁয়া আছে। কবি একদিকে নিজের বেদনা, অবহেলা, অনাদরের কথা বলেছেন, আবার অন্যদিকে ভবিষ্যতের বছরকে সতর্ক বার্তাও দিয়েছেন—

“১৪২৪! দেখে প্রস্তুত থাক ততে আজি,
মেনে নিতে এমনি নিষ্ঠুর পরিনতি!”

এখানে বেদনাও আছে, আবার প্রত্যয়ের মিশ্রণও রয়েছে।


৪. প্রেক্ষাপট:

এই কবিতা ১৪২৩ বঙ্গাব্দের শেষ দিনে রচিত, চৈত্র সংক্রান্তির প্রাক্কালে। এটি একটি প্রতীকী মুহূর্ত—পুরাতন বছরের বিদায় ও নতুন বছরের আগমন। এই পটভূমিতে কবি ব্যক্তি ও সমাজ জীবনের অভিজ্ঞতাকে মিলিয়ে দিয়েছেন।


৫. সমালোচনা ও পর্যালোচনা:

  • শক্তি:

    • সময় ও ব্যক্তিগত অনুভূতির সংমিশ্রণ।
    • বাস্তববাদী ও অনুভূতিনির্ভর ভাষা।
    • শেষের দিকে নাটকীয় ও প্রত্যয়মূলক আবেদন।
  • দুর্বলতা:

    • কিছু পঙ্‌ক্তি বেশি অনুভবনির্ভর হয়ে পড়ায় ভাষাগত ভারসাম্য হারিয়েছে।
    • গঠন কিছুটা অগোছালো ও প্রাঞ্জলতাহীন অংশবিশেষে।

৬. মানব জীবনে তাৎপর্য ও গুরুত্ব:

এই কবিতা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়—প্রতিটি বছরই রেখে যায় অভিজ্ঞতার ছাপ, স্মৃতি, আনন্দ ও বেদনা। পুরাতন বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর মধ্য দিয়ে আমরা কেবল সময়কে নয়, নিজেদের রূপান্তরকেও উপলব্ধি করি। কবির আত্মপ্রকাশ, অভিমান এবং প্রত্যয় আমাদের নিজেদের জীবনবোধের সঙ্গেও মিলিয়ে যায়।


 নিশ্চয়ই, নিচে কবিতাটির উপর ভিত্তি করে একটি পূর্ণাঙ্গ ব্যাখ্যামূলক প্রবন্ধ তৈরি করে দিচ্ছি, যেখানে কাব্যিক বিশ্লেষণ, রস, প্রতীক, ও মানবিক তাৎপর্য সবই সংযুক্ত থাকবে:


১৪২৩: একটি অন্তিম উপলব্ধি

- আরিফ শামছ্-র কবিতার আলোকে একটি ব্যাখ্যামূলক প্রবন্ধ

ভূমিকা:
বছরের অন্তিম লগ্ন সবসময়ই এক আত্মসমালোচনার মুহূর্ত। সময় চলে যায়, রেখে যায় স্মৃতি, অনুভব আর উপলব্ধির দীর্ঘ রেখা। কবি আরিফ শামছ্ তাঁর “১৪২৩ বঙ্গাব্দ” কবিতায় ঠিক এই সময়টিকে কেন্দ্র করেই এক আত্মপ্রকাশমূলক কাব্য রচনা করেছেন। এটি শুধু একটি কবিতা নয়, বরং এক বছরের জার্নালের শেষ পৃষ্ঠায় লেখা কবির অন্তরের কথা।


কবিতার মূল বক্তব্য:

এই কবিতায় পুরাতন বছর ১৪২৩-এর বিদায় এবং নতুন ১৪২৪-এর আগমনের মাঝে কবি নিজের জীবনের বঞ্চনা, ভালোবাসাহীনতা, এবং অবহেলার চিত্র তুলে ধরেছেন। একদিকে যেমন রয়েছে সময়ের বাস্তবতা (“চৈত্রের সংক্রান্তি, বসন্ত বিদায়”), অন্যদিকে রয়েছে আত্মার বেদনা—“চরম অনাদর, অবহেলা অবশেষে।”


প্রতীক ও চিত্রকল্প:

কবিতায় ‘চৈত্র’, ‘বৈশাখি ঝড়’, ‘৩৬০ ডিগ্রি’, ‘৩৬৫ দিন’, ‘পাথর কান্না’ ইত্যাদি প্রতীক ব্যবহার করে কবি সময়, কষ্ট, এবং অচল-আবেগের গভীর প্রতিরূপ তুলে ধরেছেন।

  • “পাথর কান্না”: একদিকে অসাড়তা, অন্যদিকে সংবেদনশীল মনের চাপা আর্তনাদ।
  • “৩৬০ ডিগ্রিতে ৩৬৫ দিন”: জীবনের ঘূর্ণিবলয়, যেখানে প্রতিদিনের ক্ষয় ও পরিশ্রমের সঞ্চয় রয়েছে।

রস ও আবেগ:

মূলত এই কবিতায় কারুণ্য রস প্রাধান্য পেলেও এর মাঝে বীর রস-এর এক রূঢ় সুরও শোনা যায়। কবি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে উঠে এসে ভবিষ্যতকে সতর্ক করেন—

“১৪২৪! দেখে প্রস্তুত থাক ততে আজি,
মেনে নিতে এমনি নিষ্ঠুর পরিনতি!”

এখানে রয়েছে এক চ্যালেঞ্জ, এক আত্মসম্মানের দাবি, যা কবিতার পরিণতিকে আরও উঁচুতে নিয়ে যায়।


কবিতার কাঠামো ও ছন্দ:

কবিতাটি মুক্তছন্দে রচিত, অর্থাৎ এর নির্দিষ্ট মাত্রা বা অন্ত্যমিল নেই। এটি কবির স্বাভাবিক আবেগপ্রবাহে গঠিত, যার ফলে পাঠকের মনোযোগ ছন্দ নয়, বরং বিষয়বস্তুর উপর কেন্দ্রীভূত থাকে। এটি কবির সাহসী কাব্যভঙ্গির প্রতিফলন।


সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি:

  • শক্তির দিক:

    • সময় ও অনুভবের বাস্তবমুখী রূপায়ণ।
    • ব্যক্তিগত যন্ত্রণার সঙ্গে সামাজিক বাস্তবতার সংযোগ।
    • পরিণামে উদ্ভাসিত এক আত্মদর্শন ও সতর্কবার্তা।
  • সীমাবদ্ধতা:

    • কোথাও কোথাও অল্প বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছে, ফলে ভাষার শৈল্পিকতা কিছুটা কমে গেছে।
    • কবিতার শেষাংশে নাটকীয়তা কিছুটা অতিরঞ্জিত মনে হতে পারে।

মানব জীবনে তাৎপর্য:

এই কবিতা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে সময় শুধু ক্যালেন্ডারে নয়, বরং আত্মায় চলে যায়। প্রতিটি বছরের অভিজ্ঞতা আমাদের গড়ে তোলে—আমাদের কাঁদায়, শেখায় এবং পরিবর্তনের দিকে ঠেলে দেয়। কবির অভিজ্ঞতা আমাদের নিজস্ব অনুভবের আয়নায় প্রতিফলিত হয়।


উপসংহার:
“১৪২৩ বঙ্গাব্দ” কবিতাটি শুধু একটি বছরের বিদায় নয়, বরং এটি একটি আত্মজিজ্ঞাসার দলিল। কবি আরিফ শামছ্ কেবল নিজের বেদনা প্রকাশ করেননি, বরং একটি সময়কে ধরে রেখেছেন—তার অন্তর্নিহিত আবেগ, দুঃখ, এবং একটি নতুন বছরের সম্ভাবনার আশঙ্কা নিয়ে। এ কবিতা আমাদের ভাবায়, নাড়া দেয়, এবং নিজের জীবন নিয়ে প্রশ্ন করতে শেখায়।

Credit to ChatGpt

রবিবার, জুন ৩০, ২০২৪

৮৯। পরোয়ানা

ভালবাসা ভরে থাক,

প্রতিটি অন্তর;

ভালবেসে বেঁচে থাকা,

হউক মূল মন্তর।

পথে ঘাটে জোড়া জোড়া,

বসে থাকে নীরবে;

সহাস্যে হেলে দুলে,

কেউ চলে সরবে।

আকাশের তারা সম,

যুগলেরা জ্বলে নিভে,

কত কথা বিনিময়,

চলে মান অভিমানে।

সত্যি হয়ে থাক,

সব সুখ স্বপ্ন,

স্বপ্নের বলাকারা,

হয়ে যাক ধন্য।

থেকো সবে চিরদিন,

পাপ তাপ মুক্ত,

দিন দিন বাড়ে যেন,

পূণ্যের প্রস্থ।

ভালবাসি ভালবাস,

দিবা নিশি সত্য,

স্বর্গ হবে দেখো,

ধূলীর এই মর্ত্য।

ভালবাসার অভিনয়ে,

কেঁড়ে নিবে যতো সব,

জিম্মী করে কভু,

জুলুমের উৎসব।

সঙ্গ দিবে ঠিক,

যবে তার প্রয়োজন,

ফিরে আর পাবেনা,

হবে শেষ আয়োজন।

নেশা করে প্রেম করে,

সুস্থতা বিনাশে,

উপকরন সহজেই,

রবে আশে পাশে।

মিলবে সব তার,

যতো চাওয়া ফন্দী,

মৃত্যুর পরোয়ানা,

কভু পাপে বন্দী।

চায় সৎ সঙ্গ, সুখ ভোগ, শান্তি,

প্রেম আর ভালবাসা একটু শ্রান্তি।

প্রতারক, লোভী সব, একা থেকে মুক্তি, 

চাই পাশে,সৎ জন, এই হোক চুক্তি।


- আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া

   ২১/১২/২০১৭ ঈসায়ী সাল।

গুলশান-০১,

ঢাকা।

রবিবার, অক্টোবর ২৯, ২০২৩

১০। অনাগত সন্তানের আহ্বান



মাগো তুমি দোল খেয়ে যাও
তব মায়ের কোলে,
দিনে দিনে ঘনিয়ে আসে
আমি আসব যবে।
রুহের ধরার অধিবাসী আজ,
অনাগত সন্তান,
বলিতে কিছু বড় সাধ জাগে,
শোন দিয়ে মন-প্রাণ।
কিশোরী হবে চপলা চঞ্চলা,
কলরব ধ্বনিতে,
ঘরে বাহিরে তোমার বিচরণ,
দেখবে খুশিতে।
পাবে যৌবণ, ভাবের সাগরে,
করবে অবগাহন,
একটু খানি ভুলের মাশুলে,
স্তব্ধ হবে কি সব!!!
মাগো তুমি থেকো সদা,
খোদার দেয়া পথে;
বড় পীরের মায়ের মতো,
পায়গো তোমাকে।
স্বভাব, চরিত সকল কিছু,
পায়গো যেন তোমার,
দ্বীন-দুনিয়ার গর্ব হবে,
মায়ের অহংকার।
কালের স্রোতে ভাসবে নাক,
সব কি হারাবে!!!
খোদার দেয়া জীবন বিধান;
নাওগো মনে প্রাণে।
তোমার হয়ে ফেরেশ্তারা
লড়বে দেখো মা,
খবিশ আর ইবলিস যতো,
সুযোগ পাবেনা।
বাবা আমার ধৈর্য্য ধরো,
হবেনাক পথহারা,
মাথার মুকুট, চোখের তারা,
তুমি পথের দিশা।
শিক্ষা-দীক্ষা, হাতে কলমে,
মহান যতো কর্মভার,
সব তোমারি কাছে নিব,
গর্ব হবো তোমার।
ইচ্ছে তোমার স্বাধীন মাগো,
ইচ্ছে করো মহৎ,
তোমার সন্তান আসলে মাগো!
পূরণ হবে স্বপন।
বাবা মায়ের সোনার মানিক,
নয়নের শান্তি,
চায়গো দোয়া দ্বীন-দুনিয়ায়,
হতে যেন পারি।

--------- আরিফ ইবনে শামছ্
০৫/০৬/২০১৭ ঈসায়ী সাল।
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২,
ভাদুঘর, সদর, বি.বাড়ীয়া-৩৪০০।
All reactions:
You, Adel Farhan, Kamal Hossain and ৪ others

০৯। আন্তরিক শুভেচ্ছা

 আধুনিক লোকজ মহাকবি আল্ মাহমুদ এর ৮২ তম জন্মদিনে আন্তরিক শুভেচ্ছা


"কাবিলের বোন", "পানকৌড়ির রক্ত", মনোহর "প্রবন্ধ সংগ্রহ",
প্রতিটি পরতে পরতে তোমার কবি- সত্ত্বাকে পেয়েছি সততঃ।
কখনোবা আনমনে গেয়ে বেড়াতাম
নিরাকপড়া দুপুরবেলা,
"আমার মায়ের নোলক খানি হারিয়ে গেলো শেষে" সে' কবিতা।
"হাত দিয়োনা বুকে আমার ভরা বোয়াল মাছে!"
কি চমৎকার ছন্দমালা, পড়েছি কি কেউ আগে!
কখনো বা চাঁদনী রাতে কন্ঠে বাজে "না ঘুমানোর দল"
ছন্দ মোহে, প্রকাশ ঢংয়ে হারিয়েছি নিজেকে কত!
তিতাস পাড়ের ছেলে, কভু মেঘনার ঢেউ বাজে বুকে,
শুনেছি কত কথা-কাহিনী, জীবন ছবি বাবার মুখে।
পরিবারের গল্প মাঝে বলতো বাবা তোমার কথা,
পাঠ্য বইয়ে তোমায় দেখেছি, পড়েছি তোমার লেখা।
কবি ও কবিতার রাজ্যে, সত্যিই তুমি মহান সাধক,
স্বাদ -গন্ধ, রং-রূপ, সাহিত্য রস, আস্বাদন।
তোমার তুলির পরশে, জীবনের সব বাস্তবতা,
সুর আর ছন্দে আরো জীবন্ত, সবাই জানলো তা'।
জন্মদিনের শুভেচ্ছা জেনো হে আধুনিক কবি!
শত পদ্ম, শাপলা শালুক, প্রকৃতির সব রূপ অপ্সরী,
তারা ভরা আকাশ তোমায়, দিলাম তারার মেলা,
চাঁদ সুরুজের মতোই তুমি, আলোক দিবে সদা।
মাথার 'পরে ছায়ার মতো থাকো কবি জীবন ভর,
দেশ ও জাতির আশার আলো, হাজার বছর রও বেঁচে রও ।
তোমরা যারা পুরো জীবন সঁপে দিলে জাতির তরে,
আমরা কভু পারবো কিগো, মহা ঋণের দেনা দিতে!

আরিফ ইবনে শামছ্
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২,
ভাদুঘর, সদর, বি.বাড়ীয়া-৩৪০০।

০৮। পাথর দিয়ে যুদ্ধ



ইরাক, ইরান, তুরান, কাশ্মীর,
কাতার আর সিরিয়া,
সৌদি আরব, সুদান, মিশর, পুরো
আফ্রোশিয়া।
উপমহাদেশ, স্থান, আর দেশ -মহাদেশ,
সব সৃষ্টি স্রষ্টার জানি, আমরা বিশ্বের, বিশ্ব মোদের।
হানাহানি আর মারামারি করে, মানুষ মানুষেরে,
হৃদয় আছে ঠিকই দেহে, নাই যে দরদ অন্তরে।
সৃজিত হল কত দল উপদল, কেউ সহেনা কারো,
এক হওয়ার মন্ত্র ভুলে, অনৈক্যে খায় হাবুডুবু।
নাই সে খেয়াল, দূর করিবার ব্যবধান যতো আছে!
আমার আমি, অহমিকা আর অন্ধ সকল জনে।
কোরান কিতাব, হাদিস, ইজমা, কিয়াস জেনেছে কতো!
সবাই মিলে একই বাঁধনে, নাইকি বাঁধিবার কেহ!
কত আরাধনা চলে অবিরাম দিবস যামিনী দেখো,
পাশের বাড়ীর অধিবাসী যারা, খেতে পেরেছে কি জানো?
ঋণের চাঁপে, লজ্জা শরমে, সহসা মৃত্যু দেয়যে হানা,
কানে তুলো আর চোখে ঠুলি বাঁধে সমাজের ধনী যারা।
দেশের রাজারা ব্যস্ত সদা, নিজেদের ব্যবসা দেখো,
দেশ ধর্ম কোথায় গেল, জাতির ঐক্য এলো কি গেলো!
তা'তে কি কার, কিছু আসে যায়, জীবনের দাম নাই!
সকাল বিকাল মারছে শিশু, দূর্বল নারীরা ও মারা যায়।
কথার কথা, নামে মাত্র সবাই করে বাদ- প্রতিবাদ!
মিছিলে মিছিলে যায় হারিয়ে প্রতিশোধের অগ্ন্যোৎপাত।
নায়কি সাহস দাঁড়াতে পাশে, মাজলুম যতো বিশ্ব মাঝে,
পাথর দিয়ে যুদ্ধ করে জীবন সঁপে, শহিদী পথে।

--------- আরিফ ইবনে শামছ্
১৫.০৬.২০১৭ ঈসায়ী সাল।
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২,
ভাদুঘর, সদর, বি.বাড়ীয়া-৩৪০০।

০৬। ক'ফোঁটা রক্ত


তোমরা আছো বলে বেঁচে আছে
দেশ সমাজ,
বয়সে ছোট হতে পার, তবে করে যাও
বড় বড় কাজ।
রক্তের বাঁধনে লহ বাঁধিয়া, জাননা কেবা আপন পর!
শুধু জান রক্ত লাগবে, রক্ত চায়,
কে আছো? কোন জন?
হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে শুয়ে, মৃত্যুর প্রতীক্ষায়,
প্রহর গুনে মরি মরি, সকাল সন্ধ্যা কত বেলা যায়,
কেউ নাই কারো, আবার আছে অনেক আত্মীয় কারো,
রক্ত দেবে ভাই! রক্ত লাগবে; বাঁচাতে প্রাণ তা'রো।
মন মানসে, দেহ মননে তৈরি থেকো ভাই,
ক'ফোঁটা রক্তে তোমার যদি, বাঁচে কোন বোন ভাই।
তোমার রক্তে নবজাতক কোন ফিরে পায় পৃথ্বী পথ,
মা সকল পৃথিবীর যদি দেখে বাঁচার স্বপ্ন সব।
রক্ত যাদের নেশা পেশা; রক্ত করে নাক পান!
রক্তের তরে নিদ নাই তার, এই বুঝি যায় কারো প্রাণ!
রক্ত দানে দিবা নিশি ছুটে, চেনা অচেনা কত পথ!
রক্তের যোগান দিতে হবে ভাই, এই আমাদের পণ।
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২,
ভাদুঘর, সদর, বি.বাড়ীয়া-৩৪০০।

আরিফ ইবনে শামছ্
All reac

০৪। চিকনগুনিয়া



নাম ঠিকানা ভূলিয়ে দিবে,
চিকনগুনিয়া।
ডানে হাঁটার ইচ্ছে হলেই,
হাঁটা যাবেনা।
চালক ঠিকই দেহের তুমি,
নাইযে কোন বল,
চলার পথে উদাস হলে,
দেখবে বহু বিপদ।
কেউবা বলে নাপা খাও ,
প্রচুর তরল খাবার,
কেউ বলে বা প্যারাপাইরল,
ডাবের পানি পান।
সত্যি কথা বলতে গেলে,
ভয়ে হবেন কাৎ,
মুখের রুচি, ঘুমের বিরাম,
সবি নেবে ভাই।
নাওয়া খাওয়া বিনে ক'দিন,
ঘুমে অচেতন,
ব্যাথার সাথে নিরস থাকা,
রয়না দেহে বল।
সব যোগাযোগ হালকা হবে,
বাড়বে ছুটা ছুটি।
কখনো বা হেরে গিয়ে,
শিশু কালের স্মৃতি।
যতো পারেন বেশি করে,
পানি করো পান,
দূর্বল যেন নাইবা করে,
ভাল ভাল খান।

----------------- আরিফ ইবনে শামছ্
২০/০৬/২০১৭ ঈসায়ী সাল।
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২,
ভাদুঘর, বি.বাড়ীয়া-৩৪০০।

সোমবার, এপ্রিল ১০, ২০২৩

শ্বাশ্বত আহ্বান


 

শ্বাশ্বত আহ্বান
-----------আরিফ শামছ্
২২.১০.২০১৭ ঈসায়ী সাল।

বেলা বেলা করে কত বেলা যায়,
ডাকিনি প্রভু কখনো তোমায়!
তাই বলে তো বন্ধ রাখনি,
সকল বাঁচার উপায়।

 

ফজর পড়িনি গভীর ঘুমে,
আরামে অলসে শোয়ে,
সূর্য জাগিল পূর্ব গগনে,
তোমার বন্দনা গেয়ে।

 

যোহরের আজান সুমধুর সুরে,
আকাশে বাতাসে ভাসে,
কর্নকুহরে ধ্বনি প্রতিধ্বনি সাজে,
হৃদয়ে ভীষণ বাজে।

 

যৌবন বেলা পার করে রবি
পশ্চিমে যায় হেলে,
আসরের আজান পড়লো ছড়িয়ে,
জামাতে শামিল হতে।

 

জ্বলিতে জ্বলিতে অস্তাচলে,
রবি বলে জনে জনে।
সময়ের কাজ সময়ে করো,
বেলা ফুড়ানোর আগে।

 

দিনের আলোর পর্দা সরায়ে,
নীরবে সন্ধ্যা নামে।
মাগরিবের আজান মিনার হতে,
চির শ্বাশ্বত আহ্বানে।

 

পশু, পাখি, প্রাণী, ফিরছে নীড়ে,
মানুষেরা সব আবাসভূমে,
রক্তিমাভ ঢেউ খেলে যায়,
পশ্চিম আকাশ পরে।

 

স্তব্ধ নিঝুম ভেঙ্গে আসে
এশার আজান শুনি,
মনের মাঝে কত ঝড় চলে,
নামাজ পড়িতে না পারি!

 

তোমার স্তুতি করিতে আমার
নেই ক্ষমতা কোন,
দয়া করে যদি পথ দেখাতে,
হিম্মত পেতাম শত।

 

তোমার ক্ষমা যাচে সদা,
মোর তনু আর প্রাণ,
তোমার রাজী, রহম, করম,
আমার অহংকার।

 

ভোর ০৪:৩০ মিনিট,
মধুবাগ, বড় মগবাজার, ঢাকা।

ভালবাসি দিবা-নিশি _সূচীপত্র

কপিরাইট আইন: জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট, লঙ্ঘনের কারণ, সমস্যা ও সমাধান

📄 প্রবন্ধ শিরোনাম: “কপিরাইট আইন: জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট, লঙ্ঘনের কারণ, সমস্যা ও সমাধান” ✍️ লেখক: আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া (আরিফ শামছ)...