অর্থশালী বা ধনী কে বা কাদের বলা হয়?

অর্থশালী বা ধনী সেই ব্যক্তিকে বলা হয়, যার কাছে প্রচুর পরিমাণে সম্পদ, টাকা-পয়সা, এবং সম্পত্তি রয়েছে। এ ধরনের ব্যক্তি সাধারণত আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হন, এবং তার নিজের বা অন্যদের প্রয়োজন মেটানোর জন্য পর্যাপ্ত অর্থ থাকে। ধনী ব্যক্তি ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, উচ্চ আয়ের চাকরিজীবী বা উত্তরাধিকারসূত্রে প্রচুর সম্পদ অর্জনকারী হতে পারেন।

কিভাবে সহজে অর্থশালী বা ধনী হওয়া যায়?
সহজে অর্থশালী বা ধনী হওয়ার কোনও নির্দিষ্ট সূত্র নেই, তবে কিছু সাধারণ কৌশল বা অভ্যাস রয়েছে যা আর্থিক সাফল্য অর্জনে সহায়ক হতে পারে। ধনী হওয়ার জন্য পরিশ্রম, পরিকল্পনা, ধৈর্য, এবং সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ জরুরি। নিচে কিছু পদক্ষেপ উল্লেখ করা হলো:
1. সঞ্চয় এবং বিনিয়োগ: আয়ের একটি অংশ নিয়মিতভাবে সঞ্চয় করা এবং বিভিন্ন বিনিয়োগে (যেমন শেয়ার বাজার, মিউচুয়াল ফান্ড, সম্পত্তি) বিনিয়োগ করা গুরুত্বপূর্ণ। এতে দীর্ঘমেয়াদে মূলধন বৃদ্ধি পায়।
2. ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করা: অপ্রয়োজনীয় খরচ কমিয়ে আনা এবং শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রে ব্যয় করা উচিত। পরিকল্পিত বাজেটের মাধ্যমে ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করা আর্থিক সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।
3. আয়ের একাধিক উৎস তৈরি করা: শুধুমাত্র একটি আয়ের ওপর নির্ভর না করে আয়ের একাধিক উৎস (যেমন পার্ট-টাইম ব্যবসা, ফ্রিল্যান্সিং, ই-কমার্স) তৈরি করা জরুরি। এতে ঝুঁকি কমে এবং আয় বাড়ে।
4. দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য স্থাপন করা: আর্থিক লক্ষ্যগুলি দীর্ঘমেয়াদে স্থির করে সেই অনুযায়ী কাজ করা উচিত। ধীরে ধীরে ধৈর্যের সঙ্গে পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে যাওয়া সাফল্য বয়ে আনতে পারে।
5. শিক্ষা এবং দক্ষতা বৃদ্ধি: নিজের জ্ঞান ও দক্ষতা বাড়ানোর মাধ্যমে ভালো কাজের সুযোগ বা ব্যবসার উন্নতি করা সম্ভব। উচ্চ দক্ষতা ও বিশেষায়িত জ্ঞান আর্থিক অগ্রগতিতে সহায়ক হতে পারে।
6. ব্যবসা বা স্টার্টআপ শুরু করা: একটি সফল ব্যবসা শুরু করা ধনী হওয়ার একটি সম্ভাব্য উপায়। সঠিক পরিকল্পনা, কঠোর পরিশ্রম, এবং সৃজনশীল ধারণার মাধ্যমে একটি সফল ব্যবসায়িক উদ্যোগ চালানো যেতে পারে।
7. নেটওয়ার্কিং এবং সুযোগ খোঁজা: ব্যবসায়িক যোগাযোগ বৃদ্ধি করা এবং নতুন সুযোগের সন্ধান করা আর্থিক প্রবৃদ্ধির সহায়ক হতে পারে।
ধনী হওয়ার প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ এবং ধৈর্য, পরিশ্রম ও সঠিক পরিকল্পনার প্রয়োজন। দ্রুত ধনী হওয়ার কোনও সহজ উপায় নেই, তবে সঠিক কৌশল অনুসরণ করলে দীর্ঘমেয়াদে সফল হওয়া সম্ভব।
বিনা পুঁজিতে ধনী হওয়া সম্ভব?
বিনা পুঁজিতে ধনী হওয়া অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং, তবে সম্পূর্ণ অসম্ভব নয়। অনেকেই সীমিত সম্পদ বা বিনিয়োগ ছাড়াই তাদের মেধা, পরিশ্রম, এবং সুযোগের সদ্ব্যবহার করে সফলতা অর্জন করেছেন। তবে এজন্য বিশেষ কৌশল, দক্ষতা, এবং সময়ের প্রয়োজন। কিছু উপায়ে বিনা পুঁজিতে অর্থনৈতিক সাফল্য অর্জন করা সম্ভব হতে পারে:
১. মেধা ও দক্ষতার ব্যবহার
আপনি যদি বিশেষ কোনও দক্ষতা বা মেধার অধিকারী হন, যেমন প্রোগ্রামিং, ডিজাইনিং, লেখালেখি, বা সংগীত, তা থেকে আয় করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং বা কনসালটেন্সির মাধ্যমে আপনি বিনা পুঁজিতে নিজের সেবার মাধ্যমে আয় শুরু করতে পারেন।
২. সঠিক সুযোগের সদ্ব্যবহার
অনেক সময় সঠিক সময়ে সঠিক সুযোগ ধরতে পারলে বিনা পুঁজিতেও বড় সফলতা অর্জন করা যায়। উদাহরণস্বরূপ, ইন্টারনেটে ফ্রিল্যান্স প্ল্যাটফর্মে কাজ শুরু করা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে নিজেকে প্রচার করা ইত্যাদি।
৩. পার্টনারশিপ এবং জয়েন্ট ভেঞ্চার
পুঁজিহীন হলেও আপনি অন্য কারও সাথে পার্টনারশিপে কাজ শুরু করতে পারেন। অন্য কেউ যদি পুঁজির যোগান দিতে পারে, তবে আপনি আপনার মেধা, সময়, এবং শ্রম দিয়ে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে সফলতা পেতে পারেন।
৪. ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ব্যবহার
বর্তমানে অনলাইনে অনেক ব্যবসা শুরু করা যায় যা পুঁজি ছাড়াও করা সম্ভব। ব্লগিং, ইউটিউব চ্যানেল তৈরি, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, অথবা ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করে ধীরে ধীরে আয় বৃদ্ধি করা সম্ভব।
৫. ব্যক্তিগত ব্র্যান্ড তৈরি করা
নিজের দক্ষতা বা ব্যক্তিত্বকে একটি ব্র্যান্ডে পরিণত করা সম্ভব। বিশেষ কোনও বিষয়ে দক্ষতা থাকলে তা নিয়ে মানুষকে সাহায্য করা বা প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে ধীরে ধীরে আয় বাড়ানো যেতে পারে।
৬. অন্যের পুঁজিতে ব্যবসা শুরু করা
আপনি যদি কোনও ভালো ব্যবসার ধারণা নিয়ে থাকেন তবে বিনিয়োগকারীদের খুঁজে সেই ধারণা বিক্রি করতে পারেন। বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে পুঁজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করা সম্ভব, যেখানে আপনার মূলধনের প্রয়োজন নেই।
৭. নিজের নেটওয়ার্কের ব্যবহার
পরিচিতদের মাধ্যমে আর্থিক সহযোগিতা বা ব্যবসায়িক সুযোগ খুঁজে পেতে পারেন। নেটওয়ার্কিং একটি শক্তিশালী মাধ্যম, যা অনেক সময় বিনা পুঁজিতেও সফলতার পথ খুলে দেয়।
৮. ঋণ বা বিনিয়োগ সংগ্রহ করা
ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় পুঁজি জোগাড় করতে ব্যাংক বা বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ঋণ নেওয়া যেতে পারে। তবে ঋণ নিলে তা সময়মতো পরিশোধ করার পরিকল্পনা থাকতে হবে।
ধনী হওয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ধৈর্য, মেধা এবং কঠোর পরিশ্রম। পুঁজিহীন অবস্থায় সফল হতে সময় লাগতে পারে, তবে যদি আপনি আপনার দক্ষতা এবং সুযোগের সঠিক ব্যবহার করেন, তাহলে ধীরে ধীরে অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জন সম্ভব।
কী ধরনের কাজ বা ব্যবসায় দ্রুত ধনী বা অর্থশালী হওয়া যাবে?
দ্রুত ধনী বা অর্থশালী হওয়া কঠিন এবং ঝুঁকিপূর্ণ, কারণ কোনো কাজ বা ব্যবসায় দ্রুত সফলতার নিশ্চয়তা নেই। তবুও, কিছু ক্ষেত্রে দ্রুত অর্থ উপার্জন সম্ভব, তবে তা নির্ভর করে আপনার মেধা, দক্ষতা, পরিশ্রম, এবং বাজারের চাহিদার ওপর। নিচে কিছু কাজ বা ব্যবসার ধরন উল্লেখ করা হলো, যেগুলো সঠিকভাবে পরিচালিত হলে দ্রুত অর্থ উপার্জনের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে:
১. টেকনোলজি এবং স্টার্টআপ
প্রযুক্তি খাতে স্টার্টআপ শুরু করা, যেমন সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, মোবাইল অ্যাপ বা ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট, ফিনটেক, এআই, ব্লকচেইন ইত্যাদি। সফল হলে দ্রুত বড় লাভের সুযোগ থাকে। অনেক স্টার্টআপ দ্রুতবেগে বড় আকারের কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে।
২. ই-কমার্স ব্যবসা
অনলাইনে পণ্য বিক্রি (ড্রপশিপিং, নিজের ব্র্যান্ডের পণ্য) একটি দ্রুতবর্ধনশীল ব্যবসার ক্ষেত্র। আপনি নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি করে বা জনপ্রিয় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে (যেমন Amazon, eBay) পণ্য বিক্রি করতে পারেন।
৩. ডিজিটাল মার্কেটিং
ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি শুরু করা বা ফ্রিল্যান্স ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে কাজ করা। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, SEO, কন্টেন্ট মার্কেটিং ইত্যাদি ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
৪. ক্রিপ্টোকারেন্সি এবং শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ
ক্রিপ্টোকারেন্সি বা স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করে অনেকেই দ্রুত ধনী হয়েছেন। তবে এই ধরনের বিনিয়োগ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং সঠিক বিশ্লেষণ ও জ্ঞান ছাড়া এতে লগ্নি করা উচিত নয়।
৫. রিয়েল এস্টেট
রিয়েল এস্টেট খাতে বিনিয়োগ করে দ্রুত লাভ করা সম্ভব। সঠিক স্থানে সঠিক সময়ে সম্পত্তি কেনা ও বিক্রি করার মাধ্যমে বড় আয় অর্জন করা যায়।
৬. ফ্রিল্যান্সিং এবং অনলাইন সেবা
যদি আপনার কাছে বিশেষ কোনো দক্ষতা থাকে (যেমন গ্রাফিক ডিজাইন, প্রোগ্রামিং, কন্টেন্ট রাইটিং), তবে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে (যেমন Upwork, Fiverr) কাজ শুরু করে দ্রুত আয় করা সম্ভব।
৭. ইউটিউব এবং ব্লগিং
ইউটিউব চ্যানেল বা ব্লগিং করে দ্রুত অর্থ উপার্জন সম্ভব, যদি আপনি একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে ভালো কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন এবং বড় দর্শকসংখ্যা তৈরি করতে সক্ষম হন। বিজ্ঞাপন এবং স্পন্সরশিপের মাধ্যমে এখান থেকে ভালো আয় করা যায়।
৮. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য বা সেবার প্রচারণা করে কমিশন আয় করা যায়। বিশেষত, অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম, ClickBank, ShareASale ইত্যাদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জন্য জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম।
৯. ড্রপশিপিং
ড্রপশিপিং এমন একটি ই-কমার্স ব্যবসায়িক মডেল, যেখানে আপনি পণ্য কিনে স্টক না করেই বিক্রি করতে পারেন। আপনি কেবল মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেন, এবং সরবরাহকারীরা পণ্য সরবরাহ করে।
১০. অনলাইন কোর্স তৈরি ও বিক্রি
আপনি যদি কোনো বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হন, তবে অনলাইন কোর্স তৈরি করে বিভিন্ন শিক্ষামূলক প্ল্যাটফর্মে (যেমন Udemy, Coursera) বিক্রি করতে পারেন।
১১. ফ্র্যাঞ্চাইজি ব্যবসা
জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করা দ্রুত লাভজনক হতে পারে। কারণ, জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের চাহিদা এবং গ্রাহকদের বিশ্বাস থাকে।
১২. অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট
মোবাইল অ্যাপ বা গেম ডেভেলপ করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। জনপ্রিয় অ্যাপ বা গেম থেকে বিজ্ঞাপন, সাবস্ক্রিপশন এবং ইন-অ্যাপ পারচেসের মাধ্যমে বড় আয় আসে।
ঝুঁকি এবং সতর্কতা:
দ্রুত ধনী হওয়ার চেষ্টা প্রায়শই বড় ঝুঁকির সঙ্গে যুক্ত থাকে। আপনি যদি একটি নির্দিষ্ট ব্যবসায় বা বিনিয়োগে সফল না হন, তবে আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। তাই যেকোনো ব্যবসা বা বিনিয়োগের আগে সঠিকভাবে গবেষণা করা এবং পরিকল্পনা করা অত্যন্ত জরুরি।
উপসংহার:
দ্রুত ধনী হওয়া সম্ভব, তবে এটি নির্ভর করে বাজারের চাহিদা, আপনার দক্ষতা এবং সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ওপর। সব ক্ষেত্রেই ঝুঁকি থাকে, তাই বিনিয়োগ বা ব্যবসার পরিকল্পনা করার আগে বিস্তারিত গবেষণা এবং পরামর্শ নেওয়া উচিত।
জীবনে ধনী হওয়াটা কী জরুরি?
জীবনে ধনী হওয়া জরুরি কি না, তা নির্ভর করে ব্যক্তির মূল্যবোধ, লক্ষ্য, এবং জীবনযাপনের ওপর। ধনী হওয়ার মাধ্যমে আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য, স্বাধীনতা, এবং উন্নত জীবনযাত্রা নিশ্চিত করা সম্ভব হলেও, এটি জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য হওয়া উচিত নয়। এখানে ধনী হওয়ার কিছু সুবিধা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলো:
ধনী হওয়ার কিছু সুবিধা:
1. আর্থিক স্বাধীনতা: ধনী হলে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হবেন এবং আর্থিক উদ্বেগ থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন। এটি আপনাকে আপনার পছন্দ অনুযায়ী জীবন যাপনের স্বাধীনতা দেয়।
2. পরিবারের জন্য সুরক্ষা: ধনী হওয়ার মাধ্যমে আপনি আপনার পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে পারবেন, যেমন সন্তানের শিক্ষা, চিকিৎসা ব্যয়, এবং ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয়।
3. সুযোগের বৃদ্ধি: ধনী হলে বিভিন্ন নতুন ব্যবসা শুরু করা, বিনিয়োগ করা বা নিজের পছন্দের কাজ করার সুযোগ পাওয়া যায়, যা আপনার জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে।
4. সামাজিক অবদান: ধনী ব্যক্তিরা সমাজের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে (যেমন দাতব্য কাজ, শিক্ষামূলক প্রকল্প) অবদান রাখতে পারেন। এতে সমাজে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।
5. জীবনের মান উন্নয়ন: ধনী হলে আপনি উন্নত জীবনযাত্রা, ভ্রমণ, বিনোদন এবং অন্যান্য সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন, যা জীবনকে আরও আনন্দময় করে তুলতে পারে।
তবে ধনী হওয়া জীবনের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত নয়, কারণ:
1. আত্মতুষ্টি এবং সুখ: শুধুমাত্র টাকা থাকলেই জীবন সুখের হয় না। মানসিক শান্তি, আত্মতৃপ্তি এবং সম্পর্কগুলোর সুরক্ষা জীবনের গুরুত্বপূর্ণ দিক। অনেক সময় দেখা যায় যে অর্থের প্রতি অতিরিক্ত আসক্তি মানসিক চাপ এবং সম্পর্কের ক্ষতি ডেকে আনে।
2. অর্থের বাইরে জীবনের অন্যান্য মূল্যবোধ: পরিবার, বন্ধুত্ব, সামাজিক সম্পর্ক, স্বাস্থ্য এবং মানসিক শান্তি অর্থের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। এসবের গুরুত্বের প্রতি মনোযোগ না দিলে জীবনে স্থায়ী সুখ পাওয়া কঠিন।
3. অর্থের ঝুঁকি: দ্রুত ধনী হওয়ার চেষ্টা অনেক সময় ঝুঁকিপূর্ণ হয়। ভুল বিনিয়োগ বা ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত অর্থনৈতিক ক্ষতি ডেকে আনতে পারে, যা মানসিক এবং শারীরিক চাপের কারণ হতে পারে।
4. অর্থের প্রতি অতিরিক্ত আসক্তি: অর্থ যদি জীবনের একমাত্র লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায়, তবে তা অনেক সময় নৈতিকতার বাইরে চলে যেতে পারে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে ব্যক্তি নিজের এবং অন্যদের ক্ষতি করতে পারে।
উপসংহার:
ধনী হওয়া জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হতে পারে, কারণ এটি আর্থিক স্বাধীনতা এবং উন্নত জীবনযাত্রা নিশ্চিত করে। তবে, এটি জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য হওয়া উচিত নয়। সুখ, শান্তি, সম্পর্ক, স্বাস্থ্য, এবং আত্মতৃপ্তি ধনী হওয়ার চেয়ে বেশি মূল্যবান। তাই জীবনের মূল লক্ষ্য হতে পারে একটি ভারসাম্যপূর্ণ জীবন যাপন, যেখানে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ করতে পারবেন এবং একই সঙ্গে মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে পারবেন।
কোন ধরনের মানুষ তাড়াতাড়ি ধনী হয়?
তাড়াতাড়ি ধনী হওয়া নির্ভর করে মানুষের ব্যক্তিগত গুণাবলী, কাজের ধরন, সুযোগের সদ্ব্যবহার, এবং পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার দক্ষতার ওপর। সাধারণত, কিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের অধিকারী ব্যক্তিরা দ্রুত ধনী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। নিচে সেই ধরনের গুণাবলীর আলোচনা করা হলো:
১. কঠোর পরিশ্রমী এবং নিবেদিতপ্রাণ
যারা নিরলস পরিশ্রম করেন এবং লক্ষ্য অর্জনে ধৈর্য ধরে কাজ করে যান, তারা দ্রুত সফল হতে পারেন। কঠোর পরিশ্রম ধনী হওয়ার একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য।
২. ঝুঁকি নিতে ইচ্ছুক
যারা বুদ্ধিমানের সঙ্গে ঝুঁকি নিতে ইচ্ছুক, যেমন নতুন ব্যবসা শুরু করা, বিনিয়োগ করা, বা বাজারের অজানা জায়গায় প্রবেশ করা, তাদের দ্রুত ধনী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে এই ঝুঁকি নেওয়া অবশ্যই ভালো বিশ্লেষণ ও পরিকল্পনার ওপর ভিত্তি করে হওয়া উচিত।
৩. সৃজনশীল এবং উদ্ভাবনী
যারা সৃজনশীল এবং নতুন ধারণা নিয়ে আসতে পারেন, তারা দ্রুত সফলতা অর্জন করতে পারেন। উদ্ভাবনী মানুষরা নতুন সমস্যার সমাধান নিয়ে আসে এবং প্রচলিত চিন্তাভাবনার বাইরে গিয়ে সুযোগ খুঁজে পায়।
৪. কৌশলী এবং সুযোগসন্ধানী
যারা বাজারের প্রবণতা বুঝে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন এবং সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে জানেন, তারা দ্রুত ধনী হতে পারেন। সুযোগ ধরা এবং সময়মতো সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া সফলতার চাবিকাঠি।
৫. নেটওয়ার্কিং দক্ষতাসম্পন্ন
ধনী হওয়ার পথে নেটওয়ার্কিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যারা নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করতে পারেন এবং ব্যবসায়িক যোগাযোগকে ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারেন, তারা দ্রুত উন্নতি করেন। ভালো যোগাযোগের মাধ্যমে নতুন সুযোগ তৈরি করা সম্ভব।
৬. ফাইন্যান্সের জ্ঞান এবং সঠিক বিনিয়োগ দক্ষতা
যারা আর্থিক বিষয়ে জ্ঞান রাখেন এবং সঠিকভাবে বিনিয়োগ করতে জানেন, তারা দ্রুত ধনী হতে পারেন। শেয়ার বাজার, রিয়েল এস্টেট, ক্রিপ্টোকারেন্সি বা অন্যান্য বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া অর্থ বাড়ানোর একটি মূল উপায়।
৭. সঠিক পরিকল্পনাকারী
যারা নির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করে সেই অনুযায়ী দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করতে পারেন এবং সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দৃঢ়ভাবে কাজ করতে পারেন, তারা দ্রুত ধনী হতে পারেন। ধনী হওয়ার জন্য শুধু ইচ্ছাই নয়, বরং সঠিক পরিকল্পনা এবং তার বাস্তবায়ন গুরুত্বপূর্ণ।
৮. বহুমুখী আয়ের উৎস তৈরি করতে সক্ষম
যারা একাধিক আয়ের উৎস তৈরি করতে পারেন, যেমন চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা, ফ্রিল্যান্সিং, বা বিনিয়োগ থেকে আয়, তারা দ্রুত ধনী হতে পারেন। একাধিক আয়ের উৎস আর্থিক প্রবৃদ্ধির পথকে ত্বরান্বিত করে।
৯. অধ্যবসায়ী এবং ব্যর্থতা থেকে শিখতে সক্ষম
যারা ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে আবার চেষ্টা করতে পারেন, তারা সাধারণত দ্রুত সফল হন। ব্যর্থতা জীবনের অংশ, এবং তা থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা ধনী হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
১০. ইন্টারনেট এবং প্রযুক্তির সদ্ব্যবহার
যারা আধুনিক প্রযুক্তি ও ইন্টারনেট ব্যবহার করে নতুন ব্যবসা শুরু করেন বা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কাজ করেন, তারা দ্রুত ধনী হতে পারেন। ডিজিটাল মার্কেটিং, ই-কমার্স, এবং অনলাইন শিক্ষার মতো ক্ষেত্রগুলোতে বড় সম্ভাবনা রয়েছে।
উপসংহার:
ধনী হওয়ার জন্য কোনো নির্দিষ্ট সূত্র নেই, তবে কিছু বৈশিষ্ট্য এবং গুণাবলী দ্রুত সফলতা অর্জনে সহায়ক হতে পারে। কঠোর পরিশ্রম, ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা, সৃজনশীলতা, কৌশলগত চিন্তাভাবনা, এবং সময়ের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার দক্ষতা থাকলে একজন ব্যক্তি দ্রুত ধনী হতে পারেন। তবে সফলতার পাশাপাশি সতর্কতা ও ধৈর্যও প্রয়োজন, কারণ দ্রুত ধনী হওয়ার প্রক্রিয়ায় ঝুঁকিও থাকে।
ধনী হওয়ার জন্য প্রধানত প্রভাবকগুলো কী কী?
ধনী হওয়ার জন্য বেশ কিছু প্রভাবক বা ফ্যাক্টর কাজ করে, যেগুলো আর্থিক সাফল্য অর্জনের পথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই প্রভাবকগুলো মূলত ব্যক্তির দক্ষতা, সুযোগ, এবং আর্থিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ওপর নির্ভর করে। নিচে ধনী হওয়ার জন্য প্রধান কিছু প্রভাবক উল্লেখ করা হলো:
১. আয়ের উৎস
একটি প্রধান প্রভাবক হলো আয়ের উৎস। যারা একাধিক আয়ের উৎস তৈরি করতে পারেন, যেমন ব্যবসা, বিনিয়োগ, বা প্যাসিভ ইনকাম সোর্স (ভাড়া, ডিভিডেন্ড, ইন্টারেস্ট ইত্যাদি), তারা দ্রুত ধনী হতে পারেন। আয়ের উৎস যত বেশি হবে, ধনী হওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি হবে।
২. সঞ্চয় এবং বিনিয়োগের অভ্যাস
যারা আয়ের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ সঞ্চয় করেন এবং সঠিকভাবে বিনিয়োগ করতে পারেন, তারা দ্রুত ধনী হন। সঞ্চয় এবং বিনিয়োগ দীর্ঘমেয়াদে পুঁজির বৃদ্ধি নিশ্চিত করে এবং তা ধনী হওয়ার পথে বড় ভূমিকা রাখে।
৩. ব্যয় নিয়ন্ত্রণের দক্ষতা
যারা অপ্রয়োজনীয় ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার দক্ষতা রাখেন, তারা ধনী হতে পারেন। সঠিক বাজেট পরিকল্পনা ও আয়-ব্যয়ের ভারসাম্য বজায় রাখা একটি বড় প্রভাবক।
৪. ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা
আর্থিক সাফল্য অর্জনে ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবসা, স্টক মার্কেট, রিয়েল এস্টেট বা অন্যান্য ক্ষেত্রগুলোতে সঠিক সময়ে বুদ্ধিমানের সঙ্গে ঝুঁকি নেওয়া ধনী হওয়ার একটি মূল প্রভাবক।
৫. উদ্ভাবনী এবং সৃজনশীল চিন্তাভাবনা
যারা সৃজনশীল এবং উদ্ভাবনী ধারণা নিয়ে আসতে পারেন, তারা অনেক ক্ষেত্রে দ্রুত ধনী হতে পারেন। নতুন সমস্যার সমাধান এবং নতুন সুযোগ সৃষ্টি করার ক্ষমতা আর্থিক প্রবৃদ্ধিতে সহায়ক হয়।
৬. সঠিক নেটওয়ার্ক এবং যোগাযোগ
ব্যবসায়িক নেটওয়ার্ক বা সম্পর্ক তৈরি করার ক্ষমতা ধনী হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। সঠিক যোগাযোগ এবং সম্পর্কের মাধ্যমে নতুন ব্যবসার সুযোগ, বিনিয়োগ বা সহযোগিতা পাওয়া সম্ভব হয়।
৭. শিক্ষা এবং দক্ষতা
দক্ষতা ও জ্ঞান আর্থিক সফলতার মূল ভিত্তি। উচ্চ শিক্ষার পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ দক্ষতা অর্জন করা, যেমন প্রযুক্তি, ফাইন্যান্স, অথবা অন্যান্য বিশেষায়িত ক্ষেত্রে দক্ষতা থাকলে ধনী হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
৮. পরিকল্পনা এবং লক্ষ্য স্থির করা
যারা দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করতে পারেন এবং আর্থিক লক্ষ্য স্থির করে সেই অনুযায়ী কাজ করেন, তারা দ্রুত ধনী হতে পারেন। সঠিক পরিকল্পনা ও লক্ষ্য ধনী হওয়ার পথে এক প্রধান প্রভাবক।
৯. সময় এবং ধৈর্য
ধনী হওয়ার প্রক্রিয়া অনেক সময় ধীরগতিতে চলে। যারা সময় এবং ধৈর্য ধরে কাজ করতে পারেন, এবং দীর্ঘমেয়াদে অর্থের উপর সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, তাদের ধনী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
১০. প্রযুক্তি ও ইন্টারনেটের সদ্ব্যবহার
বর্তমান সময়ে প্রযুক্তি এবং ইন্টারনেট একটি বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে। ই-কমার্স, ডিজিটাল মার্কেটিং, অনলাইন কোর্স, ফ্রিল্যান্সিং, এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো ধনী হওয়ার বড় সুযোগ তৈরি করে দেয়।
১১. আন্তর্জাতিক বাজার ও বৈশ্বিক সুযোগ
যারা আন্তর্জাতিকভাবে কাজ করার সুযোগ খুঁজে পান বা বিদেশি বাজারে বিনিয়োগ করতে পারেন, তারা দ্রুত ধনী হতে পারেন। বৈশ্বিক ব্যবসা ও বিনিয়োগ ধনী হওয়ার বড় প্রভাবক হতে পারে।
১২. পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা
যারা বাজারের পরিবর্তনের সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নিতে পারেন, যেমন নতুন প্রযুক্তি বা নতুন ট্রেন্ড, তারা ধনী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। উদাহরণস্বরূপ, যাদের ইন্টারনেট বিপ্লবের সময় দ্রুত অনলাইন ব্যবসা শুরু করার দক্ষতা ছিল, তারা সফল হয়েছেন।
উপসংহার:
ধনী হওয়ার পথে মূল প্রভাবকগুলো হলো আয় বাড়ানো, সঞ্চয় এবং বিনিয়োগ, সঠিক নেটওয়ার্ক তৈরি, ঝুঁকি নেওয়া, এবং সৃজনশীল চিন্তাভাবনা। এগুলোর পাশাপাশি ধৈর্য এবং সঠিক পরিকল্পনার প্রয়োজন। তবে মনে রাখতে হবে, ধনী হওয়ার লক্ষ্য অর্জনের জন্য কঠোর পরিশ্রম, বুদ্ধি এবং আর্থিক সিদ্ধান্তগুলোকে সঠিকভাবে পরিচালনা করা অপরিহার্য।
যারা শিক্ষিত তারা অর্থশালী বা ধনী হয়না কেনো?
শিক্ষিত মানুষরা সবসময় অর্থশালী বা ধনী হয়ে ওঠে না, কারণ ধনী হওয়া শুধুমাত্র শিক্ষার ওপর নির্ভর করে না, বরং এটি বিভিন্ন প্রভাবক দ্বারা নির্ধারিত হয়। ধনী হওয়া মূলত ব্যক্তির দক্ষতা, সুযোগ, পরিশ্রম, সামাজিক অবস্থা, এবং কখনো কখনো ভাগ্যের ওপরও নির্ভর করে। এখানে কিছু কারণ দেওয়া হলো যা বোঝাতে পারে কেন শিক্ষিত মানুষ সবসময় ধনী হয় না:
১. আর্থিক শিক্ষা এবং পরিকল্পনার অভাব:
অনেক শিক্ষিত মানুষ ভালো একাডেমিক জ্ঞান অর্জন করে, কিন্তু অর্থনৈতিক শিক্ষা বা ফিনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে জানে না। ফলে তারা সঠিকভাবে সঞ্চয়, বিনিয়োগ, এবং আয় বাড়ানোর কৌশল জানে না, যা তাদের ধনী হতে সাহায্য করতে পারত।
২. সঠিক সুযোগের অভাব:
শিক্ষা গ্রহণ করলেও, সঠিক চাকরি বা ব্যবসার সুযোগ সবার জন্য সহজলভ্য হয় না। অর্থনৈতিক সাফল্য প্রাপ্তির জন্য কেবল শিক্ষাই যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন সঠিক সুযোগ এবং দক্ষতার সাথে সেই সুযোগকে কাজে লাগানো।
৩. ঝুঁকি নেওয়ার মানসিকতা:
ধনী হওয়ার জন্য অনেক সময় ঝুঁকি নেওয়ার মানসিকতা প্রয়োজন হয়, যেমন ব্যবসায় বিনিয়োগ করা বা নতুন কোনো উদ্যোগ শুরু করা। অনেক শিক্ষিত মানুষ ঝুঁকি নিতে ভয় পায়, যা তাদের ধনী হওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
৪. ব্যক্তিগত পছন্দ:
সব শিক্ষিত মানুষই ধনী হওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে না। অনেকেই চাকরি বা পেশাগত স্থিতিশীলতাকে বেশি মূল্য দেয়, যেখানে ধনী হওয়ার চেয়ে জীবনযাত্রার মান উন্নত রাখা তাদের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
৫. সমাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা:
শিক্ষা থাকলেও, কেউ যদি দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসে বা এমন জায়গায় থাকে যেখানে অর্থনৈতিক উন্নতির সুযোগ কম, তখন তাদের পক্ষে ধনী হওয়া কঠিন হতে পারে।
৬. পরিশ্রমের সাথে সংযোগ:
শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ, তবে কেবলমাত্র একাডেমিক শিক্ষা নয়, বাস্তব জীবনের দক্ষতাও প্রয়োজনীয়। অনেকে যারা উচ্চশিক্ষিত নয়, তারা ব্যবসা বা উদ্যোক্তা হিসেবে সাফল্য পেতে পারে কারণ তারা নতুন ধারণা বা উদ্যোগ নিয়ে কাজ করে।
৭. ভাগ্য এবং সময়:
অনেক সময় শিক্ষার চেয়ে বাজারের অবস্থান, সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত এবং ভাগ্যও বড় ভূমিকা পালন করে। ধনী হওয়ার পথ অনেকাংশে নির্ভর করে সঠিক সময় এবং পরিস্থিতির ওপর।
সারাংশে, শিক্ষিত হওয়া অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি জীবনে সাফল্য এনে দিতে পারে, কিন্তু ধনী হওয়া নির্ভর করে আরও অনেক ফ্যাক্টরের ওপর, যা শিক্ষার বাইরের।

মন্তব্যসমূহ

ChatGPT 3.5

পরিচিতি

নাম: আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া লেখালেখি: আরিফ ইবনে শামছ্ পিতা: বিশিষ্ট সমাজ ও সাহিত্যসেবক, কবি ক্বারী আলহাজ্ব শামছুল ইসলাম ভূঁইয়া (রাহঃ)।সহকারি প্রকৌশলী, বাংলাদেশ তার ও টেলিফোন (বি.টি এন্ড টি- বি.টি.সি. এল)। মাতা: মোয়াল্লিমা হালীমা সাদীয়া ভূঁইয়া। ঠিকানা: ফখরে বাঙ্গাল নিবাস, ভূঁইয়া পাড়া, বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২, গ্রাম: ভাদুঘর, পোষ্ট: ভাদুঘর-৩৪০০। থানা:সদর, জিলা: বি.বাড়ীয়া। পড়াশোনা: নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়, (৬ ষ্ঠ শ্রেনী) সদর, বি.বাড়ীয়া। ভাদুঘর মাহবুবুল হুদা পৌর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় (৭ম-১০ম)।হাবলা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় (রেজিষ্ট্রেশন) হতে ১৯৯৫ ঈসায়ী সালে কৃতিত্বের সাথে ১ম বিভাগে পাশ করেন।প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বরাবরই ফার্ষ্ট বয় ছিলেন।১৯৯৭ সালে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পাশ করেন।২০০১ সালে, বি.এস.এস (সন্মান-অর্থনীতি), ব্রাহ্মণবাড়ীয়া সরকারি কলেজ, ২০০৩ সালে, এম.এস.এস (অর্থনীতি), সরকারি তিতুমীর কলেজ, ঢাকা, বি.এড. বাংলাদেশ টিচার্স ট্রেইনিং কলেজ, ঢাকা (জাতীঃবিঃ), এম.এড (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), এম বিএ -এম এই এস (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-অধ্যয়নরত) পূর্বপুরুষদের পূর্বকথাঃ বৃহত্তর বিভাগ ময়মনসিংহের অন্তর্গত বেলগাঁও থানার দিলালপুরে বসবাস করতেন পাঁচ ভাই।দুই ভাই দ্বীনের কাজে বা ভ্রমনের উদ্দ্যেশ্যে দিলালপুর থেকে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া (ত্রিপুরা) জেলার সদর থানার অন্তর্গত ভাদুঘর গ্রামে আসেন।প্রাকৃতিক পরিবেশের অপূর্ব লীলানিকেতনের মোহে মোহাবিষ্ট হয়ে ভ্রাতাদ্বয় স্থায়ী বসবাসের সিদ্ধান্ত নেন ভাদুঘরে।"বংশ পরম্পরায় দ্বীন ধর্মের প্রচার প্রসার, অলি-আল্লাহদের খেদমত ও ইহসানের সুবাদে ধারণা মজবুতভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় যে, ভ্রমণে নয়, দ্বীন ধর্ম প্রচার বা ইসলামের দাওয়াত নিয়েই দুই ভাই এসেছিলেন"। কবিতা সাহিত্য সংস্কৃতির আসর (একটি গতিশীল সাহিত্যভান্ডার)। প্রাক্তন বিভাগীয় সম্পাদক, সাহিত্য সম্পাদক, মাসিক "বলিতে ব্যাকুল" পরবর্তীতে "তিতাস বার্তা"। মোবাইল: ০১৬১০০০৭৯৭০। বয়স: ৩৮ বছর। পেশা: চাকুরী। প্রকাশিত লেখা: দৈনিকভাবে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, দৈনিক প্রজাবন্ধু, মাসিক বলিতে ব্যাকুল, তিতাস বার্তা, হক্ব পয়গাম। মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম শেখ সম্পাদিত "ঝরা ফুলের গন্ধ" যৌথ কাব্য গ্রন্থে প্রকাশিত (১) "শ্বাশ্বত আহ্বাণ" এবং (২) "ছন্দ নাবিক"। মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম শেখ সম্পাদিত "বিজয়ের উল্লাসে" যৌথ কাব্য গ্রন্থে প্রকাশিত (১) সত্য সন্ধানী (২) বাঙালির স্বাধীনতা (৩) বিজয়ের উল্লাসে (৪) অনুশোচনা (৫) বিদ্রোহী তুমি, বিপ্লবী (৬) আজকের এই বাংলাদেশ (৭) ভাঙ্গা গড়া সংকলন ও সম্পাদনা: তাসকিন আব্দুল্লাহ "বাংলার ১০০ কবি ও কবিতা" যৌথ কাব্য গ্রন্থে প্রকাশিত আগুন জ্বালা অন্তরে | সন্মাননা পত্র প্রাপ্তি : পাক্ষিক সেরা কবি, আধুনিক বাংলা কবিতার আসর (কবিতাঃ কারবালার শিক্ষা),পাক্ষিক সেরা কবি, আধুনিক বাংলা কবিতাপাক্ষিক সেরা কবি, আধুনিক বাংলা কবিতা ছড়া ও গানের আসর (কবিতাঃতোরা থামবি কিনা বল।) সাহিত্য জাগরণ বাংলাদেশ (কবিতাঃহৃদয় কন্দরে। কবিতাঃ কবিতা তোমার।)শখের কবিতা সাহিত্য আড্ডা (কবিতাঃ টেকসই মানবতা।কবিতাঃ বিদ্রোহী তুমি বিপ্লবী।)। বাংলাদেশ কবি সংসদ, (সিলেট বিভাগ)।বাংলাদেশ কবি সংসদ, (চট্রগ্রাম বিভাগ) হতে সাহিত্য অঙ্গনে বিশেষ অবদানকৃত স্বরুপ বিশেসন্মাননা পত্র প্রাপ্তি।বিশেষ সন্মাননাপত্র, এসো কবিতা লিখি (কবিতাঃ জাগাও তুমি জেগে ওঠো!),দিনের (২০-১১-২০১৭) সেরা কবি, বাংলাদেশ কবি পরিষদ (কবিতাঃ বাঙ্গালীর স্বাধীনতা)।আন্তর্জাতিক কবি পরিষদ (আজকের- ০৬-১২-২০১৭- সেরা কবি, কবিতাঃ "জীবন তরী"); ছায়াবীথি (সেরা পোষ্ট- কবিতা ইভেন্টে বিজয়ী- কবিতাঃ "অনাগত সন্তানের আহ্বান"।সমাজ কল্যাণ সাহিত্য পরিষদ কর্তৃক সপ্তাহের (১৪-১২-২০১৭) সেরা বিজয়ী কবি, ১ম স্থান অধিকারী, (কবিতাঃ আসলে পতন, খবরদার !)বাংলা সাহিত্য (কবিতা ও গল্পের রস _১৪-১২-২০১৭_সাপ্তাহিক সেরা ২৫ এ ৫ম স্থান ( কবিতাঃ আসলে পতন, খবরদার !);বাংলা সাহিত্য (কবিতা ও গল্পের রস _২২-১২-২০১৭_সাপ্তাহিক সেরা ২৫ এ ১১ তম স্থান ( কবিতাঃ পরোয়ানা !)প্রজন্ম সাহিত্য সভা (প্রসাস-০৬-০২-২০১৮_সপ্তাহের সেরা ০৫ এ ০৪- কবিতাঃ স্বান্তনা) নকলা উপজেলা সমাজকল্যাণ সাহিত্য পরিষদ, সাপ্তাহিক সম্মাননা ১৬-০২-২০১৮, ( কবিতা: ফাগুনের গান); কাব্য প্রেমীদের প্রচার মাধ্যম_ গল্প কবিতা ও সাহিত্যের আসর_বিশেষ সম্মাননা _২২-০২-২০১৮ (কবিতা: প্রিয় বাংলাভাষা); কাব্য কথার মেলা সাহিত্যাঙ্গন, সাপ্তাহিক সেরা ০৫ (কবিতা: এই পৃথিবীর আর্তনাদ); সাহিত্যজগৎ (সকল সাহিত্য প্রেমিদের ঠিকানা), সাপ্তাহিক সেরা ০৫ (কবিতা: বিপ্লবী );শেরপুর সাহিত্য পরিষদ, সাপ্তাহিক সম্মাননা, ২৩-০৩-২০১৮ (কবিতা: বিপ্লবী) ; সাহিত্য সন্ধ্যা, আজকের (২৭-০৩-২০১৮) সেরা কবি, (কবিতা: বিপ্লবী) বাংলা সাহিত্য কবিতা ও গল্পের রস_৩০-০৩-২০১৮_সাপ্তাহিক সেরা ২৫ এ ৪র্থ স্থান ( কবিতাঃবিপ্লবী )। সাপ্তাহিক সেরা ০৭ কবি ও কবিতায় ১ম স্থান, (কবিতা: বিপ্লবী ); সাহিত্যের জাগরণ, আন্তর্জাতিক সাহিত্য সংগঠন, সাপ্তাহিক সম্মাননা, ০১-০৪-২০১৮ (কবিতা: বিপ্লবী)।

পাথর দিয়ে যুদ্ধ

ইরাক, ইরান, তুরান, কাশ্মীর, কাতার আর সিরিয়া, সৌদি আরব, সুদান, মিশর, পুরো আফ্রোশিয়া। উপমহাদেশ, স্থান, আর দেশ -মহাদেশ, সব সৃষ্টি স্রষ্টার জানি, আমরা বিশ্বের, বিশ্ব মোদের। হানাহানি আর মারামারি করে, মানুষ মানুষেরে, হৃদয় আছে ঠিকই দেহে, নাই যে দরদ অন্তরে। সৃজিত হল কত দল উপদল, কেউ সহেনা কারো, এক হওয়ার মন্ত্র ভুলে, অনৈক্যে খায় হাবুডুবু। নাই সে খেয়াল, দূর করিবার ব্যবধান যতো আছে! আমার আমি, অহমিকা আর অন্ধ সকল জনে। কোরান কিতাব, হাদিস, ইজমা, কিয়াস জেনেছে কতো! সবাই মিলে একই বাঁধনে, নাইকি বাঁধিবার কেহ! কত আরাধনা চলে অবিরাম দিবস যামিনী দেখো, পাশের বাড়ীর অধিবাসী যারা, খেতে পেরেছে কি জানো? ঋণের চাঁপে, লজ্জা শরমে, সহসা মৃত্যু দেয়যে হানা, কানে তুলো আর চোখে ঠুলি বাঁধে সমাজের ধনী যারা। দেশের রাজারা ব্যস্ত সদা, নিজেদের ব্যবসা দেখো, দেশ ধর্ম কোথায় গেল, জাতির ঐক্য এলো কি গেলো! তা'তে কি কার, কিছু আসে যায়, জীবনের দাম নাই! সকাল বিকাল মারছে শিশু, দূর্বল নারীরা ও মারা যায়। কথার কথা, নামে মাত্র সবাই করে বাদ- প্রতিবাদ! মিছিলে মিছিলে যায় হারিয়ে প্রতিশোধের অগ্ন্যোৎপাত। নায়কি সাহস দাঁড়াতে পাশে, মাজলুম যতো বিশ্ব মাঝে, পাথর দিয়ে যুদ্ধ করে জীবন সঁপে,শহিদী পথে।

"মনের কথা সদা আমার কলম দিয়ে ঝরে, খুঁজে মোরে পাবে সবাই যখন মনে পড়ে। " --কবি শামছুল ইসলাম ভূঁইয়া (রঃ)

MY BLOGG

Popular Posts

বিশ্বব্যাপী স্ট্রোক

চ্যাটজিপিটি (ChatGPT) কি?

জন্মভুমি । দেশত্ববোদক গান । paradise tune present

এআই (AI) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence) কি?

The Sovereignty of All Mighty.

Happy birth day

শিক্ষকের প্রতি অছিয়ত - বযলুর রশীদ