মঙ্গলবার, অক্টোবর ১৪, ২০২৫

উমরাহ হজের নিয়ম, দোয়া ও প্রাসঙ্গিক বিষয়

🕋 ⃣ উমরা কী?

অর্থ:

“উমরা” (العُمرة) মানে যিয়ারত বা দর্শন করা।
ইসলামে উমরা মানে — 👉 নির্দিষ্ট সময় ছাড়া, নির্দিষ্ট নিয়মে বায়তুল্লাহ (কাবা শরিফ) পরিদর্শন ও ইবাদত করা।

উমরার প্রধান ধাপগুলো:

1️⃣ ইহরাম বাঁধা ও নিয়ত করা
2️⃣ তাওয়াফ করা (কাবা শরিফ ৭ বার প্রদক্ষিণ)
3️⃣ সাফা-মারওয়া সাঈ করা (৭ বার যাওয়া-আসা)
4️⃣ চুল কাটা বা মুন্ডন করা (তাহলুল)

এই চার ধাপ সম্পন্ন হলে উমরা শেষ হয়।
---

🕋 ⃣ হজ্ব কী?

অর্থ:

“হজ” (الحج) মানে — ইচ্ছা করা, উদ্দেশ্য করা, যাত্রা করা।
ইসলামে হজ মানে — 👉 নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট স্থানসমূহে (আরাফা, মিনা, মুযদালিফা, কাবা শরিফ ইত্যাদি) নির্দিষ্ট নিয়মে ইবাদত করা।

হজ একমাত্র নির্দিষ্ট মাসে (শাওয়াল, যিলকদ, যিলহজ্জ) হয়।
---

🕋 ৪️⃣ উমরা ও হজের মধ্যে পার্থক্যদিক উমরা হজ

সময় সারা বছর করা যায় শুধু হজের মাসে
বাধ্যতামূলকতা সুন্নাতে মুআক্কাদা (অত্যন্ত সুন্নাত) ফরজ (সক্ষমদের জন্য)
স্থানের সংখ্যা কাবা, সাফা-মারওয়া কাবা, আরাফাত, মিনা, মুযদালিফা ইত্যাদি
সময়কাল ২–৪ ঘন্টা ৫–৬ দিন
উদ্দেশ্য ছোট হজ জীবনের ফরজ ইবাদত
---

🌿 ৫️⃣ উমরা ও হজের গুরুত্ব

📜 কুরআন:

> “আর আল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ ও উমরা সম্পূর্ণ করো।”
— (সূরা আল-বাকারা ২:১৯৬)

📜 হাদীস:

> নবী করিম ﷺ বলেছেন:
“এক উমরা থেকে পরবর্তী উমরা — এই দুইয়ের মধ্যবর্তী গুনাহ মাফের কারণ।”
(সহিহ বুখারি, হাদীস ১৭৭৩)

> “যে ব্যক্তি হজ করে এবং অশ্লীলতা বা পাপ করে না, সে এমনভাবে ফিরে আসে, যেমন তার জন্মের দিন ছিল।”
(সহিহ বুখারি, হাদীস ১৫২১)
---

💖 সংক্ষেপে:

উমরা হলো ছোট হজ, গুনাহ মোচন ও নবীন জীবন শুরু করার সুযোগ।

হজ হলো ইসলামের ৫ম স্তম্ভ, যা জীবনের একবারের ফরজ ইবাদত (যাদের সামর্থ্য আছে)।

উভয় ইবাদতই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে ও জান্নাতের পথ সুগম করে।
--------------------------------------------------
উমরাহ হজের নিয়ম ও দোয়া। নিচে ধাপে ধাপে সহজভাবে ব্যাখ্যা করছি —
(এটি পুরুষ ও মহিলাদের জন্য সাধারণ নির্দেশনা অনুযায়ী)
---

🌿 উমরাহর ধাপসমূহ

১️⃣ ইহরাম পরিধান ও নিয়ত করা

স্থান: মীকাত (যেখান থেকে ইহরাম বাধতে হয়)

🔹 পুরুষদের জন্য: দুই টুকরা সাদা কাপড় — একটি কোমরে, একটি কাঁধে।
🔹 মহিলাদের জন্য: সাধারন পর্দাযুক্ত পোশাক (মুখ ঢাকা যাবে না)।

📿 নিয়তের দোয়া:

> اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ عُمْرَةً
“আল্লাহুম্মা লাব্বাইকা উমরাহ।”
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি উমরাহর নিয়ত করলাম।

এরপর বলতে থাকবেন:

> لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ، لَبَّيْكَ لَا شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ، إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ، لَا شَرِيكَ لَكَ
“লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক…”

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি হাজির, আমি হাজির, তোমার কোনো শরিক নেই, সব প্রশংসা, অনুগ্রহ ও রাজত্ব তোমারই।
---

২️⃣ মক্কায় প্রবেশ ও মসজিদুল হারামে প্রবেশ

🔹 ডান পা দিয়ে প্রবেশ করে দোয়া করবেন:

> بِسْمِ اللهِ، وَالصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَلَى رَسُولِ اللهِ، اللَّهُمَّ افْتَحْ لِي أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ
অর্থ: আল্লাহর নামে, এবং রাসূলের উপর শান্তি বর্ষিত হোক, হে আল্লাহ! আমার জন্য তোমার রহমতের দরজা খুলে দাও।
---

৩️⃣ তাওয়াফ (কাবা শরীফ প্রদক্ষিণ)

🔹 সাতবার ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে ঘুরবেন, শুরু করবেন হাজরে আসওয়াদ থেকে।
🔹 পুরুষরা প্রথম ৩ চক্করে দ্রুত হাঁটবেন (রমল)।

📿 হাজরে আসওয়াদে পৌঁছে বলবেন:

> بِسْمِ اللهِ، اللهُ أَكْبَرُ
অর্থ: আল্লাহর নামে, আল্লাহ মহান।

🔹 প্রতিটি চক্করে দোয়া করবেন। নির্দিষ্ট দোয়া না থাকলে নিজের ভাষায় চাওয়া যাবে।

📿 রুকনে ইয়ামানিতে:

> رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً، وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً، وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
অর্থ: হে আমাদের পালনকর্তা! দুনিয়াতে ও আখিরাতে কল্যাণ দাও, আর আমাদের জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করো।
---

৪️⃣ সফা-মারওয়া সাঈ করা (দৌড়ানো/হাঁটা)

🔹 তাওয়াফ শেষে সফা পাহাড়ে যান।
🔹 কাবা শরীফের দিকে মুখ করে দোয়া শুরু করুন:

> إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِن شَعَائِرِ اللَّهِ
(সূরা বাকারা ২:১৫৮)

তারপর তিনবার দোয়া করবেন:

> اللَّهُ أَكْبَرُ، اللَّهُ أَكْبَرُ، اللَّهُ أَكْبَرُ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ، وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ

অর্থ: আল্লাহ মহান, তাঁর কোনো শরিক নেই, রাজত্ব ও প্রশংসা তাঁরই।

🔹 এরপর সফা থেকে মারওয়া পর্যন্ত ১ চক্কর, আবার মারওয়া থেকে সফা = ২ চক্কর।
মোট ৭ চক্কর সম্পন্ন করতে হবে।
🔹 সবুজ লাইটের মাঝখানে পুরুষরা হালকা দৌড় দেবেন (মহিলারা নয়)।
---

৫️⃣ চুল কাটা / মুন্ডন

🔹 পুরুষরা চুল ছোট করলে সব দিক থেকে কেটে ফেলবে (সর্বনিম্ন ১ ইঞ্চি),
আর সম্পূর্ণ মুন্ডন করলে অধিক সওয়াব।

🔹 মহিলারা চুলের এক আঙুল পরিমাণ (১ ইঞ্চি) মাথার নিচ দিক থেকে কাটবেন।

---

৬️⃣ উমরাহ সম্পূর্ণ

চুল কাটার পর ইহরাম খুলে ফেললে উমরাহ শেষ।
সব ধরনের নিয়ম (খাওয়া, পরা, সুগন্ধি) আবার হালাল হয়ে যায়।
আলহামদুলিল্লাহ 🌺
---

🌸 উমরাহ শেষে সংক্ষিপ্ত দোয়া

> اللَّهُمَّ تَقَبَّلْ مِنِّي عُمْرَتِي، وَاغْفِرْ لِي ذُنُوبِي، وَارْزُقْنِي الْجَنَّةَ، وَحَرِّمْ وَجْهِي عَلَى النَّارِ
অর্থ: হে আল্লাহ! আমার উমরাহ কবুল করো, আমার গুনাহ মাফ করো, আমাকে জান্নাত দাও, আর আমার মুখ জাহান্নাম থেকে দূরে রাখো।
---

  
---

🕋 তাওয়াফের সংক্ষিপ্ত নিয়ম

কাবা শরীফকে ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে ঘুরবেন।

শুরু করবেন হাজরে আসওয়াদ (কালো পাথর) থেকে।

প্রতি চক্কর শেষ হবে হাজরে আসওয়াদে এসে।

মোট ৭ চক্কর।

পুরুষরা প্রথম ৩ চক্করে হালকা দৌড় (রমল) করবেন।

দোয়া নির্দিষ্ট নয়; কুরআনের আয়াত, তাসবিহ, নিজস্ব দোয়া — সবই করা যায়।

---

🌿 শুরুতে দোয়া (Tawaf Start Dua)

📍 হাজরে আসওয়াদের সামনে দাঁড়িয়ে বলুন:

> بِسْمِ اللَّهِ، اللَّهُ أَكْبَرُ، اللَّهُمَّ إِيمَانًا بِكَ، وَتَصْدِيقًا بِكِتَابِكَ، وَوَفَاءً بِعَهْدِكَ، وَاتِّبَاعًا لِسُنَّةِ نَبِيِّكَ مُحَمَّدٍ ﷺ
উচ্চারণ: বিসমিল্লাহ, আল্লাহু আকবার, আল্লাহুম্মা ইমানান বিকা, ওয়া তাসদীকান বিকিতাবিকা, ওয়া ওফা-আন বিআহদিকা, ওয়াত্তিবা-আন লিসুন্নাতি নাবিয়্যিকা মুহাম্মাদিন ﷺ
অর্থ: আল্লাহর নামে, আল্লাহ মহান! হে আল্লাহ, তোমার প্রতি ঈমান রেখে, তোমার কিতাবের সত্যতা স্বীকার করে, তোমার প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য এবং তোমার নবীর সুন্নাহ অনুসরণের উদ্দেশ্যে আমি তাওয়াফ শুরু করছি।

---

🌙 প্রতি চক্করে পড়ার দোয়া

> اللَّهُ أَكْبَرُ، سُبْحَانَ اللَّهِ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ، وَلَا إِلٰهَ إِلَّا اللَّهُ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ، وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيمِ
অর্থ: আল্লাহ মহান, আল্লাহ পবিত্র, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, শক্তি ও ক্ষমতা কেবল মহান আল্লাহরই।
এগুলো প্রতিটি চক্করে বারবার বলা যেতে পারে।
তাওয়াফে নির্দিষ্ট দোয়া বাধ্যতামূলক নয় — নিজের ভাষায় চাওয়াও উত্তম।
---

🌾 প্রথম চক্কর (1st Round)

দোয়া:

> رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا إِنَّكَ أَنْتَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
উচ্চারণ: রব্বানা তাকাব্বাল মিন্না, ইন্নাকা আন্তাস সামিউল আলীম
অর্থ: হে আমাদের প্রভু! আমাদের পক্ষ থেকে (এই ইবাদত) কবুল করুন; নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী।
---

🌾 দ্বিতীয় চক্কর (2nd Round)

> رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنْفُسَنَا وَإِن لَّمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ
উচ্চারণ: রব্বানা যালামনা আনফুসানা, ওয়াইল্লাম তাগফির লানা ওয়াতারহামনা লানাকুনান্না মিনাল খাসিরীন
অর্থ: হে আমাদের প্রভু! আমরা নিজেদের প্রতি অন্যায় করেছি। আপনি যদি আমাদের ক্ষমা না করেন ও দয়া না করেন, তবে আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবো।
---

🌾 তৃতীয় চক্কর (3rd Round)

> رَبَّنَا آتِنَا مِن لَّدُنكَ رَحْمَةً وَهَيِّئْ لَنَا مِنْ أَمْرِنَا رَشَدًا
অর্থ: হে আমাদের প্রভু! আপনার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য রহমত দান করুন এবং আমাদের কাজের সঠিক পথ নির্দেশ করুন।

---

🌾 চতুর্থ চক্কর (4th Round)

> رَبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ، وَأَنْتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ
অর্থ: হে আমার প্রভু! ক্ষমা করুন ও রহম করুন, আপনি সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।
---

🌾 পঞ্চম চক্কর (5th Round)

> رَبِّ اجْعَلْنِي مُقِيمَ الصَّلَاةِ وَمِن ذُرِّيَّتِي رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَاءِ
অর্থ: হে আমার প্রভু! আমাকে ও আমার সন্তানদের নামাজ প্রতিষ্ঠাকারী বানান এবং আমার দোয়া কবুল করুন।
---

🌾 ষষ্ঠ চক্কর (6th Round)

> رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً، وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً، وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
অর্থ: হে আমাদের প্রভু! আমাদের দুনিয়াতে কল্যাণ দিন, আখিরাতেও কল্যাণ দিন, আর জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করুন।
---

🌾 সপ্তম চক্কর (7th Round)

> رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا، وَاغْفِرْ لَنَا، وَارْزُقْنَا الْجَنَّةَ، وَنَجِّنَا مِنَ النَّارِ
অর্থ: হে আমাদের প্রভু! আমাদের আমল কবুল করুন, আমাদের ক্ষমা করুন, আমাদের জান্নাত দিন, আর জাহান্নাম থেকে রক্ষা করুন।

---

🌸 রুকনে ইয়ামানিতে (Yemeni Corner) দোয়া

(প্রতি চক্করে, যদি স্পর্শ করতে পারেন)

> رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً، وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً، وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ

---

🌼 তাওয়াফ শেষে (মাকামে ইব্রাহিমে) দোয়া

> وَاتَّخِذُوا مِن مَّقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى
অর্থ: “তোমরা ইব্রাহিমের দাঁড়ানোর জায়গাকে নামাজের স্থান বানাও।” (সূরা বাকারা ২:১২৫)

📿 তাওয়াফ শেষে এখানে ২ রাকাআত নামাজ পড়বেন।
প্রথম রাকাআতে — সূরা কাফিরুন,
দ্বিতীয় রাকাআতে — সূরা ইখলাস।
---
এটি উমরাহ ও হজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা হযরত হাজেরা (আঃ)-এর ত্যাগ ও ঈমানের স্মৃতি বহন করে।

নিচে ধাপে ধাপে সাঈর নিয়ম ও সব দোয়া (আরবি, উচ্চারণ ও বাংলা অর্থসহ) তুলে ধরছি👇

---

🕋 সাঈ করার আগে কী করবেন

তাওয়াফ শেষ করে আপনি মাকামে ইব্রাহিমে ২ রাকাআত নামাজ পড়ে জমজম পানি পান করবেন।
তারপর যাবেন সফা পাহাড়ের দিকে।

মসজিদের ভেতরে "الصفا" (As-Safa) লেখা চিহ্ন থেকে সাঈ শুরু হয়।
এখানেই প্রথম অবস্থান।

---

🌿 সফায় পৌঁছে দোয়া

সফায় উঠেই প্রথমে কাবা শরীফের দিকে মুখ করে তাকাবেন —
হাত উঠাবেন যেমন দোয়ার সময় তোলা হয়।

তারপর পড়বেন 👇

> إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِن شَعَائِرِ اللَّهِ
উচ্চারণ: ইন্নাস্‌-সফা ওয়াল-মারওয়াতা মিন শা'আইরিল্লাহ।
অর্থ: নিশ্চয়ই সফা ও মারওয়া আল্লাহর নিদর্শনগুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।
(সূরা আল-বাকারা ২:১৫৮)

তারপর তিনবার দোয়া করবেন 👇

> أَبْدَأُ بِمَا بَدَأَ اللَّهُ بِهِ
উচ্চারণ: আবদা’উ বিমা বাদা’আল্লাহু বিহি।
অর্থ: আমি শুরু করছি যেভাবে আল্লাহ শুরু করেছেন (অর্থাৎ সফা থেকে)।
---

🌸 সফা থেকে মারওয়া যাওয়ার শুরুতে দোয়া

হাত তুলে কাবা শরীফের দিকে মুখ করে বলবেন 👇

> اللَّهُ أَكْبَرُ، اللَّهُ أَكْبَرُ، اللَّهُ أَكْبَرُ
لَا إِلٰهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ، يُحْيِي وَيُمِيتُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
لَا إِلٰهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ، أَنْجَزَ وَعْدَهُ، وَنَصَرَ عَبْدَهُ، وَهَزَمَ الْأَحْزَابَ وَحْدَهُ

উচ্চারণ:
আল্লাহু আকবার (৩ বার)
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকালাহ, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু, ইউহিয়ি ওয়াইউমিত, ওয়া হুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন কাদির।
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু, আনজাজা ওয়াদাহু, ওয়ানাসারা আবদাহু, ওয়াহাজামাল আহযাবা ওয়াহদাহু।

অর্থ:
আল্লাহ মহান! তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, তিনি এক ও অদ্বিতীয়। রাজত্ব ও প্রশংসা তাঁরই।
তিনি জীবন দেন ও মৃত্যু দেন, এবং সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।
তিনি তাঁর প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করেছেন, তাঁর বান্দাকে সাহায্য করেছেন, এবং একাই শত্রুদের পরাজিত করেছেন।

🔹 এই দোয়াটি ৩ বার পড়া সুন্নাত।
🔹 প্রতিবার শেষে নিজের ভাষায় দোয়া চাইতে পারেন (বিশেষত ক্ষমা, রহমত, হিদায়াত ও জান্নাতের জন্য)।
---

🌾 সফা থেকে মারওয়া পর্যন্ত হাঁটা (১ চক্কর)

➡️ সফা থেকে মারওয়ার দিকে হাঁটবেন।
🔸 সবুজ লাইট (দুই পিলার বা লাইন) পর্যন্ত পৌঁছালে —
পুরুষরা হালকা দৌড় (জগিং) করবেন,
মহিলারা শান্তভাবে হাঁটবেন।

দৌড় শেষ হলে আবার স্বাভাবিকভাবে মারওয়া পর্যন্ত হাঁটবেন।
---

🌾 মারওয়ায় পৌঁছে দোয়া

মারওয়ায় পৌঁছে সফার মতোই একই দোয়া পড়বেন 👇

> اللَّهُ أَكْبَرُ، اللَّهُ أَكْبَرُ، اللَّهُ أَكْبَرُ
لَا إِلٰهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ... (একই দোয়া)

তারপর নিজের দোয়া করবেন।
এতেই ১ চক্কর সম্পূর্ণ হবে।

🔹 মারওয়া থেকে সফা গেলে ২য় চক্কর,
🔹 আবার সফা থেকে মারওয়া গেলে ৩য় — এভাবে মোট ৭ চক্কর হবে।

শেষ মারওয়ায় শেষ হবে সাঈ।
---

🌼 সাঈ শেষে দোয়া

> اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي ذُنُوبِي، وَارْحَمْنِي، وَتُبْ عَلَيَّ، إِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাগফির লি যুনুবি, ওয়ারহামনি, ওয়া তুব আলাইয়া, ইন্নাকা আনতাত্তাওয়াবুর রাহীম।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমার গুনাহ মাফ করুন, আমার প্রতি দয়া করুন, এবং আমার তাওবা কবুল করুন; নিশ্চয়ই আপনি তাওবা কবুলকারী, দয়ালু।
---

🌸 সাঈ শেষে চুল কাটা

পুরুষরা মাথা মুন্ডন বা চুল ছোট করে কাটবেন (সবচেয়ে ভালো সম্পূর্ণ মুন্ডন করা)।

মহিলারা চুলের নিচ থেকে এক আঙুল পরিমাণ (১ ইঞ্চি) কেটে নিবেন।

এরপর ইহরাম খুলে ফেললে উমরাহ সম্পূর্ণ ✅
আলহামদুলিল্লাহ 🌺
---
🌙 👉 “সাঈ বা তাওয়াফ করার সময় ওযু থাকা কি জরুরি?”

চলুন ধাপে ধাপে দেখি 👇
---

🕋 ১️⃣ তাওয়াফের জন্য ওযু থাকা আবশ্যক (ফরজ)

📖 ইসলামী ফিকহ অনুযায়ী,
তাওয়াফ হলো নামাজের মতোই একটি ইবাদত,
তাই ওযু ছাড়া তাওয়াফ করা বাতিল বা অবৈধ।

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:

> “তাওয়াফ হলো নামাজের মতো, শুধু এতে তোমরা কথা বলতে পারো।”
— (তিরমিজি: ৯৬০, ইবনে মাজাহ: ২৯৬৩)

🕌 তাই:

তাওয়াফের আগে ওযু করে নিতে হবে।

যদি তাওয়াফ চলাকালীন ওযু নষ্ট হয়ে যায়,
তাহলে ওযু করে নতুন করে সেই চক্কর থেকে শুরু করতে হবে।
---

🌿 ২️⃣ সাঈ (সফা-মারওয়া) এর জন্য ওযু থাকা উত্তম (সুন্নাত), কিন্তু ফরজ নয়

📚 ইসলামী স্কলারদের একমত মতে —
সাঈ করার জন্য ওযু থাকা আবশ্যক নয়,
তবে ওযু থাকলে তা উত্তম ও অধিক সওয়াবপূর্ণ।

কারণ:

হযরত হাজেরা (আঃ) সাঈ করেছিলেন পানির সন্ধানে — এটি ইবাদতের প্রতীক হলেও নামাজের মতো আবশ্যিক নয়।

নবী করিম ﷺ একবার ওযু ছাড়া সাঈ করেছেন এমনও বর্ণনা আছে (ইমাম শাফেয়ি, আহমাদ, ইবনে হজর প্রমুখের ব্যাখ্যা অনুযায়ী)।
---

🌸 সংক্ষেপে রায়

ইবাদত ওযুর অবস্থান হুকুম

তাওয়াফ থাকা অবশ্যক (ফরজ) না থাকলে তাওয়াফ বাতিল
সাঈ (সফা-মারওয়া) থাকা উত্তম (সুন্নাত) না থাকলেও সাঈ বৈধ
---

🕊️ পরামর্শ:
উমরাহ করার সময় শুরু থেকেই ওযু করে রাখা উত্তম,
কারণ তাওয়াফ, দোয়া, জমজম পান করা, নামাজ — সবকিছুর জন্য ওযুতে থাকা বরকতময়।
---

🕋 সাফা-মারওয়া সাঈ করার সময় ওযু থাকা জরুরি কি?

👉 ওযু থাকা সুন্নাত (ভালো ও উত্তম কাজ),
কিন্তু ফরজ বা বাধ্যতামূলক নয়।

বিস্তারিত ব্যাখ্যা:

1️⃣ তাওয়াফের জন্য ওযু বাধ্যতামূলক (ফরজ)।

যেমন নবী করিম ﷺ বলেছেন:

> “তাওয়াফ হচ্ছে নামাযের মতো, শুধু কথা বলার অনুমতি আছে।”
— (তিরমিযী, হাদীস: ৯৬০)
🔹 তাই তাওয়াফ করার আগে অবশ্যই ওযু থাকতে হবে।

2️⃣ সাঈ (সাফা-মারওয়া দৌড়ানো) করার সময়

ওযু না থাকলেও সাঈ সহীহ হবে, কারণ এটি ইবাদত হলেও নামাযের মতো নয়।

তবে ওযু থাকলে বেশি বরকত, খুশু, মনোযোগ ও সুন্নাত অনুযায়ী হয়।
---

🔹 সহজভাবে মনে রাখুন:

কাজ ওযু থাকা হুকুম

তাওয়াফ আবশ্যক ফরজ
সাঈ উত্তম সুন্নাত
দোয়া, যিকির উত্তম সুন্নাত
---
🕋 ১️⃣ সাঈ শেষে নামাজ আছে কি?

👉 না, নির্দিষ্ট কোনো নামাজ নেই।
সাফা-মারওয়া সাঈ শেষ করার পর কোনো ফরজ বা সুন্নাত নামাজ নির্ধারিত নয়।

তবে আপনি চাইলে —

দোয়া, যিকির, তাসবীহ, শুকরিয়া আদায় করতে পারেন।

অনেকে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়েন (যদি ওযু থাকে),
আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা হিসেবে —
এটি ইচ্ছাধীন (মুস্তাহাব), বাধ্যতামূলক নয়।

____________________________

🕋 ⃣ উমরা কী?

অর্থ:

“উমরা” (العُمرة) মানে যিয়ারত বা দর্শন করা।
ইসলামে উমরা মানে — 👉 নির্দিষ্ট সময় ছাড়া, নির্দিষ্ট নিয়মে বায়তুল্লাহ (কাবা শরিফ) পরিদর্শন ও ইবাদত করা।

উমরার প্রধান ধাপগুলো:

1️⃣ ইহরাম বাঁধা ও নিয়ত করা
2️⃣ তাওয়াফ করা (কাবা শরিফ ৭ বার প্রদক্ষিণ)
3️⃣ সাফা-মারওয়া সাঈ করা (৭ বার যাওয়া-আসা)
4️⃣ চুল কাটা বা মুন্ডন করা (তাহলুল)

এই চার ধাপ সম্পন্ন হলে উমরা শেষ হয়।
---

🕋 ⃣ হজ্ব কী?

অর্থ:

“হজ” (الحج) মানে — ইচ্ছা করা, উদ্দেশ্য করা, যাত্রা করা।
ইসলামে হজ মানে — 👉 নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট স্থানসমূহে (আরাফা, মিনা, মুযদালিফা, কাবা শরিফ ইত্যাদি) নির্দিষ্ট নিয়মে ইবাদত করা।

হজ একমাত্র নির্দিষ্ট মাসে (শাওয়াল, যিলকদ, যিলহজ্জ) হয়।
---

🕋 ৪️⃣ উমরা ও হজের মধ্যে পার্থক্যদিক উমরা হজ

সময় সারা বছর করা যায় শুধু হজের মাসে
বাধ্যতামূলকতা সুন্নাতে মুআক্কাদা (অত্যন্ত সুন্নাত) ফরজ (সক্ষমদের জন্য)
স্থানের সংখ্যা কাবা, সাফা-মারওয়া কাবা, আরাফাত, মিনা, মুযদালিফা ইত্যাদি
সময়কাল ২–৪ ঘন্টা ৫–৬ দিন
উদ্দেশ্য ছোট হজ জীবনের ফরজ ইবাদত
---

🌿 ৫️⃣ উমরা ও হজের গুরুত্ব

📜 কুরআন:

> “আর আল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ ও উমরা সম্পূর্ণ করো।”
— (সূরা আল-বাকারা ২:১৯৬)

📜 হাদীস:

> নবী করিম ﷺ বলেছেন:
“এক উমরা থেকে পরবর্তী উমরা — এই দুইয়ের মধ্যবর্তী গুনাহ মাফের কারণ।”
(সহিহ বুখারি, হাদীস ১৭৭৩)

> “যে ব্যক্তি হজ করে এবং অশ্লীলতা বা পাপ করে না, সে এমনভাবে ফিরে আসে, যেমন তার জন্মের দিন ছিল।”
(সহিহ বুখারি, হাদীস ১৫২১)
---

💖 সংক্ষেপে:

উমরা হলো ছোট হজ, গুনাহ মোচন ও নবীন জীবন শুরু করার সুযোগ।

হজ হলো ইসলামের ৫ম স্তম্ভ, যা জীবনের একবারের ফরজ ইবাদত (যাদের সামর্থ্য আছে)।

উভয় ইবাদতই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে ও জান্নাতের পথ সুগম করে।
--------------------------------------------------
উমরাহ হজের নিয়ম ও দোয়া। নিচে ধাপে ধাপে সহজভাবে ব্যাখ্যা করছি —
(এটি পুরুষ ও মহিলাদের জন্য সাধারণ নির্দেশনা অনুযায়ী)
---

🌿 উমরাহর ধাপসমূহ

১️⃣ ইহরাম পরিধান ও নিয়ত করা

স্থান: মীকাত (যেখান থেকে ইহরাম বাধতে হয়)

🔹 পুরুষদের জন্য: দুই টুকরা সাদা কাপড় — একটি কোমরে, একটি কাঁধে।
🔹 মহিলাদের জন্য: সাধারন পর্দাযুক্ত পোশাক (মুখ ঢাকা যাবে না)।

📿 নিয়তের দোয়া:

> اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ عُمْرَةً
“আল্লাহুম্মা লাব্বাইকা উমরাহ।”
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি উমরাহর নিয়ত করলাম।

এরপর বলতে থাকবেন:

> لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ، لَبَّيْكَ لَا شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ، إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ، لَا شَرِيكَ لَكَ
“লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক…”

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি হাজির, আমি হাজির, তোমার কোনো শরিক নেই, সব প্রশংসা, অনুগ্রহ ও রাজত্ব তোমারই।
---

২️⃣ মক্কায় প্রবেশ ও মসজিদুল হারামে প্রবেশ

🔹 ডান পা দিয়ে প্রবেশ করে দোয়া করবেন:

> بِسْمِ اللهِ، وَالصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَلَى رَسُولِ اللهِ، اللَّهُمَّ افْتَحْ لِي أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ
অর্থ: আল্লাহর নামে, এবং রাসূলের উপর শান্তি বর্ষিত হোক, হে আল্লাহ! আমার জন্য তোমার রহমতের দরজা খুলে দাও।
---

৩️⃣ তাওয়াফ (কাবা শরীফ প্রদক্ষিণ)

🔹 সাতবার ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে ঘুরবেন, শুরু করবেন হাজরে আসওয়াদ থেকে।
🔹 পুরুষরা প্রথম ৩ চক্করে দ্রুত হাঁটবেন (রমল)।

📿 হাজরে আসওয়াদে পৌঁছে বলবেন:

> بِسْمِ اللهِ، اللهُ أَكْبَرُ
অর্থ: আল্লাহর নামে, আল্লাহ মহান।

🔹 প্রতিটি চক্করে দোয়া করবেন। নির্দিষ্ট দোয়া না থাকলে নিজের ভাষায় চাওয়া যাবে।

📿 রুকনে ইয়ামানিতে:

> رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً، وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً، وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
অর্থ: হে আমাদের পালনকর্তা! দুনিয়াতে ও আখিরাতে কল্যাণ দাও, আর আমাদের জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করো।
---

৪️⃣ সফা-মারওয়া সাঈ করা (দৌড়ানো/হাঁটা)

🔹 তাওয়াফ শেষে সফা পাহাড়ে যান।
🔹 কাবা শরীফের দিকে মুখ করে দোয়া শুরু করুন:

> إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِن شَعَائِرِ اللَّهِ
(সূরা বাকারা ২:১৫৮)

তারপর তিনবার দোয়া করবেন:

> اللَّهُ أَكْبَرُ، اللَّهُ أَكْبَرُ، اللَّهُ أَكْبَرُ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ، وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ

অর্থ: আল্লাহ মহান, তাঁর কোনো শরিক নেই, রাজত্ব ও প্রশংসা তাঁরই।

🔹 এরপর সফা থেকে মারওয়া পর্যন্ত ১ চক্কর, আবার মারওয়া থেকে সফা = ২ চক্কর।
মোট ৭ চক্কর সম্পন্ন করতে হবে।
🔹 সবুজ লাইটের মাঝখানে পুরুষরা হালকা দৌড় দেবেন (মহিলারা নয়)।
---

৫️⃣ চুল কাটা / মুন্ডন

🔹 পুরুষরা চুল ছোট করলে সব দিক থেকে কেটে ফেলবে (সর্বনিম্ন ১ ইঞ্চি),
আর সম্পূর্ণ মুন্ডন করলে অধিক সওয়াব।

🔹 মহিলারা চুলের এক আঙুল পরিমাণ (১ ইঞ্চি) মাথার নিচ দিক থেকে কাটবেন।

---

৬️⃣ উমরাহ সম্পূর্ণ

চুল কাটার পর ইহরাম খুলে ফেললে উমরাহ শেষ।
সব ধরনের নিয়ম (খাওয়া, পরা, সুগন্ধি) আবার হালাল হয়ে যায়।
আলহামদুলিল্লাহ 🌺
---

🌸 উমরাহ শেষে সংক্ষিপ্ত দোয়া

> اللَّهُمَّ تَقَبَّلْ مِنِّي عُمْرَتِي، وَاغْفِرْ لِي ذُنُوبِي، وَارْزُقْنِي الْجَنَّةَ، وَحَرِّمْ وَجْهِي عَلَى النَّارِ
অর্থ: হে আল্লাহ! আমার উমরাহ কবুল করো, আমার গুনাহ মাফ করো, আমাকে জান্নাত দাও, আর আমার মুখ জাহান্নাম থেকে দূরে রাখো।
---

  
---

🕋 তাওয়াফের সংক্ষিপ্ত নিয়ম

কাবা শরীফকে ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে ঘুরবেন।

শুরু করবেন হাজরে আসওয়াদ (কালো পাথর) থেকে।

প্রতি চক্কর শেষ হবে হাজরে আসওয়াদে এসে।

মোট ৭ চক্কর।

পুরুষরা প্রথম ৩ চক্করে হালকা দৌড় (রমল) করবেন।

দোয়া নির্দিষ্ট নয়; কুরআনের আয়াত, তাসবিহ, নিজস্ব দোয়া — সবই করা যায়।

---

🌿 শুরুতে দোয়া (Tawaf Start Dua)

📍 হাজরে আসওয়াদের সামনে দাঁড়িয়ে বলুন:

> بِسْمِ اللَّهِ، اللَّهُ أَكْبَرُ، اللَّهُمَّ إِيمَانًا بِكَ، وَتَصْدِيقًا بِكِتَابِكَ، وَوَفَاءً بِعَهْدِكَ، وَاتِّبَاعًا لِسُنَّةِ نَبِيِّكَ مُحَمَّدٍ ﷺ
উচ্চারণ: বিসমিল্লাহ, আল্লাহু আকবার, আল্লাহুম্মা ইমানান বিকা, ওয়া তাসদীকান বিকিতাবিকা, ওয়া ওফা-আন বিআহদিকা, ওয়াত্তিবা-আন লিসুন্নাতি নাবিয়্যিকা মুহাম্মাদিন ﷺ
অর্থ: আল্লাহর নামে, আল্লাহ মহান! হে আল্লাহ, তোমার প্রতি ঈমান রেখে, তোমার কিতাবের সত্যতা স্বীকার করে, তোমার প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য এবং তোমার নবীর সুন্নাহ অনুসরণের উদ্দেশ্যে আমি তাওয়াফ শুরু করছি।

---

🌙 প্রতি চক্করে পড়ার দোয়া

> اللَّهُ أَكْبَرُ، سُبْحَانَ اللَّهِ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ، وَلَا إِلٰهَ إِلَّا اللَّهُ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ، وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيمِ
অর্থ: আল্লাহ মহান, আল্লাহ পবিত্র, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, শক্তি ও ক্ষমতা কেবল মহান আল্লাহরই।
এগুলো প্রতিটি চক্করে বারবার বলা যেতে পারে।
তাওয়াফে নির্দিষ্ট দোয়া বাধ্যতামূলক নয় — নিজের ভাষায় চাওয়াও উত্তম।
---

🌾 প্রথম চক্কর (1st Round)

দোয়া:

> رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا إِنَّكَ أَنْتَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
উচ্চারণ: রব্বানা তাকাব্বাল মিন্না, ইন্নাকা আন্তাস সামিউল আলীম
অর্থ: হে আমাদের প্রভু! আমাদের পক্ষ থেকে (এই ইবাদত) কবুল করুন; নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী।
---

🌾 দ্বিতীয় চক্কর (2nd Round)

> رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنْفُسَنَا وَإِن لَّمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ
উচ্চারণ: রব্বানা যালামনা আনফুসানা, ওয়াইল্লাম তাগফির লানা ওয়াতারহামনা লানাকুনান্না মিনাল খাসিরীন
অর্থ: হে আমাদের প্রভু! আমরা নিজেদের প্রতি অন্যায় করেছি। আপনি যদি আমাদের ক্ষমা না করেন ও দয়া না করেন, তবে আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবো।
---

🌾 তৃতীয় চক্কর (3rd Round)

> رَبَّنَا آتِنَا مِن لَّدُنكَ رَحْمَةً وَهَيِّئْ لَنَا مِنْ أَمْرِنَا رَشَدًا
অর্থ: হে আমাদের প্রভু! আপনার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য রহমত দান করুন এবং আমাদের কাজের সঠিক পথ নির্দেশ করুন।

---

🌾 চতুর্থ চক্কর (4th Round)

> رَبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ، وَأَنْتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ
অর্থ: হে আমার প্রভু! ক্ষমা করুন ও রহম করুন, আপনি সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।
---

🌾 পঞ্চম চক্কর (5th Round)

> رَبِّ اجْعَلْنِي مُقِيمَ الصَّلَاةِ وَمِن ذُرِّيَّتِي رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَاءِ
অর্থ: হে আমার প্রভু! আমাকে ও আমার সন্তানদের নামাজ প্রতিষ্ঠাকারী বানান এবং আমার দোয়া কবুল করুন।
---

🌾 ষষ্ঠ চক্কর (6th Round)

> رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً، وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً، وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
অর্থ: হে আমাদের প্রভু! আমাদের দুনিয়াতে কল্যাণ দিন, আখিরাতেও কল্যাণ দিন, আর জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করুন।
---

🌾 সপ্তম চক্কর (7th Round)

> رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا، وَاغْفِرْ لَنَا، وَارْزُقْنَا الْجَنَّةَ، وَنَجِّنَا مِنَ النَّارِ
অর্থ: হে আমাদের প্রভু! আমাদের আমল কবুল করুন, আমাদের ক্ষমা করুন, আমাদের জান্নাত দিন, আর জাহান্নাম থেকে রক্ষা করুন।

---

🌸 রুকনে ইয়ামানিতে (Yemeni Corner) দোয়া

(প্রতি চক্করে, যদি স্পর্শ করতে পারেন)

> رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً، وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً، وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ

---

🌼 তাওয়াফ শেষে (মাকামে ইব্রাহিমে) দোয়া

> وَاتَّخِذُوا مِن مَّقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى
অর্থ: “তোমরা ইব্রাহিমের দাঁড়ানোর জায়গাকে নামাজের স্থান বানাও।” (সূরা বাকারা ২:১২৫)

📿 তাওয়াফ শেষে এখানে ২ রাকাআত নামাজ পড়বেন।
প্রথম রাকাআতে — সূরা কাফিরুন,
দ্বিতীয় রাকাআতে — সূরা ইখলাস।
---
এটি উমরাহ ও হজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা হযরত হাজেরা (আঃ)-এর ত্যাগ ও ঈমানের স্মৃতি বহন করে।

নিচে ধাপে ধাপে সাঈর নিয়ম ও সব দোয়া (আরবি, উচ্চারণ ও বাংলা অর্থসহ) তুলে ধরছি👇

---

🕋 সাঈ করার আগে কী করবেন

তাওয়াফ শেষ করে আপনি মাকামে ইব্রাহিমে ২ রাকাআত নামাজ পড়ে জমজম পানি পান করবেন।
তারপর যাবেন সফা পাহাড়ের দিকে।

মসজিদের ভেতরে "الصفا" (As-Safa) লেখা চিহ্ন থেকে সাঈ শুরু হয়।
এখানেই প্রথম অবস্থান।

---

🌿 সফায় পৌঁছে দোয়া

সফায় উঠেই প্রথমে কাবা শরীফের দিকে মুখ করে তাকাবেন —
হাত উঠাবেন যেমন দোয়ার সময় তোলা হয়।

তারপর পড়বেন 👇

> إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِن شَعَائِرِ اللَّهِ
উচ্চারণ: ইন্নাস্‌-সফা ওয়াল-মারওয়াতা মিন শা'আইরিল্লাহ।
অর্থ: নিশ্চয়ই সফা ও মারওয়া আল্লাহর নিদর্শনগুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।
(সূরা আল-বাকারা ২:১৫৮)

তারপর তিনবার দোয়া করবেন 👇

> أَبْدَأُ بِمَا بَدَأَ اللَّهُ بِهِ
উচ্চারণ: আবদা’উ বিমা বাদা’আল্লাহু বিহি।
অর্থ: আমি শুরু করছি যেভাবে আল্লাহ শুরু করেছেন (অর্থাৎ সফা থেকে)।
---

🌸 সফা থেকে মারওয়া যাওয়ার শুরুতে দোয়া

হাত তুলে কাবা শরীফের দিকে মুখ করে বলবেন 👇

> اللَّهُ أَكْبَرُ، اللَّهُ أَكْبَرُ، اللَّهُ أَكْبَرُ
لَا إِلٰهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ، يُحْيِي وَيُمِيتُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
لَا إِلٰهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ، أَنْجَزَ وَعْدَهُ، وَنَصَرَ عَبْدَهُ، وَهَزَمَ الْأَحْزَابَ وَحْدَهُ

উচ্চারণ:
আল্লাহু আকবার (৩ বার)
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকালাহ, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু, ইউহিয়ি ওয়াইউমিত, ওয়া হুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন কাদির।
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু, আনজাজা ওয়াদাহু, ওয়ানাসারা আবদাহু, ওয়াহাজামাল আহযাবা ওয়াহদাহু।

অর্থ:
আল্লাহ মহান! তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, তিনি এক ও অদ্বিতীয়। রাজত্ব ও প্রশংসা তাঁরই।
তিনি জীবন দেন ও মৃত্যু দেন, এবং সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।
তিনি তাঁর প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করেছেন, তাঁর বান্দাকে সাহায্য করেছেন, এবং একাই শত্রুদের পরাজিত করেছেন।

🔹 এই দোয়াটি ৩ বার পড়া সুন্নাত।
🔹 প্রতিবার শেষে নিজের ভাষায় দোয়া চাইতে পারেন (বিশেষত ক্ষমা, রহমত, হিদায়াত ও জান্নাতের জন্য)।
---

🌾 সফা থেকে মারওয়া পর্যন্ত হাঁটা (১ চক্কর)

➡️ সফা থেকে মারওয়ার দিকে হাঁটবেন।
🔸 সবুজ লাইট (দুই পিলার বা লাইন) পর্যন্ত পৌঁছালে —
পুরুষরা হালকা দৌড় (জগিং) করবেন,
মহিলারা শান্তভাবে হাঁটবেন।

দৌড় শেষ হলে আবার স্বাভাবিকভাবে মারওয়া পর্যন্ত হাঁটবেন।
---

🌾 মারওয়ায় পৌঁছে দোয়া

মারওয়ায় পৌঁছে সফার মতোই একই দোয়া পড়বেন 👇

> اللَّهُ أَكْبَرُ، اللَّهُ أَكْبَرُ، اللَّهُ أَكْبَرُ
لَا إِلٰهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ... (একই দোয়া)

তারপর নিজের দোয়া করবেন।
এতেই ১ চক্কর সম্পূর্ণ হবে।

🔹 মারওয়া থেকে সফা গেলে ২য় চক্কর,
🔹 আবার সফা থেকে মারওয়া গেলে ৩য় — এভাবে মোট ৭ চক্কর হবে।

শেষ মারওয়ায় শেষ হবে সাঈ।
---

🌼 সাঈ শেষে দোয়া

> اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي ذُنُوبِي، وَارْحَمْنِي، وَتُبْ عَلَيَّ، إِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাগফির লি যুনুবি, ওয়ারহামনি, ওয়া তুব আলাইয়া, ইন্নাকা আনতাত্তাওয়াবুর রাহীম।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমার গুনাহ মাফ করুন, আমার প্রতি দয়া করুন, এবং আমার তাওবা কবুল করুন; নিশ্চয়ই আপনি তাওবা কবুলকারী, দয়ালু।
---

🌸 সাঈ শেষে চুল কাটা

পুরুষরা মাথা মুন্ডন বা চুল ছোট করে কাটবেন (সবচেয়ে ভালো সম্পূর্ণ মুন্ডন করা)।

মহিলারা চুলের নিচ থেকে এক আঙুল পরিমাণ (১ ইঞ্চি) কেটে নিবেন।

এরপর ইহরাম খুলে ফেললে উমরাহ সম্পূর্ণ ✅
আলহামদুলিল্লাহ 🌺
---
🌙 👉 “সাঈ বা তাওয়াফ করার সময় ওযু থাকা কি জরুরি?”

চলুন ধাপে ধাপে দেখি 👇
---

🕋 ১️⃣ তাওয়াফের জন্য ওযু থাকা আবশ্যক (ফরজ)

📖 ইসলামী ফিকহ অনুযায়ী,
তাওয়াফ হলো নামাজের মতোই একটি ইবাদত,
তাই ওযু ছাড়া তাওয়াফ করা বাতিল বা অবৈধ।

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:

> “তাওয়াফ হলো নামাজের মতো, শুধু এতে তোমরা কথা বলতে পারো।”
— (তিরমিজি: ৯৬০, ইবনে মাজাহ: ২৯৬৩)

🕌 তাই:

তাওয়াফের আগে ওযু করে নিতে হবে।

যদি তাওয়াফ চলাকালীন ওযু নষ্ট হয়ে যায়,
তাহলে ওযু করে নতুন করে সেই চক্কর থেকে শুরু করতে হবে।
---

🌿 ২️⃣ সাঈ (সফা-মারওয়া) এর জন্য ওযু থাকা উত্তম (সুন্নাত), কিন্তু ফরজ নয়

📚 ইসলামী স্কলারদের একমত মতে —
সাঈ করার জন্য ওযু থাকা আবশ্যক নয়,
তবে ওযু থাকলে তা উত্তম ও অধিক সওয়াবপূর্ণ।

কারণ:

হযরত হাজেরা (আঃ) সাঈ করেছিলেন পানির সন্ধানে — এটি ইবাদতের প্রতীক হলেও নামাজের মতো আবশ্যিক নয়।

নবী করিম ﷺ একবার ওযু ছাড়া সাঈ করেছেন এমনও বর্ণনা আছে (ইমাম শাফেয়ি, আহমাদ, ইবনে হজর প্রমুখের ব্যাখ্যা অনুযায়ী)।
---

🌸 সংক্ষেপে রায়

ইবাদত ওযুর অবস্থান হুকুম

তাওয়াফ থাকা অবশ্যক (ফরজ) না থাকলে তাওয়াফ বাতিল
সাঈ (সফা-মারওয়া) থাকা উত্তম (সুন্নাত) না থাকলেও সাঈ বৈধ
---

🕊️ পরামর্শ:
উমরাহ করার সময় শুরু থেকেই ওযু করে রাখা উত্তম,
কারণ তাওয়াফ, দোয়া, জমজম পান করা, নামাজ — সবকিছুর জন্য ওযুতে থাকা বরকতময়।
---

🕋 সাফা-মারওয়া সাঈ করার সময় ওযু থাকা জরুরি কি?

👉 ওযু থাকা সুন্নাত (ভালো ও উত্তম কাজ),
কিন্তু ফরজ বা বাধ্যতামূলক নয়।

বিস্তারিত ব্যাখ্যা:

1️⃣ তাওয়াফের জন্য ওযু বাধ্যতামূলক (ফরজ)।

যেমন নবী করিম ﷺ বলেছেন:

> “তাওয়াফ হচ্ছে নামাযের মতো, শুধু কথা বলার অনুমতি আছে।”
— (তিরমিযী, হাদীস: ৯৬০)
🔹 তাই তাওয়াফ করার আগে অবশ্যই ওযু থাকতে হবে।

2️⃣ সাঈ (সাফা-মারওয়া দৌড়ানো) করার সময়

ওযু না থাকলেও সাঈ সহীহ হবে, কারণ এটি ইবাদত হলেও নামাযের মতো নয়।

তবে ওযু থাকলে বেশি বরকত, খুশু, মনোযোগ ও সুন্নাত অনুযায়ী হয়।
---

🔹 সহজভাবে মনে রাখুন:

কাজ ওযু থাকা হুকুম

তাওয়াফ আবশ্যক ফরজ
সাঈ উত্তম সুন্নাত
দোয়া, যিকির উত্তম সুন্নাত
---
🕋 ১️⃣ সাঈ শেষে নামাজ আছে কি?

👉 না, নির্দিষ্ট কোনো নামাজ নেই।
সাফা-মারওয়া সাঈ শেষ করার পর কোনো ফরজ বা সুন্নাত নামাজ নির্ধারিত নয়।

তবে আপনি চাইলে —

দোয়া, যিকির, তাসবীহ, শুকরিয়া আদায় করতে পারেন।

অনেকে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়েন (যদি ওযু থাকে),
আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা হিসেবে —
এটি ইচ্ছাধীন (মুস্তাহাব), বাধ্যতামূলক নয়।

____________________________

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Heartfelt Thanks for your valuable comments.

ভালবাসি দিবা-নিশি _সূচীপত্র

উমরাহ হজের নিয়ম, দোয়া ও প্রাসঙ্গিক বিষয়

🕋 ⃣ উমরা কী? অর্থ: “উমরা” (العُمرة) মানে যিয়ারত বা দর্শন করা। ইসলামে উমরা মানে — 👉 নির্দিষ্ট সময় ছাড়া, নির্দিষ্ট নিয়মে বায়তুল্লাহ (কা...