🐔ব্রয়লার মুরগী কোনো একক প্রজাতি নয়; বরং এটি একাধিক জাতের সুনির্দিষ্ট জেনেটিক মিশ্রণের ফলাফল। বিজ্ঞানীরা “Selective Breeding” (বাছাই করে প্রজনন) পদ্ধতিতে এই জাত তৈরি করেছেন। আমি ধাপে ধাপে ব্যাখ্যা দিচ্ছি—
১. মূল প্রজাতির ভিত্তি
- আধুনিক ব্রয়লার মুরগীর পূর্বপুরুষ হলো Red Junglefowl (বন্য জঙ্গলের মুরগী), যাকে মানুষ প্রথমে পোষ মানায়।
- পরে এর সঙ্গে বিভিন্ন ইউরোপীয় ও এশীয় দেশি জাত (যেমন: ককেশিয়ান, ইংলিশ গেম, এশিয়ান ফাউল) মিশ্রিত করা হয়।
২. আধুনিক ব্রয়লার তৈরির সূত্র
আধুনিক ব্রয়লার মূলত ৪টি “parental line” এর সমন্বয়ে তৈরি হয়।
-
Cornish (ইংল্যান্ড থেকে)
- মাংসল বুক, শক্ত শরীর।
- দ্রুত ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।
-
White Plymouth Rock (আমেরিকা থেকে)
- প্রচুর ডিম দেয়।
- মাংসও নরম হয়।
-
New Hampshire & Rhode Island Red
- দ্রুত বেড়ে ওঠে।
- টিকে থাকার ক্ষমতা বেশি।
-
Leghorn ও Sussex জাত (সাপোর্ট হিসেবে)
- রোগ প্রতিরোধ ও প্রজননে দক্ষ।
👉 এভাবে Cornish × Plymouth Rock = প্রথম বাণিজ্যিক ব্রয়লার (১৯৩০-এর দশক, USA)।
👉 পরে এতে New Hampshire ও অন্যান্য জাত যোগ করে আরও উন্নত হাইব্রিড বানানো হয়।
৩. বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি
- Selective Breeding: যেসব মুরগী দ্রুত বাড়ে, বেশি মাংস হয়, সেগুলোকে প্রজননের জন্য বাছাই করা হয়।
- Crossbreeding: দুই ভিন্ন জাতের শক্তি একত্র করা হয় (যেমন: Cornish এর মাংস + Plymouth Rock এর ডিম)।
- Genetic Improvement: কয়েক প্রজন্ম ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এমন “হাইব্রিড” তৈরি হয় যেটি ৩০-৪০ দিনে ১.৫–২.৫ কেজি হয়ে যায়।
৪. বর্তমান ব্রয়লার জাত
আজকের দিনে ব্রয়লার সম্পূর্ণ বাণিজ্যিক হাইব্রিড লাইন। এগুলো গোপনভাবে বড় কোম্পানি (যেমন: Cobb, Ross, Hubbard, Lohmann) নিয়ন্ত্রণ করে।
- এরা সাধারণ খামারিকে শুধু “Parent Stock” বা “DOC (Day Old Chick)” দেয়।
- মূল বংশের জেনেটিক তথ্য (Grandparent & Great-Grandparent lines) তারা নিজেদের হাতে রাখে।
৫. উদ্দেশ্য
- দ্রুত বাড়ানো (৩০ দিনে ২ কেজি)।
- খাদ্য রূপান্তর দক্ষতা (কম খাবারে বেশি মাংস)।
- সাদা রঙ (চামড়া ও মাংস আকর্ষণীয় দেখা যায়)।
👉 সহজভাবে বললে, Cornish × Plymouth Rock দিয়ে শুরু, এরপর ধাপে ধাপে আরও জাত মিশ্রণ করে আজকের ব্রয়লার জাত তৈরি হয়েছে।
ChatgptAI2025
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Heartfelt Thanks for your valuable comments.