সোমবার, অক্টোবর ৩০, ২০২৩

৩৪। সাগর পাড়ে



পূব আকাশে উঠলো জেগে রঙধনুটা হঠাৎ হেসে,
দেখতে পাবে হরেক রঙে প্রেমের রাণী বসছে ধ্যানে।
বাস করে তার প্রেমের পুরুষ, পৃথিবীরই প্রান্তকোণে,
ভাবছে বসে কেমন আছে, চিত্র আঁকে হৃদয় পটে।
জানেনাতো নদীর বুকে বইছে কি জল আগের মতো,
দল বেঁধে কি মাছ ভাসে তার, গভীর বুকের অতল তলে।
ফুটলো কি ফুল; হৃদয় কাঁড়া হাসি দিয়ে বাগান মাঝে,
পসরা আজো সাজায় কিনা! প্রেমিক হৃদয় আমার তরে।
বাস করে সে আকাশ পরী, তাদের ধরা আকাশ পাড়ে,
হয়না যখন ডাকা তারে, পৌঁছবে সেথায় কেমন করে?
হাসছো কেন দিবানিশি, হৃদয় লুটে অচিনপুরে,
খেলছে দেখো দেহমাঝে গভীর কাঁপন বারেবারে।
জানলেনা তো হৃদয় মাঝে, আছে এ কোন পূর্ণতা!
দেখলে প্রকাশ হবে তাহা, শুধুই কেবল শূন্যতা,
আশার পালে লাগছে হাওয়া, এ যে আজি কল্পনা,
কভু কী আর আঁকা হবে হৃদয়পটে আল্পনা।
তোমার আশা মিলবে সবি, একই নদীর মোহনাতে,
গড়বো সুখের জলের নীড়, সুদূর দেশের সাগর পাড়ে।
থাকবেনাতো আপন পর, লাগবেনা কেউ পিছু কারো,
শান্তি সুখে রবে সদা, মনে প্রাণে শান্তি যতো।




----------------- আরিফ ইবনে শামছ্
২৯.০৮.২০০১
All reactions:
Adel Farhan

৩৩। সফেন পদ্ম



মুখোমুখি আজ জটিল ধারায় কোন সে পথে;
ধেয়ে যাব; একাকী কূজন রবের লেশ ধরে,
থাকবেনাতো মাথার 'পরে, মহীরুহের ছায়া কোন,
ডাকবে ডাহুক ঝিঁঝিঁ পোঁকা, চলতে হবে ধীর।
কোথাও হবে নিকচ আঁধার, ভয়াবহ সন্ধ্যাবেলা,
থাকবে আবার সৈকতে, বিজন ভূমির প্রেমের মেলা,
নাহি পাবে শান্তি কিছু, হেথায়-হোথায় বৃথাই ঘুরে,
অমাবস্যার আঁধার রবে, হৃদয় ভরে, পূর্ণিমাতে!
হয়তো কভু পড়বে মনে; প্রিয়তমারর কথার বাঁকে,
দেখেছিলে প্রিয় বদন, উঠতো হেসে খিলখিলিয়ে।
পাবে কি সেই প্রেমের পদ্ম, থাকতো যাহা সদা পাশে!
দেখলে তোমায় পদ্মখানি, সফেন রঙে ওঠতো হেসে।
আকাশ ভরা জমতো আভীর; তোমার এমন বসন দেখে,
হৃদয় কেঁড়ে ছুটতো পাখি, মাথার পরে গগণ জুড়ে,
কালো মেঘের আনাগোনা তোমার মুখে হতো যবে,
তন্ত্রী গুলো পড়তো তখন ভীষণ ঝড়ের ঘূর্ণিপাকে।
তোমার দেখা ধুমকেতু কি? জাগবে আবার হৃদয়াকাশে,
জমবে আবার প্রেমের মেলা! সে কি রবে কল্পনাতে?
জানলেনা তো মনের খবর!
বুঝলেনা যে ঋতুবদল!
আসছে ধেয়ে জীবন জুড়ে, কাল-বৈশাখী ভেঙ্গে আগল। রবে কল্পনাতে?
জানলেনা তো মনের খবর! বুঝলেনা যে ঋতুবদল!
আসছে ধেয়ে জীবন জুড়ে, কাল-বৈশাখী ভেঙ্গে আগল।


------- আরিফ ইবনে শামছ্
২৮.০৮.২০০১

৩২। হৃদয় কন্দরে


কবিতা তোমার আশ্রয়স্থল হয়তো হারিয়ে যাবে!
মিশিয়ে দেবে দুঃখের উদ্ভট গন্ধ মেশানো মদে।
হারানোর বেদনা সে যে তিক্ত পেয়ধারার মতো,
আশা করা হয়না কভু যা'দিয়ে যাবে যতো।
মসৃণ হৃদয়ভূমে জাগাবে ধূ ধূ মরুময় বালুকারাশি,
জাগবে হৃদয় নদীতে বেদনার বালুচর রাশি রাশি।
যে নদী বয়ে চলে, প্রিয় জনের ভালবাসার সন্ধানে;
সে যে কী মরুতৃষা নিয়ে চলে, জানেতো কেবল সে।
জানবে সেদিন ভাল করে,ভালবাসা হৃদয়পটে,
সুন্দর সেতো অনন্যা,বলছি মধুর লগন মাঝে।
ভাল করে নিও দেখে, কবিতার সব অঙ্গ জুড়ে,
বিষাদমাখা অশ্রুসজল, কান্নাতে যার বুক ভাসে।
সন্দেহের বোমারু বিমান, মনাকাশে যায় উড়ে যায়,
মরণবীণায় প্রাণ কে দেবে , নির্লিপ্ত সব আঁখি তাই।
ভাগ্য কারো তৈরি করা, কারো আবার গড়তে হয়,
জীবন মাঝে যুদ্ধ করে, প্রাণকে আপন করতে হয়।
প্রতিভার স্বাক্ষর নাকি, বিরহের মহাঔষধ!
জীবনের প্রাণসঞ্চালনে, মৃত দেহে সঞ্জীবন।
অসভ্য প্রবৃত্তিকে খুঁজে বের করে, বধ্যভূমিতে কর বধ,
দাও প্রেরণা, মহান সে প্রভুর আভাসে,
তুমি দিনভর।
স্বপ্ন দেখাও, পথের দেখা, জীবন পথের কত মেলা!
লাভের দেখা মিলবে কবে, সেই হিসেবে জ্ঞান হারা।
কবিতার সৃষ্টি তব, প্রেম নিবেদন, নিজের তরে!
সৃষ্টির উল্লাসে আজ সব কাঁপে তাই হৃদয় কন্দরে।

-- আরিফ ইবনে শামছ্
২৮.০৮.২০০১
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
ভাদুঘর, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া।
All reactions:
Adel Farhan

৩১। সান্ত্বনা



[মেঘনার কন্যা খ্যাত তিতাস বিধৌত, শিল্প-কলা, সাহিত্য-সংস্কৃতির সূতিকাগার, প্রখ্যাত ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার সবুজ-শ্যামল ভূমি শহীদী রক্তে সিক্ত - রঞ্জিত; ২০০১ সালে ফতোয়া রক্ষার আন্দোলনে ০৬ জন বীর মুজাহিদ শাহাদাৎবরণকারী ভাইদের স্মরণে। সুমহান আল্লাহ তাআ'লা এর বিনিময়ে সত্য-ন্যায়ের তথা ইনসাফের রাজত্ব ক্বায়েম করুক]

আম্মা! তুমি কেঁদোনা আর,
চোখদুটি ভরে তুলোনা লোনাজলে;
পাঁপড়ি চোখের সিক্ত করোনা অশ্রুতে;
মনের পৃথিবীকে ধূ ধূ মরুভূমি করোনা।
আমি ছিলামনা কিছু দিন আগে,
তোমার পাশে নয়নতারা হয়ে?
কাটায়েছি শৈশব কৈশোর তোমার কোলেতে।
মাগো! আমি মরিনি জানো!
সৌভাগ্য আর নিঃসীম সুখ-ভোগ,
সুদর্শণা ললনারা দিয়েছে হাতছানি,
যাদেরকে জানি রুপসী- অপ্সরী।
যাদের ভালবাসা প্রতিটি মুহুর্তে,
ঘিরে রেখেছে আমায়,
বাঁচিয়ে রেখেছে।
সে'ভালবাসার সম্পূর্ণ ভিন্ন স্বাদের প্রলোভনে,
স্থির থাকতে পারিনি;
আর তাই পড়লাম লুটিয়ে।
আল্লাহর সেনা হয়ে,
তপ্ত লৌহ বুকে রেখে,
কে মানিতে চায় বলো মা!
ধৃষ্টতা খোদার সাথে?
মহান প্রভূর সেই ঝর্ণাধারায়,
সবার আগেই চলে এলাম।
তুমি কাঁদো কেন বারবার?
দেখোনা চলে কত খেয়া পারাপার!
অধীর আগ্রহে মুক্তির দাবী নিয়ে,
বসে আছি মা, এসো ওপারে।।
আল্লাহকে ভূলোনা,
পথ তাঁর ছেড়ে দিওনা,
এ পথেই মুক্তির দিশা,
মিলে যাবে একদিন।
বাবাকে ভূলে যায়নি,
বলো আমরা সবাই আছি,
একইসাথে চলি সদলবলে,
প্রভুর রাজ্যে, তাঁ'রই সান্নিধ্যে।
যে যা'ই বলে যাকনা কিছু,
শুনোনা বিভ্রান্তের তরে শুধু,
সব অপচেষ্টার উপস্থাপন,
করে যায় নর পিশাচের দল।
ঢেলেছি তপ্ত খুন, রাখো মা'রে জেনে,
কোরআন হাদীসেরে ভালবাসি বলে।
পেয়ে গেছি আজ সব নিঃসন্দেহে,
বিজয়ী কেতন ইসলামের,
দেখো, উড়বে দেশে দেশে।।

-- আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া
০৬.০২.২০০১
তোফায়েল আজম রোড,
শহীদবাড়ীয়া (ব্রাহ্মণবাড়ীয়া)
All reactions:
Adel Farhan and Kamal Hossain

৩০। জানলেনা



হাজার বছর ধরে, যে পাটাতনে দাঁড়িয়ে,
জানলেনা আজো, জানলেনা সে কে?
হাজারোবার যে দ্বারে, টোকেছে বাসনার ইঙ্গিত!
সে দ্বার খোলেনি, গেয়ে গেল শব্দহীন সংগীত।
অব্যবহিত পূর্বে কিংবা পরে, কেঁউ ডাকল কি?
সুমধুর স্বরভঙ্গিতে সব সম্বোধণে!ওগো সম্রাজ্ঞী!
তিলোত্তমা উপহার, সব শূভ্র ফুলের মালা,
সম্রাটের শাহী অশ্বের খুঁড়ের ছন্দে পড়লো বাঁধা!
নাই রাজ অশ্ব, নেই শাহী ফরমান,
প্রতিটি রক্তকণিকা বলে, তুমি নীল আসমান,
কখনো সুনীল রঙে, স্বপ্নিল সাজ নাও,
কভু তারকার স্নীগ্ধ আলোর আঁচল দাও,
দিবানিশি পাষাণের মতো, নীরব যে থাকনা,
আমার সুখের তরে, তোমার সকল বন্দনা।
তোমার রূপের মহাসমুদ্রে, আমি যে বিভোর,
মহাইন্দ্রজালের প্রেমময় ভূষণে, দেখি প্রতিটি ভোর।

- আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া
রাত ১৩ টা ৪৫ মিনিট,
২০/০২/২০০৩ ঈসায়ী সাল।

২৯। !!! জাগবে কবে, বীরের জাতি !!!


কলম তোমার ভোঁতা কেন? মুখে নেই কোন রা!!
ভয় কি তোমার দেশ কাঁড়িবে ! রোহিঙ্গা না বৌদ্ধরা ?
তাকাও! তোমার আপন জনের মুখটি বারেক দেখো,
কারো আঘাত সইবে কভু, নীরবে তা' ভেবো !!!
যালিম - জুলুম করছে কেমন !!! তাকাও মায়ানমানমারে,
মানব শত্রু বৌদ্ধরা আজ আসল পরিচয়ে।
"প্রাণী হত্যা মহাপাপ", অভিনয়ের বানী !!!
মানুষ খেকু বৌদ্ধদের সব, দেখছে বিশ্ববাসী !!!
বিশ্ব মাঝে তাকাও তুমি মুসলিমরা কি নয়রে প্রাণী???
ইরাক,সুদান,আরাকান, কাশ্মীর , হচ্ছে সেথায় কি ???
বিশ্ব মোড়ল চুপটি কেন? করছে কিসের কাজ !!!
চাও কি তুমি বিশ্ব মাঝে , মানবতা নিপাত যাক।
নেতা কোথায় ? কে দাঁড়াবে? মজলুমের পাশে বলো?
ঘরে বাইরে মারছে সবে, শূন্য উঠান দেখো !!!
নাইকি তোমার রক্ত, মাংস, মরলো বিশ্ব বিবেক?
চলো ভাইরে জানাজাতে, দাফন করি তাদের।
মারছে আজি সারে সারে, নিঠুর অত্যাচারে,
তিলে তিলে দিচ্ছে ঠেলে, ভয়াল মৃত্যুকূপে।
আর কতো দিন দেখে যাবে মরন জ্বালা নীরব চোখে,
বাদ-প্রতিবাদ, ন্যায়ের যুদ্ধে, বীরের জাতি জাগবে কবে?


---আরিফ ইবনে শামছ্
২১.১১.২০১৬ ঈসায়ী সাল
বিকাল ০৩:৫০ মিনিট
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২,
ভাদুঘর, সদর, বি.বাড়ীয়া-৩৪০০।

২৭। ফেরেশতাদের বাগানে


কোকিলের কুহু কূহু, তটিনীর কলরব;
সবুজের সমারোহ, সাজানো যতোসব।
ফুলে ভরা থরে থরে, মনোহর বাগিচা,
হার মানিবে নীরবে, বারেক এসে দেখনা।
কচিকাঁচার মিলন মেলা, ফেরেশতাদের বাগানে,
কে যাবে ভাই, শান্তি পেতে, সকাল দুপুর সাঁঝে,
শুনতে পাবে ঐশী কালাম, অতি মধুর সুরে,
মহানবীর (সাঃ) বাণী বাজে, কচিকাঁচার স্বরে।
ধূলীর ধরায় স্বর্গ যদি, দেখতে চাওরে কভু,
ছড়িয়ে থাকা বিশ্ব মাঝে, মাদ্রাসাতেই এসো।
নয়কো একা, বন্ধু সহ, আপনজনা নিয়ে,
মনেপ্রাণে শুনে নিতে, শান্তি সুধা পানে।
আলেম, হাফেজ, ক্বারি সাহেব ইসলামের রাহবর,
তৈরি হচ্ছে দ্বীনের দাঈ, যুগের মান্যবর।
উঁচু করে ধরবে তাঁরা, ধ্বজা ইসলামের,
সগৌরবে পৌঁছে দিতে, বাণী ইহসানের।
আরিফ ইবনে শামছ
তারিখঃ ২৩.১১.২০১৬
সময়ঃ রাত ১২টা ৩০ মিনিট।
ঢাকা, বাংলাদেশ।

২৬। "আহলান সাহলান মাহে রমজান"


মাহে রমজান পরিপূর্ণ নিয়ামতে আল্লাহ্‌র ,
তারাবীহ,তাহাজ্জুদ, পূণ্য মনে সেহরি- ইফতার,।
মসজিদে মসজিদে সুমধুর তিলাওয়াত;
রুকু-সিজদায়,নামাজে-দোয়ায় বান্দারা আল্লাহ্‌র।
যায় বয়ে পবিত্র সময়, বহে শান্তি সমীরণ,
শান্তির হাওয়া বয়, দেহ-মন কথা কয়;
ভোর হতে সন্ধ্যায়;আর যখন রাত্রি,
মিলেনাতো এমন সুখ! খুঁজে ফের যদি।
রমজান নিয়ে আসে জান্নাতি হাওয়া,
মনে-প্রাণে শান্তি,সবি কাছে পাওয়া।
যায় বুঝে সহজে এই মাস আল্লাহ্‌র,
চাও বেশি জীবনে যতো যা' চাহিবার।
তাসবীহ-তাহলীল, রাসূলের দরুদে;
যায় বেলা এমনি সুখ আর শান্তিতে।
চলো যায় জামাতে,নামাজিদের কাতারে,
চাওয়া-পাওয়া সবি বলি সুমহান দরবারে।


--- আরিফ শামছ্
০৬.০৬.২০১৬
১৯ঃ২৬
আশা টাওয়ার, শ্যামলী, ঢাকা।

২৫। সোনার জীবন গড়ি


আমাদের দেশটা হতো যদি সবার,
দুঃখ -সুখ মাঝে হতো একাকার;
কারো বিপদে সহায় হতে,
থাকতো সবাই প্রাণ-পণে ।
খুন ঝরে মাটি - জলে,
লাশ ভাসে খালে -ঢালে;
বিচার-আচার ঠিকই চলে;
সত্যিকারের বিচার কবে?
বিচারকের বিচারক দেখেন ঠিক-ঠিক;
পাবে সবি পুরুটাই পাবে নাক দিক!
শেষ বিচারের আগে চলো নিজের বিচার করি,
ভুলত্রুটি সব ফেলে সোনার জীবন গড়ি।


৩০.০৫.২০১৬
০৬.১৫ সন্ধ্যা
আশা টাওয়ার; ঢাকা।

২৩। ভালবাসা


ভালবাসার আকাশ পেলাম, রংধনুটা কৈ?
ফুলে ভরা বাগান পেলাম, গোলাপখানা কৈ?
তারা ভরা আকাশ দেখি,শুকতারাটা খুঁজি;
নিশাচরের ডাক শুনি আর, ভালবাসা খুঁজি।
ভালবাসার স্বপ্ন দেখি, মন-মুকুরের মাঝারে;
ভালবাসার পিদিম জ্বালায়, বাসনার আঁধারে।
ভালবাসি হৃদয় ভরে, রাখি সদা অন্তরে;
নিঝুম রাতে পাই খুঁজে পাই, ভালবাসার প্রান্তরে ।
বালিয়াড়ি বলে বেড়ায়, প্রাণ যে নিল পাষাণী!
প্রাণ পেলে তো বাগান হবে;গাইবে গানের পাখি ।
ভালবাসার জলধারা, আনবে বয়ে কে’বা!
ভালবাসার ঝরণাধারা লুকিয়ে আছে কোথা?
ভালবাসার মানুষ পেলাম, ভালবাসা কৈ?
ভালবাসার কথা শুনি, স্বাদ যে তাহার কৈ!
ভালবাসার রশ্মি পেলাম, সুরুজটারে খুঁজি;
ভালবাসার চাঁদ ও আমার! তাইতো এখন বুঝি।

---আরিফ ইবনে শামছ্
রাত ১২ টা ৩০
২৪.১১.২০১২
২৮/১, পূর্ব নয়াটোলা,
বড় মগবাজার, রমনা, ঢাকা।

২৪। বিজয়ী কাব্য-গাঁথা


বাংলাদেশের কোটি প্রানের,
চাওয়া-পাওয়া একটি জয়,
আকাশে বাতাসে, ধ্বনি–প্রতিধ্বনি
ভাসে “হবেই হবে জয়”।
বিজয়ের মাস, বিজয়ী শক্তি আছে,
পেশীতে হালাল শক্তি,
বলে বলে পতন নিশ্চিত;
বিরোধী শিবিরের সেনা-সেনাপতি।
কত কি যে চায় আল্লাহর কাছে;
জীবনের বেলা-ভূমে,
চলো দুহাত তুলি তাসকিন ভাইয়ের
মতো শুধু জয় চেয়ে চেয়ে।
পতাকা মোদের উড়বেই আকাশে
বিজয়ী নিশান বেশে,
গ্যালারী,ঘরে,অলিতে গলিতে,
প্রাণ রবে অস্থির, বিজয়ী উল্লাসে।
ছক্কা চারের মারের জোয়ারে,
পালাবে সব জরা-জীর্ণতা,
ছন্দে ছন্দে মনের আনন্দে,
বিজয়ী কাব্য-গাঁথা।
ভূল-ত্রুটিকে আজ জানাবে ছুটি,
“গর্জে ওঠো বাংলাদেশ”,
তোমাদের মাঝে বাংলা কে পায়,
ভূলে সব ভেদ-বিভেদ।
রান আউট আজ ভুলে যারে ভাই,
রান নিবি পায় পায়,
বাঘের হিসাব কেমন পাঁকা,
বুঝিয়ে দেবে, কড়ায়-গন্ডায়।
কেমন থাবা বাঘের থাবা,
বুঝবে তারা’, পড়বে যারা,
বিজয়ী হয়ে বীরের বেশে,
ফিরতে চায় দলে দলে।

- আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া
দুপুর ০৩ টা ৩০
০৬.০৩.২০১৬
আশা টাওয়ার,শ্যামলী, ঢাকা।

২২। নতুন করে গড়ি


নেতা মেনে যার কাছে ভাই সব কর সমর্পণ;
সরলতার সুযোগ নিয়ে,সব করে সে ভোজন।
যাদের কাছে আশার আলো,তারা করে ভান,
দিবালোকে ঘুমায় তারা; বাড়ে তাদের মান।
কষ্টে আছি, কষ্টে থাক, কার কি আসে যায়?
তোমার আমার রক্ত চুষে গভীর ঘুমে যায়।
জমি জিরাত যাইবা আছে, রাখবেনা তা’ বাকী!
ঘুরে-ফিরে যায় দেখিয়ে শুভংকরের ফাঁকি।
পোষাক দেখে জানবে নাক তাহার চরিত্র;
কথার ফাঁকে বোঝতে হবে কেমন সে পবিত্র!
কথা কাজের মারের প্যাঁচে জানবে কি কি চায়?
তোমার আমার ভালো তারা কভু নাহি চায়!
“বদলে দেবো” সমাজটাকে শপথ করো যদি,
থর-থর করে উঠবে কেঁপে,তাদের নরম গদি;
পাহাড় সম সাহস দেখে, মরবে জালেম ভয়ে;
তোমার আঘাত রুখতে তাদের সাধ্য নাহি রবে।
তোমার তুমি নয়তো একা রাখবে মনে সদা,
সবার সাহস শক্তি পাবে,রবে প্রাণের দোয়া।
সবাই মিলে সমাজটাকে নতুন করে গড়ি,
শাসণ-শোষণ হোক অবসান;নিজের মতো থাকি।


আরিফ ইবনে শামছ্
সন্ধ্যা ০৬ টা ৩০
২৮.০৯.২০১৫
আশা টাওয়ার,
শ্যামলী, ঢাকা।

২১। বাসন্তী ভাবনা



প্রতিটি বসন্ত যেন ফুলেল বিন্যাস,
ভ্রম্ররের গুঞ্জন আর কোকিলের
কুহু-কুহু তানে ভরপুর থাকে।
আঁকাবাঁকা নদীর স্বাধীনতার
মূর্তপ্রতীক,সুমধুর তার কলতান,
বিকেলের সোনালী রোদ,
সবি যেন সাথে রবে ।
সকালের কাঁচা সোনা রোদ,
দুপুরের নিরাক পরা,
দু’দুটো পাখি ডাকা নিঝুম সন্ধ্যায়,
কে যায় কারে খোঁজে।
মধ্য রজনীতে নিথর নীরবতায়,
শংকাহীন উৎফুল্ল হৃদয়ে,
পাখিরা সব ঘুমিয়ে পড়ে,
নিশ্চিন্তে স্ব স্ব নীড়ে।

-- আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া।
২৬.০২.২০০৫
মাটিকাটা বাজার,
ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট,
ঢাকা ।

২০। ভাল থেকো খাদিজা


ভাল থেকো অনেক ভালো,
জান্নাতী হয়ে,
কেমন করে চলে গেলে,
কিসের অভিমানে!
জানবনা আর সবার খবর,
কোথায় কেমন আছে?
চলে গেলি এত্তো দূরে,
পায়না যেন খোঁজে।
ভাল থাকিস খোদার দয়ায়,
হুর পরীদের মাঝে,
দোয়া করিস সবার তরে
জান্নাত যেন মিলে।
জানতে কভু পারিনিক কেমন তোরা ছিলে,
স্বামী সন্তান খেশ পড়শী সবার সাথে মিলে।
মাফ করে দিস উদার মনে,
এমন পাষাণ যারা!
ভাবতে কভু পারিনিক
জীবন হবে সারা!
আরকি কভু স্মৃতির দুয়ার,
খুলবে শৈশবের!
মাহবুবা আর তোরা সবার,
টিফিন উপভোগের।
প্রথম তোমায় পেয়েছিলাম,
তৃতীয় শ্রেণীর ক্রমে,
আমি তখন সবার শেষে,
ডাবল প্রমোশনে।
প্রথম ক্রমিক কেমন করে,
করব দখল আমি
সেই ভাবনায় মজেছিলাম,
তখন সহপাঠী।
সেইযে তোমার সাথে হল,
ভাল করে চেনা,
পুতঃমনে চলছি সবাই,
নেইকো লেনাদেনা।
তোমার মতোই মনে পড়ে,
সবাই কেমন আছে?
মনির, নাজির, আওলাদ, আক্তার,
রহিম, আশিক সবে।
বোরহান, ফায়েজ, হুমায়ূন আর ইসমাইল,
জীবন, ছবি, বেবী আর জয়নাল আবেদীন।
কে যে কোথায় কেমন আছে,
আল্লাহ ভাল জানে,
দ্বীন-দুনিয়ার সফলতায়,
সবাই যেন থাকে।
(প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহপাঠিনী ও চাচাতো বোন মরহুমা মোছাম্মৎ খাদিজা আক্তার এর ইন্তেকালে।)

----- আরিফ ইবনে শামছ্

১৯। জীবন ও সম্মান


কিসের স্বপন দেখে আজি, রাখছো কোথায় হাত?
কাদের হাতে রাখছো তোমার, জীবন ও সম্মান?
জাননাতো সবার খবর, কোথায় কিযে করে!
পড়াশুনা করবে নাকি! সেসব খবর নিবে?
বয়স তোমার সমান হবে কিংবা দুয়েক বেশী,
এই বয়সে নাইতো খবর, জীবন সাজায় কী?
কিসের নেশায় ছুটল দেখ তোমার পিছু পিছু,
সাজাবে কি জীবন নাকি, সঙ্গ দিবে কিছু?
লেখাপড়া শেষ করেনি, পায়নি ভাল কাজ,
জীবন নিয়ে নিঠুর খেলা, খেলবে কেমন রাজ!
আবেগ দিয়ে চলে নাক, পূর্ণ জীবন যাপন,
হাঁড়ে হাঁড়ে বুঝবে সেদিন, রবে নাক আপন।
ডানে বাঁয়ে ঘুরে ফিরে পথ হারাতে মানা,
ভাল করে পড়া শেষে, গর্বিত হোক মা।
উজাড় করে ভালবেসে, বিদ্যালয়ে পাঠায়,
অপমানের কালি কভু, ছোঁড়বেনা তাঁ'র গায়।
ভাল মেয়ের ছেলে বন্ধু থাকতে নাহি পারে,
শিক্ষা-দীক্ষায়, মানুষ হতে, লক্ষ্য সবার আগে।
জাননাতো কে যে তোমায়, নিয়ে যাবে কোথা!
তারচে' ভাল লেগে পড়, জীবন সাজায় যেথা।
প্রেমের ফাঁদে এমন সময় দিবেনাক পা,
সবাই তাহার বিরুপ ফসল, সয়তে পারেনা।
হতে পারে সাঙ্গ তোমার জীবন লীলা খেলা,
জীবন্মৃত হয়ে কিবা, কেটে যাবে বেলা!


----------- আরিফ ইবনে শামছ্

দৈনিক মহাবিশ্ব আপডেট : ৩০-অক্টোবর-২০২৩

১৯০। বিপ্লবী (২৫)
--------আরিফ শামছ্

বিপ্লবী!
দেশ ও জাতি,
দিবস রাতি,
কোন্ মোহে,
দুঃখ সহে!
জড় নহে,
অলস দেহে,
পাথর চোখে,
থাকছে চেয়ে।
কী লাভ এসব দেখে!
নেই প্রতিবাদ,
শাসন বিচার,
অপরাধী পগারপার;
উদুর পিন্ডি বুদুর ঘাঁড়ে,
নেই অপরাধ,
জেল হাজতে,
শিশু, কিশোর, জোয়ান মারে।
বিপ্লবী!
আর কতোকাল,
হবে নাকাল,
দেখবে বেহাল,
পিছে দেয়াল;
হিম্মতে হাল,
উড়ছে পাল,
জাগছে মশাল,
আল্ হেলাল।
৩০-অক্টোবর-২০২৩ ঈসায়ী সাল।
মধুবাগ,
ঢাকা।

গাজার হাসপাতাল আল কুদস গুঁ'ড়ি'য়ে দেয়ার হুমকি ইসরায়েলের | Al-Quds hospital | Gaza | Rtv News 




তিন সপ্তাহে রাশিয়ার চেয়ে ৬ গুণ বেশি শিশু হত্যা করেছে ইসরায়েল |Israel Russia Compare | Jamuna TV



গাজায় শরণার্থী শিবিরে ভয়াবহ হামলা চালালো ইসরায়েল | Gaza Attack | Israel Air Strike | Jamuna TV




গাজায় টানা চতুর্থ দিনে গড়ালো ইসরায়েলি স্থল অভিযান | Land operation | Israel | Palestine | Desh TV




হামাস-ইসরায়েলের সর্বশেষ পরিস্থিতি | Hamas | Gaza | Palestine | Israel | Ekattor TV




১৯০। বিপ্লবী (২৫)
--------আরিফ শামছ্

বিপ্লবী!
এবার তোদের পালা,
অত্যাচারী জালিম পুঁড়ে,
ধ্বংস এনে, ভস্ম করে,
সুখের প্রদীপ জ্বালা।
সাম্যবাদে দেশ ও জাতি,
ন্যায় প্রহরী দিবস রাতি,
শান্তি সুখের জ্বালবে বাতি,
সবাই সুখী পর জ্ঞাতি।
ভেদ অভেদ যাও ভুলে যাও,
শান্তি সুখে ভাগ করে নাও,
সবাই সবার সব বেলাকাল,
পাশে রেখো, রও চিরকাল।

৩০-অক্টোবর-২০২৩ ঈসায়ী সাল।
মধুবাগ,
ঢাকা।

মহাবিশ্ব নিউজ মিডিয়া লিমিটেড  

নির্বাহী সম্পাদক: ফখরুল আমিন আরাফাত ভূইয়াঁ

উপদেষ্টা সম্পাদক: রেয়াজুস সালেহীন ভূইয়াঁ

সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি: শামসুল আরিফিন ভূইয়াঁ প্রকাশক : নূর-এ -জান্নাত ফাতিমা ভূইয়াঁ

৪০১, দারুন্নাজাত মাদ্রাসা  রোড, সারুলিয়া, ডেমরা-১৩৬১, ঢাকা,বাংলাদেশ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। 

০১৬১০০০৭৯৭০ 

০১৭১১৯৪১৯৩৮ 

mohaabiswa@gmail.com

https://mohaabiswanewsmedia.blogspot.com/

রবিবার, অক্টোবর ২৯, ২০২৩

১৮। কথা কাজে পরিচয়



কি হলো আজ পথে ঘাটে,
ভালো মানুষ নাই,
অলি, গলি, পথে পথে, জারজ দেখা যায়,
কথা, কাজে, আচরনে মিলবে পরিচয়,
জারজ নাকি ভদ্র মানুষ, সবাই তাহা কয়।
পথের মাঝে কিংবা কভু বাজার সদায়ে,
একলা কোন মেয়ে পেলেই, হুমড়ি খেয়ে পড়ে!
বাসে উঠার সময় কিংবা নামার সময় হলে,
পাগল, ছাগল, প্রতিবন্ধী করে কি আর বলে?
একলা সীটে বসা পেলে, ভদ্র সেজে বসে,
নোংরা যতো কথা কাজের, প্রকাশ করে হেসে।
সহ্য করার সীমা ছাড়ায়, কেউ বলেনা কিছু,
আশে পাশে যাত্রী বহু, নাইকি মানুষ ভালো!
পথে, ঘাটে, বাস, বাজারে, ছুটে প্রয়োজনে,
বেশ্যা মেয়ের মতো তোদের ডাকছে কভু কাছে?
তোরা কেন এত খারাপ, জারজদেরই মতো,
কথা, কাজে, আচরণে, ছুটিস তাদের পিছু।
সব হারামী মিলে কেন নোংরা কথা বলিস,
একলা মেয়ে ভাবছে শুধু, কেমন তোরা খবিশ!
নাইকি তোদের মেয়ে ছেলে, ভাই বোন, সংসার?'
কেমন করে তাদের সাথে, করিস বসবাস?



------------ আরিফ ইবনে শামছ্

১৭. সব হারানো শেষে


ভারত কেন জ্বালায় এতো তার কি সুবিধা?
পানি নিয়ে রাজার নীতি, পানি কেন পাইনা?
মরুভূমি হয়ে যখন পানি পানি করি,
ফারাক্কা বাঁধ দিয়ে পানি, ভিন প্রদেশে টানি।
বর্ষাকালে বাঁচিনারে ভীষণ পানির জ্বালা,
গ্রীষ্মকালের পাওনা সবি মিটায় করে মায়া।
বানের জলে ভাসি যখন আমরা বাঙ্গালী,
সব বাঁধেরই মুখ খুলে দেই, সবাই তাহা জানি।
কেমনতরো নোংরা কাজের খেলা বারে বারে,
বাঙ্গালিরা দেখে যাবে, বানের জলে মরে।
বিশ্বে কেহ নাইকি দেখার এমন আচরণ?
বছর বছর করে যাবে, নাইকি তাদের শরম?
নেতা হয়ে আসন দখল কাজের বেলা নাই,
নামে দেশের নেতা হয়ে, দেশটা বেঁচে খাই।
জনগনের নাইরে সময়, ধান্দা পেটের করে,
কষ্ট করে দিবা নিশি, আহার যোগায় সবে।
ভাল করে জানতে শিখ সকল ইতিহাস,
কেমনে তারা করছে তোমায় নিত্য পরিহাস?
স্বাধীণতা পেলাম সবাই, তাদের অবদানে!
আজো শুনি ঋণ যে বাকী, সব হারানো শেষে।



------ আরিফ শামছ্

ভালবাসি দিবা-নিশি _সূচীপত্র

প্রশংসা ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা

প্রশংসা কি? কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি? কোরআন, হাদীস, ইজমা, কিয়াস সহ সকল ইসলামি ইমাম মুজতাহিদ এর মতে প্রশংসা কে, কার জন্য ও কে...