রবিবার, জুন ০৮, ২০২৫

ফিরে আসার গল্প — চূড়ান্ত প্রস্তাবিত সূচিপত্র

 


📜 ফিরে আসার গল্পচূড়ান্ত প্রস্তাবিত সূচিপত্র

(By Ariful Islam Bhuiyan — Arif Shams)


  •  

অধ্যায় : হারানো দিনের স্মৃতি

  1. হারানো সময়ের ছায়া
  2. ভালোবাসার ছেঁড়া পাতাগুলো
  3. বিদায়ের অশ্রুবিন্দু

অধ্যায় : একাকী পথিক

  1. পথ চলার একাকীত্ব
  2. ভগ্ন হৃদয়ের ডায়েরি
  3. নতুন করে গড়ার প্রত্যয়

অধ্যায় : আলোর সন্ধানে

  1. রবের আলোয় প্রথম ডাকি
  2. নামাজের সে রাত
  3. আত্মার মুকিতের আকাঙ্ক্ষা

অধ্যায় : সওগাতের যাত্রা

  1. আমি শুধু তোমাকেই ভালোবাসি
  2. জীবনের শেষ তাওবা
  3. রবের নিকটের পথিক

অধ্যায় : ফিরে আসার দিনলিপি

  1. নতুন ভোরের প্রার্থনা
  2. স্মৃতির কাছে ক্ষমা
  3. এক নতুন সওগাত

অধ্যায় : আত্মার বন্ধনে

  1. কালিমার শক্তি
  2. নিজের সঙ্গে সন্ধি
  3. আল্লাহর প্রেমে হারানো এক আমি

অধ্যায় : অনন্তের পথচলা

  1. প্রতিদিনের তাওবা
  2. রবের ভালোবাসার গল্প
  3. শেষ দিনের প্রহর গোনা

সমাপ্তি: ফিরে আসার গল্পশেষ অনুরোধ

  • রবের করুণার অপেক্ষা
  • "ফিরে আসার গল্প" থেকে জীবনপাঠ
  • পাঠকের প্রতি একান্ত আহ্বান

ফিরে আসার গল্প — পূর্ণ সূচিপত্র (প্রস্তাবিত)

 


ফিরে আসার গল্পপূর্ণ সূচিপত্র (প্রস্তাবিত)

অধ্যায় : প্রস্থানের দৃষ্টান্ত

  • শুরু: হারানো সময়ের স্মৃতি
  • বিয়োগান্ত প্রেম
  • দূরত্বের শুরু

অধ্যায় : পথের বাধা

  • একাকিত্বের সঙ্গী
  • হারানোর যন্ত্রণার আয়না
  • নিজের সঙ্গে দ্বন্দ্ব

অধ্যায় : অভ্যুত্থান

  • আত্মার আহ্বান
  • প্রত্যয়ের আলো
  • প্রথম ধাপ ফিরে আসার পথে

অধ্যায় : বিচ্ছেদের দোলাচলে

  • স্মৃতির ছায়া
  • বিচ্ছেদের মধুর ব্যথা
  • শেষ বার্তা

অধ্যায় : প্রত্যাবর্তনের অঙ্কুর

  • নতুন দিনের সুর
  • অবহেলিত ভালোবাসা
  • ছোট ছোট খুশির খোঁজ

অধ্যায় : সওগাতের আগমন

  • আলোর ফেরাটা
  • নিঃসঙ্গতায় বন্ধুত্ব
  • জীবনের নতুন অর্থ

অধ্যায় : নিখাদ ভালোবাসা

  • আমি শুধু তোমাকেই ভালোবাসি
  • হৃদয় ভাঙার গভীরতা
  • আল্লাহর প্রতি প্রেমের ঘোষণা

অধ্যায় : অন্তিম তাওবা

  • জীবনের শেষ তাওবা
  • শেষ আকুল প্রার্থনা
  • ত্যাগ আত্মসমর্পণ

অধ্যায় : পথিকের যাত্রা

  • রবের নিকটের পথিক
  • আত্মার আলোয় পথ চলা
  • ধারাবাহিক দৃশ্য

অধ্যায় ১০: ফিরে আসার পর্ব

  • আত্মার পুনর্জন্ম
  • জীবনের নতুন গল্প
  • চিরন্তন আশার কথা

পরিচয়: আরিফ ইবনে শামছ্

 নাম: আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া লেখালেখি: আরিফ ইবনে শামছ্ পিতা: বিশিষ্ট সমাজ ও সাহিত্যসেবক, কবি ক্বারী আলহাজ্ব শামছুল ইসলাম ভূঁইয়া (রাহঃ)।সহকারি প্রকৌশলী, বাংলাদেশ তার ও টেলিফোন (বি.টি এন্ড টি- বি.টি.সি. এল)। মাতা: মোয়াল্লিমা হালীমা সাদীয়া ভূঁইয়া। ঠিকানা: ফখরে বাঙ্গাল নিবাস, ভূঁইয়া পাড়া, বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২, গ্রাম: ভাদুঘর, পোষ্ট: ভাদুঘর-৩৪০০। থানা:সদর, জিলা: বি.বাড়ীয়া। পড়াশোনা: নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়, (৬ ষ্ঠ শ্রেনী) সদর, বি.বাড়ীয়া। ভাদুঘর মাহবুবুল হুদা পৌর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় (৭ম-১০ম)।হাবলা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় (রেজিষ্ট্রেশন) হতে ১৯৯৫ ঈসায়ী সালে কৃতিত্বের সাথে ১ম বিভাগে পাশ করেন।প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বরাবরই ফার্ষ্ট বয় ছিলেন।১৯৯৭ সালে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পাশ করেন।২০০১ সালে, বি.এস.এস (সন্মান-অর্থনীতি), ব্রাহ্মণবাড়ীয়া সরকারি কলেজ, ২০০৩ সালে, এম.এস.এস (অর্থনীতি), সরকারি তিতুমীর কলেজ, ঢাকা, বি.এড. বাংলাদেশ টিচার্স ট্রেইনিং কলেজ, ঢাকা (জাতীঃবিঃ), এম.এড (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), এম বিএ -এম এই এস (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-অধ্যয়নরত) পূর্বপুরুষদের পূর্বকথাঃ বৃহত্তর বিভাগ ময়মনসিংহের অন্তর্গত বেলগাঁও থানার দিলালপুরে বসবাস করতেন পাঁচ ভাই।দুই ভাই দ্বীনের কাজে বা ভ্রমনের উদ্দ্যেশ্যে দিলালপুর থেকে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া (ত্রিপুরা) জেলার সদর থানার অন্তর্গত ভাদুঘর গ্রামে আসেন।প্রাকৃতিক পরিবেশের অপূর্ব লীলানিকেতনের মোহে মোহাবিষ্ট হয়ে ভ্রাতাদ্বয় স্থায়ী বসবাসের সিদ্ধান্ত নেন ভাদুঘরে।"বংশ পরম্পরায় দ্বীন ধর্মের প্রচার প্রসার, অলি-আল্লাহদের খেদমত ও ইহসানের সুবাদে ধারণা মজবুতভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় যে, ভ্রমণে নয়, দ্বীন ধর্ম প্রচার বা ইসলামের দাওয়াত নিয়েই দুই ভাই এসেছিলেন"। কবিতা সাহিত্য সংস্কৃতির আসর (একটি গতিশীল সাহিত্যভান্ডার)। প্রাক্তন বিভাগীয় সম্পাদক, সাহিত্য সম্পাদক, মাসিক "বলিতে ব্যাকুল" পরবর্তীতে "তিতাস বার্তা"। মোবাইল: ০১৬১০০০৭৯৭০। বয়স: ৩৮ বছর। পেশা: চাকুরী। প্রকাশিত লেখা: দৈনিকভাবে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, দৈনিক প্রজাবন্ধু, মাসিক বলিতে ব্যাকুল, তিতাস বার্তা, হক্ব পয়গাম। মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম শেখ সম্পাদিত "ঝরা ফুলের গন্ধ" যৌথ কাব্য গ্রন্থে প্রকাশিত (১) "শ্বাশ্বত আহ্বাণ" এবং (২) "ছন্দ নাবিক"। মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম শেখ সম্পাদিত "বিজয়ের উল্লাসে" যৌথ কাব্য গ্রন্থে প্রকাশিত (১) সত্য সন্ধানী (২) বাঙালির স্বাধীনতা (৩) বিজয়ের উল্লাসে (৪) অনুশোচনা (৫) বিদ্রোহী তুমি, বিপ্লবী (৬) আজকের এই বাংলাদেশ (৭) ভাঙ্গা গড়া সংকলন ও সম্পাদনা: তাসকিন আব্দুল্লাহ "বাংলার ১০০ কবি ও কবিতা" যৌথ কাব্য গ্রন্থে প্রকাশিত আগুন জ্বালা অন্তরে | সন্মাননা পত্র প্রাপ্তি : পাক্ষিক সেরা কবি, আধুনিক বাংলা কবিতার আসর (কবিতাঃ কারবালার শিক্ষা),পাক্ষিক সেরা কবি, আধুনিক বাংলা কবিতাপাক্ষিক সেরা কবি, আধুনিক বাংলা কবিতা ছড়া ও গানের আসর (কবিতাঃতোরা থামবি কিনা বল।) সাহিত্য জাগরণ বাংলাদেশ (কবিতাঃহৃদয় কন্দরে। কবিতাঃ কবিতা তোমার।)শখের কবিতা সাহিত্য আড্ডা (কবিতাঃ টেকসই মানবতা।কবিতাঃ বিদ্রোহী তুমি বিপ্লবী।)। বাংলাদেশ কবি সংসদ, (সিলেট বিভাগ)।বাংলাদেশ কবি সংসদ, (চট্রগ্রাম বিভাগ) হতে সাহিত্য অঙ্গনে বিশেষ অবদানকৃত স্বরুপ বিশেসন্মাননা পত্র প্রাপ্তি।বিশেষ সন্মাননাপত্র, এসো কবিতা লিখি (কবিতাঃ জাগাও তুমি জেগে ওঠো!),দিনের (২০-১১-২০১৭) সেরা কবি, বাংলাদেশ কবি পরিষদ (কবিতাঃ বাঙ্গালীর স্বাধীনতা)।আন্তর্জাতিক কবি পরিষদ (আজকের- ০৬-১২-২০১৭- সেরা কবি, কবিতাঃ "জীবন তরী"); ছায়াবীথি (সেরা পোষ্ট- কবিতা ইভেন্টে বিজয়ী- কবিতাঃ "অনাগত সন্তানের আহ্বান"।সমাজ কল্যাণ সাহিত্য পরিষদ কর্তৃক সপ্তাহের (১৪-১২-২০১৭) সেরা বিজয়ী কবি, ১ম স্থান অধিকারী, (কবিতাঃ আসলে পতন, খবরদার !)বাংলা সাহিত্য (কবিতা ও গল্পের রস _১৪-১২-২০১৭_সাপ্তাহিক সেরা ২৫ এ ৫ম স্থান ( কবিতাঃ আসলে পতন, খবরদার !);বাংলা সাহিত্য (কবিতা ও গল্পের রস _২২-১২-২০১৭_সাপ্তাহিক সেরা ২৫ এ ১১ তম স্থান ( কবিতাঃ পরোয়ানা !)প্রজন্ম সাহিত্য সভা (প্রসাস-০৬-০২-২০১৮_সপ্তাহের সেরা ০৫ এ ০৪- কবিতাঃ স্বান্তনা) নকলা উপজেলা সমাজকল্যাণ সাহিত্য পরিষদ, সাপ্তাহিক সম্মাননা ১৬-০২-২০১৮, ( কবিতা: ফাগুনের গান); কাব্য প্রেমীদের প্রচার মাধ্যম_ গল্প কবিতা ও সাহিত্যের আসর_বিশেষ সম্মাননা _২২-০২-২০১৮ (কবিতা: প্রিয় বাংলাভাষা); কাব্য কথার মেলা সাহিত্যাঙ্গন, সাপ্তাহিক সেরা ০৫ (কবিতা: এই পৃথিবীর আর্তনাদ); সাহিত্যজগৎ (সকল সাহিত্য প্রেমিদের ঠিকানা), সাপ্তাহিক সেরা ০৫ (কবিতা: বিপ্লবী );শেরপুর সাহিত্য পরিষদ, সাপ্তাহিক সম্মাননা, ২৩-০৩-২০১৮ (কবিতা: বিপ্লবী) ; সাহিত্য সন্ধ্যা, আজকের (২৭-০৩-২০১৮) সেরা কবি, (কবিতা: বিপ্লবী) বাংলা সাহিত্য কবিতা ও গল্পের রস_৩০-০৩-২০১৮_সাপ্তাহিক সেরা ২৫ এ ৪র্থ স্থান ( কবিতাঃবিপ্লবী )। সাপ্তাহিক সেরা ০৭ কবি ও কবিতায় ১ম স্থান, (কবিতা: বিপ্লবী ); সাহিত্যের জাগরণ, আন্তর্জাতিক সাহিত্য সংগঠন, সাপ্তাহিক সম্মাননা, ০১-০৪-২০১৮ (কবিতা: বিপ্লবী)। https://www.facebook.com/ariful.bhuiyan.bd/ https://www.linkedin.com/in/arifulislambhuiyan/ https://www.twitter.com/arifulbhuiyan12 https://www.youtube.com/c/arifbhuiyan01711 ## ফখরে বাঙ্গাল নিবাস, বাড়ি#১২৩৪, ওয়ার্ড#১২ ,ভুঁইয়া পাড়া, ভাদুঘর দক্ষিণ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর , ব্রাহ্মণবাড়ীয়া। All copyright by ARIFUL ISLAM BHUIYAN | আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া | ফখরে বাঙ্গাল নিবাস। ভাদুঘর।বি.বাড়ীয়া। ওয়ারিদ টেলিকম, এয়ারটেল লিমিটেড, রবি আজিয়াটা লিমিটেড এবং নগদ লিমিটেড কোম্পানিগুলোতে কন্ট্রাকচুয়াল এবং পারমানেন্ট এমপ্লয়ি হিসেবে ২০০৮ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত কর্মরত ছিলাম।

বুধবার, জুন ০৪, ২০২৫

আল্লাহ্‌র দয়ার কোনো সীমানা নেই

📜 কবিতা ১৩: 

✍️ কবি: আরিফ শামছ্
📅 তারিখ: ৩১ মে ২০২৫
📍 স্থান: রিয়াদ, সৌদি আরব
(অধ্যায় ৬: কেয়ামত ও অনন্ত জীবন)

আমি যখন সব দরজা বন্ধ পেলাম,
তুমি একমাত্র খুলে রাখলে তোমার করুণা।
আমি যখন নিজের চোখে নিজেকে হারালাম,
তুমি তখন বললে— "ফিরে এসো, আমি ক্ষমাশীল!"

আমার পাপ যত বড়ই হোক,
তোমার দয়া তার চেয়েও বিশাল।
আমি যখন বললাম—
"তুমি কি আমাকে এখনো ভালোবাসো?"
তুমি পাঠালে উত্তর—
এক আয়াত, এক কান্না, এক অনন্ত প্রশ্রয়।

তুমি রাগ করো,
তবু বারবার ডাকো,
তুমি শাস্তি দাও,
তবু আগে বলো— "আমার রহমত আমার গজবকে ছাড়িয়ে যায়।"

হে রব,
তোমার মতো আর কেউ নেই,
মানুষ ভুল করলে ঠেলে দেয়,
তুমি ভুল করলেও—
জায়নামাজে ডাকো, কোরআনে আলতো করে আলিঙ্গন করো।

তুমি আছো বলেই আজও আমি বেঁচে আছি,
তুমি আছো বলেই আমার পাপ আর শূন্যতা
তোমার করুণায় প্রতিদিন গলে যায়।
কারণ, আল্লাহ্‌র দয়ার কোনো সীমানা নেই—
তুমি চাও শুধু ফিরে আসতে।

তুমি আমার রাতের চাঁদ, দিনের আলো

📜 কবিতা ১২: 

✍️ কবি: আরিফ শামছ্
📅 তারিখ: ৩১ মে ২০২৫
📍 স্থান: রিয়াদ, সৌদি আরব
(অধ্যায় ৬: কেয়ামত ও অনন্ত জীবন)

তুমি আমার রাতের চাঁদ,
অন্ধকারে যখন পথ হারা,
তোমার আলোয় দেখি —
কোনটা হারাম, কোনটা হালাল।

তুমি আমার দিনের আলো,
যখন চোখ খুলেই দেখি দুনিয়া,
তুমি শেখাও কিভাবে
এই আলোকিত পথে — সোজা থাকা যায়।

ঘুমের মধ্যে,
জেগে থাকা স্বপ্নে,
তুমি আছো —
যেন বাতাসে ভেসে থাকা দোয়ার মতো।

আমি কাঁদি যখন,
তুমি চোখে অদৃশ্য হাত রাখো,
বলো — “আমি শুনছি”,
যেন এক গভীর প্রশান্তির স্পর্শ।

তুমি ছাড়া আমি যে পথের ছায়া,
যে নদীর পাথর,
যে কণ্ঠের নিঃশব্দতা।
আর তুমি —
আলো, দয়া, অস্তিত্বের প্রতিটি অর্থ।

তুমি আমার রাতের চাঁদ,
তুমি আমার দিনের আলো,
তুমি আছো বলেই—
আমি হারিয়ে গিয়েও বারবার খুঁজে পাই নিজেকে।


---

মঙ্গলবার, জুন ০৩, ২০২৫

কেয়ামতের দিন আমি কোথায়?


📜 কবিতা ১১: 

✍️ কবি: আরিফ শামছ্
📅 তারিখ: ৩১ মে ২০২৫
📍 স্থান: রিয়াদ, সৌদি আরব
(অধ্যায় ৬: কেয়ামত ও অনন্ত জীবন)

কেয়ামতের সেই দিন,
যখন আকাশ ফেটে যাবে,
পাহাড় হবে তুলোর মতো,
আর মানুষ দৌড়াবে নিজের ছায়া থেকেও দূরে—
সেদিন আমি কোথায় থাকব?

যখন কোনো মিথ্যা চলবে না,
অজুহাত থেমে যাবে,
জিহ্বা বন্ধ থাকবে,
কিন্তু হাত-পা বলবে আমার কাহিনি—
তোমার সামনে, হে রব।

আমার আমলনামা,
কি ভরে রেখেছি এতদিন?
ভুলে যাওয়া নামাজ,
চোখের গোপন পাপ,
রিয়ায় ভরা দান,
ভাঙা অঙ্গীকার—
সবই কি আসবে আমার সামনে?

আমি কাঁপে,
এই চিন্তায় নয় যে তুমি অবিচার করবে,
বরং এই ভয়ে—
আমি নিজের ওপরই কতটা অন্যায় করেছি!

তবু তোমার রহমতের আশায় বুক বেঁধে বলি—
হে আল্লাহ্‌,
যদি আমার আমল না বাঁচাতে পারে,
তবে তুমি আমাকে বাঁচাও।
---

আত্মা যখন তাফাক্কুরে ডুবে

📜 কবিতা ১০: 

✍️ কবি: আরিফ শামছ্
📅 তারিখ: ৩১ মে ২০২৫
📍 স্থান: রিয়াদ, সৌদি আরব
(অধ্যায় ৫: আল্লাহ্‌র আলোয় জীবনযাপন)

একদিন থেমে গিয়েছিল সব—
বাইরের শব্দ, মানুষের মুখোশ,
তখন,
আমি ডুবে গিয়েছিলাম নিঃশব্দ এক সাগরে—
তাফাক্কুরে।

জীবনের অর্থ খুঁজে বেড়ানো
এই ক্লান্ত আত্মা,
জানতে চায়—
আমি কে? কেন এসেছি?
কোন পথে হাঁটছি, আর কার দিকে যাচ্ছি?

পৃথিবী বলল— "ভোগ করো",
মিডিয়া বলল— "তুমি সব পারো",
কিন্তু আমার হৃদয় বলল—
"তুমি একা নও, তোমার এক রব আছেন!"

আমি দেখেছি—
ছোট্ট এক সেজদা কীভাবে ভেঙে দিতে পারে
বছরের পর বছর জমা বিষণ্নতা।
আমি জেনেছি—
আল্লাহ্‌র নীরব উপস্থিতি
সবচেয়ে উচ্চ শব্দ।

তাফাক্কুর আমাকে শেখালো—
প্রকৃত শান্তি কেবল আত্মিক সংযোগে,
কেবল তখনই মানুষ মুক্ত,
যখন সে স্বেচ্ছায় আল্লাহ্‌র গোলাম হয়।
---

রোজার দিনে রব

📜 কবিতা ৯: 

✍️ কবি: আরিফ শামছ্
📅 তারিখ: ৩১ মে ২০২৫
📍 স্থান: রিয়াদ, সৌদি আরব
(অধ্যায় ৫: আল্লাহ্‌র আলোয় জীবনযাপন)

রোজার দিনে সবকিছু বদলে যায়,
পেট খালি, তবু আত্মা ভরে যায়।
ঘুম কম, তবু হৃদয় জেগে থাকে,
কারণ— এই দিনগুলো শুধু আমার নয়,
এই দিনগুলো শুধু তোমারই, হে রব।

তোমার জন্যই না খেয়ে থাকি,
তোমার জন্যই চোখ নিচু রাখি,
তোমার ভয়েই
আলতোভাবে কথা বলি,
অন্যদিন যেটুকু ভুল হতো,
এই মাসে ঠিক করতে চাই—
কারণ রোজা শুধু উপবাস নয়,
রোজা হলো— তোমার ভালোবাসায় নিজেকে সঁপে দেওয়া।

তারাবি শেষে যখন নিঃশব্দে হাঁটি,
আকাশের তারা যেন বলে—
“তুমি একা নও, তোমার রব তো আছেন!”
সেহরির নিঃশব্দ আহ্বান,
ইফতারের দোয়ার সেই চোখ ভেজা মুহূর্ত—
তোমার কাছেই তো ফিরে যাই, প্রতিদিন, বারবার।

এই রোজা যেন শেষ না হয়,
এই অনুভব, এই ভক্তি, এই শুদ্ধতা—
সারা বছর জেগে থাকুক মনে।
কারণ রোজার দিনে রব থাকেন খুব কাছেই,
আর আমি শুধু সেই সান্নিধ্যেই শান্ত।
---

হিসাবের আগে হিসাব

📜 কবিতা ৮:

✍️ কবি: আরিফ শামছ্
📅 তারিখ: ৩১ মে ২০২৫
📍 স্থান: রিয়াদ, সৌদি আরব
(অধ্যায় ৫: আল্লাহ্‌র আলোয় জীবনযাপন)

দিন কেটে যায়, রাত ঘুমিয়ে যায়,
জীবনের পৃষ্ঠা বদলায়—
কিন্তু আমি কি ভাবি
হিসাবের আগে হিসাব নেওয়ার কথা?

যে চোখে আমি আজ তাকালাম,
তা কি হক দেখেছে?
যে মুখে আমি কথা বলেছি,
তা কি সত্য বলেছে?
এই অন্তর, এই দেহ —
কে দিয়েছে, কাদের জন্য ব্যয় হলো?

আল্লাহ্‌, তুমি বলেছো—
"প্রত্যেক কর্মের হিসাব হবে"
তাহলে আমি কেন গাফিল?
কেন ভাবি না,
আজ যা করলাম
তা কালকে দাঁড়াবে আমার বিরুদ্ধে?

হিসাবের দিন আসবে,
তোমার কিতাবে লেখা থাকবে
আমার প্রতিটি লুকানো কাজ।
তবু কেন আমি ভাবি না
এই মুহূর্তে— নিজেকে নিজেই জিজ্ঞেস করি না?

তুমি দয়া করো হে রব,
আমাকে শেখাও
হিসাবের আগে হিসাব নিতে,
নিজেকে বদলাতে,
এই দুনিয়ার মাঝেই
তোমার সামনে দাঁড়ানোর প্রস্তুতি নিতে।
---

তুমি আমার রব, আমি তোমার প্রেমিক

📜 কবিতা ৭: 

✍️ কবি: আরিফ শামছ্
📅 তারিখ: ৩১ মে ২০২৫
📍 স্থান: রিয়াদ, সৌদি আরব
(অধ্যায় ৪: প্রেম ও পূর্ণতা)

তুমি আমার রব —
চিরন্তন, নির্ভরতার একমাত্র নাম।
আর আমি?
আমি একজন প্রেমিক,
যে ভুল করেও
বারবার তোমার প্রেমেই ডুবে যায়।

এই প্রেমে নেই কোনো দুনিয়াবি দাবি,
নেই ফুরোবার ভয়,
কারণ তুমি যখন প্রেম দাও,
তা হয় —
রহমতের মতো ধীর,
তাওবার মতো নিঃশর্ত।

তোমার নামেই আমার হৃদয়ের সব আবেগ,
"ইয়া আল্লাহ্", "ইয়া ওয়াদূদ" —
এই ডাকগুলো
রাত্রির নিঃস্তব্ধতায়
আমার প্রেমপত্র হয়ে উঠে।

তুমি জানো,
আমি কীভাবে ভালোবাসি —
সেজদার গভীরে,
তাকওয়ার তৃষ্ণায়,
তোমার কাছে নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে।

তুমি আমার রব,
আমি তোমার প্রেমিক,
এই সম্পর্কের মাঝে
নেই কোনো শর্ত,
নেই কোনো ভাঙন —
শুধু চিরন্তন এক আত্মিক বন্ধন।
---

তাওবার রাত

📜 কবিতা ৬: 
📅 তারিখ: ৩১ মে ২০২৫
📍 স্থান: রিয়াদ, সৌদি আরব

(অধ্যায় ৩: কান্না ও ক্ষমা)

রাত গভীর, চারদিক নিস্তব্ধ,
তবু আমার ভিতরে চলেছে ঝড়।
চোখের জলে ভিজে যাচ্ছে বালিশ,
আর হৃদয় বলছে—
"হে প্রভু, তুমি ছাড়া আমার আর কেউ নেই।"

আজ আমি ফিরতে চাই,
সব পাপের গ্লানি নিয়ে,
সব ভাঙা অঙ্গীকার,
ভুলে যাওয়া ফরজ,
অমার্জিত বেপরোয়া দিন—
সব নিয়ে ফিরে এসেছি তোমারই দিকে।

এই তাওবার রাত,
তোমার কাছে আমার প্রথম কান্না নয়,
তবে হতে পারে
নতুন করে শুরু করার সত্যিকারের রাত।

আমি জানি না তুমি ক্ষমা করবে কিনা,
কিন্তু আমি জানি —
তুমি “আল-গফুর”,
আর আমি সেই অপরাধী
যে বারবার ভুলেও
তোমার দয়ার দিকেই ফিরে যায়।

তোমার রহমতের দরজা খোলা থাকুক আমার জন্য,
এই রাত, এই কান্না, এই ডাকা —
ফিরিয়ে দিও না,
হে আমার রব, এই তাওবার রাতেই
আমার জীবন ফিরে পাক।
---

যখন আমি ভেঙে পড়ি

📜 কবিতা ৫: 
(অধ্যায় ৩: কান্না ও ক্ষমা)

যখন আমি ভেঙে পড়ি —
ভিতরে ভিতরে, শব্দহীনভাবে,
তখন কেউ টের পায় না,
কিন্তু তুমি জানো,
হে আল্লাহ্‌, তুমি জানো।

লোকজন ভাবে— আমি ঠিক আছি,
মেসেজে হাসি, ছবিতে আলো,
কিন্তু তুমি দেখো
ছায়ার ভিতরে ভাঙা ছায়া,
আত্মা যখন নিঃশব্দে কাঁদে।

আমি যখন ক্লান্ত —
পরিচিত মুখগুলোর মুখোশ দেখে,
তুমি তখন আমায় জড়িয়ে নাও,
একটি নীরব দোয়ার ভিতর,
একটি নিঃস্ব শব্দে — "ইয়া রব!"

আমি মানুষ, আমি ভুল করি,
আমি লজ্জিত, আমি অপরাধী,
তবু ফিরে যাই তোমার দিকেই,
কারণ আমি জানি —
তোমার দরজা কখনো বন্ধ হয় না।

তুমি ছাড়া কে আছে আমার?
এই অন্তহীন ক্লান্তির ভিড়ে
তোমার রহমতই একমাত্র আশ্রয়।
তুমি আছো বলেই আমি টিকে আছি,
ভেঙে পড়েও উঠে দাঁড়াই — শুধুই তোমার নামে।

---

সেজদার ভাষা

(আল্লাহ্‌ ও আমি: কবিতা ৪)

আমি যখন কিছুই বলতে পারি না,
তখন সেজদা-ই হয় আমার ভাষা।
নীরব ঠোঁট, বিক্ষিপ্ত বুক,
তবুও তুমি শুনে ফেলো
অশ্রুর প্রতিটি উচ্চারণ।

তুমি জানো,
আমি কেন ভেঙে পড়েছি আজ,
ফরজ নামাজের ভেতর
একেকটি দীর্ঘ নিঃশ্বাসের মানে —
তুমি জানো, আমি না বললেও।

হাত তোলে সবাই,
চাওয়ার তালিকা বড় লম্বা,
কিন্তু আমি শুধু চেয়েছি
তোমার কাছে নিজের ভাঙা অস্তিত্ব জমা দিতে।

তুমি যখন বলো:
"আমি আছি, ভয় কোরো না",
তখন হঠাৎ সব চিন্তা স্তব্ধ হয়ে যায়,
সেজদার ভেতরেই পাই
সারা জীবনের উত্তর।

চোখে অশ্রু, মনে তুমি,
এটাই তো আসল সংযোগ,
তুমি আছো বলেই সেজদা জীবন্ত,
আর আমি,
একজন ক্ষুদ্র মানুষ,
তোমার দয়ার ছায়ায় অমর।

আমি, প্রযুক্তি আর তুমি

(আল্লাহ্‌ ও আমি: আধুনিক আত্মা ও চিরন্তন রবের কথোপকথন — কবিতা ৩)

ওই যে ক্লাউডে সব মেমোরি জমা,
তবু মনের কিছু ফোল্ডার খালি।
হার্ডডিস্কে ছবি, শব্দ, গান,
কিন্তু আত্মা চায় —
তোমার করুণা, একটুখানি!

চার্জার খুঁজে ফিরি প্রতিদিন,
ফোনে ব্যাটারি না থাকলে অস্থিরতা,
কিন্তু অন্তরের চার্জ শেষ হয়ে গেলে?
কে রিচার্জ করে —
তুমিই তো, ইয়া হাইয়্যু, ইয়া কাইয়্যুম!

ফেক প্রোফাইল, সাজানো ছবি,
জীবন যেন একটা ফিল্টার-চিহ্নিত বাস্তবতা।
কিন্তু সেজদায় কাঁদলে,
তোমার সামনে কোনো ফিল্টার চলে না,
তুমি জানো— আমি কে, আমার অন্তর কেমন।

হ্যাশট্যাগে বদলায় ট্রেন্ড,
জীবনেও বদলায় উদ্দেশ্য।
কিন্তু তোমার দয়া —
চিরন্তন, অচঞ্চল,
যা বদলায় না, ভুলে যায় না কখনো।

তোমার সাথে সংযোগের জন্য
Wi-Fi লাগে না, MB ফুরায় না,
শুধু চাই —
একটি খাঁটি মন,
একটি সরল আহ্বান:
"ইয়া আল্লাহ্‌, আমাকে ক্ষমা করো!"

আলোর উৎস

(আভূতপূর্ব একটি ঈমানি কবিতা)

সকালে ঘুম ভাঙে,
মোবাইল হাতে — স্ক্রিনে আলো,
নটিফিকেশনে ভেসে আসে দুনিয়া,
কিন্তু হৃদয়ে তখনো আঁধার জমে…
আল্লাহর নাম না নিলে শুরুই তো অসম্পূর্ণ!

চলছি ব্যস্ত ট্রাফিকে,
হর্নের চাপে চাপা পড়ে মন,
কালারফুল বিলবোর্ডে চোখ যায়,
তবু মনে পড়ে,
সবচেয়ে উজ্জ্বল রঙ তো
জান্নাতের — যে দেয় শুধুই আল্লাহ।

চা হাতে, একা বারান্দায়,
মেঘলা আকাশের দিকে তাকিয়ে বলি,
“হে আমার রব,
এমন শান্তি আর কোথায় পাব?”
তুমি না থাকলে, আমি কে?

ফেইসবুক পোস্টে দুঃখ ঢাকি,
ইনস্টাগ্রামে হাসি সাজাই,
কিন্তু রাতের নির্জনে —
তাকওয়ার কান্না আর তওবার অশ্রু
তুমি ছাড়া কে দেখেন, প্রভু?

ডিজিটাল শব্দে জীবন জমজমাট,
তবু নিঃশব্দে —
একটুখানি সেজদা,
পুরো পৃথিবীর চেয়ে বেশি শান্তি দেয়!

তুমি আছো বলেই বেঁচে আছি,
তুমি আছো বলেই ভালোবাসা এখনো পবিত্র,
তুমি আছো বলেই
ভবিষ্যতের প্রতি আশা রেখেছি—
কারণ তুমি আল-রহমান, আল-নূর, আল-ওয়াদূদ।

রবিবার, জুন ০১, ২০২৫

নির্ভরতার নাম – আল্লাহ্‌

আল্লাহ্‌কে নিয়ে একটি অনুভূতিময় ও অভিনব (অভূতপূর্ব) আধুনিক ঢঙের কবিতা দিলাম। কবিতাটিতে ঈমান, প্রেম, প্রযুক্তি ও বর্তমান বাস্তবতার ছোঁয়া রাখা হয়েছে:

---

নির্ভরতার নাম – আল্লাহ্‌
(অভূতপূর্ব একটি ঈমানি কবিতা)

দূর মহাকাশ চষে ফিরে আসি,
নিউরনের মতো জাল বুনে যাই,
ডেটার পাহাড় ভেদ করেও
শান্তি পাই না — যতক্ষণ না বলি,
"ইয়া আল্লাহ্‌, তুমিই আমার!"

ডিজিটাল দুনিয়ার দ্বিধা-সংকট,
এলগরিদমে মন হারিয়ে যায়,
কিন্তু যে নাম নিই ঠোঁট টিপে,
হৃদয় টানে —
আল্লাহ্‌ — অনন্ত নির্ভরতায়।

তিনিই তো মায়ের চেয়ে মমতায় বড়,
চোখের অশ্রু পড়ার আগেই জানেন —
কে কতটা ব্যথিত, কে হারিয়ে গিয়েছে
মানুষের মুখোশে মুখোশের দেশে।

ব্যাংক ব্যালান্স শুন্য, ডাটা অফ,
বন্ধ দরজা, বন্ধ আলো,
তবু তিনি খোলা থাকেন —
দোয়া’র নেটওয়ার্কে strongest signal!

সেলফিতে হাসি, ভিতরে বিষাদ —
তিনিই জানেন আসল রূপ,
মাটির শরীর, আত্মার আলো
আল্লাহ ছাড়া কে রাখবে হিসেব?

যে নাম নিলে,
রাতে ঘুম আসে;
যে নাম রাখলে,
মৃত্যুও লাগে নরম—
সেই তো আল্লাহ্‌, পরম প্রেমময়।

---

ভালবাসি দিবা-নিশি _সূচীপত্র

আধুনিক প্রতিযোগিতার যুগে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও ক্যারিয়ার গঠনের দিকনির্দেশনা

শিরোনাম: আধুনিক প্রতিযোগিতার যুগে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও ক্যারিয়ার গঠনের দিকনির্দেশনা লেখক পরিচিতি: নাম: আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া (আরিফ শামছ্)...