ইয়াজুজ-মাজুজ কারা? বর্তমানে তারা কোথায় আছে? কখন বের হবে এবং কি করবে?এ ব্যাপারে সকল ধর্মীয় গ্রন্থের ও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি কি?
ChatgptAI2025:
ইয়াজুজ ও মাজুজের প্রসঙ্গটি ইসলাম, খ্রিস্টান এবং ইহুদি ধর্মে উল্লেখিত রয়েছে। তাদেরকে সাধারণত মানব জাতির মধ্যে অপদেবতা বা বিশৃঙ্খলাকারী একটি জাতি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, যারা কিয়ামতের আগে বের হবে এবং পৃথিবীতে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ঘটাবে।
ইসলামিক দৃষ্টিকোণ:
ইসলামে, ইয়াজুজ-মাজুজের আলোচনা বিশেষ করে কুরআনের সূরা আল-কাহাফ এবং হাদিসে পাওয়া যায়। কুরআনে (সূরা আল-কাহাফ, আয়াত ৯৩-৯৯) বলা হয়েছে যে, তারা একটি বিশাল প্রাচীরের পেছনে আটকে আছে যা যুলকারনাইন নির্মাণ করেছিলেন। শেষ সময়ে তাদের এই প্রাচীর ভেঙে বেরিয়ে আসার কথা বলা হয়েছে, এবং তখন তারা পৃথিবীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে। হাদিসেও বলা আছে যে, ইয়াজুজ-মাজুজের প্রাচীর ধ্বংস হবে এবং তখন তারা পৃথিবীতে ব্যাপক সমস্যা তৈরি করবে, এমনকি পানির সব উৎসও শুষে ফেলবে।
খ্রিস্টান ও ইহুদি দৃষ্টিকোণ:
ইহুদি এবং খ্রিস্টান ধর্মে ইয়াজুজ-মাজুজকে "গগ ও মাগগ" হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তাদেরকে পুরনো বাইবেলের কিছু অধ্যায়ে ধ্বংসের প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, যারা শেষ সময়ে উঠে আসবে। মূলত বাইবেলের নবী ইয়াজেকিয়েল এবং এনসিয়েন্ট টেস্টামেন্টের রেভেলেশন্সে বলা হয়েছে যে, গগ ও মাগগ এক সময় পৃথিবীতে চূড়ান্ত যুদ্ধ আনবে।
বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ:
বৈজ্ঞানিকভাবে ইয়াজুজ-মাজুজকে বাস্তবিক বা ঐতিহাসিক জাতি হিসেবে চিহ্নিত করা নিয়ে বিতর্ক আছে। অনেকে মনে করেন, এই জাতিটি এক সময়কার বিভিন্ন বর্বর জাতির প্রতীক, যারা প্রচলিত সভ্যতার বাইরে ছিল এবং একাধিক আক্রমণ চালাত। কিছু গবেষক বলেন যে, তারা হতে পারে মঙ্গোলিয়ান বা ইউরোপের কিছু বর্বর জাতি যারা বিভিন্ন সময়ে সভ্যতাগুলোর উপর আক্রমণ চালিয়েছিল। তবে বর্তমান সময়ে প্রকৃত ইয়াজুজ-মাজুজের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি, এবং বিজ্ঞান এ ব্যাপারে নিশ্চিত কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি।
উপসংহার:
ধর্মীয় দৃষ্টিতে ইয়াজুজ-মাজুজ একটি ভবিষ্যদ্বাণীমূলক জাতি যারা কিয়ামতের আগে বের হবে এবং পৃথিবীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে। বৈজ্ঞানিকভাবে এই জাতির ব্যাপারে নির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া না গেলেও অনেকেই একে প্রাচীন বর্বর জাতির প্রতীক হিসেবে মনে করেন।
------
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Heartfelt Thanks for your valuable comments.