কুরবানি দেয় কুরবানি, নয়তো কারো কুলখানি, গরু, ভেড়া, ছাগল, মহিষ, দোম্বা কিংবা উটখানি, কেমন প্রিয়, সকল জনের, ভাল করে ভাবতে শিখি, টাকার মায়া, জীবন বেলা, কেমন প্রিয় একটু ভাবি। প্রিয় কিছু দেয় উপহার, ভালবাসি যারে, হউকনা ফুলের মালা কোন, ভালবাসি তারে। কেউ দিবে তাঁর রক্ত ঢেলে, কেউ দেবে তাঁর প্রাণ, কেউবা জীবন বাজী রেখে, রাখবে প্রেমের মান। ভালবাসি কোরান-হাদীস, ভালবাসি দ্বীন, মনে প্রানে, মেনে চলে, কাটায় রাত দিন। আল্লাহ হলো প্রাণের মালিক, রাসূল হলো দৃষ্টি, তাসবীহ পড়ে, দরুদ পাঠে, তাঁহার সকল সৃষ্টি। প্রিয় হতে প্রিয়তম, কিইবা আছে বাকী? সকল প্রিয় বিষয়-আশয়, শিখি দিতে সঁপি। আল্লাহ মহান রাজী কিসে, হবেন বেজায় খুশী, সহজ-সরল পথে সদা, সকল হুকুম মানি। অনেক বছর আগে থেকে চলছে প্রাণীর কুরবানি, রেওয়াজ রীতি আগের মতোই, নাইযে তাহার প্রাণখানি। জীবনকালে কখন কী যে, প্রিয় হয়ে আসে, কাজের মেলা, অলস বেলা, সবি যেন মিছে। দু'তিন দিনের মাঝে কতো, রাখবে বেঁধে কুরবানি? গরু, ছাগল, দুম্বা, উট আর, মন পশুদের খবর কি? নয়তো শুধু পশু-প্রাণী, জীবন-যাপন সবখানি, কর্ম সকল সবার হবে, ভালবাসার কুরবানি। ------ আরিফ শামছ্ ২৭/০৮/২০১৭ খ্রীঃ
জাগতে হবে, জাগাতে হবে, বড় প্রয়োজন সব সমাজে, আশার পিদিম কে জ্বালাবে, অরুণ -তরুণ চলরে ছুটে। উল্কা বেগে, সৃষ্টি নেশা, পবন বেগে চলবি ছুটে, কোটি প্রাণের মিটাও দাবী, সকল বাঁধা টুটে । লও তুলে এক হাতে তোমার বাজাও মরণ বীণ, অন্য হাতে দিবে দিশা, লক্ষ প্রাণের ঋণ। পড়া শোনা, জাতির সেবা চলবে সমান তালে, ধর্ম হবে জীবন বর্ম, বিধান সবি মেনে। মানবতা, ইনসাফ দেখো, বন্দী পদে পদে , সন্ধি করে সত্য নাশে, অপশক্তি সবে, ন্যায়ের পথে চলছে পথিক, বড়ই নিঃসঙ্গ, ছুটে চলো রসদ নিয়ে, তোমরা জাতির অঙ্গ। ঘরে বাইরে দেখবে যত সকল অনাচার, শক্ত হাতে পোক্ত করে, শিখাও সদাচার। ছোট বড় সবার মাঝে, ভালবাসা কোথা'? বেয়াদবের বেয়াদবি দিবে, দারুণ ব্যাথা! আবু বকরের (রাঃ) ঈমান নিয়ে চলবে জীবন পথে, উমরের (রাঃ) সে' শক্তি সাহস রেখো তোমার বুকে, কোরান প্রীতি উসমানের (রাঃ) মুকুট সম রেখো, শের এ খোদা আলীর (রাঃ) মত, যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ো। মহানবীর (সাঃ) সেরা চরিত, এসো ধারণ করি, শান্তি সুখের সমাজ গড়ি, আল্লাহ হবেন খুশি, থাকবেনাক ভ্রান্তিবিলাস, কোন অপকর্ম, জানবে সবে ইসলাম এক শান্তি-প্রিয় ধর্ম। ---------- আরিফ ইবনে শামছ্ ২২....
ছেলে গুলো ছেলে কিনা সন্দেহ যে মনে!!! মেয়ে গুলো, নয়যে মেয়ে, দেখছো সবাই চেয়ে! রাস্তা ঘাটে, পথের ঢালে, কিসের ঘেঁষাঘেঁষি, বেশ্যা ছেলে মেয়ে যতো, লজ্জা পাবে দেখি। দোষ দেবেনা মতি গতির, আর না বয়সের, ভাল করে দেখো আজি, দোষ যে সকলের। ভাই যে আমি ছোট্ট বোনের, ঘুরি মেয়ের পিছু, পঁচা গান্ধা ভাইয়ের চরিত, শিখাবে কী কিছু ? বোনটি আমি ছোট্ট ভাইয়ের, আদর সোহাগ রাখি, মাঝেমাঝে দেখায় কতো, বন্ধু ভাইয়ের আঁখি। পাঠশালাতে আসা যাওয়ায়, বড় ভাই যে কত! বাইকে করে নিয়ে আসে, চলে খেলা যত। এসব দেখার অনেক মানুষ, রাস্তা ঘাটে শত, ঘুরে বেড়ায় সব হারিয়ে, মনের আশা যত। নেইকি বুঝি, বাবা ঘরে, মায়ের কোন শাসন, আদর করে দেয়কি ছেড়ে, নাইরে কোন বারন। চলছে উদাস পবন হাওয়া, নেইতো কোন বাঁধা, থামবে কোথা তাঁদের চলা, কেবা জানে তাহা? চাও কি ভাল জাতি তোমার দেশ সমাজের বড়? উতাল-পাথাল চলা ফেরার রশি একটু ধর! পাক -পবিত্র জীবন গড়া, হবে মহান পেশা, দেশ সমাজের শোভা হবে, হবে পথের দিশা। মুক্তো কণার মতো জীবন, হবে অনেক দামী, সৎ ও মনের ধনী যারা, জীবন দিবে সঁপি। ----------------- আরিফ ইবনে শামছ্ ২০/০৮/২০১৭ ইং Ariful Islam Bhuiyan and oth...
বিবেক তোমার, আমার, সবার নির্বাসনে গেল নাকি! বিশ্ব বিবেক মাতাল হয়ে, ঘুমের ঘোরে পড়লো বুঝি! বিবেক নামের শব্দখানা অভিধানের কোন্ কোনাতে, প্রাণ আছে কি নেই তা'তে আজ, খবর নিবে কোন সে' জনে। উজান দেশের বানের পানি, ছেড়ে দিবে যখন খুশি! মাতবরেরা কোথায় গেলো, কোথায় তাদের গলাবাজি। মানবতা যায়না পাওয়া, বানের জলে ভাসে, দুর্গতদের চোখের ভাষা, পড়তে নাহি জানে। মা হারালো, বোন হারালো, ভাই হারালো শেষে, পাশে থাকা কচি খোকার, হদিস নাহি মিলে। সহায় সম্বল, ভিটে মাটি, ফসল সবি জলের তলে, অশ্রুধারা শুকিয়ে গেছে , তাঁকিয়ে থাকে পাথর চোখে। কে আছো ভাই, বোন কোন এক, বাড়াবে কোমল হাত, মানবতা ডুবে গেলো, করে যাও উদ্ধার। নিজে পারো যা', আরো খোঁজে নাও মিলিয়া সকল জনে, পাড়া প্রতিবেশী, দেশ-খেশ মিলে, তাঁদের সহায় হতে। --------- আরিফ ইবনে শামছ্ ২০.০৮.২০১৭
মসজিদে যায় নিয়মিত, কোরান পড়ি অবিরত, হজ্ব করি আর রোজা রাখি, বিধান মানি সময় মত; তার পরে ও জান্নাত পাওয়া নইরে সহজ ভাবি যত! লোকদেখানো ইবাদতে, খোদার রাজী মিলবে কত? কী করিলে, কীভাবে যে, আল্লাহ আমার হবে, রাসূল পাকের (সাঃ) দোয়া পাব, সারা জীবন জুড়ে। প্রাণের চেয়ে বাসতে ভাল, মনে প্রাণে চাহি, ভালবাসা খাঁটি হবে, কেমন করে জানি? ভালবাসার সজীবতা চায়গো সদা প্রভু, প্রিয়তম বান্দা করে, নিও কাছে বিভু, বিপদ-আপদ, বালা- মুসিবত, যখন যাহা আসে, সুখে দুঃখে সব সময়ে, শক্তি দিও প্রাণে। যায়না যেন সরে কভু, অভিমান করে, জীবন যাপন হয় যেন সে', সহজ সরল পথে। তোমায় রাজী রাখতে সবি করতে পারি যেন, মনে- প্রাণে শক্তি সাহস, দিও অবিরত। জাহান্নামের আগুন মাঝে হাসতে পারি যেনো, জানবো যখন সদা তুমি, আমার হবে শুধু, আমার আমি নয়তো আমি, সৃষ্টি প্রিয় তব, ভালবাসার সাগর মাঝে বিলীন হয়ে যাব। ---------------- আরিফ ইবনে শামছ্ ২০.০৮.২০১৭ ঈসায়ী সাল। All reactions: ১২ You, Ariful Islam Bhuiyan, মিসেস মাইমুনা আক্তার and ৯ others
বিলিয়ে দিতে তোমার তরে, চাই তনু আর প্রাণ, ভালবাসা হউকনা জমা, কোমল হৃদের ত্রাণ। দুরু দুরু বুক চেয়ে যায়, করুণার সে বৃষ্টিধারা, তোমার প্রেমে মন হারিয়ে, কে হলো আর পাগলপারা? হলুদ ফুলের মেলা কভু, বসছে কি আর তোমার বাগে? মনোলোভা অচিন ফুলে, সাজিয়ে দিতে কেউ এসেছে? হৃদয় সঁপে দরদ ঢেলে, কেউ গেল কি গান গেয়ে, তোমার মনে স্থায়ী আসন, কে নিল আজ তা' কেড়ে? শিশির মেলা জমছে মাথায়, কবে তাহা কেবা জানে; জানলেনাতো কোন্ মনে সে, বসে থাকে কোন্ সে ধ্যানে? সব হারাতে চাই কেনো সে, তোমার হৃদয় জয়ে; সময় কত যায় বয়ে যায়, জীবন নদীর তটে। থামবে কভু জীবন যাত্রা এমনি করে কোন কালে? বিভোর কেন তোমার প্রেমে, যাই খুঁজে তা মুগ্ধ মনে। জীবন জুড়ে সবার আছে, ভালবাসার শরৎ সকাল; কেউবা দেখে বুঝতে পারে, যায় যে তাহার সান্ধ্যকাল। লাগলনা যে সফল হাওয়া, এই হৃদয়ের খোলা দোরে! চলেনা যে প্রেমের তরী, চলবে কি তা' হাওয়া বিনে? ভালবাসার জল কি সেঁচে, যাবে তাদের তরে? ভালবাসে তোমায় যারা, নিজের প্রাণের চেয়ে? --- আরিফ ইবনে শামছ্ ১২/১০/২০১৭ ঈসায়ী সাল রচনাকাল : ২০.০৯.২০০১ ভাদুঘর,সদর, বি.বাড়ীয়া।
হৃদয়ের অতল গহ্বরে অতন্দ্র প্রহরী সেজে, সহাস্য কলতান সঙ্গী হয়ে; জীবন নদীর তীরে। এ কেমন আগমন তব? মনোবাসনার এমনি প্রকাশ; সহজ অংকটি তোমার বুঝেনাতো সে, আজো ম্রিয়মাণ। সাধণার মানবী, ভালবাসার উৎসারিত ঝর্ণা; কেন জাগালে হৃদয়ে তাহার, দ্বারে দিতে ধর্ণা। পাবনা এ অলীক কথার পুষ্প কভু জাগবেনা? পেয়ে যাবো এমন ধারার ঊর্মি কি আর ডাকবেনা? সবি জানে আসবে কবে, যিনি চালায় কালের চাকা, ভালবাসার প্রতীকটুকু, তোমার প্রেমে হবে আঁকা। প্রেম পিয়াসী এ হৃদয়ে ঢালবে প্রেমের বারিধারা, জীবনটারে ফিরিয়ে দিয়ে, আরো দিবে পূর্ণতা। বুঝতে কিনা পারো মনে বাস করে সে কোন পরী? ব্যাথার দানে বিষের বাঁশি, বাজায় এ কোন সুন্দরী!! জীবন জাগার গান কবে কার, পথ হারালো কিসে? ফিরিয়ে দেয়ার ঢালিখানি, বাঁধ সাধিল শেষে। জানতে চাহে ঢাললে তুমি, কোন্ মদিরা এই পিয়ালায়? পথ চলিতে, পথ হারিয়ে, কোন্ কারণে পথ ভূলে যায়? চাইনি কভু এমন ধারা, তবু কেন আসলো ঘিরে! এই অবসাদ; হতাশ মিছিল ; ভালবাসা চাই কি বলে? আশার স্বপন, হৃদয় কাঁপন, সব মিলিয়ে ছন্দ পতন! পাব নাকি হৃদয় তলে; কভু প্রমের বর্ষাবরণ! ফোটবেনা কি প্রেমের ফুলে, ভালবাসার কোমল ছোঁয়া, ব্যাথার ধূসর ধূলি-বালী ; তোমার প্রেমে...
ফোনের অপর প্রান্তে অভিযোগ, "এইভাবে কি সম্পর্ক রাখা যায়"? সাবলীল জবাব, হ্যাঁ। প্রয়োজন আর অপ্রয়োজনে এ দাবী সবার। অভিমানী কন্ঠ নীরব, নিথর, হতচকিত! "কি জানি বুঝিনা আমি এতোসব"। দিন যায়, মাস যায়, ঘুরে যে বছর, বন্ধু কিংবা আত্মার কেউ রাখে কার খবর? ব্যস্ত দুনিয়ায় নাই সময় নাই নাই, "পথে হল দেখা, বলা হল কথা-চল যাই", আঁড়ালে চোখের, দূর হতে দূরে যারা, না পাওয়ার নানা বাহানা, খুঁজে ফিরে তারা! সচেষ্ট কেউ সুখের রাজ্য গঠনে, কেউ দখলে, কেউ মত্ত কচিশিশুদের অজানা রাজ্য আবিষ্কারে। কেউ ব্যস্ততার মহাপ্লাবণে, খুঁজে লক্ষ্য-বন্দর, কেউ ছুটে নাভিঃশ্বাসে পৌঁছিতে বাতি-ঘর। সংসার করে কেউ, সংসার গড়ে, সরবে, নিভৃতে, শত বেদনারা চাঁপা পড়ে, সে সুখেরই আলিঙ্গনে। স্মৃতির ঝলকে কেউ খুঁজে পায় তৃপ্তির মহাসুখ, কেউ ভূলে যায়, কেউ পারেনা, ভূলিতে সঞ্চিত দুঃখ। তবু আছরে পড়ে, বেশুমার ঊর্মিমালা জীবনের উপকূলে, বড়ই অভিমানে কভু, হিংস্র আগ্রাসে তীব্র গতিবেগে। পাহাড় সম ব্যাথার পাহাড় ফিরছে বারেবারে, অভিমানের ফানুস ফেটে, ছুটছে তীরের পানে। --------- আরিফ ইবনে শামছ্ ২২.০৯.২০১৬
ধরাতলে আগমনে আজান দিল খুশি মনে, ভাবছি বসে ধূলীর ধরায়, গোছল, নামাজ বাকি আছে। শোক সাগরে ভাসিয়ে দিয়ে চলে গেলে বিভুর কাছে, "আসতে হবে আমার মতোই যখন তোমার সময় হবে"। সারা বেলা কাঁদলো আকাশ, নিথর, নীরব, সব দেহ -প্রাণ। আশার তরী, ডুবল আজি, শোক-সবুরে, তোমায় খুঁজি। প্রদীপ সম ছিলে তুমি, বলছে ইমাম, সবে, নিভে গেলো চেরাগ, কেন? কিসের অভিমানে! পি.এ.টি.সি'র গাছ গাছালী নিথর মাথা নত, শোকের কথা বলে যেত, যদি ভাষা পেত। কি হারাল, কি যে হল, ডাকছে মাথার 'পরে, যমকুলি আর অন্য পাখি, কাঁদছে পালা করে। সবাই যখন দাঁড়িয়ে গেল, তোমার জানাজায়, শোকাহত পাখিগুলো চুপটি করে ধায়। শোকানলে সবাই দেখো, করছে হাহাকার, মাফের তরে করছে দোয়া, খুলে মন-প্রাণ। "কোমলমতি ছেলে মেয়ে প্রভুর জিম্মায়, পরিবারের সকল কিছু দেখো পরওয়া তোমার দেয়া মুসিবতে শক্তি, সাহস দিও। এমন কিছু নাইবা করি, তুমি নারাজ হবে, তোমার দেয়া সরল পথে, থাকি যেন সবে। শোকাতুরা মনে প্রভু! চায়গো তোমার কাছে, অপার দয়ায়, রেখো তাঁরে, জান্নাতী করে। তাঁহার মতোই সবার তরে, জীবন যেন গড়ি, সুখে- দুঃখে সব মানুষের, আপন হয়ে থাকি। --- আরিফ ইবনে শামছ্ ১২.০৮.২০১৭ শনিবার দুপুর ...
পীচঢালা রাজপথ ছাড়িয়া অভিমানে, নৌকায় চলিলাম জ্যামের, অত্যাচারে। সময় বড় বেশী স্মার্ট হয়ে গেল আজ, তাড়া খেয়ে পিছু ছুটি, লাগে যে লাজ। নাই কেহ দেখিবার? করেনাতো সমাধান, জীবনের কত বেলা, অপচয় বেশুমার। লেইট খায় কখনো, কেটে নেয় বেতনের, কখনোবা পুরোটাই হাতছাড়া মেজাজের। ক্লাশ আর লেকচার কিংবা পরীক্ষা, সময়ের পরে গেলে, ব্যাহত শিক্ষা। চাকরি পেতে হলে কর লাফ-ঝাঁপ, লেইট করে হলে গেলে,পাবে নাক মাফ। মাথা ব্যাথা নেই কারো, কোন রুপকল্প, শোনা যায় লুটেপুটে, সব খাওয়ার গল্প। জনগনের ভাড়া সব, যায় কার পকেটে, প্রতি বছর দেখে যায়, সবকিছু লোকসানে। লেখাপড়া, চলাফেরা, বসবাস শান্তিতে!!! চাকরি, সেবাদান, সব যায় পাল্টে। বিনোদন, দাওয়াতের বেজে যায় বারোটা, সিগনালের গ্যাঁড়াকলে শহুরে জীবনটা। ---------আরিফ ইবনে শামছ্
পূব আকাশে উঠলো জেগে রঙধনুটা হঠাৎ হেসে, দেখতে পাবে হরেক রঙে প্রেমের রাণী বসছে ধ্যানে। বাস করে তার প্রেমের পুরুষ, পৃথিবীরই প্রান্তকোণে, ভাবছে বসে কেমন আছে, চিত্র আঁকে হৃদয় পটে। জানেনাতো নদীর বুকে বইছে কি জল আগের মতো, দল বেঁধে কি মাছ ভাসে তার, গভীর বুকের অতল তলে। ফুটলো কি ফুল; হৃদয় কাঁড়া হাসি দিয়ে বাগান মাঝে, পসরা আজো সাজায় কিনা! প্রেমিক হৃদয় আমার তরে। বাস করে সে আকাশ পরী, তাদের ধরা আকাশ পাড়ে, হয়না যখন ডাকা তারে, পৌঁছবে সেথায় কেমন করে? হাসছো কেন দিবানিশি, হৃদয় লুটে অচিনপুরে, খেলছে দেখো দেহমাঝে গভীর কাঁপন বারেবারে। জানলেনা তো হৃদয় মাঝে, আছে এ কোন পূর্ণতা! দেখলে প্রকাশ হবে তাহা, শুধুই কেবল শূন্যতা, আশার পালে লাগছে হাওয়া, এ যে আজি কল্পনা, কভু কী আর আঁকা হবে হৃদয়পটে আল্পনা। তোমার আশা মিলবে সবি, একই নদীর মোহনাতে, গড়বো সুখের জলের নীড়, সুদূর দেশের সাগর পাড়ে। থাকবেনাতো আপন পর, লাগবেনা কেউ পিছু কারো, শান্তি সুখে রবে সদা, মনে প্রাণে শান্তি যতো। ----------------- আরিফ ইবনে শামছ্ ২৯.০৮.২০০১ All reactions: ১ Adel Farhan
পরিচিতি
নাম: আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া
লেখালেখি: আরিফ ইবনে শামছ্
পিতা: বিশিষ্ট সমাজ ও সাহিত্যসেবক, কবি ক্বারী আলহাজ্ব শামছুল ইসলাম ভূঁইয়া (রাহঃ)।সহকারি প্রকৌশলী, বাংলাদেশ তার ও টেলিফোন (বি.টি এন্ড টি- বি.টি.সি. এল)।
মাতা: মোয়াল্লিমা হালীমা সাদীয়া ভূঁইয়া।
ঠিকানা: ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
ভূঁইয়া পাড়া, বাড়ী# ১২৩৪,
ওয়ার্ড# ১২, গ্রাম: ভাদুঘর,
পোষ্ট: ভাদুঘর-৩৪০০।
থানা:সদর, জিলা: বি.বাড়ীয়া।
পড়াশোনা:
নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়, (৬ ষ্ঠ শ্রেনী) সদর, বি.বাড়ীয়া। ভাদুঘর মাহবুবুল হুদা পৌর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় (৭ম-১০ম)।হাবলা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় (রেজিষ্ট্রেশন) হতে ১৯৯৫ ঈসায়ী সালে কৃতিত্বের সাথে ১ম বিভাগে পাশ করেন।প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বরাবরই ফার্ষ্ট বয় ছিলেন।১৯৯৭ সালে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পাশ করেন।২০০১ সালে, বি.এস.এস (সন্মান-অর্থনীতি), ব্রাহ্মণবাড়ীয়া সরকারি কলেজ, ২০০৩ সালে, এম.এস.এস (অর্থনীতি), সরকারি তিতুমীর কলেজ, ঢাকা, বি.এড. বাংলাদেশ টিচার্স ট্রেইনিং কলেজ, ঢাকা (জাতীঃবিঃ), এম.এড (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), এম বিএ -এম এই এস (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-অধ্যয়নরত)
পূর্বপুরুষদের পূর্বকথাঃ
বৃহত্তর বিভাগ ময়মনসিংহের অন্তর্গত বেলগাঁও থানার দিলালপুরে বসবাস করতেন পাঁচ ভাই।দুই ভাই দ্বীনের কাজে বা ভ্রমনের উদ্দ্যেশ্যে দিলালপুর থেকে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া (ত্রিপুরা) জেলার সদর থানার অন্তর্গত ভাদুঘর গ্রামে আসেন।প্রাকৃতিক পরিবেশের অপূর্ব লীলানিকেতনের মোহে মোহাবিষ্ট হয়ে ভ্রাতাদ্বয় স্থায়ী বসবাসের সিদ্ধান্ত নেন ভাদুঘরে।"বংশ পরম্পরায় দ্বীন ধর্মের প্রচার প্রসার, অলি-আল্লাহদের খেদমত ও ইহসানের সুবাদে ধারণা মজবুতভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় যে, ভ্রমণে নয়, দ্বীন ধর্ম প্রচার বা ইসলামের দাওয়াত নিয়েই দুই ভাই এসেছিলেন"। কবিতা সাহিত্য সংস্কৃতির আসর (একটি গতিশীল সাহিত্যভান্ডার)। প্রাক্তন বিভাগীয় সম্পাদক, সাহিত্য সম্পাদক, মাসিক "বলিতে ব্যাকুল" পরবর্তীতে "তিতাস বার্তা"।
মোবাইল: ০১৬১০০০৭৯৭০।
বয়স: ৩৮ বছর।
পেশা: চাকুরী।
প্রকাশিত লেখা:
দৈনিকভাবে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, দৈনিক প্রজাবন্ধু,
মাসিক বলিতে ব্যাকুল, তিতাস বার্তা,
হক্ব পয়গাম।
মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম শেখ সম্পাদিত "ঝরা ফুলের গন্ধ" যৌথ কাব্য গ্রন্থে প্রকাশিত
(১) "শ্বাশ্বত আহ্বাণ" এবং (২) "ছন্দ নাবিক"।
মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম শেখ সম্পাদিত "বিজয়ের উল্লাসে" যৌথ কাব্য গ্রন্থে প্রকাশিত
(১) সত্য সন্ধানী
(২) বাঙালির স্বাধীনতা
(৩) বিজয়ের উল্লাসে
(৪) অনুশোচনা
(৫) বিদ্রোহী তুমি, বিপ্লবী
(৬) আজকের এই বাংলাদেশ
(৭) ভাঙ্গা গড়া
সংকলন ও সম্পাদনা: তাসকিন আব্দুল্লাহ "বাংলার ১০০ কবি ও কবিতা" যৌথ কাব্য গ্রন্থে প্রকাশিত
আগুন জ্বালা অন্তরে |
সন্মাননা পত্র প্রাপ্তি :
পাক্ষিক সেরা কবি, আধুনিক বাংলা কবিতার আসর (কবিতাঃ কারবালার শিক্ষা),পাক্ষিক সেরা কবি, আধুনিক বাংলা কবিতাপাক্ষিক সেরা কবি, আধুনিক বাংলা কবিতা ছড়া ও গানের আসর (কবিতাঃতোরা থামবি কিনা বল।)
সাহিত্য জাগরণ বাংলাদেশ (কবিতাঃহৃদয় কন্দরে। কবিতাঃ কবিতা তোমার।)শখের কবিতা সাহিত্য আড্ডা (কবিতাঃ টেকসই মানবতা।কবিতাঃ বিদ্রোহী তুমি বিপ্লবী।)।
বাংলাদেশ কবি সংসদ, (সিলেট বিভাগ)।বাংলাদেশ কবি সংসদ, (চট্রগ্রাম বিভাগ) হতে সাহিত্য অঙ্গনে বিশেষ অবদানকৃত স্বরুপ বিশেসন্মাননা পত্র প্রাপ্তি।বিশেষ সন্মাননাপত্র, এসো কবিতা লিখি (কবিতাঃ জাগাও তুমি জেগে ওঠো!),দিনের (২০-১১-২০১৭) সেরা কবি, বাংলাদেশ কবি পরিষদ (কবিতাঃ বাঙ্গালীর স্বাধীনতা)।আন্তর্জাতিক কবি পরিষদ (আজকের- ০৬-১২-২০১৭- সেরা কবি, কবিতাঃ "জীবন তরী");
ছায়াবীথি (সেরা পোষ্ট- কবিতা ইভেন্টে বিজয়ী- কবিতাঃ "অনাগত সন্তানের আহ্বান"।সমাজ কল্যাণ সাহিত্য পরিষদ কর্তৃক সপ্তাহের (১৪-১২-২০১৭) সেরা বিজয়ী কবি, ১ম স্থান অধিকারী, (কবিতাঃ আসলে পতন, খবরদার !)বাংলা সাহিত্য (কবিতা ও গল্পের রস _১৪-১২-২০১৭_সাপ্তাহিক সেরা ২৫ এ ৫ম স্থান ( কবিতাঃ আসলে পতন, খবরদার !);বাংলা সাহিত্য (কবিতা ও গল্পের রস _২২-১২-২০১৭_সাপ্তাহিক সেরা ২৫ এ ১১ তম স্থান ( কবিতাঃ পরোয়ানা !)প্রজন্ম সাহিত্য সভা (প্রসাস-০৬-০২-২০১৮_সপ্তাহের সেরা ০৫ এ ০৪- কবিতাঃ স্বান্তনা) নকলা উপজেলা সমাজকল্যাণ সাহিত্য পরিষদ, সাপ্তাহিক সম্মাননা ১৬-০২-২০১৮, ( কবিতা: ফাগুনের গান); কাব্য প্রেমীদের প্রচার মাধ্যম_ গল্প কবিতা ও সাহিত্যের আসর_বিশেষ সম্মাননা _২২-০২-২০১৮ (কবিতা: প্রিয় বাংলাভাষা); কাব্য কথার মেলা সাহিত্যাঙ্গন, সাপ্তাহিক সেরা ০৫ (কবিতা: এই পৃথিবীর আর্তনাদ); সাহিত্যজগৎ (সকল সাহিত্য প্রেমিদের ঠিকানা), সাপ্তাহিক সেরা ০৫ (কবিতা: বিপ্লবী );শেরপুর সাহিত্য পরিষদ, সাপ্তাহিক সম্মাননা, ২৩-০৩-২০১৮ (কবিতা: বিপ্লবী) ; সাহিত্য সন্ধ্যা, আজকের (২৭-০৩-২০১৮) সেরা কবি, (কবিতা: বিপ্লবী) বাংলা সাহিত্য কবিতা ও গল্পের রস_৩০-০৩-২০১৮_সাপ্তাহিক সেরা ২৫ এ ৪র্থ স্থান ( কবিতাঃবিপ্লবী )। সাপ্তাহিক সেরা ০৭ কবি ও কবিতায় ১ম স্থান, (কবিতা: বিপ্লবী ); সাহিত্যের জাগরণ, আন্তর্জাতিক সাহিত্য সংগঠন, সাপ্তাহিক সম্মাননা, ০১-০৪-২০১৮ (কবিতা: বিপ্লবী)।
পাথর দিয়ে যুদ্ধ
ইরাক, ইরান, তুরান, কাশ্মীর, কাতার আর সিরিয়া,
সৌদি আরব, সুদান, মিশর, পুরো আফ্রোশিয়া।
উপমহাদেশ, স্থান, আর দেশ -মহাদেশ,
সব সৃষ্টি স্রষ্টার জানি, আমরা বিশ্বের, বিশ্ব মোদের।
হানাহানি আর মারামারি করে, মানুষ মানুষেরে,
হৃদয় আছে ঠিকই দেহে, নাই যে দরদ অন্তরে।
সৃজিত হল কত দল উপদল, কেউ সহেনা কারো,
এক হওয়ার মন্ত্র ভুলে, অনৈক্যে খায় হাবুডুবু।
নাই সে খেয়াল, দূর করিবার ব্যবধান যতো আছে!
আমার আমি, অহমিকা আর অন্ধ সকল জনে।
কোরান কিতাব, হাদিস, ইজমা, কিয়াস জেনেছে কতো!
সবাই মিলে একই বাঁধনে, নাইকি বাঁধিবার কেহ!
কত আরাধনা চলে অবিরাম দিবস যামিনী দেখো,
পাশের বাড়ীর অধিবাসী যারা, খেতে পেরেছে কি জানো?
ঋণের চাঁপে, লজ্জা শরমে, সহসা মৃত্যু দেয়যে হানা,
কানে তুলো আর চোখে ঠুলি বাঁধে সমাজের ধনী যারা।
দেশের রাজারা ব্যস্ত সদা, নিজেদের ব্যবসা দেখো,
দেশ ধর্ম কোথায় গেল, জাতির ঐক্য এলো কি গেলো!
তা'তে কি কার, কিছু আসে যায়, জীবনের দাম নাই!
সকাল বিকাল মারছে শিশু, দূর্বল নারীরা ও মারা যায়।
কথার কথা, নামে মাত্র সবাই করে বাদ- প্রতিবাদ!
মিছিলে মিছিলে যায় হারিয়ে প্রতিশোধের অগ্ন্যোৎপাত।
নায়কি সাহস দাঁড়াতে পাশে, মাজলুম যতো বিশ্ব মাঝে,
পাথর দিয়ে যুদ্ধ করে জীবন সঁপে,শহিদী পথে।