বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২৫

তালগাছের ছায়া

ছোট্ট একটা গ্রাম—নাম চন্দ্রপুর। পাশ দিয়ে বয়ে গেছে শান্ত একটা নদী, আর তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা পুরনো তালগাছটা যেন সাক্ষী বহু গল্পের। সেখানেই থাকতো রাশেদ আর মীনা—একই পাড়ায় বড় হওয়া দুই বন্ধু।

রাশেদ ছিল একজন সৎ ও পরিশ্রমী যুবক। শহরে পড়াশোনা শেষ করে আবার গ্রামে ফিরে এসেছে। মীনা meanwhile ছিল একজন শিক্ষিতা নারী, গ্রামের স্কুলে শিক্ষকতা করত। ছোটবেলা থেকেই ওদের মধ্যে একটা টান ছিল, তবে সেটা কখনো মুখ ফুটে বলা হয়নি।

একদিন সন্ধ্যায় তালগাছের ছায়ায় বসে রাশেদ বলে উঠলো,
“মীনা, এই গাছটা অনেক কিছু দেখেছে, জানো? আমি চাই, ও যেন আরেকটা স্মৃতি দেখুক—তোমার আর আমার। তুমি কি চাও না, আমরা একসাথে এই জীবনটা কাটাই?”

মীনার চোখে জল চলে আসে। সে শুধু মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানায়।

বিয়ে হলো খুব সাধারণভাবে, গ্রামের মসজিদে। তারপর শুরু হলো এক অন্যরকম ভালোবাসার সংসার। দুজনেই চাকরি করতো, কিন্তু সন্ধ্যায় ফিরে তারা একসাথে রান্না করতো, গল্প করতো, হাসতো।

তাদের জীবনে আসলো প্রথম সন্তান—নাম রাখা হলো ‘আলোক’। এই আলোক তাদের জীবনে নতুন আলো নিয়ে এলো। রাশেদ নিজ হাতে মীনার খেয়াল রাখতো, আলোককে আদর করতো, আর রাতে নিজের লেখা কবিতা পড়ে শোনাতো।

একদিন হঠাৎ করেই রাশেদের চাকরি চলে গেলো। দুঃসময় নেমে এলো। কিন্তু মীনা কখনো তাকে দোষ দেয়নি, বরং আরও শক্তভাবে পাশে দাঁড়াল।
সে বলতো, “যতদিন তুমি আছো, ততদিন আমার কোনো অভাব নেই।”

রাশেদ আবার চেষ্টা করলো, একটা ছোট ব্যবসা শুরু করলো। মীনার ভালোবাসা আর সাহসে সেই ব্যবসাও ধীরে ধীরে জমে উঠলো।

বছর গড়াতে লাগলো, আলোক বড় হতে লাগলো। আর তালগাছটা প্রতিদিন সেই পরিবারকে দেখে—ভালোবাসার, সংগ্রামের, বিশ্বাসের গল্প হয়ে থাকলো।


শেষ কথা:
এই গল্পটা আমাদের শেখায়—বাস্তব জীবনে ভালোবাসা মানে কেবল প্রেমিক-প্রেমিকার কাব্যিক সম্পর্ক না, বরং একজন আরেকজনের পাশে দাঁড়ানো, দুঃসময়ে হাত ধরা, এবং একসাথে এগিয়ে চলা। এই ভালোবাসাই পরিবার গড়ে তোলে।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Heartfelt Thanks for your valuable comments.

ভালবাসি দিবা-নিশি _সূচীপত্র

যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক অপরাধের বিস্তারিত বিশ্লেষণ

বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক অপরাধীদের বিস্তারিত বিশ্লেষণ দাও। বিশ্বের সকল দেশ ও সংস্থাগুলো মিলেও কি শাস্তি দিতে পারবেনা? ...