সোমবার, অক্টোবর ২৮, ২০২৪

অর্থশালী বা ধনী কে বা কাদের বলা হয়?

অর্থশালী বা ধনী সেই ব্যক্তিকে বলা হয়, যার কাছে প্রচুর পরিমাণে সম্পদ, টাকা-পয়সা, এবং সম্পত্তি রয়েছে। এ ধরনের ব্যক্তি সাধারণত আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হন, এবং তার নিজের বা অন্যদের প্রয়োজন মেটানোর জন্য পর্যাপ্ত অর্থ থাকে। ধনী ব্যক্তি ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, উচ্চ আয়ের চাকরিজীবী বা উত্তরাধিকারসূত্রে প্রচুর সম্পদ অর্জনকারী হতে পারেন।

কিভাবে সহজে অর্থশালী বা ধনী হওয়া যায়?
সহজে অর্থশালী বা ধনী হওয়ার কোনও নির্দিষ্ট সূত্র নেই, তবে কিছু সাধারণ কৌশল বা অভ্যাস রয়েছে যা আর্থিক সাফল্য অর্জনে সহায়ক হতে পারে। ধনী হওয়ার জন্য পরিশ্রম, পরিকল্পনা, ধৈর্য, এবং সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ জরুরি। নিচে কিছু পদক্ষেপ উল্লেখ করা হলো:
1. সঞ্চয় এবং বিনিয়োগ: আয়ের একটি অংশ নিয়মিতভাবে সঞ্চয় করা এবং বিভিন্ন বিনিয়োগে (যেমন শেয়ার বাজার, মিউচুয়াল ফান্ড, সম্পত্তি) বিনিয়োগ করা গুরুত্বপূর্ণ। এতে দীর্ঘমেয়াদে মূলধন বৃদ্ধি পায়।
2. ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করা: অপ্রয়োজনীয় খরচ কমিয়ে আনা এবং শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রে ব্যয় করা উচিত। পরিকল্পিত বাজেটের মাধ্যমে ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করা আর্থিক সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।
3. আয়ের একাধিক উৎস তৈরি করা: শুধুমাত্র একটি আয়ের ওপর নির্ভর না করে আয়ের একাধিক উৎস (যেমন পার্ট-টাইম ব্যবসা, ফ্রিল্যান্সিং, ই-কমার্স) তৈরি করা জরুরি। এতে ঝুঁকি কমে এবং আয় বাড়ে।
4. দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য স্থাপন করা: আর্থিক লক্ষ্যগুলি দীর্ঘমেয়াদে স্থির করে সেই অনুযায়ী কাজ করা উচিত। ধীরে ধীরে ধৈর্যের সঙ্গে পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে যাওয়া সাফল্য বয়ে আনতে পারে।
5. শিক্ষা এবং দক্ষতা বৃদ্ধি: নিজের জ্ঞান ও দক্ষতা বাড়ানোর মাধ্যমে ভালো কাজের সুযোগ বা ব্যবসার উন্নতি করা সম্ভব। উচ্চ দক্ষতা ও বিশেষায়িত জ্ঞান আর্থিক অগ্রগতিতে সহায়ক হতে পারে।
6. ব্যবসা বা স্টার্টআপ শুরু করা: একটি সফল ব্যবসা শুরু করা ধনী হওয়ার একটি সম্ভাব্য উপায়। সঠিক পরিকল্পনা, কঠোর পরিশ্রম, এবং সৃজনশীল ধারণার মাধ্যমে একটি সফল ব্যবসায়িক উদ্যোগ চালানো যেতে পারে।
7. নেটওয়ার্কিং এবং সুযোগ খোঁজা: ব্যবসায়িক যোগাযোগ বৃদ্ধি করা এবং নতুন সুযোগের সন্ধান করা আর্থিক প্রবৃদ্ধির সহায়ক হতে পারে।
ধনী হওয়ার প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ এবং ধৈর্য, পরিশ্রম ও সঠিক পরিকল্পনার প্রয়োজন। দ্রুত ধনী হওয়ার কোনও সহজ উপায় নেই, তবে সঠিক কৌশল অনুসরণ করলে দীর্ঘমেয়াদে সফল হওয়া সম্ভব।
বিনা পুঁজিতে ধনী হওয়া সম্ভব?
বিনা পুঁজিতে ধনী হওয়া অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং, তবে সম্পূর্ণ অসম্ভব নয়। অনেকেই সীমিত সম্পদ বা বিনিয়োগ ছাড়াই তাদের মেধা, পরিশ্রম, এবং সুযোগের সদ্ব্যবহার করে সফলতা অর্জন করেছেন। তবে এজন্য বিশেষ কৌশল, দক্ষতা, এবং সময়ের প্রয়োজন। কিছু উপায়ে বিনা পুঁজিতে অর্থনৈতিক সাফল্য অর্জন করা সম্ভব হতে পারে:
১. মেধা ও দক্ষতার ব্যবহার
আপনি যদি বিশেষ কোনও দক্ষতা বা মেধার অধিকারী হন, যেমন প্রোগ্রামিং, ডিজাইনিং, লেখালেখি, বা সংগীত, তা থেকে আয় করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং বা কনসালটেন্সির মাধ্যমে আপনি বিনা পুঁজিতে নিজের সেবার মাধ্যমে আয় শুরু করতে পারেন।
২. সঠিক সুযোগের সদ্ব্যবহার
অনেক সময় সঠিক সময়ে সঠিক সুযোগ ধরতে পারলে বিনা পুঁজিতেও বড় সফলতা অর্জন করা যায়। উদাহরণস্বরূপ, ইন্টারনেটে ফ্রিল্যান্স প্ল্যাটফর্মে কাজ শুরু করা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে নিজেকে প্রচার করা ইত্যাদি।
৩. পার্টনারশিপ এবং জয়েন্ট ভেঞ্চার
পুঁজিহীন হলেও আপনি অন্য কারও সাথে পার্টনারশিপে কাজ শুরু করতে পারেন। অন্য কেউ যদি পুঁজির যোগান দিতে পারে, তবে আপনি আপনার মেধা, সময়, এবং শ্রম দিয়ে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে সফলতা পেতে পারেন।
৪. ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ব্যবহার
বর্তমানে অনলাইনে অনেক ব্যবসা শুরু করা যায় যা পুঁজি ছাড়াও করা সম্ভব। ব্লগিং, ইউটিউব চ্যানেল তৈরি, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, অথবা ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করে ধীরে ধীরে আয় বৃদ্ধি করা সম্ভব।
৫. ব্যক্তিগত ব্র্যান্ড তৈরি করা
নিজের দক্ষতা বা ব্যক্তিত্বকে একটি ব্র্যান্ডে পরিণত করা সম্ভব। বিশেষ কোনও বিষয়ে দক্ষতা থাকলে তা নিয়ে মানুষকে সাহায্য করা বা প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে ধীরে ধীরে আয় বাড়ানো যেতে পারে।
৬. অন্যের পুঁজিতে ব্যবসা শুরু করা
আপনি যদি কোনও ভালো ব্যবসার ধারণা নিয়ে থাকেন তবে বিনিয়োগকারীদের খুঁজে সেই ধারণা বিক্রি করতে পারেন। বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে পুঁজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করা সম্ভব, যেখানে আপনার মূলধনের প্রয়োজন নেই।
৭. নিজের নেটওয়ার্কের ব্যবহার
পরিচিতদের মাধ্যমে আর্থিক সহযোগিতা বা ব্যবসায়িক সুযোগ খুঁজে পেতে পারেন। নেটওয়ার্কিং একটি শক্তিশালী মাধ্যম, যা অনেক সময় বিনা পুঁজিতেও সফলতার পথ খুলে দেয়।
৮. ঋণ বা বিনিয়োগ সংগ্রহ করা
ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় পুঁজি জোগাড় করতে ব্যাংক বা বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ঋণ নেওয়া যেতে পারে। তবে ঋণ নিলে তা সময়মতো পরিশোধ করার পরিকল্পনা থাকতে হবে।
ধনী হওয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ধৈর্য, মেধা এবং কঠোর পরিশ্রম। পুঁজিহীন অবস্থায় সফল হতে সময় লাগতে পারে, তবে যদি আপনি আপনার দক্ষতা এবং সুযোগের সঠিক ব্যবহার করেন, তাহলে ধীরে ধীরে অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জন সম্ভব।
কী ধরনের কাজ বা ব্যবসায় দ্রুত ধনী বা অর্থশালী হওয়া যাবে?
দ্রুত ধনী বা অর্থশালী হওয়া কঠিন এবং ঝুঁকিপূর্ণ, কারণ কোনো কাজ বা ব্যবসায় দ্রুত সফলতার নিশ্চয়তা নেই। তবুও, কিছু ক্ষেত্রে দ্রুত অর্থ উপার্জন সম্ভব, তবে তা নির্ভর করে আপনার মেধা, দক্ষতা, পরিশ্রম, এবং বাজারের চাহিদার ওপর। নিচে কিছু কাজ বা ব্যবসার ধরন উল্লেখ করা হলো, যেগুলো সঠিকভাবে পরিচালিত হলে দ্রুত অর্থ উপার্জনের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে:
১. টেকনোলজি এবং স্টার্টআপ
প্রযুক্তি খাতে স্টার্টআপ শুরু করা, যেমন সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, মোবাইল অ্যাপ বা ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট, ফিনটেক, এআই, ব্লকচেইন ইত্যাদি। সফল হলে দ্রুত বড় লাভের সুযোগ থাকে। অনেক স্টার্টআপ দ্রুতবেগে বড় আকারের কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে।
২. ই-কমার্স ব্যবসা
অনলাইনে পণ্য বিক্রি (ড্রপশিপিং, নিজের ব্র্যান্ডের পণ্য) একটি দ্রুতবর্ধনশীল ব্যবসার ক্ষেত্র। আপনি নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি করে বা জনপ্রিয় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে (যেমন Amazon, eBay) পণ্য বিক্রি করতে পারেন।
৩. ডিজিটাল মার্কেটিং
ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি শুরু করা বা ফ্রিল্যান্স ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে কাজ করা। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, SEO, কন্টেন্ট মার্কেটিং ইত্যাদি ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
৪. ক্রিপ্টোকারেন্সি এবং শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ
ক্রিপ্টোকারেন্সি বা স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করে অনেকেই দ্রুত ধনী হয়েছেন। তবে এই ধরনের বিনিয়োগ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং সঠিক বিশ্লেষণ ও জ্ঞান ছাড়া এতে লগ্নি করা উচিত নয়।
৫. রিয়েল এস্টেট
রিয়েল এস্টেট খাতে বিনিয়োগ করে দ্রুত লাভ করা সম্ভব। সঠিক স্থানে সঠিক সময়ে সম্পত্তি কেনা ও বিক্রি করার মাধ্যমে বড় আয় অর্জন করা যায়।
৬. ফ্রিল্যান্সিং এবং অনলাইন সেবা
যদি আপনার কাছে বিশেষ কোনো দক্ষতা থাকে (যেমন গ্রাফিক ডিজাইন, প্রোগ্রামিং, কন্টেন্ট রাইটিং), তবে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে (যেমন Upwork, Fiverr) কাজ শুরু করে দ্রুত আয় করা সম্ভব।
৭. ইউটিউব এবং ব্লগিং
ইউটিউব চ্যানেল বা ব্লগিং করে দ্রুত অর্থ উপার্জন সম্ভব, যদি আপনি একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে ভালো কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন এবং বড় দর্শকসংখ্যা তৈরি করতে সক্ষম হন। বিজ্ঞাপন এবং স্পন্সরশিপের মাধ্যমে এখান থেকে ভালো আয় করা যায়।
৮. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য বা সেবার প্রচারণা করে কমিশন আয় করা যায়। বিশেষত, অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম, ClickBank, ShareASale ইত্যাদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জন্য জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম।
৯. ড্রপশিপিং
ড্রপশিপিং এমন একটি ই-কমার্স ব্যবসায়িক মডেল, যেখানে আপনি পণ্য কিনে স্টক না করেই বিক্রি করতে পারেন। আপনি কেবল মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেন, এবং সরবরাহকারীরা পণ্য সরবরাহ করে।
১০. অনলাইন কোর্স তৈরি ও বিক্রি
আপনি যদি কোনো বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হন, তবে অনলাইন কোর্স তৈরি করে বিভিন্ন শিক্ষামূলক প্ল্যাটফর্মে (যেমন Udemy, Coursera) বিক্রি করতে পারেন।
১১. ফ্র্যাঞ্চাইজি ব্যবসা
জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করা দ্রুত লাভজনক হতে পারে। কারণ, জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের চাহিদা এবং গ্রাহকদের বিশ্বাস থাকে।
১২. অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট
মোবাইল অ্যাপ বা গেম ডেভেলপ করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। জনপ্রিয় অ্যাপ বা গেম থেকে বিজ্ঞাপন, সাবস্ক্রিপশন এবং ইন-অ্যাপ পারচেসের মাধ্যমে বড় আয় আসে।
ঝুঁকি এবং সতর্কতা:
দ্রুত ধনী হওয়ার চেষ্টা প্রায়শই বড় ঝুঁকির সঙ্গে যুক্ত থাকে। আপনি যদি একটি নির্দিষ্ট ব্যবসায় বা বিনিয়োগে সফল না হন, তবে আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। তাই যেকোনো ব্যবসা বা বিনিয়োগের আগে সঠিকভাবে গবেষণা করা এবং পরিকল্পনা করা অত্যন্ত জরুরি।
উপসংহার:
দ্রুত ধনী হওয়া সম্ভব, তবে এটি নির্ভর করে বাজারের চাহিদা, আপনার দক্ষতা এবং সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ওপর। সব ক্ষেত্রেই ঝুঁকি থাকে, তাই বিনিয়োগ বা ব্যবসার পরিকল্পনা করার আগে বিস্তারিত গবেষণা এবং পরামর্শ নেওয়া উচিত।
জীবনে ধনী হওয়াটা কী জরুরি?
জীবনে ধনী হওয়া জরুরি কি না, তা নির্ভর করে ব্যক্তির মূল্যবোধ, লক্ষ্য, এবং জীবনযাপনের ওপর। ধনী হওয়ার মাধ্যমে আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য, স্বাধীনতা, এবং উন্নত জীবনযাত্রা নিশ্চিত করা সম্ভব হলেও, এটি জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য হওয়া উচিত নয়। এখানে ধনী হওয়ার কিছু সুবিধা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলো:
ধনী হওয়ার কিছু সুবিধা:
1. আর্থিক স্বাধীনতা: ধনী হলে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হবেন এবং আর্থিক উদ্বেগ থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন। এটি আপনাকে আপনার পছন্দ অনুযায়ী জীবন যাপনের স্বাধীনতা দেয়।
2. পরিবারের জন্য সুরক্ষা: ধনী হওয়ার মাধ্যমে আপনি আপনার পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে পারবেন, যেমন সন্তানের শিক্ষা, চিকিৎসা ব্যয়, এবং ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয়।
3. সুযোগের বৃদ্ধি: ধনী হলে বিভিন্ন নতুন ব্যবসা শুরু করা, বিনিয়োগ করা বা নিজের পছন্দের কাজ করার সুযোগ পাওয়া যায়, যা আপনার জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে।
4. সামাজিক অবদান: ধনী ব্যক্তিরা সমাজের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে (যেমন দাতব্য কাজ, শিক্ষামূলক প্রকল্প) অবদান রাখতে পারেন। এতে সমাজে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।
5. জীবনের মান উন্নয়ন: ধনী হলে আপনি উন্নত জীবনযাত্রা, ভ্রমণ, বিনোদন এবং অন্যান্য সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন, যা জীবনকে আরও আনন্দময় করে তুলতে পারে।
তবে ধনী হওয়া জীবনের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত নয়, কারণ:
1. আত্মতুষ্টি এবং সুখ: শুধুমাত্র টাকা থাকলেই জীবন সুখের হয় না। মানসিক শান্তি, আত্মতৃপ্তি এবং সম্পর্কগুলোর সুরক্ষা জীবনের গুরুত্বপূর্ণ দিক। অনেক সময় দেখা যায় যে অর্থের প্রতি অতিরিক্ত আসক্তি মানসিক চাপ এবং সম্পর্কের ক্ষতি ডেকে আনে।
2. অর্থের বাইরে জীবনের অন্যান্য মূল্যবোধ: পরিবার, বন্ধুত্ব, সামাজিক সম্পর্ক, স্বাস্থ্য এবং মানসিক শান্তি অর্থের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। এসবের গুরুত্বের প্রতি মনোযোগ না দিলে জীবনে স্থায়ী সুখ পাওয়া কঠিন।
3. অর্থের ঝুঁকি: দ্রুত ধনী হওয়ার চেষ্টা অনেক সময় ঝুঁকিপূর্ণ হয়। ভুল বিনিয়োগ বা ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত অর্থনৈতিক ক্ষতি ডেকে আনতে পারে, যা মানসিক এবং শারীরিক চাপের কারণ হতে পারে।
4. অর্থের প্রতি অতিরিক্ত আসক্তি: অর্থ যদি জীবনের একমাত্র লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায়, তবে তা অনেক সময় নৈতিকতার বাইরে চলে যেতে পারে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে ব্যক্তি নিজের এবং অন্যদের ক্ষতি করতে পারে।
উপসংহার:
ধনী হওয়া জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হতে পারে, কারণ এটি আর্থিক স্বাধীনতা এবং উন্নত জীবনযাত্রা নিশ্চিত করে। তবে, এটি জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য হওয়া উচিত নয়। সুখ, শান্তি, সম্পর্ক, স্বাস্থ্য, এবং আত্মতৃপ্তি ধনী হওয়ার চেয়ে বেশি মূল্যবান। তাই জীবনের মূল লক্ষ্য হতে পারে একটি ভারসাম্যপূর্ণ জীবন যাপন, যেখানে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ করতে পারবেন এবং একই সঙ্গে মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে পারবেন।
কোন ধরনের মানুষ তাড়াতাড়ি ধনী হয়?
তাড়াতাড়ি ধনী হওয়া নির্ভর করে মানুষের ব্যক্তিগত গুণাবলী, কাজের ধরন, সুযোগের সদ্ব্যবহার, এবং পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার দক্ষতার ওপর। সাধারণত, কিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের অধিকারী ব্যক্তিরা দ্রুত ধনী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। নিচে সেই ধরনের গুণাবলীর আলোচনা করা হলো:
১. কঠোর পরিশ্রমী এবং নিবেদিতপ্রাণ
যারা নিরলস পরিশ্রম করেন এবং লক্ষ্য অর্জনে ধৈর্য ধরে কাজ করে যান, তারা দ্রুত সফল হতে পারেন। কঠোর পরিশ্রম ধনী হওয়ার একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য।
২. ঝুঁকি নিতে ইচ্ছুক
যারা বুদ্ধিমানের সঙ্গে ঝুঁকি নিতে ইচ্ছুক, যেমন নতুন ব্যবসা শুরু করা, বিনিয়োগ করা, বা বাজারের অজানা জায়গায় প্রবেশ করা, তাদের দ্রুত ধনী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে এই ঝুঁকি নেওয়া অবশ্যই ভালো বিশ্লেষণ ও পরিকল্পনার ওপর ভিত্তি করে হওয়া উচিত।
৩. সৃজনশীল এবং উদ্ভাবনী
যারা সৃজনশীল এবং নতুন ধারণা নিয়ে আসতে পারেন, তারা দ্রুত সফলতা অর্জন করতে পারেন। উদ্ভাবনী মানুষরা নতুন সমস্যার সমাধান নিয়ে আসে এবং প্রচলিত চিন্তাভাবনার বাইরে গিয়ে সুযোগ খুঁজে পায়।
৪. কৌশলী এবং সুযোগসন্ধানী
যারা বাজারের প্রবণতা বুঝে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন এবং সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে জানেন, তারা দ্রুত ধনী হতে পারেন। সুযোগ ধরা এবং সময়মতো সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া সফলতার চাবিকাঠি।
৫. নেটওয়ার্কিং দক্ষতাসম্পন্ন
ধনী হওয়ার পথে নেটওয়ার্কিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যারা নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করতে পারেন এবং ব্যবসায়িক যোগাযোগকে ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারেন, তারা দ্রুত উন্নতি করেন। ভালো যোগাযোগের মাধ্যমে নতুন সুযোগ তৈরি করা সম্ভব।
৬. ফাইন্যান্সের জ্ঞান এবং সঠিক বিনিয়োগ দক্ষতা
যারা আর্থিক বিষয়ে জ্ঞান রাখেন এবং সঠিকভাবে বিনিয়োগ করতে জানেন, তারা দ্রুত ধনী হতে পারেন। শেয়ার বাজার, রিয়েল এস্টেট, ক্রিপ্টোকারেন্সি বা অন্যান্য বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া অর্থ বাড়ানোর একটি মূল উপায়।
৭. সঠিক পরিকল্পনাকারী
যারা নির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করে সেই অনুযায়ী দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করতে পারেন এবং সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দৃঢ়ভাবে কাজ করতে পারেন, তারা দ্রুত ধনী হতে পারেন। ধনী হওয়ার জন্য শুধু ইচ্ছাই নয়, বরং সঠিক পরিকল্পনা এবং তার বাস্তবায়ন গুরুত্বপূর্ণ।
৮. বহুমুখী আয়ের উৎস তৈরি করতে সক্ষম
যারা একাধিক আয়ের উৎস তৈরি করতে পারেন, যেমন চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা, ফ্রিল্যান্সিং, বা বিনিয়োগ থেকে আয়, তারা দ্রুত ধনী হতে পারেন। একাধিক আয়ের উৎস আর্থিক প্রবৃদ্ধির পথকে ত্বরান্বিত করে।
৯. অধ্যবসায়ী এবং ব্যর্থতা থেকে শিখতে সক্ষম
যারা ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে আবার চেষ্টা করতে পারেন, তারা সাধারণত দ্রুত সফল হন। ব্যর্থতা জীবনের অংশ, এবং তা থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা ধনী হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
১০. ইন্টারনেট এবং প্রযুক্তির সদ্ব্যবহার
যারা আধুনিক প্রযুক্তি ও ইন্টারনেট ব্যবহার করে নতুন ব্যবসা শুরু করেন বা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কাজ করেন, তারা দ্রুত ধনী হতে পারেন। ডিজিটাল মার্কেটিং, ই-কমার্স, এবং অনলাইন শিক্ষার মতো ক্ষেত্রগুলোতে বড় সম্ভাবনা রয়েছে।
উপসংহার:
ধনী হওয়ার জন্য কোনো নির্দিষ্ট সূত্র নেই, তবে কিছু বৈশিষ্ট্য এবং গুণাবলী দ্রুত সফলতা অর্জনে সহায়ক হতে পারে। কঠোর পরিশ্রম, ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা, সৃজনশীলতা, কৌশলগত চিন্তাভাবনা, এবং সময়ের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার দক্ষতা থাকলে একজন ব্যক্তি দ্রুত ধনী হতে পারেন। তবে সফলতার পাশাপাশি সতর্কতা ও ধৈর্যও প্রয়োজন, কারণ দ্রুত ধনী হওয়ার প্রক্রিয়ায় ঝুঁকিও থাকে।
ধনী হওয়ার জন্য প্রধানত প্রভাবকগুলো কী কী?
ধনী হওয়ার জন্য বেশ কিছু প্রভাবক বা ফ্যাক্টর কাজ করে, যেগুলো আর্থিক সাফল্য অর্জনের পথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই প্রভাবকগুলো মূলত ব্যক্তির দক্ষতা, সুযোগ, এবং আর্থিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ওপর নির্ভর করে। নিচে ধনী হওয়ার জন্য প্রধান কিছু প্রভাবক উল্লেখ করা হলো:
১. আয়ের উৎস
একটি প্রধান প্রভাবক হলো আয়ের উৎস। যারা একাধিক আয়ের উৎস তৈরি করতে পারেন, যেমন ব্যবসা, বিনিয়োগ, বা প্যাসিভ ইনকাম সোর্স (ভাড়া, ডিভিডেন্ড, ইন্টারেস্ট ইত্যাদি), তারা দ্রুত ধনী হতে পারেন। আয়ের উৎস যত বেশি হবে, ধনী হওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি হবে।
২. সঞ্চয় এবং বিনিয়োগের অভ্যাস
যারা আয়ের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ সঞ্চয় করেন এবং সঠিকভাবে বিনিয়োগ করতে পারেন, তারা দ্রুত ধনী হন। সঞ্চয় এবং বিনিয়োগ দীর্ঘমেয়াদে পুঁজির বৃদ্ধি নিশ্চিত করে এবং তা ধনী হওয়ার পথে বড় ভূমিকা রাখে।
৩. ব্যয় নিয়ন্ত্রণের দক্ষতা
যারা অপ্রয়োজনীয় ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার দক্ষতা রাখেন, তারা ধনী হতে পারেন। সঠিক বাজেট পরিকল্পনা ও আয়-ব্যয়ের ভারসাম্য বজায় রাখা একটি বড় প্রভাবক।
৪. ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা
আর্থিক সাফল্য অর্জনে ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবসা, স্টক মার্কেট, রিয়েল এস্টেট বা অন্যান্য ক্ষেত্রগুলোতে সঠিক সময়ে বুদ্ধিমানের সঙ্গে ঝুঁকি নেওয়া ধনী হওয়ার একটি মূল প্রভাবক।
৫. উদ্ভাবনী এবং সৃজনশীল চিন্তাভাবনা
যারা সৃজনশীল এবং উদ্ভাবনী ধারণা নিয়ে আসতে পারেন, তারা অনেক ক্ষেত্রে দ্রুত ধনী হতে পারেন। নতুন সমস্যার সমাধান এবং নতুন সুযোগ সৃষ্টি করার ক্ষমতা আর্থিক প্রবৃদ্ধিতে সহায়ক হয়।
৬. সঠিক নেটওয়ার্ক এবং যোগাযোগ
ব্যবসায়িক নেটওয়ার্ক বা সম্পর্ক তৈরি করার ক্ষমতা ধনী হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। সঠিক যোগাযোগ এবং সম্পর্কের মাধ্যমে নতুন ব্যবসার সুযোগ, বিনিয়োগ বা সহযোগিতা পাওয়া সম্ভব হয়।
৭. শিক্ষা এবং দক্ষতা
দক্ষতা ও জ্ঞান আর্থিক সফলতার মূল ভিত্তি। উচ্চ শিক্ষার পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ দক্ষতা অর্জন করা, যেমন প্রযুক্তি, ফাইন্যান্স, অথবা অন্যান্য বিশেষায়িত ক্ষেত্রে দক্ষতা থাকলে ধনী হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
৮. পরিকল্পনা এবং লক্ষ্য স্থির করা
যারা দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করতে পারেন এবং আর্থিক লক্ষ্য স্থির করে সেই অনুযায়ী কাজ করেন, তারা দ্রুত ধনী হতে পারেন। সঠিক পরিকল্পনা ও লক্ষ্য ধনী হওয়ার পথে এক প্রধান প্রভাবক।
৯. সময় এবং ধৈর্য
ধনী হওয়ার প্রক্রিয়া অনেক সময় ধীরগতিতে চলে। যারা সময় এবং ধৈর্য ধরে কাজ করতে পারেন, এবং দীর্ঘমেয়াদে অর্থের উপর সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, তাদের ধনী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
১০. প্রযুক্তি ও ইন্টারনেটের সদ্ব্যবহার
বর্তমান সময়ে প্রযুক্তি এবং ইন্টারনেট একটি বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে। ই-কমার্স, ডিজিটাল মার্কেটিং, অনলাইন কোর্স, ফ্রিল্যান্সিং, এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো ধনী হওয়ার বড় সুযোগ তৈরি করে দেয়।
১১. আন্তর্জাতিক বাজার ও বৈশ্বিক সুযোগ
যারা আন্তর্জাতিকভাবে কাজ করার সুযোগ খুঁজে পান বা বিদেশি বাজারে বিনিয়োগ করতে পারেন, তারা দ্রুত ধনী হতে পারেন। বৈশ্বিক ব্যবসা ও বিনিয়োগ ধনী হওয়ার বড় প্রভাবক হতে পারে।
১২. পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা
যারা বাজারের পরিবর্তনের সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নিতে পারেন, যেমন নতুন প্রযুক্তি বা নতুন ট্রেন্ড, তারা ধনী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। উদাহরণস্বরূপ, যাদের ইন্টারনেট বিপ্লবের সময় দ্রুত অনলাইন ব্যবসা শুরু করার দক্ষতা ছিল, তারা সফল হয়েছেন।
উপসংহার:
ধনী হওয়ার পথে মূল প্রভাবকগুলো হলো আয় বাড়ানো, সঞ্চয় এবং বিনিয়োগ, সঠিক নেটওয়ার্ক তৈরি, ঝুঁকি নেওয়া, এবং সৃজনশীল চিন্তাভাবনা। এগুলোর পাশাপাশি ধৈর্য এবং সঠিক পরিকল্পনার প্রয়োজন। তবে মনে রাখতে হবে, ধনী হওয়ার লক্ষ্য অর্জনের জন্য কঠোর পরিশ্রম, বুদ্ধি এবং আর্থিক সিদ্ধান্তগুলোকে সঠিকভাবে পরিচালনা করা অপরিহার্য।
যারা শিক্ষিত তারা অর্থশালী বা ধনী হয়না কেনো?
শিক্ষিত মানুষরা সবসময় অর্থশালী বা ধনী হয়ে ওঠে না, কারণ ধনী হওয়া শুধুমাত্র শিক্ষার ওপর নির্ভর করে না, বরং এটি বিভিন্ন প্রভাবক দ্বারা নির্ধারিত হয়। ধনী হওয়া মূলত ব্যক্তির দক্ষতা, সুযোগ, পরিশ্রম, সামাজিক অবস্থা, এবং কখনো কখনো ভাগ্যের ওপরও নির্ভর করে। এখানে কিছু কারণ দেওয়া হলো যা বোঝাতে পারে কেন শিক্ষিত মানুষ সবসময় ধনী হয় না:
১. আর্থিক শিক্ষা এবং পরিকল্পনার অভাব:
অনেক শিক্ষিত মানুষ ভালো একাডেমিক জ্ঞান অর্জন করে, কিন্তু অর্থনৈতিক শিক্ষা বা ফিনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে জানে না। ফলে তারা সঠিকভাবে সঞ্চয়, বিনিয়োগ, এবং আয় বাড়ানোর কৌশল জানে না, যা তাদের ধনী হতে সাহায্য করতে পারত।
২. সঠিক সুযোগের অভাব:
শিক্ষা গ্রহণ করলেও, সঠিক চাকরি বা ব্যবসার সুযোগ সবার জন্য সহজলভ্য হয় না। অর্থনৈতিক সাফল্য প্রাপ্তির জন্য কেবল শিক্ষাই যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন সঠিক সুযোগ এবং দক্ষতার সাথে সেই সুযোগকে কাজে লাগানো।
৩. ঝুঁকি নেওয়ার মানসিকতা:
ধনী হওয়ার জন্য অনেক সময় ঝুঁকি নেওয়ার মানসিকতা প্রয়োজন হয়, যেমন ব্যবসায় বিনিয়োগ করা বা নতুন কোনো উদ্যোগ শুরু করা। অনেক শিক্ষিত মানুষ ঝুঁকি নিতে ভয় পায়, যা তাদের ধনী হওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
৪. ব্যক্তিগত পছন্দ:
সব শিক্ষিত মানুষই ধনী হওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে না। অনেকেই চাকরি বা পেশাগত স্থিতিশীলতাকে বেশি মূল্য দেয়, যেখানে ধনী হওয়ার চেয়ে জীবনযাত্রার মান উন্নত রাখা তাদের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
৫. সমাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা:
শিক্ষা থাকলেও, কেউ যদি দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসে বা এমন জায়গায় থাকে যেখানে অর্থনৈতিক উন্নতির সুযোগ কম, তখন তাদের পক্ষে ধনী হওয়া কঠিন হতে পারে।
৬. পরিশ্রমের সাথে সংযোগ:
শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ, তবে কেবলমাত্র একাডেমিক শিক্ষা নয়, বাস্তব জীবনের দক্ষতাও প্রয়োজনীয়। অনেকে যারা উচ্চশিক্ষিত নয়, তারা ব্যবসা বা উদ্যোক্তা হিসেবে সাফল্য পেতে পারে কারণ তারা নতুন ধারণা বা উদ্যোগ নিয়ে কাজ করে।
৭. ভাগ্য এবং সময়:
অনেক সময় শিক্ষার চেয়ে বাজারের অবস্থান, সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত এবং ভাগ্যও বড় ভূমিকা পালন করে। ধনী হওয়ার পথ অনেকাংশে নির্ভর করে সঠিক সময় এবং পরিস্থিতির ওপর।
সারাংশে, শিক্ষিত হওয়া অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি জীবনে সাফল্য এনে দিতে পারে, কিন্তু ধনী হওয়া নির্ভর করে আরও অনেক ফ্যাক্টরের ওপর, যা শিক্ষার বাইরের।

যারা শিক্ষিত তারা অর্থশালী বা ধনী হয়না কেনো?

ChatGpt : শিক্ষিত মানুষরা সবসময় অর্থশালী বা ধনী হয়ে ওঠে না, কারণ ধনী হওয়া শুধুমাত্র শিক্ষার ওপর নির্ভর করে না, বরং এটি বিভিন্ন প্রভাবক দ্বারা নির্ধারিত হয়। ধনী হওয়া মূলত ব্যক্তির দক্ষতা, সুযোগ, পরিশ্রম, সামাজিক অবস্থা, এবং কখনো কখনো ভাগ্যের ওপরও নির্ভর করে। এখানে কিছু কারণ দেওয়া হলো যা বোঝাতে পারে কেন শিক্ষিত মানুষ সবসময় ধনী হয় না:
১. আর্থিক শিক্ষা এবং পরিকল্পনার অভাব:
অনেক শিক্ষিত মানুষ ভালো একাডেমিক জ্ঞান অর্জন করে, কিন্তু অর্থনৈতিক শিক্ষা বা ফিনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে জানে না। ফলে তারা সঠিকভাবে সঞ্চয়, বিনিয়োগ, এবং আয় বাড়ানোর কৌশল জানে না, যা তাদের ধনী হতে সাহায্য করতে পারত।
২. সঠিক সুযোগের অভাব:
শিক্ষা গ্রহণ করলেও, সঠিক চাকরি বা ব্যবসার সুযোগ সবার জন্য সহজলভ্য হয় না। অর্থনৈতিক সাফল্য প্রাপ্তির জন্য কেবল শিক্ষাই যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন সঠিক সুযোগ এবং দক্ষতার সাথে সেই সুযোগকে কাজে লাগানো।
৩. ঝুঁকি নেওয়ার মানসিকতা:
ধনী হওয়ার জন্য অনেক সময় ঝুঁকি নেওয়ার মানসিকতা প্রয়োজন হয়, যেমন ব্যবসায় বিনিয়োগ করা বা নতুন কোনো উদ্যোগ শুরু করা। অনেক শিক্ষিত মানুষ ঝুঁকি নিতে ভয় পায়, যা তাদের ধনী হওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
৪. ব্যক্তিগত পছন্দ:
সব শিক্ষিত মানুষই ধনী হওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে না। অনেকেই চাকরি বা পেশাগত স্থিতিশীলতাকে বেশি মূল্য দেয়, যেখানে ধনী হওয়ার চেয়ে জীবনযাত্রার মান উন্নত রাখা তাদের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
৫. সমাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা:
শিক্ষা থাকলেও, কেউ যদি দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসে বা এমন জায়গায় থাকে যেখানে অর্থনৈতিক উন্নতির সুযোগ কম, তখন তাদের পক্ষে ধনী হওয়া কঠিন হতে পারে।
৬. পরিশ্রমের সাথে সংযোগ:
শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ, তবে কেবলমাত্র একাডেমিক শিক্ষা নয়, বাস্তব জীবনের দক্ষতাও প্রয়োজনীয়। অনেকে যারা উচ্চশিক্ষিত নয়, তারা ব্যবসা বা উদ্যোক্তা হিসেবে সাফল্য পেতে পারে কারণ তারা নতুন ধারণা বা উদ্যোগ নিয়ে কাজ করে।
৭. ভাগ্য এবং সময়:
অনেক সময় শিক্ষার চেয়ে বাজারের অবস্থান, সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত এবং ভাগ্যও বড় ভূমিকা পালন করে। ধনী হওয়ার পথ অনেকাংশে নির্ভর করে সঠিক সময় এবং পরিস্থিতির ওপর।
সারাংশে, শিক্ষিত হওয়া অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি জীবনে সাফল্য এনে দিতে পারে, কিন্তু ধনী হওয়া নির্ভর করে আরও অনেক ফ্যাক্টরের ওপর, যা শিক্ষার বাইরের।
From
ChatGpt

বিশ্বব্যাপী স্ট্রোক

 বিশ্বব্যাপী স্ট্রোক একটি প্রধান মৃত্যুর কারণ, এবং কাজের সম্পর্কিত কারণে এর একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ঘটে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ILO) এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে ৭,৪৫,০০০ মৃত্যুর জন্য দীর্ঘ সময় কাজ করা (প্রতি সপ্তাহে ৫৫ ঘণ্টা বা তার বেশি) দায়ী, যার মধ্যে অনেক মৃত্যু স্ট্রোকের কারণে ঘটেছে। বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে দীর্ঘ সময় কাজ করার কারণে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়, যেখানে শ্রম সুরক্ষার নিয়মাবলী তুলনামূলকভাবে দুর্বল।

বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে, স্ট্রোক ২০২১ সালে ৭.৩ মিলিয়ন মৃত্যুর জন্য দায়ী ছিল, যা এটিকে বিশ্বের তৃতীয় প্রধান মৃত্যুর কারণ হিসেবে গড়ে তুলেছে। জীবনধারা এবং কাজের চাপ সম্পর্কিত সমস্যাগুলো স্ট্রোকের ঘটনা বৃদ্ধির সাথে সম্পর্কিত, এবং এ কারণে স্বাস্থ্য সংস্থাগুলো আরও কার্যকর প্রতিরোধমূলক কৌশল গ্রহণের ওপর জোর দিচ্ছে।
এই কাজ সম্পর্কিত স্বাস্থ্য ঝুঁকি মোকাবেলায় দীর্ঘ কর্মঘণ্টা কমানো, মানসিক চাপের ব্যবস্থাপনা, এবং কাজ ও ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার মতো নীতিমালা কার্যকর করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
Globally, stroke is a significant cause of death, with work-related factors contributing to a notable portion of these cases. According to a World Health Organization (WHO) and International Labour Organization (ILO) report, over 745,000 deaths in 2016 were attributed to long working hours, many of which resulted from strokes. This was linked to individuals working 55 or more hours per week, significantly increasing their risk of stroke. Stroke-related deaths due to overwork are particularly prevalent in low- and middle-income countries, where occupational health regulations may be less stringent.
In a broader context, stroke remains the third leading cause of death worldwide, responsible for 7.3 million deaths annually as of 2021. The rise in stroke cases, especially related to lifestyle and work-related stressors, has pushed global health organizations to advocate for better prevention strategies.
Efforts to address these work-related health risks include policies focusing on reducing long working hours, stress management, and promoting better work-life balance.

https://fictionfactory.org/contributor/2165

 https://fictionfactory.org/contributor/2165

শুক্রবার, জুলাই ১২, ২০২৪

শিক্ষকের প্রতি অছিয়ত - বযলুর রশীদ

শিক্ষকের প্রতি অছিয়ত - বযলুর রশীদ: ছিদ্দীক হাসান খান কানূজী ‘আবজাদুল উলূম’ গ্রন্থে বলেন, শিক্ষকের দায়িত্ব ও কর্তব্য হ’ল-প্রথমতঃ শিক্ষার্থীদের উপর দয়া প্রদর্শন করা। শিক্ষক তাদেরকে নিজের সন্তানের মত পরিচালনা করবেন। এজন্য পিতামাতার অধিকার অপেক্ষা শিক্ষকের অধিকার অনেক বড়। যদি শিক্ষক না থাকত, তাহ’লে শিক্ষার্থী পিতার নিকট থেকে যা শিখেছে অবশ্যই তা স্থায়ী ধ্বংসের দিকে ধাবিত

রবিবার, জুন ৩০, ২০২৪

৯০। অনুশোচনা

পদে পদে, প্রতি পদে, জড়ায়ে পাপে,

মুক্ত না হতে পারি,

আশা নিরাশার দোলাচলে চলি,

দিবা-নিশি এমনি করি।

কখনো শয়তান, নিজের নাফস,

দুনিয়ার মন্দ সব,

হৃদয় গহীনে বাসা বেঁধে চলে,

চালায় যতো তান্ডব।

সহজ সরল পথের সন্ধানে ছুটি,

দিনমান কেন বিপথে চলি!

ঘুমের জোয়ারে ক্লান্ত দু'চোখে,

আপনারে লয়ে,ব্যস্ত নিশিতে।

কোথায় মাগিব দু'দন্ড শান্তি,

কেমনে ভূলিব জমানো ক্লান্তি,

কাঁদিব কোথায় পথযে হারায়,

আপনার ভূলে, পথ ভূলে যায়।

ভূল করে করে, নিঃস্ব আজি,

কোথাও কি কিছু আছে বাকি!

চারিদিকে দেখি মরু মরিচীকা,

আশার দোয়ার হারালো কোথা!

ভাঙ্গিতে ভাঙ্গিতে ক্ষীণ মনোবল,

অনুশোচনার অস্থির মরুঝড়। 

আশার দীপালী নিভু নিভু কভু,

তবু স্বস্থি, জাগে তাওহীদ, মনে প্রভু!

আশ্রয়হীনের সেরা আশ্রয়, 

সর্বোত্তম করুণার আলয়,

নিরাশার মাঝে আশার আলো,

বাঁচিবার তরে পিদিম জ্বালো।

নূতন আশার ঝলকানিতে, 

জীবন পথের বাঁকে বাঁকে,

অসীম শান্তি-স্বস্থি মিলে,

তোমার অশেষ রহমতে।

করুণাধারা চায় অবিরাম,

দেশ ও জাতির তরে অফুরান।

পাপ ও তাপের পথ হারাবে,

লক্ষ্য-পথের যোজন দূরে।


 আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া

২৪/১২/২০১৭ ঈসায়ী সাল।

রাত ১১ টা,

২৩/১২/২০১৭।

মধুবাগ, বড়মগবাজার,

রমনা , ঢাকা।

৮৯। পরোয়ানা

ভালবাসা ভরে থাক,

প্রতিটি অন্তর;

ভালবেসে বেঁচে থাকা,

হউক মূল মন্তর।

পথে ঘাটে জোড়া জোড়া,

বসে থাকে নীরবে;

সহাস্যে হেলে দুলে,

কেউ চলে সরবে।

আকাশের তারা সম,

যুগলেরা জ্বলে নিভে,

কত কথা বিনিময়,

চলে মান অভিমানে।

সত্যি হয়ে থাক,

সব সুখ স্বপ্ন,

স্বপ্নের বলাকারা,

হয়ে যাক ধন্য।

থেকো সবে চিরদিন,

পাপ তাপ মুক্ত,

দিন দিন বাড়ে যেন,

পূণ্যের প্রস্থ।

ভালবাসি ভালবাস,

দিবা নিশি সত্য,

স্বর্গ হবে দেখো,

ধূলীর এই মর্ত্য।

ভালবাসার অভিনয়ে,

কেঁড়ে নিবে যতো সব,

জিম্মী করে কভু,

জুলুমের উৎসব।

সঙ্গ দিবে ঠিক,

যবে তার প্রয়োজন,

ফিরে আর পাবেনা,

হবে শেষ আয়োজন।

নেশা করে প্রেম করে,

সুস্থতা বিনাশে,

উপকরন সহজেই,

রবে আশে পাশে।

মিলবে সব তার,

যতো চাওয়া ফন্দী,

মৃত্যুর পরোয়ানা,

কভু পাপে বন্দী।

চায় সৎ সঙ্গ, সুখ ভোগ, শান্তি,

প্রেম আর ভালবাসা একটু শ্রান্তি।

প্রতারক, লোভী সব, একা থেকে মুক্তি, 

চাই পাশে,সৎ জন, এই হোক চুক্তি।


- আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া

   ২১/১২/২০১৭ ঈসায়ী সাল।

গুলশান-০১,

ঢাকা।

৮৮। প্রাণের চেয়ে প্রিয় কুদস

ওরা মার খাচ্ছে, খাক, জ্বলে পোঁড়ে

 ছারখার হয়ে যাক,

পুরো ভিটে মাটি, সাজানো সংসার,

কারো দখলে এমনি থাক।

আমার আসন ঠিক আছে তো,

বিশ্ব তাহার সবি হারাক।

মানব-দানব ধ্বংস চালায়,

কার কী আসে যায়।

তোমার আঙ্গিনায় ফোটে, 

রং বেরঙের, নানা জাতের ফুল,

আমার আঙ্গিনা ক্ষত বিক্ষত, 

জাজরা বুলেটে, বংশ নির্মূল!

তোমার সুখে ও দুঃখে সবাই 

প্রাণাধিক সুখী ব্যাথাতুর,

আমার জীবন যৌবন, সন্তান,

প্রিয়তমা হারায়, নিত্য কূল।

বসত ভিটা, জমি-জমা, স্বপ্ন কাঁড়ে,

 পাষাণ অরি,

সকাল-সাঁঝে, হর হামেশা, ঝাঁপিয়ে

 পড়ে প্রাণ হরি।

যাক চলে যাক সহায় সন্তান দুঃখ নাই

 মোর অন্তরে,

প্রাণের চেয়ে প্রিয় কুদস, কার দখলে,

 কোন কারণে?

শান্তি নিয়ে জুয়া খেলা, খেলছে কারা

 দিবালোকে,

দাবা খেলার গুটি নিয়ে, হন্যে হয়ে 

 চলছে ছুটে।

শান্তি-চাবি গুটি কয়েক বোকা রাজার

 হাতেই রবে?

বিশ্ব মাঝে ঝাঁকিয়ে তোলা, অশান্তির

 সেই শেষ কবে?

যতো আছে পথের কাঁটা, সরায় সবে

 শক্ত হাতে,

অত্যাচারীর বুকে মাটি, দাফন করি

 সবাই মিলে।

চিরতরে স্তব্ধ করি, ঝগড়া বিবাদ

 মারামারি,

কারণে আর অকারণে করে যারা

 হানাহানি।

বিশ্বটাকে এমনি করে তুলে দিবে!

পাগল, ছাগল, পামর করে,

ভয় কি তোমার, ভীত কেন?

শক্তি তোমার কম কি কীসে??

মানবতার ধারক বাহক কোটি 

কোটি জীবন পাবে,

অস্ত্র তোমার ঈমান আমল, 

শক্তির  আধার আল্লাহ পাশে।


----- আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া

১৪/১২/২০১৭ ঈসায়ী সাল।

সকাল ০৭ টা ৩৩ মিনিট।

১৪/১২/২০১৭ ঈসায়ী সাল।

মধুবাগ, বড়মগবাজার,

রমনা, ঢাকা-১০০০।


শনিবার, জুন ২৯, ২০২৪

বিপ্লবী (২৬)

https://fictionfactory.org/contributor/2165

বিপ্লবী!
পর্বতের ঐ চূঁড়া ছোঁয়ে,
হিমবাহের গাত্র বেয়ে,
জন্ম লভে চলতে হবে,
সাগর পানে ছুটবে তবে।
সবুজ শ্যামল পথের ধারা,
চলতে চলতে পথের সারা,
লক্ষ্যপথে সফল হওয়া,
সকল বাঁধা, হলো হাওয়া।
জাগছে দেখো, আসছে ধেয়ে,
বিপ্লবীরা আকাশ ছেঁয়ে ।
বিপ্লবী!
ঘন সবুজ কালো গায়ে,
শুভ্র ধারা নামছে বেয়ে,
উদাস মনে আকাশ পানে,
ভাবের উদয়, কাছে টানে।
পথে পথে লাখো হাতে,
ময়লা ধুয়ে দিবস রাতে,
স্বচ্ছ জলের ঝর্ণা হয়ে,
বাঁধনহারা চলছে বয়ে।
বিপ্লবী!
দেখছো তুফান, মরুঝড়,
দেখবে তাঁদের ঘূর্ণিঝড়,
মন্দ খারাপ, জীবন ভর,
পাল্টে দিবে, নেইকো ঢর।
জরাজীর্ণে আনিবে প্রাণ,
শ্মশান হবে গুলিস্তান।
ঐকতানে সুর মিলিয়ে,
সব ভেদাভেদ ঠেলে দিয়ে,
পরকে সবাই আপন করে,
সবাই রবে সবার তরে।
হাসবেনা কেউ কারো দুঃখে,
সুখী হবে সবার সুখে,
ভালো থেকো, ভালো রেখো,
জগত জুড়ে শান্তি দেখো।

-----আরিফ শামছ্

২০-সেপ্টেম্বর-২০২০ ঈসায়ী সাল।
ঢাকা,
বাংলাদেশ।

বিপ্লবী (২৫)

https://fictionfactory.org/contributor/2165

বিপ্লবী!

বিপ্লবীরা জাগো,

তর্জন গর্জনে, 

গর্জে ওঠো,

স্বপ্ন, ঘুৃমের মোহ,

ঘুমিয়ে আছে,

যারা আছো।

ভাঙবি ওরে ভাঙবো।

মিছে আশ্বাস, কল্প বিশ্বাস, 

নয় পটাতে বিশেষ বাতাস,

দেখরে চেয়ে, খোল্ ইতিহাস,

বিপ্লবীদের জয়োল্লাস। 

কালের সাথে সমান তালে,

বন্দী সমাজ, বিপদ জালে,

খাঁমচে ধরে, জাতির পালে,

সলীল কবর চায় অকালে!

ঘাপটি মেরে, সবার মাঝে,

চুপটি করে, সকাল সাঁঝে,

করছে ক্ষতি দিবস রাতে,

মরণ ফাঁদের জাল পাতে।

বিপ্লবী! 

আগাছা বাছো,

গোঁড়ায় ধরো,

জোরসে মারো টান,

মানুষ নামে অমানুষ,

মন্দ! নামে ভালো,

রয়না যেনো প্রাণ।

দেশ ও জাতির কল্যাণে,

প্রাণে প্রাণে প্রাণ এনে

বিপ্লবীরা রণে।

 দেশ ও দশের ক্ষতি সবার,

 নেই কোন বোধ, বিবেক বিচার,

পুতুল সম নাচে নাচায়,

যেমনে তাদের শেখায়। 

ওরা জাতীয় বেঈমান, 

বিশ্বাসে গাদ্দার, 

হাতে গোনা কটা চাটুকার, 

ওদের ধরো, বোধ ফিরাবার, 

শাস্তি হবে বেদম প্রহার। 

বিপ্লবী! 

অপূরণীয় ক্ষয়-ক্ষতি,  

কুটচালের মাত্রা অতি,

সব অরিদের একই গতি,

মরণ দানে টানবে যতি।

নূতন বিশ্ব,

শত্রু মুক্ত, 

সবাই সবার আপন,

জীবন মরণ,

বিপদ আপদ,

নেই কোন ভয়,

সবাই পাশে,

নিখাঁদ আশে,

হাতের কাছে,

নেই কোন সংশয়।

২৮/০৮/২০২০

বিপ্লবী (২৪)

https://fictionfactory.org/contributor/2165



বিপ্লবী,

ক্ষুরধার লিখন,

শাণিত ভাষণ,

ক্ষীপ্র তীব্র,

চলাচল তব,

হারালো যত,

শ্বাশ্বত ছন্দ।

আজ কেনো,

পরাণে ব্যথা,

দুঃখ গাঁথা,

পাথর চোখে,

অশ্রু ঝরা,

নিরানন্দ!

বিপ্লবী, 

কোথা' তোর,

বিপ্লবী দোর,

রাঙ্গা ভোর,

অগ্নিগর্ভ,

চির নতুন;

ঝরাজীর্ণ,

সব পুরাতন,

ভীত বিহ্বল,

পুড়ে মরলো!

বিপ্লবী! 

হারিয়ে গেলি!

হেয় হারালি,

ঘুমের নেশা,

নেশার ঘুমে,

স্বপ্ন দেখে,

দিন কাটালি;

আর কতোকাল,

হবে নাকাল,

ঘরের পরে,

সবার তরে!

এমন করে, 

হবে বলি!

হুংকারে তোর,

কাঁচের মতো,

ভেঙ্গে ফেলো,

বাধা যতো,

দল উপদল,

হল একদল।

ঝাঁপিয়ে পড়ো,

বীরের জাতি,

বিদায় করো,

আঁধার রাতি।

ছিনিয়ে আনো,

আলোর ভোর,

শান্তি সুখের, 

ঐশী দোর।

০৪/১০/২০১৯

বিপ্লবী (২৩)

বিপ্লবী!

স্থানেস্থানে,

মানব জনে,

প্রাণে প্রাণে,

জাগাও প্রাণ;

প্রাণহীন দেহ,

নীরব নিথর,

স্থবীর পাথর,

রবে নিষ্প্রাণ?

মনে প্রাণে,

মানে শাণে,

মিলে মিশে,

দিবা নিশি;

জাগো আজি,

রাখবে বাজি,

জাগাও সবি,

অগ্রে র'বি।

চিরবিপ্লবী!

জন্ম জন্মান্তরে,

অবহেলা অনাদরে,

কষ্টের রাজপথে,

ভঙ্গুর বন্ধনে,

কাছাকাছি ;

মৃত্যুপথে,

গলাগলি করে,

মৃত্যু ধ্বংসে,

 ইতিবৃত্ত লিখে,

নবজাগরণে,

আমরণে,

চলো পাশাপাশি।

মৃত্যুঞ্জয়ী! 

বিপ্লবী।

মৃত্যু জয়,

কর কমলে,

মৃত্যুভয়, 

কোথা' হারালে,

অমৃত পানে,

কে হারাবে,

ছুটাছুটি দশদিক ;

অত্যাচারী,

চির অপকারী,

রক্তখেঁকো,

নিঁঠুর পাষাণী,

পালায় ছুটে,

মৃত্যুভয়ে,

দিক্বিদিক। 

বিপ্লবী!

আজি তোর,

উল্লাসী ভোর,

খোলবে দোর,

বাহন বায়ু,

বাড়ছে আয়ু,

শক্তি অতুল,

চল্ দুলদুল। 

সামনে পড়ে,

অসীম পথে,

অগ্নিরথে,

পবন বেগে,

ছুটতে হবে,

জয়ের পরে,

বুল্ বুলবুল।


আরিফ শামছ্

২৪/০৭/২০১৯ ঈসায়ী সাল।

https://fictionfactory.org/contributor/2165

https://www.facebook.com/groups/4020204574679136/permalink/7221569597875935/ 

https://kobitapara.com/%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b2%e0%a6%ac%e0%a7%80-%e0%a6%95%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a6%be/



বিপ্লবী (২২)

https://kobitapara.com/%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b2%e0%a6%ac%e0%a7%80-%e0%a6%95%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a6%be/

 বিপ্লবী!

ভাবছো কিছু?

কীযে হলো?

নারী, শিশু!

নাইরে কেনো?

শান্তি নিরাপদে।

ঘরে বাইরে,

পথে-ঘাটে,

হাট-বাজারে,

ছুটছে কাজে।

নরক কীটে

ভাবছে বাজে,

সকাল সাঁঝে,

ভদ্র সেজে,

মান লুটে যে!

যান বাহনে,

চলাচলে,

পথের মাঝে,

একলা পেলে,

হচ্ছে কী সব?

সবাই নীরব!

বিপ্লবী! 

কোথায় তব,

গাইতি শাবল,

ডান্ডাবেরী,

করতে বিকল,

হরমুজ দরমুজ,

চল্ সহ চল্,

ভাঙ্গবো কোমর,

শির দাঁড়া সব,

গুঁড়িয়ে দেবো,

আবাস যতো,

মুছে ফেলো,

যতি, চিহ্ন ।

নতুন করে,

তুলবে গড়ে,

নতুন সমাজ,

পুতঃ দেশ।

পঙ্কিলতা, 

পাপের বোঝা,

পাপী-তাপী,

করবে শেষ।

আবার বয়ে,

যায়বে চলে,

পূণ্য নেকে,

পূর্ণ করে,

সকাল বিকাল,

দিবা নিশি,

সদলবলে

মিলে মিশি।

বিপ্লবী!

উড়াও ঝান্ডা,

সম- সমতার,

সব অধিকার,

বুঝে নেবার,

কর্মভার।

যে যা পাবে,

বুঝিয়ে দিবে,

পায়ে পায়ে,

দিবে নিবে,

রেখো মনে,

শান্তিভার।

বিপ্লবী।

তোমার থেকে

বুঝে নিবে,

শান্ত বিশ্ব;

শান্তি ধারা,

শান্ত ধরা,

সকল পাওয়া,

স্পষ্ট বুঝি, 

চল্ যুঝি। 

১৮/০৭/২০১৯ ঈসায়ী সাল।

বুধবার, মে ২৯, ২০২৪

৮৭. আসলো পতন, খবরদার!



দিনে দিনে বাড়ছে জ্বালা অত্যাচার
আর উৎপীড়ন,
মানুষ নামের মানব-বাদীর,
কবে হবে চেতন ???
বিশ্ব হবে সব জাতিদের,
থাকবেনা বৈষম্য,
হচ্ছে কী সব বিশ্ব জুড়ে!
তাই কী ছিল কাম্য?
আঁতাত করো খুনীর সাথে,
সাথী দখলদার,
অত্যাচারীর অস্ত্রগুরু,
দালাল ফড়িয়ার!
সিংহ, শার্দুল ওঠলো জেগে,
অত্যাচারীর দিন শেষে,
ঢাল তলোয়ার, মারণাস্ত্র,
প্রয়োজন তা' কোথা' কবে!
শান্তির কথা মুখে মুখে,
অন্তরে অন্তঃসার,
সাধু তুমি অসাধুরা,
করে অভিসার!!!
বিশ্ব-বিবেক ভাবছো বোকা,
নিত্য নিতুই দিচ্ছ ধোঁকা!
বের হয়েছে মুখোশ তোমার,
লুকিয়ে রবে কোথা??
অত্যাচারী টিকলো কবে,
কদিন রবে ধরাতলে,
দেখ্ খোলে দেখ্, ভাল করে,
ইতিহাসের পাতা পড়ে।
অপমানের নরক জ্বালা,
জ্বালবে তোদের অন্তরে,
সব হারাবি নিঃস্ব হয়ে,
জায়গা হবে প্রান্তরে।
অত্যাচারীর সহযোগী,
অস্ত্রবলের যোগানদার,
থামবি নাকি? থামিয়ে দিব?
আসলো পতন, খবরদার!
গুটিয়ে নে তোর ঝারি-ঝুরি,
ভাসিয়ে নেবো তৃণ সবি,
আবর্জনা সব হবে সাফ,
করবেনা কেউ মাফ।

আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া
সকাল ০৯ টা।
১২/১২/২০১৭ ঈসায়ী সাল।
মধুবাগ, বড়মগবাজার,
রমনা, ঢাকা।

৮৬. আমার বাবা।


বাবা! কে বলে তুমি নেই,
এ ধরাধামে? চলে গেছ অভিমানে;
নিত্যদিনের নিয়ম মেনে,
সবার মতো স্বজন ছেড়ে,
ভিন দেশেতে অনেক দূরে।
নাই কি তোমার রক্তধারার?
এমদন নয়ন, খুঁজে নেবার।
সত্যটাকে মিথ্যাজালের বেড়া থেকে,
আলোর রেণু, মুঠোয় নেয়া দক্ষ হাতে।
আছো তুমি চিরন্তনী,
কথা-কাজের বর্ণনাতে,
সমাজ সেবার দর্শণে।
সব হৃদয়ের মণিকোঠায়,
উচ্ছ্বসিত ভাবের ধারায়।
তোমার ফসল যেথা যবে,
প্রভূর হাতে সদা রবে,
যেমনি হতে চেয়েছিলে,
সব বাসনায় পূর্ন হবে।
বেঁচে আছো সত্য কথা,
নিত্য দিনে যাওয়া আসা,
সব হৃদয়ে আলো জ্বালা,
আঁধার যেনো মুঠোয় পুরে,
আলোয় আলোয় পূর্ণ করে।
অসীম শ্রমের মোতিমালা,
তোমার গড়া গ্রন্থশালা,
বাগে আতিক সব দেখে যাও,
ইচ্ছে মতো সুবাস ছড়াও।
প্রতিটি হৃদয় মন্দিরে,
সাধুবেশে আছো সাধনায়,
সমাজকে দেবে তুমি উপহার।
চায়তো মনোলোভা হীরে কণা,
অতীব প্রয়োজন, কারো অজানা।
কোন স্বপ্নে বিভোর ছিলে,
হে পিতঃ! আত্নবিস্মৃত হয়ে,
জীবনের পুরোটাই উৎসর্গ করে,
তিলে তিলে মহাসত্যের দিকে,
উপকরণ ছড়ালে দু'হাতে।
আপন প্রভূর মহিমায়,
ছিলে কৃতজ্ঞ জীবন ভর,
পঞ্চমুখ প্রশংসায় আজীবন,
জীবনতরীর মালিক মেনেছ,
সবার উপরে প্রভূরে রেখেছো।
স্বপ্ন তোমার হউক রূপায়ণ,
চায় যদি সে পরম আপন।
সফলতার সব খবরই তোমার কাছে,
যথাকালে সঠিকভাবে পৌঁছে যাবে।
তুমি আছো সদা,
চিন্তা ধারার তীব্র ধারায়,
আপন বেগে, নিত্য চলায়,
জীবন পথে ছন্দ দিতে,
পূর্ণতারই তৃষ্ণা পেতে।
বাবা, শত বর্ষ এমনি করে,
চলে যাবে, আপন বেগে,
তোমার দেয়া তোহফা গুলো,
নিত্য নতুন আলো দেবে।

------ আরিফ শামছ্
০৭/০৫/২০০৬ ঈসায়ী সাল,
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
ভূঁইয়া পারা, ভাদুঘর,
সদর, বি.বাড়ীয়া।

৮৫. বিজয়ের উল্লাসে


বিজয়ের উল্লাসে, মোর চোখ হাসে
আজ, ঠোঁট হাসে তার রূপ পাশে,
সুখ আঁশুতে বুক ভাসে।
রক্ত নাচে টগবগে, মোর অরুন-তরুণ,
রক্ত রাগে, সোনা রোদের মখমলে,
জীবন জুড়ে, সৃষ্টি সুখের উল্লাসে।
সব পরাজয়, পদানত,
শত্রু সেনা হস্তগত,
জয়ের নেশায় মত্ত ছিল,
অস্ত্রসহ, অস্র বিহীন যোদ্ধা শত।
অশ্রু ধারার লক্ষ নদী,
রক্ত ধারা নিরবধি,
বয়েছিল জয় অবধি,
রুপ-অপরুপ সমাজ, জাতি,
সব হারিয়ে রিক্ত অতি,
মুঠোপুরে বিজয়-পতি।
নির্যাতনের দীঘল রাতি,
লম্বা ছিল নেইকো যতি,
ভোরের আশায় মনের বাতি,
দোলাচলে নিভলো বুঝি!
সারি সারি বীর বাঙ্গালী,
দেশের তরে প্রাণটি সঁপি,
শত্রু সেনার গতির যতি,
বুলেট বুকে আগলে রাখি।
সূর্যোদয়ের নূতন আভায়,
নূতন করে প্রাণ ফিরে পায়,
ঝরা-জীর্ণ সব টুটি,
অরুণ রবির আঁচল তলে,
স্বপ্ন হাসে স্বাধীণ বেশে,
সব পরাধীণ ছুটি।

---আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া।
০৬/১২/২০১৭ ঈসায়ী সাল।
মধুবাগ, রমনা, ঢাকা।



৮৪। বাবা!


আমার বাবা,
আমার রবি,
সব বেলাতেই,
তারে স্মরি।
মা'বুদ আমার
সাথে তাহার,
করবে সদাচার,
এইতো হল,
আমার দোয়া,
মাবুদের দরবার।
মাফ করে দাও,
মা'বুদ তুমি,
আমার বাবাকে,
জান্নাতী করে রাখো,
আমার রবিকে।

- আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া
৩০/০৪/২০০৬ ঈসায়ী সাল।
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
ভূঁইয়া পারা, ভাদুঘর,
সদর, বি.বাড়ীয়া।

৮৩। জীবন তরী


জীবন তরীর এ কি হল হাল,
মাঝে মাঝে পাল ছিঁড়ে বেসামাল,
হাজারো ঢেউয়ের তর্জনগর্জন,
নির্ভীক চিত্তে করিতে অর্জন।
পথে পথে বাঁধা হবে,
কেটে যাবো একে একে,
মানবোনা বাঁধা, শুনবনা কথা,
চলে যাব, দিয়ে যাব দিশা।
তুমি থাক ভীত হয়ে,
রবনা একাকি বসে,
লড়ব, চলব নিশান উড়িয়ে যাব,
সত্য ধ্বজা রবেই অম্লাণ,
যাই যাবে যাক দেহ মোর প্রাণ,
সহাস্যে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করিব।

------ আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া
২৬/০২/২০০৫ ঈসায়ী সাল



৮২। বাবা!


বাবা, তুমি সময়ের সাথে,
পাল্লা দিয়ে অনেক দূরে চলে গেলে!
কি করে ভূলিতে এ মন পারে,
কত সাধ আহ্লাদ, তোমারে আহ্বাণে।
কালের আবর্তে চলে গেলে!
এত দূরে তবে কেন?
আশার দিপালী জ্বেলে,
তুমি নীরবেই চলে গেলে!
এ পৃথিবী তোমায় দিয়েছে কিছু?
নিয়েছে তো অনেক,
তোমার সন্তান দেখো কত স্বার্থপর!!!
তোমারে স্মরিছে কি বারেক!!!

--- আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া
৩০/০৪/২০০৬ ঈসায়ী সাল।
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
ভূঁইয়া পারা, ভাদুঘর,
সদর, বি.বাড়ীয়া।

৮১। সত্য সন্ধানী




বেহাল রুপ দেখিতে কে চায় বলো?
অপরুপা এ পৃথিবীর ;
কারা হারাবে সত্য নিশানা?
সত্য সুবাস ছড়াবে ধরিত্রীর?
সত্যের ঘোষক, ধ্বজাধারী বীর,
কোথায় বসবাস এ অবনীর?
সত্যের সমারোহ ঘটাবে কোন জন?
সৃজিবে কা'রা সত্যের কানন?
অবিনাশী সত্য, চিরঞ্জীব প্রিয়তম,
ধূসর পৃথিবীতে আর কি চাওয়া!
সুন্দর অনন্ত, সত্য চির-ভাস্বর,
হীরে কণা সব একে একে পাওয়া।
সত্য পূজারী, সত্য সন্ধানী প্রিয়তমা!
নিত্যদিন সত্যের গান গেয়ে যাওয়া।
প্রিয়তম যে মোর, অনন্ত কালের স্রষ্টা,
প্রভাত-গোধূলী লগনে সদা,
তাঁর গান গাওয়া।

-------- আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া
৩০/০৪/২০০৬ ঈসায়ী সাল।





৮০। বাসন্তী


পাকা পাকা বিবর্ণ পাতা সব,
ঝরে পড়ে নীরবে,
শীত যেন এসে গেলো, বসন্ত
তাহার পড়ে।
জরাজীর্ণ ঝেরে ফেলে, নতুনের প্রস্তুতি,
আর কতো অপেক্ষা, আসবে রে বাসন্তী।
দিন যায়, মাস যায়, আসে যায় বছর,
কেউ বলে বাড়ে আবার কমে যে বয়স!
মায়াঘেরা প্রীতিডোরে, বেড়ে ওঠা ধীরে ধীরে,
পথচলা সময়ের, শ্বাশ্বত বিধানে।
সুখ আর দুঃখ কেউ কারো অরি নয়,
একে একে দুই দুটো, জীবনের সাথী হয়।
ভাবি সব দুঃখ, কেন সুখ হয়না,
দুঃখ কেন যে, পিছু কভু ছাড়েনা।
সাজাবো থরে থরে, সুন্দরে সুন্দর,
নোঙ্গর রাখব আলোকিত বন্দর।
জীবনের আশা-তরী, ভিড়বে একে একে,
চলবে বিনিময়, জীবনের সব খানে।
রচনাঃ
আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া
৩০/১১/২০১২ ঈসায়ী সাল।
পূর্ব নয়াটোলা।


৭৯। রঙমহল


সাথী আমার জীবন সাথী,
কোথায় ছিলে তুমি?
তোমার তরে ভালবাসার,
আকাশ রেখেছি।
ভাবতে পারো উজাড় কিনা! আঁধার আঁধার ভরা,
জীবন আমার ঘূর্ণিপাকে! নাকি মরণ ছোঁয়া।
ভালবাসার মহারথে চলবে জীবন ভর,
ভালবাসায় খুঁজে পাবে, পূর্ণ তব মন।
আকাশ সে তো নয়গো জেনো, মহাকাশ দেখো,
তারায় তারায় সাজিয়ে দিলাম, তোমার তরে শুধু।
খুঁজে পাবে চন্দ্র, তারা, রবিকরের মাঝে,
চায়বে যখন সঙ্গ তুমি, সকাল-সন্ধ্যা-সাঁঝে।
এলোমেলো ঝড় যখনি আসবে জীবন মাঝে,
ভালবাসার ঢাল দিয়ে সব, রুখবো দু'জনে।
ভয় পেয়োনা নূতন সাথী, কভু বিপদ দেখে,
পাশেই আছি পাশাপাশি, থাকবো তোমার হয়ে,
এসো রচি ধূলীর ধূলায়, ভালবাসার রঙমহল,
প্রেম-তুলিতে স্বপ্ন আঁকি, হাসি-খুশি, সুখ-আঁচল।
রচনাঃ --- আরিফ শামছ্
২৪/১১/২০১২
২৮/১, পূর্ব নয়াটোলা,
বড়মগবাজার, রমনা, ঢাকা।


৭৮। চন্দ্রাবতী

  

আঁধার ঘেরা নিঝুম রাতে চাঁদ যে বড় একা,
আলো ছায়ার চলছে খেলা, নামলো পরীর মেলা।
চাঁদ খুঁজে তাঁর হারিয়ে যাওয়া সাথীটারে বুঝি,
"চাঁদনী " বলে ডেকে ডেকে সারা হলো নিশি।
বুকে ভরা স্নিগ্ধ আলোয়, একাকিত্বে মরি,
দিবা-নিশি খুঁজে মরি, পূর্ণতা যে চাহি।
চাঁদের আলোয় ভালবাসা, পায় যে অপরুপ,
প্রেম নামে যে, বাঁধনহারা, খুঁজে নিজের রুপ।
প্রেমের খেলা জমে ওঠে, চলে নিশি ভর,
ভালবাসার রাজ্য মাঝে, কেউতো একা নয়।
চাঁদ হয়ে ভাই, এই কি হলো! বড্ড একা থাকি,
একা একা জীবন গেল, রয়লো ক'দিন বাকি!!
চন্দ্রাবতীর প্রেমে পড়ে, পাগলপারা ভাই,
সন্ধ্যা-রাতে, নিশি-ভোরে,
খুঁজি তারায় তারায়।
আর মানেনা মন যে আমার,
দারুন সময় যায়,
চন্দ্রাবতীর দেখা পেলে, আমায় বলো ভাই।
রচনাঃ
আরিফ শামছ্
২৪/১১/২০১২ ঈসায়ী সাল।
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস
সদর, বি-বাড়ীয়া-৩৪০০।









ভালবাসি দিবা-নিশি _সূচীপত্র

প্রেম আর ভালোবাসা কবিতাটির সারাংশ বা সারমর্ম চাই

কবিতাটির সারাংশ বা সারমর্ম চাই প্রেম আর ভালোবাসা ___আরিফ শামছ্ দৃষ্টির সীমানায়, হৃদয়ের মোহনায়, কে এলো? কে যায়? জান্নাতী সমীরণে, বাসনার ঢেউ ...