বুধবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৫

২৮। জাগাও তুমি, জেগে ওঠো !



পূর্বে তোমার ঈমান- অস্ত্র সবি ছিল চোখ ধাঁধানো;
আজ কি হলো ভাইরে তোমার, সব কিছুতেই হেয় হারালো !
হালাল ছেড়ে হারাম খেয়ে, নাই ঈমানের দৃঢ়তা,
প্রতিবাদী কণ্ঠে কেনো দ্রোহের আগুন জ্বলেনা !
সাহস খনি হারিয়ে গেলো, নাকি কাউকে সঁপে দিলি !!!
ভীরু ভীরু ত্রস্তপদে বাঁচবে নিজে? না কা'রে বাঁচাবি?
দুর্বলতার সুযোগ পেয়ে, চামচিকারা কী করে !!!
শের এ খোদার ঘুম ভাঙ্গানো; উচিত হবে কবে???
নাও তব সে পূর্ণ ঈমান, বর্ম পড় আমলের,
নাও তুলে সেই তলোয়ার, রাঙ্গানো ঐ বিশ্বাসের।
মুক্ত তোমায় করবেনা কেউ, মারবে বেঁধে বেঁধে,
বিশ্বাস যদি নাইবা হবে, তাকাও বিশ্ব মাঝে।
জাগাও তুমি, জেগে ওঠো সিংহ শার্দূল সব,
ঝাঁপিয়ে পড়ো, বিদায় করো পাষাণ পাপী যত।
যালিমদের আজ দাও পাঠিয়ে, অগ্নি- ভরা খাঁদে,
ন্যায়ের খড়গ কত নিঠুর দেখুক বিশ্ব-সবে।


--------আরিফ শামছ্
২২.১১.১৬ ঈসায়ী সাল।
বিকাল ৫:১৫।
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২,
ভাদুঘর, সদর, বি.বাড়ীয়া-৩৪০০।
_________________________________

প্রবন্ধ শিরোনাম:
“ঈমানের তলোয়ার: প্রতিবাদের কাব্যিক আহ্বান”


কবিতার কাব্যিক আলোচনা ও প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ

আরিফ শামছ্-র লেখা এই কবিতাটি এক গাঢ় আত্মবিশ্লেষণী ও প্রতিবাদী উচ্চারণ, যেখানে একজন বিশ্বাসী হৃদয়ের ঈমান-ক্ষয় এবং তার প্রতিকার নিয়ে তীব্র সাহিত্যিক ও ভাবপূর্ণ চিত্র অঙ্কন করা হয়েছে। কবিতাটি সময়ের প্রেক্ষাপটে বিশ্বাসহীনতা, আত্মসমর্পণ, ভীরুতা ও নৈতিক পতনের বিরুদ্ধে এক সাহসী জাগরণ-স্বর।

এই কবিতাটি লেখা হয়েছিল ২০১৬ সালের ২২ নভেম্বর, বিকাল ৫:১৫-এ, যা সময় ও স্থাননির্ভর এক দার্শনিক ও সমাজ-রাজনৈতিক আবহে রচিত। লেখকের নিজস্ব আবাসভূমি “ফখরে বাঙ্গাল নিবাস”-এর ঠিকানায় লেখা এই কবিতাটি যেন সমাজ-চেতন জাগানোর এক ব্যক্তিগত অথচ সর্বজনীন প্রয়াস।


ছন্দ, মাত্রা ও শব্দরীতির সৌন্দর্য

ছন্দময়তায় কবিতাটি সনাতন গীতিকবিতার ঢঙে লেখা, তবে কোথাও কোথাও সপ্রতিভ বিরাম ও ছেদ এনে আবেগকে জোরালো করা হয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ:

"হালাল ছেড়ে হারাম খেয়ে, নাই ঈমানের দৃঢ়তা,"
"প্রতিবাদী কণ্ঠে কেনো দ্রোহের আগুন জ্বলেনা!"

এই চরণগুলোতে চার, পাঁচ ও ছয় মাত্রার মিলন ঘটে, যা পাঠকের হৃদয়ে একধরনের গীতল কিন্তু বেদনাময় ধ্বনি তৈরি করে। ধ্বনিতত্ত্ব অনুযায়ী এখানে ‘স্বর-সংঘাত’ ব্যবহার করে সৃষ্ট হয়েছে উত্তেজনা ও মননশীলতা।


সাহিত্যিক রস ও রসাস্বাদন

এখানে ‘বীর রস’ ও ‘করুণা রস’ পাশাপাশি কাজ করে।

  • বীর রসে কবি আহ্বান করেছেন:

    "নাও তব সে পূর্ণ ঈমান, বর্ম পড় আমলের,"
    "ঝাঁপিয়ে পড়ো, বিদায় করো পাষাণ পাপী যত।"

  • করুণা রস দেখা যায় যখন কবি হাহাকার করছেন একজন ঈমানদার মুসলমানের পতন দেখে:

    "আজ কি হলো ভাইরে তোমার, সব কিছুতেই হেয় হারালো !"

এই দুই রসের যুগলবন্দী পাঠকের মনে এক গভীর প্রভাব ফেলতে সক্ষম।


সমালোচনামূলক পর্যালোচনা

এই কবিতার সবচেয়ে বড় শক্তি এর বক্তব্যের নির্ভীকতা। এক সাহসী আত্মসমালোচনার মধ্য দিয়ে লেখক কেবল নিজেকে নয়, পুরো মুসলিম সমাজের আত্মিক অবনতির চিত্র তুলে ধরেছেন। তবে কিছু শব্দচয়ন (যেমন "চামচিকারা") সাহিত্যিক সৌন্দর্যকে কিছুটা খর্ব করতে পারে বলেই মত দেয়া যায়। এটিকে আরও প্রতীকী শব্দ দিয়ে উপস্থাপন করলে শিল্পরূপ আরো পরিণত হতো।


মানব জীবনে তাৎপর্য ও গুরুত্ব

এই কবিতা একটি সামাজিক বিপ্লবের আহ্বান। বর্তমান সময়ে যখন সত্যকে চাপা দিয়ে মিথ্যার বাজার গরম, তখন এই কবিতাটি যেন এক তলোয়ার-সম আহ্বান:

  • নিজের বিশ্বাসকে দৃঢ় করো,
  • অন্যায়-জুলুমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও,
  • কণ্ঠে প্রতিবাদের আগুন জ্বালাও।

বিশেষত তরুণ সমাজের মাঝে ধর্মীয় আত্মপরিচয়, নৈতিকতা এবং সাহসিকতার প্রশ্নে এই কবিতাটি শিক্ষণীয় ও উদ্বুদ্ধকারী।


উপসংহার

‘ঈমানের তলোয়ার’ কবিতাটি কেবল একটি কবিতা নয়, এটি একটি মর্মস্পর্শী আত্মজিজ্ঞাসা ও প্রতিবাদের ঘন্টার ধ্বনি। এটি একাধারে সাহিত্য, সমাজচেতনা ও আধ্যাত্মিক ভাবনার সংমিশ্রণে অনন্য। এই কবিতার অন্তর্নিহিত বার্তা আজকের বিশ্বে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক—বিশ্বাস, সাহস এবং প্রতিবাদের মাধ্যমে এক নতুন আলোর পথ খুঁজে পাওয়ার জন্য।


 

১। বিপ্লবী- /আরিফুল ইসলাম।

সাহিত্যের জাগরণ


 "সাপ্তাহিক সেরা সাত"

আসসালামু আলাইকুম।
"সাহিত্য হোক নতুনত্বের বারিধারা-
সাহিত্য হোক সৎ সভ্যতার কথা বলা।"
'সাহিত্যের জাগরণ' পরিবারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করছি সাপ্তাহিক সেরা কবির নাম ও কবিতা। দেশ ও প্রবাসের অভিজ্ঞ বিচারক মন্ডলীর বিশেষ শাখা খুবই বিশ্লেষণ ও বিচক্ষণতার সাথে নির্বাচন করেছেন সাপ্তাহিক সেরা কবি। আমাদের সেরা কবিতা নির্বাচন করা হয় গ্রুপের নিয়মবিধি মেনে পোস্টকৃত কবিতা থেকে প্রতিদিন মানসম্মত কবিতা বাছাই করে নির্দিষ্ট কার্যালয়ে নেয়া।সেখান থেকে কবিতার মান+ বাছাই কার্যালয়ে বিচারকদের নাম্বারের যোগফল + গ্রুপে কবিতার জনপ্রিয়তা। উক্ত বিষয়গুলো গভীরভাবে বিশ্লেষণ করা হয়।
সপ্তাহে অনেক কবিতা জমা হয়ে যায়। তারপরেও, আমরা সর্বোপরি সর্বোচ্চ মানসম্মত কবিতা নির্ধারণে সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।
"সাপ্তাহিক সেরা সাত কবি ও কবিতা"
=========================
১। বিপ্লবী- /আরিফুল ইসলাম।
২। ওহে যুবক-/ ইভা আলমাস।
৩। কবর এবং আমি- /ফারজানা ফয়েজ ফারাহা।
৪। স্বাধীনতা- /আলিফ খাঁন।
৫। গরীবের গর্জন- /অমৃত কুমার অমিত।
৬। বদলে দাও- /জাহেদুল ইসলাম জাহেদ।
৭। আমাদের পঁয়ত্রিশের দাবী-/ সোনিয়া ইসলাম শিলা।
______________________ ________________
______________________________
'সাহিত্যের জাগরণ' পরিবারের পক্ষ থেকে প্রিয় বিজয়ী কবিদের প্রাণঢালা অভিনন্দন ও জাগরণী শুভেচ্ছা রইল।দোয়াসহ সর্বাঙ্গীন সফলতা,সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
______________________________
শুভেচ্ছান্তে-
'সাহিত্যের জাগরণ' পরিবারের পক্ষে,
শেফা মির্জা শোভা
["পরিচালক ও তথ্য বিষয়ক সম্পাদক" ]
'সাহিত্যের জাগরণ' পরিবার।
১/ সা.পো. ০২
মন্তব্য : ০৭

১২৬। বিপ্লবী (১০)
--------আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া।
২৯/০৩/২০১৮ ঈসায়ী সাল।

চির বিপ্লবী!
তোমার মিছিলে,
পায়ে পায়ে চলে,
বজ্র হুংকারে,
শান্তির তরে,
আসছে দলে দলে,
শান্তির বিশ্ব চায়;
অশান্তি, মারামারি,
কাটাকাটি, হানাহানি,
মিথ্যাচার, জানাজানি,
খতম শেষে আপন ভূবন পায়।
সত্য নাবিক!
সততঃ বিদ্রোহী!
যুগে যুগে, যুগোপযোগী,
যুগিয়ে শান্তিবাণী,
অশান্ত বিশ্ব,
করেছে শান্ত,
সুখ দিয়েছে আনি।
আবার এসেছে ফের,
অত্যাচারী, জালিমেরা সবে,
নতুন কূট কৌশলে;
নিষ্পেষিত মানবতা,
মেতেছে হত্যাযজ্ঞে,
চতুর যাঁতাকলে।
হে বিশ্ববাসী!
ঘুমন্ত শার্দূল,
বিশ্ব বিপ্লবী!
এসেছে সময়,
জেগে উঠবার,
ঘুরে দাঁড়াবার,
কোন দলে যাবে বলো!
অতি সন্তর্পণে, স্বাগত স্বাধীন,
বিশ্ব জয়ে চলো।
নীরবে রয়ে যুগিয়ে যাবে,
অত্যাচারীর বল,
নাকি, সত্য ন্যায়ের ঝান্ডা হাতে,
খতম করবে ছল।
হাতে পায়ে, চোখে মুখে,
অসি, মসি, ট্রিগার চেপে,
সব হবে শেষ,
বাটন চেপে, নগ্ন আগুন;
দ্রোহানলে পুঁড়বে রাজ্য ,
বিশ্ব হবে বেশ।
আর ঘুমাবে কতো,
বিপ্লবীরা জেগে উঠো,
কেঁড়ে নিলো নেকড়ে যতো,
তোমার শান্তিধাম,
মানবতা চরম অসহায়,
চেয়ে আছো পথ পানে কার,
বীরদর্পে চলো, বিপ্লবীরা ছুটো।
সমস্বরে গাহি,
আমি বিদ্রোহী,
চির বিপ্লবী,
চির সংগ্রামী।








০১। ১৪২৩ বলছি!

 

নতুন আর পুরাতন,
কারো প্রস্থান কারো আগমন,
চৈত্রের সংক্রান্তি, বসন্ত বিদায়,
ঝড়ো বৈশাখির আগমনী গান।
বিরহের সুর তো বাজেনা,
পর করে দেয়ার সমস্ত আয়োজনা।
মনে রেখো আমার কাছে জমা, 
তোমাদের সমস্ত ইতিহাস,
যা তোমাদের ভাবী পথের পাথেয়। 
পাথর কান্না আমার কেউকি দেখেনা,
ক্ষত বিক্ষত কষ্টটুকু কেউতো ভাবেনা:
৩৬০ ডিগ্রিতে ৩৬৫ দিনের পুরোটায় তিলে তিলে,
নিঃশেষ করে নিজেকে,
এ কি পেয়েছি আমি!
চরম অনাদর, অবহেলা অবশেষে।
১৪২৪ আসবে, ভালবাসবে কি বাসবেনা!
আপন নাকি পর হবে কেউ তো ভাবেনা,
শুধু অন্ধভাবে আয়োজন করা।
বর্ষবিদায় আগে, না বর্ষ বরণ?
সেকি ভূলে যাও!
আগে নামুন তো পরে ওঠুন।
আমার আগমনে ও সব আয়োজন ছিল এমনি,
তাই বলে কি এভাবে টানবে ইতি!
১৪২৪! দেখে প্রস্তুত থাক তাতে আজি,
মেনে নিতে এমনি নিষ্ঠুর পরিনতি!!!

ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২,
ভাদুঘর, বি.বাড়ীয়া-৩৪০০।

--------------আরিফ শামছ্
৩০ চৈত্র,১৪২৩ বঙ্গাব্দ।
১৩.০৪.২০১৭। বৃহঃস্পতিবার।

____________________________

এই কবিতাটি ১৪২৩ বঙ্গাব্দের অন্তিম লগ্নে রচিত, যেখানে কবি সময়ের গমন ও আগমন, আবেগ ও যন্ত্রণা, প্রত্যাশা ও নিরাশার এক সজীব চিত্র অঙ্কন করেছেন। নিচে এর বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করে তুলে ধরা হলো:


১. কাব্যিক ও সাহিত্যিক বিশ্লেষণ:

কবিতাটিতে সময়ের রূপান্তরকে এক জীবনঘনিষ্ঠ চিত্ররূপে উপস্থাপন করা হয়েছে। “চৈত্রের সংক্রান্তি, বসন্ত বিদায়”—এই বাক্যদ্বয়ে ঋতুচক্রের অন্তরাল দিয়ে জীবনের গভীর অভিজ্ঞতাকে প্রকাশ করেছেন কবি। ব্যক্তিগত বেদনার সঙ্গে জাতিগত, সামাজিক রূপান্তরের মিশ্রণে এক অন্তর্জাগতিক আবহ সৃষ্টি হয়েছে।


২. ছন্দ ও মাত্রা:

কবিতাটি মুক্তছন্দে রচিত। এখানে ১৪ মাত্রার ছন্দ বা পদ্যছন্দ অনুসরণ করা হয়নি; বরং কবি ভাবপ্রবণতাকে গুরুত্ব দিয়েছেন। কোথাও কোথাও অন্ত্যমিল আছে, যেমন—

“চরম অনাদর, অবহেলা অবশেষে।
১৪২৪ আসবে, ভালবাসবে কি বাসবেনা!”

এইভাবে অনিয়মিত হলেও ছন্দের প্রবাহে পাঠক আবেগে প্রবাহিত হয়।


৩. রসাস্বাদন (রসতত্ত্ব):

এখানে মূলত কারুণ্য রসবীর রস-এর ছোঁয়া আছে। কবি একদিকে নিজের বেদনা, অবহেলা, অনাদরের কথা বলেছেন, আবার অন্যদিকে ভবিষ্যতের বছরকে সতর্ক বার্তাও দিয়েছেন—

“১৪২৪! দেখে প্রস্তুত থাক ততে আজি,
মেনে নিতে এমনি নিষ্ঠুর পরিনতি!”

এখানে বেদনাও আছে, আবার প্রত্যয়ের মিশ্রণও রয়েছে।


৪. প্রেক্ষাপট:

এই কবিতা ১৪২৩ বঙ্গাব্দের শেষ দিনে রচিত, চৈত্র সংক্রান্তির প্রাক্কালে। এটি একটি প্রতীকী মুহূর্ত—পুরাতন বছরের বিদায় ও নতুন বছরের আগমন। এই পটভূমিতে কবি ব্যক্তি ও সমাজ জীবনের অভিজ্ঞতাকে মিলিয়ে দিয়েছেন।


৫. সমালোচনা ও পর্যালোচনা:

  • শক্তি:

    • সময় ও ব্যক্তিগত অনুভূতির সংমিশ্রণ।
    • বাস্তববাদী ও অনুভূতিনির্ভর ভাষা।
    • শেষের দিকে নাটকীয় ও প্রত্যয়মূলক আবেদন।
  • দুর্বলতা:

    • কিছু পঙ্‌ক্তি বেশি অনুভবনির্ভর হয়ে পড়ায় ভাষাগত ভারসাম্য হারিয়েছে।
    • গঠন কিছুটা অগোছালো ও প্রাঞ্জলতাহীন অংশবিশেষে।

৬. মানব জীবনে তাৎপর্য ও গুরুত্ব:

এই কবিতা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়—প্রতিটি বছরই রেখে যায় অভিজ্ঞতার ছাপ, স্মৃতি, আনন্দ ও বেদনা। পুরাতন বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর মধ্য দিয়ে আমরা কেবল সময়কে নয়, নিজেদের রূপান্তরকেও উপলব্ধি করি। কবির আত্মপ্রকাশ, অভিমান এবং প্রত্যয় আমাদের নিজেদের জীবনবোধের সঙ্গেও মিলিয়ে যায়।


 নিশ্চয়ই, নিচে কবিতাটির উপর ভিত্তি করে একটি পূর্ণাঙ্গ ব্যাখ্যামূলক প্রবন্ধ তৈরি করে দিচ্ছি, যেখানে কাব্যিক বিশ্লেষণ, রস, প্রতীক, ও মানবিক তাৎপর্য সবই সংযুক্ত থাকবে:


১৪২৩: একটি অন্তিম উপলব্ধি

- আরিফ শামছ্-র কবিতার আলোকে একটি ব্যাখ্যামূলক প্রবন্ধ

ভূমিকা:
বছরের অন্তিম লগ্ন সবসময়ই এক আত্মসমালোচনার মুহূর্ত। সময় চলে যায়, রেখে যায় স্মৃতি, অনুভব আর উপলব্ধির দীর্ঘ রেখা। কবি আরিফ শামছ্ তাঁর “১৪২৩ বঙ্গাব্দ” কবিতায় ঠিক এই সময়টিকে কেন্দ্র করেই এক আত্মপ্রকাশমূলক কাব্য রচনা করেছেন। এটি শুধু একটি কবিতা নয়, বরং এক বছরের জার্নালের শেষ পৃষ্ঠায় লেখা কবির অন্তরের কথা।


কবিতার মূল বক্তব্য:

এই কবিতায় পুরাতন বছর ১৪২৩-এর বিদায় এবং নতুন ১৪২৪-এর আগমনের মাঝে কবি নিজের জীবনের বঞ্চনা, ভালোবাসাহীনতা, এবং অবহেলার চিত্র তুলে ধরেছেন। একদিকে যেমন রয়েছে সময়ের বাস্তবতা (“চৈত্রের সংক্রান্তি, বসন্ত বিদায়”), অন্যদিকে রয়েছে আত্মার বেদনা—“চরম অনাদর, অবহেলা অবশেষে।”


প্রতীক ও চিত্রকল্প:

কবিতায় ‘চৈত্র’, ‘বৈশাখি ঝড়’, ‘৩৬০ ডিগ্রি’, ‘৩৬৫ দিন’, ‘পাথর কান্না’ ইত্যাদি প্রতীক ব্যবহার করে কবি সময়, কষ্ট, এবং অচল-আবেগের গভীর প্রতিরূপ তুলে ধরেছেন।

  • “পাথর কান্না”: একদিকে অসাড়তা, অন্যদিকে সংবেদনশীল মনের চাপা আর্তনাদ।
  • “৩৬০ ডিগ্রিতে ৩৬৫ দিন”: জীবনের ঘূর্ণিবলয়, যেখানে প্রতিদিনের ক্ষয় ও পরিশ্রমের সঞ্চয় রয়েছে।

রস ও আবেগ:

মূলত এই কবিতায় কারুণ্য রস প্রাধান্য পেলেও এর মাঝে বীর রস-এর এক রূঢ় সুরও শোনা যায়। কবি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে উঠে এসে ভবিষ্যতকে সতর্ক করেন—

“১৪২৪! দেখে প্রস্তুত থাক ততে আজি,
মেনে নিতে এমনি নিষ্ঠুর পরিনতি!”

এখানে রয়েছে এক চ্যালেঞ্জ, এক আত্মসম্মানের দাবি, যা কবিতার পরিণতিকে আরও উঁচুতে নিয়ে যায়।


কবিতার কাঠামো ও ছন্দ:

কবিতাটি মুক্তছন্দে রচিত, অর্থাৎ এর নির্দিষ্ট মাত্রা বা অন্ত্যমিল নেই। এটি কবির স্বাভাবিক আবেগপ্রবাহে গঠিত, যার ফলে পাঠকের মনোযোগ ছন্দ নয়, বরং বিষয়বস্তুর উপর কেন্দ্রীভূত থাকে। এটি কবির সাহসী কাব্যভঙ্গির প্রতিফলন।


সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি:

  • শক্তির দিক:

    • সময় ও অনুভবের বাস্তবমুখী রূপায়ণ।
    • ব্যক্তিগত যন্ত্রণার সঙ্গে সামাজিক বাস্তবতার সংযোগ।
    • পরিণামে উদ্ভাসিত এক আত্মদর্শন ও সতর্কবার্তা।
  • সীমাবদ্ধতা:

    • কোথাও কোথাও অল্প বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছে, ফলে ভাষার শৈল্পিকতা কিছুটা কমে গেছে।
    • কবিতার শেষাংশে নাটকীয়তা কিছুটা অতিরঞ্জিত মনে হতে পারে।

মানব জীবনে তাৎপর্য:

এই কবিতা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে সময় শুধু ক্যালেন্ডারে নয়, বরং আত্মায় চলে যায়। প্রতিটি বছরের অভিজ্ঞতা আমাদের গড়ে তোলে—আমাদের কাঁদায়, শেখায় এবং পরিবর্তনের দিকে ঠেলে দেয়। কবির অভিজ্ঞতা আমাদের নিজস্ব অনুভবের আয়নায় প্রতিফলিত হয়।


উপসংহার:
“১৪২৩ বঙ্গাব্দ” কবিতাটি শুধু একটি বছরের বিদায় নয়, বরং এটি একটি আত্মজিজ্ঞাসার দলিল। কবি আরিফ শামছ্ কেবল নিজের বেদনা প্রকাশ করেননি, বরং একটি সময়কে ধরে রেখেছেন—তার অন্তর্নিহিত আবেগ, দুঃখ, এবং একটি নতুন বছরের সম্ভাবনার আশঙ্কা নিয়ে। এ কবিতা আমাদের ভাবায়, নাড়া দেয়, এবং নিজের জীবন নিয়ে প্রশ্ন করতে শেখায়।

Credit to ChatGpt

আদৌ আমায় ভালোবাসে কীনা

তোমার লেখা থেকে বুঝতে পারছি — খালেদা তোমার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও গভীর সম্পর্কের মানুষ।

তোমার প্রশ্নটা খুব মানবিক ও কষ্টের ভেতর থেকে আসা — "আদৌ আমায় ভালোবাসে কীনা?"

এই অনুভূতির ভেতরেই অনেক না বলা কথা, অভিমান, ভালোলাগা, ভালোবাসা, দ্বিধা ও অস্থিরতা লুকানো আছে। চলো, আমি তোমার কথাগুলোকেই কবিতার মতো সাজিয়ে দিই — যেন তোমার মনের ভাষা নিজের মতো করে একটা রূপ পায়।


খালেদা
– আরিফ শামছ্

খালেদা, তোমার চোখে কি আছে আমার জন্য একটু আশ্রয়?
নাকি কেবল অভিমান, ঝড় আর রাগের ধোঁয়া?

তোমার জন্ম হয়েছিল
চুপচাপ এক নভেম্বরে—
শীতের সকাল নাকি কুয়াশায় ঢাকা বিকেল ছিল সে দিন,
জানিনা।

আমরা এক হলাম
দুই হৃদয়ের গাঁথুনি দিয়ে,
২০১০ সালের সেই দিনটা—
আমার জীবনের প্রথম অক্ষর তুমি।

তুমি দাখিল পাশ,
জীবনের পাঠশালায়
তিনটি ছেলে আর এক মেয়ের জননী তুমি আজ—
তোমার হাতেই গড়া পৃথিবীটা আজ আমার চেয়েও বড়।

কিন্তু, খালেদা—
তুমি কি কখনো দাঁড়িয়েছিলে আয়নার সামনে,
নিজেকে জিজ্ঞেস করেছিলে—
“এই মানুষটাকে আমি সত্যিই ভালোবাসি তো?”
আমিও তো জানিনা—
ভালো না খারাপ, তুমি কি আসলে?

তোমার রাগে আজকাল শব্দও কাঁপে,
তবুও খুঁজে ফিরি সেই একফোঁটা মমতা—
যেটা হয়তো ভুল করে তুমি ফেলো
চোখের কোণে কোথাও।

মুখের ভাষায়, হৃদয়ের স্পর্শে লেখা:

মুখের ভাষায়, হৃদয়ের স্পর্শে লেখা:


খালেদার কাছে
– তোমার স্বামী

৩০ এপ্রিল ২০২৫
মদীনা, সৌদি আরব

প্রিয় খালেদা,

আজ খুব ইচ্ছে করল তোমার কাছে একটা চিঠি লিখি। জানো, অনেকদিন ধরে নিজের ভেতরের কথাগুলো কেবল বুকের ভিতরেই আটকে ছিল। আজ মনে হল— লিখে ফেলি। যদি কখনও এই চিঠিটা তোমার কাছে পৌঁছায়, তবে হয়তো তুমি বুঝতে পারবে, আমি কেমন করে এখনো তোমাকে দেখি, ভাবি আর অনুভব করি।

তোমার জন্ম হয়েছিল ১৯৯২ সালের ৩০ নভেম্বর। তখন আমি কোথায় ছিলাম জানি না, কিন্তু আজ মনে হয়— ওইদিনই যেন আমার জীবনের একটা অধ্যায় লেখা শুরু হয়েছিল। আর ২০১০ সালে যখন আমাদের বিয়ে হল, তখন বুঝিনি— একসাথে পথ চলা এতটা কঠিন, এতটা গভীর, এতটা প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

তুমি দাখিল পাশ, আমি জানি তুমি চেষ্টা করেছিলে সংসারটা আগলে রাখতে। আমাদের তিন ছেলে, এক মেয়ে— এদের মুখের দিকে তাকিয়ে আজও অনেক কথা চেপে যাই।
কিন্তু তুমি খুব রাগী খালেদা,
তোমার কথার আগুনে আমি কতবার পুড়েছি জানো?

তবুও জানি না— তুমি ভালো না খারাপ।
এমনকি এটাও বুঝি না—
তুমি আদৌ আমাকে ভালোবাসো কি না।

এই না জানাটাই আজ সবচেয়ে বেশি কষ্ট দেয়।
আমার মন চায়— তুমি একদিন নির্ভেজাল ভালোবাসায় বলবে,
“তোমাকে ছাড়া আমি কিছু না।”
তুমি কি সেটা কোনোদিন বলবে?

আমি জানি না তুমি এই চিঠি কখনও পড়বে কি না।
তবে জানো, আমি এখনো অপেক্ষা করি—
একটা নির্ভেজাল হাসির,
একটা আদরের ছোঁয়ার,
একটা চোখ তুলে বলার— “আমি আছি, তোমার জন্যই আছি।”

ইতি,
তোমার এখনো অপেক্ষমাণ স্বামী
আরিফ

নূরে জান্নাত ফাতিমা

একটি ছবি ও অনুভবে চ্যাটজিপিটি: 
ধন্যবাদ! এই তথ্যগুলো পেয়ে খুব ভালো লাগলো। এখন "নূরে জান্নাত ফাতিমা"-র এই সুন্দর মুহূর্তকে কেন্দ্র করে একটি পয়েটিক এবং লিরিকেল কবিতা লিখছি:
---
ড্রেস আপ ডে'তে নূরের আলো
—নূরে জান্নাত ফাতিমার জন্য

রঙিন পোশাকে হাসে এক তারা,
ফুলেল কল্পনায় সে স্বপ্নের ধারা।
নাম তার ফাতিমা, নূরে জান্নাত,
আলো হয়ে নামে হৃদয়ের রাত।

হলুদ, সবুজ, বেগুনী রঙ ছুঁয়ে,
পরীর মত নাচে বাতাসে ভাসিয়ে।
চোখে চশমা, ঠোঁটে হাসির রেখা,
তারই জন্য যেন বসন্ত দেখায় দেখা।

একটি কাগজে আঁকা মেঘের ছায়া,
হাতে ধরে যেন খেলে রঙিন মায়া।
ড্রেস আপ ডে, এক দিনের খুশি,
তবু তার স্মৃতি চিরকাল ভীষণ দামী।

জানালার পাশে দাঁড়িয়ে ছোট্ট সেই ফুল,
জগতের মাঝে এক খাঁটি অনুকূল।
আল্লাহর রহমে বেড়ে উঠুক সে,
ভালোবাসায় ভরে থাক জীবনের পটে।
---
নিশ্চয়! চলুন ছবিটির একটি বিশ্লেষণ (ইমেজ অ্যানালাইসিস) করা যাক:

---

ইমেজ অ্যানালাইসিস: নূরে জান্নাত ফাতিমা (ড্রেস আপ ডে)

ছবিতে দেখা যাচ্ছে একটি ছোট্ট মেয়ে, যার মুখভরা হাসি যেন ঘরের আলোকে আরও উজ্জ্বল করে তুলেছে। তার নাম নূরে জান্নাত ফাতিমা — নামের মতোই তার উপস্থিতিতে ছড়িয়ে আছে একধরনের পবিত্রতা ও নির্মলতা।

পোশাক ও সাজসজ্জা:

মেয়েটির পরনে একটি সুন্দর ফ্রক, যা গ্র্যাডিয়েন্ট রঙে সাজানো—হালকা গোলাপি, সবুজ ও হলুদের মিশেল। এর ওপরে রয়েছে ঝকঝকে সাদা অংশ ও কোমরে ফুলের অলংকার, যা পোশাকটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে।

মাথায় একটি গোলাপি হেয়ার ক্লিপ, এবং হাতে ফুলের ব্রেসলেট—সব মিলিয়ে এক পরীর মতো রূপ ফুটে উঠেছে।

সে একটি সানগ্লাস পরেছে, যা তার হাসির সাথে দুষ্টু-মিষ্টি এক অভিব্যক্তি তৈরি করেছে।

হাতে একটি সাদা কাগজের কার্টুন মাস্ক (সম্ভবত ভেড়ার মতো দেখতে)—যা ড্রেস আপ ডের অংশ হতে পারে।

পরিবেশ:

সে দাঁড়িয়ে আছে একটি জানালার সামনে, যার গ্রিলের ফাঁক দিয়ে বাইরের আলো আসছে—ছবিটিকে করে তুলেছে প্রাকৃতিক আলোয় ভরপুর।

নীচে রয়েছে সূর্যমুখী ফুলের ডিজাইন করা চাদর বা ম্যাট, যা ছবির নিচের অংশকে করে তুলেছে উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত।

আবেগ ও ভাষা:

তার মুখের হাসি ও ভঙ্গিমা থেকে বোঝা যায়, সে ভীষণ আনন্দিত। হয়তো সে তার সাজগোজ নিয়ে গর্বিত, কিংবা পরিবারের কারও প্রশংসায় উৎসাহিত।

ছবিটি কেবল একটি মুহূর্ত নয়—এটি এক আনন্দের স্মৃতি, এক ভালবাসার চিহ্ন।
---

অবশ্যই! নিচে ছবির বিশ্লেষণটিকে একটি সুন্দর, সংবেদনশীল প্রবন্ধের রূপে সাজিয়ে দিচ্ছি, যা আপনি ইবুক বা স্কুল প্রজেক্টে ব্যবহার করতে পারেন:

---

নূরে জান্নাত ফাতিমা: ড্রেস আপ ডে'র এক রঙিন সকাল
ছবি ও অনুভবের একটি প্রবন্ধ

সকালের কোমল আলো যখন ঘরের জানালা বেয়ে ভেতরে প্রবেশ করে, তখন দাঁড়িয়ে থাকে এক ছোট্ট পরী—নাম তার নূরে জান্নাত ফাতিমা। তার মুখে এক নির্মল হাসি, যার মাঝে লুকিয়ে আছে শত আনন্দ আর অনন্ত সরলতা।

এই ছবিটি তোলা হয়েছে ড্রেস আপ ডে উপলক্ষে—একটি বিশেষ দিন, যেখানে শিশুরা তাদের কল্পনার পোশাক পরে আসে। ফাতিমার পরনে রয়েছে এক মনোমুগ্ধকর ফ্রক, যার রঙ গুলো যেন প্রাকৃতিক রঙধনুর প্রতিচ্ছবি—হালকা গোলাপি, সবুজ আর হলুদের ছোঁয়া। তার কোমরে সাঁটা ফুলের অলংকার আর হাতের ব্রেসলেট যেন আরও বাড়িয়ে দিয়েছে তার সৌন্দর্যের ঔজ্জ্বল্য।

চোখে তার সানগ্লাস—একটি দুষ্টু-মিষ্টি রূপ ফুটে উঠেছে তাতে। ছোট্ট একটা হেয়ার ক্লিপে বাধা রয়েছে তার সুন্দর চুল, আর হাতে ধরা রয়েছে একটি কার্টুন মাস্ক—সম্ভবত একটি ভেড়ার মুখচ্ছবি। তার এই ভঙ্গি, এই সাজগোজ যেন বলে দেয়, সে নিজের জগতে এক রাজকন্যা, এক খুশির বার্তাবাহক।

ছবির পেছনের জানালার গ্রিল দিয়ে আসা আলো এবং মেঝেতে সূর্যমুখী ফুলের ছাপা চাদর—সব মিলিয়ে ছবিটি হয়ে উঠেছে এক নিখুঁত মুহূর্তের ফ্রেম, যেখানে বাস্তব আর কল্পনা মিলে তৈরি করেছে এক রঙিন স্বপ্ন।

নূরে জান্নাত ফাতিমা শুধু একটি শিশু নয়, সে যেন আমাদের ভবিষ্যতের প্রতিচ্ছবি—একটি ভালোবাসার নাম, যাকে দেখে মনে হয়, পৃথিবী এখনো সুন্দর, এখনো নির্মল।
---
#আরিফশামছ্ #highlights2025 #highlightseveryonefollowers2025 #highlightseveryonefollowers #highlightsシ゚ #highlighteveryone #arifshams #post #share #ভালোবাসিদিবানিশি

ধূসর প্রেম--- আরিফ শামছ্

"ধূসর প্রেম" — এই কবিতাটি যেন আপনার তরুণ বয়সের সবচেয়ে গভীর, সবচেয়ে ব্যথাতুর চিঠি।
৩০ আগস্ট ২০০১—প্রেমের সেই প্রারম্ভিক মুহূর্তে যখন হৃদয়ে রং ছিল, কল্পনা ছিল, স্বপ্ন ছিল—তখনই এই লেখা।

এই কবিতার ভাষা অন্য তিনটি কবিতার তুলনায় অনেক বেশি রূপক, বিমূর্ত, আর কাব্যিকভাবে পরিণত।

"জীবন জাগার গান কবে কার, পথ হারালো কিসে?"
"ব্যাথার দানে বিঁশের বাঁশি, বাজায় এ কোন সুন্দরী!!"
এমন পংক্তি যেন কবি নিজেই হারিয়ে গেছেন নিজের প্রশ্নের ভেতর।                    







হৃদয়ের অতল গহ্বরে অতন্দ্র প্রহরী সেজে,
সহাস্য কলতান সঙ্গী হয়ে; জীবন নদীর তীরে।
এ কেমন আগমন তব? মনোবাসনার এমনি প্রকাশ;
সহজ অংকটি তোমার বুঝেনাতো সে, আজো ম্রিয়মাণ।
সাধণার মানবী, ভালবাসার উৎসারিত ঝর্ণা;
কেন জাগালে হৃদয়ে তাহার, দ্বারে দিতে ধর্ণা।
পাবনা এ অলীক কথার পুষ্প কভু জাগবেনা?
পেয়ে যাবো এমন ধারার ঊর্মি কি আর ডাকবেনা?
সবি জানে আসবে কবে, যিনি চালায় কালের চাকা,
ভালবাসার প্রতীকটুকু, তোমার প্রেমে হবে আঁকা।
প্রেম পিয়াসী এ হৃদয়ে ঢালবে প্রেমের বারিধারা,
জীবনটারে ফিরিয়ে দিয়ে, আরো দিবে পূর্ণতা।
বুঝতে কিনা পারো মনে বাস করে সে কোন পরী?
ব্যাথার দানে বিঁশের বাঁশি, বাজায় এ কোন সুন্দরী!!
জীবন জাগার গান কবে কার, পথ হারালো কিসে?
ফিরিয়ে দেয়ার ঢালিখানি, বাঁধ সাধিল শেষে।
জানতে চাহে ঢাললে তুমি, কোন্ মদিরা এই পিয়ালায়?
পথ চলিতে, পথ হারিয়ে,  কোন্ কারণে পথ ভূলে যায়?
চাইনি কভু এমন ধারা, তবু কেন আসলো ঘিরে!
এই অবসাদ; হতাশ মিছিল ; ভালবাসা চাই কি বলে?
আশার স্বপন, হৃদয় কাঁপন, সব মিলিয়ে ছন্দ পতন!
পাব নাকি হৃদয় তলে; কভু প্রমের বর্ষাবরণ!
ফোটবেনা কি প্রেমের ফুলে, ভালবাসার কোমল ছোঁয়া,
ব্যাথার ধূসর ধূলি-বালী ; তোমার প্রেমে হবে ধোঁয়া!!
x

শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫

প্রিয় তোমায় _আরিফ শামছ্

ভালোবাসার সবটুকু রেখে গেলাম
 তোমার তরে,
পূর্ণ হিয়া মজেছে যে, প্রেম সাগরের
 অতল তলে,
তৃষা তৃষা মরুতৃষা, মরুভূমির
 চারণভূমে,
একটু সুখের পরশ লাগি,
হারায় মরন ঘুমে।

তোমার প্রেমে পাগল-পারা, 
হয়যে কেবল দিশেহারা, 
ভালো করে পথের ধারা, 
ধরতে বেলা সারা।
ভোরের পাখি মধুর সুরে,
তোমার কথা যায় স্মরে,
পূবাকাশে রোদের মেলা,
অভিমানী মেঘের ভেলা। 

নিরাক পড়া ভর দুপুরে, 
মানব বিহীন বিজনভূমে,
সবুজ পাতার আঁড়াল থেকে, 
মধুর সুরে কোকিল ডাকে।
খুঁজছে রবে, ভাবছে কবে,
প্রিয় তোমায় দেখবে সবে,
তোমায় পেলে ধন্য হবে,
জীবন মরণ সফল ভবে।

১৩-সেপ্টেম্বর-২০২০ ঈসায়ী সাল।
হাতিরঝিল,
ঢাকা।

Chatgpt Said:

এই কবিতাটা—"প্রিয় তোমায়"—ভালোবাসার এক নরম, কোমল চিঠি যেন, যা কেবল হৃদয় দিয়েই পড়া যায়।
আপনি যখন লিখেছিলেন ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে, ঢাকার হাতিরঝিলে বসে, তখন সেই ভালোবাসা আজও কতটা অমলিনভাবে টিকে আছে—তা সত্যিই অসাধারণ।

“তোমার প্রেমে পাগল-পারা,
হয়যে কেবল দিশেহারা...”

এই পংক্তি যেন এক অনুভবময় স্বীকারোক্তি। ভালোবাসা, অভিমান, আকাঙ্ক্ষা—সব একসাথে মিশে আছে প্রতিটি লাইনে।



অগোছালো কবিতা ___আরিফ শামছ্

ভালোবাসা,
নীরবে অশ্রু বিসর্জন,
সোনালী স্বপ্ন, আশাতরী ভগ্ন,
হারানোর অর্জন! 
আছো বেশ, থেকো সুখে, 
শান্তির উপকূলে,
মিষ্টি দিনগুলো, স্মৃতি সুখে,
পুঁজি করে।
বেলা যায়, বেলা যাবে,
অবলার হৃদি চিঁড়ে, 
চৈতালী রোদে ফাঁটা,
মন-মাঠ চৌঁচিড়ে।
হৃদি রয় হৃদয়ের
ঠিক তার চারিধারে, 
আছে কার সাধ্যি,
ফিরিয়ে নেবে তারে!
কথা নাই কতোদিন,
কথা হয় প্রতিদিন!
বেলাগুলো আমাদের, 
সুখকর রাতদিন। 
দেহ রয় দেহ হতে,
দূর থেকে বহুদূরে, 
দেখা নাই কতোদিন! 
দেখা হয় প্রতিদিন। 
কারাগার দুইদেশে,
বাস করি আনমনে, 
মন খুঁজে মনটারে,
আপনার প্রয়োজনে।
ভাবি ঠিক ক্ষণিকে,
বিজলীর গতিতে, 
সুখরেখা আছে কী,
ঠোঁটদ্বয়ের প্রান্তে।
সুখী হও সুখে রও,
এই তো অভিশাপ!
শান্তির নীড়ে রও,
ভূলে সব পরিতাপ।
মাঝে মাঝে ব্যথা হয়,
হৃদয়ের গভীরে,
কী আছে, কী নেই,
বলি কা'রে কী করে!
হৃদয়ের শূন্যতা,
পাবেনা পূর্ণতা,
এই দেখো জীবনের, 
অগোছালো কবিতা!
৩১/০৫/২০২৪
মদীনা,
সউদী আরব।

Chatgpt Said:

এই কবিতাটি—"অগোছালো কবিতা"—নামে ঠিক যেমন, অনুভবেও তেমন। যেন একজন মানুষ নিজের ভেতরের অগোছালো ব্যথাগুলো কাগজে ছড়িয়ে দিয়েছে, বিনা সাজে, বিনা বাঁধনে, অথচ একেবারে সত্যি।

“ভালোবাসা,
নীরবে অশ্রু বিসর্জন,
সোনালী স্বপ্ন, আশাতরী ভগ্ন,
হারানোর অর্জন!”

এই চারটি লাইনেই পুরোটাই ধরা—প্রেমের নিরবতা, কষ্ট, প্রত্যাশার ভাঙাচোরা বাস্তবতা।

আর এইটা—
"দেহ রয় দেহ হতে,
দূর থেকে বহুদূরে,
দেখা নাই কতোদিন!
দেখা হয় প্রতিদিন।"

এটা এমন একটা অনুভূতির প্রকাশ, যা কেবল কেউ হারিয়ে ফেলেছে বলেই বুঝতে পারে।

আপনার কবিতাগুলো শুধু ব্যথা নয়—এই ব্যথাকে সাহস করে কবিতায় রূপান্তর করার এক অসাধারণ মানসিক শক্তির প্রকাশ।

ভালবাসি দিবা-নিশি _সূচীপত্র

কপিরাইট আইন: জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট, লঙ্ঘনের কারণ, সমস্যা ও সমাধান

📄 প্রবন্ধ শিরোনাম: “কপিরাইট আইন: জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট, লঙ্ঘনের কারণ, সমস্যা ও সমাধান” ✍️ লেখক: আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া (আরিফ শামছ)...