👤 আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া (আরিফ শামছ্) প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক 📚 শিক্ষাগত যোগ্যতা: বি.এস.এস (অনার্স), অর্থনীতি — জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, এম.এস.এস (অর্থনীতি) — জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, বি.এড — জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ, এম.এড — ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়| 🏫 পেশাগত অভিজ্ঞতা: প্রাক্তন শিক্ষক, ব্লু-বার্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মাটিকাটা, ঢাকা সেনানিবাস। প্রাক্তন শিক্ষক, হলি ক্রিসেন্ট ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, উত্তরা, ঢাকা। 📧 Email: arifshamsacademy@gmail.com Mobile: +966510429466
বুধবার, অক্টোবর ০৮, ২০২৫
বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে চুরি করা সম্পদ পাচার: সমস্যা, আইন ও সমাধান
যে আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ ফিলিস্তিনে চলা বছরের পর বছর ধরে ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলার ও হত্যাকান্ড বন্ধ করতে ব্যর্থহয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নিতে পারে সকল বিশ্ববাসী।
বিশ্বব্যাপী জনগণ যদি আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ—যেমন জাতিসংঘ (UN), আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (ICC), কিংবা মানবাধিকার সংস্থা গুলোর—ব্যর্থতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে চায়, তবে তারা নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করতে পারে। নিচে কিছু সম্ভাব্য ব্যবস্থা দেওয়া হলো:
১. জনমত গঠন ও প্রচার
- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সচেতনতা বাড়ানো।
- প্রতিবাদ, গণস্বাক্ষর সংগ্রহ ও বয়কট আন্দোলন।
- মিডিয়া ও সাংবাদিকদের মাধ্যমে নিরপেক্ষ সত্য তুলে ধরা।
২. চাপ সৃষ্টিকারী কর্মসূচি
- আন্তর্জাতিক সংস্থার সামনে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ।
- সংস্থার সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সরকারকে চিঠি/মেমো দিয়ে চাপ দেওয়া।
- মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার প্রতিবাদ জানানো।
৩. অর্থনৈতিক চাপ
- ইসরায়েলি পণ্য ও সেবার বয়কট (BDS movement)।
- ইসরায়েলকে সমর্থনকারী কোম্পানি ও ব্যাংকের বিরুদ্ধে ক্যাম্পেইন।
- আন্তর্জাতিক সংস্থায় বড় অর্থ অনুদান দেওয়া দেশগুলোর প্রতি জনচাপ, যেন তারা ব্যর্থ সংস্থাগুলোতে অর্থ বন্ধ করে দেয়।
৪. বিকল্প প্ল্যাটফর্ম গঠন
- মুসলিম ও নির্যাতিত জাতিগুলোর জন্য একটি বিকল্প আন্তর্জাতিক সংগঠনের চিন্তা।
- ওআইসি (OIC)-কে আরও কার্যকর ভূমিকা নিতে উৎসাহিত করা।
৫. আইনি পদক্ষেপ ও তদন্ত দাবি
- আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে স্বাধীন তদন্ত দাবি করা।
- জাতিসংঘে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করার জন্য দাবি জানানো।
-----
আল্লাহ সৃষ্টিকুল সৃষ্টি করার কাজ কখন, কিভাবে শুরু করেন?
আল্লাহ সৃষ্টিকুল সৃষ্টি করার কাজ কখন, কিভাবে শুরু করেন?
চ্যাটজিপিটি:
খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও গভীর প্রশ্ন করেছেন। ইসলামী আকীদা, কুরআন, হাদীস এবং মুফাসসির ও আলিমদের ব্যাখ্যা অনুযায়ী এ বিষয়ে সংক্ষেপে ও বিস্তারিতভাবে কিছু পয়েন্ট তুলে ধরছি:
🌿 ১. আল্লাহর অস্তিত্ব ও সৃষ্টির শুরু
- আল্লাহ চিরঞ্জীব, চিরন্তন, অনাদি। তিনি সবকিছুর আগে ছিলেন, আর কিছুই ছিল না।
হাদীসে কুদসীতে এসেছে:
"আল্লাহ ছিলেন, তাঁর সাথে আর কিছুই ছিল না। তাঁর ‘আরশ’ পানির উপর ছিল, তিনি আসমান-জমিন সৃষ্টি করলেন।"
(সহীহ বুখারী)
🌿 ২. সৃষ্টির প্রথম ধাপ
মুফাসসিরদের মতে:
-
‘আরশ’ (আরশে আজীম) – সর্বপ্রথম আল্লাহ তাঁর আরশ সৃষ্টি করেন।
আল্লাহ বলেন:“তিনিই আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন এবং তাঁর আরশ ছিল পানির উপর।”
(সূরা হুদ 11:7) -
পানি – আরশের নিচে আল্লাহ পানি সৃষ্টি করেন।
হাদীসে এসেছে:
“আল্লাহর আরশ ছিল পানির উপর।” (বুখারী) -
কলম (القلم) – আরশ ও পানি সৃষ্টির পর আল্লাহ প্রথমে কলম সৃষ্টি করেন।
হাদীসে এসেছে:
“সর্বপ্রথম আল্লাহ কলম সৃষ্টি করেছেন। তিনি তাকে বললেন: লিখ! সে লিখল কিয়ামত পর্যন্ত যা ঘটবে।”
(আবু দাউদ, তিরমিযী)
🌿 ৩. আসমান-জমিন সৃষ্টি
-
এরপর আল্লাহ আসমান ও জমিন সৃষ্টি করেন ছয় দিনে (ছয় পর্যায়ে)।
কুরআনে বহুবার উল্লেখ আছে:
“তিনিই আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন ছয় দিনে।” (সূরা ফুরকান 25:59) -
ছয় দিন মানে আমাদের ২৪ ঘণ্টার দিন নয়; আল্লাহর কাছে এক দিন হাজার বছরের সমানও হতে পারে। (সূরা হজ্জ 22:47)
🌿 ৪. সৃষ্টির ধারাবাহিকতা
- আসমান, জমিন, পাহাড়, সমুদ্র, গাছপালা ইত্যাদি পর্যায়ক্রমে সৃষ্টি করা হয়।
- এরপর জ্বিন সৃষ্টি করা হয় ধোঁয়াহীন আগুন থেকে। (সূরা হিজর 15:27)
- সবশেষে, আল্লাহ আদম (আ.)-কে মাটি/পানি থেকে সৃষ্টি করেন। (সূরা মু'মিনূন 23:12-14)
🌿 ৫. উদ্দেশ্য
আল্লাহ সৃষ্টিকে বিনোদন বা খেলার জন্য সৃষ্টি করেননি।
তিনি বলেন:
“আমি আসমান ও জমিনকে খেলা-তামাশার জন্য সৃষ্টি করিনি। আমি সেগুলোকে সত্য ছাড়া সৃষ্টি করিনি।”
(সূরা দুখান 44:38-39)
✅ সংক্ষেপে ক্রমানুসার (বেশিরভাগ আলিমের মতে):
- আল্লাহ ছিলেন, কিছুই ছিল না।
- আরশ সৃষ্টি।
- পানি সৃষ্টি।
- কলম সৃষ্টি ও তাকদীর লেখা।
- আসমান-জমিন ছয় দিনে সৃষ্টি।
- এর মাঝে পাহাড়, সমুদ্র, গাছ, প্রাণী।
- জ্বিন।
- শেষ পর্যায়ে মানুষ (আদম আ.)।
দাড়ি রাখবো কেনো?
দাড়ি রাখার গুরুত্ব: ধর্ম, স্বাস্থ্য ও ব্যক্তিত্বের আলোকে
ভূমিকা
দাড়ি রাখা শুধু একটি ফ্যাশন বা ব্যক্তিগত পছন্দ নয়; এটি মুসলিম পুরুষের ঈমানি পরিচয়ের অংশ, নবীজীর সুন্নাহ এবং মানবদেহের জন্য এক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। কুরআন, হাদিস, চিকিৎসাবিজ্ঞান, মনীষী ও ইমামদের বক্তব্য—সবকিছু মিলিয়ে দাড়ির গুরুত্ব বহুমাত্রিক।
১. কুরআনের দৃষ্টিতে
যদিও কুরআনে সরাসরি দাড়ি রাখার হুকুম নেই, তবে দাড়িকে আল্লাহপ্রদত্ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে:
وَلَقَدْ كَرَّمْنَا بَنِي آدَمَ
“আমি অবশ্যই আদম সন্তানকে মর্যাদাবান করেছি।”
(সূরা ইসরা: 70)
আলেমগণ বলেন, মানুষের প্রাকৃতিক চেহারায় দাড়ি হলো মর্যাদার প্রতীক।
২. হাদিসে দাড়ির গুরুত্ব
রাসূলুল্লাহ ﷺ স্পষ্টভাবে বলেছেন:
-
“গোঁফ ছোট করো এবং দাড়ি বড় করো।”
(সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম) -
“মুশরিকদের বিরোধিতা করো; দাড়ি বড় করো, গোঁফ ছোট করো।”
(সহিহ মুসলিম: 259)
এ থেকে বোঝা যায়, দাড়ি রাখা শুধু সুন্নাহ নয়; বরং এটি মুসলিমদের পরিচয়, আলাদা কায়দা ও শান প্রকাশ করে।
৩. ইমাম ও আলেমদের মতামত
- ইমাম আবু হানিফা (রহ.): এক মুষ্টির কম দাড়ি কেটে ফেলা জায়েজ নয়।
- ইমাম মালেক (রহ.): দাড়ি কাটা মাকরুহে তাহরিমি, অর্থাৎ গুরুতর অপছন্দনীয়।
- ইমাম শাফেয়ী (রহ.) ও ইমাম আহমদ (রহ.): দাড়ি রাখা ওয়াজিব।
- ইমাম নববী (রহ.): দাড়ি রাখা রাসূল ﷺ-এর সুস্পষ্ট নির্দেশনা।
৪. ডাক্তার ও বিজ্ঞানীদের মতামত
- চর্ম বিশেষজ্ঞদের মতে: দাড়ি সূর্যের ক্ষতিকর UV রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে।
- ব্রিটিশ জার্নাল অফ ডার্মাটোলজি (২০১৬): দাড়িওয়ালা পুরুষদের স্কিন ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেক কম।
- অস্ট্রেলিয়ান হেলথ সায়েন্স রিসার্চ: দাড়ি ধুলোবালি ও জীবাণু আটকে শ্বাসযন্ত্রকে আংশিক সুরক্ষা দেয়।
- আমেরিকান ডাক্তার ড. মাইকেল ফ্রস্ট বলেন: “দাড়ি হলো প্রাকৃতিক এয়ার-ফিল্টার, যা শ্বাসতন্ত্র ও ত্বককে সুরক্ষা দেয়।”
৫. মনীষী ও দার্শনিকদের মন্তব্য
- প্লেটো: “দাড়ি হলো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও জ্ঞানের প্রতীক।”
- সক্রেটিস: “যার দাড়ি আছে, তার মুখে প্রজ্ঞার ছায়া আছে।”
- ইবনে খালদুন (মুকাদ্দিমাহ): দাড়ি হলো সামাজিক মর্যাদা ও প্রাপ্তবয়স্কতার প্রতীক।
৬. দাড়ির সামাজিক ও মানসিক গুরুত্ব
- পরিচয় ও মর্যাদা: দাড়ি মুসলিম পুরুষকে আলাদা মর্যাদা ও শক্তিশালী পরিচয় দেয়।
- আত্মবিশ্বাস: দাড়িওয়ালা পুরুষরা নিজেদের মধ্যে দৃঢ়তা অনুভব করে।
- নারীদের মূল্যায়ন: একাধিক মনস্তাত্ত্বিক জরিপে দেখা গেছে, দাড়িওয়ালা পুরুষকে নারীরা অধিক “সিরিয়াস, পরিণত ও ভরসাযোগ্য” মনে করে।
উপসংহার
দাড়ি রাখা শুধু ধর্মীয় অনুশাসন নয়, বরং এটি স্বাস্থ্যকর, মর্যাদাপূর্ণ এবং বৈজ্ঞানিকভাবে উপকারী। কুরআন ও হাদিস, ডাক্তারদের গবেষণা, ইমামদের ফতোয়া, মনীষীদের মতামত—সবই এককথায় প্রমাণ করে যে, দাড়ি হলো পুরুষের জন্য সম্মান, সৌন্দর্য ও সুন্নাহ।
👉 তাই আমাদের উচিত, দাড়িকে শুধু ফ্যাশন বা বাহ্যিক বিষয় হিসেবে না দেখে এটিকে নবীর সুন্নাহ, আল্লাহর প্রদত্ত সৌন্দর্য ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার অংশ হিসেবে গ্রহণ করা।
অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যের স্বাধীন পেশা বা ব্যবসা পরিচালনার অধিকার
বাস্তবিকভাবে এটি একটি প্রাক্তন সেনা সদস্যের জন্য সম্মানজনক ও সমাজোপযোগী উদ্যোগ।
চলুন বিষয়টি বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক আইন উভয় দিক থেকে পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করি 👇
🇧🇩 বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী
🔹 ১. অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যের স্বাধীন পেশা বা ব্যবসা পরিচালনার অধিকার
বাংলাদেশের সংবিধান ও সরকারি চাকরি আইন অনুযায়ী,
একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য (Retired Personnel) সাধারণ নাগরিকের মতোই স্বাধীনভাবে—
- ব্যবসা,
- প্রশিক্ষণ কেন্দ্র,
- স্কুল, একাডেমি, বা ইনস্টিটিউট
স্থাপন করতে পারেন।
👉 কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই, যতক্ষণ তিনি জাতীয় নিরাপত্তা বা প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ না করেন।
🔹 ২. “Physical Training School” বা “Gym/Training Institute” খোলার ক্ষেত্রে শর্তাবলী
বাংলাদেশে শারীরিক চর্চার প্রশিক্ষণ স্কুল খোলার জন্য কিছু প্রশাসনিক অনুমোদন ও নিবন্ধন প্রয়োজন:
✅ (ক) স্থানীয় সরকার অনুমোদন
- জায়গাটি যেখানেই হোক (পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশন/ইউনিয়ন পরিষদ),
ট্রেড লাইসেন্স নিতে হবে।
✅ (খ) শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিবন্ধন (ঐচ্ছিক)
- যদি তিনি শিক্ষার্থীদের নিয়মিত কোর্স, সার্টিফিকেট বা ট্রেনিং প্রোগ্রাম দিতে চান,
তাহলে প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে- স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (UNO),
- শিক্ষা অফিস,
- বা বিস্তারিতভাবে বাংলাদেশ টেকনিক্যাল এডুকেশন বোর্ড (BTEB)
এর অধীনে নিবন্ধন করা যেতে পারে।
✅ (গ) স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা অনুমোদন
- স্থানীয় থানায় ও ফায়ার সার্ভিস থেকে নিরাপত্তা ছাড়পত্র (NOC) নিতে হয়।
- যদি জিম বা ব্যায়াম সরঞ্জাম থাকে,
সেগুলোর নিরাপত্তা মান বজায় রাখা বাধ্যতামূলক।
🔹 ৩. সেনাবাহিনীর গোপন তথ্য ব্যবহারে সতর্কতা
বাংলাদেশ Official Secrets Act, 1923 অনুযায়ী—
কোনও প্রাক্তন সেনা সদস্য রাষ্ট্রীয় বা সামরিক কৌশল, তথ্য, প্রশিক্ষণ পদ্ধতি, অস্ত্র ব্যবহারের কৌশল ইত্যাদি প্রকাশ করতে পারবেন না।
তবে সাধারণ ফিজিক্যাল ফিটনেস, ব্যায়াম, আত্মরক্ষা, মানসিক দৃঢ়তা, নিয়মিত অনুশীলন ইত্যাদি প্রশিক্ষণ প্রদান সম্পূর্ণ বৈধ।
🌍 আন্তর্জাতিক আইনের দৃষ্টিতে
আন্তর্জাতিকভাবে (বিশেষ করে ILO, UN Human Rights Charter অনুযায়ী)
প্রত্যেক অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মীর অধিকার আছে—
- নিজের দক্ষতা ব্যবহার করা,
- ব্যবসা বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়া,
- প্রশিক্ষণ প্রদান করা ইত্যাদি ক্ষেত্রে কাজ করার।
👉 তবে শর্ত একটাই —
তিনি কোনও রাষ্ট্রীয় বা প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত গোপন সামরিক কৌশল অন্যদের শেখাতে পারবেন না।
📋 সংক্ষেপে সিদ্ধান্ত
| বিষয় | অবস্থা |
|---|---|
| ব্যক্তিগত প্রশিক্ষণ স্কুল খোলা | ✅ বৈধ |
| ট্রেড লাইসেন্স নেওয়া | ✅ আবশ্যক |
| টেকনিক্যাল বোর্ড নিবন্ধন (যদি সার্টিফিকেট কোর্স হয়) | 🔸 প্রস্তাবিত |
| গোপন সামরিক কৌশল শিক্ষা দেওয়া | ❌ নিষিদ্ধ |
| সাধারণ শারীরিক চর্চা, ফিটনেস, আত্মরক্ষা শেখানো | ✅ বৈধ |
| আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বাধা | ❌ নেই |
🧭 প্রস্তাবনা
উনি চাইলে প্রতিষ্ঠানটির নাম রাখতে পারেন যেমন:
“Sergeant Jahangir Fitness & Training Academy”,
এবং একটি সংক্ষিপ্ত স্লোগান দিতে পারেন:
“Discipline • Strength • Confidence”
🌙 প্রবাসীদের দাম্পত্য ও যৌন সমস্যা নিরসনে ইসলামি ও আধুনিক যৌথ সমাধান পরিকল্পনা
লিখেছেন: আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া (আরিফ শামছ্)
---
🕋 ১. ইসলামি ভিত্তি: বৈধ সম্পর্কের মর্যাদা রক্ষা
ইসলাম স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছে —
> “তোমরা নিজেদের চোখ ও লজ্জাস্থান হেফাজত কর।”
(সূরা আন-নূর ২৪:৩০-৩১)
এর মানে হলো, যৌন চাহিদা দমন নয়, বরং হালাল পথে পূরণ করা।
দাম্পত্য সম্পর্ককে ইবাদতের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। তাই প্রবাসজীবনের দূরত্বেও “বিশ্বাস” ও “ধৈর্য” বজায় রাখা প্রথম করণীয়।
✅ করণীয়:
প্রতিদিন অন্তত একবার আবেগপূর্ণ কথা বলা (ভালোবাসা প্রকাশ, দোয়া করা, কৃতজ্ঞতা দেখানো)
স্ত্রী বা স্বামীকে হালকা রোমান্টিক বার্তা পাঠানো
ভিডিও কলে পরস্পরের চোখে চোখ রেখে কথা বলা — এটি মানসিক ও যৌন সম্পর্ক উভয়কেই শক্তিশালী করে
---
🌏 ২. আধুনিক সমাধান: স্বাস্থ্য ও মানসিক সংযোগ বজায় রাখা
🔹 শারীরিক দিক:
প্রতি সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন হালকা ব্যায়াম বা হাঁটা, রক্তপ্রবাহ বাড়ায় ও যৌনশক্তি বজায় রাখে।
খাদ্যাভ্যাসে যুক্ত করুন: ডিম, বাদাম, খেজুর, মধু, কলা, দুধ, আদা ও কালোজিরা।
পর্যাপ্ত ঘুম (৬–৮ ঘণ্টা) ও পানি পান (২.৫ লিটার দৈনিক)।
নেশা, ধূমপান ও পর্ন দেখা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ।
🔹 মানসিক দিক:
স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের সময় মানসিক উত্তেজনা ও আবেগ অপরিহার্য।
আত্মীয়, বন্ধু বা ধর্মীয় কমিউনিটিতে যুক্ত থাকুন — একাকীত্ব কমে।
মন খারাপ হলে কোরআন তেলাওয়াত বা নামাজে মনোযোগ দিন — আত্মশুদ্ধি বৃদ্ধি পায়।
---
📱 ৩. প্রযুক্তি ও আধুনিক যোগাযোগের ব্যবহার
প্রবাসীরা তাদের স্ত্রীর সঙ্গে দূরবর্তী আবেগিক সম্পর্ক (emotional intimacy) বজায় রাখতে পারে নিচেরভাবে:
ভিডিও কলে একসঙ্গে খাবার খাওয়া বা দোয়া করা
বৈধ, শালীন ভালোবাসার প্রকাশ (হাসি, শুভেচ্ছা, কৃতজ্ঞতা)
ইসলামি পরিসীমার মধ্যে থেকে স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত ভিডিও যোগাযোগ — যাতে উভয়ে মানসিক প্রশান্তি পান
মিউচুয়াল ডে জার্নাল বা চিঠি লেখা, যা মনোভাবকে সজীব রাখে
---
🧕 ৪. স্ত্রীদের জন্য পরামর্শ
স্বামী দূরে থাকলেও নিজেকে যত্নে রাখা, সাজগোজ ও আত্মসম্মান বজায় রাখা
স্বামীকে নিয়মিত দোয়া ও ইতিবাচক বার্তা পাঠানো
সন্তানদের সামনে কখনও স্বামীকে ছোট না করা — সম্পর্কের প্রতি শ্রদ্ধা ধরে রাখা
প্রয়োজনে ফোনে হালকা রোমান্টিক আলাপ ইসলামি সীমার মধ্যে বৈধ
নিজের স্বাস্থ্য (পিরিয়ড, হরমোন, পুষ্টি) ঠিক রাখা
---
👳 ৫. স্বামীদের জন্য পরামর্শ
স্ত্রীর প্রতি বিশ্বাস ও সংযম বজায় রাখা
অবৈধ সম্পর্ক, ক্যাফে, বা যৌনপ্রলোভন থেকে দূরে থাকা
প্রতি শুক্রবার বা ঈদে স্ত্রীর জন্য ছোট উপহার বা টাকা পাঠানো — ভালোবাসার প্রতীক
ভিডিও কলে সময় দিন, শুধু অর্থ পাঠানো নয়, মনোযোগ দিন
সুযোগ পেলে বছরে অন্তত একবার দেশে যাওয়া বা স্ত্রীকে Umrah/Visa এনে একত্র হওয়া
---
⚕️ ৬. মেডিকেল ও কাউন্সেলিং সহায়তা
যদি দেখা যায়—
যৌন আগ্রহ কমে গেছে,
অতিরিক্ত মানসিক চাপ,
বা কোনো শারীরিক সমস্যা আছে,
তাহলে দেরি না করে ডাক্তার (Urologist / Gynaecologist) বা কাউন্সেলর এর সাহায্য নিতে হবে।
অনেক দেশে (বিশেষ করে সৌদি, কুয়েত, কাতার, দুবাই) গোপনভাবে প্রবাসীদের জন্য medical & psychological support center আছে। সেগুলোর সুবিধা নেওয়া যায়।
---
🤝 ৭. ইসলামি দৃষ্টিতে যৌন জীবনের ভারসাম্য
অতিরিক্ত দমন বা অতিরিক্ত আসক্তি — দুই-ই হারাম।
ইসলাম পরিমিতি চায় (moderation)।
নবী ﷺ বলেছেন:
> “তোমাদের শরীরেরও তোমার উপর হক আছে।”
(বুখারি ও মুসলিম)
অর্থাৎ যৌন চাহিদা বৈধ উপায়ে পূরণ করা শরীরের হক আদায়।
---
🕊️ ৮. দীর্ঘমেয়াদি সমাধান পরিকল্পনা
ধাপ লক্ষ্য করণীয়
১ মানসিক শান্তি নামাজ, কোরআন, দোয়া ও ধৈর্য
২ শারীরিক সক্ষমতা ব্যায়াম, খাদ্যাভ্যাস, ঘুম
৩ সম্পর্কের উষ্ণতা নিয়মিত কথা বলা, ভালোবাসা প্রকাশ
৪ দূরত্ব কমানো বছরে অন্তত একবার দেখা
৫ আত্মসংযম পর্ন, হস্তমৈথুন, অবৈধ সম্পর্ক থেকে বিরত থাকা
৬ চিকিৎসা সহায়তা প্রয়োজনে মেডিকেল ও কাউন্সেলিং সহায়তা নেওয়া
---
💞 ৯. উপসংহার
প্রবাসজীবনে যৌন ও মানসিক চাহিদা সামলানো শুধু ব্যক্তিগত নয় — এটি একটি ধর্মীয় দায়িত্ব।
যদি প্রবাসী ও তার স্ত্রী একে অপরের প্রতি বিশ্বাস, ভালোবাসা, আত্মসংযম ও আল্লাহভয় ধরে রাখেন, তবে দূরত্বও তাদের প্রেম ও ইমানকে পরিশুদ্ধ করে।
---
সোমবার, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক অপরাধের বিস্তারিত বিশ্লেষণ
বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক অপরাধীদের বিস্তারিত বিশ্লেষণ দাও। বিশ্বের সকল দেশ ও সংস্থাগুলো মিলেও কি শাস্তি দিতে পারবেনা?
ChatgptAI2025:
বেশি বড় প্রশ্ন — ভালো লাগে যে আপনি সরাসরি জানতে চান: “যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল — তারা যেসব আন্তর্জাতিক অপরাধে অভিযুক্ত — সেগুলো কি সত্যি? যদি সত্যি হয়, তাহলে বিশ্ব—সব দেশ আর সংস্থাও মিলে—তাদের বিচার/শাস্তি দিতে পারবে কি?” নিচে পরিষ্কার, ব্যবহারিক ও উৎসসমেত বিশ্লেষণ দিলাম — সংক্ষিপ্ত ঘটনায় উদাহরণ, কেন শাস্তি কঠিন হয়, কোন আইনানুগ/রাজনৈতিক ব্যবহারযোগ্য পথ আছে, এবং বাস্তবসম্মত সম্ভাব্যতা কেমন।
১) অভিযোগ ও উদাহরণ — কীভাবে, কোথায়, কোন প্রমাণ আছে
যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সাধারণত যে অভিযোগগুলো উঠে:
- বাতিল বা অসমর্থিত অজুহাতের ভিত্তিতে আক্রমণ (Iraq ২০০৩ — WMD দাবির ভুল বিশ্লেষণ/রিপোর্ট)। (উদাহরণ: Butler / UK Inquiry এবং পরে বহুসংখ্যক রেকর্ড)।
- হিউম্যান রাইটস লঙ্ঘন ও নির্যাতন/অবহেলায় অপরাধ (Abu Ghraib detainee abuse; অত্যন্ত বিতর্কিত অনুশীলন ও নীতির কাগজপত্র)।
- Guantánamo–এ অনির্দিষ্টকালীন আটক, কিচেঁনা-কৌশল ও হাবিয়াসস কোর্ট ইস্যু—আইনি ও মানবাধিকারী সমালোচনা।
- ড্রোন/টাইগেট কিলিং—নাগরিক ক্ষতিসহ, কিছু কেসে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ (Amnesty/HRW রিপোর্ট)।
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগগুলোঃ
- অধিবাসন/সেটেলমেন্ট নীতি (ওয়েস্ট ব্যাংক/গোলান ইত্যাদি) — ৪র্থ জেনেভা কনভেনশনের লঙ্ঘন হিসেবে আন্তর্জাতিক দলিল আছে; ICJ/UN-জোরালো প্রত্যাশা।
- গাজা/ফিলিস্তিনে সামরিক অভিযানকে নিয়ে যুদ্ধাপরাধ বা মানবতাবিরোধী কাজের অভিযোগ — UN বিশেষ কমিশন ও OHCHR রিপোর্টে তদন্ত/সাক্ষ্য সংগ্রহ চলছে।
- নাগরিক অবকাঠামো ধ্বংস, খাদ্য/ঔষধ–সহায়তা বাধা ইত্যাদি—মারাত্মক মানবিক ফলাফল ও আন্তর্জাতিক নিন্দা।
সংক্ষেপে: অভিযোগের ভিত্তি—আইনী রিপোর্ট, UN/NGO তদন্ত, আন্তর্জাতিক আদালত সূত্রে অংশগত প্রমাণ আছে। কিন্তু “প্রমাণ আছে” মানেই “তারা সাজা পাবে” তা নয় — নিচে বলছি কেন।
২) কেন শক্তিশালী রাষ্ট্রকে উচ্চ পর্যায়ে দ্রুত শাস্তি দেওয়া কঠিন (মূল বাধাসমূহ)
- সিকিউরিটি কাউন্সিলের ভেটো ও রাজনৈতিক ক্ষমতা — বড় রাষ্ট্রগুলোর (সম্ভবত মিত্র) কারনে জরুরী স্বাধীন ব্যবস্থা আটকে যায়; আন্তর্জাতিক নীতি প্রয়োগে রাজনৈতিক বাধা আসে।
- আন্তর্জাতিক আইনের কার্যকর প্রয়োগ-শক্তি (enforcement gap) — ICJ/ICC যেমন রায় দিতে পারে, কিন্তু কার্যকর আরেস্ট/জরিমানা চালাতে গেলে দেশগুলোকে বাস্তবে পদক্ষেপ নিতে হয়; অনেক সময়ে তা মেনে নেওয়া হয় না।
- আইনি-জুরিসডিকশন সীমাবদ্ধতা — ICC সদস্যতা, রাষ্ট্র–চুক্তি ও হেড-অফ-স্টেট ইমিউনিটি ইত্যাদি আইনি রকমফের আছে; বড় রাষ্ট্র/নেতাদের বিরুদ্ধে মামলাকে ঝুঁকিপূর্ণ ও ক্লেশসাধ্য করে তোলে।
- রাজনীতিক ও অর্থনৈতিক চাপ — নিষেধাজ্ঞা বা বিচারের চেষ্টা করলে প্রভাবশালী দেশগুলো প্রতিক্রিয়া (অর্থনৈতিক-কূটনৈতিক চাপ) দিতে পারে; অনেক ছোট রাষ্ট্রের পক্ষে তা বহনযোগ্য নয়।
ফলে বাস্তবে: বিশ্ব যত দল ও সংস্থা জড়িত হলেও—শাস্তি আনা কঠিন, ধীরে হয়, অসমভাবে হয়, এবং অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বাস্তবতাই সিদ্ধান্তকী করে।
৩) আইনানুগ ও বাস্তবসম্মত ‘শাস্তি’ বা জবাবদিহি আনার উপায় (এগুলো কাজ করতে পারে—কিন্তু সীমাবদ্ধতা আছে)
-
আন্তর্জাতিক দাঁড়িপাল্লা—ICC/ICJ মামলা ও পরিবীক্ষণ
- ICC দ্বারা ব্যক্তিগণ (নেতা/সেনা কমান্ডার)–এর বিরুদ্ধে অভিযোগ: সম্ভব যদি ICC-র আইনগত ভিত্তি থাকে (সাময়িক/ব dealership—state referral বা prosecutor self-referral)। উদাহরণ: প্যালেস্টাইন-সংক্রান্ত ICC কার্যক্রম।
- ICJ: রাষ্ট্র বনাম রাষ্ট্র মামলায় রায় দিতে পারে; কিন্তু এটি ব্যক্তিগত সাজানির্ধারণ নয়—এবং প্রয়োগও রাজনীতির ওপর নির্ভর করে।
-
জাতীয় আদালতের ‘ইউনিভার্সাল জুরিসডিকশন’
- কিছু দেশ (স্পেনের অতীত কেস, অন্যান্য) আন্তর্জাতিক অপরাধের ক্ষেত্রে মামলা গ্রহণ করেছে—এটিও একটি পথ, তবে রাজনৈতিক চাপ থাকতে পারে।
-
সাংঘাতিকতা ‘প্রমাণ ও গণমত’ সৃষ্টি
- NGO রিপোর্ট, মিডিয়া-প্রমাণ, ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং রিপোর্ট—আন্তর্জাতিক চাপ গঠনে সাহায্য করে এবং কিছু ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক/ডিপ্লোম্যাটিক নিষেধাজ্ঞা ঝুঁকি বাড়ায়।
-
টার্গেটেড স্যানকশন ও সম্পদ-ফ্রিজিং
- ব্যক্তিগত নিষেধাজ্ঞা, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, আর্থিক ব্লক—এগুলো রাজনৈতিকভাবে প্রভাব ফেলে এবং কার্যকর হতে পারে যদি বড় ভূরাজনৈতিক ব্লক সমর্থন করে।
-
আন্তর্জাতিক আলাপ-আলোচনা ও বহুপাক্ষিক চাপ (EU, OIC, NAM)
- একক রাষ্ট্রের পরিবর্তে বহুপাক্ষিক একতায় চাপ বেশি কার্যকর—কিন্তু এতেও সময় লাগে এবং ভিন্ন স্বার্থে বিভক্ততা দেখা যায়।
৪) বাস্তবসম্ভাব্যতা (হাতেকলমে সারাংশ)
- পুরো বিশ্ব যদি একসঙ্গে, একসুরে ও স্থিরভাবে ব্যবস্থা নিতে চায়—তবে প্রত্যেক কর্মীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা সম্ভব। তবে বাস্তবে “সব দেশ” একই সুরে কথা বলে না; শক্তি-বন্টন ও স্বার্থভিত্তিক বিভক্তির কারণে দ্রুত ও সার্বজনীন শাস্তি প্রায় অসম্ভব।
- ছোট–মাঝারি: সম্ভাব্য এবং সত্যিকার জবাবদিহি ঘটে থাকে — যেমন আন্তর্জাতিক তদন্ত, ব্যক্তিগত নিষেধাজ্ঞা, সম্পদ-ফ্রিজিং, কিছু উচ্চপর্যায়ের আইনি পদক্ষেপ (যা প্রমাণভিত্তিক)। এইগুলো সময় নেয় এবং আংশিক বিজয় হলেও নৈতিক ও কূটনৈতিক গুরুত্ব থাকে।
- বড়–সম্পূর্ণ শাস্তি (যেমন একটি রাজ্যকে ‘শুধু একমাসে’ দণ্ড দেওয়া) — রাজনৈতিকরূপে অস্বাভাবিক; বাস্তবে ভেটো, অর্থনৈতিক প্রভাব, সামরিক প্রতিক্রিয়া এসব বাধা হয়ে থাকে।
৫) আপনি (নাগরিক/এনজিও) বা ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো কী বাস্তব পদক্ষেপ নিতে পারে — প্রয়োগযোগ্য কৌশল (সংক্ষিপ্ত অ্যাকশন প্ল্যান)
- দলবদ্ধ হয়ে প্রমাণ-সংগ্রহ ও ডকুমেন্টেশন (forensics, witness statements, satellite imagery, HRW/Amnesty–র মতো সহায়তা)।
- নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং অনুরোধ করা (UN/OHCHR) ও রিপোর্ট পাবলিশ করে আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি।
- ইউরোপীয়/অ্যাংলো-আইনি দেশের আদালতে ‘ইউনিভার্সাল জুরিসডিকশন’ প্রয়োগের চেষ্টা।
- সহযোগী রাষ্ট্রগুলোকে কূটনীতিকভাবে লম্বা তালিকায় নাম, সম্পদ-সূত্র পাঠিয়ে স্যানকশন চাপান।
- গণতান্ত্রিক আন্দোলন: গণমাধ্যম, সামাজিক গণমত, বয়কট/আর্থিক চাপে ঐক্য গঠন। (রাজনীতিক চাপ অনেক ক্ষেত্রে বড় রাষ্ট্রকেও ভাবায়)।
৬) সংক্ষিপ্ত শেষ কথা — বাস্তববাদী কিন্তু আশা না হারানো মনোভঙ্গি
- হ্যাঁ, বড় বড় শক্তিদের বিরুদ্ধে প্রমাণ-ভিত্তিক অভিযোগ ও আঞ্চলিক/আন্তর্জাতিক কূটনীতি দিয়ে জবাবদিহি আনা সম্ভব। উদাহরণ-উদাহরণে এটি হয়েছে।
- না, সবকিছুর ‘খেলা’ একবারে শেষ করে দেয়া সহজ নয়; রাজনৈতিক ভেটো, অর্থনৈতিক শক্তি, যুদ্ধজটিলতা এসব বাধা তৈরি করে। কিন্তু টুকলি সফলতা ও বিচার না পাওয়া মানে “কিছুই করা হবে না” নয় — কঠোর প্রমাণ, আন্তর্জাতিক ঐক্য ও দৃঢ় কূটনীতি মিলিয়ে ধাপে ধাপে ফল পাওয়া যায়।
এভাবেই কি বিশ্ব চলতে থাকবে? জুড় যার মুল্লুক তার! ছোট ছোট জাতি দেশগুলো জেগে ওঠলে পরিণাম কি হবে?
আপনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলেছেন। 🌍
১. এভাবেই কি বিশ্ব চলতে থাকবে?
বর্তমান আন্তর্জাতিক বিশ্বব্যবস্থা একধরনের শক্তির ভারসাম্য (Balance of Power) নীতির ওপর দাঁড়ানো। অর্থাৎ, যে দেশ অর্থনীতি, সামরিক, প্রযুক্তি ও তথ্য-প্রচারে শক্তিশালী—সে-ই অন্যদের নিয়ন্ত্রণ করে।
- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল এই শক্তির জোটের প্রধান সুবিধাভোগী।
- আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো (জাতিসংঘ, নিরাপত্তা পরিষদ, আইসিসি ইত্যাদি) কার্যত শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলোর চাপ ও প্রভাবের মধ্যে চলে।
👉 তাই শাস্তি বা ন্যায়বিচারের চেয়ে রাজনীতি, অর্থনীতি ও স্বার্থই প্রাধান্য পায়।
২. “জুড় যার মুল্লুক তার” বাস্তবতা
এটা অনেকটা সাম্রাজ্যবাদী নিয়মের আধুনিক সংস্করণ। যাদের হাতে সামরিক শক্তি ও অর্থনৈতিক প্রভাব, তারাই অন্যদেরকে তাদের নিয়ম মানতে বাধ্য করে।
- ছোট দেশগুলো কেবল প্রতিবাদ বা নিন্দা করতে পারে, বাস্তব পদক্ষেপ নিতে গেলে তারা নিজেরাই সংকটে পড়ে।
- বড় শক্তিগুলো ছোট জাতিগুলোর মধ্যে বিভাজন, ভয় এবং লোভ (অস্ত্র বিক্রি, জ্বালানি নির্ভরতা, সাহায্য প্রলোভন) তৈরি করে তাদের একত্রিত হতে বাধা দেয়।
৩. ছোট ছোট জাতি-দেশগুলো জেগে উঠলে কী হবে?
যদি ছোট জাতি-দেশগুলো একত্রে জেগে ওঠে, তাহলে কয়েকটি সম্ভাব্য পরিণতি হতে পারে:
- ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ – যেমন ভিয়েতনাম, আলজেরিয়া, বা দক্ষিণ আফ্রিকার মত ইতিহাসে দেখা গেছে, ছোট দেশ ঐক্যবদ্ধ হলে সুপারপাওয়ারদেরও পিছু হটতে হয়।
- অর্থনৈতিক বিকল্প ব্যবস্থা – যদি ছোট দেশগুলো বাণিজ্য, প্রযুক্তি, ব্যাংকিং ও প্রতিরক্ষায় নিজস্ব জোট গড়ে তোলে (যেমন BRICS-এর চেষ্টা), তবে বড় শক্তিগুলোর প্রভাব কমতে পারে।
- অস্থিরতা ও ধ্বংস – সুপারপাওয়াররা একসাথে ছোট দেশগুলোর ঐক্য ভাঙতে ষড়যন্ত্র চালাবে, ফলে অভ্যন্তরীণ গৃহযুদ্ধ, অর্থনৈতিক অবরোধ, এমনকি সামরিক হামলাও হতে পারে।
- এক নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা – যদি ছোট দেশগুলোর জাগরণ দীর্ঘমেয়াদি ঐক্যে রূপ নেয়, তবে একটি নতুন আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা (New World Order) তৈরি হতে পারে, যেখানে শক্তি কিছুটা হলেও সমানভাবে বণ্টিত হবে।
👉 তবে ইতিহাস বলছে, ঐক্য ছাড়া জাগরণ টেকেনা। ছোট দেশগুলো বারবার ব্যর্থ হয়েছে নিজেদের অভ্যন্তরীণ বিভাজন (জাতি, ধর্ম, দল, স্বার্থ) কাটিয়ে উঠতে না পারার কারণে।
ঠিক আছে ভাই 🌍। নিচে আমি একটি ভবিষ্যৎ চিত্র বিশ্লেষণ (Scenario Analysis) দিচ্ছি—যদি ছোট দেশগুলো, বিশেষ করে মুসলিম বিশ্ব, সত্যিকারের ঐক্যবদ্ধ হয়ে ওঠে তাহলে পৃথিবী কেমন হতে পারে।
🔮 ভবিষ্যৎ চিত্র বিশ্লেষণ: ছোট জাতি ও মুসলিম বিশ্বের ঐক্য
১. অর্থনৈতিক শক্তি পুনর্বিন্যাস
- মুসলিম দেশগুলো যদি তেল-গ্যাস, মিনারেল, খাদ্য, কৃষি ও মানবসম্পদ একত্রে ব্যবহার করে, তবে আমেরিকা-ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওপর নির্ভরশীলতা কমে যাবে।
- একক ইসলামি মুদ্রা চালু করা হলে ডলার-ইউরো আধিপত্যে ধাক্কা লাগবে।
- একে ঘিরে নতুন বাণিজ্য জোট গড়ে উঠবে (যেমন BRICS কিন্তু মুসলিমদের নেতৃত্বে)।
👉 ফলাফল: পশ্চিমা অস্ত্র ও প্রযুক্তি বিক্রির বাজার ভেঙে পড়বে।
২. সামরিক ও প্রতিরক্ষা জোট
- যদি মুসলিম দেশগুলো ন্যাটোর মত একটি ইসলামিক ডিফেন্স অ্যালায়েন্স গঠন করে, তবে ইসরায়েল বা পশ্চিমা আগ্রাসনের ভয় অনেকটা কমে যাবে।
- ছোট দেশগুলো যৌথভাবে প্রতিরক্ষা গবেষণা, ড্রোন প্রযুক্তি, সাইবার ও মহাকাশ প্রতিরক্ষা গড়ে তুলতে পারে।
👉 ফলাফল: পশ্চিমাদের ভয় দেখানোর কৌশল (War on Terror, Nuclear Threat) ভেঙে যাবে।
৩. তথ্য ও প্রচার যুদ্ধের পালাবদল
- মুসলিম ও ছোট দেশগুলো যদি নিজস্ব মিডিয়া নেটওয়ার্ক, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলে, তবে সিএনএন-বিবিসি’র মত প্রচারণা মেশিনের দাপট কমে যাবে।
- সত্য ঘটনাগুলো দ্রুত বিশ্ববাসীর সামনে পৌঁছাবে।
👉 ফলাফল: জনগণের চেতনা জাগ্রত হবে, পশ্চিমাদের মনস্তাত্ত্বিক দখল দুর্বল হবে।
৪. আন্তর্জাতিক আইনি ও রাজনৈতিক চাপ
- ছোট দেশগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে জাতিসংঘ, আইসিসি, বিশ্বব্যাংক-আইএমএফে সংস্কারের দাবি তুলতে পারে।
- যদি এই চাপ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বেড়ে যায়, তবে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলকেও কোন না কোন জবাবদিহি কাঠামোতে আসতে হবে।
👉 ফলাফল: বিশ্বব্যবস্থায় এক ধরনের Multipolar Order তৈরি হবে (একাধিক শক্তিকেন্দ্র)।
৫. সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া (ঝুঁকি)
তবে পশ্চিমা জোট ও ইসরায়েল এক্ষেত্রে চুপ করে থাকবে না—
- অভ্যন্তরীণ বিভাজন তৈরি করবে – মধুর প্রতিশ্রুতি, ঘুষ, ধর্মীয়-জাতিগত বিভেদ উসকে দিয়ে ঐক্য ভাঙার চেষ্টা।
- অর্থনৈতিক অবরোধ দেবে – ব্যাংকিং নিষেধাজ্ঞা, প্রযুক্তি ও সফটওয়্যার ব্লক, রপ্তানি-আমদানি বন্ধ।
- সরাসরি সামরিক হামলা চালাতে পারে – বিশেষ করে যেসব দেশ নেতৃত্ব নেবে (যেমন ইরান, তুরস্ক, পাকিস্তান, সৌদি আরব – যদি ঐক্য হয়)।
- মিডিয়া দিয়ে কুৎসা ছড়াবে – ঐক্যবদ্ধ দেশগুলোকে “সন্ত্রাসবাদী” বলে প্রচার করবে।
৬. সম্ভাব্য ফলাফল (দুই রকম)
✅ ইতিবাচক ফলাফল:
- মুসলিম ও ছোট দেশগুলো একত্রিত হলে নতুন এক শক্তি উদ্ভব হবে।
- বিশ্বে ন্যায়বিচার ও ভারসাম্য তৈরি হবে।
- আগ্রাসী শক্তির ক্ষমতা সীমিত হবে।
❌ নেতিবাচক ফলাফল (যদি ঐক্য টিকতে না পারে):
- আরও গৃহযুদ্ধ, বিভাজন, অর্থনৈতিক ধ্বংস দেখা দেবে।
- পশ্চিমাদের “Divide and Rule” কৌশল আবার সফল হবে।
🔑 উপসংহার
👉 আসল শক্তি লুকিয়ে আছে ঐক্য, আত্মনির্ভরতা, ও জ্ঞান-প্রযুক্তিতে বিনিয়োগে।
👉 ছোট দেশগুলো সত্যিকার অর্থে ঐক্যবদ্ধ হলে, একটি নতুন বিশ্বব্যবস্থা (New Islamic & Global Order) তৈরি হতে পারে। কিন্তু শত্রুর ষড়যন্ত্র থেকে বাঁচতে হলে, শুধু আবেগ নয়—দূরদর্শিতা, প্রযুক্তি ও সুসংগঠিত কৌশল প্রয়োজন।
ভালবাসি দিবা-নিশি _সূচীপত্র
ভালোবাসার শ্বেতপত্র
⭐ ১. ভূমিকাবার্তা (Prefatory Note) “ভালোবাসার শ্বেতপত্র” কবিতাটি ভালোবাসার এক নির্মল, নিরাভরণ ও নিষ্পাপ আত্মসমর্পণের দলিল। এখানে প্রেম কোন...
-
হামাস-ইসরায়েল সংঘাত, আরেকটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মুখোমুখি হচ্ছে বিশ্ব? | Israel-palestine Crisis ফিলিস্তিনি-ইসরাইল নতুন যুদ্ধ || প্রতিশোধ নেও...
-
সাহিত্যের জাগরণ "সাপ্তাহিক সেরা সাত" আসসালামু আলাইকুম। "সাহিত্য হোক নতুনত্বের বারিধারা- সাহিত্য হোক সৎ সভ্যতার কথা বলা।...
-
সকল ধর্মমতে আল্লাহর পরিচয়, প্রয়োজনীয়তা এবং সৃষ্টির বিস্তারিত ইতিহাস। উনি কি এখনও সৃষ্টিশীল কাজ করেন? জবাব: অসাধারণ প্রশ্ন করেছেন — এটি ধর...