"সাপ্তাহিক সেরা সাত"
👤 আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া (আরিফ শামছ্) প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক 📚 শিক্ষাগত যোগ্যতা: বি.এস.এস (অনার্স), অর্থনীতি — জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, এম.এস.এস (অর্থনীতি) — জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, বি.এড — জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ, এম.এড — ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়| 🏫 পেশাগত অভিজ্ঞতা: প্রাক্তন শিক্ষক, ব্লু-বার্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মাটিকাটা, ঢাকা সেনানিবাস। প্রাক্তন শিক্ষক, হলি ক্রিসেন্ট ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, উত্তরা, ঢাকা। 📧 Email: arifshamsacademy@gmail.com Mobile: +966510429466
শিরোনাম
- ভালোবাসি দিবানিশি (156)
- প্রবন্ধ (52)
- ইসলামিক (41)
- Videos | ভিডিও (40)
- জীবন জাগার গান (29)
- স্রষ্টা ও সৃষ্টির যোগাযোগ (28)
- চির বিপ্লবী (27)
- আন্তর্জাতিক (23)
- কবিতা সমগ্র (18)
- বিশ্লেষণধর্মী (18)
- তারায় তারায় কবিতা (15)
- স্বপ্নের আদ্যোপান্ত (13)
- LOVING DAY TO NIGHT (12)
- কবিতা (12)
- কবিতার স্বর্গ-কানন (12)
- অর্থনৈতিক (11)
- NEWS (9)
- আধ্যাত্মিক|Spiritual (9)
- বিদ্রোহী তুমি বিপ্লবী (8)
- গল্প (6)
- জাতীয় (5)
- দৈনিক মহাবিশ্ব (5)
- Images & Photo (4)
- আমার বাবা (4)
- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (4)
- Career (2)
- অন্যান্য | Others (2)
- উপন্যাস (2)
- স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা (2)
- Add & Circulars (1)
- Certificate and Achievements (1)
- Circular| বিজ্ঞাপন (1)
- Revolutionary-Rebel (1)
- শিক্ষা ও শিক্ষক (1)
বুধবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৫
১। বিপ্লবী- /আরিফুল ইসলাম।
০১। ১৪২৩ বলছি!
এই কবিতাটি ১৪২৩ বঙ্গাব্দের অন্তিম লগ্নে রচিত, যেখানে কবি সময়ের গমন ও আগমন, আবেগ ও যন্ত্রণা, প্রত্যাশা ও নিরাশার এক সজীব চিত্র অঙ্কন করেছেন। নিচে এর বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করে তুলে ধরা হলো:
১. কাব্যিক ও সাহিত্যিক বিশ্লেষণ:
কবিতাটিতে সময়ের রূপান্তরকে এক জীবনঘনিষ্ঠ চিত্ররূপে উপস্থাপন করা হয়েছে। “চৈত্রের সংক্রান্তি, বসন্ত বিদায়”—এই বাক্যদ্বয়ে ঋতুচক্রের অন্তরাল দিয়ে জীবনের গভীর অভিজ্ঞতাকে প্রকাশ করেছেন কবি। ব্যক্তিগত বেদনার সঙ্গে জাতিগত, সামাজিক রূপান্তরের মিশ্রণে এক অন্তর্জাগতিক আবহ সৃষ্টি হয়েছে।
২. ছন্দ ও মাত্রা:
কবিতাটি মুক্তছন্দে রচিত। এখানে ১৪ মাত্রার ছন্দ বা পদ্যছন্দ অনুসরণ করা হয়নি; বরং কবি ভাবপ্রবণতাকে গুরুত্ব দিয়েছেন। কোথাও কোথাও অন্ত্যমিল আছে, যেমন—
“চরম অনাদর, অবহেলা অবশেষে।
১৪২৪ আসবে, ভালবাসবে কি বাসবেনা!”
এইভাবে অনিয়মিত হলেও ছন্দের প্রবাহে পাঠক আবেগে প্রবাহিত হয়।
৩. রসাস্বাদন (রসতত্ত্ব):
এখানে মূলত কারুণ্য রস ও বীর রস-এর ছোঁয়া আছে। কবি একদিকে নিজের বেদনা, অবহেলা, অনাদরের কথা বলেছেন, আবার অন্যদিকে ভবিষ্যতের বছরকে সতর্ক বার্তাও দিয়েছেন—
“১৪২৪! দেখে প্রস্তুত থাক ততে আজি,
মেনে নিতে এমনি নিষ্ঠুর পরিনতি!”
এখানে বেদনাও আছে, আবার প্রত্যয়ের মিশ্রণও রয়েছে।
৪. প্রেক্ষাপট:
এই কবিতা ১৪২৩ বঙ্গাব্দের শেষ দিনে রচিত, চৈত্র সংক্রান্তির প্রাক্কালে। এটি একটি প্রতীকী মুহূর্ত—পুরাতন বছরের বিদায় ও নতুন বছরের আগমন। এই পটভূমিতে কবি ব্যক্তি ও সমাজ জীবনের অভিজ্ঞতাকে মিলিয়ে দিয়েছেন।
৫. সমালোচনা ও পর্যালোচনা:
-
শক্তি:
- সময় ও ব্যক্তিগত অনুভূতির সংমিশ্রণ।
- বাস্তববাদী ও অনুভূতিনির্ভর ভাষা।
- শেষের দিকে নাটকীয় ও প্রত্যয়মূলক আবেদন।
-
দুর্বলতা:
- কিছু পঙ্ক্তি বেশি অনুভবনির্ভর হয়ে পড়ায় ভাষাগত ভারসাম্য হারিয়েছে।
- গঠন কিছুটা অগোছালো ও প্রাঞ্জলতাহীন অংশবিশেষে।
৬. মানব জীবনে তাৎপর্য ও গুরুত্ব:
এই কবিতা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়—প্রতিটি বছরই রেখে যায় অভিজ্ঞতার ছাপ, স্মৃতি, আনন্দ ও বেদনা। পুরাতন বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর মধ্য দিয়ে আমরা কেবল সময়কে নয়, নিজেদের রূপান্তরকেও উপলব্ধি করি। কবির আত্মপ্রকাশ, অভিমান এবং প্রত্যয় আমাদের নিজেদের জীবনবোধের সঙ্গেও মিলিয়ে যায়।
নিশ্চয়ই, নিচে কবিতাটির উপর ভিত্তি করে একটি পূর্ণাঙ্গ ব্যাখ্যামূলক প্রবন্ধ তৈরি করে দিচ্ছি, যেখানে কাব্যিক বিশ্লেষণ, রস, প্রতীক, ও মানবিক তাৎপর্য সবই সংযুক্ত থাকবে:
১৪২৩: একটি অন্তিম উপলব্ধি
- আরিফ শামছ্-র কবিতার আলোকে একটি ব্যাখ্যামূলক প্রবন্ধ
ভূমিকা:
বছরের অন্তিম লগ্ন সবসময়ই এক আত্মসমালোচনার মুহূর্ত। সময় চলে যায়, রেখে যায় স্মৃতি, অনুভব আর উপলব্ধির দীর্ঘ রেখা। কবি আরিফ শামছ্ তাঁর “১৪২৩ বঙ্গাব্দ” কবিতায় ঠিক এই সময়টিকে কেন্দ্র করেই এক আত্মপ্রকাশমূলক কাব্য রচনা করেছেন। এটি শুধু একটি কবিতা নয়, বরং এক বছরের জার্নালের শেষ পৃষ্ঠায় লেখা কবির অন্তরের কথা।
কবিতার মূল বক্তব্য:
এই কবিতায় পুরাতন বছর ১৪২৩-এর বিদায় এবং নতুন ১৪২৪-এর আগমনের মাঝে কবি নিজের জীবনের বঞ্চনা, ভালোবাসাহীনতা, এবং অবহেলার চিত্র তুলে ধরেছেন। একদিকে যেমন রয়েছে সময়ের বাস্তবতা (“চৈত্রের সংক্রান্তি, বসন্ত বিদায়”), অন্যদিকে রয়েছে আত্মার বেদনা—“চরম অনাদর, অবহেলা অবশেষে।”
প্রতীক ও চিত্রকল্প:
কবিতায় ‘চৈত্র’, ‘বৈশাখি ঝড়’, ‘৩৬০ ডিগ্রি’, ‘৩৬৫ দিন’, ‘পাথর কান্না’ ইত্যাদি প্রতীক ব্যবহার করে কবি সময়, কষ্ট, এবং অচল-আবেগের গভীর প্রতিরূপ তুলে ধরেছেন।
- “পাথর কান্না”: একদিকে অসাড়তা, অন্যদিকে সংবেদনশীল মনের চাপা আর্তনাদ।
- “৩৬০ ডিগ্রিতে ৩৬৫ দিন”: জীবনের ঘূর্ণিবলয়, যেখানে প্রতিদিনের ক্ষয় ও পরিশ্রমের সঞ্চয় রয়েছে।
রস ও আবেগ:
মূলত এই কবিতায় কারুণ্য রস প্রাধান্য পেলেও এর মাঝে বীর রস-এর এক রূঢ় সুরও শোনা যায়। কবি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে উঠে এসে ভবিষ্যতকে সতর্ক করেন—
“১৪২৪! দেখে প্রস্তুত থাক ততে আজি,
মেনে নিতে এমনি নিষ্ঠুর পরিনতি!”
এখানে রয়েছে এক চ্যালেঞ্জ, এক আত্মসম্মানের দাবি, যা কবিতার পরিণতিকে আরও উঁচুতে নিয়ে যায়।
কবিতার কাঠামো ও ছন্দ:
কবিতাটি মুক্তছন্দে রচিত, অর্থাৎ এর নির্দিষ্ট মাত্রা বা অন্ত্যমিল নেই। এটি কবির স্বাভাবিক আবেগপ্রবাহে গঠিত, যার ফলে পাঠকের মনোযোগ ছন্দ নয়, বরং বিষয়বস্তুর উপর কেন্দ্রীভূত থাকে। এটি কবির সাহসী কাব্যভঙ্গির প্রতিফলন।
সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি:
-
শক্তির দিক:
- সময় ও অনুভবের বাস্তবমুখী রূপায়ণ।
- ব্যক্তিগত যন্ত্রণার সঙ্গে সামাজিক বাস্তবতার সংযোগ।
- পরিণামে উদ্ভাসিত এক আত্মদর্শন ও সতর্কবার্তা।
-
সীমাবদ্ধতা:
- কোথাও কোথাও অল্প বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছে, ফলে ভাষার শৈল্পিকতা কিছুটা কমে গেছে।
- কবিতার শেষাংশে নাটকীয়তা কিছুটা অতিরঞ্জিত মনে হতে পারে।
মানব জীবনে তাৎপর্য:
এই কবিতা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে সময় শুধু ক্যালেন্ডারে নয়, বরং আত্মায় চলে যায়। প্রতিটি বছরের অভিজ্ঞতা আমাদের গড়ে তোলে—আমাদের কাঁদায়, শেখায় এবং পরিবর্তনের দিকে ঠেলে দেয়। কবির অভিজ্ঞতা আমাদের নিজস্ব অনুভবের আয়নায় প্রতিফলিত হয়।
উপসংহার:
“১৪২৩ বঙ্গাব্দ” কবিতাটি শুধু একটি বছরের বিদায় নয়, বরং এটি একটি আত্মজিজ্ঞাসার দলিল। কবি আরিফ শামছ্ কেবল নিজের বেদনা প্রকাশ করেননি, বরং একটি সময়কে ধরে রেখেছেন—তার অন্তর্নিহিত আবেগ, দুঃখ, এবং একটি নতুন বছরের সম্ভাবনার আশঙ্কা নিয়ে। এ কবিতা আমাদের ভাবায়, নাড়া দেয়, এবং নিজের জীবন নিয়ে প্রশ্ন করতে শেখায়।
Credit to ChatGpt
আদৌ আমায় ভালোবাসে কীনা
তোমার লেখা থেকে বুঝতে পারছি — খালেদা তোমার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও গভীর সম্পর্কের মানুষ।
তোমার প্রশ্নটা খুব মানবিক ও কষ্টের ভেতর থেকে আসা — "আদৌ আমায় ভালোবাসে কীনা?"
এই অনুভূতির ভেতরেই অনেক না বলা কথা, অভিমান, ভালোলাগা, ভালোবাসা, দ্বিধা ও অস্থিরতা লুকানো আছে। চলো, আমি তোমার কথাগুলোকেই কবিতার মতো সাজিয়ে দিই — যেন তোমার মনের ভাষা নিজের মতো করে একটা রূপ পায়।
খালেদা
– আরিফ শামছ্
খালেদা, তোমার চোখে কি আছে আমার জন্য একটু আশ্রয়?
নাকি কেবল অভিমান, ঝড় আর রাগের ধোঁয়া?
তোমার জন্ম হয়েছিল
চুপচাপ এক নভেম্বরে—
শীতের সকাল নাকি কুয়াশায় ঢাকা বিকেল ছিল সে দিন,
জানিনা।
আমরা এক হলাম
দুই হৃদয়ের গাঁথুনি দিয়ে,
২০১০ সালের সেই দিনটা—
আমার জীবনের প্রথম অক্ষর তুমি।
তুমি দাখিল পাশ,
জীবনের পাঠশালায়
তিনটি ছেলে আর এক মেয়ের জননী তুমি আজ—
তোমার হাতেই গড়া পৃথিবীটা আজ আমার চেয়েও বড়।
কিন্তু, খালেদা—
তুমি কি কখনো দাঁড়িয়েছিলে আয়নার সামনে,
নিজেকে জিজ্ঞেস করেছিলে—
“এই মানুষটাকে আমি সত্যিই ভালোবাসি তো?”
আমিও তো জানিনা—
ভালো না খারাপ, তুমি কি আসলে?
তোমার রাগে আজকাল শব্দও কাঁপে,
তবুও খুঁজে ফিরি সেই একফোঁটা মমতা—
যেটা হয়তো ভুল করে তুমি ফেলো
চোখের কোণে কোথাও।
মুখের ভাষায়, হৃদয়ের স্পর্শে লেখা:
মুখের ভাষায়, হৃদয়ের স্পর্শে লেখা:
খালেদার কাছে
– তোমার স্বামী
৩০ এপ্রিল ২০২৫
মদীনা, সৌদি আরব
প্রিয় খালেদা,
আজ খুব ইচ্ছে করল তোমার কাছে একটা চিঠি লিখি। জানো, অনেকদিন ধরে নিজের ভেতরের কথাগুলো কেবল বুকের ভিতরেই আটকে ছিল। আজ মনে হল— লিখে ফেলি। যদি কখনও এই চিঠিটা তোমার কাছে পৌঁছায়, তবে হয়তো তুমি বুঝতে পারবে, আমি কেমন করে এখনো তোমাকে দেখি, ভাবি আর অনুভব করি।
তোমার জন্ম হয়েছিল ১৯৯২ সালের ৩০ নভেম্বর। তখন আমি কোথায় ছিলাম জানি না, কিন্তু আজ মনে হয়— ওইদিনই যেন আমার জীবনের একটা অধ্যায় লেখা শুরু হয়েছিল। আর ২০১০ সালে যখন আমাদের বিয়ে হল, তখন বুঝিনি— একসাথে পথ চলা এতটা কঠিন, এতটা গভীর, এতটা প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
তুমি দাখিল পাশ, আমি জানি তুমি চেষ্টা করেছিলে সংসারটা আগলে রাখতে। আমাদের তিন ছেলে, এক মেয়ে— এদের মুখের দিকে তাকিয়ে আজও অনেক কথা চেপে যাই।
কিন্তু তুমি খুব রাগী খালেদা,
তোমার কথার আগুনে আমি কতবার পুড়েছি জানো?
তবুও জানি না— তুমি ভালো না খারাপ।
এমনকি এটাও বুঝি না—
তুমি আদৌ আমাকে ভালোবাসো কি না।
এই না জানাটাই আজ সবচেয়ে বেশি কষ্ট দেয়।
আমার মন চায়— তুমি একদিন নির্ভেজাল ভালোবাসায় বলবে,
“তোমাকে ছাড়া আমি কিছু না।”
তুমি কি সেটা কোনোদিন বলবে?
আমি জানি না তুমি এই চিঠি কখনও পড়বে কি না।
তবে জানো, আমি এখনো অপেক্ষা করি—
একটা নির্ভেজাল হাসির,
একটা আদরের ছোঁয়ার,
একটা চোখ তুলে বলার— “আমি আছি, তোমার জন্যই আছি।”
ইতি,
তোমার এখনো অপেক্ষমাণ স্বামী
আরিফ
নূরে জান্নাত ফাতিমা
ধূসর প্রেম--- আরিফ শামছ্
"ধূসর প্রেম" — এই কবিতাটি যেন আপনার তরুণ বয়সের সবচেয়ে গভীর, সবচেয়ে ব্যথাতুর চিঠি।
৩০ আগস্ট ২০০১—প্রেমের সেই প্রারম্ভিক মুহূর্তে যখন হৃদয়ে রং ছিল, কল্পনা ছিল, স্বপ্ন ছিল—তখনই এই লেখা।
এই কবিতার ভাষা অন্য তিনটি কবিতার তুলনায় অনেক বেশি রূপক, বিমূর্ত, আর কাব্যিকভাবে পরিণত।
"জীবন জাগার গান কবে কার, পথ হারালো কিসে?"
"ব্যাথার দানে বিঁশের বাঁশি, বাজায় এ কোন সুন্দরী!!"
এমন পংক্তি যেন কবি নিজেই হারিয়ে গেছেন নিজের প্রশ্নের ভেতর।
হৃদয়ের অতল গহ্বরে অতন্দ্র প্রহরী সেজে,
সহাস্য কলতান সঙ্গী হয়ে; জীবন নদীর তীরে।
এ কেমন আগমন তব? মনোবাসনার এমনি প্রকাশ;
সহজ অংকটি তোমার বুঝেনাতো সে, আজো ম্রিয়মাণ।
সাধণার মানবী, ভালবাসার উৎসারিত ঝর্ণা;
কেন জাগালে হৃদয়ে তাহার, দ্বারে দিতে ধর্ণা।
পাবনা এ অলীক কথার পুষ্প কভু জাগবেনা?
পেয়ে যাবো এমন ধারার ঊর্মি কি আর ডাকবেনা?
সবি জানে আসবে কবে, যিনি চালায় কালের চাকা,
ভালবাসার প্রতীকটুকু, তোমার প্রেমে হবে আঁকা।
প্রেম পিয়াসী এ হৃদয়ে ঢালবে প্রেমের বারিধারা,
জীবনটারে ফিরিয়ে দিয়ে, আরো দিবে পূর্ণতা।
বুঝতে কিনা পারো মনে বাস করে সে কোন পরী?
ব্যাথার দানে বিঁশের বাঁশি, বাজায় এ কোন সুন্দরী!!
জীবন জাগার গান কবে কার, পথ হারালো কিসে?
ফিরিয়ে দেয়ার ঢালিখানি, বাঁধ সাধিল শেষে।
জানতে চাহে ঢাললে তুমি, কোন্ মদিরা এই পিয়ালায়?
পথ চলিতে, পথ হারিয়ে, কোন্ কারণে পথ ভূলে যায়?
চাইনি কভু এমন ধারা, তবু কেন আসলো ঘিরে!
এই অবসাদ; হতাশ মিছিল ; ভালবাসা চাই কি বলে?
আশার স্বপন, হৃদয় কাঁপন, সব মিলিয়ে ছন্দ পতন!
পাব নাকি হৃদয় তলে; কভু প্রমের বর্ষাবরণ!
ফোটবেনা কি প্রেমের ফুলে, ভালবাসার কোমল ছোঁয়া,
ব্যাথার ধূসর ধূলি-বালী ; তোমার প্রেমে হবে ধোঁয়া!!
x
শুক্রবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৫
শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫
প্রিয় তোমায় _আরিফ শামছ্
তোমার তরে,
পূর্ণ হিয়া মজেছে যে, প্রেম সাগরের
অতল তলে,
তৃষা তৃষা মরুতৃষা, মরুভূমির
চারণভূমে,
একটু সুখের পরশ লাগি,
হারায় মরন ঘুমে।
তোমার প্রেমে পাগল-পারা,
হয়যে কেবল দিশেহারা,
ভালো করে পথের ধারা,
ধরতে বেলা সারা।
ভোরের পাখি মধুর সুরে,
তোমার কথা যায় স্মরে,
পূবাকাশে রোদের মেলা,
অভিমানী মেঘের ভেলা।
নিরাক পড়া ভর দুপুরে,
মানব বিহীন বিজনভূমে,
সবুজ পাতার আঁড়াল থেকে,
মধুর সুরে কোকিল ডাকে।
খুঁজছে রবে, ভাবছে কবে,
প্রিয় তোমায় দেখবে সবে,
তোমায় পেলে ধন্য হবে,
জীবন মরণ সফল ভবে।
হাতিরঝিল,
ঢাকা।
Chatgpt Said:
এই কবিতাটা—"প্রিয় তোমায়"—ভালোবাসার এক নরম, কোমল চিঠি যেন, যা কেবল হৃদয় দিয়েই পড়া যায়।
আপনি যখন লিখেছিলেন ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে, ঢাকার হাতিরঝিলে বসে, তখন সেই ভালোবাসা আজও কতটা অমলিনভাবে টিকে আছে—তা সত্যিই অসাধারণ।
“তোমার প্রেমে পাগল-পারা,
হয়যে কেবল দিশেহারা...”
এই পংক্তি যেন এক অনুভবময় স্বীকারোক্তি। ভালোবাসা, অভিমান, আকাঙ্ক্ষা—সব একসাথে মিশে আছে প্রতিটি লাইনে।
অগোছালো কবিতা ___আরিফ শামছ্
নীরবে অশ্রু বিসর্জন,
সোনালী স্বপ্ন, আশাতরী ভগ্ন,
হারানোর অর্জন!
আছো বেশ, থেকো সুখে,
শান্তির উপকূলে,
মিষ্টি দিনগুলো, স্মৃতি সুখে,
পুঁজি করে।
বেলা যায়, বেলা যাবে,
অবলার হৃদি চিঁড়ে,
চৈতালী রোদে ফাঁটা,
মন-মাঠ চৌঁচিড়ে।
হৃদি রয় হৃদয়ের
ঠিক তার চারিধারে,
আছে কার সাধ্যি,
ফিরিয়ে নেবে তারে!
কথা নাই কতোদিন,
কথা হয় প্রতিদিন!
বেলাগুলো আমাদের,
সুখকর রাতদিন।
দেহ রয় দেহ হতে,
দূর থেকে বহুদূরে,
দেখা নাই কতোদিন!
দেখা হয় প্রতিদিন।
কারাগার দুইদেশে,
বাস করি আনমনে,
মন খুঁজে মনটারে,
আপনার প্রয়োজনে।
ভাবি ঠিক ক্ষণিকে,
বিজলীর গতিতে,
সুখরেখা আছে কী,
ঠোঁটদ্বয়ের প্রান্তে।
সুখী হও সুখে রও,
এই তো অভিশাপ!
শান্তির নীড়ে রও,
ভূলে সব পরিতাপ।
মাঝে মাঝে ব্যথা হয়,
হৃদয়ের গভীরে,
কী আছে, কী নেই,
বলি কা'রে কী করে!
হৃদয়ের শূন্যতা,
পাবেনা পূর্ণতা,
এই দেখো জীবনের,
অগোছালো কবিতা!
৩১/০৫/২০২৪
মদীনা,
সউদী আরব।
এই কবিতাটি—"অগোছালো কবিতা"—নামে ঠিক যেমন, অনুভবেও তেমন। যেন একজন মানুষ নিজের ভেতরের অগোছালো ব্যথাগুলো কাগজে ছড়িয়ে দিয়েছে, বিনা সাজে, বিনা বাঁধনে, অথচ একেবারে সত্যি।
“ভালোবাসা,
নীরবে অশ্রু বিসর্জন,
সোনালী স্বপ্ন, আশাতরী ভগ্ন,
হারানোর অর্জন!”
এই চারটি লাইনেই পুরোটাই ধরা—প্রেমের নিরবতা, কষ্ট, প্রত্যাশার ভাঙাচোরা বাস্তবতা।
আর এইটা—
"দেহ রয় দেহ হতে,
দূর থেকে বহুদূরে,
দেখা নাই কতোদিন!
দেখা হয় প্রতিদিন।"
এটা এমন একটা অনুভূতির প্রকাশ, যা কেবল কেউ হারিয়ে ফেলেছে বলেই বুঝতে পারে।
আপনার কবিতাগুলো শুধু ব্যথা নয়—এই ব্যথাকে সাহস করে কবিতায় রূপান্তর করার এক অসাধারণ মানসিক শক্তির প্রকাশ।
সোমবার, অক্টোবর ২৮, ২০২৪
এআই (AI) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence) কি?
ChatGpt: এআই (AI) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence) হল এমন একটি প্রযুক্তি, যা কম্পিউটার এবং মেশিনকে মানুষের মতো চিন্তা করতে, শিখতে এবং সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম করে। এটি এমন একটি সিস্টেম, যা ডেটা বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে এবং কাজ করতে পারে, যা সাধারণত মানুষের বুদ্ধিমত্তার প্রয়োজন হয়।
চ্যাটজিপিটি (ChatGPT) কি?
চ্যাটজিপিটি কি?
- অক্টোবর 2025 (31)
- সেপ্টেম্বর 2025 (12)
- আগস্ট 2025 (25)
- জুলাই 2025 (16)
- জুন 2025 (29)
- মে 2025 (14)
- এপ্রিল 2025 (10)
- অক্টোবর 2024 (8)
- জুলাই 2024 (1)
- জুন 2024 (8)
- মে 2024 (10)
- এপ্রিল 2024 (1)
- মার্চ 2024 (5)
- ফেব্রুয়ারী 2024 (1)
- জানুয়ারী 2024 (15)
- ডিসেম্বর 2023 (38)
- নভেম্বর 2023 (41)
- অক্টোবর 2023 (68)
- সেপ্টেম্বর 2023 (12)
- আগস্ট 2023 (4)
- জুলাই 2023 (13)
- জুন 2023 (11)
- মে 2023 (14)
- এপ্রিল 2023 (19)
- মার্চ 2023 (4)
- ফেব্রুয়ারী 2023 (22)
- জানুয়ারী 2023 (2)
- ডিসেম্বর 2022 (1)
- অক্টোবর 2022 (1)
- সেপ্টেম্বর 2022 (2)
- আগস্ট 2022 (3)
- জুলাই 2022 (1)
- জুন 2022 (1)
- মে 2022 (3)
- এপ্রিল 2022 (1)
- ফেব্রুয়ারী 2022 (1)
- অক্টোবর 2021 (1)
- সেপ্টেম্বর 2021 (5)
- জুলাই 2021 (1)
- জুন 2021 (4)
- মার্চ 2021 (1)
- সেপ্টেম্বর 2020 (4)
- জুলাই 2020 (1)
- জুন 2020 (10)
- মে 2020 (39)
- এপ্রিল 2020 (14)
- মার্চ 2020 (1)
- ডিসেম্বর 2019 (60)
- অক্টোবর 2019 (40)
- জানুয়ারী 2018 (1)
- নভেম্বর 2015 (7)
- সেপ্টেম্বর 2015 (1)
- নভেম্বর 2014 (7)
- ডিসেম্বর 2011 (2)
- মে 2011 (2)
- এপ্রিল 2011 (5)
-
সাহিত্যের জাগরণ "সাপ্তাহিক সেরা সাত" আসসালামু আলাইকুম। "সাহিত্য হোক নতুনত্বের বারিধারা- সাহিত্য হোক সৎ সভ্যতার কথা বলা।...
-
হামাস-ইসরায়েল সংঘাত, আরেকটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মুখোমুখি হচ্ছে বিশ্ব? | Israel-palestine Crisis ফিলিস্তিনি-ইসরাইল নতুন যুদ্ধ || প্রতিশোধ নেও...
-
বিশ্বব্যাপী স্ট্রোক একটি প্রধান মৃত্যুর কারণ, এবং কাজের সম্পর্কিত কারণে এর একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ঘটে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং আন্ত...
ভালবাসি দিবা-নিশি _সূচীপত্র
আধুনিক প্রতিযোগিতার যুগে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও ক্যারিয়ার গঠনের দিকনির্দেশনা
শিরোনাম: আধুনিক প্রতিযোগিতার যুগে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও ক্যারিয়ার গঠনের দিকনির্দেশনা লেখক পরিচিতি: নাম: আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া (আরিফ শামছ্)...




