শনিবার, ডিসেম্বর ৩০, ২০২৩

৭৬। প্রেমের ফাঁদে




মিথ্যার বেসাতি আর করবে কতো,
কত জীবন করবে এলোমেলো!
তোমার পথ নয়তো জানা, যাবে কোথা?
তাই বলে যার, পথ আছে তার,
চলতে বাধা!
ভালবাসা আর প্রেমের ফাঁদে,
ফেলছ কতো, নিজের লাভে,
জাহান্নামের কোন কিনারায়,
পৌঁছে দেয়ার কোন্ ঠিকাদার ।
সবুজ গাছের নীচে,
দূর্বা কোমল ঘাসে,
এক্কেবারে বসে আছো ঘেষে,
হে যুবক! বলছি তোমাকে,
কি তার পরিচয়? কে সে?
তোমার পাশে মন্ত্রমুগ্ধের মতো।
প্রেমের আধার যতো!
মোহমায়ার কোহকিনী,
হাজার মায়ার ছলচাতুরী।
নগদ হিসাব, নয়রে বাকী,
স্বপ্ন দেখায়, স্বপ্ন দেখে,
দিবা-নিশি নেই বিরতি।
কোথা হতে কেমন করে,
বসলো জুড়ে, মনের দোরে,
কোন খেয়ালে, পড়লো বাধা,
রয়বে কদিন, কজন জানে!
কোকিল কুজন বিজন বনে,
সবুজ পাতার আঁড়াল ডালে,
ডাকছে বেলা দুপুর সাঁঝে,
সব হৃদয়ে, ঝড় তুলে দে।
মনের দুঃখে গান ধরে সে,
হৃদয় পুরে ঢেউ খেলে,
নেয় যে কখন অচিনপুরে,
সাথীহারার সুর কে বুঝে?

----আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া।
২৫/১১/২০১৭ ঈসায়ী সাল।
মধুবাগ, বড়মগবাজার,
রমনা, ঢাকা

৭৫। অস্তিত্বের ভিত্তিমূলে শিক্ষক










সাধারণ লেখাসব, অসাধারণ হয়ে ওঠে, আপনাদের আশীর্বাদে।
আমার অস্তিত্বের সব ভিত্তিমূলে,
নিরলস, নির্মোহ, পরিশ্রম জ্বলজ্বলে।
শীতের সকালে, শিশির মাড়িয়ে,
আঁকা-বাঁকা, উচু-নীচু পথ বেয়ে,
কিছুটা উৎকন্ঠা, চিরচেনা ভয়ে,
শেখার আগ্রহ সাথে করে দ্বারে।
দক্ষিনের ঘরে, লম্বা টোলে একাকি বসে ধারে,
নিরলস ভাবে, কত সহজে,
বুঝাতেন গণিত শেষে।
শ্রদ্ধেয় নিখিল স্যার!
আরামের ঘর, বিছানা ছাড়িয়া,
বলিতেন "আরিফ বসো"!
দিল খোলা সে, আদরে ভরা,
আর কি শুনিব কভু।
বাংলায় ভাল নাম্বার পেতে
লাগবে ভালো হাতের নোট,
কোথায় পাবো, দিশেহারা হয়ে,
ভেবে নাহি পায় কূল।
ক্লাশের ফাঁকে, অনুরোধ মোর,
শোনেন প্রিয় স্যার নজরুল,
কচি হৃদয় মোর নাচিয়া উঠিল,
পেয়ে নোট সব অতুল।
আজো ভাসে মোর নয়ন জুড়িয়া,
সুন্দর লেখাগুলো,
কত কষ্ট, ত্যাগের মহিমায়,
স্নেহাদরে সব সাজালো।
পল্লী সাহিত্য, প্রত্যুপকার, পল্লী জননী, আরো কতো কবিতা-প্রবন্ধ,
সব প্রশ্নের জবাব সাজালেন,
দেহ-মন মন্ত্রমুগ্ধ।
"নেই ভাবনা, লিখে দিব সব,
ক্লাশের অবসরে,
ভাল করে, নিও পড়ে, বানান সহ,
যখন হাতে পাবে"।
বাংলায় নম্বর, লেটারের ঘর ছুঁই ছুঁই,
কীযে ভালো লাগা!
কেমন করিয়া, জানাব সালাম,
বিনম্র শ্রদ্ধামালা।
ভূগোলে লেটার পেতে হলে সবে,
গনিত, চিত্র ভাল পারা চায়,
শতভাগের বেশি যত্ন করে,
শিখালেন প্রিয়, আবু জাহের স্যার।
গ্রামারের মারপ্যাঁচ, ছোট্ট্র মনে,
ঘুরিয়া ফিরিত সব সময়,
কতবার সাদরে, বুঝিয়ে দিতেন,
বার বার ফিরিত, সে অজানা ভয়।
ঢাকা থেকে আগত, গ্রামের ছেলে,
সুপ্রিয় ইংরেজী স্যার।
কতনা সহজ করিয়া বুঝাতেন,
ইংরেজির ভয় কাটিল সবার।
সুপ্রিয় ইংরেজি স্যার,
মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ,
চিনিত সবাই, সৈয়দ স্যার, নামে,
ভয়ে মরিত, নাজানি কখন,"
কোন্ সন্ধ্যারাতে হাজির হয়ে,
চলবে জনে জনে কৈফিয়ত।
"ধর্মতে ভালো নাম্বার পেতে ,
সুন্দর করে সব লিখিবে,
সব ধরনের প্রশ্ন থাকুক,
আসবে লিখে সবই শেষে"।
সহজ, সরল, বিশাল মনের,
শ্রদ্ধেয় আব্দুল মতিন স্যার,
সলাজ হাসি, আদরে মাখা,
ভূলিতে না পারি কথামালা।
মায়ের আদরে, বোনের ছায়ায়,
পড়েছি কতো, বেলা অবেলায়,
পরমা শ্রদ্ধেয়া বীথি ম্যাডাম,
সকল আপুমণি।
আদরে শাসনে করিয়াছে বড়,
আজো নয়নমণি।
সুপ্রিয় শ্রদ্ধাভাজন হেড স্যার,
মোহাম্মদ ফরিদুর রহমান।
ভিতরে বাহিরে শত বেড়াজালে,
নানাবিধ জঞ্জালে,
যুদিষ্ঠীর, বীর, মহাবীর যেমনি রণাঙ্গনে।

------ আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া
কৈফিয়তঃ
শ্রদ্ধেয় স্যার! শাব্দিক অযোগ্যতা, ছন্দের অপূর্ণতা, কাব্যিক সুধার অনুপস্থিতি শতভাগ ব্যর্থ আপনাদের প্রকৃত পরিচয় তুলে ধরতে। আপনাদের এক ফোঁটা ঘামের বিপরীতে শুধুমাত্র একটি মহাকাব্য নয়, মহাকাব্যগ্রন্থ যেনো অপূর্ণ। আপনাদের এক চিলতে ভালোলাগা, আত্ম-তৃপ্তি, দু-দন্ড শান্তি, আমাদের জীবনের মহা আনন্দের উপলক্ষ্য। আপনাদের নেক বাসনা বাস্তবায়নে সফল হওয়ার জন্য আমরা সবাই দোয়া চাই।







৭৪। বাঙ্গালীর স্বাধীনতা



প্রাণের চাওয়া, বাংলাদেশী নয়, বাঙ্গালীর স্বাধীণতা,
খুঁজেফিরি কোথায় আছে, মোদের হৃদয়- ত্রাতা!
কেঁড়ে নিয়ে প্রাণ লুটিল বৃটিশ বেনিয়া,
পরাধীনতার মোড়কে পেলাম কেমন স্বাধীনতা!
বঙ্গবঙ্গ নাটক করে পায়নি কোন কূল,
বঙ্গবীরের সিংহ নাদে, হেয় হারালো ভূল।
বঙ্গভঙ্গ রদ হলযে, ফিরল শান্তি নিয়ে,
সুখের আসর ভেঙ্গে দিতে, লাগলো আবার পিছে।
ভাষা দিয়ে ভাঙতে তারা পারেনি মহাভারত,
ভাঙলো শেষে, ধর্ম দিয়ে পাকিস্তান ও ভারত।
সফল হলো চিরশত্রু বৃটিশ গড়া নকশা,
ভাঙলো আশার তরী সবার, সকল স্বপ্ন-খাসা।
পূর্ব পশ্চিম পাকিস্থানে, আবার এলো ভাষা,
ভাষার দোহায়, দানা বাঁধে, নতুন করে বাঁচা।
পুরনো চালে, নতুন ফাঁদে, পড়লো পুরো জাতি,
মুখের ভাষা, রক্ষা করে, আনলো বিজয় সবি।
ভাষার স্বাধীনতার পরে জাগে বাঁচার স্বাধীণতা,
আনলো করে সবাই মিলে, দেশের স্বাধীনতা।
রয়লো পড়ে দূর নিকটে জাতির স্বাধীনতা,
পথ হারিয়ে পথ ভূলে ফের, হারায় একতা।
বলতে পারো, প্রাণের দেশে নেইকি ধর্ম,ভাষা, বর্ণ!
শাসক শ্রেণী গায়ের জোড়ে, করবে কি সব ছিন্ন -ভিন্ন!
হাজার জনের দেশ গড়িয়ে, গড়বে অনেক দেশ,
প্রাচীন ভারত দেখবে সবে, মারামারি বেশ।
রাখো সবার ঊর্ধে আজি প্রিয় জন্মভূমি,
বাঁচার তরে, শিখবে ভাষা দেশী বিদেশী।
শত্রু যেনো পায়না সুযোগ, ভাঙতে প্রিয় বাংলাদেশ,
জাতি ধর্ম সব ভেদাভেদ ভূলে গড়ি সোনার দেশ।
মধুবাগ, বড়মগবাজার,
রমনা, ঢাকা।
[স্বাধীনতার বিপক্ষে নয়, বরং শাসক শ্রেণীর স্বেচ্ছারিতা, অদূরদর্শিতা এবং গোয়ার্তুমির যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে।]

- আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া
১৯/১১/২০১৭ ঈসায়ী সাল।

৭৩। আবে হায়াত



দেখছো খোকা, আকাশ পরে,
জ্বলছে রবি কেমন করে।
বিলায় আলো ধরাধামে,
সবার উঠান, ফসল-ভূমে।
চাঁদ জাগে তার নিয়ম মেনে,
লক্ষ্য তারার মেলা করে,
ঘন কালো আঁধার পালায়,
আলোর ধারা বয়ছে ধরায়।
রূপের বাহার দেখতে পাবে,
হরেক ফুলে, ফুল বাগানে,
সুবাস বিলায় উজাড় করে,
প্রাণ মাতিয়ে, নয়ন জুড়ে।
তাকাও সবুজ বৃক্ষদলে,
ফল ও ছায়া, ফুলের মাঝে।
রাখছে কেমন আপন করে,
শ্রান্তি-ক্লান্তি, দুঃখ -সুখে।
তোমরা সবাই রবির মতো,
ওঠবে জ্বলে জ্ঞানের আলোয়,
চাঁদের মতো আঁধার রাতে,
পথ দেখাবে নিতুই।
বাগান সবুজ বৃক্ষ তরু,
ফুল, ফসলের মতো,
অবাক সবাক সকল প্রাণে,
আবে হায়াত রেখো।


-------------আরিফ ইবনে শামছ্

বিপ্লবী - আরিফ শামছ্

" বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিবার (বাসাসপ)" এর নিয়মিত আয়োজন- ‌★ "কলমের তেজ" হলোঃ কবিঃ- আরিফ শামছ্ কবিতাঃ- বিপ্লবী  


বিপ্লবী

আরিফ শামছ্
আমি বিপ্লবী, বিদ্রোহী!
ভীরু-কাপুরুষ নহে কোন,
যুদ্ধং দেহ-মনে, ফিরিয়া আনিব,
চিরশান্তি অবনীর।
যুগ-যুগান্তে, দেশ-দেশান্তে,
জাতি, উপজাতি, গোষ্ঠী জ্ঞাতে,
শান্তির মহাবীর।
আমার আমিতে, বিশ্ববাসী,
অরুণ, তরুণ, যুবক, যুবতী;
শান্তিকামী, সংস্কারক, চিরসংগ্রামী,
স্রষ্টা ও সৃষ্টির সীমাহীন শক্তি,
নুতন করিয়া গড়িয়া তুলিব,
স্বাধীন, বিশ্ব-ভূমি।
দু'পায়ে দলিব লোভের বাসনা,
পৈশাচিক নৃত্য-তান্ডবলীলা,
বাঁধা বিপত্তি, পথেঘাটে যতো;
উলঙ্গ করিয়া ধরিব তুলিয়া,
ভন্ড, মুনাফিক, সব জালিমেরা,
স্বাধীন, স্বাধিকার হরণ করিছে কতো!
বলে শান্তির বাণী,
অপকৌশলে, শান্তির আঁড়ালে,
জাতিতে জাতিতে মারামারি,
ধ্বংস বিধ্বংস, বিবেকহীনতা,
কতো নির্মম ছলচাতুরী!
করি ছিন্নভিন্ন, অন্যায়, অসত্য,
জুলুমের ভীত, করি সঙ্গীহীন, সত্য।
মজলুমেরা সবে ভাই ও বোন,
দেশ, কাল, ভেদ-বিভেদ না জানি,
জানি ওরাই স্বর্গ, ওরাই মর্ত্য।
সুখের রাজ্য করিয়া বিশ্ব,
সেইদিন হবো শান্ত।
ধর্মে ধর্মে, মানুষে মানুষে,
রণ ছেড়ে হবে ক্ষান্ত।
আমি বিদ্রোহী! বিপ্লবী!
সেইদিন হবো জ্যান্ত।
আমি অতন্দ্র প্রহরী শান্তির,
প্রতিনিধি বিশ্ব-বিধাত্রীর।
______________



৭২। বিশ্বাসের হারজিত






ভালবাসা অভিনয়, ভালবাসা ভাল নয়,
ভালবাসা জীবনে ক্ষত হয়ে গেঁথে রয়।
নেই কোন দন্ড, মেপে নিব অন্ত, ভালবাসে ভালবাসি, তন্ত্র-মন্ত্র।
ভাল লাগে রুপ সুধা, করি পান অফুরান,
স্নিগ্ধতা চাহনীর, খুন করে কাঁড়ে প্রাণ।
ভাষাহারা নির্বাক, নিশ্চুপ চুপ চুপ,
গোলাপী গন্ড, পাঁপড়ি ছোপ ছোপ।
কাল কেশ, লাগে বেশ, উড়ছে তো উড়ছে,
চাঁদমুখে বাতাসে, দোল খেয়ে খেলছে।
সচেতন আঙ্গুল সযতনে সরিয়ে,
মুগ্ধতা বাড়িয়ে, কাছে টানে সহজে।
শিশিরে স্নাত হওয়া, ফোটা ফুল সদ্য,
সোনালী কিরণে, অপরূপ পদ্ম,
নিষ্পাপ নিশ্চিত, পাপ নেই কিঞ্চিৎ,
ভালবাসে-ভালবাসি, বিশ্বাস- হারজিত।
রচনাকালঃ
--------- আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া।


১২/১১/২০১৭ ঈসায়ী সাল।
১৪/ডি, মধুবাগ,
বড়মগবাজার, রমনা,
ঢাকা।
All reactions:
You and ৩ others

ভালবাসি দিবা-নিশি _সূচীপত্র

কপিরাইট আইন: জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট, লঙ্ঘনের কারণ, সমস্যা ও সমাধান

📄 প্রবন্ধ শিরোনাম: “কপিরাইট আইন: জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট, লঙ্ঘনের কারণ, সমস্যা ও সমাধান” ✍️ লেখক: আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া (আরিফ শামছ)...