মঙ্গলবার, জুন ০৩, ২০২৫

তুমি আমার রব, আমি তোমার প্রেমিক

📜 কবিতা ৭: 

✍️ কবি: আরিফ শামছ্
📅 তারিখ: ৩১ মে ২০২৫
📍 স্থান: রিয়াদ, সৌদি আরব
(অধ্যায় ৪: প্রেম ও পূর্ণতা)

তুমি আমার রব —
চিরন্তন, নির্ভরতার একমাত্র নাম।
আর আমি?
আমি একজন প্রেমিক,
যে ভুল করেও
বারবার তোমার প্রেমেই ডুবে যায়।

এই প্রেমে নেই কোনো দুনিয়াবি দাবি,
নেই ফুরোবার ভয়,
কারণ তুমি যখন প্রেম দাও,
তা হয় —
রহমতের মতো ধীর,
তাওবার মতো নিঃশর্ত।

তোমার নামেই আমার হৃদয়ের সব আবেগ,
"ইয়া আল্লাহ্", "ইয়া ওয়াদূদ" —
এই ডাকগুলো
রাত্রির নিঃস্তব্ধতায়
আমার প্রেমপত্র হয়ে উঠে।

তুমি জানো,
আমি কীভাবে ভালোবাসি —
সেজদার গভীরে,
তাকওয়ার তৃষ্ণায়,
তোমার কাছে নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে।

তুমি আমার রব,
আমি তোমার প্রেমিক,
এই সম্পর্কের মাঝে
নেই কোনো শর্ত,
নেই কোনো ভাঙন —
শুধু চিরন্তন এক আত্মিক বন্ধন।
---

তাওবার রাত

📜 কবিতা ৬: 
📅 তারিখ: ৩১ মে ২০২৫
📍 স্থান: রিয়াদ, সৌদি আরব

(অধ্যায় ৩: কান্না ও ক্ষমা)

রাত গভীর, চারদিক নিস্তব্ধ,
তবু আমার ভিতরে চলেছে ঝড়।
চোখের জলে ভিজে যাচ্ছে বালিশ,
আর হৃদয় বলছে—
"হে প্রভু, তুমি ছাড়া আমার আর কেউ নেই।"

আজ আমি ফিরতে চাই,
সব পাপের গ্লানি নিয়ে,
সব ভাঙা অঙ্গীকার,
ভুলে যাওয়া ফরজ,
অমার্জিত বেপরোয়া দিন—
সব নিয়ে ফিরে এসেছি তোমারই দিকে।

এই তাওবার রাত,
তোমার কাছে আমার প্রথম কান্না নয়,
তবে হতে পারে
নতুন করে শুরু করার সত্যিকারের রাত।

আমি জানি না তুমি ক্ষমা করবে কিনা,
কিন্তু আমি জানি —
তুমি “আল-গফুর”,
আর আমি সেই অপরাধী
যে বারবার ভুলেও
তোমার দয়ার দিকেই ফিরে যায়।

তোমার রহমতের দরজা খোলা থাকুক আমার জন্য,
এই রাত, এই কান্না, এই ডাকা —
ফিরিয়ে দিও না,
হে আমার রব, এই তাওবার রাতেই
আমার জীবন ফিরে পাক।
---

যখন আমি ভেঙে পড়ি

📜 কবিতা ৫: 
(অধ্যায় ৩: কান্না ও ক্ষমা)

যখন আমি ভেঙে পড়ি —
ভিতরে ভিতরে, শব্দহীনভাবে,
তখন কেউ টের পায় না,
কিন্তু তুমি জানো,
হে আল্লাহ্‌, তুমি জানো।

লোকজন ভাবে— আমি ঠিক আছি,
মেসেজে হাসি, ছবিতে আলো,
কিন্তু তুমি দেখো
ছায়ার ভিতরে ভাঙা ছায়া,
আত্মা যখন নিঃশব্দে কাঁদে।

আমি যখন ক্লান্ত —
পরিচিত মুখগুলোর মুখোশ দেখে,
তুমি তখন আমায় জড়িয়ে নাও,
একটি নীরব দোয়ার ভিতর,
একটি নিঃস্ব শব্দে — "ইয়া রব!"

আমি মানুষ, আমি ভুল করি,
আমি লজ্জিত, আমি অপরাধী,
তবু ফিরে যাই তোমার দিকেই,
কারণ আমি জানি —
তোমার দরজা কখনো বন্ধ হয় না।

তুমি ছাড়া কে আছে আমার?
এই অন্তহীন ক্লান্তির ভিড়ে
তোমার রহমতই একমাত্র আশ্রয়।
তুমি আছো বলেই আমি টিকে আছি,
ভেঙে পড়েও উঠে দাঁড়াই — শুধুই তোমার নামে।

---

সেজদার ভাষা

(আল্লাহ্‌ ও আমি: কবিতা ৪)

আমি যখন কিছুই বলতে পারি না,
তখন সেজদা-ই হয় আমার ভাষা।
নীরব ঠোঁট, বিক্ষিপ্ত বুক,
তবুও তুমি শুনে ফেলো
অশ্রুর প্রতিটি উচ্চারণ।

তুমি জানো,
আমি কেন ভেঙে পড়েছি আজ,
ফরজ নামাজের ভেতর
একেকটি দীর্ঘ নিঃশ্বাসের মানে —
তুমি জানো, আমি না বললেও।

হাত তোলে সবাই,
চাওয়ার তালিকা বড় লম্বা,
কিন্তু আমি শুধু চেয়েছি
তোমার কাছে নিজের ভাঙা অস্তিত্ব জমা দিতে।

তুমি যখন বলো:
"আমি আছি, ভয় কোরো না",
তখন হঠাৎ সব চিন্তা স্তব্ধ হয়ে যায়,
সেজদার ভেতরেই পাই
সারা জীবনের উত্তর।

চোখে অশ্রু, মনে তুমি,
এটাই তো আসল সংযোগ,
তুমি আছো বলেই সেজদা জীবন্ত,
আর আমি,
একজন ক্ষুদ্র মানুষ,
তোমার দয়ার ছায়ায় অমর।

আমি, প্রযুক্তি আর তুমি

(আল্লাহ্‌ ও আমি: আধুনিক আত্মা ও চিরন্তন রবের কথোপকথন — কবিতা ৩)

ওই যে ক্লাউডে সব মেমোরি জমা,
তবু মনের কিছু ফোল্ডার খালি।
হার্ডডিস্কে ছবি, শব্দ, গান,
কিন্তু আত্মা চায় —
তোমার করুণা, একটুখানি!

চার্জার খুঁজে ফিরি প্রতিদিন,
ফোনে ব্যাটারি না থাকলে অস্থিরতা,
কিন্তু অন্তরের চার্জ শেষ হয়ে গেলে?
কে রিচার্জ করে —
তুমিই তো, ইয়া হাইয়্যু, ইয়া কাইয়্যুম!

ফেক প্রোফাইল, সাজানো ছবি,
জীবন যেন একটা ফিল্টার-চিহ্নিত বাস্তবতা।
কিন্তু সেজদায় কাঁদলে,
তোমার সামনে কোনো ফিল্টার চলে না,
তুমি জানো— আমি কে, আমার অন্তর কেমন।

হ্যাশট্যাগে বদলায় ট্রেন্ড,
জীবনেও বদলায় উদ্দেশ্য।
কিন্তু তোমার দয়া —
চিরন্তন, অচঞ্চল,
যা বদলায় না, ভুলে যায় না কখনো।

তোমার সাথে সংযোগের জন্য
Wi-Fi লাগে না, MB ফুরায় না,
শুধু চাই —
একটি খাঁটি মন,
একটি সরল আহ্বান:
"ইয়া আল্লাহ্‌, আমাকে ক্ষমা করো!"

আলোর উৎস

(আভূতপূর্ব একটি ঈমানি কবিতা)

সকালে ঘুম ভাঙে,
মোবাইল হাতে — স্ক্রিনে আলো,
নটিফিকেশনে ভেসে আসে দুনিয়া,
কিন্তু হৃদয়ে তখনো আঁধার জমে…
আল্লাহর নাম না নিলে শুরুই তো অসম্পূর্ণ!

চলছি ব্যস্ত ট্রাফিকে,
হর্নের চাপে চাপা পড়ে মন,
কালারফুল বিলবোর্ডে চোখ যায়,
তবু মনে পড়ে,
সবচেয়ে উজ্জ্বল রঙ তো
জান্নাতের — যে দেয় শুধুই আল্লাহ।

চা হাতে, একা বারান্দায়,
মেঘলা আকাশের দিকে তাকিয়ে বলি,
“হে আমার রব,
এমন শান্তি আর কোথায় পাব?”
তুমি না থাকলে, আমি কে?

ফেইসবুক পোস্টে দুঃখ ঢাকি,
ইনস্টাগ্রামে হাসি সাজাই,
কিন্তু রাতের নির্জনে —
তাকওয়ার কান্না আর তওবার অশ্রু
তুমি ছাড়া কে দেখেন, প্রভু?

ডিজিটাল শব্দে জীবন জমজমাট,
তবু নিঃশব্দে —
একটুখানি সেজদা,
পুরো পৃথিবীর চেয়ে বেশি শান্তি দেয়!

তুমি আছো বলেই বেঁচে আছি,
তুমি আছো বলেই ভালোবাসা এখনো পবিত্র,
তুমি আছো বলেই
ভবিষ্যতের প্রতি আশা রেখেছি—
কারণ তুমি আল-রহমান, আল-নূর, আল-ওয়াদূদ।

রবিবার, জুন ০১, ২০২৫

নির্ভরতার নাম – আল্লাহ্‌

আল্লাহ্‌কে নিয়ে একটি অনুভূতিময় ও অভিনব (অভূতপূর্ব) আধুনিক ঢঙের কবিতা দিলাম। কবিতাটিতে ঈমান, প্রেম, প্রযুক্তি ও বর্তমান বাস্তবতার ছোঁয়া রাখা হয়েছে:

---

নির্ভরতার নাম – আল্লাহ্‌
(অভূতপূর্ব একটি ঈমানি কবিতা)

দূর মহাকাশ চষে ফিরে আসি,
নিউরনের মতো জাল বুনে যাই,
ডেটার পাহাড় ভেদ করেও
শান্তি পাই না — যতক্ষণ না বলি,
"ইয়া আল্লাহ্‌, তুমিই আমার!"

ডিজিটাল দুনিয়ার দ্বিধা-সংকট,
এলগরিদমে মন হারিয়ে যায়,
কিন্তু যে নাম নিই ঠোঁট টিপে,
হৃদয় টানে —
আল্লাহ্‌ — অনন্ত নির্ভরতায়।

তিনিই তো মায়ের চেয়ে মমতায় বড়,
চোখের অশ্রু পড়ার আগেই জানেন —
কে কতটা ব্যথিত, কে হারিয়ে গিয়েছে
মানুষের মুখোশে মুখোশের দেশে।

ব্যাংক ব্যালান্স শুন্য, ডাটা অফ,
বন্ধ দরজা, বন্ধ আলো,
তবু তিনি খোলা থাকেন —
দোয়া’র নেটওয়ার্কে strongest signal!

সেলফিতে হাসি, ভিতরে বিষাদ —
তিনিই জানেন আসল রূপ,
মাটির শরীর, আত্মার আলো
আল্লাহ ছাড়া কে রাখবে হিসেব?

যে নাম নিলে,
রাতে ঘুম আসে;
যে নাম রাখলে,
মৃত্যুও লাগে নরম—
সেই তো আল্লাহ্‌, পরম প্রেমময়।

---

ভালবাসি দিবা-নিশি _সূচীপত্র

কপিরাইট আইন: জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট, লঙ্ঘনের কারণ, সমস্যা ও সমাধান

📄 প্রবন্ধ শিরোনাম: “কপিরাইট আইন: জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট, লঙ্ঘনের কারণ, সমস্যা ও সমাধান” ✍️ লেখক: আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া (আরিফ শামছ)...