শনিবার, জুন ২৯, ২০২৪

বিপ্লবী (২৫)

https://fictionfactory.org/contributor/2165

বিপ্লবী!

বিপ্লবীরা জাগো,

তর্জন গর্জনে, 

গর্জে ওঠো,

স্বপ্ন, ঘুৃমের মোহ,

ঘুমিয়ে আছে,

যারা আছো।

ভাঙবি ওরে ভাঙবো।

মিছে আশ্বাস, কল্প বিশ্বাস, 

নয় পটাতে বিশেষ বাতাস,

দেখরে চেয়ে, খোল্ ইতিহাস,

বিপ্লবীদের জয়োল্লাস। 

কালের সাথে সমান তালে,

বন্দী সমাজ, বিপদ জালে,

খাঁমচে ধরে, জাতির পালে,

সলীল কবর চায় অকালে!

ঘাপটি মেরে, সবার মাঝে,

চুপটি করে, সকাল সাঁঝে,

করছে ক্ষতি দিবস রাতে,

মরণ ফাঁদের জাল পাতে।

বিপ্লবী! 

আগাছা বাছো,

গোঁড়ায় ধরো,

জোরসে মারো টান,

মানুষ নামে অমানুষ,

মন্দ! নামে ভালো,

রয়না যেনো প্রাণ।

দেশ ও জাতির কল্যাণে,

প্রাণে প্রাণে প্রাণ এনে

বিপ্লবীরা রণে।

 দেশ ও দশের ক্ষতি সবার,

 নেই কোন বোধ, বিবেক বিচার,

পুতুল সম নাচে নাচায়,

যেমনে তাদের শেখায়। 

ওরা জাতীয় বেঈমান, 

বিশ্বাসে গাদ্দার, 

হাতে গোনা কটা চাটুকার, 

ওদের ধরো, বোধ ফিরাবার, 

শাস্তি হবে বেদম প্রহার। 

বিপ্লবী! 

অপূরণীয় ক্ষয়-ক্ষতি,  

কুটচালের মাত্রা অতি,

সব অরিদের একই গতি,

মরণ দানে টানবে যতি।

নূতন বিশ্ব,

শত্রু মুক্ত, 

সবাই সবার আপন,

জীবন মরণ,

বিপদ আপদ,

নেই কোন ভয়,

সবাই পাশে,

নিখাঁদ আশে,

হাতের কাছে,

নেই কোন সংশয়।

২৮/০৮/২০২০

বিপ্লবী (২৪)

https://fictionfactory.org/contributor/2165



বিপ্লবী,

ক্ষুরধার লিখন,

শাণিত ভাষণ,

ক্ষীপ্র তীব্র,

চলাচল তব,

হারালো যত,

শ্বাশ্বত ছন্দ।

আজ কেনো,

পরাণে ব্যথা,

দুঃখ গাঁথা,

পাথর চোখে,

অশ্রু ঝরা,

নিরানন্দ!

বিপ্লবী, 

কোথা' তোর,

বিপ্লবী দোর,

রাঙ্গা ভোর,

অগ্নিগর্ভ,

চির নতুন;

ঝরাজীর্ণ,

সব পুরাতন,

ভীত বিহ্বল,

পুড়ে মরলো!

বিপ্লবী! 

হারিয়ে গেলি!

হেয় হারালি,

ঘুমের নেশা,

নেশার ঘুমে,

স্বপ্ন দেখে,

দিন কাটালি;

আর কতোকাল,

হবে নাকাল,

ঘরের পরে,

সবার তরে!

এমন করে, 

হবে বলি!

হুংকারে তোর,

কাঁচের মতো,

ভেঙ্গে ফেলো,

বাধা যতো,

দল উপদল,

হল একদল।

ঝাঁপিয়ে পড়ো,

বীরের জাতি,

বিদায় করো,

আঁধার রাতি।

ছিনিয়ে আনো,

আলোর ভোর,

শান্তি সুখের, 

ঐশী দোর।

০৪/১০/২০১৯

বিপ্লবী (২৩)

বিপ্লবী!

স্থানেস্থানে,

মানব জনে,

প্রাণে প্রাণে,

জাগাও প্রাণ;

প্রাণহীন দেহ,

নীরব নিথর,

স্থবীর পাথর,

রবে নিষ্প্রাণ?

মনে প্রাণে,

মানে শাণে,

মিলে মিশে,

দিবা নিশি;

জাগো আজি,

রাখবে বাজি,

জাগাও সবি,

অগ্রে র'বি।

চিরবিপ্লবী!

জন্ম জন্মান্তরে,

অবহেলা অনাদরে,

কষ্টের রাজপথে,

ভঙ্গুর বন্ধনে,

কাছাকাছি ;

মৃত্যুপথে,

গলাগলি করে,

মৃত্যু ধ্বংসে,

 ইতিবৃত্ত লিখে,

নবজাগরণে,

আমরণে,

চলো পাশাপাশি।

মৃত্যুঞ্জয়ী! 

বিপ্লবী।

মৃত্যু জয়,

কর কমলে,

মৃত্যুভয়, 

কোথা' হারালে,

অমৃত পানে,

কে হারাবে,

ছুটাছুটি দশদিক ;

অত্যাচারী,

চির অপকারী,

রক্তখেঁকো,

নিঁঠুর পাষাণী,

পালায় ছুটে,

মৃত্যুভয়ে,

দিক্বিদিক। 

বিপ্লবী!

আজি তোর,

উল্লাসী ভোর,

খোলবে দোর,

বাহন বায়ু,

বাড়ছে আয়ু,

শক্তি অতুল,

চল্ দুলদুল। 

সামনে পড়ে,

অসীম পথে,

অগ্নিরথে,

পবন বেগে,

ছুটতে হবে,

জয়ের পরে,

বুল্ বুলবুল।


আরিফ শামছ্

২৪/০৭/২০১৯ ঈসায়ী সাল।

https://fictionfactory.org/contributor/2165

https://www.facebook.com/groups/4020204574679136/permalink/7221569597875935/ 

https://kobitapara.com/%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b2%e0%a6%ac%e0%a7%80-%e0%a6%95%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a6%be/



বিপ্লবী (২২)

https://kobitapara.com/%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b2%e0%a6%ac%e0%a7%80-%e0%a6%95%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a6%be/

 বিপ্লবী!

ভাবছো কিছু?

কীযে হলো?

নারী, শিশু!

নাইরে কেনো?

শান্তি নিরাপদে।

ঘরে বাইরে,

পথে-ঘাটে,

হাট-বাজারে,

ছুটছে কাজে।

নরক কীটে

ভাবছে বাজে,

সকাল সাঁঝে,

ভদ্র সেজে,

মান লুটে যে!

যান বাহনে,

চলাচলে,

পথের মাঝে,

একলা পেলে,

হচ্ছে কী সব?

সবাই নীরব!

বিপ্লবী! 

কোথায় তব,

গাইতি শাবল,

ডান্ডাবেরী,

করতে বিকল,

হরমুজ দরমুজ,

চল্ সহ চল্,

ভাঙ্গবো কোমর,

শির দাঁড়া সব,

গুঁড়িয়ে দেবো,

আবাস যতো,

মুছে ফেলো,

যতি, চিহ্ন ।

নতুন করে,

তুলবে গড়ে,

নতুন সমাজ,

পুতঃ দেশ।

পঙ্কিলতা, 

পাপের বোঝা,

পাপী-তাপী,

করবে শেষ।

আবার বয়ে,

যায়বে চলে,

পূণ্য নেকে,

পূর্ণ করে,

সকাল বিকাল,

দিবা নিশি,

সদলবলে

মিলে মিশি।

বিপ্লবী!

উড়াও ঝান্ডা,

সম- সমতার,

সব অধিকার,

বুঝে নেবার,

কর্মভার।

যে যা পাবে,

বুঝিয়ে দিবে,

পায়ে পায়ে,

দিবে নিবে,

রেখো মনে,

শান্তিভার।

বিপ্লবী।

তোমার থেকে

বুঝে নিবে,

শান্ত বিশ্ব;

শান্তি ধারা,

শান্ত ধরা,

সকল পাওয়া,

স্পষ্ট বুঝি, 

চল্ যুঝি। 

১৮/০৭/২০১৯ ঈসায়ী সাল।

বুধবার, মে ২৯, ২০২৪

৮৭. আসলো পতন, খবরদার!



দিনে দিনে বাড়ছে জ্বালা অত্যাচার
আর উৎপীড়ন,
মানুষ নামের মানব-বাদীর,
কবে হবে চেতন ???
বিশ্ব হবে সব জাতিদের,
থাকবেনা বৈষম্য,
হচ্ছে কী সব বিশ্ব জুড়ে!
তাই কী ছিল কাম্য?
আঁতাত করো খুনীর সাথে,
সাথী দখলদার,
অত্যাচারীর অস্ত্রগুরু,
দালাল ফড়িয়ার!
সিংহ, শার্দুল ওঠলো জেগে,
অত্যাচারীর দিন শেষে,
ঢাল তলোয়ার, মারণাস্ত্র,
প্রয়োজন তা' কোথা' কবে!
শান্তির কথা মুখে মুখে,
অন্তরে অন্তঃসার,
সাধু তুমি অসাধুরা,
করে অভিসার!!!
বিশ্ব-বিবেক ভাবছো বোকা,
নিত্য নিতুই দিচ্ছ ধোঁকা!
বের হয়েছে মুখোশ তোমার,
লুকিয়ে রবে কোথা??
অত্যাচারী টিকলো কবে,
কদিন রবে ধরাতলে,
দেখ্ খোলে দেখ্, ভাল করে,
ইতিহাসের পাতা পড়ে।
অপমানের নরক জ্বালা,
জ্বালবে তোদের অন্তরে,
সব হারাবি নিঃস্ব হয়ে,
জায়গা হবে প্রান্তরে।
অত্যাচারীর সহযোগী,
অস্ত্রবলের যোগানদার,
থামবি নাকি? থামিয়ে দিব?
আসলো পতন, খবরদার!
গুটিয়ে নে তোর ঝারি-ঝুরি,
ভাসিয়ে নেবো তৃণ সবি,
আবর্জনা সব হবে সাফ,
করবেনা কেউ মাফ।

আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া
সকাল ০৯ টা।
১২/১২/২০১৭ ঈসায়ী সাল।
মধুবাগ, বড়মগবাজার,
রমনা, ঢাকা।

৮৬. আমার বাবা।


বাবা! কে বলে তুমি নেই,
এ ধরাধামে? চলে গেছ অভিমানে;
নিত্যদিনের নিয়ম মেনে,
সবার মতো স্বজন ছেড়ে,
ভিন দেশেতে অনেক দূরে।
নাই কি তোমার রক্তধারার?
এমদন নয়ন, খুঁজে নেবার।
সত্যটাকে মিথ্যাজালের বেড়া থেকে,
আলোর রেণু, মুঠোয় নেয়া দক্ষ হাতে।
আছো তুমি চিরন্তনী,
কথা-কাজের বর্ণনাতে,
সমাজ সেবার দর্শণে।
সব হৃদয়ের মণিকোঠায়,
উচ্ছ্বসিত ভাবের ধারায়।
তোমার ফসল যেথা যবে,
প্রভূর হাতে সদা রবে,
যেমনি হতে চেয়েছিলে,
সব বাসনায় পূর্ন হবে।
বেঁচে আছো সত্য কথা,
নিত্য দিনে যাওয়া আসা,
সব হৃদয়ে আলো জ্বালা,
আঁধার যেনো মুঠোয় পুরে,
আলোয় আলোয় পূর্ণ করে।
অসীম শ্রমের মোতিমালা,
তোমার গড়া গ্রন্থশালা,
বাগে আতিক সব দেখে যাও,
ইচ্ছে মতো সুবাস ছড়াও।
প্রতিটি হৃদয় মন্দিরে,
সাধুবেশে আছো সাধনায়,
সমাজকে দেবে তুমি উপহার।
চায়তো মনোলোভা হীরে কণা,
অতীব প্রয়োজন, কারো অজানা।
কোন স্বপ্নে বিভোর ছিলে,
হে পিতঃ! আত্নবিস্মৃত হয়ে,
জীবনের পুরোটাই উৎসর্গ করে,
তিলে তিলে মহাসত্যের দিকে,
উপকরণ ছড়ালে দু'হাতে।
আপন প্রভূর মহিমায়,
ছিলে কৃতজ্ঞ জীবন ভর,
পঞ্চমুখ প্রশংসায় আজীবন,
জীবনতরীর মালিক মেনেছ,
সবার উপরে প্রভূরে রেখেছো।
স্বপ্ন তোমার হউক রূপায়ণ,
চায় যদি সে পরম আপন।
সফলতার সব খবরই তোমার কাছে,
যথাকালে সঠিকভাবে পৌঁছে যাবে।
তুমি আছো সদা,
চিন্তা ধারার তীব্র ধারায়,
আপন বেগে, নিত্য চলায়,
জীবন পথে ছন্দ দিতে,
পূর্ণতারই তৃষ্ণা পেতে।
বাবা, শত বর্ষ এমনি করে,
চলে যাবে, আপন বেগে,
তোমার দেয়া তোহফা গুলো,
নিত্য নতুন আলো দেবে।

------ আরিফ শামছ্
০৭/০৫/২০০৬ ঈসায়ী সাল,
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
ভূঁইয়া পারা, ভাদুঘর,
সদর, বি.বাড়ীয়া।

৮৫. বিজয়ের উল্লাসে


বিজয়ের উল্লাসে, মোর চোখ হাসে
আজ, ঠোঁট হাসে তার রূপ পাশে,
সুখ আঁশুতে বুক ভাসে।
রক্ত নাচে টগবগে, মোর অরুন-তরুণ,
রক্ত রাগে, সোনা রোদের মখমলে,
জীবন জুড়ে, সৃষ্টি সুখের উল্লাসে।
সব পরাজয়, পদানত,
শত্রু সেনা হস্তগত,
জয়ের নেশায় মত্ত ছিল,
অস্ত্রসহ, অস্র বিহীন যোদ্ধা শত।
অশ্রু ধারার লক্ষ নদী,
রক্ত ধারা নিরবধি,
বয়েছিল জয় অবধি,
রুপ-অপরুপ সমাজ, জাতি,
সব হারিয়ে রিক্ত অতি,
মুঠোপুরে বিজয়-পতি।
নির্যাতনের দীঘল রাতি,
লম্বা ছিল নেইকো যতি,
ভোরের আশায় মনের বাতি,
দোলাচলে নিভলো বুঝি!
সারি সারি বীর বাঙ্গালী,
দেশের তরে প্রাণটি সঁপি,
শত্রু সেনার গতির যতি,
বুলেট বুকে আগলে রাখি।
সূর্যোদয়ের নূতন আভায়,
নূতন করে প্রাণ ফিরে পায়,
ঝরা-জীর্ণ সব টুটি,
অরুণ রবির আঁচল তলে,
স্বপ্ন হাসে স্বাধীণ বেশে,
সব পরাধীণ ছুটি।

---আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া।
০৬/১২/২০১৭ ঈসায়ী সাল।
মধুবাগ, রমনা, ঢাকা।



ভালবাসি দিবা-নিশি _সূচীপত্র

ভ্রাতৃত্ব হারানো উম্মাহ: আজকের সংকট ও ইসলামী জাগরণে পথনির্দেশনা

📌 ভ্রাতৃত্ব হারানো উম্মাহ: আজকের সংকট ও ইসলামী জাগরণে পথনির্দেশনা ✍️ আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া (আরিফ শামছ) 📍রিয়াদ, সৌদি আরব --- 🕌 মুসলিম উম...