বুধবার, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৯

প্রতিশোধ

৬৫।  


উদাস হয়ে, জীবন পথে, চলছে পথের কোন সে পথে?
কোন ঠিকানায় মন সাধিছে, কোন পথে আজ চলছে হেঁটে।
কিসের আশায় ছুটছে কোথায়, যায় বেলা যায় নিদ নাহি তার,
কোন পাথারের সীমার মাঝে, কিসের খোঁজে নীলাচলে, ছুটছে বারংবার!

বেজায় নারাজ, তাই প্রতিশোধ, সয়বে কী তা' কেমন করে!
তোমার ভয়ে এমনি বেহুশ, ভূল করে যায় ভূলের পরে।
তপ্ত দাহ, অঝোর ধারা, ভূমিকম্প, খরা ঝড়ে,
দেখবে কতো ভালবাসে সুদিন-কুদিন বার মাসে।

পথ খুঁজিতে, পথ হারিয়ে, জীবন চালায় কোন সে পথে?
কিসের ঘোরে, কোথায় চলে, লক্ষ্যহারা কিসের শাপে?
নিজেই রচে নিজের কবর, জানেনা তা কোন কালে,
নিজের ধ্বংস ডেকে আনে, চেঁচিয়ে বেড়ায় মন্দ ভালে।

নেই অভিযোগ, কোন অনুযোগ, সব তোমারি প্রতিশোধ,
সকল পাপের-শাপের মোচন, আছে যতো তাঁদের বিরোধ।
নড়েনাতো পাতা কোন, হুকুম বিনা কভু,
মাফ করে দাও, নয় প্রতিশোধ, ওগো দয়াল প্রভু!

আরিফ ইবনে শামছ্
০৩/১০/২০১৭
মধুবাগ, মগবাজার, রমনা,  ঢাকা।
ভোর ০৪:২০ মিনিট।

পরিশোধ

৬৪।  


অসীম নেয়ামতে ডুবিছে তনুমন তবু চেয়ে যায় আরো কতো কী!
নেই পরিশোধ, শুকরিয়া কভু, চাওয়া পাওয়ার মাঝে হয়েছি বিলীন।
সৃষ্টি হতে জান্নাত সহ কতো যে, চাওয়া দীদার তোমার,
কী দিব আর কী রাখিব পরিশোধে, এতো কিছু চাওয়া ও পাওয়ার!

গেয়ে যায়, যাব দিবা নিশি প্রভু প্রশংসা আর স্তুতি সতত,
শেষ হবেনা কভু, জানে সব জনা, লভিতে তোমার রহমত যত।
কতো ভালবাস আর কতো ভালবেসে সৃজিলে তোমার বান্দারে,
জাহান্নামের অতল দেশে না পুঁড়িয়ে, জান্নাতে ঠাঁই দিও সবারে।

হাবীব (সাঃ) তোমার, সাহাবা (রাঃ)তাঁহার যে পথের পথে গেছে চলি,
আমরা সবে পদে পদে যনো, সে পথ বেয়ে তোমারে স্মরি।
কত শত পথ অজানা রয়েছে, কত যে মরীচিকা পথের পরে,
পরতে পরতে জীবনের পথে, কতো যে বাঁধা লুকিয়ে আছে!

সব বাঁধা জয়ে, বীর মুজাহিদ, সবাই চলো, সরল পথে,
নেই কোন ভয়, সতত বিজয়, আল্লাহ আছেন মোদের সাথে।
কীভাবে তোমায় করিব খুশী, ওগো পরোয়ার, রাব্বুল আলামীন!
তোমার চাওয়া-পাওয়া মিটিয়ে দিতে, থাকি যেনোগো সতত বিলীন।

০৩/১০/২০১৭
মধুবাগ, মগবাজার, রমনা,  ঢাকা।
ভোর ০৩:৪৫ মিনিট।

মনের খিঁড়কি

৬৩।  


খিঁড়কি মনের খুলবে কি তা,' সাজিয়ে নিতে জীবনটারে,
বদ্ধ সকল মনের মাঝে, আঁধার ঠেলে আলো জ্বেলে ।
থাকবে কতো অলস হয়ে, যায় বেলা যায় এমনি ছুটে,
জমছে কতো কাজের ধারা, সময় এলে ধরবে চেঁপে।

ভাবছো বসে উদাস চোখে, করবে কি তা' কেমন করে,
জোয়ার ভাঁটার খেলা দেখো, মন সাগরের বুকেতে।
নেমে পড়ো কাজের জলে, খোঁজে বেড়াও লক্ষ্যকে,
শ্রম ও মেধার মিলন মোহে, পাবে তোমার স্বপ্নরে।

করব, করছি, আজ ও কাল, এমনি করে যায়রে বেলা,
সময় মত যায়না করা, জটিল-সহজ কাজের পালা।
সময় ব্যস্ত বেজায় দেখো, নাই যে সময় তার,
সব সময়ের কাজ আছে ভাই কাজের সময় যায়।

আরিফ ইবনে শামছ্
২৫/০৯/২০১৭ ঈসায়ী সাল।
রাত ০২ টা।
মধুবাগ;ঢাকা।

জাগো রে জাগো!

৬২।

ডাক এসেছে! জাগো! জাগো রে জাগো! ভাই বোনেরা জাগো!
অত্যাচারী যায় ছুটে যায়,
মাজলুমের তাজা রক্তপান!
মৃত্যু দেহে চালায় ছুড়ি,
আলাদা করে অঙ্গ সবি!
হও ধাবিত , ক্ষিপ্র বেগে,
ক্ষ্যাপা সিংহ, তীব্র ছুটে,
বঙ্গ শার্দুল, পড় ঝাঁপিয়ে,
রক্ত খেকোর সকল স্বাদ,
সব মিটিয়ে দে রে আজ।
ধরো আর বর্জ্রাঘাতে, আছড়ে মারো।
জাগো রে জাগো!!
দামাল, কামাল, জামাল ছেলে কোথায় সবে আজি?
আয়রে খালিদ (রাঃ), বীর হামজা (রাঃ), ওমর (রাঃ), মুসা, তারিক।
রক্ত-ফোরাত, লাল দরিয়া, সাত সাগরের জল,
ঝড়ের বেগে চালাও খড়গ, শমশের আর খঞ্জর।
অস্ত্র দিয়ে অস্ত্ররাজ, জবাব হবে অস্ত্রেরই,
শক্ত হাতে, ভক্ত করো, জব্দ করো, সব তারই।
সেবার মহান বাণী, কভু ক্ষমার মধুর বাণী,
দূর্বল ভেবে আস্ফালনে, আসবে অশুর-প্রাণী ।
দিকে দিকে ঐ শোন সব মজলুমের আর্তনাদ,
শান্তি সওদা করতে গিয়ে, জীবন দিল সঁপে তার।
আর কতোকাল, রয়বে বসে আসবে কবে যুগ নকীব,
আর কতো প্রাণ, বেঘোর ঝরে, ওঠবে জেগে প্রাণ প্রদীপ।

আরিফ ইবনে শামছ্
২৫/০৯/২০১৭ ঈসায়ী সাল।

কবিতা তোমার

৬১। 

আবার আসিবে ফিরে, আসিতেই হবে, বারে বারে,
কবিতা তোমার, দোলাবে মন, শিহরণ জাগাবে,
তাই সবে পথ চেয়ে চেয়ে রবে,
কবিতা তোমার কবে কার হবে?
দুঃখ করোনা কবি হে!
জীবন জাগার গান কবে কার ভাঙ্গিয়াছে কোন্ সে নিদ,
কবির লেখায় ভাঙবে শিকল,
চক্র বিকল,ছুটবে জেগে দিক-বিদিক।
চালাও কলম, জাগাও মানুষ,
সেনারা আজ ঘুমে,
তোমার আহ্বাণে, ঘুম ভাঙ্গিয়া,
সফলতা পদ চুমে।
একটি কথা, শব্দ কোন, জায়গা করে, জীবন কোষে,
পথ হারানো পথিক যদি, পায়রে খুঁজে পথের দিশে।
তপ্ত মরু জ্বালা বুকে, শান্তি বারি কভু আশে,
সান্ত্বনা আর তৃপ্ত সুধা, দৃপ্ত পথে, চলতে শিখে।
মাশুক যদি পায় ফিরে ফের ইশক-পিয়ারা শরাব যতো,
আশুক মাশুক মিলবে সবে, প্রেমের শরাব পিয়ে শতো।
আঁধার প্রেমে অন্ধ হয়ে ছুটবে আলোর পিছু পিছু,
রাত্রি ছুটে দিনের পিছু, আনবে বয়ে ভোরের আলো।
একটু খানি সময় নিয়ে পড়লে কবির লেখা,
জানিনাতো কবে, কোথায়, হবে চোখে দেখা!
সময়টুকু উপহারে, রাখলে তব জীবন হতে,
সব বেলাতে সুখের খবর, আসুক জীবন জুড়ে ।

আরিফ ইবনে শামছ্
২৪.০৯.২০১৭ ঈসায়ী সাল।

কারবালার শিক্ষা

৫৯। 

কারবালা আর কয়টা দেখে, ভাঙ্গবে তোমার মরণঘুম,
কতো রক্ত -নদী বেয়ে, উঠবি জেগে ওঠরে ওঠ !
জেগে ওঠার নাই নিশানা, কোন্ নেশাতে মজে,
ভীরু ভীরু হৃদয় তটে, শংকা তরীর ভীঁড়ে।
রক্ত লালে লাল করিল, কতো নদী সাগর!
কত প্রাণের টানল ইতি, করছে কত ছল।
বেঁচে যারা দেখছো সবি, নাই কি তোদের বল?
পাথর চোখে এসব দেখে, কেমনে থাকিস বল?
অশ্রু ভরা আঁখিদুটো, ঊর্ধে তোলা হাতের জুড়ো,
সবাক দোয়া, প্রাণের দাবী, দেখে যাবি মরণ কতো!
বাঁচার মতো বাঁচবি যারা, আয় ছুটে আয় পাগলপারা,
আবার গড়ে নিব ধরা, সব জালিমের জুলুম সারা।
যুগে যুগে দেখিস লড়াই, সত্য আর অসত্যের,
চলছে লড়াই কত শত, জালিম আর মাজলুমের।
ভয় কি রে তোর, কিসের ভয়ে, চুপটি করে দেখিস,
দেখবে সদা সত্যের জয়, মাজলুমের শেষ হাসি।
জয় পরাজয় হিসেব কষে; জিহাদ চলে কোন্ কালে!
ঝাঁপিয়ে পড়ো, হিংস্র থাবায় আঘাত করো জালিমরে।
কারবালার ঐ মর্সিয়া, আর রক্ত-ফোরাত পড়বি কত?
শিক্ষা ভূলে, দীক্ষা হেরে, চোখ বুঁজে সব সয়বি কত?
যুগে যুগে যুগের নকীব, দিয়ে যাবে এমনি প্রাণ!
নিঃস্ব হবে, এই ধরণী, নাইবা থাকে মুসলমান।
জুলুম হত্যা, স্বেচ্ছাচার, বাড়বে শত অনাচার,
যখন খুশি, করবে সবি, বাঁধ সাধিতে সাধ্যি কার?

কলম

৬০। 

কলম সেতো নয়তো শুধু, একটু ভেবে দেখো,
গল্প, কল্প, কবিতা, চিত্র, নাটক, ছড়া, উপন্যাস যতো;
এই কলমে লিখছে লেখা, বলছে কথা,জ্ঞানী-গুণী কতো।
পথ দেখাবে, জীবন জুড়ে, পথের দিশা শতো।
সৃষ্টি কলম, স্রষ্টা সনে, আরজি জানায় লিখবে কী;
লিখতে থাক ভাগ্য হতে যতো জ্ঞান আছে সবি।
বলতে পারো কলম কোন এটম কিংবা আনবিক,
ধ্বংস নিয়ে আসবে কখন, বুঝবেনা কেউ দিক-বিদিক।
কলম তুমি ন্যায়ের কথা, মাজলুমের মুখপাত্র,
তোর ঈশারায় ভেঙ্গে পড়ে,জালিম শাহীর তখত সকল।
দিকে দিকে, যুগে যুগে বলছো সবি,ভয় ঝেরে,
তোমার ভয়ে ধরতো কাঁপন,সব প্রকাশের ভয়ে।
তোমার খোঁচায় ফাঁসির কাষ্ঠ,পড়বে জালিম সদা,
হিসেব নিকেশ পাবে বুঝে,পুরাই ষোল আনা।
সত্য ন্যায়ের অগ্র সেনা আসছে তেড়ে, খবর পেয়ে,
সব জুলুমের হিসাব কষে, করবে আদায় পাওনারে।

আরিফ ইবনে শামছ্
২৪/০৯/২০১৭ ঈসায়ী সাল।

ভালবাসি দিবা-নিশি _সূচীপত্র

কারবালার ইতিহাস

কারবালার ইতিহাস ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও হৃদয়বিদারক অধ্যায়। এটি কেবল একটি যুদ্ধ বা হত্যাকাণ্ড নয়; বরং এটি হক ও বাতিলের মাঝে এক সুস্পষ্ট...