রবিবার, অক্টোবর ২৯, ২০২৩

১৬। মসজিদে তালা



কারা উড়াবে বিজয় নিশান,
কালেমাখচিত ধ্বজা নিয়ে,
খুলবে তালা মসজিদের,
মনের তালা আগে।
পাপের ভারে মনটি মোদের,
অচল কেনো আজ,
কে সরাবে পাপের বোঝা,
কোন সে রাজাধিরাজ!
তালা ঝুলে মসজিদেতে,
বেলা অবেলায়,
গ্রাম শহরে, গঞ্জে হাটে,
সবাই ব্যস্ততায়।
মাইক চুরি আর এসি চোরের
কেন এমন দোহাই,
পায়না কেন সবাই সুযোগ,
সময় চলে যায়।
পারিনাক রাখতে খোলা,
সোনালী যুগের মতো,
যখন খোদার রহম পাবে,
প্রাণ যে শত শত।
জিকির আজকার, লেনা-দেনা,
চলবে জ্ঞানের,
তা'লিম তালাশ, সতেজ ঈমান,
শুদ্ধ আমলের।
কে নেবে ভাই এমন দায়,
ঈমাম মুয়াজ্জিন?
মসজিদের কর্তা যারা?
নাকি কোন খাদিম।
বিচারদিনে কোন বান্দা,
করে যদি ফরিয়াদ,
অমুক দিনে তালা পেয়েছি,
পড়িনিক নামাজ!
ইমাম কেন হবে শুধু,
ফরজ নামাজে!
ইমাম হবেন সবার নেতা,
দেশ ও সমাজে।
আজান শুধুই দিবে নাকি,
নামাজ পড়িতে!
মুয়াজ্জিন ভাই থাকবে সদা,
সকল পূণ্য ডাকে।
জাগবে সাড়া পাড়ায় পাড়ায়,
চলছে প্রস্তুতি,
আখেরাতের ফসল কত,
কে যে নিতে পারি!
পূণ্যকাজের বেলায় সবে,
থাকবে সচেতন,
কে যে বেশী আ'মল করে,
নিবে বিজয় কেতন।
সময় থাকিতে করিতে আবাদ,
চলো ভাই মসজিদে,
ইমাম সাহেব, মুয়াজ্জিন সহ,
খাদিম যারা আছে।
লজ্জিত যেন হয়না কোন,
প্রিয় রাসূলের (সাঃ) সম্মুখে,
শাণিত করি ঈমান আমল,
সবাই মিলে মিশে।


----------------- আরিফ ইবনে শামছ্

১৫। Think


“What’s the meaning of Life???
Earning money, fame & live!!!
Costing, defame & die;
May it come turn by turn?
We are going to the end of life;
What's the existing of our life???
Rest of the money or fame!!!
Will it help us in the life next?
Where we were? Where we have come?
Where will we go? Where the destination?
Think ! think! and think truth practically,
Take a fruitful decision for the best way.



-------------Arif Ibn Shams
All reactions:
Adel Farhan

১৪। উন্মুক্ত মাদ্রাসা


প্রতিটি জামে’ মসজিদ যদি উন্মুক্ত মাদ্রাসা হত;
ইল্মে লাদুন্নী,কালামে পাক সহজেই শেখা যেত।
নূরাণী সব ঝর্ণাধারা, হাতের কাছে সবাই পেতে,
সময় পেলেই বৃদ্ধ-যুবা, জ্ঞান-আহরণে চলত ছুটে।
সহজ ভাষা আরবী কেন যায়না শেখা সহজে,
দিনে দিনে বাড়ছে ফাঁরাক, কঠিন মনে হয়যে।
ভালবাসা যায় হারিয়ে, কবে কোথায় যেন,
ভালবাসার ঝর্নাধারায় অবহেলা কেন?
মহান রবের প্রিয় ভাষা, নবীর ভাষা, আরবী,
আমরা সবাই কেমন করে, কেন দূরে থাকি!
মুসলিম আমি কেমন করে! বয়স-পথে হাঁটি,
সকাল হতে সন্ধ্যা বেলা, সন্ধ্যা হতে রাতি।
মহান রবের সাথে সদা, কত কথা বলি,
নামাজ শেষে চাওয়া-পাওয়ায় হাত দু'খানা তুলি।
কত যোগাযোগ আরবি ভাষায়, অর্থ নাইবা জানি,
মানার জন্যই জানতে হবে; চলোনা শপথ করি।
[প্রতিটি জামে’ মসজিদ সকল প্রকার নেক আমলের জন্য সদা উন্মুক্ত থাকুক।]
আরিফ ইবনে শামছ্
দুপুর ০২ টা ৩০
১০.০৪.২০১৬
আশা টাওয়ার,শ্যামলী, ঢাকা।

১৩। ভাল বাসার হিসাব-নিকাশ


ভাললাগা না ভালবাসা, নাকি চির-শাশ্বত প্রেম,
নিজের পথ দেখা; না দেখার তাগিদে অ-প্রেম।
লক্ষ-কোটি অগণিত তারাদের ভিড়ে হারিয়ে যাওয়া,
ব্যর্থ নাকি অব্যর্থ প্রেম, ফলাফল যেরূপ চির-চেনা।
কত দল-উপদল আজো লড়ে; স্বার্থকতা প্রেমের কিসে?
পাওয়া না পাওয়ার দু’দল; অবিরাম সান্ত্বনা খুঁজে,
প্রাপ্তিতে সুখ বলে কেউ, অ-প্রাপ্তিতেই মিলে স্বার্থকতা;
যারে ভাল বাসি তা’রে নিয়ে; লেখা হয় কত কথা!!
নাইবা যদি পারো তুমি, হৃদয় হতে মুছে দিতে,
ফিরিয়ে দিবে কিন্তু কেন? কাঁপা কাঁপা নিঠুর হাতে।
চোখের ‘পরে চোখ রেখে তাও; বলতে পার নাকো!!
গুমরে জাগে সুপ্ত-গিরি, তবু নীরব কেন?
হিসাব-নিকাশ, লাভ-ক্ষতি কি তোমার কষা হলো,
অভিমানে হারিয়ে যাওয়া, জীবন খানি কত ???
তারপরও কি বেশী দামী, তোমার চাওয়া-পাওয়া?
নীলাকাশে মাখিয়ে দিলে, আমার ভালবাসা !!!

--আরিফ ইবনে শামছ
রাত ১২ টা ২৫ মিনিট;
১৮.০২.২০১৬;
বৃহঃস্পতিবার;
সোনালীবাগ,
বড়-মগবাজার,রমনা,ঢাকা।

১২। দাওয়াত


ছায়া ঘেরা মায়ায় ভরা নজরকারা গ্রামে;
কেউ কি যাবে;শান্তি পেতে দেহ-মন জোরে?
পুবের বিলে শাপলা, শালুক,ছবির মত নদী;
চলছে বয়ে নিরবধি প্রানের তিতাস নদী।
বুকের উপর ট্রেন চলে ভাই সকাল সন্ধ্যা রাতে;
ঢাকা থেকে সিলেট কিংবা ফেনী চট্রগ্রামে;
নীরবতার মান ভাঙ্গিয়া বাজায় খুশির সুর;
মায়ের মতো গ্রামটি যেন আবেগে-আপ্লুত।
কুরুলিয়ার খালটি পাবে গ্রামের উত্তরে;
মিষ্টি আলুর নৌকা কভু বাঁধা সারে সারে।
পীচঢালা সে রাজপথ; মাথার উপর দিয়ে,
দিবা-নিশি চলছে বাহন,যাত্রী বহন করে ।
ঘুমিয়ে আছে পীর-আওলিয়া পরম সোহাগে,
দ্বীনের দাঈ ব্যস্ত সদা সবার সেবার তরে।
পুণ্যকাজে ত্রস্ত পদে কেউ চলে ভাই মসজিদে;
মাদ্রাসাতে কোরান-কিতাব পড়ছে দলে-দলে।
বাহাদুরের ঘর বলে কেউ; কেউবা ভাদুঘর,
পুবের কালে গ্রামের মাঝে ছিল দুটি গর;
গর থেকে হোক; আর ঘর থেকে হউক নামটি ভাদুঘর;
রয়লো দাওয়াত সবার তরে; সারা জনম ভর ।
২৭.০৯.২০১৫
রাত ০৮ টা ৩০
আরিফ ইবনে শামছ
আশা টাওয়ার,

শ্যামলী, ঢাকা। 

১১। সালাম জওয়াব


সালাম দেয়া সুন্নত, উত্তর দেয়া ওয়াজিব,
দরদমাখা মন নিয়ে ভাই সালাম দিতে উদগ্রিব।
মিষ্টি স্বরে চিন্তা করে সালাম যখন দিবে,
ঝাঁকিয়ে মাথা চুপিসারে যায়যে হেঁটে চলে।
মাথার ভিতর ঝড় চলে ভাই, শান্তি নাহি পাই,
সালাম কাকে দিলাম সেকি হিন্দু মুসলমান?
ভাটা পড়ে মনের জোড়ে, পায়না আবার সাহস,
হুম বলে কি! ঝাঁকায় মাথা কাকে সালাম দিব!
সালাম কালাম মুসলমানের,
সেরা আদর্শ,
কি যে হল সেরা জাতির, এমন দশা কেন?
হাসি মুখে কথা বলা কোন ভাইয়ের সাথে,
সাদকা জেনো মহানবীর মহান হাদীসে।
সালাম বাড়ায় ভালবাসা জেনো সবার সাথে,
সেই সালামের আন্তরিকতা, কোথায় পাব খোঁজে?
দরদমাখা সালাম জওয়াব, চলো করি জারি,
আবার ছড়ায় শান্তি-সুধা, মনন আবাদ করি।


৩০/০৯/২০১৭ ঈসায়ী সাল

আরিফ ইবনে শামছ্

১০। অনাগত সন্তানের আহ্বান



মাগো তুমি দোল খেয়ে যাও
তব মায়ের কোলে,
দিনে দিনে ঘনিয়ে আসে
আমি আসব যবে।
রুহের ধরার অধিবাসী আজ,
অনাগত সন্তান,
বলিতে কিছু বড় সাধ জাগে,
শোন দিয়ে মন-প্রাণ।
কিশোরী হবে চপলা চঞ্চলা,
কলরব ধ্বনিতে,
ঘরে বাহিরে তোমার বিচরণ,
দেখবে খুশিতে।
পাবে যৌবণ, ভাবের সাগরে,
করবে অবগাহন,
একটু খানি ভুলের মাশুলে,
স্তব্ধ হবে কি সব!!!
মাগো তুমি থেকো সদা,
খোদার দেয়া পথে;
বড় পীরের মায়ের মতো,
পায়গো তোমাকে।
স্বভাব, চরিত সকল কিছু,
পায়গো যেন তোমার,
দ্বীন-দুনিয়ার গর্ব হবে,
মায়ের অহংকার।
কালের স্রোতে ভাসবে নাক,
সব কি হারাবে!!!
খোদার দেয়া জীবন বিধান;
নাওগো মনে প্রাণে।
তোমার হয়ে ফেরেশ্তারা
লড়বে দেখো মা,
খবিশ আর ইবলিস যতো,
সুযোগ পাবেনা।
বাবা আমার ধৈর্য্য ধরো,
হবেনাক পথহারা,
মাথার মুকুট, চোখের তারা,
তুমি পথের দিশা।
শিক্ষা-দীক্ষা, হাতে কলমে,
মহান যতো কর্মভার,
সব তোমারি কাছে নিব,
গর্ব হবো তোমার।
ইচ্ছে তোমার স্বাধীন মাগো,
ইচ্ছে করো মহৎ,
তোমার সন্তান আসলে মাগো!
পূরণ হবে স্বপন।
বাবা মায়ের সোনার মানিক,
নয়নের শান্তি,
চায়গো দোয়া দ্বীন-দুনিয়ায়,
হতে যেন পারি।

--------- আরিফ ইবনে শামছ্
০৫/০৬/২০১৭ ঈসায়ী সাল।
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২,
ভাদুঘর, সদর, বি.বাড়ীয়া-৩৪০০।
All reactions:
You, Adel Farhan, Kamal Hossain and ৪ others

০৯। আন্তরিক শুভেচ্ছা

 আধুনিক লোকজ মহাকবি আল্ মাহমুদ এর ৮২ তম জন্মদিনে আন্তরিক শুভেচ্ছা


"কাবিলের বোন", "পানকৌড়ির রক্ত", মনোহর "প্রবন্ধ সংগ্রহ",
প্রতিটি পরতে পরতে তোমার কবি- সত্ত্বাকে পেয়েছি সততঃ।
কখনোবা আনমনে গেয়ে বেড়াতাম
নিরাকপড়া দুপুরবেলা,
"আমার মায়ের নোলক খানি হারিয়ে গেলো শেষে" সে' কবিতা।
"হাত দিয়োনা বুকে আমার ভরা বোয়াল মাছে!"
কি চমৎকার ছন্দমালা, পড়েছি কি কেউ আগে!
কখনো বা চাঁদনী রাতে কন্ঠে বাজে "না ঘুমানোর দল"
ছন্দ মোহে, প্রকাশ ঢংয়ে হারিয়েছি নিজেকে কত!
তিতাস পাড়ের ছেলে, কভু মেঘনার ঢেউ বাজে বুকে,
শুনেছি কত কথা-কাহিনী, জীবন ছবি বাবার মুখে।
পরিবারের গল্প মাঝে বলতো বাবা তোমার কথা,
পাঠ্য বইয়ে তোমায় দেখেছি, পড়েছি তোমার লেখা।
কবি ও কবিতার রাজ্যে, সত্যিই তুমি মহান সাধক,
স্বাদ -গন্ধ, রং-রূপ, সাহিত্য রস, আস্বাদন।
তোমার তুলির পরশে, জীবনের সব বাস্তবতা,
সুর আর ছন্দে আরো জীবন্ত, সবাই জানলো তা'।
জন্মদিনের শুভেচ্ছা জেনো হে আধুনিক কবি!
শত পদ্ম, শাপলা শালুক, প্রকৃতির সব রূপ অপ্সরী,
তারা ভরা আকাশ তোমায়, দিলাম তারার মেলা,
চাঁদ সুরুজের মতোই তুমি, আলোক দিবে সদা।
মাথার 'পরে ছায়ার মতো থাকো কবি জীবন ভর,
দেশ ও জাতির আশার আলো, হাজার বছর রও বেঁচে রও ।
তোমরা যারা পুরো জীবন সঁপে দিলে জাতির তরে,
আমরা কভু পারবো কিগো, মহা ঋণের দেনা দিতে!

আরিফ ইবনে শামছ্
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২,
ভাদুঘর, সদর, বি.বাড়ীয়া-৩৪০০।

০৮। পাথর দিয়ে যুদ্ধ



ইরাক, ইরান, তুরান, কাশ্মীর,
কাতার আর সিরিয়া,
সৌদি আরব, সুদান, মিশর, পুরো
আফ্রোশিয়া।
উপমহাদেশ, স্থান, আর দেশ -মহাদেশ,
সব সৃষ্টি স্রষ্টার জানি, আমরা বিশ্বের, বিশ্ব মোদের।
হানাহানি আর মারামারি করে, মানুষ মানুষেরে,
হৃদয় আছে ঠিকই দেহে, নাই যে দরদ অন্তরে।
সৃজিত হল কত দল উপদল, কেউ সহেনা কারো,
এক হওয়ার মন্ত্র ভুলে, অনৈক্যে খায় হাবুডুবু।
নাই সে খেয়াল, দূর করিবার ব্যবধান যতো আছে!
আমার আমি, অহমিকা আর অন্ধ সকল জনে।
কোরান কিতাব, হাদিস, ইজমা, কিয়াস জেনেছে কতো!
সবাই মিলে একই বাঁধনে, নাইকি বাঁধিবার কেহ!
কত আরাধনা চলে অবিরাম দিবস যামিনী দেখো,
পাশের বাড়ীর অধিবাসী যারা, খেতে পেরেছে কি জানো?
ঋণের চাঁপে, লজ্জা শরমে, সহসা মৃত্যু দেয়যে হানা,
কানে তুলো আর চোখে ঠুলি বাঁধে সমাজের ধনী যারা।
দেশের রাজারা ব্যস্ত সদা, নিজেদের ব্যবসা দেখো,
দেশ ধর্ম কোথায় গেল, জাতির ঐক্য এলো কি গেলো!
তা'তে কি কার, কিছু আসে যায়, জীবনের দাম নাই!
সকাল বিকাল মারছে শিশু, দূর্বল নারীরা ও মারা যায়।
কথার কথা, নামে মাত্র সবাই করে বাদ- প্রতিবাদ!
মিছিলে মিছিলে যায় হারিয়ে প্রতিশোধের অগ্ন্যোৎপাত।
নায়কি সাহস দাঁড়াতে পাশে, মাজলুম যতো বিশ্ব মাঝে,
পাথর দিয়ে যুদ্ধ করে জীবন সঁপে, শহিদী পথে।

--------- আরিফ ইবনে শামছ্
১৫.০৬.২০১৭ ঈসায়ী সাল।
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২,
ভাদুঘর, সদর, বি.বাড়ীয়া-৩৪০০।

০৭। ভালবেসে কাছে যেতে

ভালবেসে আল্লাহ পাঠাল দুনিয়ায়,
ভালবেসে আরো কাছে যেতে,
দীদার লাভে ধন্য জীবন; লভিতে দু'জাহানে।
যুগে যুগে নবী রাসূল পাঠালেন সকল বান্দার লাগি,
কত ভালবাসার প্রিয় বান্দারা! এই পথ হারাল বুঝি!!!
ভূল করে করে জানা-অজানা, দুঃখের পথে হেঁটে চলে!
বন্ধুর কোথা, বিপদসংকুল পথ কেউকি
জেনেছে আগে,
তবু পথ চলে, মোহগ্রস্থের ন্যায় সসীম-অসীম পথে।
দরদমাখা দৃষ্টি যে থাকে, প্রিয় বান্দার 'পরে।
দেহ মন আর সমাজ পরিবার, নিয়ে সব একসাথে,
কেমন করিয়া স্বর্গ সুখের শান্তি সমেত
বাঁচিয়া রবে।
নিয়ম নীতি, স্বাধীন পরাধীন, রাজা প্রজা সব আছে,
রাজার রাজা মহারাজা সব দেখেন
তাহা কাছ থেকে।
কে ন্যায় আর অন্যায় করিল দিয়ে দেখে সব বল,
ধৈর্য্য কাহারা ধরিল, কঠিন বিপদ- আপদে শত।
কেবা হাজিরা দিল নিয়মিত খোদার ঘর মসজিদে,
হালাল খেয়ে কজনইবা চলছে, সদা হালাল পথে।
এলেম নিয়ে হেলেমের জোড়ে কারা করে পুকুরচুরি,
লেবাস ধরে কারা করে, স্রষ্টার সাথে জুয়াচুরি।
এমন কিছু বলনাযে, করতে যাহা পারনাযে,
বড়ই ঘৃণার কাছে আল্লাহর,মিল না থাকে কথা কাজে।
পরোপকারী স্বার্থহীন যেন, সদা থাকি মানবের পাশে,
দয়ালু মনে সদাচার সহ হৃষ্টচিত্তে সবার আশে।
খালি হাতে কেউ ফিরেনা কভু তোমার বান্দা হতে,
শক্তি দাও, সাহস যোগাও, হায়াত শেষের আগে।

-----আরিফ ইবনে শামছ
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২,
ভাদুঘর, সদর, বি.বাড়ীয়া-৩৪০০।

০৬। ক'ফোঁটা রক্ত


তোমরা আছো বলে বেঁচে আছে
দেশ সমাজ,
বয়সে ছোট হতে পার, তবে করে যাও
বড় বড় কাজ।
রক্তের বাঁধনে লহ বাঁধিয়া, জাননা কেবা আপন পর!
শুধু জান রক্ত লাগবে, রক্ত চায়,
কে আছো? কোন জন?
হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে শুয়ে, মৃত্যুর প্রতীক্ষায়,
প্রহর গুনে মরি মরি, সকাল সন্ধ্যা কত বেলা যায়,
কেউ নাই কারো, আবার আছে অনেক আত্মীয় কারো,
রক্ত দেবে ভাই! রক্ত লাগবে; বাঁচাতে প্রাণ তা'রো।
মন মানসে, দেহ মননে তৈরি থেকো ভাই,
ক'ফোঁটা রক্তে তোমার যদি, বাঁচে কোন বোন ভাই।
তোমার রক্তে নবজাতক কোন ফিরে পায় পৃথ্বী পথ,
মা সকল পৃথিবীর যদি দেখে বাঁচার স্বপ্ন সব।
রক্ত যাদের নেশা পেশা; রক্ত করে নাক পান!
রক্তের তরে নিদ নাই তার, এই বুঝি যায় কারো প্রাণ!
রক্ত দানে দিবা নিশি ছুটে, চেনা অচেনা কত পথ!
রক্তের যোগান দিতে হবে ভাই, এই আমাদের পণ।
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২,
ভাদুঘর, সদর, বি.বাড়ীয়া-৩৪০০।

আরিফ ইবনে শামছ্
All reac

০৫। জীবন যেখানে যেমন



প্রেম ও প্রীতি আসল দিঠি,
প্রেমিক হৃদয় কোথায় খুঁজি?
কোথায় পাবগো প্রেমের হিয়া?
কহিব কথা পরাণ ভরিয়া!!
এমন গোধূলী, কাঁচা সোনা রোদ,
এঁদো ডোবাজল, একলা ডাহুক,
রিমঝিম টিপটপ বিষটি কোথা,
কথাকলি সব রবে কি হেথা???
বিনিদ্র রজনী সাতকাহন কি হবে?
নিশির নিশা পেড়িয়ে ভোর যে কবে?
দখিনা মলয় তপ্তদেহে বারিসিঞ্চনে;
আসবে কবে বারিরাশি সঙ্গে করে।
চায়লে কি গো ফুল ফুটিবে অরুণ প্রাতে,
গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হবে, খুশির ঝিলিক তাতে।
ডাকবে কোকিল বিজন বনে, একলা পথে,
ভাবের পথে হাঁটবে তুমি, উদাস মনে।

----------- আরিফ ইবনে শামছ্
২০.০৭.২০১৭ ঈসায়ী সাল
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২,
ভাদুঘর, বি.বাড়ীয়া-৩৪০০।

০৪। চিকনগুনিয়া



নাম ঠিকানা ভূলিয়ে দিবে,
চিকনগুনিয়া।
ডানে হাঁটার ইচ্ছে হলেই,
হাঁটা যাবেনা।
চালক ঠিকই দেহের তুমি,
নাইযে কোন বল,
চলার পথে উদাস হলে,
দেখবে বহু বিপদ।
কেউবা বলে নাপা খাও ,
প্রচুর তরল খাবার,
কেউ বলে বা প্যারাপাইরল,
ডাবের পানি পান।
সত্যি কথা বলতে গেলে,
ভয়ে হবেন কাৎ,
মুখের রুচি, ঘুমের বিরাম,
সবি নেবে ভাই।
নাওয়া খাওয়া বিনে ক'দিন,
ঘুমে অচেতন,
ব্যাথার সাথে নিরস থাকা,
রয়না দেহে বল।
সব যোগাযোগ হালকা হবে,
বাড়বে ছুটা ছুটি।
কখনো বা হেরে গিয়ে,
শিশু কালের স্মৃতি।
যতো পারেন বেশি করে,
পানি করো পান,
দূর্বল যেন নাইবা করে,
ভাল ভাল খান।

----------------- আরিফ ইবনে শামছ্
২০/০৬/২০১৭ ঈসায়ী সাল।
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২,
ভাদুঘর, বি.বাড়ীয়া-৩৪০০।

ফিলিস্তিনি বোনের অগ্নিঝরা ভাষন,,Palestinian sister's fiery speech।

হৃদয় স্পর্শী আফগানি তালেবানদের প্রতি ফিলিস্তিনি বোনের টেলিফোন কথা,, p...

ভালবাসি দিবা-নিশি _সূচীপত্র

তুমি আসবে বলে -কবিতার কাব্যিক,ছান্দসিক, মাত্রা, সাহিত্যিক, রসাস্বাদন ও আলোচনা, সমালোচনা, পর্যালোচনা, প্রেক্ষাপট,মানব জীবনে তাৎপর্য ও গুরুত্বের বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যা দাও।

তুমি আসবে বলে ----- আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া। আমার আকাশে নেই মেঘের আনাগোনা, নেই বিদ্যুৎ চমকানোর ঘনঘটা, সুস্পষ্ট নীল আসমান নির্বাক হয়ে, দিবা-...