শনিবার, অক্টোবর ১২, ২০১৯

৪০। শিশির মেলা

বিলিয়ে দিতে তোমার তরে, চাই তনু আর প্রাণ,
ভালবাসা হউকনা জমা, কোমল হৃদের ত্রাণ।
দুরু দুরু বুক চেয়ে যায়, করুণার সে বৃষ্টিধারা,
তোমার প্রেমে মন হারিয়ে, কে হলো আর পাগলপারা?
হলুদ ফুলের মেলা কভু, বসছে কি আর তোমার বাগে?
মনোলোভা অচিন ফুলে, সাজিয়ে দিতে কেউ এসেছে?
হৃদয় সঁপে দরদ ঢেলে, কেউ গেল কি গান গেয়ে,
তোমার মনে স্থায়ী আসন, কে নিল আজ তা' কেড়ে?
শিশির মেলা জমছে মাথায়,  কবে তাহা কেবা জানে;
জানলেনাতো কোন্ মনে সে, বসে থাকে কোন্ সে ধ্যানে?
সব হারাতে চাই কেনো সে,
তোমার হৃদয় জয়ে;
সময় কত যায় বয়ে যায়, জীবন নদীর তটে।
থামবে কভু জীবন যাত্রা এমনি করে কোন কালে?
বিভোর কেন তোমার প্রেমে, যাই খুঁজে তা মুগ্ধ মনে।
জীবন জুড়ে সবার আছে, ভালবাসার শরৎ সকাল;
কেউবা দেখে বুঝতে পারে, যায় যে তাহার সান্ধ্যকাল।
লাগলনা যে সফল হাওয়া, এই হৃদয়ের খোলা দোরে!
চলেনা যে প্রেমের তরী, চলবে কি তা' হাওয়া বিনে?
ভালবাসার জল কি সেঁচে, যাবে তাদের তরে?
ভালবাসে তোমায় যারা, নিজের প্রাণের চেয়ে?
রচনাকাল : ২০.০৯.২০০১
ভাদুঘর,সদর, বি.বাড়ীয়া।

৩৯। ধূসর প্রেম

আরিফ ইবনে শামছ্
৩০.০৮.২০০১

হৃদয়ের অতল গহ্বরে অতন্দ্র প্রহরী সেজে,
সহাস্য কলতান সঙ্গী হয়ে; জীবন নদীর তীরে।
এ কেমন আগমন তব? মনোবাসনার এমনি প্রকাশ;
সহজ অংকটি তোমার বুঝেনাতো সে, আজো ম্রিয়মাণ।
সাধণার মানবী, ভালবাসার উৎসারিত ঝর্ণা;
কেন জাগালে হৃদয়ে তাহার, দ্বারে দিতে ধর্ণা।
পাবনা এ অলীক কথার পুষ্প কভু জাগবেনা?
পেয়ে যাবো এমন ধারার ঊর্মি কি আর ডাকবেনা?
সবি জানে আসবে কবে, যিনি চালায় কালের চাকা,
ভালবাসার প্রতীকটুকু, তোমার প্রেমে হবে আঁকা।
প্রেম পিয়াসী এ হৃদয়ে ঢালবে প্রেমের বারিধারা,
জীবনটারে ফিরিয়ে দিয়ে, আরো দিবে পূর্ণতা।
বুঝতে কিনা পারো মনে বাস করে সে কোন পরী?
ব্যাথার দানে বিষের বাঁশি, বাজায় এ কোন সুন্দরী!!
জীবন জাগার গান কবে কার, পথ হারালো কিসে?
ফিরিয়ে দেয়ার ঢালিখানি, বাঁধ সাধিল শেষে।
জানতে চাহে ঢাললে তুমি, কোন্ মদিরা এই পিয়ালায়?
পথ চলিতে, পথ হারিয়ে,  কোন্ কারণে পথ ভূলে যায়?
চাইনি কভু এমন ধারা, তবু কেন আসলো ঘিরে!
এই অবসাদ; হতাশ মিছিল ; ভালবাসা চাই কি বলে?
আশার স্বপন, হৃদয় কাঁপন, সব মিলিয়ে ছন্দ পতন!
পাব নাকি হৃদয় তলে; কভু প্রমের বর্ষাবরণ!
ফোটবেনা কি প্রেমের ফুলে, ভালবাসার কোমল ছোঁয়া,
ব্যাথার ধূসর ধূলি-বালী ; তোমার প্রেমে হবে ধোঁয়া!!

৩৮। সম্পর্ক

ফোনের অপর প্রান্তে অভিযোগ,
"এইভাবে কি সম্পর্ক রাখা যায়"?
সাবলীল জবাব, হ্যাঁ। প্রয়োজন
আর অপ্রয়োজনে এ দাবী সবার।
অভিমানী কন্ঠ নীরব, নিথর, হতচকিত!
"কি জানি বুঝিনা আমি এতোসব"।
দিন যায়, মাস যায়, ঘুরে যে বছর,
বন্ধু কিংবা আত্মার কেউ রাখে কার খবর?
ব্যস্ত দুনিয়ায় নাই সময় নাই নাই,
"পথে হল দেখা, বলা হল কথা-চল যাই",
আঁড়ালে চোখের, দূর হতে দূরে যারা,
না পাওয়ার নানা বাহানা, খুঁজে ফিরে তারা!
সচেষ্ট কেউ সুখের রাজ্য গঠনে, কেউ দখলে,
কেউ মত্ত কচিশিশুদের অজানা রাজ্য আবিষ্কারে।
কেউ ব্যস্ততার মহাপ্লাবণে, খুঁজে লক্ষ্য-বন্দর,
কেউ ছুটে নাভিঃশ্বাসে পৌঁছিতে বাতি-ঘর।
সংসার করে কেউ, সংসার গড়ে,  সরবে, নিভৃতে,
শত বেদনারা চাঁপা পড়ে, সে সুখেরই আলিঙ্গনে।
স্মৃতির ঝলকে কেউ খুঁজে পায় তৃপ্তির মহাসুখ,
কেউ ভূলে যায়, কেউ পারেনা, ভূলিতে সঞ্চিত দুঃখ।
তবু আছরে পড়ে, বেশুমার ঊর্মিমালা জীবনের উপকূলে,
বড়ই অভিমানে কভু, হিংস্র আগ্রাসে তীব্র গতিবেগে।
পাহাড় সম ব্যাথার পাহাড় ফিরছে বারেবারে,
অভিমানের ফানুস ফেটে, ছুটছে তীরের পানে।

৩৭। ভাই হারিয়ে

ধরাতলে আগমনে আজান দিল খুশি মনে,
ভাবছি বসে ধূলীর ধরায়, গোছল, নামাজ বাকি আছে।
শোক সাগরে ভাসিয়ে দিয়ে চলে গেলে
বিভুর কাছে,
"আসতে হবে আমার মতোই যখন তোমার সময় হবে"।
সারা বেলা কাঁদলো আকাশ,
নিথর, নীরব, সব দেহ -প্রাণ।
আশার তরী, ডুবল আজি,
শোক-সবুরে, তোমায় খুঁজি।
প্রদীপ সম ছিলে তুমি, বলছে ইমাম, সবে,
নিভে গেলো চেরাগ, কেন? কিসের
অভিমানে!
পি.এ.টি.সি'র গাছ গাছালী নিথর মাথা নত,
শোকের কথা বলে যেত, যদি ভাষা পেত।
কি হারাল, কি যে হল, ডাকছে মাথার 'পরে,
যমকুলি আর অন্য পাখি, কাঁদছে পালা করে।
সবাই যখন দাঁড়িয়ে গেল, তোমার জানাজায়,
শোকাহত পাখিগুলো চুপটি করে ধায়।
শোকানলে সবাই দেখো, করছে হাহাকার,
মাফের তরে করছে দোয়া,  খুলে মন-প্রাণ।
"কোমলমতি ছেলে মেয়ে প্রভুর জিম্মায়,
পরিবারের সকল কিছু দেখো পরওয়া
তোমার দেয়া মুসিবতে শক্তি, সাহস দিও।
এমন কিছু নাইবা করি, তুমি নারাজ হবে,
তোমার দেয়া সরল পথে, থাকি যেন সবে।
শোকাতুরা মনে প্রভু! চায়গো তোমার কাছে,
অপার দয়ায়, রেখো তাঁরে, জান্নাতী করে।
তাঁহার মতোই সবার তরে, জীবন যেন গড়ি,
সুখে- দুঃখে সব মানুষের, আপন হয়ে থাকি।
১২.০৮.২০১৭
শনিবার
দুপুর ০১ টা ২৬।

৩৬। সিগন্যালের গ্যাঁড়াকলে

পীচঢালা রাজপথ ছাড়িয়া অভিমানে,
নৌকায় চলিলাম জ্যামের, অত্যাচারে।
সময় বড় বেশী স্মার্ট  হয়ে গেল আজ,
তাড়া খেয়ে পিছু ছুটি, লাগে যে লাজ।
নাই কেহ দেখিবার? করেনাতো সমাধান,
জীবনের কত বেলা, অপচয় বেশুমার।
লেইট খায় কখনো, কেটে নেয় বেতনের,
কখনোবা পুরোটাই হাতছাড়া মেজাজের।
ক্লাশ আর লেকচার কিংবা পরীক্ষা,
সময়ের পরে গেলে, ব্যাহত শিক্ষা।
চাকরি পেতে হলে কর লাফ-ঝাঁপ,
লেইট করে হলে গেলে,পাবে নাক মাফ।
মাথা ব্যাথা নেই কারো, কোন রুপকল্প,
শোনা যায় লুটেপুটে, সব খাওয়ার গল্প।
জনগনের ভাড়া সব, যায় কার পকেটে,
প্রতি বছর দেখে যায়, সবকিছু লোকসানে।
লেখাপড়া, চলাফেরা, বসবাস শান্তিতে!!!
চাকরি, সেবাদান, সব যায় পাল্টে।
বিনোদন, দাওয়াতের বেজে যায় বারোটা,
সিগনালের গ্যাঁড়াকলে শহুরে জীবনটা।

শুক্রবার, অক্টোবর ১১, ২০১৯

৩৫। সাগর পাড়ে

পূব আকাশে উঠলো জেগে রঙধনুটা হঠাৎ হেসে,
দেখতে পাবে হরেক রঙে প্রেমের রাণী বসছে ধ্যানে।
বাস করে তার প্রেমের পুরুষ, পৃথিবীরই প্রান্তকোণে,
ভাবছে বসে কেমন আছে, চিত্র আঁকে হৃদয় পটে।
জানেনাতো নদীর বুকে বইছে কি জল আগের মতো,
দল বেঁধে কি মাছ ভাসে তার, গভীর বুকের অতল তলে।
ফুটলো কি ফুল; হৃদয় কাঁড়া হাসি দিয়ে বাগান মাঝে,
পসরা আজো সাজায় কিনা! প্রেমিক হৃদয় আমার তরে।
বাস করে সে আকাশ পরী, তাদের ধরা আকাশ পাড়ে,
হয়না যখন ডাকা তারে, পৌঁছবে সেথায় কেমন করে?
হাসছো কেন দিবানিশি, হৃদয় লুটে অচিনপুরে,
খেলছে দেখো দেহমাঝে গভীর কাঁপন বারেবারে।
জানলেনা তো হৃদয় মাঝে, আছে এ কোন পূর্ণতা!
দেখলে প্রকাশ হবে তাহা, শুধুই কেবল শূন্যতা,
আশার পালে লাগছে হাওয়া, এ যে আজি কল্পনা,
কভু কী আর আঁকা হবে হৃদয়পটে আল্পনা।
তোমার আশা মিলবে সবি, একই নদীর মোহনাতে,
গড়বো সুখের জলের নীড়, সুদূর দেশের সাগর পাড়ে।
থাকবেনাতো আপন পর, লাগবেনা কেউ পিছু কারো,
শান্তি সুখে রবে সদা, মনে প্রাণে শান্তি যতো।

৩৪। সফেন পদ্ম

মুখোমুখি আজ জটিল ধারায় কোন সে পথে;
ধেয়ে যাব; একাকী কূজন রবের লেশ ধরে,
থাকবেনাতো মাথার 'পরে, মহীরুহের ছায়া কোন,
ডাকবে ডাহুক ঝিঁঝিঁ পোঁকা, চলতে হবে ধীর।
কোথাও হবে নিকচ আঁধার, ভয়াবহ সন্ধ্যাবেলা,
থাকবে আবার সৈকতে, বিজন ভূমির প্রেমের মেলা,
নাহি পাবে শান্তি কিছু, হেথায়-হোথায় বৃথাই  ঘুরে,
অমাবস্যার আঁধার রবে, হৃদয় ভরে, পূর্ণিমাতে!
হয়তো কভু পড়বে মনে; প্রিয়তমারর কথার বাঁকে,
দেখেছিলে প্রিয় বদন, উঠতো হেসে খিলখিলিয়ে।
পাবে কি সেই প্রেমের পদ্ম, থাকতো যাহা সদা পাশে!
দেখলে তোমায় পদ্মখানি, সফেন রঙে ওঠতো হেসে।
আকাশ ভরা জমতো আভীর; তোমার এমন বসন দেখে,
হৃদয় কেঁড়ে ছুটতো পাখি, মাথার পরে গগণ জুড়ে,
কালো মেঘের আনাগোনা তোমার মুখে হতো যবে,
তন্ত্রী গুলো পড়তো তখন ভীষণ ঝড়ের  ঘূর্ণিপাকে।
তোমার দেখা ধুমকেতু কি? জাগবে আবার হৃদয়াকাশে,
জমবে আবার প্রেমের মেলা! সে কি রবে কল্পনাতে?
জানলেনা তো মনের খবর!
বুঝলেনা যে ঋতুবদল!
আসছে ধেয়ে জীবন জুড়ে, কাল-বৈশাখী ভেঙ্গে আগল। রবে কল্পনাতে?
জানলেনা তো মনের খবর! বুঝলেনা যে ঋতুবদল!
আসছে ধেয়ে জীবন জুড়ে, কাল-বৈশাখী ভেঙ্গে আগল।

ভালবাসি দিবা-নিশি _সূচীপত্র

কপিরাইট আইন: জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট, লঙ্ঘনের কারণ, সমস্যা ও সমাধান

📄 প্রবন্ধ শিরোনাম: “কপিরাইট আইন: জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট, লঙ্ঘনের কারণ, সমস্যা ও সমাধান” ✍️ লেখক: আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া (আরিফ শামছ)...