সোমবার, অক্টোবর ৩০, ২০২৩

৪২। আজিকার ছেলে মেয়ে



ছেলে গুলো ছেলে কিনা সন্দেহ যে মনে!!!
মেয়ে গুলো, নয়যে মেয়ে, দেখছো সবাই চেয়ে!
রাস্তা ঘাটে, পথের ঢালে, কিসের ঘেঁষাঘেঁষি,
বেশ্যা ছেলে মেয়ে যতো, লজ্জা পাবে দেখি।
দোষ দেবেনা মতি গতির, আর না বয়সের,
ভাল করে দেখো আজি, দোষ যে সকলের।
ভাই যে আমি ছোট্ট বোনের, ঘুরি মেয়ের পিছু,
পঁচা গান্ধা ভাইয়ের চরিত, শিখাবে কী কিছু ?
বোনটি আমি ছোট্ট ভাইয়ের, আদর সোহাগ রাখি,
মাঝেমাঝে দেখায় কতো, বন্ধু ভাইয়ের আঁখি।
পাঠশালাতে আসা যাওয়ায়, বড় ভাই যে কত!
বাইকে করে নিয়ে আসে, চলে খেলা যত।
এসব দেখার অনেক মানুষ, রাস্তা ঘাটে শত,
ঘুরে বেড়ায় সব হারিয়ে, মনের আশা যত।
নেইকি বুঝি, বাবা ঘরে, মায়ের কোন শাসন,
আদর করে দেয়কি ছেড়ে, নাইরে কোন বারন।
চলছে উদাস পবন হাওয়া, নেইতো কোন বাঁধা,
থামবে কোথা তাঁদের চলা, কেবা জানে তাহা?
চাও কি ভাল জাতি তোমার দেশ সমাজের বড়?
উতাল-পাথাল চলা ফেরার রশি একটু ধর!
পাক -পবিত্র জীবন গড়া, হবে মহান পেশা,
দেশ সমাজের শোভা হবে, হবে পথের দিশা।
মুক্তো কণার মতো জীবন, হবে অনেক দামী,
সৎ ও মনের ধনী যারা, জীবন দিবে সঁপি।


----------------- আরিফ ইবনে শামছ্
২০/০৮/২০১৭ ইং
No photo description available.
Ariful Islam Bhuiyan and others

৪১। বানের জলে মানবতা



বিবেক তোমার, আমার, সবার নির্বাসনে গেল নাকি!
বিশ্ব বিবেক মাতাল হয়ে, ঘুমের ঘোরে পড়লো বুঝি!
বিবেক নামের শব্দখানা অভিধানের কোন্ কোনাতে,
প্রাণ আছে কি নেই তা'তে আজ, খবর নিবে কোন সে' জনে।
উজান দেশের বানের পানি, ছেড়ে দিবে যখন খুশি!
মাতবরেরা কোথায় গেলো, কোথায় তাদের গলাবাজি।
মানবতা যায়না পাওয়া, বানের জলে ভাসে,
দুর্গতদের চোখের ভাষা, পড়তে নাহি জানে।
মা হারালো, বোন হারালো, ভাই হারালো শেষে,
পাশে থাকা কচি খোকার, হদিস নাহি মিলে।
সহায় সম্বল, ভিটে মাটি, ফসল সবি জলের তলে,
অশ্রুধারা শুকিয়ে গেছে , তাঁকিয়ে থাকে পাথর চোখে।
কে আছো ভাই, বোন কোন এক, বাড়াবে কোমল হাত,
মানবতা ডুবে গেলো, করে যাও উদ্ধার।
নিজে পারো যা', আরো খোঁজে নাও মিলিয়া সকল জনে,
পাড়া প্রতিবেশী, দেশ-খেশ মিলে, তাঁদের সহায় হতে।


--------- আরিফ ইবনে শামছ্
২০.০৮.২০১৭

৪০। ভালবাসার সাগরে



মসজিদে যায় নিয়মিত, কোরান পড়ি অবিরত,
হজ্ব করি আর রোজা রাখি, বিধান মানি সময় মত;
তার পরে ও জান্নাত পাওয়া নইরে সহজ ভাবি যত!
লোকদেখানো ইবাদতে, খোদার রাজী মিলবে কত?
কী করিলে, কীভাবে যে, আল্লাহ আমার হবে,
রাসূল পাকের (সাঃ) দোয়া পাব, সারা জীবন জুড়ে।
প্রাণের চেয়ে বাসতে ভাল, মনে প্রাণে চাহি,
ভালবাসা খাঁটি হবে, কেমন করে জানি?
ভালবাসার সজীবতা চায়গো সদা প্রভু,
প্রিয়তম বান্দা করে, নিও কাছে বিভু,
বিপদ-আপদ, বালা- মুসিবত, যখন যাহা আসে,
সুখে দুঃখে সব সময়ে, শক্তি দিও প্রাণে।
যায়না যেন সরে কভু, অভিমান করে,
জীবন যাপন হয় যেন সে', সহজ সরল পথে।
তোমায় রাজী রাখতে সবি করতে পারি যেন,
মনে- প্রাণে শক্তি সাহস, দিও অবিরত।
জাহান্নামের আগুন মাঝে হাসতে পারি যেনো,
জানবো যখন সদা তুমি, আমার হবে শুধু,
আমার আমি নয়তো আমি, সৃষ্টি প্রিয় তব,
ভালবাসার সাগর মাঝে বিলীন হয়ে যাব।



---------------- আরিফ ইবনে শামছ্
২০.০৮.২০১৭ ঈসায়ী সাল।
All reactions:
You, Ariful Islam Bhuiyan, মিসেস মাইমুনা আক্তার and ৯ others

৩৯। শিশির মেলা



বিলিয়ে দিতে তোমার তরে, চাই তনু আর প্রাণ,
ভালবাসা হউকনা জমা, কোমল হৃদের ত্রাণ।
দুরু দুরু বুক চেয়ে যায়, করুণার সে বৃষ্টিধারা,
তোমার প্রেমে মন হারিয়ে, কে হলো আর পাগলপারা?
হলুদ ফুলের মেলা কভু, বসছে কি আর তোমার বাগে?
মনোলোভা অচিন ফুলে, সাজিয়ে দিতে কেউ এসেছে?
হৃদয় সঁপে দরদ ঢেলে, কেউ গেল কি গান গেয়ে,
তোমার মনে স্থায়ী আসন, কে নিল আজ তা' কেড়ে?
শিশির মেলা জমছে মাথায়, কবে তাহা কেবা জানে;
জানলেনাতো কোন্ মনে সে, বসে থাকে কোন্ সে ধ্যানে?
সব হারাতে চাই কেনো সে,
তোমার হৃদয় জয়ে;
সময় কত যায় বয়ে যায়, জীবন নদীর তটে।
থামবে কভু জীবন যাত্রা এমনি করে কোন কালে?
বিভোর কেন তোমার প্রেমে, যাই খুঁজে তা মুগ্ধ মনে।
জীবন জুড়ে সবার আছে, ভালবাসার শরৎ সকাল;
কেউবা দেখে বুঝতে পারে, যায় যে তাহার সান্ধ্যকাল।
লাগলনা যে সফল হাওয়া, এই হৃদয়ের খোলা দোরে!
চলেনা যে প্রেমের তরী, চলবে কি তা' হাওয়া বিনে?
ভালবাসার জল কি সেঁচে, যাবে তাদের তরে?
ভালবাসে তোমায় যারা, নিজের প্রাণের চেয়ে?


--- আরিফ ইবনে শামছ্
১২/১০/২০১৭ ঈসায়ী সাল
রচনাকাল : ২০.০৯.২০০১
ভাদুঘর,সদর, বি.বাড়ীয়া।

৩৮। ধূসর প্রেম



হৃদয়ের অতল গহ্বরে অতন্দ্র প্রহরী সেজে,
সহাস্য কলতান সঙ্গী হয়ে; জীবন নদীর তীরে।
এ কেমন আগমন তব? মনোবাসনার এমনি প্রকাশ;
সহজ অংকটি তোমার বুঝেনাতো সে, আজো ম্রিয়মাণ।
সাধণার মানবী, ভালবাসার উৎসারিত ঝর্ণা;
কেন জাগালে হৃদয়ে তাহার, দ্বারে দিতে ধর্ণা।
পাবনা এ অলীক কথার পুষ্প কভু জাগবেনা?
পেয়ে যাবো এমন ধারার ঊর্মি কি আর ডাকবেনা?
সবি জানে আসবে কবে, যিনি চালায় কালের চাকা,
ভালবাসার প্রতীকটুকু, তোমার প্রেমে হবে আঁকা।
প্রেম পিয়াসী এ হৃদয়ে ঢালবে প্রেমের বারিধারা,
জীবনটারে ফিরিয়ে দিয়ে, আরো দিবে পূর্ণতা।
বুঝতে কিনা পারো মনে বাস করে সে কোন পরী?
ব্যাথার দানে বিষের বাঁশি, বাজায় এ কোন সুন্দরী!!
জীবন জাগার গান কবে কার, পথ হারালো কিসে?
ফিরিয়ে দেয়ার ঢালিখানি, বাঁধ সাধিল শেষে।
জানতে চাহে ঢাললে তুমি, কোন্ মদিরা এই পিয়ালায়?
পথ চলিতে, পথ হারিয়ে, কোন্ কারণে পথ ভূলে যায়?
চাইনি কভু এমন ধারা, তবু কেন আসলো ঘিরে!
এই অবসাদ; হতাশ মিছিল ; ভালবাসা চাই কি বলে?
আশার স্বপন, হৃদয় কাঁপন, সব মিলিয়ে ছন্দ পতন!
পাব নাকি হৃদয় তলে; কভু প্রমের বর্ষাবরণ!
ফোটবেনা কি প্রেমের ফুলে, ভালবাসার কোমল ছোঁয়া,
ব্যাথার ধূসর ধূলি-বালী ; তোমার প্রেমে হবে ধোঁয়া!!


----------- আরিফ ইবনে শামছ্
৩০.০৮.২০০১

৩৭। সম্পর্ক



ফোনের অপর প্রান্তে অভিযোগ,
"এইভাবে কি সম্পর্ক রাখা যায়"?
সাবলীল জবাব, হ্যাঁ। প্রয়োজন
আর অপ্রয়োজনে এ দাবী সবার।
অভিমানী কন্ঠ নীরব, নিথর, হতচকিত!
"কি জানি বুঝিনা আমি এতোসব"।
দিন যায়, মাস যায়, ঘুরে যে বছর,
বন্ধু কিংবা আত্মার কেউ রাখে কার খবর?
ব্যস্ত দুনিয়ায় নাই সময় নাই নাই,
"পথে হল দেখা, বলা হল কথা-চল যাই",
আঁড়ালে চোখের, দূর হতে দূরে যারা,
না পাওয়ার নানা বাহানা, খুঁজে ফিরে তারা!
সচেষ্ট কেউ সুখের রাজ্য গঠনে, কেউ দখলে,
কেউ মত্ত কচিশিশুদের অজানা রাজ্য আবিষ্কারে।
কেউ ব্যস্ততার মহাপ্লাবণে, খুঁজে লক্ষ্য-বন্দর,
কেউ ছুটে নাভিঃশ্বাসে পৌঁছিতে বাতি-ঘর।
সংসার করে কেউ, সংসার গড়ে, সরবে, নিভৃতে,
শত বেদনারা চাঁপা পড়ে, সে সুখেরই আলিঙ্গনে।
স্মৃতির ঝলকে কেউ খুঁজে পায় তৃপ্তির মহাসুখ,
কেউ ভূলে যায়, কেউ পারেনা, ভূলিতে সঞ্চিত দুঃখ।
তবু আছরে পড়ে, বেশুমার ঊর্মিমালা জীবনের উপকূলে,
বড়ই অভিমানে কভু, হিংস্র আগ্রাসে তীব্র গতিবেগে।
পাহাড় সম ব্যাথার পাহাড় ফিরছে বারেবারে,
অভিমানের ফানুস ফেটে, ছুটছে তীরের পানে।

--------- আরিফ ইবনে শামছ্
২২.০৯.২০১৬

৩৬। ভাই হারিয়ে



ধরাতলে আগমনে আজান দিল খুশি মনে,
ভাবছি বসে ধূলীর ধরায়, গোছল, নামাজ বাকি আছে।
শোক সাগরে ভাসিয়ে দিয়ে চলে গেলে
বিভুর কাছে,
"আসতে হবে আমার মতোই যখন তোমার সময় হবে"।
সারা বেলা কাঁদলো আকাশ,
নিথর, নীরব, সব দেহ -প্রাণ।
আশার তরী, ডুবল আজি,
শোক-সবুরে, তোমায় খুঁজি।
প্রদীপ সম ছিলে তুমি, বলছে ইমাম, সবে,
নিভে গেলো চেরাগ, কেন? কিসের
অভিমানে!
পি.এ.টি.সি'র গাছ গাছালী নিথর মাথা নত,
শোকের কথা বলে যেত, যদি ভাষা পেত।
কি হারাল, কি যে হল, ডাকছে মাথার 'পরে,
যমকুলি আর অন্য পাখি, কাঁদছে পালা করে।
সবাই যখন দাঁড়িয়ে গেল, তোমার জানাজায়,
শোকাহত পাখিগুলো চুপটি করে ধায়।
শোকানলে সবাই দেখো, করছে হাহাকার,
মাফের তরে করছে দোয়া, খুলে মন-প্রাণ।
"কোমলমতি ছেলে মেয়ে প্রভুর জিম্মায়,
পরিবারের সকল কিছু দেখো পরওয়া
তোমার দেয়া মুসিবতে শক্তি, সাহস দিও।
এমন কিছু নাইবা করি, তুমি নারাজ হবে,
তোমার দেয়া সরল পথে, থাকি যেন সবে।
শোকাতুরা মনে প্রভু! চায়গো তোমার কাছে,
অপার দয়ায়, রেখো তাঁরে, জান্নাতী করে।
তাঁহার মতোই সবার তরে, জীবন যেন গড়ি,
সুখে- দুঃখে সব মানুষের, আপন হয়ে থাকি।


--- আরিফ ইবনে শামছ্
১২.০৮.২০১৭
শনিবার
দুপুর ০১ টা ২৬।

ভালবাসি দিবা-নিশি _সূচীপত্র

কারবালার ইতিহাস

কারবালার ইতিহাস ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও হৃদয়বিদারক অধ্যায়। এটি কেবল একটি যুদ্ধ বা হত্যাকাণ্ড নয়; বরং এটি হক ও বাতিলের মাঝে এক সুস্পষ্ট...