শুক্রবার, মে ২৯, ২০২০

বিপ্লবী (৫)

১২১। 


আমি অগ্নি, অগ্নিময়, অগ্নিরথ,
সুপ্ত আগ্নেয়গিরি,
পুঁড়ে ছারখার করি,
যতো জঞ্জাল, ধ্বংসের হাতেখড়ি। 
কান্তিময়, চির অলংকার,
মহাউন্নত শির, নির্ভীক বীর,
 মহাসেনাপতি সপ্ত ধরিত্রীর।

আমি মহাকবি আলাওল,
কায়কোবাদ, মাইকেল মধূসুদন দত্ত।
মহাকাব্য লিখি।
সদ্য উদগীরিত অগ্নিলাভায়,
পাহাড়ে, পর্বতে, শিলা-প্রস্তরে,
ধরাধামের প্রান্তরে-অন্তরে।
চির সংগ্রামী, চির বিদ্রোহী,
 অনবদ্য, মহাকাব্য,  শান্তি -বাণী, 
জাগরূক ঘরে ঘরে, জাগরণ  বিপ্লবী।

নীলাকাশে ভাসে, ক্ষীপ্র তীব্রবেগে,
শুভ্র মেঘের ত্যাজী অশ্ব দলে দলে,
তর্জনগর্জনে বিদ্যুৎ চমকি যায় বলে,
বিদ্রোহী, চির বিপ্লবী গ্রহ-উপগ্রহে।

আকাশে, বাতাসে, ইথারে ভাসে,
মহানন্দে, মহাছান্দসিক ছন্দে ছন্দে।
অপসাহিত্য, অশ্লীল সাহিত্য, 
নিমিষেই দিব মুছে,
আঁধারে কালো, কুরুচি, ধুয়ে মুছে,
সত্য সুন্দর সাহিত্যের আগমনে,
আমি বিদ্রোহী, বিপ্লবী ক্ষণে ক্ষণে।

অপরূপ সাজে সাজাবো ধরা,
মনোলোভা সব রুপের পসরা,
নয়ন জুড়ানো বাহারি ঢালি,
পুষ্পিত পল্লবী, আমি বিপ্লবী।

একে একে সব বাঁধার পাহাড়,
ভাঙ্গিয়া সব করিব চুরমার ।
নীতিহীন যতো নীতির শিকলে,
করিব বন্দী, অশৃংখল শৃঙ্খলে।
জীবনমৃত তন্ত্র -মন্ত্র, 
সত্য প্রাণে করিব জীবন্ত,
জুড়া জুড়ি করি, 
ধরা ধরি করি,
প্রাণে প্রাণে বাঁধিব প্রাণ, 
বাঁচি আর মরি।
চির বিদ্রোহী।
আমি চির বিপ্লবী।

আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া।
২৪/০৩/২০১৮ ঈসায়ী সাল।  

বিপ্লবী (৪)

১২০।  

আমি বিপ্লবী, বিদ্রোহী!
ভীরু-কাপুরুষ নহে কোন, 
যুদ্ধং দেহ-মনে, ফিরিয়া আনিব, 
চিরশান্তি অবনীর।
যুগ-যুগান্তে, দেশ-দেশান্তে,
জাতি, উপজাতি, গোষ্ঠী জ্ঞাতে,
শান্তির মহাবীর।
আমার আমিতে, বিশ্ববাসী,
অরুণ, তরুণ, যুবক, যুবতী;
শান্তিকামী, সংস্কারক, চিরসংগ্রামী,
স্রষ্টা ও সৃষ্টির সীমাহীন শক্তি,
নুতন করিয়া গড়িয়া তুলিব,
স্বাধীন, বিশ্ব-ভূমি।

দু'পায়ে দলিব লোভের বাসনা,
পৈশাচিক নৃত্য-তান্ডবলীলা,
বাঁধা বিপত্তি, পথেঘাটে যতো;
উলঙ্গ করিয়া ধরিব তুলিয়া,
ভন্ড, মুনাফিক, সব জালিমেরা,
স্বাধীন, স্বাধিকার হরণ করিছে কতো!

বলে শান্তির বাণী, 
অপকৌশলে, শান্তির আঁড়ালে,
জাতিতে জাতিতে মারামারি,
ধ্বংস বিধ্বংস, বিবেকহীনতা,
কতো নির্মম ছলচাতুরী!

করি ছিন্নভিন্ন, অন্যায়, অসত্য,
জুলুমের ভীত, করি সঙ্গীহীন, সত্য।
মজলুমেরা সবে ভাই ও বোন, 
দেশ, কাল, ভেদ-বিভেদ না জানি,
জানি ওরাই স্বর্গ-মর্ত্য।

সুখের রাজ্য করিয়া বিশ্ব,
সেইদিন হবো শান্ত।
ধর্মে ধর্মে, মানুষে মানুষে,
রণ ছেড়ে হবে ক্ষান্ত।
আমি বিদ্রোহী! বিপ্লবী!
সেইদিন হবো জ্যান্ত।
 আমি অতন্দ্র প্রহরী শান্তির,
প্রতিনিধি বিশ্ব-বিধাত্রীর।


আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া।
২৩/০৩/২০১৮ ঈসায়ী সাল।  

বিপ্লবী (৩)

১১৯।


আমি সৌরগতি, সৌরাজ্য, সৌরঝড়,
নাস্তানাবুদ করি জালিমের পৃথ্বিতল।
আকাশ পাতাল, মেরু-অমেরু,
গ্রহ-উপগ্রহ, উল্কা ধুমকেতু, আমি।
থামিতে জানিনা, চরম, পরম,
চির-ক্রুদ্ধ, জালিমের শেষ যতি।
চিরতরে শেষ, করিব দালাল,
সুযোগ সন্ধাণী,
হাতে পায়ে সব পড়াব শিকল,
চির-ধ্বংস আনি।

আমি  ক্ষুধার্ত জাহান্নাম,
ভয়ংকর পুলসিরাত, সূর্যদল।
একে একে সব করিব উঁধাও, 
খোদা-দ্রোহী, জালিম-পুঁঞ্জ।

আমি গোগ্রাসী।
বর্জ্রনিনাদী।
যুগে যুগে, যুগ-নকীব।

জালিমের সাথে শত্রু-পথে,
হেঁটে-গেঁটে মুনাফিক,
 যুদ্ধের ময়দানে, নাম জানা অজানা,
মীর জাফর, ঘসেটির;
প্রচন্ড রুদ্রঝড়ে, তীব্রগম্ভীর
আক্রোশে, টানি জীবনের ইতি,
সামাল-বেসামাল ঔদ্বত চূর্ণ বিচূর্ণে,
 গড়ি শান্তির পৃথ্বী।

আমি, ভয়ানক কম্পণ, শত্রু মনে,
 জ্বালায় নরক, নরকেই ছুঁড়ে মারি,
পাষাণ, পাষন্ড, নির্মম, নিষ্ঠুর,
মানব- দানব সংহারি।
আকাশ পাতাল, ভূতল ফাঁড়ি, আল্লাহর আরশ,
জানা-অজানায়, ঘুরিফিরি,
যেখানেই পায় শত্রু অরি,
মৃত্যু দুয়ার, চির অশান্তি;
সলীল সমাধি করি,
কভু জীবন্ত পুঁতে ফেলি।

আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া।
২২/০৩/২০১৮ ঈসায়ী সাল।  

বিপ্লবী (২)

১১৮।


আমি রবি ঠাকুর, বিদ্রোহী নজরুল,
বিপ্লবী মাজলুম, জীবনান্দ, ফররুখ,
 আমার খুনের সাত সাগরে খেলছে,
সত্য-ন্যায়ের টাইফুন,
করিব নাশ-বিনাশ,
কুচক্রীর কুচকাওয়াজ,
স্তব্ধ করিব তাদের প্রান।
প্রাণে প্রাণে জ্বালিব
নতুনের জয়গান।
ভাঙ্গিয়া রচিব পাষাণের বক্ষে
 কোমলের উদ্যাণ।
আমি তরতর,দরদর, দূর্বার,
দূর্ণিবার, গতিবেগে,
খরস্রোতা, পদ্মা, মেঘনা,
 যমুনার ভাঙ্গনে,
পাষন্ড, বর্বর, অত্যাচারীর
 সলীল সমাধি রচিতে।
যবনিকাপতন।
রক্ত -বর্ণিল, লোহিত নাফের
শোক-সন্তপ্ত, জলধারায়,
পরাধীনতার অবকাশ।
স্বাধীন শৌর্যবীর্যে, বলীয়ান,
আগ্নেয় গিরি,লাভা নিয়ে উন্মত্ত, জয়োল্লাস।
জয়ী, বীর সেনাদল,
ঝড়-ঝঞ্ঝাবেগে, ছুটে চল্ চল্,
নুতন জীবনের উচ্ছ্বাস।
জীবনে জীবনে গতিবেগ এনে,
শত্রুদের নাশি চিরতরে,
পাহাড়ে পাহাড়ে গড়ি
মৃত্যু-ফাঁদ।

০৮/০৯/২০১৭ ঈসায়ী সাল।
দুপুর ০২ টা ৩০ মিনিট।
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
ভূঁইয়া বাড়ী, বাড়ী# ১২৩৪,
ওয়ার্ড# ১২, গ্রাম: ভাদুঘর,
পোষ্ট: ভাদুঘর-৩৪০০।
থানা:সদর,  জিলা: বি.বাড়ীয়া।

বিপ্লবী (১)

৫৪। 


আমি যোদ্ধা, আমি বুদ্ধা, নহে বৃদ্ধা,
আগুনের কুন্ডলী, পুঁড়ে ছারখার করি,
জালিমের ভূত-ভবিষ্যত।
আমি সৈনিক, সেনাপতি,
 মহাসেনাপতি, সিপাহসালার।
খলীফা আবু বকর (রাঃ), ওমর (রাঃ),
 উসমান (রাঃ), আলী (রাঃ), 
আল্লাহর সিংহ, ইমাম হাসান (রাঃ); 
হোসাইন (রাঃ), ফিরিয়া আবার।

আমি, আমীর হামজা (রাঃ), খালিদ
 বিন ওয়ালিদ (রাঃ),সালমান, 
তারিক,মুসা, ইখতিয়ারের 
জয়োন্মত্ত অশ্বারোহী ।
সালাহউদ্দীন, বীর মহাবীর,
 কুতুবুদ্দীন, ঈশা খাঁন, মানসিংহ ।
করিনাক ভয়, মানিনা ভেদ-বিভেদ,
করিনা সময় অলস ক্ষেপণ।
আমি ক্ষেপা সিংহ, রাজাদের রাজা, 
ক্ষীপ্র-তীব্র বেগে, নির্বাসনে, নির্যাতীতের শেষ অবলম্বন।
আমি ঘাতক, খাদক, অমানব,নির্যাতকের, 
বাকরুদ্ধ, অবরোদ্ধ।

আমি অস্থির, আমি চঞ্চল, 
কলকলে মহাকাল,
আমি দুর্গত,দুর্গম, দুর্মদ, দুর্মর।
বিশ্ব জালিমের মৃত্যুর শেষবাণ,
 বাতিলের খন্ডিত গর্দান। 
জালিমের টুটি চেঁপে ধরি ভাই, 
এক লহমাই,শূণ্যে উড়ায়।
পবনবেগে হর্ষমনে, মৃত্যুকূপে, 
সহাস্যে দাঁড়িয়ে, অবিরাম বিদ্রোহী, 
 বিপ্লবী গান গায়।
আমি ত্রাস, সন্ত্রাস, ভয়াল সন্ত্রাসী,
 আমি মানব, মানবতা, ধর্ম, সদাচার,
 আমার বর্ম, দৃঢ় প্রত্যয়ী।
মরুভাস্কর, আমি বেদুঈন, চেঙ্গিস,
 খালাকু খাঁন, বাংলার তিতুমীর।
আমি কুখ্যাত, সুখ্যাত, বিখ্যাত,
 জালিমের বক্ষ করি চির-বিদীর্ণ।
ধর্মের নামে অধর্মের খেলা 
খেলে যে বদজ্জন, 
ত্যাগিব শমশের তার ধর 'পর নিদারুণ, মর্মদ!
আমি ঘূর্ণন, সাইক্লোন, ভয়াল টর্ণেডো,সিডর, বিহ্বল,
 আয়লা,নার্গিস,নামে বেনামে
 আগমন,তিরোধান,উত্তরণ।
তালে বেতালে, কালে অকালে,
 ইতিহাসের নির্মম স্বাক্ষর।
অধর্ম,অকর্ম, কুকর্ম, জুলুম, আর
 জালিম, এক ফুৎকারী করি নিশ্চিহ্ন।
 আর্তনাদ, হাহাকার, সিংহনাদ,
 তর্জনগর্জন, তসনস করি 
জালিমের মসনদ।
আমি দশ দিক, করি দিক বিদিক,
 আমি দশানন, জুলমাত ছোঁড়ে, আনিব আলোর প্লাবন, মহাপ্লাবণ।
 লয়, ধ্বংস, মহাপ্রলয়ের বীণ হাতে
 সকল অত্যাচার, করি পদপিষ্ট ।
আমি হিমালয়, মানবতা, ধর্ম,
 চরিত্রকে তুলিয়া ধরিব ঊর্ধ।
পাশবিক জরাজীর্ণ, 
যারা আকন্ঠ নিমজ্জন, 
সমূলে করিব উৎপাটন।
আমি শাহজালাল, শাহপরান, 
বায়েজীদ বোস্তামী, খান জাহান (রাহঃ)।

আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া
২০/০৩/২০১৮ ঈসায়ী সাল।
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস, 
ভূঁইয়া বাড়ী, বাড়ী# ১২৩৪, 
ওয়ার্ড# ১২, গ্রাম: ভাদুঘর, 
পোষ্ট: ভাদুঘর-৩৪০০।
থানা:সদর,  জিলা: বি.বাড়ীয়া।

এই পৃথিবীর আর্তনাদ!

১১৭।

পৃথিবীর আলো বাতাস,
প্রকৃতির অকৃপণ দানে,
হয়েছো বড়ো অনেক,
শাসক, রাজা, সম্রাট মানে।

দুঃখ ধরাধামের,
পারোনি ভালোবাসতে,
বিশ্ব আর বিশ্বজনে!
সুবিশাল উদার মনেতে!

সংকীর্ণ চিন্তা, বড়ই হীনমন্য,
শুধু দল, স্বদেশ, স্বজাতিকেই ভালোবাসো!
সুখ-শান্তি, সমৃদ্ধি করতে নিশ্চিত,
ভিনদেশ, ভিনজাতির সব অনিশ্চিত!

তোমার বুকে তোমার সন্তান,
খেলছে পুলক মনে,
পৃথিবীর শিশু খেলছে কেনো?
তাজা বোমার সনে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প, ভ্লাদিমির পুতিন,
শিজিংপিং, প্রেসিডেন্ট, কিং!
তোমরা শুধু, দল ও দেশের,
বিশ্ব-বাসীর নও,
থামাও সবি রক্তচোষা,
ফেরার চাবি লও।

কোন্ কারণে শান্ত মানুষ,
দ্রোহানলের বিদ্রোহী,
বাঁধছে বুকে মারনাস্ত্র,
লড়ছে  মরনবধি।

ফোকলা দাঁতে, অন্ধ স্বার্থ,
হিংস্র কতো সবাই দেখো,
বুঝবি কবে, ভালোবাসা, 
সবার সমান, হোকনা ছোট-বড়ো।

শুনতে কি আর পাবি তোরা,
এই পৃথিবীর আর্তনাদ!
আসবে ঠিকই বিশ্ব নেতা,
গর্জিয়া নাদ-মহানাদ।

আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া
১২/০৩/২০১৮ ঈসায়ী সাল।

ফিলিস্তিন থেকে বলছি

১১৬। 

অশ্রু নয় অস্ত্র দাও,
বিশ্বে শান্তি আনি,
নামকাওয়াস্তে ত্রাণ নহে, আর
যুদ্ধ বিমান চাহি।

বাঁচিয়ে কি লাভ,
করিবে আঘাত,
আমরা নিরস্র।
বীরের মতো,
হাজারো বছর,
বাঁচিতে দাও অস্ত্র ।

মানবতা, সাম্যবিধান,
নিরপেক্ষতা যতো,
বই কিতাবে রাখো;
চোখের সামনে, 
মারছে কতো,
নারী ও শিশু,
হিসেব রেখেছো কভু। 

ত্রাণের বহর, 
ফিরাবে প্রাণ,
আবার মারিবে এসে;
জালিমের টুটি,
চেঁপে ধরো তারে,
ক্ষান্ত করো বসে।

তাই যদি না পারো,
সমানে সমানে,
যুদ্ধ করার, 
অস্ত্র পাঠাও আরো।
নিরস্র নারী শিশুর উপরে,
শসস্ত্র কাপরুষ ঝাঁপিয়ে পড়ে,
বেলা অবেলায় প্রাণ কাঁড়ে কতো।

আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া
১০/০৩/২০১৮ ঈসায়ী সাল।

ভালবাসি দিবা-নিশি _সূচীপত্র

ভ্রাতৃত্ব হারানো উম্মাহ: আজকের সংকট ও ইসলামী জাগরণে পথনির্দেশনা

📌 ভ্রাতৃত্ব হারানো উম্মাহ: আজকের সংকট ও ইসলামী জাগরণে পথনির্দেশনা ✍️ আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া (আরিফ শামছ) 📍রিয়াদ, সৌদি আরব --- 🕌 মুসলিম উম...