বুধবার, অক্টোবর ০৯, ২০১৯

০৯। পাথর দিয়ে যুদ্ধ

ইরাক, ইরান, তুরান, কাশ্মীর,
কাতার আর সিরিয়া,
সৌদি আরব, সুদান, মিশর, পুরো
আফ্রোশিয়া।
উপমহাদেশ, স্থান, আর দেশ -মহাদেশ,
সব সৃষ্টি স্রষ্টার জানি, আমরা বিশ্বের, বিশ্ব মোদের।
হানাহানি আর মারামারি করে, মানুষ মানুষেরে,
হৃদয় আছে ঠিকই দেহে, নাই যে দরদ অন্তরে।
সৃজিত হল কত দল উপদল, কেউ সহেনা কারো,
এক হওয়ার মন্ত্র ভুলে, অনৈক্যে খায় হাবুডুবু।
নাই সে খেয়াল, দূর করিবার ব্যবধান যতো আছে!
আমার আমি, অহমিকা আর অন্ধ সকল জনে।
কোরান কিতাব, হাদিস, ইজমা, কিয়াস জেনেছে কতো!
সবাই মিলে একই বাঁধনে, নাইকি  বাঁধিবার কেহ!
কত আরাধনা চলে অবিরাম দিবস যামিনী দেখো,
পাশের বাড়ীর অধিবাসী যারা, খেতে পেরেছে কি জানো?
ঋণের চাঁপে, লজ্জা শরমে, সহসা মৃত্যু দেয়যে হানা,
কানে তুলো আর চোখে ঠুলি বাঁধে সমাজের ধনী যারা।
দেশের রাজারা ব্যস্ত সদা, নিজেদের ব্যবসা দেখো,
দেশ ধর্ম কোথায় গেল, জাতির ঐক্য এলো কি গেলো!
তা'তে কি কার, কিছু আসে যায়, জীবনের দাম নাই!
সকাল বিকাল মারছে শিশু, দূর্বল নারীরা ও মারা যায়।
কথার কথা, নামে মাত্র সবাই করে বাদ- প্রতিবাদ!
মিছিলে মিছিলে যায় হারিয়ে প্রতিশোধের অগ্ন্যোৎপাত।
নায়কি সাহস দাঁড়াতে পাশে, মাজলুম যতো বিশ্ব মাঝে,
পাথর দিয়ে যুদ্ধ করে জীবন সঁপে,
শহিদী পথে।
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২,
ভাদুঘর, সদর, বি.বাড়ীয়া-৩৪০০।
১৫.০৬.২০১৭ ঈসায়ী সাল।

০৮। ভালবেসে কাছে যেতে

ভালবেসে আল্লাহ পাঠাল দুনিয়ায়,
ভালবেসে আরো কাছে যেতে,
দীদার লাভে ধন্য জীবন; লভিতে দু'জাহানে।
যুগে যুগে নবী রাসূল পাঠালেন সকল বান্দার লাগি,
কত ভালবাসার প্রিয় বান্দারা! এই পথ হারাল বুঝি!!!
ভূল করে করে জানা-অজানা, দুঃখের পথে হেঁটে চলে!
বন্ধুর কোথা, বিপদসংকুল পথ কেউকি
জেনেছে আগে,
তবু পথ চলে, মোহগ্রস্থের ন্যায় সসীম-অসীম পথে।
দরদমাখা দৃষ্টি যে থাকে, প্রিয় বান্দার 'পরে।
দেহ মন আর সমাজ পরিবার, নিয়ে সব একসাথে,
কেমন করিয়া স্বর্গ সুখের শান্তি সমেত
বাঁচিয়া রবে।
নিয়ম নীতি, স্বাধীন পরাধীন, রাজা প্রজা সব আছে,
রাজার রাজা মহারাজা সব দেখেন
তাহা কাছ থেকে।
কে ন্যায় আর অন্যায় করিল দিয়ে দেখে সব বল,
ধৈর্য্য কাহারা ধরিল, কঠিন বিপদ- আপদে শত।
কেবা হাজিরা দিল নিয়মিত খোদার ঘর মসজিদে,
হালাল খেয়ে কজনইবা চলছে, সদা হালাল পথে।
এলেম নিয়ে হেলেমের জোড়ে কারা করে পুকুরচুরি,
লেবাস ধরে কারা করে, স্রষ্টার সাথে জুয়াচুরি।
এমন কিছু বলনাযে, করতে যাহা পারনাযে,
বড়ই ঘৃণার কাছে আল্লাহর,মিল না থাকে কথা কাজে।
পরোপকারী স্বার্থহীন যেন, সদা থাকি মানবের পাশে,
দয়ালু মনে সদাচার সহ হৃষ্টচিত্তে সবার আশে।
খালি হাতে কেউ ফিরেনা কভু তোমার বান্দা হতে,
শক্তি দাও, সাহস যোগাও, হায়াত শেষের আগে।
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২,
ভাদুঘর, সদর, বি.বাড়ীয়া-৩৪০০।

০৭। ক'ফোঁটা রক্ত

তোমরা আছো বলে বেঁচে আছে
দেশ সমাজ,
বয়সে ছোট হতে পার, তবে করে যাও
বড় বড় কাজ।
রক্তের বাঁধনে লহ বাঁধিয়া, জাননা কেবা আপন পর!
শুধু জান রক্ত লাগবে, রক্ত চায়,
কে আছো? কোন জন?
হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে শুয়ে, মৃত্যুর প্রতীক্ষায়,
প্রহর গুনে মরি মরি, সকাল সন্ধ্যা কত বেলা যায়,
কেউ নাই কারো, আবার আছে অনেক আত্মীয় কারো,
রক্ত দেবে ভাই! রক্ত লাগবে; বাঁচাতে প্রাণ তা'রো।
মন মানসে, দেহ মননে তৈরি থেকো ভাই,
ক'ফোঁটা রক্তে তোমার যদি, বাঁচে কোন বোন ভাই।
তোমার রক্তে নবজাতক কোন ফিরে পায় পৃথ্বী পথ,
মা সকল পৃথিবীর যদি দেখে বাঁচার স্বপ্ন সব।
রক্ত যাদের নেশা পেশা; রক্ত করে নাক পান!
রক্তের তরে নিদ নাই তার, এই বুঝি যায় কারো প্রাণ!
রক্ত দানে দিবা নিশি ছুটে, চেনা অচেনা কত পথ!
রক্তের যোগান দিতে হবে ভাই, এই আমাদের পণ।
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২,
ভাদুঘর, সদর, বি.বাড়ীয়া-৩৪০০।

০৬। জীবন যেখানে যেমন

প্রেম ও প্রীতি আসল দিঠি,
প্রেমিক হৃদয় কোথায় খুঁজি?
কোথায় পাবগো প্রেমের হিয়া?
কহিব কথা পরাণ ভরিয়া!!
এমন গোধূলী, কাঁচা সোনা রোদ,
এঁদো ডোবাজল, একলা ডাহুক,
রিমঝিম টিপটপ বিষটি কোথা,
কথাকলি সব রবে কি হেথা???
বিনিদ্র রজনী সাতকাহন কি হবে?
নিশির নিশা পেড়িয়ে ভোর যে কবে?
দখিনা মলয় তপ্তদেহে বারিসিঞ্চনে;
আসবে কবে বারিরাশি সঙ্গে করে।
চায়লে কি গো ফুল ফুটিবে অরুণ প্রাতে,
গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হবে, খুশির ঝিলিক তাতে।
ডাকবে কোকিল বিজন বনে, একলা পথে,
ভাবের পথে হাঁটবে তুমি, উদাস মনে।
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২,
ভাদুঘর, বি.বাড়ীয়া-৩৪০০।

০৫। চিকনগুনিয়া

নাম ঠিকানা ভূলিয়ে দিবে,
চিকনগুনিয়া।
ডানে হাঁটার ইচ্ছে হলেই,
হাঁটা যাবেনা।
চালক ঠিকই দেহের তুমি,
নাইযে কোন বল,
চলার পথে উদাস হলে,
দেখবে বহু বিপদ।
কেউবা বলে নাপা খাও ,
প্রচুর তরল খাবার,
কেউ বলে বা প্যারাপাইরল,
ডাবের পানি পান।
সত্যি কথা বলতে গেলে,
ভয়ে হবেন কাৎ,
মুখের রুচি, ঘুমের বিরাম,
সবি নেবে ভাই।
নাওয়া খাওয়া বিনে ক'দিন,
ঘুমে অচেতন,
ব্যাথার সাথে নিরস থাকা,
রয়না দেহে বল।
সব যোগাযোগ হালকা হবে,
বাড়বে ছুটা ছুটি।
কখনো বা হেরে গিয়ে,
শিশু কালের স্মৃতি।
যতো পারেন বেশি করে,
পানি করো পান,
দূর্বল যেন নাইবা করে,
ভাল ভাল খান।

০৪। আজিকে এই খুশির রাতে

ভালবাসা আর শংকায় বাজে সদা মনের বীণা,
মাফ পেয়েছি কী ক্ষমাশীল দয়াময়!
তা' জানিনা।
হৃদয়ের গভীর হতে কি বিষাদের মর্ম বেদনা,
তীব্র হতে তীব্রতর অসহনীয়,  তবু হারাতে চাইনা।
বুকে হাত দিয়ে বলি, কতবার যে তোমায় স্মরেছি,
পলে পলে অনুপলে, দানা পানি সামনে পেয়েছি।
ভূলে ও হাত চলেনি তা' নিতে বরং "রোজা রেখেছি"।
ভাংতে পারিনা কোন ভাবে, কিভাবে দাঁড়াব সেদিন!
ভালবাসি তোমায়, ভালবাসা পেতে চাই সদা,
পদে পদে ভূল আর অবাধ্যতা!যদি করো ক্ষমা।
দূর্বল আর শেষ নবীর (সাঃ) অনুসারী "অনেক দাবী"!
তাঁ'র সুন্নাহ, রীতিনীতি কতটুকুইবা মানিতে পারি!
রাহমান তুমি, রাহীম তুমি ওগো পরম দয়াময়,
আজিকে এই খুশির রাতে ক্ষমা আর রহমতের অনুনয়।
যতো আবেদন, বাহারি চাওয়া, দু'জাহানের তরে!
তোমার বান্দা, মহানবী (সাঃ) প্রিয় উম্মত; যেন হয় কথা-কাজে।

০৩। মাহে রমজান

মহান প্রভুর সেরা দান,
এলোরে ঐ মাহে রমজান।
আসছে ধেয়ে জান্নাত হতে,
শান্তি অশেষ ধরাতলে।

মনের বাগান চাষ করিব,
হরেক রকম বীজ বুনিব।
সুফল ফসল সব তুলিব,
কেয়ামতে সফল হব।

রহমতের দশটি দিনে,
ঈমান-আমল ঝালাই করে,
মাগফিরাতের দিনগুলোরে,
পূণ্য-নেকে পূর্ণ করে।

বিদায় বেলার শেষের দশে,
জাহান্নামের আজাব হতে,
মুক্তি চাইবো সবাই মিলে,
জান্নাতি হবো বলে।

ভালবাসি দিবা-নিশি _সূচীপত্র

ভ্রাতৃত্ব হারানো উম্মাহ: আজকের সংকট ও ইসলামী জাগরণে পথনির্দেশনা

📌 ভ্রাতৃত্ব হারানো উম্মাহ: আজকের সংকট ও ইসলামী জাগরণে পথনির্দেশনা ✍️ আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া (আরিফ শামছ) 📍রিয়াদ, সৌদি আরব --- 🕌 মুসলিম উম...