শুক্রবার, জুলাই ১২, ২০২৪

শিক্ষকের প্রতি অছিয়ত - বযলুর রশীদ

শিক্ষকের প্রতি অছিয়ত - বযলুর রশীদ: ছিদ্দীক হাসান খান কানূজী ‘আবজাদুল উলূম’ গ্রন্থে বলেন, শিক্ষকের দায়িত্ব ও কর্তব্য হ’ল-প্রথমতঃ শিক্ষার্থীদের উপর দয়া প্রদর্শন করা। শিক্ষক তাদেরকে নিজের সন্তানের মত পরিচালনা করবেন। এজন্য পিতামাতার অধিকার অপেক্ষা শিক্ষকের অধিকার অনেক বড়। যদি শিক্ষক না থাকত, তাহ’লে শিক্ষার্থী পিতার নিকট থেকে যা শিখেছে অবশ্যই তা স্থায়ী ধ্বংসের দিকে ধাবিত

রবিবার, জুন ৩০, ২০২৪

৯০। অনুশোচনা

পদে পদে, প্রতি পদে, জড়ায়ে পাপে,

মুক্ত না হতে পারি,

আশা নিরাশার দোলাচলে চলি,

দিবা-নিশি এমনি করি।

কখনো শয়তান, নিজের নাফস,

দুনিয়ার মন্দ সব,

হৃদয় গহীনে বাসা বেঁধে চলে,

চালায় যতো তান্ডব।

সহজ সরল পথের সন্ধানে ছুটি,

দিনমান কেন বিপথে চলি!

ঘুমের জোয়ারে ক্লান্ত দু'চোখে,

আপনারে লয়ে,ব্যস্ত নিশিতে।

কোথায় মাগিব দু'দন্ড শান্তি,

কেমনে ভূলিব জমানো ক্লান্তি,

কাঁদিব কোথায় পথযে হারায়,

আপনার ভূলে, পথ ভূলে যায়।

ভূল করে করে, নিঃস্ব আজি,

কোথাও কি কিছু আছে বাকি!

চারিদিকে দেখি মরু মরিচীকা,

আশার দোয়ার হারালো কোথা!

ভাঙ্গিতে ভাঙ্গিতে ক্ষীণ মনোবল,

অনুশোচনার অস্থির মরুঝড়। 

আশার দীপালী নিভু নিভু কভু,

তবু স্বস্থি, জাগে তাওহীদ, মনে প্রভু!

আশ্রয়হীনের সেরা আশ্রয়, 

সর্বোত্তম করুণার আলয়,

নিরাশার মাঝে আশার আলো,

বাঁচিবার তরে পিদিম জ্বালো।

নূতন আশার ঝলকানিতে, 

জীবন পথের বাঁকে বাঁকে,

অসীম শান্তি-স্বস্থি মিলে,

তোমার অশেষ রহমতে।

করুণাধারা চায় অবিরাম,

দেশ ও জাতির তরে অফুরান।

পাপ ও তাপের পথ হারাবে,

লক্ষ্য-পথের যোজন দূরে।


 আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া

২৪/১২/২০১৭ ঈসায়ী সাল।

রাত ১১ টা,

২৩/১২/২০১৭।

মধুবাগ, বড়মগবাজার,

রমনা , ঢাকা।

৮৯। পরোয়ানা

ভালবাসা ভরে থাক,

প্রতিটি অন্তর;

ভালবেসে বেঁচে থাকা,

হউক মূল মন্তর।

পথে ঘাটে জোড়া জোড়া,

বসে থাকে নীরবে;

সহাস্যে হেলে দুলে,

কেউ চলে সরবে।

আকাশের তারা সম,

যুগলেরা জ্বলে নিভে,

কত কথা বিনিময়,

চলে মান অভিমানে।

সত্যি হয়ে থাক,

সব সুখ স্বপ্ন,

স্বপ্নের বলাকারা,

হয়ে যাক ধন্য।

থেকো সবে চিরদিন,

পাপ তাপ মুক্ত,

দিন দিন বাড়ে যেন,

পূণ্যের প্রস্থ।

ভালবাসি ভালবাস,

দিবা নিশি সত্য,

স্বর্গ হবে দেখো,

ধূলীর এই মর্ত্য।

ভালবাসার অভিনয়ে,

কেঁড়ে নিবে যতো সব,

জিম্মী করে কভু,

জুলুমের উৎসব।

সঙ্গ দিবে ঠিক,

যবে তার প্রয়োজন,

ফিরে আর পাবেনা,

হবে শেষ আয়োজন।

নেশা করে প্রেম করে,

সুস্থতা বিনাশে,

উপকরন সহজেই,

রবে আশে পাশে।

মিলবে সব তার,

যতো চাওয়া ফন্দী,

মৃত্যুর পরোয়ানা,

কভু পাপে বন্দী।

চায় সৎ সঙ্গ, সুখ ভোগ, শান্তি,

প্রেম আর ভালবাসা একটু শ্রান্তি।

প্রতারক, লোভী সব, একা থেকে মুক্তি, 

চাই পাশে,সৎ জন, এই হোক চুক্তি।


- আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া

   ২১/১২/২০১৭ ঈসায়ী সাল।

গুলশান-০১,

ঢাকা।

৮৮। প্রাণের চেয়ে প্রিয় কুদস

ওরা মার খাচ্ছে, খাক, জ্বলে পোঁড়ে

 ছারখার হয়ে যাক,

পুরো ভিটে মাটি, সাজানো সংসার,

কারো দখলে এমনি থাক।

আমার আসন ঠিক আছে তো,

বিশ্ব তাহার সবি হারাক।

মানব-দানব ধ্বংস চালায়,

কার কী আসে যায়।

তোমার আঙ্গিনায় ফোটে, 

রং বেরঙের, নানা জাতের ফুল,

আমার আঙ্গিনা ক্ষত বিক্ষত, 

জাজরা বুলেটে, বংশ নির্মূল!

তোমার সুখে ও দুঃখে সবাই 

প্রাণাধিক সুখী ব্যাথাতুর,

আমার জীবন যৌবন, সন্তান,

প্রিয়তমা হারায়, নিত্য কূল।

বসত ভিটা, জমি-জমা, স্বপ্ন কাঁড়ে,

 পাষাণ অরি,

সকাল-সাঁঝে, হর হামেশা, ঝাঁপিয়ে

 পড়ে প্রাণ হরি।

যাক চলে যাক সহায় সন্তান দুঃখ নাই

 মোর অন্তরে,

প্রাণের চেয়ে প্রিয় কুদস, কার দখলে,

 কোন কারণে?

শান্তি নিয়ে জুয়া খেলা, খেলছে কারা

 দিবালোকে,

দাবা খেলার গুটি নিয়ে, হন্যে হয়ে 

 চলছে ছুটে।

শান্তি-চাবি গুটি কয়েক বোকা রাজার

 হাতেই রবে?

বিশ্ব মাঝে ঝাঁকিয়ে তোলা, অশান্তির

 সেই শেষ কবে?

যতো আছে পথের কাঁটা, সরায় সবে

 শক্ত হাতে,

অত্যাচারীর বুকে মাটি, দাফন করি

 সবাই মিলে।

চিরতরে স্তব্ধ করি, ঝগড়া বিবাদ

 মারামারি,

কারণে আর অকারণে করে যারা

 হানাহানি।

বিশ্বটাকে এমনি করে তুলে দিবে!

পাগল, ছাগল, পামর করে,

ভয় কি তোমার, ভীত কেন?

শক্তি তোমার কম কি কীসে??

মানবতার ধারক বাহক কোটি 

কোটি জীবন পাবে,

অস্ত্র তোমার ঈমান আমল, 

শক্তির  আধার আল্লাহ পাশে।


----- আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া

১৪/১২/২০১৭ ঈসায়ী সাল।

সকাল ০৭ টা ৩৩ মিনিট।

১৪/১২/২০১৭ ঈসায়ী সাল।

মধুবাগ, বড়মগবাজার,

রমনা, ঢাকা-১০০০।


শনিবার, জুন ২৯, ২০২৪

বিপ্লবী (২৬)

https://fictionfactory.org/contributor/2165

বিপ্লবী!
পর্বতের ঐ চূঁড়া ছোঁয়ে,
হিমবাহের গাত্র বেয়ে,
জন্ম লভে চলতে হবে,
সাগর পানে ছুটবে তবে।
সবুজ শ্যামল পথের ধারা,
চলতে চলতে পথের সারা,
লক্ষ্যপথে সফল হওয়া,
সকল বাঁধা, হলো হাওয়া।
জাগছে দেখো, আসছে ধেয়ে,
বিপ্লবীরা আকাশ ছেঁয়ে ।
বিপ্লবী!
ঘন সবুজ কালো গায়ে,
শুভ্র ধারা নামছে বেয়ে,
উদাস মনে আকাশ পানে,
ভাবের উদয়, কাছে টানে।
পথে পথে লাখো হাতে,
ময়লা ধুয়ে দিবস রাতে,
স্বচ্ছ জলের ঝর্ণা হয়ে,
বাঁধনহারা চলছে বয়ে।
বিপ্লবী!
দেখছো তুফান, মরুঝড়,
দেখবে তাঁদের ঘূর্ণিঝড়,
মন্দ খারাপ, জীবন ভর,
পাল্টে দিবে, নেইকো ঢর।
জরাজীর্ণে আনিবে প্রাণ,
শ্মশান হবে গুলিস্তান।
ঐকতানে সুর মিলিয়ে,
সব ভেদাভেদ ঠেলে দিয়ে,
পরকে সবাই আপন করে,
সবাই রবে সবার তরে।
হাসবেনা কেউ কারো দুঃখে,
সুখী হবে সবার সুখে,
ভালো থেকো, ভালো রেখো,
জগত জুড়ে শান্তি দেখো।

-----আরিফ শামছ্

২০-সেপ্টেম্বর-২০২০ ঈসায়ী সাল।
ঢাকা,
বাংলাদেশ।

বিপ্লবী (২৫)

https://fictionfactory.org/contributor/2165

বিপ্লবী!

বিপ্লবীরা জাগো,

তর্জন গর্জনে, 

গর্জে ওঠো,

স্বপ্ন, ঘুৃমের মোহ,

ঘুমিয়ে আছে,

যারা আছো।

ভাঙবি ওরে ভাঙবো।

মিছে আশ্বাস, কল্প বিশ্বাস, 

নয় পটাতে বিশেষ বাতাস,

দেখরে চেয়ে, খোল্ ইতিহাস,

বিপ্লবীদের জয়োল্লাস। 

কালের সাথে সমান তালে,

বন্দী সমাজ, বিপদ জালে,

খাঁমচে ধরে, জাতির পালে,

সলীল কবর চায় অকালে!

ঘাপটি মেরে, সবার মাঝে,

চুপটি করে, সকাল সাঁঝে,

করছে ক্ষতি দিবস রাতে,

মরণ ফাঁদের জাল পাতে।

বিপ্লবী! 

আগাছা বাছো,

গোঁড়ায় ধরো,

জোরসে মারো টান,

মানুষ নামে অমানুষ,

মন্দ! নামে ভালো,

রয়না যেনো প্রাণ।

দেশ ও জাতির কল্যাণে,

প্রাণে প্রাণে প্রাণ এনে

বিপ্লবীরা রণে।

 দেশ ও দশের ক্ষতি সবার,

 নেই কোন বোধ, বিবেক বিচার,

পুতুল সম নাচে নাচায়,

যেমনে তাদের শেখায়। 

ওরা জাতীয় বেঈমান, 

বিশ্বাসে গাদ্দার, 

হাতে গোনা কটা চাটুকার, 

ওদের ধরো, বোধ ফিরাবার, 

শাস্তি হবে বেদম প্রহার। 

বিপ্লবী! 

অপূরণীয় ক্ষয়-ক্ষতি,  

কুটচালের মাত্রা অতি,

সব অরিদের একই গতি,

মরণ দানে টানবে যতি।

নূতন বিশ্ব,

শত্রু মুক্ত, 

সবাই সবার আপন,

জীবন মরণ,

বিপদ আপদ,

নেই কোন ভয়,

সবাই পাশে,

নিখাঁদ আশে,

হাতের কাছে,

নেই কোন সংশয়।

২৮/০৮/২০২০

ভালবাসি দিবা-নিশি _সূচীপত্র

ভ্রাতৃত্ব হারানো উম্মাহ: আজকের সংকট ও ইসলামী জাগরণে পথনির্দেশনা

📌 ভ্রাতৃত্ব হারানো উম্মাহ: আজকের সংকট ও ইসলামী জাগরণে পথনির্দেশনা ✍️ আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া (আরিফ শামছ) 📍রিয়াদ, সৌদি আরব --- 🕌 মুসলিম উম...