শনিবার, মে ৩০, ২০২০

Revolutionary-Rebel


             ------- Arif Ibn Shams
             04/12/2018 Christian year.

I'm a warrior, I'm a Wisdom, not an old woman,
The coil of fire, the ghost-future of the tyrant.
I am a soldier, a general, a general, a sepoy.
Caliph Abu Bakr (R), Omar (R), Uthman (R), Ali (R), The Lion of Allah, Imam Hasan (R); Hossain (R), back again.
I, Amir Hamza (R), Khalid bin Walid (R), Salman, Tariq, Musa, Ikhtiyar's victorious horseman.
Salahuddin, Bir Mahabir, Qutbuddin, Isha Khan, Mansingh.

শুক্রবার, মে ২৯, ২০২০

বিপ্লবী (১৪)

১৩০.

উড়াও নিশান,
বাজাও ভীষণ,
বজ্রযানে বজ্রনাদ,
বিপ্লবী জিন্দাবাদ।

আর কতোকাল,
পথের পানে,
রয়বে চেয়ে,
অধীর হয়ে;
ছিঁড়বে গেঁড়ো,
ভাঙ্গবে শিকল,
করবে বিকল,
ঝঞ্ঝা লয়ে।

ঝড়ো হাওয়া,
বয়ে যাওয়া,
আঁধার ঘেরা,
পালযে ছেঁড়া,
পাহাড় ছোঁয়া,
ঊর্মি ধোঁয়া,
আসছে ধেয়ে,
আকাশ ছেঁয়ে।

তারার মেলা,
আলোর খেলা,
যায়না দেখা,
লক্ষ্য রেখা,
মিলবে কোথা,
জাতির নেতা,
জাগবে মানবতা,
নামবে সফলতা।

দিশেহারা জাতি,
জাগছে দিবারাতি,
আসলো বুঝি,
সদলবলে যুঝি,
ঘুমহারা বিদ্রোহী,
মুক্তি পাগল রাহী।
দূরন্ত অশ্বারোহী,
দূর্বার মতি গতি,
বিপ্লবী শাহানশাহী।

দেখছে সবে,
আকাশ পরে,
জমছে মেলা,
মেঘের ভেলা,
তারায় তারায়,
আলোর আভায়,
ভরছে পৃথিবী।
রুপালী আলো,
সোনালী বলো,
সব তাড়ালো,
আঁধার কালো।
বিজয়ী বিপ্লবী।
চির সংগ্রামী,
জাগ্রত বিদ্রোহী।
চির বিপ্লবী।

হয়তো তুমি,
স্বপ্ন চুমি,
কিশোর কিশোরী,
যুবক যুবতী।
অনন্ত যাত্রী,
সচেতন সাস্ত্রী।
তরুণ সেনানী,
জাতির কান্ডারী,
আত্ম বিশ্বাসী।
চির বিদ্রোহী,
চির বিপ্লবী।

আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া।
০৪/০৪/২০১৮ ঈসায়ী সাল।

বিপ্লবী (১৩)

১২৯। 


সাম্যবাদী!
বিপ্লবী সাম্যবাদ। 
আবার করিবে আবাদ।
গাহি সাম্যের গান,
করি সমতা বিধান,
বাঁধার পাহাড়,
চূর্ণ -বিচূর্ণ,
পাতাল ভেদীয়া,
আকাশ ফুঁড়িয়া,
সুবাস ছড়াবো,
দুহাত ভরিয়া।
দূর করিব সবে মিলিয়া,
যতো দুর্গন্ধ রহে ছড়িয়া।
চির-বিদ্রোহী!

বিপ্লবী মুসাফির,
চলিছে অস্থির। 
ঘুরিয়া ফিরিয়া,
পথে ঘাঠে চলিয়া,
অগ্নিশর্মা নয়নে হেরিয়া;
আলো আঁধারে,
জড়াজড়ি করে,
কালে অকালে,
কিসের ছলে,
করছে লেনাদেনা,
সবাই দেখে, কেউ দেখেনা।
চুপটি করে, আপন মনে,
যায় চলে যায় সুদূর পানে।

কে ফিরাবে, বিপথ থেকে,
কারা আবার পথ দেখাবে,
গড়বে নতুন সমাজ;
পথ গুলি সব, ভরা ভুলে,
বুঝবে কবে, ফিরবে সবে,
করবে পূণ্য কাজ।

ঝিলের পাড়ে, সড়ক পাশে,
করছে কীসব কাছে বসে;
খর তাপে, ঠান্ডা শীতে,
ঝড় তুফানে তপ্ত রোদে।
আঁধার রাতে, বিজন ভূমে,
সন্ধ্যা সাঁঝে, হোটেল রুমে,
কোথায় থাকে, কাদের সাথে,
কোন লালসায়, ভুলের রথে!
কাটায় বেলা পথ বিপথে,
পড়ছে নিতুই বিপদ মাঝে;
সর্বনাশে হুঁশ আসে,
অশ্রু জলে বুক ভাসে।
হারায় সবি জেনে শুনে,
স্বপ্ন বড় জীবন হতে?
জীবন বড় জীবন পথে।
জীবন দিয়ে, স্বপ্ন কিনে,
ঠুনকো কাঁচের স্বপ্ন গুলি,
দেখছে শেষে ফাঁকাবুলি।
ওঠরে জেগে,
বিপ্লবী।
জাগাও সবে,
সংগ্রামী।
পূণ্যপথে পথ চলিবে,
সুন্দর আগামী,
সদলবলে গর্জে ওঠো,
চির বিপ্লবী!চির সংগ্রামী।
সাম্যবোধের বিপ্লবী।
 মুসাফির বিদ্রোহী।

পূণ্য প্রেমে, জড়ায় পাপে,
স্বর্গ হতে জাহান্নামে,
খোদার বিধান ভূলে গিয়ে,
ক্ষতিগ্রস্ত সব জাহানে।
বাগান সেতো পূণ্যে পূর্ণ,
থাকো যদি সতি,
মিলিয়ে দিবেন মহান প্রভু,
সেরা মাছুম পতি।
সেরা বাগে, ফুটবে সদা,
সুবাস সেরা ফুল,
কেয়ামতের শেষ অবধি,
পুতঃ রবে কুল।

চলোনা ভাই শপথ করি,
সবাই মিলে মিশি,
পূণ্য জনের, আগমনে,
খুশি দিবানিশি।
প্রেম প্রীতি, সস্তা গীতি,
নষ্ট প্রেমের, ভ্রষ্ট নীতি,
ক্ষণিক আবেগ, মোহ হতে,
সাফ রাখিব রুহ।
পেয়ে যাবো খোদ খোদার,
সব জাহানে সুখ।
সাম্যবাদের,
সাম্যবোধের,
চিরবিদ্রোহী,
আপন ত্যাজে,
জ্বলে ওঠো,
চিরবিপ্লবী।


আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া।
০৩/০৪/২০১৮ ঈসায়ী সাল।

বিপ্লবী (১২)

১২৮। 


চিরবিপ্লবী!
ভালোবাসার বিপ্লবী!
ভালোবাসায় তুলবো গড়ে,
নতুন করে, বিশ্বটারে।
চলো ভালোবাসি,
সবাই মিলে মিশি,
অহোরাত্র  দিবানিশি, 
স্রষ্টাকে ভালোবাসি।
তাঁর সৃজিত সকল সৃষ্টি,
জীবন জুড়ে ভালোবাসি।
সৃষ্টির সেরা, হে মানুষ!
রবে সদা দিলখোশ।
ভালোবেসো সৃষ্টি সবি,
সবাই তোমার আপন,
জুলুম করে রবের কাছে,
করবে কারাবরণ!

অনেক আদরে,
স্বর্গে সাদরে,
নিজবাসে ছিলে সুখে;
অনন্ত পথে,
যাত্রা রথে,
চলছো সুখে দুঃখে।
বিশ্বমাঝে সবে,
স্বল্পকালে রবে,
চলন্ত মুসাফির ;
আসল আবাস,
সকল নিবাস,
রয়লো যে অধীর।
ভালোবেসে তোমায়,
স্রষ্টা স্বয়ং সৃজিল জান্নাত,
অসংখ্য হুর পরী,
গিলমান সহ নাজ নেয়ামত,
চির কিশোর- কিশোরী। 
রয়েছে মাঝে অনন্তকালের,
সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ পাওয়া,
দীদারে খোদার, নেয়ামত পেয়ে,
 প্রশংসা  স্তুতি গাওয়া।

শীত গরমে, 
ঝড় তুফানে,
বিপদ আপদে,
জীবন জুড়ে,
সকল কালে,
নিছক জালে,
মহান প্রভুর ডাকে;
হৃদয় মাঝে,
পুতঃমনে,
ভালবাসা,
লালন করে,
ছুটতে তাহার পানে।
অদেখা সে স্রষ্টা মোদের,
দেখা দিবেন বান্দাদের।

আঁধার পথে,
চলার রথে,
আলোক জ্বেলে, 
গতি দিলে,
সফল হলে,
সকল হালে।
বলছি মহীয়ান
স্রষ্টা মহান,
আল্লাহু আকবার,
আল্লাহ মহান।

বিপ্লবীরা আওয়াজ তুলো,
বজ্রকন্ঠে, সমস্বরে বলো,
সৃষ্টি সবি সবাই আপন,
নেই যে আপন পর।
সৃষ্টি তুমি মনে রেখো,
স্রষ্টা দেখেন সব।
ঘৃণামুক্ত বিশ্ব লয়ে,
রয়বো সবাই সুখে,
সবার দুঃখে,
দুঃখী হবো,
সকল জীবন জুড়ে,
সান্ত্বনা রয়,
রাখবো সবে,
দুঃখী জনের তরে।
স্রষ্টারে ভালোবেসে,
বিপ্লবীরা হেসে।
বিপ্লবী গান ধরে,
চিরবিপ্লবী,
চিরবিদ্রোহী,
ভালোবাসার তরে।

আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া।
০২/০৪/২০১৮ ঈসায়ী সাল।

বিপ্লবী (১১)

১২৭। 


আগ্রাসন!
দেশে দেশে বার মাসে,
বিশ্ব মাঝে, ত্রাসে ত্রাসে,
চলছে, চালায় আগ্রাসে;
খনিজ, দেশজ, সহায় সম্পদ,
শান্ত দেশে বিপদ-আপদ,
চালায় গিলতে গোগ্রাসে।

দেখছে সবি বিশ্ববাসী,
অত্যাচারীর দেশী -খেশি,
নেইকো প্রতিবাদ;
অন্যদেশের সবকিছু তার,
লুটেরাদের, লুটে নেয়ার!
বাধ সাধেনা বাদী-বিবাদ!

আগ্রাসী দেশ হুমড়ে পড়ে,
বিশ্ব মোড়ল সাথে করে,
নেই অভিভাবক,
নিখিল চরাচর!
রৌদ্র রুপে থরথর!
এমনি করে, 
কদিন যাবে,
বাঁচা মরার লড়াই করে,
শহীদ, গাজী, লড়বে রণে,
দলে দলে আসছে ধেয়ে,
জয়ী হবে জীবন দিয়ে।

গোটা কয়েক শাসক,
জিম্মী জনগন।
সব হবে যে শেষ।
মানুষ নামের বন্য পশু,
মারছে নারী অবুঝ শিশু,
চলছে সবাই বেশ।

একটু ভাবো, 
মারছো যাদের, হর হামেশা, 
শান্তি সুখে বাঁচার আশা,
আছে তোমার মতো।
এবার সবে থামো!

বিপ্লবীরা দেশে দেশে,
জাগছে বীরের বেশে,
হাঁকছে তাঁরা, ডাকছে জুড়ে,
আকাশ পাতাল ফুঁড়ে,
পথ পালানোর পথ পাবেনা,
বাঁচার মতো কেউ রবেনা,
বুঝবে সেদিন শেষে।
নতুন সাজে সাজবে ধরা,
রবে নাক জরা-খরা,
শান্তি সুখে মিলে মিশে,
বাঁচবে বীরের বেশে।
জয় হবে জয়, মাজলুমের,
বিশ্ব বিজয়! বিদ্রোহের।
মানবতার বিপ্লবের।
অগ্রগামী বিদ্রোহী,
ওড়াও নিশান সংগ্রামী।
 চির জাগরণী,
 চিরবিপ্লবী।

আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া।
৩০/০৩/২০১৮ ঈসায়ী সাল।

বিপ্লবী (১০)

১২৬।


চির বিপ্লবী!
তোমার মিছিলে,
পায়ে পায়ে চলে,
বজ্র হুংকারে,
শান্তির তরে,
আসছে দলে দলে,
শান্তির বিশ্ব চায়;
অশান্তি, মারামারি,
কাটাকাটি, হানাহানি,
মিথ্যাচার, জানাজানি,
খতম শেষে আপন ভূবন পায়।

সত্য নাবিক!
সততঃ বিদ্রোহী!
যুগে যুগে, যুগোপযোগী,
জোগায় শান্তিবাণী,
অশান্ত বিশ্ব, 
করেছে শান্ত,
সুখ দিয়েছে আনি।

আবার এসেছে ফের,
অত্যাচারী, জালিমেরা সবে,
নতুন কূট কৌশলে;
নিষ্পেষিত মানবতা,
মেতেছে হত্যাযজ্ঞে,
চতুর যাঁতাকলে।

হে বিশ্ববাসী!
ঘুমন্ত শার্দূল,
বিশ্ব বিপ্লবী! 
এসেছে সময়,
জেগে উঠবার, 
ঘুরে দাঁড়াবার,
কোন দলে যাবে বলো!
অতি সন্তর্পণে, স্বাগত স্বাধীন,
বিশ্ব জয়ে চলো।
নীরবে রয়ে বাড়িয়ে যাবে,
অত্যাচারীর বল,
নাকি, সত্য ন্যায়ের ঝান্ডা হাতে,
খতম করবে ছল।
 
হাতে পায়ে, চোখে মুখে,
অসি, মসি, ট্রিগার চেপে,
সব হবে শেষ,
বাটন চেপে, নগ্ন আগুন;
দ্রোহানলে পুঁড়বে রাজ্য ,
বিশ্ব হবে বেশ।

আর ঘুমাবে কতো,
বিপ্লবীরা জেগে উঠো,
কেঁড়ে নিলো নেকড়ে যতো,
তোমার শান্তিধাম,
মানবতা চরম অসহায়,
চেয়ে আছো পথ পানে কার,
বীরদর্পে চলো, বিপ্লবীরা ছুটো। 
সমস্বরে গাহি,
আমি বিদ্রোহী,
চির বিপ্লবী,
চির সংগ্রামী।

আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া।
২৯/০৩/২০১৮ ঈসায়ী সাল।

বিপ্লবী (৯)

১২৫। 


বজ্রকন্ঠে বাজে,
সকাল সন্ধ্যা সাঁঝে,
কী করবে তোমরা সবে!
করছো কী সব ভবে?

আচ্ছা মাগো বলতে পারো,
তোমার মায়ের একটি মেয়ে?
নাইকি তোমার ভাই ও বোন,
একলা ঘরেই, বড় হলে?

হারিয়ে যদি যেতে তুমি,
বাবা মাকে ছেড়ে,
একটু ভাবো, করতো কীযে,
তোমার জীবন শেষে।

সত্যি করে বলো বাবা,
সব তারা কি দেখো,
ছোটবড় রাশি রাশি,
অনেক তারার আলো।

কে জানাবে ছেলে মেয়ে,
আসবে আগে পরে,
কেবা তোমার নাম ছড়াবে,
সুনাম দেশে দেশে।

তোমার কাঁধের জোয়ালখানি,
বয়তো কেবা জানো?
প্রথম ছেলে, নাকি মেয়ে,
যাদের কান্না শুনো!

মত-অমতের বিন্ধ্যাচল,
ভীরু প্রাণের অরুনাচল,
উড়িয়ে করি ভস্মতল,
অরুণ, করুণ, নিঃস্ব দল।
উঁচু করি শান ও মান,
জানি, মানি হুকুম যার,
খালিক, মালিক, 
আল্লাহ মহান।

সত্যের ধ্বজাধারী,
কেউ পর নাহি আজি,
সবাই আপন,
নিজ পরিজন।
শান্তি চাই,
শান্তির লড়াই,
চির সংগ্রামী,
আমি চির বিপ্লবী। 

এই পৃথিবীর আলো বাতাস,
মনজুড়ানো নীলাকাশ,
সব ঋতুতে ফুলের সুবাস,
ডাকছে পাখি, তৈরি আবাস।

তোমরা কেনো উদাস মাগো,
ভয় কিসে পাও বলো!
তোমার কচি ছেলে মেয়ে,
বীর মহাবীর সবে।

আশেপাশে দেখছো কতো,
কাপুরুষের দল,
কতো করে সাজায় তারা,
মিথ্যা কলাছল।

তুমি কি মা বন্ধ্যা, কিবা,
মৃতবৎসা, কাকবন্ধ্যা তো নও,
পথ আমাদের আগলে রেখে,
সুখ খুঁজে কী লও!

আসল মাকে খুঁজি,
বিশ্ব নায়ের মাঝি,
মেকী জীবন,
করবে দাফন,
মায়া নকল,
মিথ্যে সকল,
সয়বে ধকল,
খুলবে আগল।
উঠবো জেগে,
বিদ্রোহী, 
চির বিপ্লবী।

আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া।
২৮/০৩/২০১৮ ঈসায়ী সাল।

ভালবাসি দিবা-নিশি _সূচীপত্র

কারবালার ইতিহাস

কারবালার ইতিহাস ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও হৃদয়বিদারক অধ্যায়। এটি কেবল একটি যুদ্ধ বা হত্যাকাণ্ড নয়; বরং এটি হক ও বাতিলের মাঝে এক সুস্পষ্ট...