মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ১০, ২০১৯

৯৮। জীবন বন্দনা


তোমাকে চাই নিতে 
হৃদয়ের কাছাকাছি করে,
আমার সাধ আহ্লাদ
সব তোমাকে ঘিরে।
পূর্ণতা আর শূণ্যতা,
সবি তোমার দান,
কি করে ভূলে যাবো;
তুমি যে মহীয়ান।

শুধু কি আবেগ আপ্লুত হয়ে একাকি,
অসার প্রার্থনা করে, তোমাকে পাবো কি!
ঘোর অমাবস্যার রাতে,
পূর্ণিমার আলোর ঝলকে,
স্নিগ্ধতায় পূর্ণতা পাবে কি,
তনুমন নীরবে।

তোমাকে ছাড়া এ জীবন মরু প্রান্তর,
শ্রীহীন, জঞ্জালে পূর্ণ কালিমাখা অন্তর,
তেপান্তরের মাঠে, এ কোন অভিলাষী,
ঘোর বিপদের উলঙ্গ থাবার মুখোমুখি।

ভালবাসার একটু পরশ, জীবন বন্দনা,
করুণার সিন্ধু হতে, চাই বিন্দু করুণা!
দু'জাহানে ব্যর্থ হবো, তা'ই যদি তুমি চাও,
তোমার খুশিতে স্বর্গ নরক, মেনে নেবো যা' দাও।

আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া
২৯/০১/২০০৩
১৩ টা ১০ মিনিট।

৯৭। অবিরত


প্রতিটি অঞ্চল আজ হৃদয়ের
উত্তেজিত, আর রঙ্গীন স্বপ্নে বিভোর,
মহাস্বপ্ন তুমি পাশে রবে,
জীবন পথে থাকবো সাথী হয়ে।

আমার স্বপ্নটারে ভেঙ্গে দিওনা!!!
এ আর্তনাদ, হৃদয়ে তোমার বাজেনা!
আঘাত হেনেছো কোথা,
সেকি জানো প্রিয়?
হৃদয়ের গহীণ অঞ্চলে যা কাঁদে অবিরত!

ঝর্ণারা কাঁদে নিঃশব্দে নয়, ছন্দে ছন্দে,
পাহাড় নীরবে জানায়, গাম্ভীর্যতার সৌম্যে,
নিথর পরিবেশ, কেমন গুমোট সাজে,
হৃদয়ের ব্যাথাগুলো, বারবার আঘাত হানে।

দেখবে কি বারেক সবি, হৃদয়ের ক্ষত চিহ্ন,
লোভনীয় ভালবাসা নিরাশায় পূর্ণ।
তনুমন চাহে সদা, ভালবেসে যেতে,
হৃদয়ের ক্ষত দাগ, ব্যাথাগুলো লয়ে।

২৯/০১/২০০৩ ঈসায়ী সাল
রাত ১২ টা ১৫ মিনিট।

৯৬। স্বাগতম ২০১৮ ঈসায়ী সাল


পড়বে ঝরে ফুল পুরাতন,
ফোটবে সতেজ ফুল,
সবুজ পাতায় ঢাকা আঁখি,
খুলবে খেয়ে দোল।
রোদ বৃষ্টি, ঝড়ের মেঘে,
সবুজ পাতা পাঁকা,
বর্ণহীনে মলিন দেহে,
বৃন্ত রবে ফাঁকা।

সবাই তাকায়, সবুজ দেহে,
লাগছে দারুন বেশ,
রঙ ছড়িয়ে, চোখ জুড়িয়ে,
সবুজ জীবন শেষ!
রাত ও দিনের পালাক্রমে,
বছর নিবে বিদায়,
নতুন বছর আসছে সবে,
স্বাগতম জানায়।

সুখের স্মৃতি, দুঃখের ইতি,
যতো সফলতা,
হৃদ মাঝারে অসীম দিঠি,
সুখের বারতা।
স্বপ্ন আঁকি হৃদয়পটে,
জীবন জুড়ে শত,
প্রীতি-প্রেমের ফুল ফোটাবে,
মন বাগিচা যতো।

মহীরুহ হারিয়ে গেলো,
বছর ক'দিন আগে,
কচি কচি পাতা দুটো,
স্বপ্ন মেলে জাগে ।
অংকুরিত ক্ষুদ্র বীজে,
মহীরুহের কায়া,
বছর বছর বড় হয়ে,
দিয়ে যাবে ছায়া।

তোমরা যারা শিশু কিশোর,
স্বপ্ন পাখির দল,
দিনে রাতে  রং ছড়িয়ে,
বাড়ছে মনোবল।
নূতন করে রুপ-বাহারে,
সাজিয়ে নেবে আপন করে,
বিশ্বটারে আনবে বেঁধে,
নিজের মুঠোয় পরে।

রাত ০১ টা,
বুধবার,
২৭/১২/২০১৭ ঈসায়ী সাল,
মধুবাগ, বড়মগবাজার,
রমনা, ঢাকা-১০০০।

৯৫। আরিফীনের জন্মদিনে (বড় সাহেবজাদা)


কোন পাহাড়ের চূঁড়া থেকে,
                নামলো এমন শীতলধারা,
কোন গগনের মধ্যিখানে,
                 জাগলো শশী আত্মহারা।

কোন তটিনী ধেয়ে চলে,
                  খুশির চোটে, আপনমনে,
ফেনিল কোলে পদ্ম দেখি,
                   নাচছে গাইছে ছন্দতালে।

কোন প্রভাতে, আভীর মেখে,
                   চমকে দিলো সকলজনে।
প্রথম হাসি কান্নাকাটি,
                   মধুর আওয়াজ সহসাতে।

আরিফীনের সূর্য বুঝি,
               উঠলো হেসে মায়ের কোলে,
ডিসেম্বরের ত্রিশ তারিখ,
               স্মরণীয় হৃদয়-পটে।

৩০/১২/২০১০ ঈসায়ী সাল।
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
ভাদুঘর, সদর, বি-বাড়ীয়া-৩৪০০। 

৯৪। লজ্জাবতী



লজ্জাবতীর সবুজ গায়ে,
           স্পর্শ করেছ কভু?
লজ্জায় নুয়ে পড়ে ফের,
            প্রতীক্ষায় থাকে তবু।
কেমনে লুকানো আছে,
            গোপন ইতিহাস,
এতো লজ্জা! বুকে রেখেছে,
             জমা করে কত্তোকাল।

লজ্জা কারো অলংকার,
               কারো বর্ম,
কারো অহংকার,
                 কিংবা গর্ব।
কেউবা লজ্জায় নুঁয়ে পড়ে,
                লতার মতো,
আবার সযতনে কেহ,
                 ধারণ করে যতো।

ফুলকুঁড়িতে লজ্জায় যেন,
                    লুকিয়ে থাকে ফুল,
লজ্জাতে কেউ প্রকাশ করেনা,
                     হরেক রকম ভুল।
দেখে নিও লজ্জা কতো,
                    বর্ষাকালের মেঘে,
সবুজ শ্যামল বন বনানী,
                    লজ্জায় থাকে নুঁয়ে।

লজ্জা যদি যায় হারিয়ে,
                 এই ধরনী থেকে,
যায়বা যদি, কমে আবার,
                দেখতে কেমন হবে!
রূপের রানী লজ্জাবতী,
                 আগের মতো নেই!
লজ্জাহীনা মেঘ বালিকা,
                  ঝরছে অঝোরেই।

২৯/০৪/২০১১ ঈসায়ী সাল।
           শুক্রবার
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
ভাদুঘর, সদর, বি-বাড়ীয়া-৩৪০০। 

৯৩। ভালবাসি দিবা-নিশি বন্ধু আমার


নিরাকপরা ভর দুপুরে,
                  বসে আছি আনমনে,
সুখের বেলা যায় চলে যায়,
                   কতো দ্রুত আপন মনে।

ভাবছি কতো জীবন নিয়ে,
                   পাইনা ভেবে কূল,
অলস দেহে দেখছি তারে,
                   নেইকো কোন ভূল।

হাজির হলো কলম-খাতা,
                   কোমল হাতের স্পর্শে,
মনের কথা ঝরবে কবে,
                   ইতিহাসের গর্ভে।

ভালবাসি, কতো তারে,
                   বলবো কেমন করে,
মনের কথা মনে ওঠে,
                    মনেই ঝরে পড়ে।

নাইবা কোন ভূল আমারি,
                    নেইকো ছিলো তার,
ভালবাসি দিবা-নিশি,
                      ভালবাসে অপার।

সুবাস সেতো ফুলের মতো,
                       অতুল মৃগনাভীর,
সোনারোদের নরম বিকেল,
                     দেখি রঙ্গিন আবীর।

ভাসছে কভু সাঁঝের ভেলা,
                      বেলা অবেলায়,
স্বপ্ন ডিঙ্গি তীরে ভীরে,
                       যখন মনে চায়।

ভালবাসার তারা কতো,
                দেখি তা'রই আকাশে,
প্রেমের সুবাস পাই খুঁজে পাই,
                  মৃদুমন্দ বাতাসে।

বাঁধ মানেনা মনের কথা,
                  কলম দিয়ে ঝরে,
প্রাণের প্রিয়া, যাই বলে সব,
                    ভালোবাসার তরে।

সকাল ১১:৩০ মিনিট,
০২/১১/২০১০ ঈসায়ী সাল।
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
ভাদুঘর, সদর, বি-বাড়ীয়া-৩৪০০। 

২৪১১০২    ৭:৩০  

           "আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ"

মরুভূমির শুভাশিত বাতাসের শুভেচ্ছা রইলো। আশা করি গতকালের মতো আজ ও ভালো আছো। গত কালের কথা এজন্য বললাম যে, কোন দিনই তোমাকে কেমন আছো প্রশ্নটা করে ভালো আছি উত্তরটা পাইনি ,গতকাল ছাড়া। ১০ ই রমজানে চিঠি পাওয়ার পর চিঠি মোতাবেক তাসনীমের কাজটা করলাম। 

কিভাবে তোমার সাথে কথা বলতে হবে বলত, খুব কর্কশভাবে বুঝি তাইনা। অন্যরা আমাকে বলে আপনার মত অভিনয় করতে আমি পারিনা। তাদের বেলায় আমি বলব তারা আমাকে চেনেনা জানেনা তাই এ ধরনের কথা বলতে পারে। কিন্তু তুমি কি করে বল যে আমি তোমার সাথে অভিনয় করি। তোমার প্রতিটা প্রশ্নের উত্তরেই আমাকে নাবোধক উত্তর দিতে হয়। আর তাতে তোমার চোখ লাল হয়ে পানি জমে যায়। তাই সহজে কোনো কথার উত্তর না দিয়ে আমি চুপ থাকতে চাই। কারণ কি করে তোমাকে এত কষ্ট দিব, যে তুমি এত ভালোবাসো। কিন্তু তুমি তাতে নাকি আরো বেশি কষ্ট পাও। 

ভালবেসে কি পেলে জানতে চেয়েছিলে, ব্যাথা ছাড়া আর কিছুই বোধ হয় পাওনি। ক্ষমা চাইছি তার জন্য। কেন যে তুমি আমাকে ভালোবাসতে গেলে। কি দেখেছিলে শূণ্যের মাঝে, কিছুই দিতে পারিনি। দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দিও। নতুবা অভিশাপ দিও আশীর্বাদ হিসাবেই মেনে নিব। ভালোবাসি কিনা জানতে চাও? এটা আমিও জানিনা। তবে তোমার কথা খুব মনে পড়ে , আর কষ্ট পাই।  জানিনা এটাকে ভালবাসা বলে কিনা। 

বিয়ের ব্যাপারে আর প্রশ্ন করোনা। এটা আমার পক্ষে কখনো সম্ভব হবেনা। এর একমাত্র কারণ আব্বার আদেশ, নির্দেশ ও আদর্শ। তোমার কাছে আব্বা মৃত হতে পারে। কিন্তু বিশ্বাস করো আব্বা আগের চেয়ে আরো বেশী আমাদের শাসন করেন , বেশী কাছে থাকেন। মুহূর্তের জন্য ও দূরে যাননা। কাজেই অনুরোধ করবো তুমি কখনো আমাকে আব্বার অবাধ্য হতে বলবেনা। এমন কোনো কাজ করতে কখনো বলবেনা যা আব্বা চাইতেননা। আর আমার পক্ষে ও সম্ভব হবেনা। বিয়ে ভাগ্যে থেকে থাকলে বংশের অন্যান্য মেয়েদের যেভাবে হয় তাদের মতোই হবে। তুমি জানোনা আমাদের বাড়ির কয়েকটি মেয়ের জীবনে ও প্রেম এসেছিলো এবং গভীর ও হয়েছিলো। কিন্তু তাদের সফল হতে দেয়া হয়নি। কাজেই জোড় অনুরোধ থাকবে কখনো আর এ ব্যাপারে প্রশ্ন করবেনা।

বন্ধু আমার ,
কোন শর্ত দিয়ে আমাদের বন্ধুত্ব হয়নি। কাজেই এই মধুর সম্পর্কটা ভেঙে দিওনা। বন্ধুত্বের হাত মিলিয়ে এগিয়ে যাও। যেখানে বিন্দুমাত্র দুঃখ থাকবেনা। সুখ দুঃখের অংশীদার হতে পারবে। 

লিখতে অনেক সময় লেগেছে, হৃদয় ভেংগেছে। অনেক কষ্ট দিয়েছি, হৃদয় ভেংগেছি। আবার ও ক্ষমা চাইছি। মোবারক হউক তোমার জীবনে এই মাহে রমজান। ভাল থেকো, তোমার পাশের অটোটাকে সালাম দিও। দোয়া রইলো।

৯২। বর না সেজে বিয়ে


আমি বর না সেজে বিয়ে করেছি,
               পেয়েছি কনে সংসার,
শান্তির নীড় পেয়েছি উপহার,
                 নেই কোন দুঃখ আমার।

জীবনের দিগন্ত, উন্মোচিত হলো,
                অপরুপ গুলবাগ,
সুবাসিত সমীরণ,  তারাময় আকাশ,
                 পূর্ণিমায় পূর্ণ রাত।

অসীম স্বপ্ন দৃষ্টি জুড়ে,
                  স্বপ্নের পথে হাঁটি
বাস্তবতার রৌদ্র খর তাপে,
                স্বপ্নীল পৃথিবী খাঁটি।

বন্ধুর পথ, আর দিকপালহীন,
                 জীবনের সব মোহনায়,
পলে পলে সাথে রবে,
                  শংকিত পথ চলায়।

২৬/১০/২০১০ ঈসায়ী সাল।
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
ভাদুঘর, সদর, বি-বাড়ীয়া-৩৪০০। 

ভালবাসি দিবা-নিশি _সূচীপত্র

কারবালার ইতিহাস

কারবালার ইতিহাস ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও হৃদয়বিদারক অধ্যায়। এটি কেবল একটি যুদ্ধ বা হত্যাকাণ্ড নয়; বরং এটি হক ও বাতিলের মাঝে এক সুস্পষ্ট...