বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৯

বিশ্বাসের হারজিত

৭২।  


ভালবাসা অভিনয়, ভালবাসা ভাল নয়,
ভালবাসা জীবনে ক্ষত হয়ে গেঁথে রয়।
নেই কোন দন্ড, মেপে নিব অন্ত,
ভালবাসে ভালবাসি, তন্ত্র-মন্ত্র।

ভাল লাগে রুপ সুধা, করি পান অফুরান,
স্নিগ্ধতা চাহনীর, খুন করে কাঁড়ে প্রাণ।
ভাষাহারা নির্বাক, নিশ্চুপ চুপ চুপ,
গোলাপী গন্ড,  পাঁপড়ি ছোপ ছোপ।

কাল কেশ, লাগে বেশ, উড়ছে তো উড়ছে,
চাঁদমুখে বাতাসে, দোল খেয়ে খেলছে।
সচেতন আঙ্গুল সযতনে সরিয়ে,
মুগ্ধতা বাড়িয়ে, কাছে টানে সহজে।

শিশিরে স্নাত হওয়া, ফোটা ফুল সদ্য,
সোনালী কিরণে, অপরূপ পদ্ম,
নিষ্পাপ নিশ্চিত, পাপ নেই কিঞ্চিৎ,
ভালবাসে-ভালবাসি, বিশ্বাস- হারজিত।

রচনাকালঃ
আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া।
১২/১১/২০১৭ ঈসায়ী সাল।
১৪/ডি, মধুবাগ,
বড়মগবাজার, রমনা,
ঢাকা।

অব্যক্ত নিঃশ্বাস

৭১।  


শরতের আকাশে ভেসে চলে মেঘেরা,
কোথাকার কোন ডাকে, তারা আজ থামেনা।
চলছে নেচে নেচে, নীচে ঝরে পড়েনা,
বুক ফাঁটা মেঠোপথ, অভিমানে চাহেনা।

তারাদের আলো সব বাধা পায় নামতে,
পরীরা ঘুরে ফিরে, পারে নাক নাচতে।
জীবনের খেঁয়া ঘাটে,  নেই কোন লোকজন,
চঞ্চল মন নিয়ে, ছুটে কেউ প্রাণপন।

অলীরা ঘুরেফিরে, নির্মল বাতাসে,
বসেনা ফুলেতে, অজানা অভিমানে।
পাখিদের ভীঁড়ে খুঁজে, চাতকী প্রিয়কে,
কোকিলের গান সব, ফিরে আসে পাহাড়ে।

পাহাড়ের মৌনতা,  কত বড় অভিমান,
পুকুরের নীরবতায়, প্রাণ করে আনচান।
জীবনের পুরোটাই, থাক সুখ শান্তি,
সফলতা উন্নতি আর যত প্রশান্তি।

ছুটে চলা অবেলায়, বিনীত চাপা শ্বাস,
প্রাণপন ছুটে চলে, আজ যেন নাভিশ্বাস।
পথহারা দেউলিয়া, পায়না আশ্বাস,
কোথা গেলে মুছে যাবে, অব্যক্ত নিঃশ্বাস।

আরিফ ইবনে শামছ্
রাত ২২:১৫ মিনিট,
০২/১১/২০১০ ঈসায়ী সাল।
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
সদর, বি.বাড়ীয়া।

বুধবার, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৯

কবিতা চোর

৭০।  


কবিতা চোরে, নিল কেঁড়ে,
সব কবিতার প্রাণটা,
কপি করে, বাহবা নিতে,
বাদ দিয়ে মোর নামটা!

কেমন হায়া, লজ্জা ছাড়া,
সাধুবেশে চুরি,
সব কবি আর কাব্য প্রেমী,
চল চোর ধরি।

চুরি করা ভুলিয়ে দিয়ে,
শাস্তি কঠিন দিব,
প্রয়োজনে ব্লক করিব,
রিপোর্ট লিখে দিব।

সাজতে কবি, নামীদামী,
দিন দুপুরে,কবিতা চুরি,
ভেঙ্গে দিব হাঁটে হাঁড়ি,
সকল জনে ডাকি।

নামগুলি সব এঁটে দিব,
খোলা তালিকায়,
এক নজরে, দেখে নিয়ে,
বুঝে নেবে সবাই।

আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া
২৩/১০/২০১৭ ঈসায়ী সাল।
মধুবাগ, বড়মগবাজার,
রমনা, ঢাকা।

শ্বাশ্বত আহ্বান

৬৯।     


("ঝরা ফুলের গন্ধ" যৌথ কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।)

বেলা বেলা করে কত বেলা যায়,
ডাকিনি প্রভু কখনো তোমায়!
তাই বলে তো বন্ধ রাখনি,
সকল বাঁচার উপায়।

ফজর পড়িনি গভীর ঘুমে,
আরামে অলসে শোয়ে,
সূর্য জাগিল পূর্ব গগনে,
তোমার বন্দনা গেয়ে।

যোহরের আজান সুমধুর সুরে,
আকাশে বাতাসে ভাসে,
কর্নকুহরে ধ্বনি প্রতিধ্বনি সাজে,
হৃদয়ে ভীষণ বাজে।

যৌবন বেলা পার করে রবি
পশ্চিমে যায় হেলে,
আসরের আজান পড়লো ছড়িয়ে,
জামাতে শামিল হতে।

জ্বলিতে জ্বলিতে অস্তাচলে,
রবি বলে জনে জনে।
সময়ের কাজ সময়ে করো,
বেলা ফুড়ানোর আগে।

দিনের আলোর পর্দা সরায়ে,
নীরবে সন্ধ্যা নামে।
মাগরিবের আজান মিনার হতে,
চির শ্বাশ্বত আহ্বানে।

পশু, পাখি, প্রাণী, ফিরছে নীড়ে,
মানুষেরা সব আবাসভূমে,
রক্তিমাভ ঢেউ খেলে যায়,
পশ্চিম আকাশ পরে।

স্তব্ধ নিঝুম ভেঙ্গে আসে
এশার আজান শুনি,
মনের মাঝে কত ঝড় চলে,
নামাজ পড়িতে না পারি!

তোমার স্তুতি করিতে আমার
নেই ক্ষমতা কোন,
দয়া করে যদি পথ দেখাতে,
হিম্মত  পেতাম শত।

তোমার ক্ষমা যাচে সদা,
মোর তনু আর প্রাণ,
তোমার রাজী, রহম, করম,
আমার অহংকার।

আরিফ ইবনে শামছ্
২২.১০.২০১৭ ঈসায়ী সাল।
ভোর ০৪:৩০ মিনিট,
মধুবাগ, বড় মগবাজার, ঢাকা।

ছন্দ নাবিক

৬৮।  


("ঝরা ফুলের গন্ধ" যৌথ কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।)

ছন্দে ছন্দে চলে আনন্দে,
নাচেরে তনুমন, কীযে হরষে,
কথাকলি সব, ফুল হয়ে ফোটে,
মাতিবে সবাই, মিষ্টি সুবাসে।

কথা বিশেষ, কবিরা কত ভেবে বলে,
কখনো কলম লিখে, ছন্দে ছন্দে,
কত কথা, কত সুখ-বেদনা ঝরে,
কাগজের মসৃণ পরতে পরতে।

কখনো উৎসাহ, স্বপ্নের নীলিমা,
দিক দিগন্তে জয়ের উন্মাদনা।
হতাশা সব ছোঁড়ে,  ফেলে দিয়ে,
স্বপ্ন তরীতে, হাল ধরে যায় বন্দরে।

জলে ভরা নদী, ছল ছল ছলাৎ ছলাৎ,
ডাকে পাখি, কোথাও প্রাণীর উৎপাত।
পাল তুলো হে নাবিক! খুলিবে স্বর্গ দ্বার,
লক্ষ্য বন্দর যত দূরে হোক, নোঙ্গর করিবার।

মাস্তুল যাক ভেঙ্গে যাক, পাল ছিঁড়ে যাক ঝড়ে,
শক্ত হাতে হাল ধরো আর সম্মুখে চলো জোড়ে।
ঝড়ের সাথে পাল্লা দিয়ে, হার-জিতে জিত তোমারই হবে,
ঘন কালো সে দীর্ঘ নিশির ভয়াল রুপের তুঁড়ি মেরে।

হারিয়ে যাওয়া চাঁদ গগনে, নিকচ কালো আঁধার রাতে,
সব তমসার নিরাশ বাণী, হতাশ হবে তোমার জয়ে।
শত ঝঞ্ঝার পাঞ্জা খেলে মৃত্যুু দুয়ারে কড়া নেড়ে,
তোমার তরী ভীড়বে তীরে, লক্ষ আশার নীড়ে।

চোখ ছল ছল, হত বিহ্বল প্রণয়ীর কাঁপা কাঁপি,
দূর সুদূরের ঊর্মিমালার কূলে কূলে ঝাপা ঝাপি।
চলে হরদম, তরনীর গায়ে, সলাজে আছড়ে পড়া,
কতদূর হতে সজোড়ে এসে, অভিমানে গলাগলি করা।

আরিফ ইবনে শামছ্
১৭/১০/২০১৭ ঈসায়ী সাল।

সমাজ সাজায়

৬৭।    



কাঁধের উপরে এক হাত,আর অন্য হাতে সতীত্ব লুটে,
প্রশ্রয় পেয়ে সবার সাথে, চলে ছলে কলে কৌশলে,
লুটেরা আজ বড় বেসামাল, কেউ নাই কিছু বলিতে!
রাস্তার পরে, পথের ধারে, কী না করে দিবস-রাতে!

লজ্জা মরে নিয়ত দেখো, নির্লজ্জের ঘেরাজালে,
কী বুঝে চলে, আর কী ভেবে করে, জীবনের বেলাভূমে!
পথের সূচনা, সমাপ্তি কোথা, ভেবেছে কবে কেমন করে?
বেহায়ার মতো চলে ফিরে তারা, নিষিদ্ধ সব মতের পরে।

কে আছো ভাই, প্রিয়জন আর, সমাজের সব প্রাণ,
চলো বোন আজ সমাজ সাজায়, লজ্জাই অলংকার।
সমূলে বিদায় করিতে নামি, চলো সবে একসাথে,
চলিতে ফিরিতে, ভদ্র সমেত, পথে-প্রান্তরে সবে।

শোনে রাখো, সাবধান বাণী!

পাপাচার ছেড়ে পূণ্য পথে, জীবন চালাও আজি,
পাপের দিশারী না হয়ে কভু, পূণ্য পূর্ণে ধরো বাজি,
ধন্য করো হে নিজের জীবন, প্রদীপ জ্বালাও অন্তরে,
আঁধারে কখন, নামিবে গজব, কবে যে, কোন্ প্রান্তরে।

এক হাতে লও গজার লাঠি, তেঁতো ভাষা লও মুখে,
যাকেই পাবে, এমন দশায়, সাইজ করো মুখে-হাতে।
আর কোন দিন, হাতে হাত, গলাগলি করিয়া জড়াজড়ি!
রাস্তার পরে, কান ধরে যাবি, ভীষণ চোটে, সব বোল ভূলি।

আরিফ ইবনে শামছ্
১২/১০/২০১৭ ঈসায়ী সাল।
হাতিরঝিল, মধুবাগ, ঢাকা।
রাত ০১ টা।

ফুল

 ৬৬।  
            

সব ফুলে পাবে নারে,
রুপ-রস-গন্ধ,
সব ফুলে হয়না,
বাহারী ফল শত।
ফুল হয়ে ফোটে রয়,
পৃথিবীর বাগানে,
অপরুপ রুপে আর
মোহনীয় সুবাসে।

মাতিয়ে দুনিয়া,
ঠাঁই পাব জান্নাতে,
ভালবাসি, ভালবাসে
সবজনে সুবাসে,
শত শত ফুল সম,
ভাল কাজ করে,
দেশ-দশ, ধরা-তল,
ফুলে ফলে ভরে।

ঘরে ঘরে ফুল ফোটে,
ভরপুর সুবাসে,
রুপে রুপে অপরুপ,
প্রাপ্তির সকাশে।
রং খুঁজে পেয়ে যাবে,
বর্ণিল সারথি,
জীবনের সব দিক,
পূর্ণতায় আরতি।


আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া
 ১০/১০/২০১৭ ঈসায়ী সাল।
  হাতিরঝিল, মগবাজার, ঢাকা।
 ০৮/১০/২০১৭ ঈসায়ী সাল।
  রাত ১০:৩০।

ভালবাসি দিবা-নিশি _সূচীপত্র

কারবালার ইতিহাস

কারবালার ইতিহাস ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও হৃদয়বিদারক অধ্যায়। এটি কেবল একটি যুদ্ধ বা হত্যাকাণ্ড নয়; বরং এটি হক ও বাতিলের মাঝে এক সুস্পষ্ট...