বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ১০, ২০১৯

২৪। ভালবাসা

ভালবাসার আকাশ পেলাম, রংধনুটা কৈ?
ফুলে ভরা বাগান পেলাম, গোলাপখানা কৈ?
তারা ভরা আকাশ দেখি,শুকতারাটা খুঁজি;
নিশাচরের ডাক শুনি আর, ভালবাসা খুঁজি।
ভালবাসার স্বপ্ন দেখি, মন-মুকুরের মাঝারে;
ভালবাসার পিদিম জ্বালায়, বাসনার আঁধারে।
ভালবাসি হৃদয় ভরে, রাখি সদা অন্তরে;
নিঝুম রাতে পাই খুঁজে পাই, ভালবাসার প্রান্তরে ।
বালিয়াড়ি বলে বেড়ায়, প্রাণ যে নিল পাষাণী!
প্রাণ পেলে তো বাগান হবে;গাইবে গানের পাখি ।
ভালবাসার জলধারা, আনবে বয়ে কে’বা!
ভালবাসার ঝরণাধারা লুকিয়ে আছে কোথা?
ভালবাসার মানুষ পেলাম, ভালবাসা কৈ?
ভালবাসার কথা শুনি, স্বাদ যে তাহার কৈ!
ভালবাসার রশ্মি পেলাম, সুরুজটারে খুঁজি;
ভালবাসার চাঁদ ও আমার! তাইতো এখন বুঝি।
রাত ১২ টা ৩০
২৪.১১.২০১২
২৮/১, পূর্ব নয়াটোলা,
বড় মগবাজার, রমনা, ঢাকা।

২৩। নতুন করে গড়ি

নেতা মেনে যার কাছে ভাই সব কর সমর্পণ;
সরলতার সুযোগ নিয়ে,সব করে সে ভোজন।
যাদের কাছে আশার আলো,তারা করে ভান,
দিবালোকে ঘুমায় তারা; বাড়ে তাদের মান।
কষ্টে আছি, কষ্টে থাক, কার কি আসে যায়?
তোমার আমার রক্ত চুষে গভীর ঘুমে যায়।
জমি জিরাত যাইবা আছে, রাখবেনা তা’ বাকী!
ঘুরে-ফিরে যায় দেখিয়ে শুভংকরের ফাঁকি।
পোষাক দেখে জানবে নাক তাহার চরিত্র;
কথার ফাঁকে বোঝতে হবে কেমন সে পবিত্র!
কথা কাজের মারের প্যাঁচে জানবে কি কি চায়?
তোমার আমার ভালো তারা কভু নাহি চায়!
“বদলে দেবো” সমাজটাকে শপথ করো যদি,
থর-থর করে উঠবে কেঁপে,তাদের নরম গদি;
পাহাড় সম সাহস দেখে, মরবে জালেম ভয়ে;
তোমার আঘাত রুখতে তাদের সাধ্য নাহি রবে।
তোমার তুমি নয়তো একা রাখবে মনে সদা,
সবার সাহস শক্তি পাবে,রবে প্রাণের দোয়া।
সবাই মিলে সমাজটাকে নতুন করে গড়ি,
শাসণ-শোষণ হোক অবসান;নিজের মতো থাকি।
আরিফ ইবনে শামছ্
সন্ধ্যা ০৬ টা ৩০
২৮.০৯.২০১৫
আশা টাওয়ার,
শ্যামলী, ঢাকা।

২২। বাসন্তী ভাবনা

প্রতিটি বসন্ত যেন ফুলেল বিন্যাস,
ভ্রম্ররের গুঞ্জন আর কোকিলের
কুহু-কুহু তানে ভরপুর থাকে।
আঁকাবাঁকা নদীর স্বাধীনতার
মূর্তপ্রতীক,সুমধুর তার কলতান,
বিকেলের সোনালী রোদ,
সবি যেন সাথে রবে ।
সকালের কাঁচা সোনা রোদ,
দুপুরের নিরাক পরা,
দু’দুটো পাখি ডাকা নিঝুম সন্ধ্যায়,
কে যায় কারে খোঁজে।
মধ্য রজনীতে নিথর নীরবতায়,
শংকাহীন উৎফুল্ল হৃদয়ে,
পাখিরা সব ঘুমিয়ে পড়ে,
নিশ্চিন্তে স্ব স্ব নীড়ে।
২৬.০২.২০০৫
মাটিকাটা বাজার,
ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট,
ঢাকা ।

২১। ভাল থেকো খাদিজা

ভাল থেকো অনেক ভালো,
জান্নাতী হয়ে,
কেমন করে চলে গেলে,
কিসের অভিমানে!
জানবনা আর সবার খবর,
কোথায় কেমন আছে?
চলে গেলি এত্তো দূরে,
পায়না যেন খোঁজে।
ভাল থাকিস খোদার দয়ায়,
হুর পরীদের মাঝে,
দোয়া করিস সবার তরে
জান্নাত যেন মিলে।
জানতে কভু পারিনিক কেমন তোরা ছিলে,
স্বামী সন্তান খেশ পড়শী সবার সাথে মিলে।
মাফ করে দিস উদার মনে,
এমন পাষাণ যারা!
ভাবতে কভু পারিনিক
জীবন হবে সারা!
আরকি কভু স্মৃতির দুয়ার,
খুলবে শৈশবের!
মাহবুবা আর তোরা সবার,
টিফিন উপভোগের।
প্রথম তোমায় পেয়েছিলাম,
তৃতীয় শ্রেণীর ক্রমে,
আমি তখন সবার শেষে,
ডাবল প্রমোশনে।
প্রথম ক্রমিক কেমন করে,
করব দখল আমি
সেই ভাবনায় মজেছিলাম,
তখন সহপাঠী।
সেইযে তোমার সাথে হল,
ভাল করে চেনা,
পুতঃমনে চলছি সবাই,
নেইকো লেনাদেনা।
তোমার মতোই মনে পড়ে,
সবাই কেমন আছে?
মনির, নাজির, আওলাদ, আক্তার,
রহিম, আশিক সবে।
বোরহান, ফায়েজ, হুমায়ূন আর ইসমাইল,
জীবন, ছবি, বেবী আর জয়নাল আবেদীন।
কে যে কোথায় কেমন আছে,
আল্লাহ ভাল জানে,
দ্বীন-দুনিয়ার সফলতায়,
সবাই যেন থাকে।
(প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহপাঠিনী ও চাচাতো বোন মরহুমা মোছাম্মৎ খাদিজা আক্তার এর ইন্তেকালে।)

২০। জীবন ও সম্মান

কিসের স্বপন দেখে আজি, রাখছো কোথায় হাত?
কাদের হাতে রাখছো তোমার, জীবন ও সম্মান?
জাননাতো সবার খবর, কোথায় কিযে করে!
পড়াশুনা করবে নাকি! সেসব খবর নিবে?
বয়স তোমার সমান হবে কিংবা দুয়েক বেশী,
এই বয়সে নাইতো খবর, জীবন সাজায় কী?
কিসের নেশায় ছুটল দেখ তোমার পিছু পিছু,
সাজাবে কি জীবন নাকি,
সঙ্গ দিবে কিছু?
লেখাপড়া শেষ করেনি, পায়নি ভাল কাজ,
জীবন নিয়ে নিঠুর খেলা, খেলবে কেমন রাজ!
আবেগ দিয়ে চলে নাক, পূর্ণ জীবন যাপন,
হাঁড়ে হাঁড়ে বুঝবে সেদিন, রবে নাক আপন।
ডানে বাঁয়ে ঘুরে ফিরে পথ হারাতে মানা,
ভাল করে পড়া শেষে, গর্বিত হোক মা।
উজাড় করে ভালবেসে, বিদ্যালয়ে পাঠায়,
অপমানের কালি কভু, ছোঁড়বেনা তাঁ'র গায়।
ভাল মেয়ের ছেলে বন্ধু থাকতে নাহি পারে,
শিক্ষা-দীক্ষায়, মানুষ হতে, লক্ষ্য সবার আগে।
জাননাতো কে যে তোমায়, নিয়ে যাবে কোথা!
তারচে' ভাল লেগে পড়, জীবন সাজায় যেথা।
প্রেমের ফাঁদে এমন সময় দিবেনাক পা,
সবাই তাহার বিরুপ ফসল, সয়তে পারেনা।
হতে পারে সাঙ্গ তোমার জীবন লীলা খেলা,
জীবন্মৃত হয়ে কিবা, কেটে যাবে বেলা!

১৯। কথা কাজে পরিচয়

কি হলো আজ পথে ঘাটে,
ভালো মানুষ নাই,
অলি, গলি, পথে পথে, জারজ দেখা যায়,
কথা, কাজে, আচরনে মিলবে পরিচয়,
জারজ নাকি ভদ্র মানুষ, সবাই তাহা কয়।
পথের মাঝে কিংবা কভু বাজার সদায়ে,
একলা কোন মেয়ে পেলেই, হুমড়ি খেয়ে পড়ে!
বাসে উঠার সময় কিংবা নামার সময় হলে,
পাগল, ছাগল, প্রতিবন্ধী করে কি আর বলে?
একলা সীটে বসা পেলে, ভদ্র সেজে বসে,
নোংরা যতো কথা কাজের, প্রকাশ করে হেসে।
সহ্য করার সীমা ছাড়ায়, কেউ বলেনা কিছু,
আশে পাশে যাত্রী বহু, নাইকি মানুষ ভালো!
পথে, ঘাটে, বাস, বাজারে, ছুটে প্রয়োজনে,
বেশ্যা মেয়ের মতো তোদের ডাকছে কভু কাছে?
তোরা কেন এত খারাপ, জারজদেরই মতো,
কথা, কাজে, আচরণে, ছুটিস তাদের পিছু।
সব হারামী মিলে কেন নোংরা কথা বলিস,
একলা মেয়ে ভাবছে শুধু,  কেমন তোরা খবিশ!
নাইকি তোদের মেয়ে ছেলে, ভাই বোন, সংসার?'
কেমন করে তাদের সাথে, করিস বসবাস?

১৭। মসজিদে তালা

কারা উড়াবে বিজয় নিশান,
কালেমাখচিত ধ্বজা নিয়ে,
খুলবে তালা মসজিদের,
মনের তালা আগে।
পাপের ভারে মনটি মোদের,
অচল কেনো আজ,
কে সরাবে পাপের বোঝা,
কোন সে রাজাধিরাজ!
তালা ঝুলে মসজিদেতে,
বেলা অবেলায়,
গ্রাম শহরে, গঞ্জে হাটে,
সবাই ব্যস্ততায়।
মাইক চুরি আর এসি চোরের
কেন এমন  দোহাই,
পায়না কেন সবাই সুযোগ,
সময় চলে যায়।
পারিনাক রাখতে খোলা,
সোনালী যুগের মতো,
যখন খোদার রহম পাবে,
প্রাণ যে শত শত।
জিকির আজকার, লেনা-দেনা,
চলবে জ্ঞানের,
তা'লিম তালাশ, সতেজ ঈমান,
শুদ্ধ আমলের।
কে নেবে ভাই এমন দায়,
ঈমাম মুয়াজ্জিন?
মসজিদের কর্তা যারা?
নাকি কোন খাদিম।
বিচারদিনে কোন বান্দা,
করে যদি ফরিয়াদ,
অমুক দিনে তালা পেয়েছি,
পড়িনিক নামাজ!
ইমাম কেন হবে শুধু,
ফরজ নামাজে!
ইমাম হবেন সবার নেতা,
দেশ ও সমাজে।
আজান শুধুই দিবে নাকি,
নামাজ পড়িতে!
মুয়াজ্জিন ভাই থাকবে সদা,
সকল পূণ্য ডাকে।
জাগবে সাড়া পাড়ায় পাড়ায়,
চলছে প্রস্তুতি,
আখেরাতের ফসল কত,
কে যে নিতে পারি!
পূণ্যকাজের বেলায় সবে,
থাকবে সচেতন,
কে যে বেশী আ'মল করে,
নিবে বিজয় কেতন।
সময় থাকিতে করিতে আবাদ,
চলো ভাই মসজিদে,
ইমাম সাহেব, মুয়াজ্জিন সহ,
খাদিম যারা আছে।
লজ্জিত যেন হয়না কোন,
প্রিয় রাসূলের (সাঃ) সম্মুখে,
শাণিত করি ঈমান আমল,
সবাই মিলে মিশে।

ভালবাসি দিবা-নিশি _সূচীপত্র

কারবালার ইতিহাস

কারবালার ইতিহাস ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও হৃদয়বিদারক অধ্যায়। এটি কেবল একটি যুদ্ধ বা হত্যাকাণ্ড নয়; বরং এটি হক ও বাতিলের মাঝে এক সুস্পষ্ট...