বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ১০, ২০১৯

১৫। উন্মুক্ত মাদ্রাসা

প্রতিটি জামে’ মসজিদ যদি উন্মুক্ত মাদ্রাসা হত;
ইল্মে লাদুন্নী,কালামে পাক সহজেই শেখা যেত।
নূরাণী সব ঝর্ণাধারা, হাতের কাছে সবাই পেতে,
সময় পেলেই বৃদ্ধ-যুবা, জ্ঞান-আহরণে চলত ছুটে।
সহজ ভাষা আরবী কেন যায়না শেখা সহজে,
দিনে দিনে বাড়ছে ফাঁরাক, কঠিন মনে হয়যে।
ভালবাসা যায় হারিয়ে, কবে কোথায় যেন,
ভালবাসার ঝর্নাধারায় অবহেলা কেন?
মহান রবের প্রিয় ভাষা, নবীর ভাষা, আরবী,
আমরা সবাই কেমন করে, কেন দূরে থাকি!
মুসলিম আমি কেমন করে! বয়স-পথে হাঁটি,
সকাল হতে সন্ধ্যা বেলা, সন্ধ্যা হতে রাতি।
মহান রবের সাথে সদা, কত কথা বলি,
নামাজ শেষে চাওয়া-পাওয়ায় হাত দু'খানা তুলি।
কত যোগাযোগ আরবি ভাষায়, অর্থ নাইবা জানি,
মানার জন্যই জানতে হবে; চলোনা শপথ করি।
     [প্রতিটি জামে’ মসজিদ সকল প্রকার নেক আমলের জন্য সদা উন্মুক্ত থাকুক।] 
আরিফ ইবনে শামছ্
দুপুর ০২ টা ৩০
১০.০৪.২০১৬ 
আশা টাওয়ার,শ্যামলী, ঢাকা।

১৪। ভাল বাসার হিসাব-নিকাশ

ভাললাগা না ভালবাসা, নাকি চির-শাশ্বত প্রেম,
নিজের পথ দেখা; না দেখার তাগিদে অ-প্রেম।
লক্ষ-কোটি অগণিত তারাদের ভিড়ে হারিয়ে যাওয়া,
ব্যর্থ নাকি অব্যর্থ প্রেম, ফলাফল যেরূপ চির-চেনা।
কত দল-উপদল আজো লড়ে; স্বার্থকতা প্রেমের কিসে?
পাওয়া না পাওয়ার দু’দল; অবিরাম সান্ত্বনা খুঁজে,
প্রাপ্তিতে সুখ বলে কেউ, অ-প্রাপ্তিতেই মিলে স্বার্থকতা;
যারে ভাল বাসি তা’রে নিয়ে; লেখা হয় কত কথা!!
নাইবা যদি পারো তুমি, হৃদয় হতে মুছে দিতে,
ফিরিয়ে দিবে কিন্তু কেন? কাঁপা কাঁপা নিঠুর হাতে।
চোখের ‘পরে চোখ রেখে তাও; বলতে পার নাকো!!
গুমরে জাগে সুপ্ত-গিরি, তবু নীরব কেন?
হিসাব-নিকাশ, লাভ-ক্ষতি কি তোমার কষা হলো,
অভিমানে হারিয়ে যাওয়া, জীবন খানি কত ???
তারপরও কি বেশী দামী, তোমার চাওয়া-পাওয়া?
নীলাকাশে মাখিয়ে দিলে, আমার ভালবাসা !!!
রাত ১২ টা ২৫ মিনিট;
১৮.০২.২০১৬;
বৃহঃস্পতিবার;
সোনালীবাগ,
বড়-মগবাজার,রমনা,ঢাকা।

১৩।  দাওয়াত

ছায়া ঘেরা মায়ায় ভরা নজরকারা গ্রামে;
কেউ কি যাবে;শান্তি পেতে দেহ-মন জোরে?
পুবের বিলে শাপলা, শালুক,ছবির মত নদী;
চলছে বয়ে নিরবধি প্রানের তিতাস নদী।
বুকের উপর ট্রেন চলে ভাই সকাল সন্ধ্যা রাতে;
ঢাকা থেকে সিলেট কিংবা ফেনী চট্রগ্রামে;
নীরবতার মান ভাঙ্গিয়া বাজায় খুশির সুর;
মায়ের মতো গ্রামটি যেন আবেগে-আপ্লুত।
কুরুলিয়ার খালটি পাবে গ্রামের উত্তরে;
মিষ্টি আলুর নৌকা কভু বাঁধা সারে সারে।
পীচঢালা সে রাজপথ; মাথার উপর দিয়ে,
দিবা-নিশি চলছে বাহন,যাত্রী বহন করে ।
ঘুমিয়ে আছে পীর-আওলিয়া পরম সোহাগে,
দ্বীনের দাঈ ব্যস্ত সদা সবার সেবার তরে।
পুণ্যকাজে ত্রস্ত পদে কেউ চলে ভাই মসজিদে;
মাদ্রাসাতে কোরান-কিতাব পড়ছে দলে-দলে।
বাহাদুরের ঘর বলে কেউ; কেউবা ভাদুঘর,
পুবের কালে গ্রামের মাঝে ছিল দুটি গর;
গর থেকে হোক; আর ঘর থেকে হউক নামটি ভাদুঘর;
রয়লো দাওয়াত সবার তরে; সারা জনম ভর ।
২৭.০৯.২০১৫
রাত ০৮ টা ৩০
আরিফ ইবনে শামছ
আশা টাওয়ার,
শ্যামলী, ঢাকা।

১২। সালাম জওয়াব

সালাম দেয়া সুন্নত, উত্তর দেয়া ওয়াজিব,
দরদমাখা মন নিয়ে ভাই সালাম দিতে উদগ্রিব।
মিষ্টি স্বরে চিন্তা করে সালাম যখন দিবে,
ঝাঁকিয়ে মাথা চুপিসারে যায়যে হেঁটে চলে।
মাথার ভিতর ঝড় চলে ভাই, শান্তি নাহি পাই,
সালাম কাকে দিলাম সেকি হিন্দু মুসলমান?
ভাটা পড়ে মনের জোড়ে, পায়না আবার সাহস,
হুম বলে কি! ঝাঁকায় মাথা কাকে সালাম দিব!
সালাম কালাম মুসলমানের,
সেরা আদর্শ,
কি যে হল সেরা জাতির, এমন দশা কেন?
হাসি মুখে কথা বলা কোন ভাইয়ের সাথে,
সাদকা জেনো মহানবীর মহান হাদীসে।
সালাম বাড়ায় ভালবাসা জেনো সবার সাথে,
সেই সালামের আন্তরিকতা, কোথায় পাব খোঁজে?
দরদমাখা সালাম জওয়াব, চলো করি জারি,
আবার ছড়ায় শান্তি-সুধা, মনন আবাদ করি।

১১। অনাগত সন্তানের আহ্বান

মাগো তুমি দোল খেয়ে যাও
তব মায়ের কোলে,
দিনে দিনে ঘনিয়ে আসে
আমি আসব যবে।
রুহের ধরার অধিবাসী আজ,
অনাগত সন্তান,
বলিতে কিছু বড় সাধ জাগে,
শোন দিয়ে মন-প্রাণ।
কিশোরী হবে চপলা চঞ্চলা,
কলরব ধ্বনিতে,
ঘরে বাহিরে তোমার বিচরণ,
দেখবে খুশিতে।
পাবে যৌবণ, ভাবের সাগরে,
করবে অবগাহন,
একটু খানি ভুলের মাশুলে,
স্তব্ধ হবে কি সব!!!
মাগো তুমি থেকো সদা,
খোদার দেয়া পথে;
বড় পীরের মায়ের মতো,
পায়গো তোমাকে।
স্বভাব, চরিত সকল কিছু,
পায়গো যেন তোমার,
দ্বীন-দুনিয়ার গর্ব হবে,
মায়ের অহংকার।
কালের স্রোতে ভাসবে নাক,
সব কি হারাবে!!!
খোদার দেয়া জীবন বিধান;
নাওগো মনে প্রাণে।
তোমার হয়ে ফেরেশ্তারা
লড়বে দেখো মা,
খবিশ আর ইবলিস যতো,
সুযোগ পাবেনা।
বাবা আমার ধৈর্য্য ধরো,
হবেনাক পথহারা,
মাথার মুকুট, চোখের তারা,
তুমি পথের দিশা।
শিক্ষা-দীক্ষা, হাতে কলমে,
মহান যতো কর্মভার,
সব তোমারি কাছে নিব,
গর্ব হবো তোমার।
ইচ্ছে তোমার স্বাধীন মাগো,
ইচ্ছে করো মহৎ,
তোমার সন্তান আসলে মাগো!
পূরণ হবে স্বপন।
বাবা মায়ের সোনার মানিক,
নয়নের শান্তি,
চায়গো দোয়া দ্বীন-দুনিয়ায়,
হতে যেন পারি।
০৫/০৬/২০১৭ ঈসায়ী সাল।
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২,
ভাদুঘর, সদর, বি.বাড়ীয়া-৩৪০০।

বুধবার, অক্টোবর ০৯, ২০১৯

১০। আন্তরিক শুভেচ্ছা

"কাবিলের বোন", "পানকৌড়ির রক্ত", মনোহর "প্রবন্ধ সংগ্রহ",
প্রতিটি পরতে পরতে তোমার কবি- সত্ত্বাকে পেয়েছি সততঃ।
কখনোবা আনমনে গেয়ে বেড়াতাম
নিরাকপড়া দুপুরবেলা,
"আমার মায়ের নোলক খানি হারিয়ে গেলো শেষে" সে' কবিতা।
"হাত দিয়োনা বুকে আমার ভরা বোয়াল মাছে!"
কি চমৎকার ছন্দমালা, পড়েছি কি কেউ আগে!
কখনো বা চাঁদনী রাতে কন্ঠে বাজে "না ঘুমানোর দল"
ছন্দ মোহে, প্রকাশ ঢংয়ে হারিয়েছি নিজেকে কত!
তিতাস পাড়ের ছেলে, কভু মেঘনার ঢেউ বাজে বুকে,
শুনেছি কত কথা-কাহিনী, জীবন ছবি বাবার মুখে।
পরিবারের গল্প মাঝে বলতো বাবা তোমার কথা,
পাঠ্য বইয়ে তোমায় দেখেছি, পড়েছি তোমার লেখা।
কবি ও  কবিতার রাজ্যে, সত্যিই তুমি মহান সাধক,
স্বাদ -গন্ধ, রং-রূপ, সাহিত্য রস, আস্বাদন।
তোমার তুলির পরশে, জীবনের সব বাস্তবতা,
সুর আর ছন্দে আরো জীবন্ত, সবাই জানলো তা'।
জন্মদিনের শুভেচ্ছা জেনো হে আধুনিক কবি!
শত পদ্ম, শাপলা শালুক, প্রকৃতির সব রূপ অপ্সরী,
তারা ভরা আকাশ তোমায়, দিলাম তারার মেলা,
চাঁদ সুরুজের মতোই তুমি, আলোক দিবে সদা।
মাথার 'পরে ছায়ার মতো থাকো কবি জীবন ভর,
দেশ ও জাতির আশার আলো, হাজার বছর রও বেঁচে রও ।
তোমরা যারা পুরো জীবন সঁপে দিলে জাতির তরে,
আমরা কভু পারবো কিগো, মহা ঋণের দেনা দিতে!
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২,
ভাদুঘর, সদর, বি.বাড়ীয়া-৩৪০০।
আধুনিক লোকজ মহাকবি আল্ মাহমুদ এর ৮২ তম জন্মদিনে।

০৯। পাথর দিয়ে যুদ্ধ

ইরাক, ইরান, তুরান, কাশ্মীর,
কাতার আর সিরিয়া,
সৌদি আরব, সুদান, মিশর, পুরো
আফ্রোশিয়া।
উপমহাদেশ, স্থান, আর দেশ -মহাদেশ,
সব সৃষ্টি স্রষ্টার জানি, আমরা বিশ্বের, বিশ্ব মোদের।
হানাহানি আর মারামারি করে, মানুষ মানুষেরে,
হৃদয় আছে ঠিকই দেহে, নাই যে দরদ অন্তরে।
সৃজিত হল কত দল উপদল, কেউ সহেনা কারো,
এক হওয়ার মন্ত্র ভুলে, অনৈক্যে খায় হাবুডুবু।
নাই সে খেয়াল, দূর করিবার ব্যবধান যতো আছে!
আমার আমি, অহমিকা আর অন্ধ সকল জনে।
কোরান কিতাব, হাদিস, ইজমা, কিয়াস জেনেছে কতো!
সবাই মিলে একই বাঁধনে, নাইকি  বাঁধিবার কেহ!
কত আরাধনা চলে অবিরাম দিবস যামিনী দেখো,
পাশের বাড়ীর অধিবাসী যারা, খেতে পেরেছে কি জানো?
ঋণের চাঁপে, লজ্জা শরমে, সহসা মৃত্যু দেয়যে হানা,
কানে তুলো আর চোখে ঠুলি বাঁধে সমাজের ধনী যারা।
দেশের রাজারা ব্যস্ত সদা, নিজেদের ব্যবসা দেখো,
দেশ ধর্ম কোথায় গেল, জাতির ঐক্য এলো কি গেলো!
তা'তে কি কার, কিছু আসে যায়, জীবনের দাম নাই!
সকাল বিকাল মারছে শিশু, দূর্বল নারীরা ও মারা যায়।
কথার কথা, নামে মাত্র সবাই করে বাদ- প্রতিবাদ!
মিছিলে মিছিলে যায় হারিয়ে প্রতিশোধের অগ্ন্যোৎপাত।
নায়কি সাহস দাঁড়াতে পাশে, মাজলুম যতো বিশ্ব মাঝে,
পাথর দিয়ে যুদ্ধ করে জীবন সঁপে,
শহিদী পথে।
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২,
ভাদুঘর, সদর, বি.বাড়ীয়া-৩৪০০।
১৫.০৬.২০১৭ ঈসায়ী সাল।

ভালবাসি দিবা-নিশি _সূচীপত্র

ভ্রাতৃত্ব হারানো উম্মাহ: আজকের সংকট ও ইসলামী জাগরণে পথনির্দেশনা

📌 ভ্রাতৃত্ব হারানো উম্মাহ: আজকের সংকট ও ইসলামী জাগরণে পথনির্দেশনা ✍️ আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া (আরিফ শামছ) 📍রিয়াদ, সৌদি আরব --- 🕌 মুসলিম উম...