সোমবার, অক্টোবর ৩০, ২০২৩

৫৪। বিপ্লবী (১)



আমি যোদ্ধা, আমি বুদ্ধা, নহে বৃদ্ধা,
আগুনের কুন্ডলী, পুঁড়ে ছারখার করি,
জালিমের ভূত-ভবিষ্যত।
আমি সৈনিক, সেনাপতি,
মহাসেনাপতি, সিপাহসালার।
খলীফা আবু বকর (রাঃ), ওমর (রাঃ),
উসমান (রাঃ), আলী (রাঃ),
আল্লাহর সিংহ, ইমাম হাসান (রাঃ);
হোসাইন (রাঃ), ফিরিয়া আবার।
আমি, আমীর হামজা (রাঃ), খালিদ
বিন ওয়ালিদ (রাঃ),সালমান,
তারিক,মুসা, ইখতিয়ারের
জয়োন্মত্ত অশ্বারোহী ।
সালাহউদ্দীন, বীর মহাবীর,
কুতুবুদ্দীন, ঈশা খাঁন, মানসিংহ ।
করিনাক ভয়, মানিনা ভেদ-বিভেদ,
করিনা সময় অলস ক্ষেপণ।
আমি ক্ষেপা সিংহ, রাজাদের রাজা,
ক্ষীপ্র-তীব্র বেগে, নির্বাসনে,
নির্যাতীতের শেষ অবলম্বন।
আমি ঘাতক, খাদক, অমানব,নির্যাতকের,
বাকরুদ্ধ, অবরোদ্ধ।
আমি অস্থির, আমি চঞ্চল,
কলকলে মহাকাল,
আমি দুর্গত,দুর্গম, দুর্মদ, দুর্মর।
বিশ্ব জালিমের মৃত্যুর শেষবাণ,
বাতিলের খন্ডিত গর্দান।
জালিমের টুটি চেঁপে ধরি ভাই,
এক লহমাই,শূণ্যে উড়ায়।
পবনবেগে হর্ষমনে, মৃত্যুকূপে,
সহাস্যে দাঁড়িয়ে, অবিরাম বিদ্রোহী,
বিপ্লবী গান গায়।
আমি ত্রাস, সন্ত্রাস, ভয়াল সন্ত্রাসী,
আমি মানব, মানবতা, ধর্ম, সদাচার,
আমার বর্ম, দৃঢ় প্রত্যয়ী।
মরুভাস্কর, আমি বেদুঈন, চেঙ্গিস,
খালাকু খাঁন, বাংলার তিতুমীর।
আমি কুখ্যাত, সুখ্যাত, বিখ্যাত,
জালিমের বক্ষ করি চির-বিদীর্ণ।
ধর্মের নামে অধর্মের খেলা
খেলে যে বদজ্জন,
ত্যাগিব শমশের তার ধর 'পর নিদারুণ, মর্মদ!
আমি ঘূর্ণন, সাইক্লোন, ভয়াল টর্ণেডো,সিডর, বিহ্বল,
আয়লা,নার্গিস,নামে বেনামে
আগমন,তিরোধান,উত্তরণ।
তালে বেতালে, কালে অকালে,
ইতিহাসের নির্মম স্বাক্ষর।
অধর্ম,অকর্ম, কুকর্ম, জুলুম, আর
জালিম, এক ফুৎকারী করি নিশ্চিহ্ন।
আর্তনাদ, হাহাকার, সিংহনাদ,
তর্জনগর্জন, তসনস করি
জালিমের মসনদ।
আমি দশ দিক, করি দিক বিদিক,
আমি দশানন, জুলমাত ছোঁড়ে, আনিব আলোর প্লাবন, মহাপ্লাবণ।
লয়, ধ্বংস, মহাপ্রলয়ের বীণ হাতে
সকল অত্যাচার, করি পদপিষ্ট ।
আমি হিমালয়, মানবতা, ধর্ম,
চরিত্রকে তুলিয়া ধরিব ঊর্ধ।
পাশবিক জরাজীর্ণ,
যারা আকন্ঠ নিমজ্জন,
সমূলে করিব উৎপাটন।
আমি শাহজালাল, শাহপরান,
বায়েজীদ বোস্তামী, খান জাহান (রাহঃ)।

--- আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া
২০/০৩/২০১৮ ঈসায়ী সাল।
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
ভূঁইয়া বাড়ী, বাড়ী# ১২৩৪,
ওয়ার্ড# ১২, গ্রাম: ভাদুঘর,
পোষ্ট: ভাদুঘর-৩৪০০।
থানা:সদর, জিলা: বি.বাড়ীয়া।
All reactions:
Ariful Islam Bhuiyan

৫৩। কে তুমি?



কে তুমি? খেয়ালে, দেয়ালে গা এলিয়ে অলস হয়ে রয়লি পড়ে,
জাতির জাহাজ ডুবলো দেখ, নাইরে সময় তোর হাতে।
কোথা হতে এলি, আর কোথা যাবি বল চোক্ষে দেখি অগ্নিগিরি,
আসমানে ভাসমান খেয়া তোর ধায় লক্ষ্য দিতে পারি।
অশনি-বসনে, রুদ্র নজরে, ভয়াল প্রলয়ংকর!
তান্ডবলীলা বেলা অবেলা, ধ্বংস করিতে চল্।
সাগরে মহাসাগরে উঠিছে কবে কেমনে ভয়াল ঝড়!
আকাশ পাতাল সংগী দরিয়া, পাষাণ বর্বর বধ কর্!
আকারে সাকারে একজোট সব হিংস্র পশুর দল,
দিল ভাঙ্গা মৃত্যু নিয়ে নাচে নিত্য জানোয়ার সব!
কচি খোকা আর কিশোরীর নিষ্পাপ অপলক চাহনী,
সদা-নিত্য খুঁজে ফিরে চায়, মুক্তির নির্ভয় বাণী।
পাষাণের খঞ্জর, পাষন্ড বিঁধে, নিরীহ নর-নারীর বক্ষোপর;
স্তব্ধ - নির্বাক সার্বিক অপমৃত্যু, তবু মুক্তির গান ধর্,
দশ দিক হতে মহালয় লয়ে, করতালি মেরে ধ্বংস কর্।
মহাশক্তি, মহাভক্তি, সারা বিশ্বের নৃপতি,
অমোঘ বিধানে, নিগুঢ় শাসনে, দিবে মরমর শাস্তি।
তবকে তবকে তোলপাড় করি,
ভূমি-পর্বত তুলিয়া ধর্,
রক্ত খেকো, পিচাশ, চন্ডাল,
সব পামর, পিষে পিষে মর্।

-------- আরিফ ইবনে শামছ্
০৭/০৯/২০১৭ ঈসায়ী সাল।
রাত ০১:৩০ মিনিট।
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
ভূঁইয়া বাড়ী, বাড়ী# ১২৩৪,
ওয়ার্ড# ১২, গ্রাম: ভাদুঘর,
পোষ্ট: ভাদুঘর-৩৪০০।
থানা:সদর, জিলা: বি.বাড়ীয়া।

৫২। কোথায় জাতির কান্ডারী?



পান্থশালায় পথিক কেন?
পথ বাকি তোর আর কত?
পথের পরে পথ চলিবে,
সফল- বিফল, পথ রে শত।
ক্ষান্ত কেন পান্থ আজি,
মলিন বসন আঁকড়ে ধরে,
পানশালাতে নেশার ঘোরে,
পাবি কোথায় পথ খুঁজে!
ডাকছে তোরে, হাঁকছে জোরে
কোথায় জাতির কান্ডারী?
বেহাল হয়ে, মাতাল হয়ে,
কোন তিমিরে পথ হারালি!
লাখে লাখে মারছে মানুষ,
পাষন্ড আর বর্বরে,
তাকিয়ে আছে, তোর পানে যে,
আছিস কিসে মত্তরে!
ঘর হারিয়ে, সব হারিয়ে,
প্রাণটি লয়ে কোনমতে,
বাঁচার আশায় পথ মাড়িয়ে,
স্বাপদ-সংকুল বন পেড়িয়ে;
খোলা মাঠের দূর্বাঘাসে,
থামছে বাঁচার ত্রিপালে,
আশার নয়ন, সব প্রয়োজন,
খোঁজছে তোমায় চিত্তরে।
পথ দেখাবি, পথের খোঁজে,
থাকবি সদা অগ্রণী,
পথ চলাতে, সাহস পাবে,
সকল জনা তোর সাথী।
দেখবে স্বপন, বাঁচার তরে,
স্বাধীণ বেশে নিজদেশে,
আর কতকাল রয়বে বসে,
তোর আশাতে পথ চেয়ে!
চিত্তনাশা ঘোরের নেশা,
ওঠরে জেগে সব ছাড়িয়ে,
হৃদ-কাঁপানো, মরন বীণার,
বিষের সুর আর ঝংকারে।
এফোড়-ওফোড় দে করে দে,
পশুর-অশুর যত্তোরে,
স্বাধীণতার স্বাদ সাথে সার ,
বাঁধে যেন চিত্তরে।



আরিফ ইবনে শামছ্
সন্ধ্যা ০৬:৩০ মিনিট।
০৬/০৯/২০১৭ ঈসায়ী সাল।
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
ভূঁইয়া বাড়ী, বাড়ী# ১২৩৪,
ওয়ার্ড# ১২, গ্রাম: ভাদুঘর,
পোষ্ট: ভাদুঘর-৩৪০০।

থানা:সদর, জিলা: বি.বাড়ীয়া। 

৫১। বিদ্রোহী তুমি, বিপ্লবী!


("বিজয়ের উল্লাস" যৌথ কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।)
দ্রোহানলের আগ্নেয়গিরি, বিদ্রোহী তুমি, বিপ্লবী!
বিষের বাঁশি, কে বাজাবি, আইরে ভীষণ ভৈরবী।
একূল ওকূল ভাঙ্গরে দুকূল, নে ভাসিয়ে জালিমরে,
মাথার 'পরে আছড়ে মারিস, পাহাড় সম ঊর্মিরে।
নটরাজের পবন-ভবন, আয়রে ছুটে তড়িৎ বেগে,
দস্যিরাজের দস্যিপনায়, লাগাম টানো বিশ্বরে।
আয়-গতিবেগ, আয়রে ধেয়ে, ধমকে- চমকে ভেঙ্গে যারে,
রক্তচোষা, জন্তু -প্রাণী, মানব-দানব সংহারে।
ঈষাণ কোণে, উড়াও নিশান, কালো মেঘের গর্জরে,
চিতার অনল ধরিয়ে দিবি, দস্যুদেরই অন্তরে।
বিনামেঘের বজ্রবাণে, সাঙ্গ কর জীবনরে,
নৈঋতেরই প্রান্ত কোণে, ভীষণ, পাষাণ, বৌদ্ধরে।
আয় অবিরাম, ঘূর্ণিবায়ূ, সাথী করে ঝড়-টর্নেডো,
কম্পে কম্পে ভূমিকম্পে, আগ্নেয়গিরির ঐ জ্বালামুখ,
যা ছুটে যা মানবতা, বন্দী যেথা প্রকোষ্ঠে,
মানুষরূপী সবজানোয়ার, রক্ত -মাংস ভক্ষণে।
ফেলরে মুছে সব নিশানা, সবকটিরে ধররে,
মরণ জ্বালা, বিষের জ্বালা, জ্বালিয়ে দিবি অন্তরে।
তিলে তিলে দে বুঝিয়ে, অত্যাচারীর পরিণতি,
জালিম, জুলুম, জুলমাতের সব, মৃত্যুবাণে দিবি।
উড়াও পাহাড়, ঝঞ্ঝা বায়ু, ধ্বংস-নাশী সংহর্ত্রী,
জ্বালাও, পোঁড়াও, অমানুষী পাপের তাপের রাজ্যটি।
চালাও প্রবল ধ্বংসলীলা, আকাশ-বাতাস বৈপ্লবী,
পৈশাচিকের দম্ভ-হম্ভ, দে গুঁড়িয়ে বিপ্লবী!


----- আরিফ ইবনে শামছ্
০৬/০৯/২০১৭ ঈসায়ী সাল।
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২,
ভাদুঘর, সদর, বি.বাড়ীয়া-৩৪০০।
০৬/০৯/২০১৭ ঈসায়ী সাল।
All reactions:
Kamal Hossain and 1 other

৫০। ১৯৪৭ সালের পূর্ব হতে, আজকের এই বাংলাদেশ।



("বিজয়ের উল্লাস" যৌথ কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।)

গোলা ভরা ধান ছিল তার,
পুকুর ভরা মাছে।
তলা ছাড়া ঝুড়ি কভু,
মাথা পিছুর ঋণে।
সোনার বাংলার স্বপ্ন গুলো,
অংকুরেতেই শেষ,
দেশ গড়িতে সোনার ছেলে,
ছোট নির্নিমেষ।
দরদীরা আসে মোদের উন্নয়নের তরে,
বৃটিশ, পাকি, ইন্ডিয়ানরা নেই পারে যা লুটে।
দাঁড়ায় যতো মহান নেতা দেশ গড়িবার তরে,
কার খুশিতে, কাদের তরে, জীবন নিচ্ছে কেঁড়ে???
মুজিব বলো, জিয়া বলো, জাতীয় নেতা যারা,
দেশের তরে জীবন দিল, হিংস্র পশুর দ্বারা।
কার ইশারায়, কেমন করে, দেশের নাঁড়ী কাটে,
পারবনাকি মহান প্রাণের, শান্তি এনে দিতে।
আজ প্রয়োজন, বের করে নাও, কারা মোদের শত্রুদল
দেশ- বিদেশের ভাঙ্গে কারা, সোনার-স্বপ্ন-পদ্ম-দল,
মীর জাফরের প্রেতাত্নারা আজো ঘুরেফিরে,
ঘসেটিদের দেখা পাবে, দেশটা যারা বেঁচে।
নাগরিকেরা জিম্মী থাকে, কেউ জাগেনা কভু,
প্রতিবাদের পথ হারিয়ে, মাথা টুকে শুধু।
মুক্তি কোথায় মিলবে সেতো, রয়লো অধরা,
কুক্ষিগত করে রাখে, সব রকমের ক্ষমতা।
সেও শুনি, নাই তাদেরি, তখতে কোন নিজের বল,
ভিনদেশীদের কাঠির ছোঁয়ায়, হয় ক্ষমতার পালা বদল!
আর কতোকাল রয়বে জাতি, স্বাধীণ হয়ে পরাধীণ,
জাতির তরে জাগবে কবে, মুজিব, জিয়া, মহাবীর।
নিজের মতো দেশ সাজাতে পায়না কেন শক্তি বল,
স্বাধিকারের নীরব যাতন, শেষ করিবে কোন সে জন?
থাকবেনাক বাঁধা কোন, সোনার বাংলা গড়তে,
জাতি গড়ার মহান পথে, নেইকো দ্বিধা মরতে।


-------- আরিফ ইবনে শামছ্
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২,
ভাদুঘর, সদর, বি.বাড়ীয়া-৩৪০০।
০৪/০৯/২০১৭ ঈসায়ী সাল।

৪৯। জাগো আবার জাগো!


এ কোন্ ঘুমে অচেতন, জাগবেনা কি জাগবেনা!
ভাই, বোন, আর শত মাজলুমার, কান্না কানে পৌঁছেনা?
জালিমের দল তোর দ্বারে কই, খুঁজিস কেন হদিস,
সে আশাতেই আছিস বসে! জীবন মরণ ভাবিস!
কাঁদার তরে মানুষ দূরে, পশু পাখি কেউ রবেনা,
পড়বি যখন বিপদ মাঝে, ছুটবিরে তুই পথ পাবিনা।
পরকে আপন করে নিতে, হলি যে তুই স্বার্থপর,
নিজেই নিজের ষোল আনা, পাষাণীর সব পূর্ণ কর।
মানবতার দীক্ষা দিবি, মানবতাই ভূলে গেলি!
এমন হলে, কেমনে চলে, বিশ্ব ধরিত্রী।
বাহুডোরে শান্তি পাবে, সকল জাতি ভেদ-ভূলে,
আজকে তোমার বেহাল দশা, দেখছে সবি বিশ্বরে।
কোথায় তোমার, বীরের জাতি, সত্য ন্যায়ের সাহস,
কোথায় গেল, মটকে ফেলার, জালিমের সব ধর।
জাগো আবার জাগো সবে হায়দরী সে হাঁক ছেড়ে,
পথ হারাবে, জালিম যতো, মরবে পথে প্রান্তরে।
সাহস পাবে, আশার আলো, নির্যাতিত ভাই-বোনে,
আবার ফিরাও পাগলা ঘোড়া,
ছুটতে মুক্তি, কল্যাণে।
নেইকো সময় পিছু ফেরার সামনে বার অগ্রণী,
পাষাণ, জালিম, দানব-মানব,
বিদায় হবে খুনি।


---- আরিফ ইবনে শামছ্
০৫/০৯/২০১৭ ঈসায়ী সাল।
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২,
ভাদুঘর, সদর, বি.বাড়ীয়া-৩৪০০।
০৪/০৯/২০১৭ ঈসায়ী সাল।

৪৮। আগুন জ্বালা অন্তরে!


বাজাও রণদামামা, পড়রে আমামা;
মুখে কালিমা, আগুন জ্বালা।
শেষ করে দাও, মানব শত্রু,
মাংস খেকো, বৌদ্ধ ভিখু।
চালাও ঘোড়া, মাররে চাবুক, নিশানা করো শত্রুদের,
নাইরে সময়, শেষ করিতে, শত্রু যারা ধর্ ওদের।
ধর্ হাতে ধর্ ঢাল তলোয়ার, একীনে রাখ আল্লাহু আকবার,
ধুলীর মতোই স্তব্ধ রবে সব আধুনিক অস্ত্রধার।
জ্বালারে জ্বালা, আগুন জ্বালা, আগুন জ্বালা অন্তরে,
পুড়ে ফেল তোর অলস অবস অহেতুক তন্ত্র-মন্ত্ররে।
আর কতকাল পাথর চোখে জাতির মরণ করবি বরণ,
আর কত লাশ, ভাই ও বোনের তোর বুকেতে করবি ধারণ।
সয়বি কতো মা ও বোনের অপমান আর জিল্লতি,
যুদ্ধ ছাড়া, নেই প্রতিবাদ, বুঝবে কবে, চল্ যুঝি।
রক্তে জ্বালা, মরণ জ্বালা, গাজী হওয়ার ইচ্ছারে,
জীবন মরণ যুদ্ধ খেলায়, থাকবে জয়ের দ্বারেরে।
এক পলকে থামবে দেখিস, সকল জালিম বৌদ্ধরে,
ঝাটকা মেরে ছিটকে ফেল, যতো বাঁদর ছিঁচকেরে ।।
চল্ ওরে ভাই সামনে চল্, উঁচু করি শির,
নোওয়াবেনা মাথা কোন, আসুক যুদিষ্ঠীর।
মরলে শহীদ, বাঁচলে গাজী, চল্ ধরি ঐ জালিমদের ,
অত্যাচারীর বুক চিড়িয়া, জয় আনিব মজলুমের।


--- আরিফ ইবনে শামছ্
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২,
ভাদুঘর, সদর, বি.বাড়ীয়া-৩৪০০।
০৪/০৯/২০১৭ ঈসায়ী সাল।

৪৭। পাষাণের বুক ফাঁড়ি


বানের জলে সব হারিয়ে ,
নিঃস্ব হয়ে বিশ্ব মাঝে,
শান্তিটুকু খুঁজি;
হউক তা' আরাকানে,
নির্যাতিত জনপদে,
জালিমের রক্ত রাঙ্গা,
পাষাণের বুক ফাঁড়ি।
রক্ত পিচ্ছিল, মৃত্যু পায়ে,
শংকা প্রাণের সাথী,
তবু শান্তিটারে খুঁজি;
বাংলা, ভারত, চীনের মতো,
প্রতিবেশী দেশ কে জানো,
দুর্দিনে কি পেলি।
জীবন মরণ সমান যেথা,
শক্ত করে দাঁড়া,
শান্তি আসবে নামি;
কামড়ে ধর, মরণ কামড়,
দন্ত, আছে, নখ ও আছে,
জ্বালাও প্রাণে শক্তি।।
আজি হতে মরণ বীণা,
নাওতো তুলে শক্ত হাতে,
দেখবে কেমনে থামে,
মরবে নাকো একলা কোন,
জালিম কয়টা সহ,
মৃত্যু নিয়ে খেল।
শান্তি সবার, শান্ত ঘরে,
আনবে ফিরে,
জালিম খতম করে;
কাঁপন ধরাও, মৃত্যুভয়ে,
পালায় যেন, ঊর্ধ্বশ্বাসে,
শান্তি হবেই হবে।
শুরু তোমার করতে হবে,
জালিম বধে অগ্রভাগে,
আসবেনা কেউ মিছে;
মানুষ যারা বীরের মতো,
ধরবে চেঁপে তাদের টুঁটি,
ফিরিশতারা পাশে।
ভয় কি তোমার,
বীরের জাতি,
রক্ত টগবগে,
সাহস তোমার আকাশ সম,
দাঁড়াও তুমি পাহাড় সম,
আসবে বিজয় ঘরে।
আসলো কেবা, হটলো পিছে,
অস্ত্র দিল? ছল করিল?
দেখার সময় কই,
মারতে হবে, জালিম সবি,
বিজয় নেশা, সঙ্গ-সাথী,
করবো সবি জয়।

- আরিফ ইবনে শামছ্
০১/০৯/২০১৭ ঈসায়ী সাল।
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২,
ভাদুঘর, সদর, বি.বাড়ীয়া-৩৪০০।
No photo description available.
Ariful Islam Bhuiyan and others

 

৪৬। তোরা থামবি কিনা বল!



তোরা থামবি কিনা বল!
ছাড়বি কিনা পাষাণ ছল,
মরণ ফাঁদের রক্ত নদী,
কয়টা খাবি বল?
ভাল মানুষ, উঠছে জেগে,
পারবি কিনা বল?
আগুন ঝরা, বহ্নি হাওয়া,
সঙ্গে যাবি চল।
আকাশে বাতাসে, জলে পর্বতে,
ঠাঁই কি তোরা পাবি,
নদী গিরি, বন জঙ্গলে,
পথের দিশা নিবি।
পাতা মরমর, বৃষ্টি ঝরঝর,
বজ্রনিনাদ আসছে ধেয়ে,
কাঁপে থরথর, গিরি সরোবর,
সত্য- ন্যায়; আজ উল্কা বেগে।
হাতে ধরা তোর শাণিত ছোড়া,
তোর বুকেতে বিধবে দেখিস,
ওরে অজ্ঞ, জাহেল মূর্খ,
কেমনে তোরা মানুষ মারিস!
কিশোর, জোয়ান, বৃদ্ধ, যুবা,
আসছে তেড়ে, দেখরে চেয়ে।
জানেনা তারা, পিছু হটা,
সামনে বাড়ে, ঝড়ের বেগে।
শক্ত হাতের ডান্ডা খেয়ে,
সময় এলে শিখবি সবি,
বীরের লাথি, শাস্তি পেয়ে,
মানবতার দীক্ষা নিবি।

-------আরিফ ইবনে শামছ্
৩১/০৮/২০১৭ ঈসায়ী
বিকাল ০৪:৩০ মিনিট।
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২,
ভাদুঘর, সদর, বি.বাড়ীয়া-৩৪০০।

৪৫।সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ মহাপুরুষ (সাঃ)



প্রতিটি হৃদয়ের চারিপাশ যবে ঘোর তমসায় ঘেরা,
তোমার প্রেম ভালবাসা, মুগ্ধকর আন্তরীকতা;
সৃজিল আলোর ফোঁয়ারা প্রতিটি হৃদয় জুড়ে,
আঁধারের সব আঁধার উপনীত হলো, নতজানু হয়ে।
সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ মহাপুরুষ! তৃষিত হৃদয়ের আবে জমজম,
দিকভ্রান্ত মানবজাতি খোঁজে পেল দিক দর্শন।
একবিংশ শতাব্দীর এক উম্মতের মরুতৃষা আজ,
তোমাকে হৃদয় ভরে দেখে নিতে দুর্নিবার অভিলাষ।
সহস্র ষড়যন্ত্রের মাঝেও সহাস্য বদনে নেয় প্রস্তুতি,
সুপারিশ তোমার দিশারী হবে, এমনি কালের আকুতি।
বলহীন, কমজোর ঈমানে নয় গড়া মুসলিম জাতি,
অকাতরে সঁপে দিবে প্রান, আসুক বাঁধারা বিপ্লবী।
স্বর্ণ যুগের সাহস নিয়ে লড়তে চাহি রণাঙ্গণে,
দ্বীনের ধ্বজা রাখতে উঁচু, লড়বো সবে প্রাণপনে।
সফলতা ধরা দিবে, প্রভূ যদি রহম করে,
সব কিছু যে চাই করিতে, মহান সে' বিভুর তরে।
চায় হতে যে বিলীন তব ভালবাসার অকূল জলে,
চোখ দুটো যে পাবে জ্যোতি ভালবাসা তব পেলে,
ফুলে ফলে পূর্ণরূপে, পেয়ে যাবে বসন- বিলাস,
কভু যদি পেয়ে যেতাম, স্বপ্ন মাঝে তব দীদার।

------- আরিফ ইবনে শামছ্
২১/০৯/২০০১ ঈসায়ী সাল
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২,
ভাদুঘর, বি.বাড়ীয়া।
All reactions:
Adel Farhan, Halima Akter and ৩ others
৪ comments
Like
Comment
Share

ভালবাসি দিবা-নিশি _সূচীপত্র

কপিরাইট আইন: জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট, লঙ্ঘনের কারণ, সমস্যা ও সমাধান

📄 প্রবন্ধ শিরোনাম: “কপিরাইট আইন: জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট, লঙ্ঘনের কারণ, সমস্যা ও সমাধান” ✍️ লেখক: আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া (আরিফ শামছ)...