বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৯

বাবা!

৮৪।  


আমার বাবা,
আমার রবি,
সব বেলাতেই,
তারে স্মরি।

মা'বুদ আমার
সাথে তাহার,
করবে সদাচার,
এইতো হল,
আমার দোয়া,
মাবুদের দরবার।

মাফ করে দাও,
মা'বুদ তুমি,
আমার বাবাকে,
জান্নাতী করে রাখো,
আমার রবিকে।

আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া
৩০/০৪/২০০৬ ঈসায়ী সাল।
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
ভূঁইয়া পারা, ভাদুঘর,
সদর, বি.বাড়ীয়া।

জীবন তরী

৮৩। 


জীবন তরীর এ কি হল হাল,
মাঝে মাঝে পাল ছিঁড়ে বেসামাল,
হাজারো ঢেউয়ের তর্জনগর্জন,
নির্ভীক চিত্তে করিতে অর্জন।

পথে পথে বাঁধা হবে,
কেটে যাবো একে একে,
মানবোনা বাঁধা, শুনবনা কথা,
চলে যাব, দিয়ে যাব দিশা।

তুমি থাক ভীত হয়ে,
রবনা একাকি বসে,
লড়ব, চলব নিশান উড়িয়ে যাব,
সত্য ধ্বজা রবেই অম্লাণ,
যাই যাবে যাক দেহ মোর প্রাণ,
সহাস্যে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করিব।

 আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া
২৬/০২/২০০৫ ঈসায়ী সাল

বাবা!

৮২।       


বাবা, তুমি সময়ের সাথে,
পাল্লা দিয়ে অনেক দূরে চলে গেলে!
কি করে ভূলিতে এ মন পারে,
কত সাধ আহ্লাদ, তোমারে আহ্বাণে।

কালের আবর্তে চলে গেলে!
এত দূরে তবে কেন?
আশার দিপালী জ্বেলে,
তুমি নীরবেই চলে গেলে!

এ পৃথিবী তোমায় দিয়েছে কিছু?
নিয়েছে তো অনেক,
তোমার সন্তান দেখো কত স্বার্থপর!!!
তোমারে স্মরিছে কি বারেক!!!

আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া
৩০/০৪/২০০৬ ঈসায়ী সাল।
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
ভূঁইয়া পারা, ভাদুঘর,
সদর, বি.বাড়ীয়া।

সত্য সন্ধানী

৮১।       

("বিজয়ের উল্লাস" যৌথ কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।)

বেহাল রুপ দেখিতে কে চায় বলো?
অপরুপা এ পৃথিবীর ;
কারা হারাবে সত্য নিশানা?
সত্য সুবাস ছড়াবে ধরিত্রীর?

সত্যের ঘোষক, ধ্বজাধারী বীর,
কোথায় বসবাস এ অবনীর?
সত্যের সমারোহ ঘটাবে কোন জন?
সৃজিবে কা'রা সত্যের কানন?

অবিনাশী সত্য, চিরঞ্জীব প্রিয়তম,
ধূসর পৃথিবীতে আর কি চাওয়া!
সুন্দর অনন্ত, সত্য চির-ভাস্বর,
হীরে কণা সব একে একে পাওয়া।

সত্য পূজারী, সত্য সন্ধানী প্রিয়তমা!
নিত্যদিন সত্যের গান গেয়ে যাওয়া।
প্রিয়তম যে মোর, অনন্ত কালের স্রষ্টা,
প্রভাত-গোধূলী লগনে সদা,
তাঁর গান গাওয়া।

আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া
৩০/০৪/২০০৬ ঈসায়ী সাল।

বাসন্তী

৮০।   

পাকা পাকা বিবর্ণ পাতা সব,
ঝরে পড়ে নীরবে,
শীত এসে চলে গেলো,
বসন্তের মোহরুপে।
জরাজীর্ণ ঝেরে ফেলে,
 নতুনের প্রস্তুতি,
আর কতো অপেক্ষা,
আসবে রে বাসন্তী।

দিন যায়, মাস যায়, আসে যায় বছর,
কেউ বলে বাড়ে আবার কমে যে বয়স!
মায়াঘেরা প্রীতিডোরে,
বেড়ে ওঠা ধীরে ধীরে,
পথচলা সময়ের, শ্বাশ্বত বিধানে।

সুখ আর দুঃখ কেউ কারো অরি নয়,
একে একে দুই দুটো, জীবনের সাথী হয়।
ভাবি সব দুঃখ, কেন সুখ হয়না,
দুঃখ কেন যে, পিছু কভু ছাড়েনা।

সাজাবো থরে থরে, সুন্দরে সুন্দর,
নোঙ্গর রাখব আলোকিত বন্দর।
জীবনের আশা-তরী, ভিড়বে একে একে,
চলবে বিনিময়, জীবনের সব খানে।

 আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া
৩০/১১/২০১২ ঈসায়ী সাল।
পূর্ব নয়াটোলা, 

রঙমহল

৭৯। 
 

সাথী আমার জীবন সাথী,
কোথায় ছিলে তুমি?
তোমার তরে ভালবাসার,
আকাশ রেখেছি।
ভাবতে পারো উজাড় কিনা! আঁধার আঁধার ভরা,
জীবন আমার ঘূর্ণিপাকে!  নাকি মরণ ছোঁয়া।

ভালবাসার মহারথে চলবে জীবন ভর,
ভালবাসায় খুঁজে পাবে, পূর্ণ তব মন।
আকাশ সে তো নয়গো জেনো, মহাকাশ দেখো,
তারায় তারায় সাজিয়ে দিলাম, তোমার তরে শুধু।

খুঁজে পাবে চন্দ্র, তারা, রবিকরের মাঝে,
 চায়বে যখন সঙ্গ তুমি, সকাল-সন্ধ্যা-সাঁঝে।
এলোমেলো ঝড় যখনি আসবে জীবন মাঝে,
ভালবাসার ঢাল দিয়ে সব, রুখবো দু'জনে।

ভয় পেয়োনা নূতন সাথী, কভু বিপদ দেখে,
পাশেই আছি পাশাপাশি, থাকবো তোমার হয়ে,
এসো রচি ধূলীর ধূলায়, ভালবাসার রঙমহল,
প্রেম-তুলিতে স্বপ্ন আঁকি, হাসি-খুশি, সুখ-আঁচল।

রচনাঃ
২৪/১১/২০১২
২৮/১, পূর্ব নয়াটোলা,
বড়মগবাজার, রমনা, ঢাকা।

চন্দ্রাবতী

৭৮। 
------ আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া
       ২৮/১১/২০১৭ ঈসায়ী সাল।

আঁধার ঘেরা নিঝুম রাতে চাঁদ যে বড় একা,
আলো ছায়ার চলছে খেলা, নামলো পরীর মেলা।
চাঁদ খুঁজে তাঁর হারিয়ে যাওয়া সাথীটারে বুঝি,
"চাঁদনী " বলে ডেকে ডেকে সারা হলো নিশি।

বুকে ভরা স্নিগ্ধ আলোয়, একাকিত্বে মরি,
দিবা-নিশি খুঁজে মরি, পূর্ণতা যে চাহি।
চাঁদের আলোয় ভালবাসা, পায় যে অপরুপ,
প্রেম নামে যে, বাঁধনহারা, খুঁজে নিজের রুপ।

প্রেমের খেলা জমে ওঠে, চলে নিশি ভর,
ভালবাসার রাজ্য মাঝে, কেউতো একা নয়।
চাঁদ হয়ে ভাই, এই কি হলো! বড্ড একা থাকি,
একা একা জীবন গেল, রয়লো ক'দিন বাকি!!

চন্দ্রাবতীর প্রেমে পড়ে, পাগলপারা ভাই,
সন্ধ্যা-রাতে, নিশি-ভোরে,
খুঁজি তারায় তারায়।
আর মানেনা মন যে আমার,
দারুন সময় যায়,
চন্দ্রাবতীর দেখা পেলে, আমায় বলো ভাই।

রচনাঃ
২৪/১১/২০১২ ঈসায়ী সাল।
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস
সদর, বি-বাড়ীয়া-৩৪০০।

ভালবাসি দিবা-নিশি _সূচীপত্র

কারবালার ইতিহাস

কারবালার ইতিহাস ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও হৃদয়বিদারক অধ্যায়। এটি কেবল একটি যুদ্ধ বা হত্যাকাণ্ড নয়; বরং এটি হক ও বাতিলের মাঝে এক সুস্পষ্ট...