বুধবার, মে ২৯, ২০২৪

৮৭. আসলো পতন, খবরদার!



দিনে দিনে বাড়ছে জ্বালা অত্যাচার
আর উৎপীড়ন,
মানুষ নামের মানব-বাদীর,
কবে হবে চেতন ???
বিশ্ব হবে সব জাতিদের,
থাকবেনা বৈষম্য,
হচ্ছে কী সব বিশ্ব জুড়ে!
তাই কী ছিল কাম্য?
আঁতাত করো খুনীর সাথে,
সাথী দখলদার,
অত্যাচারীর অস্ত্রগুরু,
দালাল ফড়িয়ার!
সিংহ, শার্দুল ওঠলো জেগে,
অত্যাচারীর দিন শেষে,
ঢাল তলোয়ার, মারণাস্ত্র,
প্রয়োজন তা' কোথা' কবে!
শান্তির কথা মুখে মুখে,
অন্তরে অন্তঃসার,
সাধু তুমি অসাধুরা,
করে অভিসার!!!
বিশ্ব-বিবেক ভাবছো বোকা,
নিত্য নিতুই দিচ্ছ ধোঁকা!
বের হয়েছে মুখোশ তোমার,
লুকিয়ে রবে কোথা??
অত্যাচারী টিকলো কবে,
কদিন রবে ধরাতলে,
দেখ্ খোলে দেখ্, ভাল করে,
ইতিহাসের পাতা পড়ে।
অপমানের নরক জ্বালা,
জ্বালবে তোদের অন্তরে,
সব হারাবি নিঃস্ব হয়ে,
জায়গা হবে প্রান্তরে।
অত্যাচারীর সহযোগী,
অস্ত্রবলের যোগানদার,
থামবি নাকি? থামিয়ে দিব?
আসলো পতন, খবরদার!
গুটিয়ে নে তোর ঝারি-ঝুরি,
ভাসিয়ে নেবো তৃণ সবি,
আবর্জনা সব হবে সাফ,
করবেনা কেউ মাফ।

আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া
সকাল ০৯ টা।
১২/১২/২০১৭ ঈসায়ী সাল।
মধুবাগ, বড়মগবাজার,
রমনা, ঢাকা।

৮৬. আমার বাবা।


বাবা! কে বলে তুমি নেই,
এ ধরাধামে? চলে গেছ অভিমানে;
নিত্যদিনের নিয়ম মেনে,
সবার মতো স্বজন ছেড়ে,
ভিন দেশেতে অনেক দূরে।
নাই কি তোমার রক্তধারার?
এমদন নয়ন, খুঁজে নেবার।
সত্যটাকে মিথ্যাজালের বেড়া থেকে,
আলোর রেণু, মুঠোয় নেয়া দক্ষ হাতে।
আছো তুমি চিরন্তনী,
কথা-কাজের বর্ণনাতে,
সমাজ সেবার দর্শণে।
সব হৃদয়ের মণিকোঠায়,
উচ্ছ্বসিত ভাবের ধারায়।
তোমার ফসল যেথা যবে,
প্রভূর হাতে সদা রবে,
যেমনি হতে চেয়েছিলে,
সব বাসনায় পূর্ন হবে।
বেঁচে আছো সত্য কথা,
নিত্য দিনে যাওয়া আসা,
সব হৃদয়ে আলো জ্বালা,
আঁধার যেনো মুঠোয় পুরে,
আলোয় আলোয় পূর্ণ করে।
অসীম শ্রমের মোতিমালা,
তোমার গড়া গ্রন্থশালা,
বাগে আতিক সব দেখে যাও,
ইচ্ছে মতো সুবাস ছড়াও।
প্রতিটি হৃদয় মন্দিরে,
সাধুবেশে আছো সাধনায়,
সমাজকে দেবে তুমি উপহার।
চায়তো মনোলোভা হীরে কণা,
অতীব প্রয়োজন, কারো অজানা।
কোন স্বপ্নে বিভোর ছিলে,
হে পিতঃ! আত্নবিস্মৃত হয়ে,
জীবনের পুরোটাই উৎসর্গ করে,
তিলে তিলে মহাসত্যের দিকে,
উপকরণ ছড়ালে দু'হাতে।
আপন প্রভূর মহিমায়,
ছিলে কৃতজ্ঞ জীবন ভর,
পঞ্চমুখ প্রশংসায় আজীবন,
জীবনতরীর মালিক মেনেছ,
সবার উপরে প্রভূরে রেখেছো।
স্বপ্ন তোমার হউক রূপায়ণ,
চায় যদি সে পরম আপন।
সফলতার সব খবরই তোমার কাছে,
যথাকালে সঠিকভাবে পৌঁছে যাবে।
তুমি আছো সদা,
চিন্তা ধারার তীব্র ধারায়,
আপন বেগে, নিত্য চলায়,
জীবন পথে ছন্দ দিতে,
পূর্ণতারই তৃষ্ণা পেতে।
বাবা, শত বর্ষ এমনি করে,
চলে যাবে, আপন বেগে,
তোমার দেয়া তোহফা গুলো,
নিত্য নতুন আলো দেবে।

------ আরিফ শামছ্
০৭/০৫/২০০৬ ঈসায়ী সাল,
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
ভূঁইয়া পারা, ভাদুঘর,
সদর, বি.বাড়ীয়া।

৮৫. বিজয়ের উল্লাসে


বিজয়ের উল্লাসে, মোর চোখ হাসে
আজ, ঠোঁট হাসে তার রূপ পাশে,
সুখ আঁশুতে বুক ভাসে।
রক্ত নাচে টগবগে, মোর অরুন-তরুণ,
রক্ত রাগে, সোনা রোদের মখমলে,
জীবন জুড়ে, সৃষ্টি সুখের উল্লাসে।
সব পরাজয়, পদানত,
শত্রু সেনা হস্তগত,
জয়ের নেশায় মত্ত ছিল,
অস্ত্রসহ, অস্র বিহীন যোদ্ধা শত।
অশ্রু ধারার লক্ষ নদী,
রক্ত ধারা নিরবধি,
বয়েছিল জয় অবধি,
রুপ-অপরুপ সমাজ, জাতি,
সব হারিয়ে রিক্ত অতি,
মুঠোপুরে বিজয়-পতি।
নির্যাতনের দীঘল রাতি,
লম্বা ছিল নেইকো যতি,
ভোরের আশায় মনের বাতি,
দোলাচলে নিভলো বুঝি!
সারি সারি বীর বাঙ্গালী,
দেশের তরে প্রাণটি সঁপি,
শত্রু সেনার গতির যতি,
বুলেট বুকে আগলে রাখি।
সূর্যোদয়ের নূতন আভায়,
নূতন করে প্রাণ ফিরে পায়,
ঝরা-জীর্ণ সব টুটি,
অরুণ রবির আঁচল তলে,
স্বপ্ন হাসে স্বাধীণ বেশে,
সব পরাধীণ ছুটি।

---আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া।
০৬/১২/২০১৭ ঈসায়ী সাল।
মধুবাগ, রমনা, ঢাকা।



৮৪। বাবা!


আমার বাবা,
আমার রবি,
সব বেলাতেই,
তারে স্মরি।
মা'বুদ আমার
সাথে তাহার,
করবে সদাচার,
এইতো হল,
আমার দোয়া,
মাবুদের দরবার।
মাফ করে দাও,
মা'বুদ তুমি,
আমার বাবাকে,
জান্নাতী করে রাখো,
আমার রবিকে।

- আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া
৩০/০৪/২০০৬ ঈসায়ী সাল।
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
ভূঁইয়া পারা, ভাদুঘর,
সদর, বি.বাড়ীয়া।

৮৩। জীবন তরী


জীবন তরীর এ কি হল হাল,
মাঝে মাঝে পাল ছিঁড়ে বেসামাল,
হাজারো ঢেউয়ের তর্জনগর্জন,
নির্ভীক চিত্তে করিতে অর্জন।
পথে পথে বাঁধা হবে,
কেটে যাবো একে একে,
মানবোনা বাঁধা, শুনবনা কথা,
চলে যাব, দিয়ে যাব দিশা।
তুমি থাক ভীত হয়ে,
রবনা একাকি বসে,
লড়ব, চলব নিশান উড়িয়ে যাব,
সত্য ধ্বজা রবেই অম্লাণ,
যাই যাবে যাক দেহ মোর প্রাণ,
সহাস্যে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করিব।

------ আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া
২৬/০২/২০০৫ ঈসায়ী সাল



৮২। বাবা!


বাবা, তুমি সময়ের সাথে,
পাল্লা দিয়ে অনেক দূরে চলে গেলে!
কি করে ভূলিতে এ মন পারে,
কত সাধ আহ্লাদ, তোমারে আহ্বাণে।
কালের আবর্তে চলে গেলে!
এত দূরে তবে কেন?
আশার দিপালী জ্বেলে,
তুমি নীরবেই চলে গেলে!
এ পৃথিবী তোমায় দিয়েছে কিছু?
নিয়েছে তো অনেক,
তোমার সন্তান দেখো কত স্বার্থপর!!!
তোমারে স্মরিছে কি বারেক!!!

--- আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া
৩০/০৪/২০০৬ ঈসায়ী সাল।
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
ভূঁইয়া পারা, ভাদুঘর,
সদর, বি.বাড়ীয়া।

৮১। সত্য সন্ধানী




বেহাল রুপ দেখিতে কে চায় বলো?
অপরুপা এ পৃথিবীর ;
কারা হারাবে সত্য নিশানা?
সত্য সুবাস ছড়াবে ধরিত্রীর?
সত্যের ঘোষক, ধ্বজাধারী বীর,
কোথায় বসবাস এ অবনীর?
সত্যের সমারোহ ঘটাবে কোন জন?
সৃজিবে কা'রা সত্যের কানন?
অবিনাশী সত্য, চিরঞ্জীব প্রিয়তম,
ধূসর পৃথিবীতে আর কি চাওয়া!
সুন্দর অনন্ত, সত্য চির-ভাস্বর,
হীরে কণা সব একে একে পাওয়া।
সত্য পূজারী, সত্য সন্ধানী প্রিয়তমা!
নিত্যদিন সত্যের গান গেয়ে যাওয়া।
প্রিয়তম যে মোর, অনন্ত কালের স্রষ্টা,
প্রভাত-গোধূলী লগনে সদা,
তাঁর গান গাওয়া।

-------- আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া
৩০/০৪/২০০৬ ঈসায়ী সাল।





৮০। বাসন্তী


পাকা পাকা বিবর্ণ পাতা সব,
ঝরে পড়ে নীরবে,
শীত যেন এসে গেলো, বসন্ত
তাহার পড়ে।
জরাজীর্ণ ঝেরে ফেলে, নতুনের প্রস্তুতি,
আর কতো অপেক্ষা, আসবে রে বাসন্তী।
দিন যায়, মাস যায়, আসে যায় বছর,
কেউ বলে বাড়ে আবার কমে যে বয়স!
মায়াঘেরা প্রীতিডোরে, বেড়ে ওঠা ধীরে ধীরে,
পথচলা সময়ের, শ্বাশ্বত বিধানে।
সুখ আর দুঃখ কেউ কারো অরি নয়,
একে একে দুই দুটো, জীবনের সাথী হয়।
ভাবি সব দুঃখ, কেন সুখ হয়না,
দুঃখ কেন যে, পিছু কভু ছাড়েনা।
সাজাবো থরে থরে, সুন্দরে সুন্দর,
নোঙ্গর রাখব আলোকিত বন্দর।
জীবনের আশা-তরী, ভিড়বে একে একে,
চলবে বিনিময়, জীবনের সব খানে।
রচনাঃ
আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া
৩০/১১/২০১২ ঈসায়ী সাল।
পূর্ব নয়াটোলা।


৭৯। রঙমহল


সাথী আমার জীবন সাথী,
কোথায় ছিলে তুমি?
তোমার তরে ভালবাসার,
আকাশ রেখেছি।
ভাবতে পারো উজাড় কিনা! আঁধার আঁধার ভরা,
জীবন আমার ঘূর্ণিপাকে! নাকি মরণ ছোঁয়া।
ভালবাসার মহারথে চলবে জীবন ভর,
ভালবাসায় খুঁজে পাবে, পূর্ণ তব মন।
আকাশ সে তো নয়গো জেনো, মহাকাশ দেখো,
তারায় তারায় সাজিয়ে দিলাম, তোমার তরে শুধু।
খুঁজে পাবে চন্দ্র, তারা, রবিকরের মাঝে,
চায়বে যখন সঙ্গ তুমি, সকাল-সন্ধ্যা-সাঁঝে।
এলোমেলো ঝড় যখনি আসবে জীবন মাঝে,
ভালবাসার ঢাল দিয়ে সব, রুখবো দু'জনে।
ভয় পেয়োনা নূতন সাথী, কভু বিপদ দেখে,
পাশেই আছি পাশাপাশি, থাকবো তোমার হয়ে,
এসো রচি ধূলীর ধূলায়, ভালবাসার রঙমহল,
প্রেম-তুলিতে স্বপ্ন আঁকি, হাসি-খুশি, সুখ-আঁচল।
রচনাঃ --- আরিফ শামছ্
২৪/১১/২০১২
২৮/১, পূর্ব নয়াটোলা,
বড়মগবাজার, রমনা, ঢাকা।


৭৮। চন্দ্রাবতী

  

আঁধার ঘেরা নিঝুম রাতে চাঁদ যে বড় একা,
আলো ছায়ার চলছে খেলা, নামলো পরীর মেলা।
চাঁদ খুঁজে তাঁর হারিয়ে যাওয়া সাথীটারে বুঝি,
"চাঁদনী " বলে ডেকে ডেকে সারা হলো নিশি।
বুকে ভরা স্নিগ্ধ আলোয়, একাকিত্বে মরি,
দিবা-নিশি খুঁজে মরি, পূর্ণতা যে চাহি।
চাঁদের আলোয় ভালবাসা, পায় যে অপরুপ,
প্রেম নামে যে, বাঁধনহারা, খুঁজে নিজের রুপ।
প্রেমের খেলা জমে ওঠে, চলে নিশি ভর,
ভালবাসার রাজ্য মাঝে, কেউতো একা নয়।
চাঁদ হয়ে ভাই, এই কি হলো! বড্ড একা থাকি,
একা একা জীবন গেল, রয়লো ক'দিন বাকি!!
চন্দ্রাবতীর প্রেমে পড়ে, পাগলপারা ভাই,
সন্ধ্যা-রাতে, নিশি-ভোরে,
খুঁজি তারায় তারায়।
আর মানেনা মন যে আমার,
দারুন সময় যায়,
চন্দ্রাবতীর দেখা পেলে, আমায় বলো ভাই।
রচনাঃ
আরিফ শামছ্
২৪/১১/২০১২ ঈসায়ী সাল।
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস
সদর, বি-বাড়ীয়া-৩৪০০।









ভালবাসি দিবা-নিশি _সূচীপত্র

কপিরাইট আইন: জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট, লঙ্ঘনের কারণ, সমস্যা ও সমাধান

📄 প্রবন্ধ শিরোনাম: “কপিরাইট আইন: জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট, লঙ্ঘনের কারণ, সমস্যা ও সমাধান” ✍️ লেখক: আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া (আরিফ শামছ)...